Bartaman Patrika
গল্পের পাতা
 

বনের মানুষ

হামিরউদ্দিন মিদ্যা: —মাস্টার, আজ ডিম বাদ দে, হামাদিগের ছেলে-মেয়েগুলান কেউ খাবেকনি রে!
—কেন?
—হামার সঙতে আসে ওই শর্বরী টুডুটা আছে না? উয়ার ছেলেটোর গায়ে ‘মায়ের দয়া’ বের হইচে। উয়ার লিগে হামাদের পাড়ার সবার মাছ-মাংস-ডিম খাওয়াটো বারণ আছে।
মায়ের দয়া বলতে পক্স। আমাদের ওদিকের মানুষ বলে ‘লাল তারা’। বললাম, ‘শর্বরীর ছেলের পক্স হয়েছে তো গোটা পাড়া কেন মাছ-ডিম না খেয়ে থাকবে!’
‘হি দিখ-ও গো! মাস্টার হুয়ে কেমন বুকা মানুষের পারা কথাটো বুইলছে,’ হাসতে হাসতে লছিমন স্কুলের রাঁধুনি গুহিরামকে শোনাল কথাগুলো। 
—মায়ের দয়া হলে পাড়ায় আঁশটে জিনিসটো ঘরকে ঢুকানোর লিয়মটো নাই রে। ওলাবুড়িটা গোঁসা করে তাতে। উ একবার গোঁসা করলে গুটা গাঁ-টাকে সাবাড় করে দিবেক। ওই বুড়িকে মুটেই চটানো চইলব্যেক নাই।
—ওলাবুড়ি? সে আবার কে?
—হামরা উয়াকে মান্যটা করি। উ দেবী বটে। উ চটে গেলে গাঁয়ে কলেরা, মায়ের দয়া দিখা দেয়।
এই শাল-মহুলের দেশে মাস ছয়েক হল এসেছি। এদের এত নিয়মকানুন, সংস্কার আমার জানা নেই। আগে ছিলাম দামোদরের ওপারে জলহাটির একটা স্কুলে। জলা জায়গা। খেয়া পার হতে হতো। বর্ষাকালে বাড়ি আসা-যাওয়া খুবই কষ্টের ছিল। এদিক থেকে আমার এক সহকর্মী নিবাস যাতাযাত করত। ও ট্রান্সফার নিয়ে চলে গিয়েছে ধানসিমলার একটা স্কুলে। সোনামুখীতে ফ্ল্যাট নিয়েছে নিবাস। আমারও মন টিকল না। এখন আমি শুকানডিহি জুনিয়র হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক। নিবাসের পাশের ফ্লাটেই টু-বি-এইচকে রুম নিয়েছি।
মোলডাঙা, বীরেনডাঙা, কুসুমকানালী, নবীনডাঙা বনের মাঝে ছোট ছোট আদিবাসী গাঁ-গ্রাম। রুখা-শুখা টাঁড় জমিন। গ্রাম লাগোয়া বন পরিষ্কার করা কিছু খেতিবাড়ি। শীতকালে শালের পাতা ঝরে বনটা ন্যাড়া হয়ে যায়, আবার বসন্ততে সবুজ কচি পাতায় ছেয়ে যায়। তখন টিলার ওপর দাঁড়িয়ে থাকা কোনও পলাশ কিংবা শিমুলগাছের দিকে যদি তাকাও, সঙ্গে সঙ্গে মন কেড়ে নেবে। আউলে-বাউলে করে দেবে।
গুহিরাম হাঁসদা অনেকদিনের রাঁধুনি এই স্কুলের। ও ছাড়াও একটা গ্রামীণ মহিলাদের গ্রুপ থেকে লছিমন আর শর্বরী টুডু আসে। সেই শর্বরী টুডু আজ আবসেন্ট। লছিমন বয়স্কা, শর্বরীর স্বামী নেই। মাসের শেষে অল্প কিছু টাকা পায় ওরা।
লছিমনকে বললাম, ‘স্কুল শেষে শর্বরীকে একবার আসতে বলবে তো।’
—হি মাস্টার, আমি যেয়েই উয়াকে পাঠিয়ে দিবক। বাইরে বেরনোর লিয়মটা ইখন নাই তো, তাই উ আসেকনি। উটা বড় ছুঁয়াচে রুগ আছে।
আমার কোনও জোরাজুরিই খাটল না, সব্জি-ভাতই করতে বললাম। ভূগোলের মাস্টার অরবিন্দবাবু বললেন, ‘ডিম রান্না করলেও ফেলা যাবে সুন্দরবাবু, একটা ছেলেমেয়েকেও খাওয়াতে পারবেন না।’
ছোট স্কুল। ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা খুবই কম। আশপাশের গ্রাম থেকে কিছু ছেলেমেয়ে পড়তে আসে। অধিকাংশ দিনই আবসেন্ট থাকে। গ্রামগুলোতে দু-একবার সার্ভে করতে গিয়েছি। নতুন বছর শুরুর আগে ভর্তি করানোর জন্য অনুরোধ করে এসেছি। তাতেও লাভ হয়নি। মুখের ওপর কারও গার্জেন্ট শুনিয়ে দিয়েছে, ‘বিটিয়া ইস্কুল গেলে গোরু-ছাগলগুলান কে চরাবেক মাস্টার? তুয়ারা শ্যুট-বুট পিঁন্ধে এসে বড় বড় কুথাটো বলে চইল্যে যাচ্ছিস, হামাদিগের দিনকাল কীভাবে চলে, হামরা কেরম ভাবে বাঁইচ্যে আছি, তুয়াদের কী!’
—দেখুন, আপনাদের অবস্থা বুঝতে পারছি, কিন্তু এই অবস্থা তখনই ঘুরবে, যখন আপনাদের ছেলেমেয়েরা স্কুল যাবে, কলেজ যাবে, উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে চাকরি-বাকরি করবে।
লোকটা হেসেছিল হা হা করে। মুখেচোখে কথাবার্তায় লেগেছিল বিদ্রুপ, চাকরি! ‘উগুলান তো তুয়াদের জন্য রে। হামাদিগের ছেলেমেয়েগুলান অতদূর পৌঁছাতেই তো খুঁড়া হুয়ে পড়ে থাইকব্যেক।’
সাথে গিয়েছিলেন অরবিন্দবাবু, ইংলিশের ম্যাম জয়িতা। কনুইয়ে খোঁচা মেরে আমাকে সাবধান করে দিলেন। ‘চলুন সুন্দরবাবু, অন্য বাড়ি দিকে যায়।’
আমরা অন্য বাড়ি দিকে পা বাড়িয়েছি, পেছন থেকে লোকটা আবার বলল, ‘হামার কথাগুলান শুনে কিছু মুনে লিস নাই মাস্টার। তুয়াদিকে অপমান করার লিগে হামি কিছু বলিক নাই রে। কথাগুলান একবার ঠান্ডা মাথায় ভেবে দেখবিক ক্যানে।’
টালির ছাউনি দেওয়া ছোট ছোট মাটির বাড়ি। ঝকঝকে চকচকে নিকানো উঠোন, উঠোনেই মাটির আঁখা। পাশেই শুকনো কাঠপালা ডাঁই করা। ঘরের দেওয়ালে গিরিমাটির লেপন-পুছন, নানারকম লতা-পাতা, পশু-পাখির ছবি আঁকা। কোনও বাড়ির টালির চালে বেতের ঝুড়িতে মহুল ফুল শুকোতে দিয়েছে। স্থানীয়রা বলে ‘মোল’। উঠোনে পা ছড়িয়ে বসে শালপাতায় কাঠি গুঁজে গুঁজে কেউ বা বুনছে সেলাই পাতা।
লোকটার কথাগুলো আমাকে ভাবাচ্ছিল। আমাদের মতো মানুষদের প্রতি ওর রাগটা ঠিক কোন জায়গায় বোঝার চেষ্টা করছিলাম। জয়িতা বললেন, ‘কথাগুলো শুনতে খারাপ লাগলেও একটাও মিথ্যা বলেনি সুন্দরবাবু। অনেকবছরই তো আমি এসেছি এই এলাকায়। দেখছি, দু’মুঠো পেটের ভাত জোগাড় করতেই হিমসিম খেয়ে যায় মানুষগুলো। ছেলেমেয়ে একটু বড় হলে, তাকে স্কুলে পড়তে পাঠানোটা ওদের কাছে বিলাসিতা। আগে বনের ওপর নির্ভর করেই বেশ চলে যেত। এখন কেউ যে বনের শুকনো কাঠ এনে বাজারে বেচবে, তারও জো নেই। ফরেস্টার বাবুদের যত নজরদারি সব গরিবগুরবো মানুষদের প্রতি, অথচ রাতে ট্রলি ট্রলি গাছ পাচার হয়ে যাচ্ছে। আগে কী গভীর জঙ্গল ছিল! সেই পুরনো মোটা গাছ এখন হাতে গোনা।’
—ওদের চলে কী করে তাহলে? চাষবাসও তো হয় না এখানে তেমন।
—ওই কোনওরকম ধুকিয়ে ধুকিয়ে বেঁচে থাকা। কেউ শালপাতা দিয়ে খাবার থালি বানায়, কেউ বিড়িপাতা তুলে শুকিয়ে বিক্রি করে। স্বল্প রোজকার। কিছু গোরু-ছাগল পালে। ছেলেছোকরারা বড় হলে ভিনরাজ্যে চলে যাচ্ছে এখন। চাষের কাজ করতে পুবেও নাবাল খাটতে যায় অনেকে।
স্কুল শেষে শর্বরী টুডু এল। কাচুমাচু মুখ করে বলল, ‘হামাকে ডেকেছিস মাস্টার?’
—হ্যাঁ, ভেতরে এসো।
চেয়ার থেকে কিছুটা দূরে দাঁড়াল শর্বরী।
বললাম, ‘বসো, কথা আছে।’
সংকোচ নিয়ে জড়োসড়ো হয়ে বসল ও। অল্প বয়সি বিধবা। শুনেছি বছর তিনেক আগে হাতিতে মেরে ফেলেছে শর্বরীর স্বামীকে। মদোমাতাল মানুষ ছিল চোড়কু টুডু। বাজার থেকে গলা ফেঁড়ে গান গাইতে গাইতে রাতে বাড়ি ফিরছিল সেদিন। টলতে টলতে দলছাড়া একানে খ্যাপা হাতিটার সামনে পড়ে গিয়েছিল। আর বাড়ি ফেরা হয়নি চোড়কুর। সকালে ডহরের ধারে পাওয়া গিয়েছিল থ্যাতলানো দেহটা। নাড়িভুঁড়ি সব বেরিয়ে গিয়েছিল। তার জন্য অবশ্য ক্ষতিপূরণ বাবদ শর্বরীকে কিছু টাকা দিয়েছিল সরকার। সেই টাকায় বুদ্ধি খাটিয়ে শর্বরী কয়েকটা ছাগল, গোরু কিনেছে।
—এখন কেমন আছে তোমার ছেলে?
—আর বলিস নাই মাস্টার, হামার বেটুয়ার সারা গা মায়ের দয়ায় বিজবিজে হুয়ে গেইচে রে। একটোয় বেটুয়া হামার, কিছু একটো হুয়ে গেলে!
ফুঁপিয়ে উঠল শর্বরী।
—এত চিন্তা করো না, ঠিক ভালো হয়ে যাবে তোমার ছেলে। যা বলছি শোনো।
—হ, বুল কেনে।
—পক্স হলে শরীরকে দূর্বল করে দেয়, বেশি বেশি করে প্রোটিন জাতীয় খাবার খাওয়াতে হয়। শুনলাম ডিম-মাছ সব খাওয়ানো বন্ধ করে দিয়েছ! এতে তো আরও বাড়াবাড়ি হয়ে যাবে।
—কী হবেক মাস্টার? হামাদিগের তো উ লিয়মটাই আছে রে! পাড়ায় ইখন মাছওয়ালারও ঢুকা বারণ।
—তুমি ওইসব নিয়ম-কানুন মানতে চাও, না ছেলেকে তাড়াতাড়ি সুস্থ করতে চাও সেটা বলো তো? শুনেছি তুমি এইট পাশ। ওইসব ওলাবুড়ি-টলাবুড়ির দোহায় দিয়ে ছেলেটাকে ফেলে রেখে দিয়েছ! এতে তো ও আরও জব্দ হয়ে যাবে।
—কী করবক তাইলে বুল কেনে মাস্টার। ইখন এগারো দিন চান করানোর লিয়মটাও নাই। গায়ে তেল ঠেকানোও চইলব্যেক নাই।
—স্নান তুমি করাতেই পারো, তবে তেল ঠেকাও না। এখন বেশি বেশি করে মাছ-ডিম-দুধ এইসব খাওয়াও।
—সব্বোনাশ! গাঁইয়ের মানুষগুলান জানলে যে বিপদটো আছে রে।
—লোক জানিয়ে খাওয়াবে কেন, তুমি লুকিয়ে খাওয়াও। দেখবে তাড়াতাড়ি সেরে উঠবে। আর একটা ডাক্তার দেখাও। গায়ে জ্বর আছে নাকি?
—হি মাস্টার, কাল রাতটো থেকে গোটা গা-টো জ্বরে পুড়ে যাচ্ছে। বিছানায় আলাছালা কইরছ্যে।
বিরক্ত হয়ে বললাম, ‘ডাক্তার দেখাওনি, ওষুধ খাওয়াওনি, ভালো-মন্দ খাওয়ানোও বন্ধ করে দিয়েছ, ছেলেটাকে কি মারবার তাল করেছ?’
শর্বরী প্রায় কেঁদেই ফেলল, ‘বেটুয়ার কিছু হয়ে গেল্যে হামাকে পথটোতে বসতে হবেক মাস্টার। তু বলে দে কেনে, ইখন হামি কী করবক?’
—শোনো, ব্যাগে আমার জ্বরের ট্যাবলেট আছে, দিচ্ছি। ভাত-মুড়ি কিছু খাইয়ে ওষুধটা খাওয়াবে। আর বাড়িতে ডাক্তার ডেকে দেখাও।
শর্বরীর হাতে জ্বরের ওষুধ দিলাম। বললাম, ‘বাড়ি যাও, যেটা বললাম, সেগুলো করো, অন্তত ডিম কিনে আনবে এক ট্রে, সেদ্ধ করে করে দেবে। দেখবে অনেক তাড়াতাড়ি সেরে উঠবে তোমার ছেলে।’
—হি মাস্টার, তাই করবক। ইখন আসি কেনে। হামি দুইদিন রান্না কইরত্যে আসতে লাইরব্য। লছিমন মাসিটাকে বুলে দিয়েছি, গুহিরাম দাদা আর মাসিই সামলে লিবেক।
শর্বরী চলে গেল। ওর কথায় ভাবছিলাম বসে বসে, জীবন ধারণের জন্য কী পরিশ্রমটাই না করতে হয় ওকে। ছেলেটাকে আমি কোনওদিন দেখিনি। শুনলাম আমাদের স্কুলেই পড়েছে। গোরু-ছাগল চরিয়ে বেড়ায়। ঘাস কেটে পশুগুলোর পেটের জোগান দেয়।
....
পরের দিন শনিবার। হাফবেলা স্কুল। স্কুলে আসার পথে একটা হেলথ ডিংকসের কৌটো কিনলাম। শর্বরীর ছেলেটার খবর নেওয়ার জন্য মনটা উশখুশ করছিল। একবার যাওয়া কি ঠিক হবে? অরবিন্দ বাবুকে বললাম, শুনেই উনি পিছিয়ে গেলেন। বললেন, ‘আজ একটু তাড়া আছে সুন্দরবাবু, আপনিই ঘুরে আসুন একবার।’
স্কুল বন্ধ করে লছিমনকে বললাম, ‘শর্বরীর ছেলেটাকে একবার দেখতে যাব। আমাকে নিয়ে চলো তো।’
লছিমন অবাক হয়ে আমার মুখের দিকে তাকাল। কিছু যেন বলতে যাচ্ছিল। 
গ্রামের শেষ মাথায়, যেখানে ঢালু হয়ে নেমে গিয়েছে মাঠগুলো, সেই মাঠের ধারেই শর্বরীর মাটির কুটির। ঘরের আঙিনা জুড়ে বিশাল একটা মহুল গাছ। কী শান্ত আর ছায়াময় জায়গায় বাস! লছিমন দূর থেকে বাড়িটা দেখিয়ে দিয়েই ভেগে পড়ল। আমাকে এই গ্রামের অনেকেই চেনে। সবাই মুখ চাওয়াচাওয়ি করছিল। শর্বরী বাইরের আঁখায় রান্না করছিল, আমাকে দেখে বোধহয় বিশ্বাসও করতে পারেনি। কী আবেগ তার চোখেমুখে, ‘আরে মাস্টার! তু এসেচিছ হামার বেটুয়াকে দিখতে!’ পড়িমরি করে উঠে দাঁড়াল। 
বললাম, ‘ব্যস্ত হইয়ো না। কই তোমার ছেলে?’
শর্বরী আমাকে ঘরে নিয়ে গেল। দেখলাম, একটা মাদুরের ওপর বিছানা করা, তাতে শুয়ে আছে একটি তেরো-চোদ্দো বছরের ছেলে। সারা গায়ে গোল গোল লালচে ফোস্কা। কতক গলেও গিয়েছে।
—ওষুধটা খাওয়াতে জ্বরটা নেমে গেইচে মাস্টার। গা-হাতের যন্ত্রণাটাও টুকুন কমেচে। 
—ডাক্তার ডাকোনি কাউকে?
—ইখানে ডাক্তার কাকে পাব বুল!
শর্বরী একটু বাইরেটা চেয়ে দেখে নিল, তারপর যেন কেউ শুনে না নেয়, সেইভাবে গলা নামিয়ে ফিসফিস করে বলল, ‘হামি লুকাইয়ে ডিম কিনে এনেছি মাস্টার। খাওয়াচ্ছি। রাতে গুহালে ঢুকে দুধও দুইয়েছি। বেটুয়া হামার শরীলে একটু তাকত পেইচে রে। তুর কথাগুলো মেনে চইলছ্যি, যদি তাড়াতাড়ি সেরে যায়, ই গাঁইয়ের যারই মায়ের দয়া দেখা দিক কেনে, মুই তাকে ভালো করবই। হামার বেটুয়াকে যেভাবে সারিন তুলছি, সেই উপদেশটো উয়াদিকেও চুপিচুপি দিবক।’
—হ্যাঁ শর্বরী, তুমি স্কুলে পড়া একজন শিক্ষিত মেয়ে। তোমরাই তো পারো সব অন্ধকারকে দূর করতে।
ব্যাগ থেকে হেলথ ডিংকসের কৌটোটা বের করে দিলাম শর্বরীর হাতে। শর্বরী চোখাচোখি তাকাল। বললাম, ‘জানলাটা বস্তা ঢাকা দিয়ে রেখেছ কেন? ঘরটা অন্ধকার, খুলে দাও ওটা, হাওয়া-বাতাস খেলুক। পিছনে কত সুন্দর জঙ্গল!’
শর্বরী বলল, ‘বেটুয়ার বাপ যেদিন থে চইল্যে গেল, উদিন থিকে হামি এই জানলাটা কুনুদিনের জন্যও খুলিক নাই মাস্টার। জানলাটা খুলা থাকলে পিছনের বনটা দিখা যায়। তুয়ারা দেখিস কত সুন্দর বন, কত গাছপালা! কিন্তুক বনটার দিকে তাকালে হামার কাঁদন আসে রে! জানালার পিছনে যে ডহরটা বনের পানে ঢুকে গেছে, ওই ডহর ধরেই বেটুয়ার বাপ জ্বালানির কাঠপালা, বনের ফলমূল, ছাতু তুলে রোজ বাড়ি ফিরতক। খুব বনচষা মানুষ ছিলক। ওই খালি পথটার পানে তাকালে ইখন বুকটা হু হু করে। সারাটা দিন তাকিয়ে থাকলেও হামার বেটুয়ার বাপটা আর কুনুদিনও ফিরবেক নাই রে মাস্টার। ওই বন থিকেই তো হাতিটা এসে মেরে ছিলক।’
শর্বরীকে সান্ত্বনা দেওয়ার মতো মুখে আর কোনও ভাষা জোগাল না আমার। আঙিনায় নেমে এলাম। পিছু পিছু শর্বরীও বেরিয়ে এল। দু’জনেই চুপচাপ দাঁড়িয়ে থাকলাম। আঁখায় ভাত ফুটছে টগবগ করে। বললাম, ‘যা ঘটে গেছে, তা ভুলে যাও শর্বরী। নতুন করে ভাব, নতুন করে শুরু কর।’
 —তু ইবার যা কেনে মাস্টার, হামার তরকারি পুড়ে যাবেক।
আর কোনও কথা এগোচ্ছিল না, বললাম, ‘আসি তাহলে।’
ফেরার সময় মেয়েটার মনটাকেই খারাপ করে দিলাম। কেন যে বলতে গেলাম ওইসব! নানান ভাবনা ভিড় করছিল মনে। জানলাটা কি আর সত্যিই কোনোদিনও খুলবে না শর্বরী? পারবে না অন্ধকার ঘরটাই আলো ফেরাতে? নাকি চোড়কুর কথা ভেবে ভেবে জীবনের মহামূল্যবান সময়টাকে মহুল ফুলের মতো অকালেই ঝরিয়ে দেবে শর্বরী! 
দূর থেকে পিছন ঘুরে একবার তাকালাম, দেখলাম শর্বরী তখনও মহুলতলায় দাঁড়িয়ে আছে, তবে আর আমার ফেরার পথের দিকে নয়, বনের দিকে চেয়ে। যে বন কেড়ে নিয়েছে শর্বরীর বনচষা মানুষটাকে। 
17th  November, 2024
গুপ্ত রাজধানী: সিরি ফোর্ট
সমৃদ্ধ দত্ত

সাবধানে পা ফেলতে হবে। দেখে তো মনে হচ্ছে মাটি। ঘাস। পাথর। অনায়াসে পা রেখে রেখে এগিয়ে চলা যায়। একটি ধ্বংসস্তূপ থেকে অন্য একটি ধ্বংস চিহ্নে যাওয়ার জন্য যে ব্যাসল্ট পাথরের অমসৃণ টুকরোয় সতর্কভাবে পা রাখতে হয়, সে সতর্কতা নিছক পিছলে পড়ে যাওয়ার জন্য? বিশদ

19th  January, 2025
ডক্টর মিশ্র
নন্দিনী নাগ

সল্টলেকে ঝাঁ-চকচকে চেম্বার, একতলা একটা ফ্ল্যাটের পুরোটা নিয়ে। সাদা পাথরের তিন ধাপ সিঁড়ি ডিঙিয়ে কাঠের জাঁকালো সদর দরজা। সেই দরজা পেরিয়ে ভেতরের হলঘরে সোফার মধ্যে শরীর ছেড়ে দেওয়ার পর মিসেস দত্তের মনে ডাক্তারবাবুর প্রতি বেশ সমীহ জন্মাল। বিশদ

12th  January, 2025
অস্তরাগ
সঞ্জয় রায়

অস্তগামী সূর্যের রক্তিম আভা নদীর জলে গলে গলে যাচ্ছে। বসন্ত বাতাসে চরাচর জুড়ে গোধূলির অদ্ভুত বর্ণচ্ছটায় প্রকৃতি যেন মায়াময়। চিত্রপটে স্যিলুট হয়ে বসে আছে দু’টি নরনারী। জীবনের প্রান্তদেশে পৌঁছে দু’টি মন পরস্পর খুঁজে পেয়েছে তরঙ্গ দৈর্ঘ্যের অদ্ভুত মিল। বিশদ

05th  January, 2025
অতীতের আয়না: সাহেবি বড়দিন ও নিউ ইয়ার
অমিতাভ পুরকায়স্থ

কাজকর্ম শিকেয় তুলে পাঁচ দিন ধরে বাঙালির দুর্গোৎসব পালন যাঁরা বাঁকা চোখে দেখেন, তাঁদের আঠারো শতকের কলকাতা থেকে ঘুরিয়ে আনতে পারলে বেশ হতো। সে সময় শহরের সাহেব-মেমদের বড়দিন উপলক্ষ্যে খানা-পিনা-নাচ-গান ও কেনাকাটার হুল্লোড়ের মরশুম চলত দিন দশেক। বিশদ

05th  January, 2025
গুপ্ত রাজধানী: ইন্ডিয়া গেট
সমৃদ্ধ দত্ত

গরিব ও মধ্যবিত্তদের কাছে সেই আর্থিক শক্তি কোথায়! রবিবার অথবা ছুটির দিন কিংবা ন্যাশনাল হলিডে হলেই কোনও বৃহৎ শপিং মল অথবা মাল্টিপ্লেক্সে যাবে! অনেকক্ষণ মেনুকার্ড দেখার পর শেষ পর্যন্ত বরাবরের মতোই ফ্রায়েড রাইস, চিলি চিকেন অর্ডার করার বিলাসিতাও যাদের থাকে না, তারা যাবে কোথায়? বিশদ

05th  January, 2025
কেউ দেখেনি
প্রদীপ আচার্য

নিরাপদর নিরাপদে থাকার সুখ উবে গেল। গ্রামের নিরিবিলি প্রাকৃতিক পরিবেশে থাকার একটা আলাদা সুখ আছে। সেই সুখের মুখে আজ ঝামা ঘষে দিল একটা জানোয়ার। সবাই সাপের ভয় দেখিয়েছে। বিশদ

29th  December, 2024
গুপ্ত রাজধানী: হোলি ট্রিনিটি চার্চ
সমৃদ্ধ দত্ত

দিল্লি মানেই ইতিহাসের গল্প। এর আনাচকানাচে ছড়িয়ে রয়েছে অসংখ্য ঐতিহাসিক স্থাপত্য। এরমধ্যে বেশ কয়েকটির খোঁজ এখন আর রাখেন না পর্যটকরা। ইতিহাসের সাক্ষ্য হয়ে গোপনেই পড়ে রয়েছে সেইসব স্থাপত্য। তারই খোঁজে গুপ্ত রাজধানী। বিশদ

29th  December, 2024
আজও রহস্য: রেস কোর্সের অশরীরী
সমুদ্র বসু

ভূত মানুন আর না মানুন, ভূত-প্রেত নিয়ে আগ্রহ কিন্তু সবার। আমাদের আশপাশের গ্রাম, শহর, মফস্‌সল থেকে শুরু করে খোদ কলকাতা শহরে এমন অনেক জায়গা রয়েছে, যেখানে ব্যাখ্যার অতীত বিভিন্ন ঘটনা আজও ঘটে। সেই তালিকায় আছে কলকাতা রেস কোর্সেরও নাম। বিশদ

29th  December, 2024
চোর  মিনার

গম্বুজ। সমাধি। শহিদ স্তম্ভ। এসবই তো ইতিহাসের চিহ্ন হিসেবে সর্বত্রই  দেখা যায়।  কখনও মসৃণ বহিরঙ্গ। কখনও চিত্রাঙ্কন। আবার কোনও সময় ভাস্কর্যের নমুনা থাকে বহির্গাত্রে। কিন্তু এই মিনারের স্তম্ভগাত্রে এত গর্ত কেন? মাটি থেকে সোজা উঠে গিয়েছে আকাশের দিকে। বিশদ

22nd  December, 2024
কলকাতা এক পরীর দেশ

আসলে আমরা খেয়াল না করলেও আমাদের চারপাশের হাওয়ায় এখনও দিব্যি নিঃশ্বাস নেয় আঠেরো-উনিশ শতকের কলকাতা। আর সেই পুরনো কলকাতার স্মৃতিকে ধরে রাখার অন্যতম প্রতীক হল— পরী।
  বিশদ

15th  December, 2024
লাল মন্দির

সমৃদ্ধ দত্ত
মুখোমুখি দাঁড়িয়ে লালকেল্লা ও লাল মন্দির। একটি জগৎ বিখ্যাত। অন্যটি স্বল্প খ্যাত। লাল মন্দিরের উচ্চতা তো কম নয়। লালকেল্লার সামনের রাস্তায় দাঁড়িয়ে চাঁদনি চকের দিকে তাকালেই চোখে পড়ার কথা। অথবা সেভাবে পর্যটকদের দৃষ্টিগোচরই হয় না।
বিশদ

15th  December, 2024
ডাক দিয়েছে কোন সকালে
বিজলি চক্রবর্তী

হরি হে তুমি আমার সকল হবে কবে...।’ গলা ছেড়ে গানটা গাইতে গাইতে বিশ্বরূপ রান্নাঘরের দরজায় এসে দাঁড়াল। হাতের কাজ বন্ধ করে নবনীতা বিশ্বরূপের মুখোমুখি হল। বিশ্বরূপ গান বন্ধ করল না। নবনীতার চোখের মুগ্ধতা তাকে উৎসাহিত করে। বিশ্বরূপের গানের ভক্ত নেহাত কম নয়। বিশদ

15th  December, 2024
আদরের পিউ
কৌশানী মিত্র

অনির্বাণের কাল নাইট ছিল। সারারাত দুর্দান্ত পরিশ্রম গিয়েছে। জুনিয়র রেসিডেন্ট হিসেবে এই অদ্ভুত একটা আধা গ্রাম-আধা শহর মতো জায়গাটায় এসে থাকতে শুরু করেছে ও। এখানে আসার পর থেকেই সকাল-দুপুর-রাত কেমন গুলিয়ে যায় অনির্বাণের। বিশদ

08th  December, 2024
প্রতিশোধ
সাবিনা ইয়াসমিন রিঙ্কু

মাত্র ছ’মাসেই যে ফল পেয়ে যাবে ভাবতে পারেনি জয়তী! প্রদীপ্ত কি নিজেও ভাবতে পেরেছিল বাষট্টি থেকে চুরানব্বই হবে! বেশ লম্বা বলে বাইরের লোকরা পার্থক্যটা অতটা ধরতে না পারলেও জয়তী জানে পুরনো প্যান্টগুলো আর কোমর পর্যন্ত উঠতে চাইছে না। বিশদ

01st  December, 2024
একনজরে
আইএসএলে ইস্ট বেঙ্গলের হারের ধারা অব্যাহত। রবিবার অ্যাওয়ে ম্যাচে এফসি গোয়ার কাছে ০-১ গোলে বশ মানল অস্কার ব্রুজোঁর ছেলেরা। সবমিলিয়ে হারের হ্যাটট্রিকে আরও বিপাকে ক্লেটনরা। ...

ধান কেনায় লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে বীরভূম জেলা খাদ্য ও সরবরাহ দপ্তর কোনও ত্রুটি রাখতে চাইছে না। গত বছরের নভেম্বর মাস থেকে এখনও অবধি প্রায় ১লাখ ৬৫হাজার মেট্রিক টন ধান কেনা হয়েছে। ...

বালুরঘাট শহরে জোড়া ব্রিজের কাছে আত্রেয়ী সংলগ্ন খাঁড়ি দখল করে নির্মিত হচ্ছে দোকান। যা নিয়ে সরব হন শহরের মানুষ। সেই খবর ‘বর্তমান’-এ প্রকাশিত হতেই নড়েচড়ে বসল সেচদপ্তর। ...

অবশেষে ঘুম ভাঙল মোদি সরকারের। শম্ভু ও খানাউরি সীমানায় আন্দোলনরত কৃষকদের সঙ্গে আলোচনায় বসার কথা ঘোষণা করেছে কেন্দ্র। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

শেয়ার প্রভৃতি ক্ষেত্র থেকে অর্থাগমের সম্ভাবনা।  সন্তানের কর্ম প্রাপ্তির সুখবর পেতে পারেন। কর্মক্ষেত্রে জটিলতা কিছুটা ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১২৬৫:  ব্রিটিশ পার্লামেন্টের প্রথম অধিবেশন শুরু হয়
১৮১৭: হিন্দু কলেজের (বর্তমান প্রেসিডেন্সি কলেজ) যাত্রা শুরু
১৮৭০:  বেঙ্গল গেজেট প্রথম প্রকাশিত হয়
১৮৭১: শিল্পপতি রতনজি টাটার জন্ম
১৮৯২: আমেরিকার স্প্রিং ফিল্ডে প্রথম বাস্কেটবল খেলা হয়
১৯০৫: দক্ষিণ আফ্রিকার ট্রান্সভালের প্রিমিয়ার খনিতে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় হীরা পাওয়া যায়। যার ওজন ছিল ৩.১০৬ ক্যারেট
১৯৩৪: আলোকচিত্র এবং ইলেকট্রনিকস্ কোম্পানী হিসেবে ফুজিফিল্ম কোম্পানীর যাত্রা শুরু
১৯৭২: নতুন রাজ্য হল অরুণাচল প্রদেশ ও মেঘালয়
১৯৮৪: বিশ্বের সেরা সাঁতারু ও টারজান চরিত্রাভিনেতা জনি ওয়েসমুলারের মৃত্যু
১৯৯৩: মার্কিন অভিনেত্রী অড্রে হেপবার্নের মৃত্যু
১৯৯৫: তাজমহলকে পরিবেশ দূষণের হাত থেকে রক্ষাকল্পে ৮৪ টি শিল্প কারখানা বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়
২০০৯: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৪৪তম এবং প্রথম আফ্রো-আমেরিকান রাষ্ট্রপতি হিসেবে বারাক ওবামার শপথ গ্রহণ
২০২১: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৪৯তম উপ রাষ্ট্রপতি হিসেবে প্রথম নারী ভাইস প্রেসিডেন্ট ভারতীয় বংশোদ্ভূত কমলা হ্যারিস এর শপথ গ্রহণ।



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৫.৭৮ টাকা ৮৭.৫২ টাকা
পাউন্ড ১০৩.৬৮ টাকা ১০৭.৩৮ টাকা
ইউরো ৮৭.৬০ টাকা ৯০.৯৮ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
19th  January, 2025
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৯,৪৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৯,৮৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭৫,৯০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৯০,৮৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৯০,৯৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]
19th  January, 2025

দিন পঞ্জিকা

৬ মাঘ ১৪৩১, সোমবার, ২০ জানুয়ারি ২০২৫। ষষ্ঠী ৯/০, দিবা ৯/৫৯। হস্তা নক্ষত্র ৩৮/১৮ রাত্রি ৮/৩০। সূর্যোদয় ৬/২২/৫৭, সূর্যাস্ত ৫/১২/৩০। অমৃতযোগ দিবা ৭/৪৯ মধ্যে পুনঃ ১০/৪৩ গতে ১২/৫২ মধ্যে। রাত্রি ৬/৫ গতে ৮/৪৩ মধ্যে পুনঃ ১১/২১ গতে ২/৫২ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৩/২ গতে ৪/২৮ মধ্যে। বারবেলা ৭/৪৪ গতে ৯/৫ মধ্যে পুনঃ ২/২৯ গতে ৩/৫০ মধ্যে। কালরাত্রি ১০/৯ গতে ১১/৪৮ মধ্যে। 
৬ মাঘ ১৪৩১, সোমবার, ২০ জানুয়ারি ২০২৫। ষষ্ঠী দিবা ৯/১৭। হস্তা নক্ষত্র ৮/১০। সূর্যোদয় ৬/২৬, সূর্যাস্ত ৫/১১। অমৃতযোগ দিবা ৭/৪৮ মধ্যে ও ১০/৪৪ গতে ১২/৫৭ মধ্যে এবং রাত্রি ৬/১৪ গতে ৮/৪৯ মধ্যে ও ১১/২৫ গতে ২/৫২ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৩/৯ গতে ৪/৩৮ মধ্যে। কালবেলা ৭/৪৭ গতে ৯/৭ মধ্যে ও ২/৩০ গতে ৩/৫১ মধ্যে। কালরাত্রি ১০/৯ গতে ১১/৪৯ মধ্যে। 
১৯ রজব।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আমেরিকার ৪৭তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ গ্রহণ করলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প

11:47:43 PM

পূর্ণকুম্ভে চলছে লেজার লাইট শো, বিনামূল্যেই দর্শন করতে পারছেন পুণ্যার্থীরা

11:24:28 PM

আমেরিকার স্বর্ণযুগ শুরু হল, শপথ নেওয়ার পরেই দাবি ট্রাম্পের

11:21:00 PM

লটারি এজেন্সির দোকান থেকে কয়েক হাজার টাকা ছিনতাই
পিস্তল দেখিয়ে একটি লটারির এজেন্সির দোকান থেকে কয়েক হাজার টাকা ...বিশদ

09:58:00 PM

ডোনাল্ড ট্রাম্পের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে আসতে শুরু করেছেন অতিথিরা

09:37:00 PM

স্ত্রী মেলানিয়াকে সঙ্গে নিয়ে হোয়াইট হাউসে এলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প

09:19:00 PM