অতিরিক্ত কর্মের চাপ গ্রহণ করে বেকায়দায় পড়তে পারেন। নতুন কর্মলাভের সম্ভাবনা। আয় বাড়বে। ... বিশদ
কেশপুরের টাবাগেড়্যা, হাজি চক সহ একাধিক এলাকা জলমগ্ন হয়ে গিয়েছে। চাষের জমিতেও জল রয়েছে। এছাড়া এলাকায় জল ঢুকে যাওয়ায় সমস্যায় পড়তে হচ্ছিল সাধারণ মানুষকে। এলাকার স্বাস্থ্যকর্মীরা ওষুধ দিলেও চিকিৎসকের অভাব ছিল। বেশি অসুস্থ হলে জল পেরিয়ে জীবনের ঝুকি নিয়ে কেশপুর ব্লক গ্রামীণ হাসপাতাল বা মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যেতে হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন সকালে বাসে চেপে জুনিয়র চিকিৎসকদের ১৫ থেকে ২০সদস্যের দল গিয়ে পৌঁছয় কেশপুর ব্লকের টাবাগেড়্যা গ্রামে। আগে থেকেই টাবাগেড়্যা গ্রামের বাজার এলাকায় ভিড় জমিয়েছিলেন সাধারণ মানুষ। চিকিৎসকরা গ্রামে পৌঁছতেই হাসি ফোটে গ্রামবাসীদের মুখে। জানা গিয়েছে, এদিন চিকিৎসকরা বিপুল সংখ্যায় মানুষকে চিকিৎসা পরিষেবা দেন। পাশাপাশি ত্রাণ সামগ্রী তুলে দেওয়া হয়।
এদিন হুইল চেয়ারে বসে তাপস মণ্ডল বলেন, আমি একজন প্রতিবন্ধী। শরীর খারাপ করছিল। কিন্তু চিকিৎসা করাতে পারছিলাম না। অবশেষে চিকিৎসকরা বাড়ির সামনে আসায় অনেকটাই সুবিধা হল। অপর বাসিন্দা নিতাই সেনাপতি সুগারের রোগী। তিনি বলেন, বাড়ির সামনে চিকিৎসকরা আসায় খুব সুবিধা হল। আমরা গ্রামবাসীরা খুবই খুশি হয়েছি। দেখলাম চিকিৎসকরা ত্রাণ সামগ্রী এনেছেন। এতে গ্রামবাসীর উপকার হবে।
এদিন এক জুনিয়র চিকিৎসক বলেন, বিপুল পরিমাণে ওষুধ নিয়ে আসা হয়েছে। গ্রামের মানুষকে ভালো মানের চিকিৎসা পরিষেবা প্রদান করা আমাদের প্রধান লক্ষ্য। আর জি কর থেকেও এক দল চিকিৎসক আসছেন। আন্দোলনের পাশাপাশি মানুষের পাশে থাকাটা খুব জরুরি বলে মনে করি। তাই এমন কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। এদিন কথা হচ্ছিল গ্রামবাসী জিতেন মান্নার সঙ্গে। তিনি বলেন, খুব সমস্যায় পড়েছিলাম। অবশেষে চিকিৎসা করাতে পেরে উপকৃত হলাম। জুনিয়র চিকিৎসকদের অনেক ধন্যবাদ।