Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

বিচার চলুক, বাঁচুক বাংলার অর্থনীতিও
হারাধন চৌধুরী

সহকর্মীদের বেদম প্রহারের ফলে ৬ সেপ্টেম্বর রাজস্থানের জয়পুরে প্রাণ হারালেন বাংলার এক পরিযায়ী শ্রমিক। মোতি আলি নামে ওই যুবক ছিলেন মালদহের বাসিন্দা। এই ঘটনার মাত্র একসপ্তাহ আগে শিরোনাম দখল করে হরিয়ানা। ‘গোমাংস ভক্ষণ’ সন্দেহে বাংলারই এক পরিযায়ী শ্রমিককে পিটিয়ে মারা হয় সেখানে। ২৭ আগস্টের ওই ঘটনায় মৃত সাবির মল্লিক ছিলেন দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসিন্দা। অভিযুক্তরা যথারীতি ‘গোরক্ষক’ বাহিনী। বাংলার পরিযায়ী শ্রমিক-নির্যাতনে সম্প্রতি খাতা খুলেছে পড়শি রাজ্য ওড়িশা। নিপীড়নের শিকার এই গরিব মানুষগুলি মুর্শিদাবাদ ও মালদহের বিভিন্ন এলাকা থেকে সেখানে গিয়েছেন। এই মানুষগুলির কেউ স্বর্ণশিল্পী, কেউ অন্য ছোটখাট কাজ করেন কিংবা ফেরিওয়ালা। ওইসব রাজ্যে শুধু বাংলার গরিব লোকজনই যাননি, গিয়েছেন বিহার, ওড়িশা, অসম প্রভৃতি রাজ্য থেকেও। তাঁদের উপর এই নৃশংস আচরণ ক্ষমার অযোগ্য। আরও লক্ষণীয় যে, তিনটি ক্ষেত্রেই ঘটনাস্থল মোদি-শাহদের সাধের ‘ডাবল ইঞ্জিন’ রাজ্য। তাই ঘটনাগুলি বেশি নিন্দনীয় এবং উদ্বেগজনক। এক রাজ্যের মানুষ কাজের সন্ধানে অন্য রাজ্যে যাবেন এটাই স্বাভাবিক, এবং এ এক পুরনো প্রবণতা। তবে যে-রাজ্যের বিপুল সংখ্যক মানুষকে কাজের খোঁজে অন্যত্র পাড়ি দিতে হয়, সেখানকার অর্থনীতির স্বাস্থ্য সম্পর্কে বিরূপ প্রশ্ন কিন্তু থেকেই যায়।
অর্থনীতি, শুধুমাত্র পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলিতেই বেহাল নয়। ছবিটা সারা ভারতে উনিশ-বিশ। মহারাষ্ট্র ও কর্ণাটককে দেশের সবচেয়ে ‘উজ্জ্বল’ দুটি রাজ্য বলে ভাবা হয়। গতবছর কৃষক বিদ্রোহে মলম লাগাতে গিয়ে মোদি সরকার কৃষকদের ‘অন্নদাতা’ সম্বোধনে সম্মানিত করেছে। অর্থনীতি বিষয়ে গবেষণা সংস্থা ‘স্ট্যাটিসটা’ জানাচ্ছে ২০২৩ সালে দেশে সর্বাধিক সংখ্যক (২,৭০৮) কৃষক আত্মঘাতী হয়েছেন মহারাষ্ট্রে! এই মর্মান্তিক ছবিতে তারপরেই জায়গা করে নিয়েছে কর্ণাটক—গতবছর দক্ষিণের ওই রাজ্যে আত্মঘাতী কৃষকের সংখ্যা ছিল ১,৩২৩। দেশের বৃহত্তম রাজ্য উত্তরপ্রদেশের একটি অত্যন্ত হৃদয়বিদারক খবর প্রকাশিত হয়েছে সোমবারের কাগজে: দুই কন্যাসন্তানকে হত্যা করে আত্মঘাতী হয়েছেন বাবা। ঘটনাটি প্রয়াগরাজের। এক পরিবারের তিন তিনটি তাজা প্রাণ একসঙ্গেই ঝরে যাওয়ার কারণ এই লেখা পর্যন্ত জানা যায়নি, তাই সেই ব্যাপারে কোনও মন্তব্য নয়। তবে, পরিবারটি কোনওভাবেই যে সুখী ছিল না, তা হলফ করেই বলা যায়।
ভালো থাকার জন্য পরিবার পিছু অন্তত একজন রোজগেরে মানুষ চাই। কিন্তু দেশে কাজের পরিবেশ কেমন? বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সিএমআইই’র তথ্য বলছে: দেশে বেকারত্বের হার গত মে মাসের ৭ শতাংশ বেড়ে জুনে হয়েছে ৯.২ শতাংশ। কনজিউমার পিরামিডস হাউসহোল্ড সার্ভে অনুসারে, বেকারত্বের হার মেয়েদের মধ্যে ১৮.৫ শতাংশ। অর্থাৎ মহিলা বেকার বাহিনীর আকার পুরুষের অন্তত দ্বিগুণ! সাম্প্রতিক অতীতের পরিসংখ্যান পাশে রাখলে বেকারত্বের বর্তমান হার আরও অস্বস্তি বাড়িয়ে দেয়। ফোর্বস ইন্ডিয়া জানাচ্ছে, বেকারত্বের হার ২০২৩-এ ছিল ৮.০০৩ শতাংশ। সংখ্যাটি ২০২২ ও ২০২১-এ ছিল যথাক্রমে ৭.৩৩ ও ৫.৯৮। ইনস্টিটিউট অফ হিউম্যান ডেভেলপমেন্ট (আইএইচডি) এবং ইন্টারন্যাশনাল লেবার অর্গানাইজেশন (আইএলও) যৌথভাবে তৈরি করেছে ইন্ডিয়া এমপ্লয়মেন্ট রিপোর্ট ২০২৪। তাতে দেখা যাচ্ছে, দেশে কর্মক্ষম যুব বাহিনী ২০১১ সালের চেয়ে অনেকখানি বেড়েছে ২০২১-এ। ওয়ার্কিং পপুলেশন ৬১ থেকে বেড়ে ৬৪ শতাংশ হয়েছে, এবং ২০৩৬ সালের মধ্যে তা ৬৫ শতাংশ হতে যাচ্ছে! অতএব, দেশে পর্যাপ্ত নতুন কাজের সুযোগ বৃদ্ধিই কাম্য। কিন্তু বাস্তবে ঘটেছে উল্টো—২০২২ সালে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে যুবদের অংশগ্রহণের সুযোগ কমে হয়ে গিয়েছে মাত্র ৩৭ শতাংশ! মোদিযুগে দেশজুড়ে যুবদের মধ্যে বেকারত্বের বহরটা এর থেকেই পরিষ্কার হয়ে যায়।
সরকারি চাকরি কার্যত ডুমুরের ফুল! বেসরকারি ক্ষেত্রেও স্থায়ী বা রেগুলার চাকরির জোগান নগণ্য। অতএব, ভরসা অসংগঠিত কর্মক্ষেত্র। স্ট্যাটিসটা’র মতে, ভারতে ৯০ শতাংশ শ্রমিক-কর্মচারী অসংগঠিত ক্ষেত্রে কাজ করেন। জিডিপির ২৭ ভাগ আসে যে এমএসএমই সেক্টর থেকে সেখানকার লক্ষ লক্ষ শ্রমিক-কর্মচারীও অসংগঠিত ক্ষেত্রের লোক বলে গণ্য হন। তাঁদের সামাজিক সুরক্ষার কোনও বালাই নেই। চলতি অর্থবর্ষ শেষে জিডিপি বৃদ্ধির হার ৭.২ শতাংশ হবে বলে আশার কথা শুনিয়েছিল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। কিন্তু জিডিপি বৃদ্ধির সাম্প্রতিক গতিপ্রকৃতি দেখে প্রমাদ গুনছে স্টেট ব্যাঙ্ক, তারা মনে করছে, কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের অনুমান মিলবে না, ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষ শেষে বৃদ্ধির হার বড় জোর ৭ শতাংশ দাঁড়াবে।
পরিষ্কার যে, জিডিপির স্বাস্থ্যকর বৃদ্ধি কোনও সংগঠিত ক্ষেত্র এনে দিতে পারবে না। তারা আপাতত চূড়ান্ত স্তরেই অবস্থান করছে। তাই অসংগঠিত ক্ষেত্রই অগতির গতি। স্বাধীনতার গোড়ার দিকে, জিডিপিতে কৃষিক্ষেত্রের অবদান থাকত ৫০-৬০ শতাংশ। সেটা কমতে কমতে ২০২২-২৩ সালে ১৫ শতাংশে নেমে এসেছে। শিল্প এবং পরিষেবা ক্ষেত্রের বৃদ্ধির জন্যই এটা হয়েছে, সন্দেহ নেই। কিন্তু অবশিষ্ট কৃষিক্ষেত্র কেমন আছে? পাঞ্জাব, হরিয়ানাসহ নানা জায়গার কৃষকদের নাছোড় আন্দোলনেই রয়েছে এর উত্তর। তাই অর্থনীতির সর্বনাশ রুখতে হলে অসংগঠিত ক্ষেত্রের বাকি দিকগুলিকে বাঁচিয়ে রাখা ছাড়া উপায় কী? তার মধ্যে পড়ে রাস্তার ধারে খাবার, জামাকাপড়, প্রসাধন ও হস্তশিল্প সামগ্রী বিক্রি। ওইসঙ্গে আছে প্যান্ডেল সজ্জা, পরিবহণ, অতিথি সেবা, নানা ধরনের বিনোদন, পর্যটন প্রভৃতি। এগুলির বেশিরভাগই মরশুমি এবং আঞ্চলিক উৎসব নির্ভর। আমাদের বাংলায় যেমন দুর্গাপুজোকে কেন্দ্র করে মাসাধিক কালের শারদোৎসব, তেমনি মহারাষ্ট্রে গণেশ চতুর্থী, উত্তর ভারত জুড়ে দশেরা, দক্ষিণ ভারতে পোঙ্গল কিংবা অসমসহ উত্তর-পূর্ব ভারতে বিহু। এটি বিভিন্ন দেশের ক্ষেত্রেও সত্য। যেমন রিও কার্নিভ্যাল (ব্রাজিল), চেরি ব্লোসম ফেস্টিভ্যাল (জাপান), এডিনবার্গ ফেস্টিভ্যাল (স্কটল্যান্ড), গ্লাস্টনবারি ফেস্টিভ্যাল (ইংল্যান্ড) প্রভৃতি উৎসব দ্বারা সংশ্লিষ্ট অঞ্চল ও দেশের অর্থনীতি বিশেষভাবে প্রভাবিত হয়।
দুর্গাপুজো তো আর কলকাতাসহ বঙ্গদেশের একার গৌরবের বিষয় নয়, বিশ্ব-ঐতিহ্যের মুকুট এখন তার মাথায়। ইউনেস্কোর ইনট্যানজিবল কালচারাল হেরিটেজ শিরোপা লাভের পর থেকে এনিয়ে ভিন রাজ্যের পর্যটকদের পাশাপাশি পশ্চিমা দেশগুলিরও আগ্রহ বেড়েছে। গতবছরও কলকাতার পুজোয় অন্যান্য রাজ্যের মানুষের সঙ্গে বহু বিদেশি অতিথির সমাগম লক্ষ করা গিয়েছিল। প্রাচীন বনেদি বাড়িগুলির পুজোর অন্যরকম আকর্ষণ সবসময়ই থাকে। বারোয়ারি বা সর্বজনীন পুজো আয়োজনের বাড়তি আকর্ষণ বাড়ছে তারই পাশে পাল্লা দিয়ে। সেখানে নিত্যনতুন থিমের ছড়াছড়ি। একদিকে বিচিত্র সব প্রতিমা ও মণ্ডপসজ্জা, সঙ্গে থাকে অভিনব আলোর জাদুবাস্তবতা। অভাবনীয় শিল্প নির্মাণ এবং প্রায় দু’সপ্তাহ ধরে সেসব দর্শনের আশ্চর্য আগ্রহ বাংলাকে এক অনবদ্য অর্থনীতিও উপহার দিয়ে চলেছে।
কলকাতাসহ গোটা পশ্চিমবঙ্গের দুর্গাপুজোর অর্থনীতি একদশক যাবৎ পণ্ডিত মহলের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ চর্চার বিষয় হয়ে উঠেছে। দেশি-বিদেশি একাধিক সংস্থা এর উপর তাদের যেসব রিপোর্ট প্রকাশ করেছে, সেগুলি আমাদের পক্ষে বিশেষ আশার সঞ্চার করে। রাজ্য পর্যটন দপ্তরের আহ্বানে ২০১৯ সালে ব্রিটিশ কাউন্সিল এক গবেষণা করে। রাজ্যের অর্থনীতির উপর ‘ওয়ার্ল্ডস লার্জেস্ট পাবলিক আর্ট ফেস্টিভ্যাল’-এর প্রভাব কী? এই ছিল তাদের অনুসন্ধানের বিষয়। মূলত যে-দশটি ‘ক্রিয়েটিভ ইন্ডাস্ট্রি’ এই উৎসবকে সম্ভব করে তোলে, বিদেশি সংস্থাটি তথ্য সংগ্রহ করে সেগুলির উপরেই গুরুত্ব দিয়ে। তাদের রিপোর্টে দাবি করা হয় যে, শুধুমাত্র ওই দশটি শিল্পক্ষেত্রেই সে-বছর ব্যবসার মোট পরিমাণ ছিল ৩২,৩৭৭ কোটি টাকা (৩.২৯ বিলিয়ন ব্রিটিশ পাউন্ড বা ৪.৫৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের সমান)! অঙ্কটি বহু ছোট দেশের সমগ্র অর্থনীতির আকারের সঙ্গেই তুলনীয়। রাজ্যের জিডিপির ২.৫৮ শতাংশ আসে উৎসবের মাত্র একসপ্তাহের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড থেকে। রাজ্যে ৩ লক্ষ নতুন কর্মসংস্থান হয়েছিল সেবারের পুজোয়। অন্য এক সমীক্ষার দাবি, ২০২২ সালের পুজোর অর্থনীতির মোট পরিমাণ ছিল ৪৫ হাজার কোটি টাকা। অঙ্কটা ৫০ হাজার কোটি টাকা অতিক্রম করেছিল গতবছর। এবার প্রত্যাশিত ছিল ৬০ হাজার কোটি টাকা ছাপানো। ই-কমার্সেও বিশেষ গতিসঞ্চারের আশায় আছে সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলি।
পুজোর বাকি আর মাত্র তিনসপ্তাহ। কিন্তু অন্যবারের চঞ্চলতা এখনও অধরা। কোনও সন্দেহ নেই, আর জি কর কাণ্ডে বহু মানুষের মন ভালো নেই, বিচারের সংগত দাবি নিয়েই নিজেদের গুটিয়ে রেখেছেন তাঁরা। কিন্তু আমাদের এই বাৎসরিক উৎসব নিছক কোনও আনন্দ বা বিনোদনের প্রহর নয়, রাজ্যের অসংখ্য মানুষকে আর্থিকভাবে বাঁচাবারও একটি বড় উপায়। খালি পেটে ধর্মকথা যেমন অমৃতের স্বাদ এনে দেয় না, তেমনি দুর্বল আর্থিক সামর্থ্যও যুদ্ধজয়ের পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায়। আমরা সবাই কিন্তু জীবনেরও যুদ্ধে লিপ্ত সবসময়। তাই রুটিরুজিকে অবহেলা করার অবকাশ কোথায়? সাম্প্রতিক সমস্যার প্রেক্ষিতে বাংলাসহ দেশের রুগ্ন অর্থনীতি আরও ধসে পড়লে তার শীঘ্র মেরামত সম্ভব হবে কি? তাই আসুন, বিচারের দাবিতে অনড় থেকেই অর্থনীতির চাকাকেও সচল রাখি আমরা।
11th  September, 2024
বিচারের সামনে দাঁড়াতে হবে সবাইকে!
হিমাংশু সিংহ

গত সপ্তাহে একদিন দুপুরে হাতিবাগানে ঘুরছিলাম। ঝিরঝিরে বৃষ্টিতেও পুজোর মাত্র একমাস আগে এমন বিবর্ণ বিধান সরণি দেখিনি। কয়েকদিন আগে গড়িয়াহাটেও একই অভিজ্ঞতা হয়েছিল। বড় বড় ঝাঁ-চকচকে দোকানে সেলসম্যানের চেয়ে ক্রেতা কম। বিশদ

বাংলাকে ‘বাংলাদেশ’ করার ছক বানচাল
তন্ময় মল্লিক

জুনিয়র ডাক্তারদের দাবি মেনে নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী কি ভুল করলেন? গত কয়েকদিন ধরে এটাই ছিল মূল চর্চিত বিষয়। কলকাতা পুলিসের কমিশনার সহ স্বাস্থ্যকর্তাদের সরিয়ে দেওয়ার পরেও চিকিৎসকরা কর্মবিরতি তুলতে গড়িমসি করছেন। বিশদ

21st  September, 2024
আবেগ, আন্দোলন এবং আইন
সমৃদ্ধ দত্ত

প্রথমে হয়ে উঠেছিল নাগরিক আন্দোলন। কথা ছিল পর্যবসিত হবে গণআন্দোলনে। অথচ মাত্র এক মাসের মধ্যে সেই আন্দোলন আবদ্ধ হয়ে গেল নিছক জুনিয়র ডাক্তারদের কর্মবিরতি এবং অবস্থানের আবর্তে। কেন? এর উত্তর সন্ধান করতে হবে নাগরিকদের। বিশদ

20th  September, 2024
বিচার না রাজনীতি, সিবিআই কী চায়?
মৃণালকান্তি দাস

সিবিআই, ইডি, ভিজিলেন্স এজেন্সিকে রাজনৈতিক দাসত্ব ছাড়তে হবে। বলেছিলেন দেশের সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি এন ভি রামান্না। বিশদ

19th  September, 2024
চিকিৎসা ব্যবসাতেও স্বচ্ছতার দাবি মানুষের
সন্দীপন বিশ্বাস

বর্ধমান, নদীয়া, মুর্শিদাবাদ বা বীরভূমের ঢাকিপাড়ায় ইতিমধ্যে বোধন হয়ে গিয়েছে। বসন্ত, রসিক কিংবা শ্যামাপদর ঢাকের আওয়াজ ছড়িয়ে পড়ছে গ্রামের বুকে। আর দিনকয়েক পরেই কাঁধে ঢাক নিয়ে ওঁরা বেরিয়ে পড়বেন বিভিন্ন মণ্ডপে।
বিশদ

18th  September, 2024
অচলাবস্থায় ক্ষতি সরকারের নয়, মানুষের
শান্তনু দত্তগুপ্ত

বিশ্বাসবাবু কাল মিছিলে গিয়েছিলেন। বৃষ্টি মাথায় নিয়েই। বেসরকারি এক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কাজ করেন তিনি। না গেলে আর হচ্ছিলও না। কলেজের ছেলেমেয়েগুলো বাঁকা চোখে তাকাচ্ছিল। ওরা রোজই প্রায় হাজিরা দিচ্ছে স্বাস্থ্য ভবনের অবস্থানে। বিশদ

17th  September, 2024
এখন মণিপুর যেন চাঁদের অন্ধকার দিক!
পি চিদম্বরম

মণিপুর নিয়ে বার বার লিখিনি। আমার সাপ্তাহিক কলামের পাতা ওল্টাতে বসেই খেয়াল করলাম ব্যাপারটা। এজন্য এখন নিজেকেই তিরস্কার করছি। মণিপুর নিয়ে শেষবার লিখেছিলাম গতবছরের ৩০ জুলাই। অর্থাৎ তারপর ১৩টি মাস পেরিয়ে গিয়েছে! তাই নিজেকেই ক্ষমার অযোগ্য মনে হচ্ছে।
বিশদ

16th  September, 2024
‘বিচার’ ও ‘সিবিআই’ এবং ‘মমতা’
হিমাংশু সিংহ

একজনকে বিচার দেওয়া মানে কি অন্যদের সঙ্গে অবিচার! তাও তো আর এক অন্যায়ের জন্ম দেবে! আবেগ থাকতে বাধ্য, নির্যাতিতার বিচারও নিঃসন্দেহে আমাদের সবার অগ্রাধিকার, কিন্তু সুবিচার কোনও মামলাতেই রাতারাতি মেলে না। প্রমাণ থাকলেও না, আর প্রমাণ না থাকলে তো কথাই নেই। বিশদ

15th  September, 2024
এরপরেও আন্দোলন অরাজনৈতিক!
তন্ময় মল্লিক

অভয়া খুনের জাস্টিস, নাকি প্রশাসনিক কর্তাদের পদত্যাগ? এই মুহূর্তে রাজ্যের আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তারদের লড়াইটা ঠিক কী নিয়ে, সেটাই কেমন যেন গুলিয়ে যাচ্ছে। আন্দোলন ‘অরাজনৈতিক’ প্রমাণে ডাক্তারবাবুরা বিজেপি নেতাদের আন্দোলনস্থলের ত্রিসীমানায় দেখলেই রে রে করে উঠছেন। বিশদ

14th  September, 2024
একক শক্তির জয়যাত্রা
সমৃদ্ধ দত্ত

সমাজে দুই রকম শক্তি আছে। ভিড়ের শক্তি। আর একক শক্তি। ভিড়ের শক্তির মধ্যে অনেক সময় মিশে থাকে একটি বিভ্রান্তি। সেটি হল, ওই দলবদ্ধ শক্তিকেই নিজের শক্তি হিসেবে ভেবে নেওয়া। এবং আমিও খুব শক্তিশালী, এই মনোভাবে নিজেকে নিজে তুষ্ট করা। বিশদ

13th  September, 2024
উৎসব বয়কট বনাম শ্রেণির লড়াই!
মৃণালকান্তি দাস

বোলপুর থেকে শান্তিনিকেতন ছুঁয়ে বেঁকে যায় বিনুড়িয়ার পথ। নীল আকাশ, দু’ধারের ধান জমি, কাশফুল, মেঘ-রোদের লুকোচুরি— এই তল্লাটেই নকশি কাঁথা বিছোন আনসুরা বিবি, কাকলি টুডুরা। বিশদ

12th  September, 2024
গোরক্ষার নামে হত্যা! রুখে দাঁড়াক সমাজ
শান্তনু দত্তগুপ্ত

‘আহা! পিটিয়ে মারা হয়েছে বলবেন না। গোরক্ষায় কঠোর একটা আইন রয়েছে রাজ্যে। তার সঙ্গে তো আর কোনওরকম সমঝোতা চলে না! ওরা যদি এমন কোনও খবর পায়, কে আটকাবে ওদের?’ খুন হয়েছেন সাবির মল্লিক। প্রকাশ্যে। বিশদ

10th  September, 2024
একনজরে
আর জি কর কাণ্ডে ৪১ দিনের কর্মবিরতি আংশিক প্রত্যাহার করেছেন জুনিয়ার ডাক্তাররা। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁদের দাবি মেনে কলকাতার নগরপাল সহ পুলিস ও স্বাস্থ্য প্রশাসনের একাধিক কর্তাকে অপসারিত করেছেন। ...

লেবাননে ধারাবাহিক পেজার বিস্ফোরণে নাম জড়াল এক ভারতীয় বংশোদ্ভূতের। আদতে কেরলের ওয়েনাড়ের বাসিন্দা রিনসন জোসে নামে ওই ব্যক্তি এখন নরওয়ের নাগরিক। অভিযোগ উঠেছে, লেবাননের জঙ্গি ...

বিপদ কাটতেই চাইছে না। ভূতনিতে ফের বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হল। শনিবার একলাফে গঙ্গা নদীর জলস্তর ২২ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে ২৫.১৭মিটার। চরম বিপদসীমা একেবারে ছুঁইছুঁই অবস্থা দেখে জারি করা হয়েছে হলুদ সতর্কতা। ...

গত ১৭ সেপ্টেম্বর ছিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির জন্মদিন। সেই উপলক্ষ্যে উত্তরপ্রদেশের মোরাদাবাদে রক্তদান শিবিরের আয়োজন করেছিল গেরুয়া শিবির। স্থানীয় বিজেপি অফিসে রক্তদান শিবিরে গিয়ে চরম কটাক্ষের শিকার হলেন মোরাদাবাদের মেয়র বিনোদ আগরওয়াল। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

অতিরিক্ত কর্মের চাপ গ্রহণ করে বেকায়দায় পড়তে পারেন। নতুন কর্মলাভের সম্ভাবনা। আয় বাড়বে। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব গাড়িমুক্ত দিবস
বিশ্ব গণ্ডার দিবস


১৪৯৯: বাসেল চুক্তির অধীনে সুইজারল্যান্ড একটি স্বাধীন রাজ্য হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করে
১৫৩৯: পাঞ্জাবের শহর কর্তারপুরে প্রয়াত গুরু নানক
১৫৯৯: লন্ডনে ফাউন্ডার্স হলে ২৪ জন ব্যবসায়ী ভারতে ব্যবসা করার সিদ্ধান্ত নেন, এভাবেই ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি গড়ে উঠে
১৭৩৫: ব্রিটেনের প্রথম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ১০ ডাউনিং স্ট্রিটে বসবাস শুরু করেন রবার্ট ওয়ালপোল
১৭৯১: ইংরেজ রসায়নবিদ এবং পদার্থবিজ্ঞানী মাইকেল ফ্যারাডের জন্ম
১৮৬২: আব্রাহাম লিঙ্কন ক্রীতদাসদের মুক্তির আদেশ সংক্রান্ত ঘোষণায় স্বাক্ষর করেন
১৮৮৮: ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক ম্যাগাজিন প্রথম প্রকাশিত
১৯১৫:  নদিয়া পৌরসভার নামকরণ বদল করে করা হয় নবদ্বীপ পৌরসভা
১৯৩৯: প্রথম এভারেস্ট জয়ী মহিলা জুনকো তাবেইয়ের জন্ম
১৯৬২:  নিউজিল্যাণ্ডের প্রাক্তন ক্রিকেটার তথা ধারাভাষ্যকার মার্টিন ক্রোর জন্ম
১৯৬৫: শেষ হল ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ। রাষ্ট্রসংঘের আহ্বানে সাড়া দিয়ে দু’দেশ যুদ্ধ বিরতি ঘোষণা করল
১৯৭০: লেখক শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়ের মৃত্যু
১৯৭৬: শ্রীলঙ্কান প্রাক্তন ক্রিকেট তারকা থিলান সামারাবীরার জন্ম
১৯৮০: ইরান আক্রমণ করল ইরাক
১৯৮৩: বিপ্লবী তথা সুভাষচন্দ্রের ঘনিষ্ঠ অনুগামী জ্যোতিষচন্দ্র জোয়ারদারের মৃত্যু
১৯৮৪:ব্রাজিলীয় ফুটবলার থিয়াগো সিলভার জন্ম
১৯৯১: মারাঠি ও হিন্দি চলচ্চিত্রের কিংবদন্তি অভিনেত্রী পদ্মশ্রী দুর্গা খোটের মৃত্যু
১৯৯২: ভারতীয় চলচ্চিত্র পরিচালক ও রাজশ্রী প্রোডাকশনের প্রতিষ্ঠাতা তারাচাঁদ বারজাতিয়ার মৃত্যু
১৯৯৫: নাগারকোভিল স্কুলে বোমা ফেলল শ্রীলঙ্কার বায়ুসেনা, মৃত্যু হয় ৩৪টি শিশুর, যাদের মধ্যে বেশিরভাগই তামিল
২০১১: ক্রিকেটার মনসুর আলি খান পতৌদির মৃত্যু
২০১১: অভিনেতা বিভু ভট্টাচার্যের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮২.৬৮ টাকা ৮৪.৪২ টাকা
পাউন্ড ১০৯.৫৩ টাকা ১১৩.১১ টাকা
ইউরো ৯১.৭৫ টাকা ৯৪.৯৫ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
21st  September, 2024
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৪,১০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৪,৫০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭০,৮০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৯,০০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৯,১০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]
21st  September, 2024

দিন পঞ্জিকা

৬ আশ্বিন, ১৪৩১, রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২৪। পঞ্চমী ২৫/৩৮ দিবা ৩/৪৪। কৃত্তিকা নক্ষত্র ৫৩/৫৫ রাত্রি ১১/৩। সূর্যোদয় ৫/২৮/৫৪, সূর্যাস্ত ৫/২৯/৫৪। অমৃতযোগ প্রাতঃ ৬/১৬ গতে ৮/৪১ মধ্যে পুনঃ ১১/৫৪ গতে ৩/৫ মধ্যে। রাত্রি ৭/৫২ গতে ৯/২৯ মধ্যে পুনঃ ১১/৫৩ গতে ১/২৯ মধ্যে পুনঃ ২/১৭ গতে উদয়াবধি। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৩/৫৩ গতে ৪/৪১ মধ্যে। বারবেলা ৯/৫৯ গতে ১/০ মধ্যে। কালরাত্রি ১২/৫৯ গতে ২/২৯ মধ্যে। 
৫ আশ্বিন, ১৪৩১, রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২৪। পঞ্চমী রাত্রি ৯/১৩। ভরণী নক্ষত্র দিবা ৬/৩২ পরে কৃত্তিকা নক্ষত্র শেষরাত্রি ৫/১৮। সূর্যোদয় ৫/২৮, সূর্যাস্ত ৫/৩২। অমৃতযোগ দিবা ৬/২৩ গতে ৮/৪১ মধ্যে ও ১১/৪৫ গতে ২/৫০ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৩৮ গতে ৯/১৮ মধ্যে ও ১১/৫৭ গতে ১/২৭ মধ্যে ও ২/১৭ গতে ৫/২৯ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৩/৩৬ গতে ৪/২২ মধ্যে। বারবেলা ১০/০ গতে ১/১ মধ্যে। কালরাত্রি ১/০ গতে ২/২৯ মধ্যে। 
১৮ রবিয়ল আউয়ল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
শ্রীলঙ্কা প্রেসিডেন্ট নির্বাচন: জয়ী এনপিপি নেতা অনুরা কুমারা দেশনায়েক

10:27:43 PM

কেশিয়াড়িতে পুজো কমিটির হাতে তুলে দেওয়া হল অনুদান
পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশিয়াড়িতে পুজো কমিটিগুলির হাতে তুলে দেওয়া হল দুর্গাপুজোর ...বিশদ

09:56:00 PM

আইএসএল: ইস্ট বেঙ্গলকে ১-২ গোলে হারাল কেরল

09:32:00 PM

আইএসএল: ইস্ট বেঙ্গল ১-কেরল ১ (৬৩ মিনিট)

08:53:00 PM

আইএসএল: ইস্ট বেঙ্গল ১-কেরল ০ (৬০ মিনিট)

08:50:00 PM

আইএসএল: ইস্ট বেঙ্গল ০-কেরল ০ (৫৩ মিনিট)

08:43:00 PM