Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

এরপরেও আন্দোলন অরাজনৈতিক!
তন্ময় মল্লিক

অভয়া খুনের জাস্টিস, নাকি প্রশাসনিক কর্তাদের পদত্যাগ? এই মুহূর্তে রাজ্যের আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তারদের লড়াইটা ঠিক কী নিয়ে, সেটাই কেমন যেন গুলিয়ে যাচ্ছে। আন্দোলন ‘অরাজনৈতিক’ প্রমাণে ডাক্তারবাবুরা বিজেপি নেতাদের আন্দোলনস্থলের ত্রিসীমানায় দেখলেই রে রে করে উঠছেন। গো ব্যাক স্লোগানও দিচ্ছেন। কিন্তু তাঁরা কি সত্যিই সমস্যার সমাধান চাইছেন? এই প্রশ্ন ওঠার কারণ আলোচনায় বসার শর্তে ছত্রে ছত্রে রয়েছে রাজনৈতিক প্যাঁচ। বদলে যাচ্ছে এজেন্ডা। লম্বা হচ্ছে আমলা ও স্বাস্থ্যকর্তাদের পদত্যাগের তালিকা। আর তাতেই ছড়াচ্ছে রাজনীতির কটূ গন্ধ।
৮ আগস্ট রাতে আর জি করে ঘটা নৃশংসতম হত্যাকাণ্ডের বিচার চায় বাংলা। বাংলার চিকিৎসক কন্যার ধর্ষক, খুনি ও ষড়যন্ত্রকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তি দেখতে অভয়ার বাবা, মায়ের সঙ্গে মুখিয়ে রয়েছে গোটা দেশ। তাই জুনিয়র ডাক্তাররা অভয়ার বিচারের দাবিতে আন্দোলন শুরু করতেই সঙ্গ দিয়েছে আবেগতাড়িত বাংলা। দলমত নির্বিশেষে সমস্ত মানুষ তাঁদের পাশে দাঁড়িয়েছে। চিকিৎসকদের কর্মবিরতির জেরে বহু মানুষের চরম ভোগান্তি সত্ত্বেও প্রতিবাদ হয়নি। কিন্তু সুপ্রিম কোর্ট ও রাজ্য সরকার বারবার তাঁদের কাজে যোগ দেওয়ার আবেদন জানানোর পরেও কর্মবিরতিতে তাঁরা অনড়। তাতে অনেকেরই মনে হচ্ছে, সমাধান নয়, আন্দোলন চালিয়ে যাওয়াটাই লক্ষ্য। তাই চিকিৎসকদের আন্দোলনকে সামনে রেখে রাজনীতি করার যে অভিযোগ এতদিন উঠছিল চুপিসারে, এখন সেটাই এসেছে প্রকাশ্যে।
প্রশ্ন হচ্ছে, বারবার প্রত্যাখ্যাত হয়েও বিজেপি কেন আন্দোলনকারী চিকিৎসকদের ‘নৈতিক সমর্থন’ জুগিয়ে যাচ্ছে? এর পিছনে রয়েছে ভোটের অঙ্ক। ২০১৮ সাল থেকে সিপিএম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে যত আন্দোলন করেছে তার সব সুফল পেয়েছে গেরুয়া শিবির। চব্বিশের লোকসভা নির্বাচনেও তার প্রতিফলন সুস্পষ্ট। এবারের এই আন্দোলনও মূলত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের বিরুদ্ধে। তাতে বিজেপির আহ্লাদিত হওয়ার কথা। তার বদলে হচ্ছে শঙ্কিত। কিন্তু কেন? 
চিকিৎসকদের এই আন্দোলনে শহুরে মধ্যবিত্ত ও বড় লোকদের একটা বড় অংশ সিপিএমের পতাকার নীচে এসে দাঁড়িয়েছে। আর জি কর নিয়ে প্রথম থেকেই মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়রা লড়াইয়ের সামনের সারিতে রয়েছেন। অভয়ার এক আত্মীয়ার মুখে মীনাক্ষীর প্রশংসা রীতিমতো ভাইরাল। তাতে তৃণমূল বিরোধী শহুরে ভোটের একটা অংশ ফের বামে ফিরবে, এই ভয় পাচ্ছে গেরুয়া শিবির। সেই আশঙ্কা থেকেই ‘ছাত্রসমাজ’কে ময়দানে নামানো হয়েছিল। কিন্তু লাভ হয়নি। উল্টে বিশৃঙ্খলা পাকিয়ে শান্তিপূর্ণ গণআন্দোলন থেকে অনেক দূরে সরে গিয়েছে তারা। তাই জুনিয়র ডাক্তাররা বিজেপির সামনে বারবার ‘নো এন্ট্রি’ বোর্ড ঝুলিয়ে দিলেও গেরুয়া শিবির গায়ে মাখছে না। বিজেপি নেতৃত্ব জানে, বাম ভোটের ‘ঘরওয়াপসি’ ঘটলেই তাদের অবস্থা হবে ভাঁড়ে মা ভবানী।
তারপরেও জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলন ঘিরে কেন উঠছে রাজনীতির অভিযোগ? অনেকে বলছেন, প্রথম থেকেই এই আন্দোলনের পিছনে ছিল বামেদের মদত। এখন তারসঙ্গে জুড়ে গিয়েছে অতি বামেদের যুক্ত থাকার অভিযোগ। কারণ প্রথমদিকে অভয়া খুনের জাস্টিসই ছিল চিকিৎসকদের দাবি। কিন্তু এখন? সরকারি আমলা সহ স্বাস্থ্যকর্তাদের পদত্যাগ। লক্ষ্যের চেয়ে উপলক্ষ্য বড় হয়ে গিয়েছে। এমনটাই নাকি হয়েছিল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে। 
২০১৪ সালে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে এক ছাত্রীর শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠেছিল। বিচারের দাবিতে উত্তাল হয়েছিল বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস। পরে তা আছড়ে পড়েছিল কলকাতার রাজপথে। শুরু হয়েছিল ‘হোক কলরব’। দাবি উঠেছিল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অভিজিৎ চক্রবর্তীর পদত্যাগ। আন্দোলনের চাপে অভিজিৎবাবুকে উপাচার্যের পদ থেকে সরে যেতে হয়েছিল। আর তারপরেই থেমে গিয়েছিল ছাত্রছাত্রীদের আন্দোলন। কিন্তু ওই ছাত্রী ‘জাস্টিস’ পেয়েছিলেন কি না, তার খবর কেউই রাখেননি। না আন্দোলনকারীরা, না তাঁদের মদতদাতারা।
জুনিয়র ডাক্তাররাও দিনদিন যাদবপুরের স্টাইলে সরকারি আমলাদের পদত্যাগের তালিকা লম্বা করে চলেছেন। শুরু হয়েছিল কলকাতা পুলিস কমিশনারকে দিয়ে। ইতিমধ্যেই তা পৌঁছেছে স্বাস্থ্যসচিব পর্যন্ত। তাঁরা জানিয়েছেন, পদত্যাগের দাবি সরকার মানলে তবেই তাঁরা কাজে ফিরবেন। আর তাতেই অনেকে আন্দোলনকারী চিকিৎসকদের উপর যাদবপুরের ছায়া দেখতে পাচ্ছেন।
অভয়ার খুনের তদন্ত করছে সিবিআই। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সময় নেওয়ায় সিপিএম ‘সেটিং’ তত্ত্বে শান দিচ্ছে, কিন্তু সিজিও কমপ্লেক্সে যাচ্ছে না। তাদের আক্রমণের লক্ষ্য পুলিস ও রাজ্য সরকার। জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনের অভিমুখও সেই দিকেই। এই মুহূর্তে যারা অভয়া খুনের ঘটনায় জাস্টিস দিতে পারবে, সেখানে ডাক্তারবাবুরা চাপ দিচ্ছেন না। উল্টে তাঁদের দেওয়া শর্তে ফুটে উঠছে রাজ্য সরকারকে ‘ভিলেন’ বানানোর প্রয়াস। তাতেই সরকার ও রাজ্যের শাসকদল আন্দোলনের পিছনে রাজনৈতিক চক্রান্তের অভিযোগ তোলার সুযোগ পেয়ে যাচ্ছে।
মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যবাসীকে পুজোয় ও উৎসবে ফেরার আবেদন জানিয়েছেন। তাতেই বাম এবং অতি বামেরা সোশ্যাল মিডিয়ায় মুখ্যমন্ত্রীর মুণ্ডপাত করছেন। অনেকে আবার লজ্জায় মাটিতে মিশে যেতে চাইছেন। কিন্তু তাঁরা একবারও কি পুজোর সঙ্গে যুক্ত খেটেখাওয়া মানুষগুলোর কথা ভেবেছেন? পরিসংখ্যান বলছে, গত বছর পুজোয় রাজ্যে ৬০ হাজার কোটি টাকার ব্যবসা হয়েছিল। বেনিফিসিয়ারির মধ্যে যেমন চা, চপ, রোল, ঝালমুড়ি বিক্রেতা আছেন তেমনই আছেন ডেকরেটর কর্মী, মৃৎশিল্পী, আলোকশিল্পীরা।  
বিরোধী দলের কর্মী-সমর্থকরা প্রধানমন্ত্রী, মুখ্যমন্ত্রীর কুশপুতুল পোড়াবেন, তাঁদের বক্তব্যের সমালোচনা করবেন, তাঁকে নিয়ে কার্টুন আঁকবেন, এটাই তো স্বাভাবিক। এটাই তো গণতন্ত্র। তবে,তাদের সমালোচনা মানুষ কতটা বিশ্বাস করবে, সেটা নির্ভর করে কে বা কারা বলছে তার উপর। যেমন গণতান্ত্রিক আন্দোলনের সমস্যা ধৈর্য সহকারে আলোচনার মাধ্যমে মেটানো উচিত, একথা সিপিএম বললে মানুষ কি গ্রহণ করবে? কেন এই সংশয়?
সালটা ছিল ১৯৮৩। বামফ্রন্ট সরকার সবে বিপুল শক্তি নিয়ে দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় বসেছে। রাজ্যের ধর্মঘটী জুনিয়র চিকিৎসকরা মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসুর সঙ্গে দেখা করে ২৪ ঘণ্টা ব্লাড ব্যাঙ্ক, ইসিজি প্রভৃতি চালু ও কিছু জরুরি ওষুধ রাখার দাবি জানালেন। জ্যোতিবাবু জুনিয়র চিকিৎসকদের বলেছিলেন, ‘এসব নিয়ে পরে ভাবা যাবে। ধর্মঘট তুলে নিন। আপনারা সাধারণ মানুষের জীবন নিয়ে খেলছেন।’
মুখ্যমন্ত্রী দাবি না মানায় জুনিয়র ডাক্তাররা ধর্মঘট চালিয়ে যেতে লাগলেন। কয়েকদিন পর জুনিয়র ডাক্তারদের সাত প্রতিনিধিকে রাইটার্সে ডেকে পাঠালেন। মিটিং শুরু হল। জ্যোতিবাবু বললেন, ‘আপনারা কী করবেন, সেটা আপনাদের ব্যাপার। আমরা চুপ করে বসে থাকব না।’ চিকিৎসকরা বলতে গেলেন, মানুষের স্বার্থেই তাঁদের এই ধর্মঘট। উত্তর এল, ‘মানুষের দাবি আপনাদের কাছ থেকে শিখব?’ জুনিয়র ডাক্তারা বোঝানোর চেষ্টা করলেন অসুস্থ মানুষের স্বার্থেই তাঁদের আন্দোলন। এবার উত্তরটা একটু কড়া, ‘আগে স্ট্রাইক তুলুন, পরে ভাবব। সীমা ছাড়াচ্ছেন। বিপদে পড়বেন। আমার কথা শেষ।’
জুনিয়র চিকিৎসকদের সেই ধর্মঘটের পরিণতি কী হয়েছিল? এক সন্ধ্যায় লালবাজার থেকে তিন ভ্যান পুলিস গেল ন্যাশানাল মেডিক্যালে। কোনও কথা না বলেই শুরু হল ধর্মঘটী জুনিয়র ডাক্তারদের উপর লাঠিচার্জ। রক্তাক্ত হলেন চিকিৎসকরা। পুলিসের মার থেকে বাঁচতে কেউ কেউ ভিড়ের মধ্যে গা ঢাকা দেওয়ার চেষ্টা করলেন। কিন্তু কমরেডরা তাঁদের চিনিয়ে দিলেন। সেদিন ১৪জন জুনিয়র ডাক্তারকে পেটাতে পেটাতে লালবাজার নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। চিকিৎসকরা কাজে যোগ দিতে বাধ্য হয়েছিলেন। 
সেদিন ‘সাধারণ মানুষের স্বার্থের’ কথা বলেই জ্যোতি বসু জুনিয়র চিকিৎসকদের আন্দোলন ভেঙেছিলেন। তিনি মনে করতেন, শ্রেণি সংগ্রামের কথা বলে রাজ্যের ক্ষমতায় এসেছে বামফ্রন্ট। তাই চিকিৎসকদের ধর্মঘটের জন্য গরিব মানুষ হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসা পাবে না, সেটা মানতে পারেননি। বঙ্গ সিপিএম শূন্যে নেমে যাওয়ায় কি শ্রেণি সংগ্রামের কথাটাই ভুলে গেল? তা না হলে শহুরে মধ্যবিত্ত ভোটের পিছনে ছুটতে গিয়ে কি গরিব মানুষের দুর্ভোগকে উপেক্ষা করতে পারত?
জ্যোতি বসু সেদিন ‘অন্য মিটিং আছে’ বলে ধর্মঘটী চিকিৎসকদের সঙ্গে আলোচনা ছেড়ে উঠে গিয়েছিলেন। আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চিকিৎসকদের সঙ্গে আলোচনার জন্য ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করলেন। চিকিৎসকরা নবান্নে গেলেন, কিন্তু লাইভ স্ট্রিমিংয়ের দাবি পূরণ না হওয়ায় আলোচনায় বসলেন না। তাতে উঠছে প্রশ্ন, জুনিয়র চিকিৎসকরা কি রাজনীতির বোরে হয়ে গেলেন, নাকি কর্পোরেটের হাতের পুতুল! কর্মবিরতিতে সরকারি হাসপাতাল যত ফাঁকা হচ্ছে, ততই রোগীর ভিড় বাড়ছে বেসরকারি হাসপাতালে।
14th  September, 2024
বিচারের সামনে দাঁড়াতে হবে সবাইকে!
হিমাংশু সিংহ

গত সপ্তাহে একদিন দুপুরে হাতিবাগানে ঘুরছিলাম। ঝিরঝিরে বৃষ্টিতেও পুজোর মাত্র একমাস আগে এমন বিবর্ণ বিধান সরণি দেখিনি। কয়েকদিন আগে গড়িয়াহাটেও একই অভিজ্ঞতা হয়েছিল। বড় বড় ঝাঁ-চকচকে দোকানে সেলসম্যানের চেয়ে ক্রেতা কম। বিশদ

বাংলাকে ‘বাংলাদেশ’ করার ছক বানচাল
তন্ময় মল্লিক

জুনিয়র ডাক্তারদের দাবি মেনে নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী কি ভুল করলেন? গত কয়েকদিন ধরে এটাই ছিল মূল চর্চিত বিষয়। কলকাতা পুলিসের কমিশনার সহ স্বাস্থ্যকর্তাদের সরিয়ে দেওয়ার পরেও চিকিৎসকরা কর্মবিরতি তুলতে গড়িমসি করছেন। বিশদ

21st  September, 2024
আবেগ, আন্দোলন এবং আইন
সমৃদ্ধ দত্ত

প্রথমে হয়ে উঠেছিল নাগরিক আন্দোলন। কথা ছিল পর্যবসিত হবে গণআন্দোলনে। অথচ মাত্র এক মাসের মধ্যে সেই আন্দোলন আবদ্ধ হয়ে গেল নিছক জুনিয়র ডাক্তারদের কর্মবিরতি এবং অবস্থানের আবর্তে। কেন? এর উত্তর সন্ধান করতে হবে নাগরিকদের। বিশদ

20th  September, 2024
বিচার না রাজনীতি, সিবিআই কী চায়?
মৃণালকান্তি দাস

সিবিআই, ইডি, ভিজিলেন্স এজেন্সিকে রাজনৈতিক দাসত্ব ছাড়তে হবে। বলেছিলেন দেশের সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি এন ভি রামান্না। বিশদ

19th  September, 2024
চিকিৎসা ব্যবসাতেও স্বচ্ছতার দাবি মানুষের
সন্দীপন বিশ্বাস

বর্ধমান, নদীয়া, মুর্শিদাবাদ বা বীরভূমের ঢাকিপাড়ায় ইতিমধ্যে বোধন হয়ে গিয়েছে। বসন্ত, রসিক কিংবা শ্যামাপদর ঢাকের আওয়াজ ছড়িয়ে পড়ছে গ্রামের বুকে। আর দিনকয়েক পরেই কাঁধে ঢাক নিয়ে ওঁরা বেরিয়ে পড়বেন বিভিন্ন মণ্ডপে।
বিশদ

18th  September, 2024
অচলাবস্থায় ক্ষতি সরকারের নয়, মানুষের
শান্তনু দত্তগুপ্ত

বিশ্বাসবাবু কাল মিছিলে গিয়েছিলেন। বৃষ্টি মাথায় নিয়েই। বেসরকারি এক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কাজ করেন তিনি। না গেলে আর হচ্ছিলও না। কলেজের ছেলেমেয়েগুলো বাঁকা চোখে তাকাচ্ছিল। ওরা রোজই প্রায় হাজিরা দিচ্ছে স্বাস্থ্য ভবনের অবস্থানে। বিশদ

17th  September, 2024
এখন মণিপুর যেন চাঁদের অন্ধকার দিক!
পি চিদম্বরম

মণিপুর নিয়ে বার বার লিখিনি। আমার সাপ্তাহিক কলামের পাতা ওল্টাতে বসেই খেয়াল করলাম ব্যাপারটা। এজন্য এখন নিজেকেই তিরস্কার করছি। মণিপুর নিয়ে শেষবার লিখেছিলাম গতবছরের ৩০ জুলাই। অর্থাৎ তারপর ১৩টি মাস পেরিয়ে গিয়েছে! তাই নিজেকেই ক্ষমার অযোগ্য মনে হচ্ছে।
বিশদ

16th  September, 2024
‘বিচার’ ও ‘সিবিআই’ এবং ‘মমতা’
হিমাংশু সিংহ

একজনকে বিচার দেওয়া মানে কি অন্যদের সঙ্গে অবিচার! তাও তো আর এক অন্যায়ের জন্ম দেবে! আবেগ থাকতে বাধ্য, নির্যাতিতার বিচারও নিঃসন্দেহে আমাদের সবার অগ্রাধিকার, কিন্তু সুবিচার কোনও মামলাতেই রাতারাতি মেলে না। প্রমাণ থাকলেও না, আর প্রমাণ না থাকলে তো কথাই নেই। বিশদ

15th  September, 2024
একক শক্তির জয়যাত্রা
সমৃদ্ধ দত্ত

সমাজে দুই রকম শক্তি আছে। ভিড়ের শক্তি। আর একক শক্তি। ভিড়ের শক্তির মধ্যে অনেক সময় মিশে থাকে একটি বিভ্রান্তি। সেটি হল, ওই দলবদ্ধ শক্তিকেই নিজের শক্তি হিসেবে ভেবে নেওয়া। এবং আমিও খুব শক্তিশালী, এই মনোভাবে নিজেকে নিজে তুষ্ট করা। বিশদ

13th  September, 2024
উৎসব বয়কট বনাম শ্রেণির লড়াই!
মৃণালকান্তি দাস

বোলপুর থেকে শান্তিনিকেতন ছুঁয়ে বেঁকে যায় বিনুড়িয়ার পথ। নীল আকাশ, দু’ধারের ধান জমি, কাশফুল, মেঘ-রোদের লুকোচুরি— এই তল্লাটেই নকশি কাঁথা বিছোন আনসুরা বিবি, কাকলি টুডুরা। বিশদ

12th  September, 2024
বিচার চলুক, বাঁচুক বাংলার অর্থনীতিও
হারাধন চৌধুরী

সহকর্মীদের বেদম প্রহারের ফলে ৬ সেপ্টেম্বর রাজস্থানের জয়পুরে প্রাণ হারালেন বাংলার এক পরিযায়ী শ্রমিক। মোতি আলি নামে ওই যুবক ছিলেন মালদহের বাসিন্দা। এই ঘটনার মাত্র একসপ্তাহ আগে শিরোনাম দখল করে হরিয়ানা। ‘গোমাংস ভক্ষণ’ সন্দেহে বাংলারই এক পরিযায়ী শ্রমিককে পিটিয়ে মারা হয় সেখানে। বিশদ

11th  September, 2024
গোরক্ষার নামে হত্যা! রুখে দাঁড়াক সমাজ
শান্তনু দত্তগুপ্ত

‘আহা! পিটিয়ে মারা হয়েছে বলবেন না। গোরক্ষায় কঠোর একটা আইন রয়েছে রাজ্যে। তার সঙ্গে তো আর কোনওরকম সমঝোতা চলে না! ওরা যদি এমন কোনও খবর পায়, কে আটকাবে ওদের?’ খুন হয়েছেন সাবির মল্লিক। প্রকাশ্যে। বিশদ

10th  September, 2024
একনজরে
শুক্রবার রাতে কুলটি থানার চিনাকুড়িতে ফের শ্যুটআউটের ঘটনা ঘটল। প্রাক্তন বিধায়ক উজ্জ্বল চট্টোপাধ্যায়ের বাড়ির সামনে স্থানীয় বাসিন্দা কৃষ্ণা নুনিয়াকে লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি গুলি চালায় দুষ্কৃতীরা। জানা গিয়েছে, দু’টি বাইকে চারজন এসে তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। ...

ভারতীয় বি দলকে বড় রানের টার্গেট দিতে চলেছে ডি দল। দ্বিতীয় ইনিংসে তাদের স্কোর ৫ উইকেটে ২৪৪। সবমিলিয়ে শ্রেয়স আয়ারদের লিড এখন ৩১১। সেঞ্চুরি থেকে দশ রান দূরে দাঁড়িয়ে রিকি ভুঁই। ৮৭ বলে তাঁর ৯০ রানের (ব্যাটিং) ইনিংসে রয়েছে ১০টি ...

বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটারদের তথ্য সংগ্রহের কাজ ২০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে শেষ করার সময়সীমা দেওয়া হয়েছিল বুথ লেভেল অফিসারদের (বিএলও)। কিন্তু সময়সীমা শেষ হলেও দেখা যাচ্ছে, এখনও একাধিক জেলায় সেই কাজ অনেকটা বাকি। ...

আর জি কর কাণ্ডে ৪১ দিনের কর্মবিরতি আংশিক প্রত্যাহার করেছেন জুনিয়ার ডাক্তাররা। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁদের দাবি মেনে কলকাতার নগরপাল সহ পুলিস ও স্বাস্থ্য প্রশাসনের একাধিক কর্তাকে অপসারিত করেছেন। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

অতিরিক্ত কর্মের চাপ গ্রহণ করে বেকায়দায় পড়তে পারেন। নতুন কর্মলাভের সম্ভাবনা। আয় বাড়বে। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব গাড়িমুক্ত দিবস
বিশ্ব গণ্ডার দিবস


১৪৯৯: বাসেল চুক্তির অধীনে সুইজারল্যান্ড একটি স্বাধীন রাজ্য হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করে
১৫৩৯: পাঞ্জাবের শহর কর্তারপুরে প্রয়াত গুরু নানক
১৫৯৯: লন্ডনে ফাউন্ডার্স হলে ২৪ জন ব্যবসায়ী ভারতে ব্যবসা করার সিদ্ধান্ত নেন, এভাবেই ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি গড়ে উঠে
১৭৩৫: ব্রিটেনের প্রথম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ১০ ডাউনিং স্ট্রিটে বসবাস শুরু করেন রবার্ট ওয়ালপোল
১৭৯১: ইংরেজ রসায়নবিদ এবং পদার্থবিজ্ঞানী মাইকেল ফ্যারাডের জন্ম
১৮৬২: আব্রাহাম লিঙ্কন ক্রীতদাসদের মুক্তির আদেশ সংক্রান্ত ঘোষণায় স্বাক্ষর করেন
১৮৮৮: ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক ম্যাগাজিন প্রথম প্রকাশিত
১৯১৫:  নদিয়া পৌরসভার নামকরণ বদল করে করা হয় নবদ্বীপ পৌরসভা
১৯৩৯: প্রথম এভারেস্ট জয়ী মহিলা জুনকো তাবেইয়ের জন্ম
১৯৬২:  নিউজিল্যাণ্ডের প্রাক্তন ক্রিকেটার তথা ধারাভাষ্যকার মার্টিন ক্রোর জন্ম
১৯৬৫: শেষ হল ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ। রাষ্ট্রসংঘের আহ্বানে সাড়া দিয়ে দু’দেশ যুদ্ধ বিরতি ঘোষণা করল
১৯৭০: লেখক শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়ের মৃত্যু
১৯৭৬: শ্রীলঙ্কান প্রাক্তন ক্রিকেট তারকা থিলান সামারাবীরার জন্ম
১৯৮০: ইরান আক্রমণ করল ইরাক
১৯৮৩: বিপ্লবী তথা সুভাষচন্দ্রের ঘনিষ্ঠ অনুগামী জ্যোতিষচন্দ্র জোয়ারদারের মৃত্যু
১৯৮৪:ব্রাজিলীয় ফুটবলার থিয়াগো সিলভার জন্ম
১৯৯১: মারাঠি ও হিন্দি চলচ্চিত্রের কিংবদন্তি অভিনেত্রী পদ্মশ্রী দুর্গা খোটের মৃত্যু
১৯৯২: ভারতীয় চলচ্চিত্র পরিচালক ও রাজশ্রী প্রোডাকশনের প্রতিষ্ঠাতা তারাচাঁদ বারজাতিয়ার মৃত্যু
১৯৯৫: নাগারকোভিল স্কুলে বোমা ফেলল শ্রীলঙ্কার বায়ুসেনা, মৃত্যু হয় ৩৪টি শিশুর, যাদের মধ্যে বেশিরভাগই তামিল
২০১১: ক্রিকেটার মনসুর আলি খান পতৌদির মৃত্যু
২০১১: অভিনেতা বিভু ভট্টাচার্যের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮২.৬৮ টাকা ৮৪.৪২ টাকা
পাউন্ড ১০৯.৫৩ টাকা ১১৩.১১ টাকা
ইউরো ৯১.৭৫ টাকা ৯৪.৯৫ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
21st  September, 2024
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৪,১০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৪,৫০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭০,৮০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৯,০০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৯,১০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]
21st  September, 2024

দিন পঞ্জিকা

৬ আশ্বিন, ১৪৩১, রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২৪। পঞ্চমী ২৫/৩৮ দিবা ৩/৪৪। কৃত্তিকা নক্ষত্র ৫৩/৫৫ রাত্রি ১১/৩। সূর্যোদয় ৫/২৮/৫৪, সূর্যাস্ত ৫/২৯/৫৪। অমৃতযোগ প্রাতঃ ৬/১৬ গতে ৮/৪১ মধ্যে পুনঃ ১১/৫৪ গতে ৩/৫ মধ্যে। রাত্রি ৭/৫২ গতে ৯/২৯ মধ্যে পুনঃ ১১/৫৩ গতে ১/২৯ মধ্যে পুনঃ ২/১৭ গতে উদয়াবধি। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৩/৫৩ গতে ৪/৪১ মধ্যে। বারবেলা ৯/৫৯ গতে ১/০ মধ্যে। কালরাত্রি ১২/৫৯ গতে ২/২৯ মধ্যে। 
৫ আশ্বিন, ১৪৩১, রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২৪। পঞ্চমী রাত্রি ৯/১৩। ভরণী নক্ষত্র দিবা ৬/৩২ পরে কৃত্তিকা নক্ষত্র শেষরাত্রি ৫/১৮। সূর্যোদয় ৫/২৮, সূর্যাস্ত ৫/৩২। অমৃতযোগ দিবা ৬/২৩ গতে ৮/৪১ মধ্যে ও ১১/৪৫ গতে ২/৫০ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৩৮ গতে ৯/১৮ মধ্যে ও ১১/৫৭ গতে ১/২৭ মধ্যে ও ২/১৭ গতে ৫/২৯ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৩/৩৬ গতে ৪/২২ মধ্যে। বারবেলা ১০/০ গতে ১/১ মধ্যে। কালরাত্রি ১/০ গতে ২/২৯ মধ্যে। 
১৮ রবিয়ল আউয়ল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
শ্রীলঙ্কা প্রেসিডেন্ট নির্বাচন: জয়ী এনপিপি নেতা অনুরা কুমারা দেশনায়েক

10:27:43 PM

কেশিয়াড়িতে পুজো কমিটির হাতে তুলে দেওয়া হল অনুদান
পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশিয়াড়িতে পুজো কমিটিগুলির হাতে তুলে দেওয়া হল দুর্গাপুজোর ...বিশদ

09:56:00 PM

আইএসএল: ইস্ট বেঙ্গলকে ১-২ গোলে হারাল কেরল

09:32:00 PM

আইএসএল: ইস্ট বেঙ্গল ১-কেরল ১ (৬৩ মিনিট)

08:53:00 PM

আইএসএল: ইস্ট বেঙ্গল ১-কেরল ০ (৬০ মিনিট)

08:50:00 PM

আইএসএল: ইস্ট বেঙ্গল ০-কেরল ০ (৫৩ মিনিট)

08:43:00 PM