Bartaman Patrika
গল্পের পাতা
 

হেড অফিসের বড়বাবু

অঙ্কন মুখোপাধ্যায়: বার দশেক হোঁচট খেয়ে প্রায় পড়ে যেতে যেতে নিজেকে সামলে নিয়ে পার্থ এসে দাঁড়াল অফিসের গেটে। পার্থ বড়ুয়া। জুনিয়র অফিসার। ব্যাচেলর ছেলে, বাবা-মাকে নিয়ে সোদপুরের দিকে থাকে। গার্লফ্রেন্ড আছে, নাম জুয়েল। জুয়েলের এম.কম শেষ হলেই ওদের বিয়ে হবে এমনই কথাবার্তা হয়ে আছে দুই বাড়ি থেকে। পার্থ এই অফিসে সবার জুনিয়র। সবার প্রিয় পাত্রও বটে।
 সোদপুর থেকে অফিস আসতে একঘণ্টা লাগে বাসে। নীচ থেকে এই তিনতলায় সিঁড়ি বেয়ে দৌড়ে দৌড়ে উঠে এসে গলদঘর্ম অবস্থা হয়েছে ওর। অফিসের লিফ্ট বন্ধ হয়ে পড়ে আছে গত পনেরোটা দিন ধরে। উপর মহলে কয়েকটি দরখাস্ত পৌঁছলেও, লিফ্টের সুরাহা হয়নি কোনও। অগত্যা সিঁড়িই ভরসা এখন। 
পার্থ হাতে বাঁধা ঘড়ি দেখল। সর্বনাশ! দশটা! তবু পুরো দশটা বাজেনি। দু’মিনিট বাকি রয়েছে এখনও। দশটা পার হয়ে যাওয়া মানেই একেবারে ক্ষুধার্ত বাঘের সামনে গিয়ে দাঁড়ানো। আর নিস্তার নেই। বাঘের কামড় তখন খেতেই হবে। এই অফিসের বাঘ হলেন নতুন আসা বড়বাবুটি, পশুপতি মজুমদার। ক্ষুধার্ত বাঘ আর পশুপতি মজুমদার যেন ভাই-ভাই। এক মায়ের উদর থেকে যেন দু’জনের জন্ম। বাঘের তর্জন গর্জনে যেমন জঙ্গল কাঁপে, পশুপতি মজুমদারের কারণে কাঁপে গোটা এই অফিস। অফিসের অধস্তন কর্মচারীরা সব সময় ভয়ে কেঁচো হয়ে থাকেন পশুপতি মজুমদারের কারণে।
পশুপতি মজুমদার আসার আগে পর্যন্ত অবশ্য এখানে শান্তি ছিল। কাজের পাশাপাশি ছিল হাসি-মজা, গল্পগাছা। প্রায় দিনই লেগে থাকত খাওয়াদাওয়ার পর্ব। আজ এর জন্মদিন, কাল ওর বিবাহবার্ষিকী। ছুতো একটা পেলেই হল। কিন্তু যবে থেকে এই নতুন বড়বাবুটি বদলি নিয়ে এখানে এসেছেন, তবে থেকে শুরু হয়েছে অনাসৃষ্টিটা। পশুপতি মজুমদার কড়া ধাতের মানুষ। নিজে হাসেন না, আর অপর কাউকে হাসতে দেখলেও সহ্য করতে পারেন না তিনি। উনি নিয়ম করে দিয়েছেন, অফিস আওয়ার্সে কোনও রকম গল্পগাছা, হাসি-ঠাট্টা করা যাবে না। আর খাওয়াদাওয়া নামক অপকর্মগুলো একবারে বন্ধ। অধস্তন কর্মচারী সন্দীপন রায় প্রথম দিন বড়বাবুকে বলতে গিয়েছিলেন, ‘স্যার, একটা কথা ছিল।’ পশুপতি মজুমদার চশমার ভিতর দিয়ে গোল গোল চোখ করে তাকালেন, ‘কী কথা?’ 
গোল গোল চেহারার খাদ্যরসিক সন্দীপন অতি উৎসাহে জানিয়েছিল মনের কথাটা, ‘আপনি নতুন জয়েন করলেন। একটা পার্টি না হলে চলবে বলুন?’ 
‘পার্টি! এটা কি হোটেল নাকি?’
‘না, এই সকলে মিলে একটু আনন্দ...’ কথা শেষ হয়নি তখনও সন্দীপনের, তার আগেই ‘শার্ট আপ’ বলে থামিয়ে দিয়েছিলেন পশুপতি মজুমদার, ‘খেয়ে খেয়ে চেহারার কী অবস্থা করেছেন দেখেছেন একবার। বাড়িতে আয়না নেই?’ 
সন্দীপন ঘাড় নেড়ে সম্মতি জানিয়েছিল। কারণ সবার মতো তার ফ্ল্যাটেও আয়না আছে। বাকি সবাই বুঝেছিল সেই দিন, এবার থেকে তাদের সব কিছুতেই ফুলস্টপ পড়ল।
‘যান, টাইম ওয়েস্ট না করে নিজের নিজের কাজে যান সবাই। বুঝেছেন কি বোঝেননি!’
কেউ আর কথা এগনোর সাহস পাননি। বাধ্য ছেলের মতো বড়বাবুর ঘর ছেড়ে সরে পড়েছিলেন একে একে। মনে মনে গালি দিয়েছিল প্রায় সবাই— হুঁ, পশু তো পশুই। একেবারে পশু। শেষে কি না একটা উজবুক এসে জুটল।
দরজা খুলে লম্বা করিডোর দিয়ে নিজের সেকশনে পৌঁছতে পৌঁছতে দেরি হয়ে গেল শেষ পর্যন্ত পার্থর। যা ভেবেছিলেন তাই, বাঘ বসে আছেন অ্যাটেনডেন্স রেজিস্ট্রার নিয়ে। পার্থ দেওয়ালে টাঙানো শৌখিন ঘড়িটার দিকে তাকিয়ে মিনমিনে গলায় বলল, ‘দু’মিনিট লেট।’
‘লেট শব্দটাই আমি পছন্দ করি না একদম। তোমার এই দু’মিনিট লেটের জন্য কোম্পানির কত বড় ক্ষতি হবে জানো? কোম্পানির প্রতি তোমাদের কারও কোনও দায়বদ্ধতা নেই। যখন ইচ্ছা আসবে, যা ইচ্ছা করবে। কী ভেবেছ কী...’
পশুপতি মজুমদার শুরু করলে থামতে ভুলে যান। উনি নিজেই যে বকে বকে কোম্পানির আরও ক্ষতি করে দিচ্ছেন তা কে বোঝাবে। পার্থ মাথা নিচু করে শুধু বলল, ‘সরি স্যার।’
‘সরি! সরি বললেই হয়ে গেল? কোম্পানির যে এত বড় লস হচ্ছে তোমাদের জন্য। তার কী হবে? কার পকেট থেকে দেওয়া হবে শুনি? কী হল? বুঝেছ না বোঝোনি?’ 
কথার শেষে ‘বুঝেছ না বোঝোনি’ পশুপতি মজুমদারের মুদ্রাদোষ। কিন্তু ওঁর কারণে অতিষ্ঠ অফিসের বাকি সবাই, সেটাই উনি বোঝেন না। পার্থ মাথা নিচু করে বড়বাবু পশুপতি মজুমদারের ঘর থেকে বেরিয়ে আসছিল। আবার পিছন থেকে ডাক দিলেন বড়বাবু, ‘সাইনটা করে যাও। আজকেই লাস্ট। দশটার আগে আসবে। দশটায় আসবে। কিন্তু দশটা এক না হয় যেন।’
পার্থকে আরও একচোট কথা শুনতে হল সাইন করার সময়। জামার ডান হাতার বোতামটা যে কখন ছিঁড়ে গিয়েছিল তা খেয়াল করেনি পার্থ। কিন্তু খেয়াল করেছিলেন বড়বাবু পশুপতি মজুমদার। কথা শোনাতে ছাড়েননি একটুও, ‘এটা অফিস। তোমার পাড়ার রক নয়। যে, যেমন করে হোক চলে আসবে ঘুরতে। বুঝেছ না বোঝোনি...?’
‘বুঝেছি।’
‘যাও এখন আমার চোখের সামনে থেকে।’
মনটা খারাপ হয়ে গিয়েছিল পার্থর সকাল থেকেই। যে কর্মোদ্যমী ছেলেটার মুখে কেউ কখনও দুঃখ দেখেনি, যার কাজের প্রতি দায়বদ্ধতা বাকি সবার থেকে বেশি, যে সবাইকে আনন্দে মাতিয়ে রাখে সবসময়, সে-ই একেবারে নিস্তেজ হয়ে এসে বসল নিজের কম্পিউটার টেবিলের সামনে। ফর্সা মুখটা লাল হয়ে গিয়েছে একেবারে। কান দুটো গরম। জামা ঘামে ভিজে গিয়েছে। মুখে কিছু না বলতে পারলেও মনে মনে যে খুব ফুঁসছে ছেলেটা তা বুঝতে পেরেই এগিয়ে এলেন সিনিয়র অফিসার যোগেনবাবু। পার্থর কাঁধে স্নেহের হাত রাখলেন, ‘ওর কথায় মনখারাপ কর না ভায়া। ওটা কি মানুষ। নামেও পশু, কাজেও তাই। দেখনি, আমাদের কারওকে ছাড়ে না। যা নয়, তাই বলে।’
পাশের টেবিল থেকে সন্দীপনদা ফুট কাটলেন, ‘দেখনি পার্টি দেওয়ার কথা বলতে যাওয়ায় আমাকে কেমন বলেছিল সেদিন পশুটা।’
এইসময় আবার পশুপতি মজুমদার হাজির। ‘কী ব্যাপার কাজকর্ম বন্ধ করে কী গল্প শুরু হয়েছে এখানে? যোগেনবাবু...’
‘হ্যাঁ স্যার।’ 
‘উইকলি আপডেট রেডি আছে?’
‘হুম, মানে, ইয়ে...’
‘রেডি করে এক্ষুনি আমার রুমে আসুন।’
‘হ্যাঁ স্যার, হ্যাঁ স্যার। আপনি যান, আমি এক্ষুনি পুরোটা রেডি করে নিয়ে আসছি।’
সন্দীপন, পার্থ সহ বাকি সবার দিকে কড়া চোখে তাকিয়ে নিজের ঘরে চলে গেলেন পশুপতি মজুমদার। 
‘আজ কপালে দুঃখ আছে...’ বলে পার্থকে ছেড়ে যোগেনবাবু চলে গেলেন নিজের টেবিলের দিকে। 

দুই
‘কী রে এত দেরি করলি যে?’ সন্ধেবেলা পার্থ ক্লাবে আসতেই  রবিন বলল। 
‘আর বলিস না অফিসে নতুন বড়বাবু এসেছেন। খিটকেলে পিস একেবারে। সারাক্ষণ মাথা খারাপ করে রেখেছেন। অফিস ছুটির পর বেরতে বেরতে আরও আধ ঘণ্টা লাগিয়ে দিচ্ছেন। ছাড় তো বাদ দে ওইসব ফালতু কথা। চল বাকি চাঁদা ক’টা তুলে আনি। হাতে একদম সময় নেই আর।’
‘হ্যাঁ চল...’ 
পুজোর প্যান্ডেল বানানো শুরু হয়েছে। বেদির উপর মায়ের কাঠামোতে মাটি পড়েছে। মৃন্ময়ী থেকে চিন্ময়ী হয়ে উঠছেন মা ধীরে ধীরে। মা আসতে বেশি দেরি নেই আর। তাই চাঁদা তুলতে বেরিয়েছে পাড়ার ছেলেরা। তাদের মাথা হয়ে আছে পার্থ নিজে। ঘুরতে ঘুরতে পাড়ার শেষ বাড়িটায় এসে কলিং বেল বাজাল পার্থদের দলের একজন। সন্তুদাদুর বাড়ি। নীচের তলায় দাদু আর দিদা থাকেন। উপর তলায় ভাড়া এসেছে নতুন। সন্তুদাদুর থেকে চাঁদা নিয়ে উপরে এসেছে পার্থরা। কিছুক্ষণ পর দরজা খুলে বেরিয়ে এলেন একজন নাইটি পরিহিতা মহিলা। মহিলাটির চেহারা একটু ভারীর দিকেই।
‘কী চাই?’
‘দুর্গাপুজোর চাঁদা।’
‘এ পাড়ার ছেলে বুঝি তোমরা?’
‘হ্যাঁ মাসিমা।’ 
‘ভেতরে এসো। প্রথম এলে বাড়িতে, তার উপর পুজোর সময়। ভেতরে এসো। একটু পরিচয় করে রাখি। কখন আপদে-বিপদে লাগে!’ 
দেখে খানিক জাঁদরেল মনে হলেও মহিলাটি বড় মিশুকে বোঝা যাচ্ছে। পরিপাটি করা সোফায় বসিয়ে গল্প শুরু হয়েছে, ‘আমরা এ পাড়ায় নতুন। আগে ছিলাম ধানবাদে। কর্তা বদলি হলেন এখানে। এই দেখ শুকনো মুখে বসিয়ে রেখেছি তোমাদের। চা খাবে তো তোমরা?’
‘কেন নয়!’ ভোম্বল যেন এর অপেক্ষাতেই ছিল এতক্ষণ। মুখ থেকে কথাটা পড়তেই, ক্যাচ লুফে নিল পুরো। মহিলাটি তারপর ভিতরের দিকে কাকে যেন উদ্দেশ করে বলেন, ‘কই গো শুনছ... পাঁচ কাপ চা দিয়ে যাও তো এখানে।’ গলায় একটু তেজ ফুটে উঠল যেন। এর কিছুক্ষণের মধ্যেই চা এল। আর পাঁচ কাপ চা ট্রেতে সাজিয়ে যিনি আনলেন তাকে দেখে পার্থর পৃথিবী যেন থমকে গেল কয়েক মুহূর্তের জন্য! পার্থ গোল গোল চোখে তাকিয়ে আছে। বিস্ময়কর দৃশ্য! পরনে লুঙ্গি, গায়ে স্যান্ডো গেঞ্জি হাতে চায়ের ট্রে নিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন ওর অফিসের বড়বাবু পশুপতি মজুমদার! পার্থকে এখানে দেখে ওঁর পৃথিবীও বোধহয় কক্ষপথ হারিয়েছে ততক্ষণে। 
‘হল কী তোমার... চায়ের ট্রে নিয়ে অমন হাঁদার মতো দাঁড়িয়ে রইলে যে! চা-গুলো টেবিলে নামিয়ে রেখে যাও রাতের রান্নাটা কর তাড়াতাড়ি।’ ঝাঁঝ আছে মহিলার গলায়। কাচুমাচু মুখ করে চলে যাচ্ছিলেন পশুপতি মজুমদার। ঘাড় ঘুরিয়ে মহিলাটি ডাকলেন আবার স্বামীকে, ‘ওহ বলতে ভুলেই গেছি...’ ভুলে যাওয়া কোনও কথা হঠাৎ মনে পড়ল যেন মহিলাটির এই কুস্থলেই, ‘মিনু আবার কাল আসবে না বলে গেছে। আমি কিন্তু রাতের এঁটো বাসন মাজতে পারব না। ও তুমি বুঝে নিও বরং...’ 
তারপর পার্থদের দিকে মুখ ঘুরিয়ে মহিলাটি হাসি হাসি ভঙ্গিতে বললেন, ‘এই দেখ, তোমরা বসে আছ কেন। চা খাও।’ 
প্রথমে ট্রে থেকে একটা কাপ তুলে নিলেন মহিলাটি। তারপর পার্থরা নিজের নিজের কাপ তুলে চায়ে 
চুমুক দিল। 

তিন
দশটা বাজার আগেই পার্থ বসে গিয়েছে নিজের কম্পিউটারে। আজ মন বড় ফুরফুরে। আসার সময় একবার উঁকি দিয়ে এসেছে বড়বাবুর কাচের দরজায়। ঘরের ভিতরে রিভলভিং চেয়ার তখনও খালি পড়ে ছিল। ঠিক দশটা বাজার এক-দু’মিনিট আগেই পশুপতি মজুমদার আসেন। আজ লেট হচ্ছে ওঁর। আরও দশ মিনিট পর পিওন ছেলেটি এসে খবর দিল, ‘বড়বাবু এসেছেন। সবাইকে একবার যেতে বলেছেন ওঁর রুমে।’ 
যোগেনবাবু, সন্দীপন সহ বাকি সবাই নিত্যদিনের মতো দুরু দুরু বুকে হাজির হল বড়বাবুর ঘরে। বড়বাবু পশুপতি মজুমদার গম্ভীর মুখে তাকিয়ে আছেন সবার দিকে। এসির বাতাসেও বিন্দু বিন্দু ঘাম জমেছে যোগেনবাবুদের কপালে। 
‘পার্থ কোথায়?’
সেই সময় কাচে দরজা ঠেলে ভেতরে ঢুকে এল পার্থ। দু’জনের মধ্যে চোখাচোখি হতেই দু’জনেরই মনে পড়ে গেল গত রাতের কাকতালীয় ঘটনাটা। জাঁদরেল স্ত্রীর পিছনে ভীত সন্ত্রস্ত পশুপতিবাবু দাঁড়িয়ে আছেন হাতে চায়ের ট্রে নিয়ে। পরনে লুঙ্গি আর স্যান্ডো গেঞ্জি। কে বলবে, এই পশু আর ওই পশু এক ব্যক্তি!
পশুপতি মজুমদার গলা ঝেড়ে বললেন, ‘ভাবছি ডিউ থাকা পার্টিটা পরশু দিন দিয়ে দেব। সন্দীপন মেনু ঠিক কর।’ 
আশ্চর্য এই কথায় মুখ চাওয়াচাওয়ি করতে লাগলেন বাকি সবাই। শুধু পার্থ দাঁড়িয়ে রইল সবার পেছনে চুপ করে। 
‘কী? বুঝেছেন না বোঝেননি?’ 
বাকি সবাইকে পশুপতি মজুমদার বেরিয়ে যেতে বললেন শুধু পার্থ ছাড়া। সবাই চলে গেলে পশুপতি মজুমদার গত রাতের মতো কাচুমাচু মুখ করে বললে, ‘বস না। দুটো কথা বলি। আমরা তো এখন এক পাড়ার বাসিন্দা। প্রতিবেশী। তাই না? বস।’
পার্থ বসল। পশুপতি মজুমদার খপ করে পার্থর হাত দুটো ধরে বললেন, ‘কাউকে কিছু বল না ভায়া। কথাটা যেন চাপা থাকে। প্লিজ।’ 
দরজা খুলে বেরিয়ে আসার সময় পার্থ একবার দাঁড়াল। একগাল হেসে শুধু বলল, ‘স্যার, মাসিমা কিন্তু বড় ভালো মানুষ। হাজার টাকা চাঁদা দিয়েছেন। আর আপনার হাতের চা-টাও বেশ ভালো ছিল।’’
‘বুঝেছ তাহলে।’ করুণ মুখে তাকিয়ে আছেন বড়বাবু।
বাইরে বের হতেই সবাই ঘিরে ধরলেন পার্থকে, ‘কী হল? কী বলল বাঘটা?’
‘বাঘের মাসি কেন বেড়াল সেটাই বোঝাচ্ছিলেন।’
‘মানে...?’
‘ওই মানেটাই তো বোঝাচ্ছিলেন। বড় জটিল কেস!’
11th  August, 2024
নিভাননী দেবী
ঝিমলি নন্দী

হারাধন দাসের বাড়িটা পিছাবনি গ্রামের দক্ষিণদিকের শেষ প্রান্তে জোড়া পুকুরের ধারে। বাড়িটা পাকা বটে তবে না ছিরি না ছাঁদ। যখন যেমন ঘর দরকার হয়েছে,  তেমন করেই বাড়ানো। ভেতর দিকের উঠোনে একটা ঘরে আবার সিমেন্টের খুঁটির ওপর টালির চাল। বিশদ

গুপ্ত রাজধানী: দিওয়ান-ই-খাস
সমৃদ্ধ দত্ত

নভরোজ এগিয়ে আসছে। দিওয়ান-ই-আম, দিওয়ান-ই-খাস, রংমহল, খাস মহল, মোতি মহল জেগে উঠছে ক্রমেই। রং করা হচ্ছে দেওয়াল। পাঁচিল।  সামনেই বয়ে যাওয়া যমুনার প্রতিটি নৌকাকেও রং করেছে তাদের মালিকরা। বিশদ

অতীতের আয়না: সামাজিকতায় ভিজিটিং কার্ড
অমিতাভ পুরকায়স্থ 

কার্ডটা কীরকম হয়েছে দেখ তো।’ ফেলুদা ওর মানিব্যাগের ভিতর থেকে সড়াৎ করে একটা ভিজিটিং কার্ড বের করে আমাকে দেখতে দিল। দেখি তাতে ছাপার অক্ষরে লেখা রয়েছে Prodosh C. Mitter, Private Investigator। বিশদ

রাত্রিটা ভালো নয়

এটাই শেষ ট্রেন ছিল। স্টেশন থেকে বাইরে বেরিয়ে পথিক দেখল, চারদিকটা খুব ফাঁকা লাগছে। শীতকাল বলেই কী? নইলে এত তাড়াতাড়ি তো রাস্তাঘাট এমন শুনশান হয় না। তার পক্ষে অবশ্য এটা ভালোই। ভিড় থাকলে রিকশ পাওয়া দুষ্কর। আবার বেশি ফাঁকা হলেও রিকশওয়ালাগুলো সব পিটটান দেয়।
বিশদ

15th  September, 2024
ফেরা
ছন্দা বিশ্বাস 

সোপান সিগারেটে লম্বা টান দিয়ে বলল, ‘তাহলে কী ঠিক করলি?’ পরমের হাতে সিগারেটটা অসহায়ভাবে পুড়ছিল। ওরা ফ্রাঙ্কফুর্ট স্টেশনে ঢোকার মুখে বাঁ-পাশে একটা স্মোকিং জোনে দাঁড়িয়ে কথা বলছিল। কয়েকজন জার্মান যুবতী দ্রুত সিগারেট নিঃশেষ করে ভিতরে ঢুকে গেল।  বিশদ

08th  September, 2024
গগনবাবু ও প্যাংলা তাপস
রম্যাণী গোস্বামী

গগনবাবু একটি মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানির মোটামুটি উপরতলার কর্মী। যাদবপুরে নিজেদের ফ্ল্যাট। মাস গেলে ইএমআই বাদ দিলে মাঝারি ব্যাঙ্ক ব্যালেন্স, কয়েকটা মিউচুয়াল ফান্ড, হৃষ্টপুষ্ট গিন্নি, ফ্যাশানেবল কলেজ পড়ুয়া কন্যা এবং একটি মাহিন্দ্রা কেইউভি— এই হল মোটামুটি তাঁর সম্পত্তির খতিয়ান। বিশদ

01st  September, 2024
গুপ্ত রাজধানী: হনুমান মহারাজজি
সমৃদ্ধ দত্ত

 

সেই গল্পটা তো আমাদের সকলেরই জানা। মহাশক্তিশালী ভীম হস্তিনাপুর যাওয়ার পথে একটি জঙ্গল পেরচ্ছিলেন। তাঁর শরীরে তো একশো হাতির শক্তি। সেকথা সর্বজনবিদিত। দ্বিতীয় পাণ্ডব নিজেও সেকথা জানেন। সোজা কথায় তাঁর নিজের বাহুবল নিয়ে যে গর্ব ছিল একথাও অবগত আমরা।  বিশদ

01st  September, 2024
ছেলের সঙ্গে দেখা
সন্দীপন বিশ্বাস

বুকটা ছ্যাঁৎ করে উঠল সুভদ্রার। ঝাপানডাঙা স্টেশনে সে বসে আছে। এখানে এসেছিল এক গুরুবোনের বাড়ি। ফিরে যাচ্ছে উত্তরপাড়ায়, নিজের ঘরে। সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসছে। এখনও কয়েকটা কাক ডাকছে। কেমন ক্লান্ত স্বর ওদের। স্টেশনের শেডের ওপর বসে কাকগুলো। বিশদ

25th  August, 2024
ঘাটশিলার বীরেশ
রাজেশ কুমার

ব্যাগ বোঁচকা আর এক কিলো পুঁটিমাছ নিয়ে সকাল সকাল পড়লাম এক অশান্তিতে। হয়েছেটা কী, দু’দিনের জন্য ঘুরতে এসেছিলাম ঘাটশিলা। ঠিক ঘুরতে না বলে শনির দশা কাটাতেই বলা ভালো। অনেক দিন বেড়াতে যাব, বেড়াতে যাব ভাবলেও যাওয়া হচ্ছিল না কোথাও। কিছু না কিছু বিপত্তি এসে হাজির হচ্ছিল ঠিক। বিশদ

18th  August, 2024
অভিশপ্ত কুলধারা

অলৌকিক তকমা স্থান-নামের সঙ্গে আলাদা মাত্রা যোগ করে। অলৌকিক ব্যাপার নিয়ে বিশ্বাসী অবিশ্বাসী দু’পক্ষেরই নিজস্ব দাবিদাওয়া আর মতামত অন্তহীন।
  বিশদ

11th  August, 2024
দিল্লি দরবার
সমৃদ্ধ দত্ত

এমন কিছু নতুনত্ব নয়। এরকম দরবার এবং উৎসব আগেও হয়েছে। একবার সেই ১৮৭৭ সালে। ভারতের শাসনভার নিজের হাতে তুলে নেওয়ার বেশ কয়েক বছর পর মহারানি ভিক্টোরিয়ার ‘বিশেষ অভিষেক’ উৎসবের আয়োজন করা হয়েছিল।
বিশদ

11th  August, 2024
ছোট গল্প: মাগুরমারি সাঁকো
সৌমিত্র চৌধুরী

বাঁকের মুখে স্টিয়ারিং ডান দিকে ঘুরাতেই চোখে পড়ল। একটা সাঁকো। মনে হচ্ছে বেশ পুরনো। দূর থেকে ব্রেকে আলতো করে পা ছোঁয়াল বিপুল। চাকা গড়িয়ে গড়িয়ে কিছুদূর এগল। পুলের কাছে আসতেই ব্রেকে আরও একটু চাপ দিয়ে থামিয়ে দিল। কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়ল বিপুলের। বিশদ

04th  August, 2024
গুপ্ত রাজধানী: লালকেল্লা
সমৃদ্ধ দত্ত

জায়গাটা অনেকটাই কম। যেভাবে সাম্রাজ্য ছড়াচ্ছে আর হিন্দুস্তানের বাইরে থেকে আরও দলে দলে সমস্ত স্তরের মানুষ ভাগ্যান্বেষণে ক্রমাগত এসেই চলেছে, এরপর তো রাজধানীটাই ঩ঘিঞ্জি হয়ে যাবে। আরও বেশি খোলামেলা জায়গা দরকার। কোথায় নিয়ে যাওয়া যায় রাজধানী? বিশদ

04th  August, 2024
অতীতের আয়না: সাহেবদের হুঁকো বিলাস
অমিতাভ পুরকায়স্থ

মহিলা দিন কয়েক হয়েছে বিলেত থেকে এসেছেন এদেশে। এদেশীয় এক বিদুষী মেমসাহেবের সঙ্গে মহিলার বন্ধুত্ব হয়েছে। তার মতো খাঁটি ইংলিশ নন, তবে যথেষ্ট ঘনিষ্ঠতা হওয়ায় বান্ধবীর সঙ্গে দেখা করার জন্য তার বাড়িতে এসে দেখেন শ্রীমতী হেয়ার-ড্রেসারের তত্ত্বাবধানে কবরী সজ্জায় ব্যস্ত। বিশদ

04th  August, 2024
একনজরে
গত ১৭ সেপ্টেম্বর ছিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির জন্মদিন। সেই উপলক্ষ্যে উত্তরপ্রদেশের মোরাদাবাদে রক্তদান শিবিরের আয়োজন করেছিল গেরুয়া শিবির। স্থানীয় বিজেপি অফিসে রক্তদান শিবিরে গিয়ে চরম কটাক্ষের শিকার হলেন মোরাদাবাদের মেয়র বিনোদ আগরওয়াল। ...

বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটারদের তথ্য সংগ্রহের কাজ ২০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে শেষ করার সময়সীমা দেওয়া হয়েছিল বুথ লেভেল অফিসারদের (বিএলও)। কিন্তু সময়সীমা শেষ হলেও দেখা যাচ্ছে, এখনও একাধিক জেলায় সেই কাজ অনেকটা বাকি। ...

শুক্রবার রাতে কুলটি থানার চিনাকুড়িতে ফের শ্যুটআউটের ঘটনা ঘটল। প্রাক্তন বিধায়ক উজ্জ্বল চট্টোপাধ্যায়ের বাড়ির সামনে স্থানীয় বাসিন্দা কৃষ্ণা নুনিয়াকে লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি গুলি চালায় দুষ্কৃতীরা। জানা গিয়েছে, দু’টি বাইকে চারজন এসে তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। ...

আর জি কর কাণ্ডে ৪১ দিনের কর্মবিরতি আংশিক প্রত্যাহার করেছেন জুনিয়ার ডাক্তাররা। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁদের দাবি মেনে কলকাতার নগরপাল সহ পুলিস ও স্বাস্থ্য প্রশাসনের একাধিক কর্তাকে অপসারিত করেছেন। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

অতিরিক্ত কর্মের চাপ গ্রহণ করে বেকায়দায় পড়তে পারেন। নতুন কর্মলাভের সম্ভাবনা। আয় বাড়বে। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব গাড়িমুক্ত দিবস
বিশ্ব গণ্ডার দিবস


১৪৯৯: বাসেল চুক্তির অধীনে সুইজারল্যান্ড একটি স্বাধীন রাজ্য হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করে
১৫৩৯: পাঞ্জাবের শহর কর্তারপুরে প্রয়াত গুরু নানক
১৫৯৯: লন্ডনে ফাউন্ডার্স হলে ২৪ জন ব্যবসায়ী ভারতে ব্যবসা করার সিদ্ধান্ত নেন, এভাবেই ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি গড়ে উঠে
১৭৩৫: ব্রিটেনের প্রথম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ১০ ডাউনিং স্ট্রিটে বসবাস শুরু করেন রবার্ট ওয়ালপোল
১৭৯১: ইংরেজ রসায়নবিদ এবং পদার্থবিজ্ঞানী মাইকেল ফ্যারাডের জন্ম
১৮৬২: আব্রাহাম লিঙ্কন ক্রীতদাসদের মুক্তির আদেশ সংক্রান্ত ঘোষণায় স্বাক্ষর করেন
১৮৮৮: ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক ম্যাগাজিন প্রথম প্রকাশিত
১৯১৫:  নদিয়া পৌরসভার নামকরণ বদল করে করা হয় নবদ্বীপ পৌরসভা
১৯৩৯: প্রথম এভারেস্ট জয়ী মহিলা জুনকো তাবেইয়ের জন্ম
১৯৬২:  নিউজিল্যাণ্ডের প্রাক্তন ক্রিকেটার তথা ধারাভাষ্যকার মার্টিন ক্রোর জন্ম
১৯৬৫: শেষ হল ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ। রাষ্ট্রসংঘের আহ্বানে সাড়া দিয়ে দু’দেশ যুদ্ধ বিরতি ঘোষণা করল
১৯৭০: লেখক শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়ের মৃত্যু
১৯৭৬: শ্রীলঙ্কান প্রাক্তন ক্রিকেট তারকা থিলান সামারাবীরার জন্ম
১৯৮০: ইরান আক্রমণ করল ইরাক
১৯৮৩: বিপ্লবী তথা সুভাষচন্দ্রের ঘনিষ্ঠ অনুগামী জ্যোতিষচন্দ্র জোয়ারদারের মৃত্যু
১৯৮৪:ব্রাজিলীয় ফুটবলার থিয়াগো সিলভার জন্ম
১৯৯১: মারাঠি ও হিন্দি চলচ্চিত্রের কিংবদন্তি অভিনেত্রী পদ্মশ্রী দুর্গা খোটের মৃত্যু
১৯৯২: ভারতীয় চলচ্চিত্র পরিচালক ও রাজশ্রী প্রোডাকশনের প্রতিষ্ঠাতা তারাচাঁদ বারজাতিয়ার মৃত্যু
১৯৯৫: নাগারকোভিল স্কুলে বোমা ফেলল শ্রীলঙ্কার বায়ুসেনা, মৃত্যু হয় ৩৪টি শিশুর, যাদের মধ্যে বেশিরভাগই তামিল
২০১১: ক্রিকেটার মনসুর আলি খান পতৌদির মৃত্যু
২০১১: অভিনেতা বিভু ভট্টাচার্যের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮২.৬৮ টাকা ৮৪.৪২ টাকা
পাউন্ড ১০৯.৫৩ টাকা ১১৩.১১ টাকা
ইউরো ৯১.৭৫ টাকা ৯৪.৯৫ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
21st  September, 2024
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৪,১০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৪,৫০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭০,৮০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৯,০০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৯,১০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]
21st  September, 2024

দিন পঞ্জিকা

৬ আশ্বিন, ১৪৩১, রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২৪। পঞ্চমী ২৫/৩৮ দিবা ৩/৪৪। কৃত্তিকা নক্ষত্র ৫৩/৫৫ রাত্রি ১১/৩। সূর্যোদয় ৫/২৮/৫৪, সূর্যাস্ত ৫/২৯/৫৪। অমৃতযোগ প্রাতঃ ৬/১৬ গতে ৮/৪১ মধ্যে পুনঃ ১১/৫৪ গতে ৩/৫ মধ্যে। রাত্রি ৭/৫২ গতে ৯/২৯ মধ্যে পুনঃ ১১/৫৩ গতে ১/২৯ মধ্যে পুনঃ ২/১৭ গতে উদয়াবধি। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৩/৫৩ গতে ৪/৪১ মধ্যে। বারবেলা ৯/৫৯ গতে ১/০ মধ্যে। কালরাত্রি ১২/৫৯ গতে ২/২৯ মধ্যে। 
৫ আশ্বিন, ১৪৩১, রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২৪। পঞ্চমী রাত্রি ৯/১৩। ভরণী নক্ষত্র দিবা ৬/৩২ পরে কৃত্তিকা নক্ষত্র শেষরাত্রি ৫/১৮। সূর্যোদয় ৫/২৮, সূর্যাস্ত ৫/৩২। অমৃতযোগ দিবা ৬/২৩ গতে ৮/৪১ মধ্যে ও ১১/৪৫ গতে ২/৫০ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৩৮ গতে ৯/১৮ মধ্যে ও ১১/৫৭ গতে ১/২৭ মধ্যে ও ২/১৭ গতে ৫/২৯ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৩/৩৬ গতে ৪/২২ মধ্যে। বারবেলা ১০/০ গতে ১/১ মধ্যে। কালরাত্রি ১/০ গতে ২/২৯ মধ্যে। 
১৮ রবিয়ল আউয়ল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
শ্রীলঙ্কা প্রেসিডেন্ট নির্বাচন: জয়ী এনপিপি নেতা অনুরা কুমারা দেশনায়েক

10:27:43 PM

কেশিয়াড়িতে পুজো কমিটির হাতে তুলে দেওয়া হল অনুদান
পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশিয়াড়িতে পুজো কমিটিগুলির হাতে তুলে দেওয়া হল দুর্গাপুজোর ...বিশদ

09:56:00 PM

আইএসএল: ইস্ট বেঙ্গলকে ১-২ গোলে হারাল কেরল

09:32:00 PM

আইএসএল: ইস্ট বেঙ্গল ১-কেরল ১ (৬৩ মিনিট)

08:53:00 PM

আইএসএল: ইস্ট বেঙ্গল ১-কেরল ০ (৬০ মিনিট)

08:50:00 PM

আইএসএল: ইস্ট বেঙ্গল ০-কেরল ০ (৫৩ মিনিট)

08:43:00 PM