অতিরিক্ত কর্মের চাপ গ্রহণ করে বেকায়দায় পড়তে পারেন। নতুন কর্মলাভের সম্ভাবনা। আয় বাড়বে। ... বিশদ
গত সপ্তাহের শনি ও রবিবার পুজো শপিং কিছুটা ব্যাহত হয়েছিল বৃষ্টির ফলে। তা সত্ত্বেও ভিড়ে ঠাসা ছিল রাস্তাঘাট। এ সপ্তাহের শনিবার আকাশ মেঘমুক্ত। ভ্যাপসা গরমে গলদঘর্ম সবাই। কিন্তু কেনাকাটায় কোনও ছাড় দিতে নারাজ শহরবাসী। পুজোর আগে মেরেকেটে আর মাত্র তিনটি উইকএন্ড। তাই শনিবার একডালিয়া, সিংহী পার্ক, বালিগঞ্জ কালচারাল, ত্রিধারার ভিড় যেন একসঙ্গে দেখল গড়িয়াহাট। কম যায় না হাতিবাগানও। শ্যামবাজার মোড় থেকে হাতিবাগান ক্রসিং পর্যন্ত বাধ্য হয়ে যান চলাচল বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয় পুলিস। ট্রাম লাইনের দখল নেয় আট থেকে আশির জনতা। কেউ ঢুকেছেন বড় শাড়ির দোকানে। কলেজ স্ট্রিট থেকে কেনাকাটা করতে আসা উর্মিলা সেন বললেন, ‘অষ্টমী, নবমী একদিনে পড়েছে তো কী হয়েছে! অষ্টমী আর নবমীতে আলাদা আলাদা শাড়ি মাস্ট।’ ক্রেতার দাবিতে মুখে হাসি বিক্রেতাদেরও। একটি বিপণির মালিক অমর সাহা বলেন, ‘এমনিতেই গত এক মাস ধরে মিটিং, মিছিলে একেবারে ব্যবসা পড়ে গিয়েছিল। গত সপ্তাহের শুক্রবার ভিড় হয়েছিল। তার পরের দু’দিন বৃষ্টিতে কম লোক হয়েছিল। এই শনিবার ভালো লোক হয়েছে। মানুষ আসছে, দেখছে, পছন্দ হলেই কিনছে। এটা ব্যবসার ভালো দিক।’
উত্তর, দক্ষিণ কলকাতার সঙ্গে টেক্কা দিয়েছে মধ্য কলকাতা। ধর্মতলা, নিউমার্কেট চত্বর এদিন একেবারে পুজো মুডে। বেশি ভিড় কমবয়সি তরুণীদের। ওয়েস্টার্ন ড্রেস, হিল তোলা জুতো আর পুজোর নতুন ট্রেন্ডের খোঁজ করে গেলেন তাঁরা। এলিনা মুখোপাধ্যায় নামে এক তরুণী বলেন, ‘পুজোর শপিং করাটা পুজোরই তো অঙ্গ। নতুন জামা পরেই পুজোর জামা কিনতে এসেছি।’ হাজরা এলাকার একটি কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের পড়ুয়া তিনি। চার বান্ধবীও পুজো শপিংয়ে মেতেছেন এলিনার সঙ্গে। তাঁরাও জানালেন, শনি-রবিবার দু’দিনই কেনাকাটা করার পরিকল্পনা রয়েছে। শনিবারে শুধু ওয়েস্টার্ন। রবিবার গড়িয়াহাট। সেখানে হবে শাড়ি কেনা।
শহরের বাজারগুলির মতো ভিড় উপচে পড়েছে প্রতিমার ‘আঁতুড়ঘর’ কুমোরটুলিতে। প্রচুর মানুষ এদিন ভিড় জমিয়েছিলেন সেখানে। শনিবার দুপুর থেকে ছবি তোলার ভিড়ে তিল ধারণের জায়গা ছিল না।