অতিরিক্ত কর্মের চাপ গ্রহণ করে বেকায়দায় পড়তে পারেন। নতুন কর্মলাভের সম্ভাবনা। আয় বাড়বে। ... বিশদ
গঙ্গোপাধ্যায়দের আদি বাড়ি ছিল উদয়নারায়ণপুর। ছয় প্রজন্ম আগে অবিনাশ গঙ্গোপাধ্যায় স্বপ্নাদেশ পান। সেই সময় উদয়নারায়ণপুরেই তিনিই শুরু করেছিলেন পুজো। স্বপ্নাদেশে যেমন দেবীমূর্তি দেখেছিলেন তেমনই প্রতিমা তৈরি করে পুজো শুরু হয়। সেই কারণে এই পরিবারে মৃৎশিল্পীরা বংশপরম্পরায় প্রতিমা তৈরি করে আসছেন। ঢাকিও রয়েছে প্রথা মেনে। এই পরিবারের পুজো এখনও সংরক্ষিত তালপাতার পুঁথি মেনেই হয়। বর্তমান বংশধর হরেরাম গঙ্গোপাধ্যায়। তবে তাঁর বয়স বাড়ায় পুজোর পরিচালনা করেন ছেলে পবিত্র গঙ্গোপাধ্যায়।
বছরের পর বছর ধরে একই রীতি মেনেই পুজো হয়ে আসছে এই পরিবারে। জানা গিয়েছে, আষাঢ় মাসের রথের দিন থেকে বাঁশ কাটা হয়। জন্মাষ্টমীর দিন চণ্ডীপাঠের মধ্য দিয়ে মূর্তি তৈরির কাজ শুরু করেন মৃৎশিল্পী। বোধন থেকে শুরু হয় পুজো। ষষ্ঠীর দিন সন্ধ্যায় হয় আমন্ত্রণ অধীবাস। অর্থাৎ পারিবারিক সোনা, রুপোর অস্ত্রশস্ত্র দিয়ে দেবীকে সাজানো হয়। অষ্টমীর সকালে ১০৮ঘড়া জল দিয়ে দুর্গাস্নান করানো হয়। পবিত্রবাবু বলেন, আমার দাদু মেহেরপুরে এসে বসবাস করতেন। তখন হাওড়ায় পুজো হতো। একদিন ঠাকুমা স্বপ্ন দেখেন দেশের বাড়ির পুজো বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। সেই কারণে এই জায়গায় পুজো শুরু করতে হবে। এই স্বপ্ন দেখার পরের দিন হাওড়া থেকে ওই বাড়ির একজন তাল পাতার পুঁথি সহ মায়ের সমস্ত জিনিস এই বাড়িতে দিয়ে যায়। তারপর থেকে আমরা এই পুজোর দায়িত্ব পাই। - নিজস্ব চিত্র