অতিরিক্ত কর্মের চাপ গ্রহণ করে বেকায়দায় পড়তে পারেন। নতুন কর্মলাভের সম্ভাবনা। আয় বাড়বে। ... বিশদ
উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে পিজিটি ও জুনিয়র ডাক্তারদের আউটডোরের কর্মবিরতি চলছে। এর জেরে রোগী হয়রানি অব্যাহত। তবে রোগীসংখ্যা কম থাকায় এদিন ডাক্তারের অভাব বোঝা যায়নি। এদিন উত্তর দিনাজপুর জেলার চোপড়ার এক বৃদ্ধা জরুরি বিভাগে ডাক্তার দেখাতে আসেন। কিন্তু, রোগীকে হাসপাতাল ভর্তি না নেওয়ায় পরিবারটি সমস্যায় পড়েছে। রোগীর মেয়ে মজিনা খাতুন বলেন, আমার মা মমিনা খাতুন রক্তচাপ বেড়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন। ইসলামপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। দু’দিন থাকার পর ওখানে চিকিৎসকরা আমার মাকে আর দেখেননি। স্যালাইন দিয়ে ফেলে রাখা হয়েছিল। আমার মা কথা বলতে পারছেন না। দাঁড়াতে পারছেন না। জিহ্বা জড়িয়ে যাচ্ছে। তাই মায়ের প্রয়োজনীয় চিকিৎসার জন্য উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে এনেছিলাম। মজিনার অভিযোগ, এদিন জরুরি বিভাগে ডাক্তাররা দেখার পর কিছু ওষুধ লিখে মাকে বাড়ি নিয়ে যেতে বলেন। মা দাঁড়াতে পারছেন না। বারবার এতটা পথ আসবেন কিভাবে? এতটা পথ আসার মতো আর্থিক খরচও আছে। আমাজের আশঙ্কা, রক্তচাপ বেড়ে মায়ের স্ট্রোক হয়েছে। ভর্তি করে প্রয়োজনীয় পরীক্ষা করে চিকিৎসা করতে পারলেই মা সুস্থ হয়ে উঠতেন। ডাক্তারদের বলা হলেও তাঁরা কর্ণপাত করেননি।
অসুস্থ মা›কে জরুরি বিভাগের সামনে শুইয়ে রেখে বাড়ির লোকের অপেক্ষা করা ছাড়া আর কোনও উপায় ছিল না মজিনার কাছে। দুপুর তিনটে পর্যন্ত জরুরি বিভাগের সামনে জুনিয়র ডাক্তারদের অবস্থান মঞ্চে শুইয়ে রেখে তিনি দিশেহারা হয়ে বসে থাকেন।
যদিও হাসপাতাল সুপার সঞ্জয় মল্লিক বলেন, এধরনের পরিস্থিতিতে পরিবারে রোগীর পরিবারের লোকেরা যোগাযোগ করলে গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা যেতে পারে। নিজস্ব চিত্র।