অতিরিক্ত কর্মের চাপ গ্রহণ করে বেকায়দায় পড়তে পারেন। নতুন কর্মলাভের সম্ভাবনা। আয় বাড়বে। ... বিশদ
পুর চেয়ারপার্সন পাপিয়া পাল অবশ্য বলেছেন, প্রায় ১০ কোটি টাকা ব্যয়ে শহরের ৩২টি রাস্তা তৈরি হবে। বেশিরভাগ কাজের ওয়ার্ক অর্ডার হয়ে গিয়েছে। আমরা চেষ্টা করছি, পুজোর আগে যত বেশি সম্ভব রাস্তার কাজ শুরু করার। যেসব সংস্থা কাজের বরাত পেয়েছে, তারা যাতে দ্রুত কাজ শুরু করে, তার দেখভাল করতে বলা হয়েছে কাউন্সিলারদের।
রাস্তার কাজের মান নিয়ে প্রশ্ন তুলে এদিনের বৈঠকে সরব হন তৃণমূল কংগ্রেসের একাধিক কাউন্সিলার। তাঁদের অভিযোগ, রাস্তা তৈরির কিছুদিনের মধ্যেই ভেঙে যাচ্ছে। কোথাও আবার পিচের চাদর উঠে যাচ্ছে। চেয়ারপার্সন বলেন, এদিনের বৈঠকে ঠিক হয়েছে, এখন থেকে যে ঠিকাদার সংস্থা রাস্তা করবে, তাদের তিনবছর রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব নিতে হবে। নতুবা সেই সংস্থাকে কালো তালিকাভুক্ত করা হবে।
এদিকে, শহরে ৩২টি রাস্তার জন্য অর্থ বরাদ্দ হলেও ২৫ নম্বর ওয়ার্ডের একটি রাস্তাও ধরা হয়নি বলে অভিযোগ তৃণমূল কাউন্সিলার পৌষালি দাসের। তাঁর দাবি, পুজোর আগে ওয়ার্ড পিছু যে চার লক্ষ টাকার কাজ দেওয়া হয়েছে, সেটুকুই হয়েছে। কিন্তু, যে ৩২টি রাস্তা হবে, তার একটিও আমার ওয়ার্ডে দেওয়া হয়নি। কোনও কোনও ওয়ার্ড একাধিক নতুন রাস্তা পেলেও কেন আমার ওয়ার্ড বঞ্চিত, সেই প্রশ্ন রেখেছি মিটিংয়ে। একইসঙ্গে পানীয় জল নিয়েও এদিন বৈঠকে সরব হন পৌষালি। তাঁর কথায়, পরেশ মিত্র কলোনি, নেতাজিপাড়ায় দীর্ঘদিন ধরে জলের সমস্যা। প্রায়ই পুরসভা থেকে ট্যাঙ্ক নিয়ে এসে জল দিতে হচ্ছে বাসিন্দাদের। কতদিন আর এই দুর্ভোগ পোহাতে হবে, বৈঠকে জানতে চাই। আমাকে বলা হয়েছে, পুজোর আগেই সমস্যা মিটবে। রাস্তার কাজ শুরু না হওয়া নিয়ে সরব হন ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের কংগ্রেস কাউন্সিলার অম্লান মুন্সিও। নিজস্ব চিত্র।