অতিরিক্ত কর্মের চাপ গ্রহণ করে বেকায়দায় পড়তে পারেন। নতুন কর্মলাভের সম্ভাবনা। আয় বাড়বে। ... বিশদ
সেচমন্ত্রী মানস ভুঁইয়া বলেন, ২০১১ সালে ডিভিসির রিজার্ভারগুলি পলিমুক্ত করার জন্য প্রথমে পার্লামেন্টরি স্ট্যান্ডিং কমিটি এবং পরবর্তীকালে টেকনিক্যাল টিমের সদস্যরা এলাকা পরিদর্শন করে গিয়েছিলেন। রিপোর্টও জমা পড়েছিল কেন্দ্রের কাছে। এখন ওরা বলছে, এই কাজ প্রযুক্তিগত এবং আর্থিকভাবে সম্ভব নয়। এদিকে বছরের পর বছর কেন্দ্রীয় সরকার ফ্লাড ম্যানেজমেন্ট প্রোগ্রাম, পলি উত্তোলন ইত্যাদি খাতে রাজ্যের ন্যায্য কোটি কোটি টাকা দেয়নি।
সূত্রের খবর, ডিভিসির জল ছাড়ার কারণে ৪৫১টিরও বেশি জায়গায় ৩৬ হাজার ৪০৫ মিটার নদীপাড় বা বাঁধ ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ২৭’র বেশি জায়গায় বাঁধ ভেঙে জল ঢুকেছে গ্রামের মধ্যে। এই সমস্ত এলাকায় ইতিমধ্যে মেরামতির কাজ শুরু করেছে সেচদপ্তর। তবে বহু এলাকায় নতুন করে ভাঙন দেখা দিচ্ছে বলেও জানাচ্ছেন আধিকারিকরা। সেই ক্ষেত্রে বালির বস্তা ইত্যাদি ব্যবহার করে প্রাথমিকভাবে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া হচ্ছে। জল নামলে এই সমস্ত জায়গায় পরবর্তী পর্যায়ের কাজে হাত দেওয়া হবে বলেও তাঁরা জানাচ্ছেন। পাঞ্চেত এবং মাইথন দুই ক্ষেত্রেই জল ছাড়ার পরিমাণ কমে ৫০ হাজার কিউসেকে নেমেছে। এই পরিস্থিতিতে মোট ৩০০টি ত্রাণশিবির চলছে। সেখানে আশ্রয় নিয়েছেন প্রায় ৩৫ হাজার মানুষ। ঘাটালে আরও ৩৭টি গ্রুয়েল কিচেন চালু করা হয়েছে। পাশাপাশি দুর্গত এলাকায় চালু করা হয়েছে অনেকগুলি মেডিক্যাল ক্যাম্প।
জেলা প্রশাসনের এক কর্তার কথায়, অনেক জায়গাতেই জল নামতে শুরু করেছে। ফলে ক্ষয়ক্ষতির আসল চিত্র এবার সামনে আসছে। বহু এলাকায় ফসল নষ্ট হয়ে গিয়েছে। মাঠেই পচে গিয়েছে শাকসব্জি। বাংলা শস্যবিমা নিশ্চিত করতে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের নাম নথিভুক্তির কাজও শুরু করেছে কৃষিদপ্তর। বিশেষ সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন মুখ্যমন্ত্রী একাধিকবার মুখ্যসচিব মনোজ পন্থের থেকে খানাকুল, উদয়নারায়ণপুরের সার্বিক পরিস্থিতির খোঁজখবর নেন। বন্যায় দুর্গতদের ত্রাণ সামগ্রী পেতে কোথাও যেন অসুবিধা না হয়, সে ব্যাপারে তিনি ফের একবার সতর্ক করেন।