Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

চিকিৎসা ব্যবসাতেও স্বচ্ছতার দাবি মানুষের
সন্দীপন বিশ্বাস

বর্ধমান, নদীয়া, মুর্শিদাবাদ বা বীরভূমের ঢাকিপাড়ায় ইতিমধ্যে বোধন হয়ে গিয়েছে। বসন্ত, রসিক কিংবা শ্যামাপদর ঢাকের আওয়াজ ছড়িয়ে পড়ছে গ্রামের বুকে। আর দিনকয়েক পরেই কাঁধে ঢাক নিয়ে ওঁরা বেরিয়ে পড়বেন বিভিন্ন মণ্ডপে। ইতিমধ্যেই ছাউনি পরিয়ে ঢাক বাঁধা হয়ে গিয়েছে। এখন সকাল বিকেল চলছে তারই মহড়া। সেই মিষ্টি সুরই যেন বাতাসে ছড়িয়ে পড়ছে আগমনি গান হয়ে। 
নদীয়া, বাঁকুড়া, মুর্শিদাবাদের খাল বিল থেকে সনৎ, আবদুল, কাদের সহ অনেকেই ইতিমধ্যেই পদ্মফুল সংগ্রহ করেছেন।  মহাজনরা সেগুলি কিনে পাঠিয়ে দিয়েছেন হিমঘরে। আসন্ন দুর্গাপুজোয় সেগুলি বিক্রি হবে। ১০৮টা পদ্ম ছাড়া অষ্টমীর সন্ধিপুজো হতে পারে নাকি! 
জোর ব্যস্ততা বিভিন্ন জেলার তাঁতিপাড়ায়। শিল্পীর হাতের বুননে ফুটে উঠছে নানা নকশা। কলকা, চাঁদমালা, রাজমহল, রতনচোখ ইত্যাদি। নানা ডিজাইনের শাড়ি বুনে তাড়াতাড়ি সেগুলি বাজারে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে। ধীরে ধীরে জমে উঠছে পুজোর বাজার। বিভিন্ন কাপড়ের বাজারে ভিড় বাড়ছে। তাগাদা দিচ্ছেন মহাজন, পাইকাররা। 
শাঁখারিরাও ব্যস্ত নতুন ডিজাইনের শাঁখা বানাতে। পুজোর সময় এয়োতিরা নতুন শাঁখা পরে মাকে বরণ করেন, সিঁদুর খেলেন। এসব পুজোর সময় আমাদের বঙ্গজীবনের অঙ্গ। 
বলার অপেক্ষা রাখে না যে, এই মুহূর্তে চরম ব্যস্ততা কুমোরপাড়ায়। ব্যস্ত শোলাশিল্পীরা। প্রতিমার গয়না বা চালচিত্র নির্মাণের কাজে তাঁদের এখন দম ফেলার সময় নেই। থিমশিল্পীরা তাঁদের শিল্পকর্ম সময়ে শেষ করার জন্য রাতদিন এক করে কাজ করছেন।   
ব্যস্ততা চলচ্চিত্র শিল্পেও। ছবির নির্মাণ কাজ শেষ। পুজোয় যে ছবি মুক্তি পাবে, তার প্রচারে নেমে পড়েছেন শিল্পী ও পরিচালকরা। সেটাই স্বাভাবিক। কিন্তু এবার আর জি কর কাণ্ডকে কেন্দ্র করে পুজোর বাজার কিছুটা অন্যখাতে বইছে। একদল বলছেন, তিলোত্তমা-আবহে আমরা উৎসব চাই না। অন্যদল বলছেন, অবশ্যই তিলোত্তমা কাণ্ডের বিচার চাই, তবে উৎসব বন্ধ করতে হবে কেন? এই নিয়ে নানা দ্বিচারিতাও দেখা যাচ্ছে। যেসব অভিনেত্রী ও পরিচালক আন্দোলনে নেমে উৎসবের বিরোধিতা করেছেন, তাঁদেরই কেউ কেউ আবার নিজেদের ছবির প্রচার করে বলছেন, ‘পুজোয় আমার ছবিটা রিলিজ করছে, দয়া করে আপনারা দেখুন।’ 
এই মুহূর্তে দ্বন্দ্বটা সেখানেই। টু বি অর নট টু বি। নানা মুনির নানা মত শোনা যাচ্ছে। এখন স্মার্ট ফোনের দৌলতে সবাই বিচারক, ভিআইপি, মাতব্বর। বিভিন্ন পক্ষ একে অপরকে তেড়ে গালাগাল করছে। সোশ্যাল মিডিয়াকে একটা ক্লাস নরক করে তুলেছে। অথবা বলা যায় ফুল বিনোদন, ফ্রি মস্তি।  
কিন্তু দ্বন্দ্বমূলক বস্তুবাদটা যে রয়েই গেল! কোথায় দ্বন্দ্ব? যেমন ধরুন, অনেকেই বলছিলেন, তিলোত্তমার আগে বিচার হোক, তারপর উৎসব। অত্যন্ত যুক্তিসঙ্গত আর্জি। যত দ্রুত সম্ভব সিবিআই অপরাধীদের খুঁজে বের করে তদন্ত শেষ করুক। কিন্তু কেউই বলছেন না, আগে তিলোত্তমার বিচার হোক, তারপর বিরিয়ানি খাব, এখন রেস্তরাঁ বন্ধ থাক। কেউ বলছেন না, তিলোত্তমার বিচার না হওয়া পর্যন্ত মদের দোকান, গাঁজার দোকান, হেরোইনের গোপন ব্যবসা, সিগারেটের দোকান বন্ধ থাক। কেউ বলছেন না, এই যে ভাই, ‘এখন প্রতিবাদের সময়, ওইসব নাটক, সিনেমার বিনোদন বন্ধ হোক।’ আমরা দেখেছি বহু নামী শিল্পীর ফাংশান বন্ধ হয়ে গিয়েছে। অনেকেই সহমর্মিতা দেখিয়ে অনুষ্ঠান বাতিল করেছেন। বাকিদেরও কিন্তু দ্বিচারিতার পথ থেকে সরে আসা দরকার। কেউ যদি সিনেমা দেখতে বা থিয়েটার দেখতে হলে যান। সেই প্রেক্ষাগৃহকে করে তুলুন প্রতিবাদের মঞ্চ। প্রেক্ষাগৃহে আওয়াজ তুলুন। ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস।’ মুখ্যমন্ত্রীর আলোচনার সদিচ্ছাকে যেমন খুদে ডাক্তাররা বার দুয়েক আড়কাঠিদের হাতে তামাক খেয়ে ভেস্তে দিয়েছেন, তেমনই এখন বন্ধ থাক এই সব বিনোদন চর্চা। বলুন, ‘চোপ এখন প্রতিবাদ চলছে!’    
আর এই প্রতিবাদের মধ্যে হাসপাতালের দরজায় একটু চিকিৎসার জন্য হত্যে দিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়ছেন সাধারণ মানুষ। প্রতিবাদের ধামাকায়, জাস্টিস কার্নিভালে চাপা পড়ে যাচ্ছে প্রিয়জন হারানোর কান্না। সবাই যে চিকিৎসাহীন তা নয়, কিন্তু যাঁরা ডিউটি করছেন, তাঁদের পক্ষে এত রোগী সামলানো সম্ভব নয়। অথচ এই সাধারণ রোগীদেরই করের টাকায় সস্তায় ডাক্তারি পড়া যায়। আবার পরে ডাক্তার হয়ে এই সাধারণ মানুষের মাথায় কাঁঠাল ভেঙেও খাওয়া যায়। 
শেষ পর্যন্ত যে খুদে ডাক্তাররা বৈঠকে বসেছেন, সেটা ভালো কথা। তবে শিয়রে সুপ্রিম কোর্টের জুজু না থাকলে তড়িঘড়ি তাঁদের মতি ফিরত কি না সন্দেহ। সবক্ষেত্রেই দেখা যায় গুঁতোর নাম বাবাজি! মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে মিটিংয়ে বসার আগে বারবার স্বচ্ছতার প্রসঙ্গ তুলে আনছিলেন আন্দোলনকারীরা। বারবার লাইভ স্ট্রিমিংয়ের কথা বলছিলেন। পরে অবশ্য তাঁরা সেই দাবি থেকে সরে যেতে বাধ্য হন। সাধারণ মানুষের প্রশ্ন, ডাক্তারি পেশায় একশো শতাংশ স্বচ্ছতা রয়েছে তো? এখানে চিকিৎসা ব্যবস্থার সবটাই তো রোগীর বিশ্বাসের ওপর।  ভাবুন তো, ডাক্তারবাবু তাঁর চেম্বারে বসে চিকিৎসা করছেন। রোগীপিছু ভিজিট পাঁচশো, আটশো বা হাজার টাকা। সেই পরিষেবা কেনার জন্য ডাক্তারবাবুরা রশিদ কেটে দেন? রোগীরাও তো চিকিৎসা ব্যবস্থার ক্ষেত্রে লাইভ স্ট্রিমিং চান। অর্থাৎ প্রতিটি পরিজন যাতে দেখতে পান, হাসপাতালে বা নার্সিং হোমে তাঁর প্রিয়জন কতটা চিকিৎসা পাচ্ছেন। কতটা তিনি অবহেলিত থাকছেন মোটা টাকা মেটানোর পরেও। যে ওষুধ লেখা হচ্ছে, তার সবটুকু রোগী পাচ্ছেন? তার কিছু অংশ পিছনের দরজা দিয়ে আবার হাসপাতাল বা নার্সিং হোমের নিজস্ব ফার্মেসিতে চলে যাচ্ছে না তো? এই যে বহু ডাক্তারের বিরুদ্ধে প্যাথলজি সেন্টার বা ওষুধ কোম্পানির কাছ থেকে কাটমানি খাওয়ার অভিযোগ ওঠে, সে ব্যাপারেও তো স্বচ্ছতা থাকা দরকার! সিবিআইয়ের দাবি, এরকম অজস্র দুর্নীতির প্রমাণ মিলেছে গ্রেপ্তার হওয়া প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে। ব্যাপারটা তো এমন নয় যে, চিকিৎসা পরিষেবার ক্ষেত্রে সন্দীপ একাই নকড়া ছকড়া করেছেন। আরও আছে। ঘুঘুর বাসা ভাঙুক। স্বচ্ছতা আসুক চিকিৎসা পরিষেবায়। সাধারণ মানুষ চাইছেন, চিকিৎসা ব্যবসায় একশো শতাংশ স্বচ্ছতা আসুক। তাহলে আর তাঁদের জমি বাড়ি, গয়না বিক্রি করে চিকিৎসা করাতে হবে না। চিকিৎসা ক্ষেত্রে বহু মানবিক ডাক্তার দেখেছি, যাঁদের দেখলে মনে হয়, তাঁদের থেকে দেবতাদের দূরত্ব বেশি নয়। আবার শাইলক ডাক্তারও দেখেছি। সমাজে তাঁদের সংখ্যা বেড়ে গেলে সেবা ধর্মটাই যে অচল পয়সা হয়ে যাবে। 
আন্দোলন হয়েছে। অচিরে তা মিটেও যাবে। অভয়ার মায়ের কোল খালি যেমন থাকবে, তেমনই এই আন্দোলনের জেরে যে সব পরিবারের মানুষ তাঁদের স্বজনদের হারিয়েছেন বিনা চিকিৎসায়, তাঁরাও কিন্তু আর পরিজনদের ফিরে পাবেন না। তাঁদেরও চোখের জল এবং অভিসম্পাতের ধার কম নয়! একটা মৃত্যুর বিচারের দাবি সভ্য সমাজে আর একটা মৃত্যুর কারণ হয়ে উঠতে পারে না! 
রাজ্যের মানুষ জেনে গিয়েছেন, আন্দোলনের সামনে বিচারের দাবি থাকলেও অন্তঃসলিলার মতো বয়ে চলেছে একটা রাজনৈতিক লোভ। সেটা হল, এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে সব ঘেঁটে দিয়ে আন্দোলন জারি রাখো। শান্তি ফিরে এলে ক্ষমতা দখলের সুযোগ মাঠে মারা যাবে। তাই কাঠি হাতে অবিরাম জল নাড়িয়ে চলেছে, সোজা বাম, ব্যাঁকা বাম, লাল বাম, অতিবাম, সক্রিয় বাম, নিষ্ক্রিয় বাম সকলেই। বাম জোট ঘোঁট চাইছে, উস্কানি দিয়ে এমন পরিস্থিতি তৈরি হোক, যাতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুলিস বাধ্য হয় জ্যোতি বসুর পুলিসের মতো লগুড় ধর্ম পালন করতে। ১৯৮৩ সালে জ্যোতিবাবুর পুলিস আন্দোলনরত ডাক্তারদের পিটিয়ে ছাতু বানিয়ে দিয়েছিলেন। মমতা সে পথে যাননি। নজির সৃষ্টি করেছেন আন্দোলনকারীদের মঞ্চে ‘দিদি’ হয়ে এসে। এখানেই ঘোর সঙ্কটে পড়ে গিয়েছেন বাম নেতারা। মার্ক্স বা লেনিনের পঞ্জিকায় তো এর বিহিত করার ব্যাপারে কিছু লেখা নেই। সুতরাং ঘুলিয়ে দাও! 
আন্দোলনের অভিমুখ একেবারে গোড়ার দিকে যা ছিল, সত্যি কথা বলতে কী, সেই তেজ আর নেই। অনেকেই সরে গিয়েছেন। অনেকেই মনে করছেন, আন্দোলন এবার ভুল পথে পরিচালিত হচ্ছে। রাতদখলেও সেই স্বতঃস্ফূর্ত ভিড় নেই। তাকে নিছকই মুভমেন্ট ফেস্টিভ্যাল বললে অত্যুক্তি হয় না। কেননা ধীরে ধীরে বিচারের দাবি হারিয়ে তা পাঁচ কাসুন্দিতে পর্যবসিত হয়েছে। রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা বাম আমলের থেকে অনেক উন্নত হয়েছিল। এই আন্দোলন সেই পরিকাঠামো ভেঙে গুঁড়িয়ে দিল। সেই অবস্থানে ফিরতে আবার অনেকটা সময় লাগবে। তার মূল্য দিতে হবে সাধারণ মানুষকে, সেটা খুদে ডাক্তারদের বোঝা উচিত। পাঁচ কাসুন্দির উস্কানিতে তা যেন ফের দিশাহীন না হয়ে যায়। বাংলাজুড়ে উৎসবের চালচিত্রে সার্থক হোক সাধারণ মানুষের প্রত্যাশা। অঙ্গনজুড়ে আঁকা হোক সকলের বিবেকী আলপনা। 
18th  September, 2024
বিচারের সামনে দাঁড়াতে হবে সবাইকে!
হিমাংশু সিংহ

গত সপ্তাহে একদিন দুপুরে হাতিবাগানে ঘুরছিলাম। ঝিরঝিরে বৃষ্টিতেও পুজোর মাত্র একমাস আগে এমন বিবর্ণ বিধান সরণি দেখিনি। কয়েকদিন আগে গড়িয়াহাটেও একই অভিজ্ঞতা হয়েছিল। বড় বড় ঝাঁ-চকচকে দোকানে সেলসম্যানের চেয়ে ক্রেতা কম। বিশদ

বাংলাকে ‘বাংলাদেশ’ করার ছক বানচাল
তন্ময় মল্লিক

জুনিয়র ডাক্তারদের দাবি মেনে নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী কি ভুল করলেন? গত কয়েকদিন ধরে এটাই ছিল মূল চর্চিত বিষয়। কলকাতা পুলিসের কমিশনার সহ স্বাস্থ্যকর্তাদের সরিয়ে দেওয়ার পরেও চিকিৎসকরা কর্মবিরতি তুলতে গড়িমসি করছেন। বিশদ

21st  September, 2024
আবেগ, আন্দোলন এবং আইন
সমৃদ্ধ দত্ত

প্রথমে হয়ে উঠেছিল নাগরিক আন্দোলন। কথা ছিল পর্যবসিত হবে গণআন্দোলনে। অথচ মাত্র এক মাসের মধ্যে সেই আন্দোলন আবদ্ধ হয়ে গেল নিছক জুনিয়র ডাক্তারদের কর্মবিরতি এবং অবস্থানের আবর্তে। কেন? এর উত্তর সন্ধান করতে হবে নাগরিকদের। বিশদ

20th  September, 2024
বিচার না রাজনীতি, সিবিআই কী চায়?
মৃণালকান্তি দাস

সিবিআই, ইডি, ভিজিলেন্স এজেন্সিকে রাজনৈতিক দাসত্ব ছাড়তে হবে। বলেছিলেন দেশের সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি এন ভি রামান্না। বিশদ

19th  September, 2024
অচলাবস্থায় ক্ষতি সরকারের নয়, মানুষের
শান্তনু দত্তগুপ্ত

বিশ্বাসবাবু কাল মিছিলে গিয়েছিলেন। বৃষ্টি মাথায় নিয়েই। বেসরকারি এক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কাজ করেন তিনি। না গেলে আর হচ্ছিলও না। কলেজের ছেলেমেয়েগুলো বাঁকা চোখে তাকাচ্ছিল। ওরা রোজই প্রায় হাজিরা দিচ্ছে স্বাস্থ্য ভবনের অবস্থানে। বিশদ

17th  September, 2024
এখন মণিপুর যেন চাঁদের অন্ধকার দিক!
পি চিদম্বরম

মণিপুর নিয়ে বার বার লিখিনি। আমার সাপ্তাহিক কলামের পাতা ওল্টাতে বসেই খেয়াল করলাম ব্যাপারটা। এজন্য এখন নিজেকেই তিরস্কার করছি। মণিপুর নিয়ে শেষবার লিখেছিলাম গতবছরের ৩০ জুলাই। অর্থাৎ তারপর ১৩টি মাস পেরিয়ে গিয়েছে! তাই নিজেকেই ক্ষমার অযোগ্য মনে হচ্ছে।
বিশদ

16th  September, 2024
‘বিচার’ ও ‘সিবিআই’ এবং ‘মমতা’
হিমাংশু সিংহ

একজনকে বিচার দেওয়া মানে কি অন্যদের সঙ্গে অবিচার! তাও তো আর এক অন্যায়ের জন্ম দেবে! আবেগ থাকতে বাধ্য, নির্যাতিতার বিচারও নিঃসন্দেহে আমাদের সবার অগ্রাধিকার, কিন্তু সুবিচার কোনও মামলাতেই রাতারাতি মেলে না। প্রমাণ থাকলেও না, আর প্রমাণ না থাকলে তো কথাই নেই। বিশদ

15th  September, 2024
এরপরেও আন্দোলন অরাজনৈতিক!
তন্ময় মল্লিক

অভয়া খুনের জাস্টিস, নাকি প্রশাসনিক কর্তাদের পদত্যাগ? এই মুহূর্তে রাজ্যের আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তারদের লড়াইটা ঠিক কী নিয়ে, সেটাই কেমন যেন গুলিয়ে যাচ্ছে। আন্দোলন ‘অরাজনৈতিক’ প্রমাণে ডাক্তারবাবুরা বিজেপি নেতাদের আন্দোলনস্থলের ত্রিসীমানায় দেখলেই রে রে করে উঠছেন। বিশদ

14th  September, 2024
একক শক্তির জয়যাত্রা
সমৃদ্ধ দত্ত

সমাজে দুই রকম শক্তি আছে। ভিড়ের শক্তি। আর একক শক্তি। ভিড়ের শক্তির মধ্যে অনেক সময় মিশে থাকে একটি বিভ্রান্তি। সেটি হল, ওই দলবদ্ধ শক্তিকেই নিজের শক্তি হিসেবে ভেবে নেওয়া। এবং আমিও খুব শক্তিশালী, এই মনোভাবে নিজেকে নিজে তুষ্ট করা। বিশদ

13th  September, 2024
উৎসব বয়কট বনাম শ্রেণির লড়াই!
মৃণালকান্তি দাস

বোলপুর থেকে শান্তিনিকেতন ছুঁয়ে বেঁকে যায় বিনুড়িয়ার পথ। নীল আকাশ, দু’ধারের ধান জমি, কাশফুল, মেঘ-রোদের লুকোচুরি— এই তল্লাটেই নকশি কাঁথা বিছোন আনসুরা বিবি, কাকলি টুডুরা। বিশদ

12th  September, 2024
বিচার চলুক, বাঁচুক বাংলার অর্থনীতিও
হারাধন চৌধুরী

সহকর্মীদের বেদম প্রহারের ফলে ৬ সেপ্টেম্বর রাজস্থানের জয়পুরে প্রাণ হারালেন বাংলার এক পরিযায়ী শ্রমিক। মোতি আলি নামে ওই যুবক ছিলেন মালদহের বাসিন্দা। এই ঘটনার মাত্র একসপ্তাহ আগে শিরোনাম দখল করে হরিয়ানা। ‘গোমাংস ভক্ষণ’ সন্দেহে বাংলারই এক পরিযায়ী শ্রমিককে পিটিয়ে মারা হয় সেখানে। বিশদ

11th  September, 2024
গোরক্ষার নামে হত্যা! রুখে দাঁড়াক সমাজ
শান্তনু দত্তগুপ্ত

‘আহা! পিটিয়ে মারা হয়েছে বলবেন না। গোরক্ষায় কঠোর একটা আইন রয়েছে রাজ্যে। তার সঙ্গে তো আর কোনওরকম সমঝোতা চলে না! ওরা যদি এমন কোনও খবর পায়, কে আটকাবে ওদের?’ খুন হয়েছেন সাবির মল্লিক। প্রকাশ্যে। বিশদ

10th  September, 2024
একনজরে
গত ১৭ সেপ্টেম্বর ছিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির জন্মদিন। সেই উপলক্ষ্যে উত্তরপ্রদেশের মোরাদাবাদে রক্তদান শিবিরের আয়োজন করেছিল গেরুয়া শিবির। স্থানীয় বিজেপি অফিসে রক্তদান শিবিরে গিয়ে চরম কটাক্ষের শিকার হলেন মোরাদাবাদের মেয়র বিনোদ আগরওয়াল। ...

বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটারদের তথ্য সংগ্রহের কাজ ২০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে শেষ করার সময়সীমা দেওয়া হয়েছিল বুথ লেভেল অফিসারদের (বিএলও)। কিন্তু সময়সীমা শেষ হলেও দেখা যাচ্ছে, এখনও একাধিক জেলায় সেই কাজ অনেকটা বাকি। ...

বিপদ কাটতেই চাইছে না। ভূতনিতে ফের বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হল। শনিবার একলাফে গঙ্গা নদীর জলস্তর ২২ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে ২৫.১৭মিটার। চরম বিপদসীমা একেবারে ছুঁইছুঁই অবস্থা দেখে জারি করা হয়েছে হলুদ সতর্কতা। ...

লেবাননে ধারাবাহিক পেজার বিস্ফোরণে নাম জড়াল এক ভারতীয় বংশোদ্ভূতের। আদতে কেরলের ওয়েনাড়ের বাসিন্দা রিনসন জোসে নামে ওই ব্যক্তি এখন নরওয়ের নাগরিক। অভিযোগ উঠেছে, লেবাননের জঙ্গি ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

অতিরিক্ত কর্মের চাপ গ্রহণ করে বেকায়দায় পড়তে পারেন। নতুন কর্মলাভের সম্ভাবনা। আয় বাড়বে। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব গাড়িমুক্ত দিবস
বিশ্ব গণ্ডার দিবস


১৪৯৯: বাসেল চুক্তির অধীনে সুইজারল্যান্ড একটি স্বাধীন রাজ্য হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করে
১৫৩৯: পাঞ্জাবের শহর কর্তারপুরে প্রয়াত গুরু নানক
১৫৯৯: লন্ডনে ফাউন্ডার্স হলে ২৪ জন ব্যবসায়ী ভারতে ব্যবসা করার সিদ্ধান্ত নেন, এভাবেই ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি গড়ে উঠে
১৭৩৫: ব্রিটেনের প্রথম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ১০ ডাউনিং স্ট্রিটে বসবাস শুরু করেন রবার্ট ওয়ালপোল
১৭৯১: ইংরেজ রসায়নবিদ এবং পদার্থবিজ্ঞানী মাইকেল ফ্যারাডের জন্ম
১৮৬২: আব্রাহাম লিঙ্কন ক্রীতদাসদের মুক্তির আদেশ সংক্রান্ত ঘোষণায় স্বাক্ষর করেন
১৮৮৮: ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক ম্যাগাজিন প্রথম প্রকাশিত
১৯১৫:  নদিয়া পৌরসভার নামকরণ বদল করে করা হয় নবদ্বীপ পৌরসভা
১৯৩৯: প্রথম এভারেস্ট জয়ী মহিলা জুনকো তাবেইয়ের জন্ম
১৯৬২:  নিউজিল্যাণ্ডের প্রাক্তন ক্রিকেটার তথা ধারাভাষ্যকার মার্টিন ক্রোর জন্ম
১৯৬৫: শেষ হল ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ। রাষ্ট্রসংঘের আহ্বানে সাড়া দিয়ে দু’দেশ যুদ্ধ বিরতি ঘোষণা করল
১৯৭০: লেখক শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়ের মৃত্যু
১৯৭৬: শ্রীলঙ্কান প্রাক্তন ক্রিকেট তারকা থিলান সামারাবীরার জন্ম
১৯৮০: ইরান আক্রমণ করল ইরাক
১৯৮৩: বিপ্লবী তথা সুভাষচন্দ্রের ঘনিষ্ঠ অনুগামী জ্যোতিষচন্দ্র জোয়ারদারের মৃত্যু
১৯৮৪:ব্রাজিলীয় ফুটবলার থিয়াগো সিলভার জন্ম
১৯৯১: মারাঠি ও হিন্দি চলচ্চিত্রের কিংবদন্তি অভিনেত্রী পদ্মশ্রী দুর্গা খোটের মৃত্যু
১৯৯২: ভারতীয় চলচ্চিত্র পরিচালক ও রাজশ্রী প্রোডাকশনের প্রতিষ্ঠাতা তারাচাঁদ বারজাতিয়ার মৃত্যু
১৯৯৫: নাগারকোভিল স্কুলে বোমা ফেলল শ্রীলঙ্কার বায়ুসেনা, মৃত্যু হয় ৩৪টি শিশুর, যাদের মধ্যে বেশিরভাগই তামিল
২০১১: ক্রিকেটার মনসুর আলি খান পতৌদির মৃত্যু
২০১১: অভিনেতা বিভু ভট্টাচার্যের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮২.৬৮ টাকা ৮৪.৪২ টাকা
পাউন্ড ১০৯.৫৩ টাকা ১১৩.১১ টাকা
ইউরো ৯১.৭৫ টাকা ৯৪.৯৫ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
21st  September, 2024
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৪,১০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৪,৫০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭০,৮০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৯,০০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৯,১০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]
21st  September, 2024

দিন পঞ্জিকা

৬ আশ্বিন, ১৪৩১, রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২৪। পঞ্চমী ২৫/৩৮ দিবা ৩/৪৪। কৃত্তিকা নক্ষত্র ৫৩/৫৫ রাত্রি ১১/৩। সূর্যোদয় ৫/২৮/৫৪, সূর্যাস্ত ৫/২৯/৫৪। অমৃতযোগ প্রাতঃ ৬/১৬ গতে ৮/৪১ মধ্যে পুনঃ ১১/৫৪ গতে ৩/৫ মধ্যে। রাত্রি ৭/৫২ গতে ৯/২৯ মধ্যে পুনঃ ১১/৫৩ গতে ১/২৯ মধ্যে পুনঃ ২/১৭ গতে উদয়াবধি। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৩/৫৩ গতে ৪/৪১ মধ্যে। বারবেলা ৯/৫৯ গতে ১/০ মধ্যে। কালরাত্রি ১২/৫৯ গতে ২/২৯ মধ্যে। 
৫ আশ্বিন, ১৪৩১, রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২৪। পঞ্চমী রাত্রি ৯/১৩। ভরণী নক্ষত্র দিবা ৬/৩২ পরে কৃত্তিকা নক্ষত্র শেষরাত্রি ৫/১৮। সূর্যোদয় ৫/২৮, সূর্যাস্ত ৫/৩২। অমৃতযোগ দিবা ৬/২৩ গতে ৮/৪১ মধ্যে ও ১১/৪৫ গতে ২/৫০ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৩৮ গতে ৯/১৮ মধ্যে ও ১১/৫৭ গতে ১/২৭ মধ্যে ও ২/১৭ গতে ৫/২৯ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৩/৩৬ গতে ৪/২২ মধ্যে। বারবেলা ১০/০ গতে ১/১ মধ্যে। কালরাত্রি ১/০ গতে ২/২৯ মধ্যে। 
১৮ রবিয়ল আউয়ল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
শ্রীলঙ্কা প্রেসিডেন্ট নির্বাচন: জয়ী এনপিপি নেতা অনুরা কুমারা দেশনায়েক

10:27:43 PM

কেশিয়াড়িতে পুজো কমিটির হাতে তুলে দেওয়া হল অনুদান
পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশিয়াড়িতে পুজো কমিটিগুলির হাতে তুলে দেওয়া হল দুর্গাপুজোর ...বিশদ

09:56:00 PM

আইএসএল: ইস্ট বেঙ্গলকে ১-২ গোলে হারাল কেরল

09:32:00 PM

আইএসএল: ইস্ট বেঙ্গল ১-কেরল ১ (৬৩ মিনিট)

08:53:00 PM

আইএসএল: ইস্ট বেঙ্গল ১-কেরল ০ (৬০ মিনিট)

08:50:00 PM

আইএসএল: ইস্ট বেঙ্গল ০-কেরল ০ (৫৩ মিনিট)

08:43:00 PM