Bartaman Patrika
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
 

ঘুড়ির পিছে ঘোরাঘুরি
রজত চক্রবর্তী

আরও আরও উপরে। আরও উপরে। ওই আমাদের বাড়ি ছোট হয়ে যাচ্ছে ক্রমশ। বুল্টিদের বাড়ির ছাদ ছোট্ট হয়ে গিয়েছে। দড়িতে টাঙানো বুল্টির লাল জংলা ফ্রক আর দেখা যাচ্ছে না। করদের মাঠ, পুকুর, আম-জাম-পাকুড়-লিচুগাছেদের ভিড়, বাড়িগুলো সব ছোট ছোট, শুধু ছাদের পর ছাদ। এক আশ্চর্য পৃথিবী দেখছে তনু। অনেক উপর থেকে। চারপাশে অজস্র রঙিন ঘুড়ি উড়ছে। লাল-সাদা পেটকাটি ঘুড়িটা একেবারে হাতের গোড়ায় সোজা হয়ে তিরতির করে উড়ছে। দেখছে তাকিয়ে তাকিয়ে। মিটি মিটি হাসছে। পাশেই গা ঘেঁষে হলুদ-কালো মুখপোড়া তিড়িং বিড়িং ভল্ট খাচ্ছে। একটা চাপরাশ একবারে পেট ছুঁয়ে চলে গেল। ‘হেব্বি মজা’ পাচ্ছে তনু। হাত-পা ছড়িয়ে আকাশে এমন ঘুড়িদের সঙ্গে উড়া-উড়ি! একটা চাঁদিয়াল সাঁই সাঁই করে তেড়ে এল তনুর দিকে। টুক করে মাথা নিচু করে পাশে উড়ে গেল তনু। পাশেই হাফ চাপরাশ শোঁ করে এসে দিল সুতোয় প্যাঁচ লাগিয়ে। ঢিল দে, ঢিল দে। লাটাই ছাড়। সুতো ছাড়। লাট মারছে তনু। আরও ঢিল দিতে হবে। সুতোয় টান লাগল। চারিদিকে ঘুড়িগুলো চিৎকার করে উঠল—ভোকাট্টাআআআ। খিল খিল হেসে উঠল পেটকাটি। চারিদিকে দুয়োওও, দুয়োওও, ভোকাট্টাআআআ প্রচণ্ড ফ্যাঁসফ্যাঁসে উল্লাস। ঘুড়িগুলো নাচানাচি করছে তনুকে ঘিরে। তনুর শরীর হাল্কা হয়ে গিয়েছে। কোনও টান নেই। সুতো ঝুলছে নীচে। হাওয়ায় হাওয়ায় ভাসতে ভাসতে চলেছে সে। ভার নেই। হাত-পা ছুঁড়ছে যত, তত সুতোর জালে জড়িয়ে যাচ্ছে। অসম্ভব জল তেষ্টা। চিৎকার করার চেষ্টা করছে। পারছে না। গলা দিয়ে কোনও আওয়াজ বেরচ্ছে না। পড়ছে নীচে। ভাসতে ভাসতে পড়ছে। ভয়। অসম্ভব ভয়। ‘বাবাআআআআ...’।
‘অ্যাই অ্যাই ওঠ, জল খা, পাশ ফিরে শো, সারাদিন খালি ঘুড়ি ঘুড়ি আর ঘুড়ি!’ বাবার ঠেলায় তাকায় তনু। থতমত মুখ। এই তো ঘর, খাট, বাবার পাশে শুয়ে, ফ্যান ঘুরছে মাথার উপর, মশারি দুলছে। তবুও ঘামে সপসপে বালিশ-চাদর। বাবা মাথা মুছিয়ে দিল। জল খেল। শুয়ে পড়ল। তনুর চোখে আর ঘুম নেই। কড়কড়ে মাঞ্জা দেওয়া সুতো কাল লাটাইতে জড়িয়েছে। কল খাটিয়ে রেখেছে গোটা দশেক ঘুড়িতে। সব গোছানো আছে। রাত পোহালেই আকাশ দখল নেবে রংবেরঙের ময়ূরপঙ্খী, পেটকাটি, চাঁদিয়াল, মোমবাতি, চাপরাশ, হাফ চাপরাশ ঘুড়ির দল।
তিরতির করে কাঁপছে বাল্বের কেটে যাওয়া ফিলামেন্ট। চল্লিশ, ষাট, একশো ওয়াটের স্বচ্ছ কাচের কেটে যাওয়া বাল্ব জোগাড় করেছে তনু। গত দু’মাস ধরে। নয় নয় করে তাও গোটা দশেক চিলেকোঠার গোপন ডেরায় জমিয়ে রাখা। আজ আর কাল দু’টো দিন। তার পরেই সম্মুখ সমর। যুদ্ধাস্ত্র তৈরি হচ্ছে।
নীলুর ঠাকুমার পুরনো হামানদিস্তা চিলেকোঠায় রাখা। কাপড়ে জড়ানো ‘কাটা’ বাল্ব, একটা আলতার শিশি, বাটিতে ভেজানো সাবু, কলাপাতায় গাব গাছের আঠাও ওখানে। ছাদে তনু, নিলু আর নানুর টিম তৈরি। ঠং ঠং হামানদিস্তার উপর ছেঁড়া কাপড় চেপে রেখে কাচ গুঁড়ো করা চলছে। তারপর কাপড়ে ছেঁকে নিয়ে তৈরি হবে মিহি কাচ গুঁড়ো। যত মিহি হবে তত শান পড়বে সুতোয়। উবু হয়ে বসে তিনজন। প্রচণ্ড সিরিয়াস একটা কাজ। নজরদারি প্রখর।
ক্লাস টেন, ক্লাস নাইন, ক্লাস এইট। বাড়ির পিছনদিকে এক চিলতে বাগানের ধারে মাটিতে গর্ত করে রাখা আছে। তিনদিকে ইট। শুকনো ডাল-পাতা, আধ-শিশি কেরোসিন তেল, রান্নাঘর থেকে হাতসাফাই করে আনা দেশলাই। ভেজানো সাবুদানা বাটিতে। তিনজনে উবু হয়ে বসে আছে। বাতিল অ্যালুমিনিয়ামের কড়াইয়ে ফুটছে সাবুদানা। ফুটন্ত সাবুতে একটা জবা ফুল দিয়ে দিল তনু। নমস্কার করল তিনজনে। এটাই মাঞ্জা দেওয়ার গোপন রেসিপি। তারপর চামচে করে কাচ-গুঁড়ো মেশানো। এবার গাব গাছের আঠা দিয়ে নামিয়ে, ঘেঁটে তৈরি হবে মাঞ্জার আসল মণ্ড। আলতা মেশাতেই টকটকে লাল। নীলু বলে উঠল—কেটে কেটে লাল করে দেব! উত্তেজিত সবাই।
যুদ্ধ হবে কাল। বুল্টির দাদা ইলেভেনের বাসবদের সঙ্গে। ওদের টিমে সদ্য চলে গিয়েছে হন্তে। আগে তনুর টিমে ছিল। হেব্বি টেনে খেলতে পারে। পটপট ঘুড়ি কাটে। ঘুড়ি লটকায়। হাতের গুলিতে ‘পটল’ দেখায়, মাসল ফোলায়, চুলে আলবার্ট, লুকিয়ে বিড়ি ফোঁকে।
দুপুরে মাঠে রোদ-মেঘের খেলা। ঝলমল করছে। নীলু লাটাই মাথার উপর ধরে এগিয়ে চলেছে। লাটাই ঘুরছে আঙুলের ফাঁকে। ভেজা সাদা সুতো বেড়িয়ে আসছে ফরফর। নানুর এক হাতে ছোট বাটিতে মাঞ্জার কাই। ডান হাতে ময়দার মতো মাঞ্জার কাই নিয়ে সুতোয় মাখাতে মাখাতে চলেছে। পিছনে তনু সুতোর উপর ‘টিপনি’ ধরে এগচ্ছে। মাঞ্জার আসল কেরামতি এই ‘টিপনি’তেই। শিমুল গাছ থেকে সোজাসুজি জামরুল গাছের দূরত্ব কমবেশি কুড়ি পা। দুই গাছের মাঝে পাক খেয়ে খেয়ে ফিনফিনে লাল সুতো ঝুলছে। এখন দুপুর। বাড়ি থেকে ডাকাডাকি শুরু হয়েছে। চান খাওয়া বাকি। তনুর দাদা আসছে ডাকতে। সবার সামনে কান ধরে নিয়ে যাবে। কাজেই দৌড়। তিনজনেই সব গুছিয়ে দৌড় দিল। সুতো শুকোচ্ছে তিরতিরে হাওয়া ও রোদ মেখে।
তবে কি ভোর হয়ে গেল! আধো অন্ধকার ঘর। হলদেটে ডিম-লাইট জ্বলছে। বাবা ওপাশ ফিরে নাক ডাকছে। আস্তে আস্তে তনু মশারি খুলে খাট থেকে নামে। সন্তর্পণে দরজা খুলে বাইরের বারান্দায় আসে। বেশ হাওয়া দিচ্ছে। ঠান্ডা ঠান্ডা। মা-দিদি-দাদা সব ঘুমোচ্ছে। উঠোনের কোণে কোণে তখনও জমে অন্ধকার। সূর্য উঠেনি। উঠবে একটু পরেই। তার আগেই তনু উঠে পড়েছে। ধীরে ধীরে ঘরে ঢুকে কোণে গুছিয়ে রাখা ঘুড়ি-লাটাই নিয়ে উঠোন পেরিয়ে সদর দরজা খুলে এক দৌড়ে মাঠে। ভেজা ঘাস। মাঠ ঘিরে থাকা গাছেদের দল সব শব্দহীন। উপরে নির্মল আকাশে লালের ফোঁটা পড়ছে। সূর্য উঠছে সবে নদীর ওপার থেকে। হাওয়া আছে। ময়ূরপঙ্খী ঘুড়ির কলে লাটাইয়ের সুতো বাঁধল। লাল রঙের মাঞ্জা দেওয়া সুতো। সুতো আঙুলের ডগায় ধরে হাতের কয়েকটা ‘খ্যাঁচ’ টানে ঘুড়ি হাওয়া পেয়ে গেল। আহা! খোলা আকাশে প্রথম ঘুড়ি। তনুর ঘুড়ি। ফরফর করে বাতাস কেটে কেটে এগিয়ে চলেছে ময়ূরপঙ্খী। ঘুরছে। লাট খাচ্ছে। ঢিল দিলেই আলস্যে গা এলিয়ে দিচ্ছে আকাশের কোলে। একা রাজার মতো। একটু দূরে হলুদ দোতলা বাড়ির ছাদের উপর ময়ূরপঙ্খী তিরতির। ওই তো বুল্টি ছাদে উঠেছে। বুল্টির চুলে লাল ফিতের বিনুনি। একবার গোঁত খেল ঘুড়িটা। বুল্টিকে ছুঁয়ে উঠে গেল ময়ূরপঙ্খী আকাশে আকাশে।
খিলখিল বুল্টি। আকাশময় হেসে উঠছে রঙিন ঘুড়ি। নানান নকশা। মাঠভরা ছেলের দল। আকাশভরা ঘুড়ির মেলা। বাতাসময় চিৎকার—ভোকাট্টাআআআ। কেউ কাঁসর বাজাচ্ছে। কেউ বা শঙ্খ। আর চিৎকার হোওওওওও... দুয়োওওও...।
তনু দেখেছে একটা শতরঞ্জি ঘুড়ি অনেকটা সুতো নিয়ে ভেসে ভেসে সন্ধ্যার অন্ধকারে এসে পড়ল পাড়ার গলিতে বিজিত কাকুর উঠোনের পেয়ারা গাছে। বুল্টির দাদার ঘুড়ি। তনুর শেষ ঘুড়ি কেটেছে এই শতরঞ্জি। ভারী কাঠের দরজা ফেলতেই খুলে গেল। বড় উঠোন ঘিরে পুরনো বাড়ি। ঘর থেকে আলো এসে পড়েছে। এককোণে পেয়ারা গাছ। তার উপরে ঘুড়িটা। আস্তে আস্তে গিয়ে সুতো ধরে আলগা আলগা ‘খ্যাঁচ টান’ দিতেই খুলে এসে ভেসে পড়ল। পেছনে দাঁড়িয়ে ঢোলা পাজামা আর পাঞ্জাবি পরে বিজিত কাকু।
‘ঘুড়িটা দাও।’ বাঁজখাই গলা।
চুপচাপ দাঁড়িয়ে তনু। আবার সেই গলা, ‘যদি ঘুড়ি নিয়ে তিনটে প্রশ্নের মধ্যে দুটোও উত্তর দিতে পারো তবেই এই ঘুড়ি তোমার। আরও উপহার দেব। এসো।’
পিছন পিছন ওঁর ঘরে গেল তনু। ঢুকেই চোখ ছানাবড়া। উরিব্বাস! দেওয়াল তো বইয়ে বইয়ে ঢাকা। বসলেন বিজিত কাকু। টেবিলের উপর অনেক বই। কয়েকটা বই খোলা। সবক’টা বইয়ের মলাটে ‘Kite’ কথাটা কমন। আর প্রচ্ছদে ঘুড়ির ছবি।
‘প্রথম ঘুড়ি আবিষ্কার কোথায় হয়েছিল?’
ড্রাগন ঘুড়ির ছবি ভেসে এল তনুর মাথায়—‘জাপান’।
‘হল না। ভুল। প্রথম ঘুড়ি চীনের। স্যাডং প্রদেশের এক দার্শনিক, নাম মো-জি, বানিয়েছিলেন কাঠের ঘুড়ি। পাখির ওড়া নকল করে। খ্রিস্টপূর্ব ৪৭৮-৩৯২। এই চীনে ঘুড়ি উড়িয়ে যুদ্ধজয়ের ঘটনাও আছে।’ বলতে বলতে উঠে গিয়ে ফ্রিজ খুলে দু’টো সন্দেশ একটা প্লেটে নিয়ে এলেন।
‘হুন সাম্রাজ্যের প্রধান সেনাপতি হানসিন প্রতিপক্ষ ঝাও সাম্রাজ্যের সঙ্গে যুদ্ধে পর্যুদস্ত হয়ে রাতের অন্ধকারে ২০০০ ঘুড়ির সঙ্গে লন্ঠন জ্বালিয়ে উড়িয়ে দিল শত্রু শিবিরের মাথার উপর। শত্রুপক্ষের সেনারা আচমকা রাতের আকাশে আলোর নাচানাচি দেখে ভূতের ভয়ে সব ফেলে পালাল। হানসিন তখন সহজেই ঝাও সাম্রাজ্যের রাজাকে বিনা বাধায় আটক করল। ২০৬ খ্রিস্টপূর্ব এইসব ঘটেছে।’
এইবার কেটে পড়তে হবে বলে ভাবছে তনু। আবার গল্পগুলোও মন্দ লাগছে না। ঘুড়ি নিয়ে এত গল্প!
‘চীনের ঘুড়ি বৌদ্ধ ভিক্ষুরা নিয়ে এল জাপানে। বৌদ্ধরা উপাসনার সময় ঘুড়ি উড়িয়ে রাখত। জাপানে বড় বড় মন্দির ও সৌধ নির্মাণের উঁচুতে পাথর তোলার কাজে ব্যবহার হতো ঘুড়ি। ঘুড়ির সাহায্যে পাথর তুলত উঁচুতে।’
‘ঘুড়ি দিয়ে পাথর! ঘুড়ি তো নেমে যাবে!’
‘সে ঘুড়ি তোমার এই শতরঞ্জি চাপরাশ নয়। বড় বড় ঘুড়ি। অনেকগুলো সুতো।’ বলেই সেই ঘুড়ির ছবি দেখালেন বই খুলে।
‘৬৩৭ খ্রিস্টাব্দে কোরিয়ায় বিদ্রোহীদের দুর্গ দখল করার জন্য ঘুড়ির সুতোর সঙ্গে বোমা-বারুদ উড়িয়ে বিদ্রোহীদের দুর্গে ফেলে জয় করেছিল সিনা সাম্রাজ্যের সেনাপতি কিম-উ-সিন।’
তনু গল্পের ভিতরে ঢুকে যাচ্ছে। বুল্টিদের বাড়ির ছাদে কালীপুজোর সময় ঘুড়ি উড়িয়ে পটকা ফেললে হয়!
‘ইন্দোনেশিয়া জানো?’
তনু ঘাড় নাড়ে। আধখানা সন্দেশ মুখে।
‘ইন্দোনেশিয়ায় ঘুড়ির সুতোর সঙ্গে মাছের টোপ আর আংটা লাগিয়ে সমুদ্রে মাছ ধরা হতো।’
‘মাছ ধরতে ঘুড়ি!’ তনু সন্দেশ গিলে নিল।
‘সারা বিশ্বে ঘুড়ি কত কাজে লাগানো যে লাগানো হতো! ঘুড়ি উড়িয়ে বিদ্যুৎ সম্বন্ধে জেনেছিলেন কে? বলো!’
ক্যুইজে ছিল। তনুর মনে পড়েছে, ‘বেঞ্জামিন ফ্রাঙ্কলিন।’
‘ঘুড়ি উড়িয়ে প্রথম আকাশে ভেসেছিল কে? চল্লিশ সেকেন্ড ভেসে থাকতে পেরেছিলেন জর্জ ক্যালে। স্বপ্ন দেখেছিলেন, পাখির মতো ভেসে থাকবেন। প্রথম চেষ্টা। ১৭৯৯ থেকে ১৮০৯। কী মজা লাগছে না! ঘুড়ি তো ওড়াও... ১৮২৭ সাল, বুঝলে! ঘোড়ায় টানা গাড়ি। ঘোড়ার সংখ্যার উপর ট্যাক্স নেওয়া হতো তখন। এক স্কুলশিক্ষক অনেকগুলো ঘুড়ি উড়িয়ে সুতো বেঁধে দিলেন গাড়ির সঙ্গে। ব্যস, গাড়ি চলল গড়গড়িয়ে। তাঁর নাম জর্জ পোকক। এই দেখ তাঁর গাড়ির ছবি। ঘুড়ির সঙ্গে থার্মোমিটার বেঁধে দিয়ে বায়ুস্তরের তাপমাত্রা জানা। অ্যানিমোমিটার বেঁধে বায়ুর বেগ নির্ণয় চলছে, বুঝলে!’
‘মানে আমরা তো ঘু-ড়ি...।’ তনু জল খায়।
‘আমিও ঘুড়ি ওড়াতাম। খুব নেশা ছিল। বছর দশেকের এক বালক হোমান ওয়ালশ ঘুড়ি উড়িয়ে নায়াগ্রা জলপ্রপাতের উপর দিয়ে সেতু নির্মাণের তার নেওয়ার বুদ্ধি দিয়েছিল। তখন তো হেলিকপ্টার হয়নি। সালটা ১৮৪৭।’
‘নায়াগ্রা পৃথিবীর সর্ববৃহৎ জলপ্রপাত!’
‘ইয়েস!’ চশমার আড়ালে ঝিলিক দিল বিজিত কাকুর চোখ।
রাইট ব্রাদার্স উড়োজাহাজ তৈরির চেষ্টা করছে পাখির ওড়া দেখে। ১৮৯৯ সাল। সেই সময় আমেরিকার এক ভদ্রলোক, সিলাস কোনাইন এমন ঘুড়ি তৈরি করলেন, যা সৈনিকদের বহন করতে পারে। সেটা ১৯০২। কত গল্প বলব! মোগল সম্রাটরা ঘুড়ির সঙ্গে সোনা-রুপোর ঝুমঝুমি বেঁধে দিত। ঘুড়ি ওড়ানো ছিল তাঁদের আমোদ। আবার ঘুড়ির সঙ্গে চিঠি লিখে সংবাদ পাঠানোর প্রথাও আছে। আছে প্রেম জানানোর ঘটনা। আবার এই ভারতে ঘুড়ি হয়েছিল প্রতিবাদের অস্ত্র। ১৯২৭ সাল। স্যার জন সাইমন এসেছিলেন ভারতে।’
‘জানি। সাইমন কমিশন। ক্যুইজে এসেছিল।’
‘বাহ্ তুমি ক্যুইজ করো! সাইমন আর তার ব্রিটিশ টিম এসেছিল ভারতের সংবিধান নতুন করে তৈরি করতে। ভারতীয়রা সাইমন কমিশনের বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু করল। তখন প্রতিবাদ হিসেবে ঘুড়িতে ‘গো ব্যাক সাইমন’ লিখে ওড়ানো হতো। ভালোবাসা, সংবাদ, প্রতিবাদ সবই ছড়িয়ে পড়ত ঘুড়ির মধ্য দিয়ে। দাঁড়াও তোমাকে এবার উপহার দিই। এই নাও।’ একটা বড় বাঁধানো বই হাতে তুলে মলাট উল্টে ভিতরে লিখে দিলেন বিজিত কাকু, ‘ঘুড়ির পিছে ঘোরাঘুরি করার জন্য তনুকে ভালোবেসে এই উপহার’। সই করে হাতে দিলেন। ‘যাও, বাড়ি যাও সোজা। সন্ধ্যা হয়ে গিয়েছে। এবার তোমার কাকা আমাকে বকবে।’
এক হাতে বুল্টিদের বাড়ির কেটে যাওয়া ঘুড়ি আর অন্য হাতে ঘুড়ি তৈরির রঙিন ছবিওয়ালা বই নিয়ে পথে নামে তনু। বাড়ি ফেরে। আগামী কাল ঘুড়িতে ‘ভালোবাসা’ লিখে বুল্টিদের বাড়ির ছাদের দিকে উড়িয়ে দেবে— ঠিক করে মনে মনে। 
ঘুড়ি ভালোবাসা, যুদ্ধ, প্রতিবাদ, আবিষ্কার সব সবকিছু নিয়ে উড়ে উড়ে যায় নীল আকাশে আকাশে।
তনু আজ বারোতলা অফিসের জানালা দিয়ে তাকায়। ঘোলাটে আকাশ। ছিটেফোঁটা ঘুড়ি উড়ছে আকাশে। রংহীন আকাশ। কোথায় ঘুড়ি আর স্বপ্নের উড়াউড়ি!
15th  September, 2024
স্বপ্ন হলেও সত্যি
কলহার মুখোপাধ্যায়

মামা বলল, ‘আগে ভালো করে লাটাই ধরতে শেখ, তারপর ঘুড়ি ওড়াবি।’ বাবা বলল, ‘আগে ভালো করে সিট বেল্ট বাঁধতে শেখ, তারপর গাড়ির স্টিয়ারিং ধরবি।’   পাড়ার ন্যাপাদা বলল, ‘মাঠে ঠিকমতো দৌড়তে শেখ আগে, তারপর বলে পা দিবি
বিশদ

15th  September, 2024
মলমাস
রোহিণী ধর্মপাল 

জিন্স পরিহিতা রীতিমতো আধুনিকা বললেন, ‘ঠাকুরমশাই, গৃহপ্রবেশে কোনও ত্রুটি রাখতে চাই না। সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহ হলে আমাদের খুব সুবিধা হয়।’ অফিসের ফোন আসায় একটু দূরে দাঁড়িয়ে কথা বলছিলেন সঙ্গী যুবক। এবার ফোনটা মিউট করে সুবেশ ছেলেটি বললেন, ‘তারপরেই আসলে আবার আমাদের অস্ট্রেলিয়া ফিরতে হবে তো! বিশদ

08th  September, 2024
মলিন মানুষ
সন্দীপন বিশ্বাস

সারা বাড়ি আনন্দে গমগম করছে। আত্মীয়-স্বজনদের ভিড়ে যেন উৎসবের হাট বসেছে। বাড়ির একমাত্র ছেলে শুভদীপের বিয়ে। বিয়ের দিন সবাই সেজেগুজে প্রস্তুত। এখনই বর বেরবে। দেরি হয়ে যাচ্ছে। বাবা তাড়া দিচ্ছে শুভদীপকে। ‘তাড়াতাড়ি বেরো। এতটা পথ যেতে হবে। সময়মতো পৌঁছতে না পারলে সমস্যা হয়ে যাবে।’  বিশদ

08th  September, 2024
যব ছোড় চলে...

আজ, ১ সেপ্টেম্বর নবাব ওয়াজেদ আলি শাহের মৃত্যুদিন। ১৩৭ বছর আগে নির্বাসিত নবাবের মৃত্যু ঘিরে আজও রয়েছে হাজারো প্রশ্ন। মেটিয়াবুরুজ ঘুরে সেই অতীতের অনুসন্ধান করলেন অনিরুদ্ধ সরকার।
বিশদ

01st  September, 2024
বর্ষামঙ্গল
শ্যামল চক্রবর্তী

কেশববাবু ছাতা কিনেছেন। প্রয়োজনে নয়, দুঃখে! হেড অফিসের ছোটবাবু কেশব দে রিটায়ার করার পর থেকেই দিনরাত স্ত্রীর গঞ্জনা শুনতে শুনতে, এক বর্ষার সকালে বেরিয়ে পড়েছেন। গণশার দোকানে পাউরুটি আর ঘুগনি দিয়ে ব্রেকফাস্ট সেরে মেট্রোগামী অটোতে চেপে বসলেন। বিশদ

25th  August, 2024
কেন মেঘ আসে...
কলহার মুখোপাধ্যায়

‘মেঘের পরে মেঘ জমেছে...’, তবে এই তো আর ক’দিন। এক কী দেড় মাস! তার মধ্যেই দুগ্গা চলে আসবে। তখন আকাশ ফুঁড়ে রোদ্দুর। মেঘগুলোর রং যাবে সব পাল্টে। আইসক্রিম আইসক্রিম মেঘ চড়ে বেড়াবে আকাশে। তখন মালতির একটু স্বস্তি। বিশদ

25th  August, 2024
’৪২-এর কলকাতা

‘ব্রিটিশ ভারত ছাড়ো...’ গান্ধীজির ডাকে ১৯৪২ সালের আগস্টে রাস্তায় নেমেছিল কলকাতাও। আম বাঙালির প্রতিবাদের সেই ইতিহাস ফিরে দেখলেন সৌম্যব্রত দাশগুপ্ত। বিশদ

18th  August, 2024
মৃত্যুর মুখোমুখি

কারাগারের নিস্তব্ধতা চিরে ছুটে আসছে শব্দ। মুজফ্‌ফরপুর জেলের কোনায় কোনায় তখনও জমাট বাঁধা অন্ধকার। কনডেমড সেলের মেঝেয় চুঁইয়ে পড়েছে সামান্য আলোর রেখা। সেই আলোয় স্পষ্ট দূরের অন্ধকারে শক্ত কাঠের পাটাতনে দুলতে থাকা মরণ-রজ্জু। বিশদ

18th  August, 2024
বেগম, কন্যা ও রবীন্দ্রনাথ
সমৃদ্ধ দত্ত

‘ম্যাডাম, আমাদের সোর্স খুব কিন্তু কনফার্মড! খুব ডেলিকেটও। বাইরে এই খবরটা চলে গেলে সমস্যা হবে।’ বললেন আর এন কাও। রিসার্চ অ্যান্ড অ্যানালিসিস উইং (র)-এর প্রধান জিজ্ঞাসু দৃষ্টিতে তাকিয়ে। কী করা উচিত? ম্যাডাম হলেন প্রধানমন্ত্রী। ইন্দিরা গান্ধী চিন্তিত মুখে বললেন, ‘তাহলে আমাদের কোনও অফিসারকে এর মধ্যে ইনভলভ করার দরকার নেই। আপনি নিজেই যান।’ 
বিশদ

11th  August, 2024
পদ্মাপারে চীনের ফুটপ্রিন্ট

আমেরিকাকে ‘সবক’ শেখাতে শেখ হাসিনা জড়িয়ে ধরেছিলেন চীনকে। তাঁর শেষ চীন সফর—৮ জুলাই।বেজিংয়ের জন্য বাংলাদেশের দুয়ার হাট করে খুলে দিয়েছিলেন হাসিনা।
বিশদ

11th  August, 2024
অবন ঠাকুরের বাগানবাড়ি

কলকাতার খুব কাছেই কোন্নগরে গঙ্গার পশ্চিম তীরে ‘অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতি বিজড়িত বাগানবাড়ি’, যেন একটুকরো ছোট্ট শান্তিনিকেতন। ‘জোড়াসাঁকোর ধারে’ বইয়ে যে বাড়ির স্মৃতিচারণ করেছেন অবন ঠাকুর। সেই বাগান বাড়ি ঘুরে তার হারিয়ে যাওয়া ইতিহাসের অনুসন্ধান করলেন অনিরুদ্ধ সরকার বিশদ

04th  August, 2024
রং কই রং দাও? গুরুর আদেশ! রং তুলি নিয়ে বসলেন নন্দলাল। তারপর..? 
সুশোভন অধিকারী, প্রাক্তন কিউরেটর নন্দন, কলাভবন বিশ্বভারতী শান্তিনিকেতন 

শিল্পী অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের অনেক সত্ত্বা ছিল। তিনি যেমন কড়া শিক্ষক, তেমনই ছিলেন ছাত্র অন্তঃপ্রাণ। শিল্পের জন্যই তিনি নিবেদিত ছিলেন। রবীন্দ্রনাথের সঙ্গে তাঁর কাকা-ভাইপোর সম্পর্ক। বয়সের ব্যবধান মাত্র ১০ বছর। কিন্তু, লেখায় রবীন্দ্রনাথ, আঁকায় অবন ঠাকুর, এ এক অদ্ভুত মেলবন্ধন। বিশদ

04th  August, 2024
উত্তমপুরুষ: সিঁড়ি থেকে নামার সময় মাথা ঘুরে পড়ে গেলেন উত্তমদা
রঞ্জিত মল্লিক

উত্তম কুমারের সঙ্গে আমার গোটা পাঁচেক ছবি করার সৌভাগ্য হয়েছিল। প্রথম ছবি ছিল ‘মৌচাক’। আর শেষ ছবি ‘ওগো বধু সুন্দরী’। প্রথমেই একটা কথা বলে রাখা ভালো, আমি এরকম সারা ভারতে দেখিনি। পৃথিবীতেও আর কোথাও আছে কিনা জানি না। বিশদ

28th  July, 2024
উত্তমপুরুষ: হাত নাড়তে নাড়তে ইডেনে নামলেন উত্তম জেঠু 
শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়

বাবার (শুভেন্দু চট্টোপাধ্যায়) সঙ্গে যখন উত্তম কুমার কাজ করছেন, আমি তখন খুবই ছোট। কাজেই উত্তম কুমার কী, কেন, সেই বিষয়ে আমার কোনও আগ্রহই ছিল না। বিশদ

28th  July, 2024
একনজরে
মাত্র ৫৯ বছর বয়সেই না ফেরার দেশে পাড়ি দিলেন ১৯৯০ বিশ্বকাপে সোনার বুট জয়ী ইতালিয়ান স্ট্রাইকার সালভাতোর স্কিলাচি। মারণরোগ কোলন ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে দীর্ঘদিন ভুগছিলেন ...

কলকাতার পুজোয় সন্তোষ মিত্র স্কোয়্যার, কলেজ স্কোয়্যার , শ্রীভূমি স্পোর্টিং ক্লাব অথবা একডালিয়া— ভিড়ের বহর সকলের জানা। বিগ বাজেটের এইসব পুজোর চিরাচরিত ভিড়কে গত কয়েক ...

৫ অক্টোবর হরিয়ানায় বিধানসভা ভোট। তার আগে বুধবার নির্বাচনী ইস্তাহার প্রকাশ করল কংগ্রেস। পশ্চিমবঙ্গের ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ প্রকল্পের ধাঁচে হরিয়ানায় ১৮ থেকে ৬০ বছর বয়সি মহিলাদের মাসে দু’হাজার টাকা করে অনুদানের প্রতিশ্রুতি দিল হাত শিবির। ...

আর জি কর কাণ্ডের পর সব সরকারি মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে নিরাপত্তা জোরদার করতে বিশেষ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। সেইমতো উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালেও বাড়তি পুলিস মোতায়েনের সিদ্ধান্ত হয়। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

গৃহসুখ বৃদ্ধি ও সপরিবারে আনন্দ উপভোগ। অন্যের দোষের দায়বহন করতে হতে পারে। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৮৪৯- ক্যালিফোর্নিয়ার ওয়াকলানে প্রথম বাণিজ্যিক লন্ড্রি চালু হয়
১৮৬৫- প্রতিষ্ঠিত হয় আটলান্টা বিশ্ববিদ্যালয়
১৮৯৩- নিউজিল্যান্ড প্রথমবারের মতো নারীদের ভোটাধিকার দেয়
১৮৯৪-  বাঙালি চিত্রশিল্পী হেমেন্দ্রনাথ মজুমদারের জন্ম
১৯০৩- কল্লোল যুগের বিশিষ্ট বাঙালি কবি, ঔপন্যাসিক অচিন্ত্যকুমার সেনগুপ্তের জন্ম
১৯০৭- প্রথম তাপ ও জ্বালানী উৎপাদনকারী উপাদান আবিস্কৃত হয়
১৯১৯- অভিনেতা জহর রায়ের জন্ম
১৯২১- সাহিত্যিক বিমল করের জন্ম
১৯২৪- সঙ্গীতশিল্পী সুচিত্রা মিত্রের জন্ম
১৯৩৬- ভারতীয় শাস্ত্রীয় সংগীতের প্রথিতযশা পণ্ডিত বিষ্ণু নারায়ণ ভাতখন্ডের মৃত্যু
১৯৬৫- মহাকাশচারী সুনীতা উইলিয়ামসের জন্ম



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.০৭ টাকা ৮৪.৮১ টাকা
পাউন্ড ১০৮.৬৫ টাকা ১১২.২০ টাকা
ইউরো ৯১.৫৭ টাকা ৯৪.৭৬ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
17th  September, 2024
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৩,২০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৩,৫৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৬৯,৯০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৭,৭০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৭,৮০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৩ আশ্বিন, ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪। দ্বিতীয়া ৪৮/০ রাত্রি ১২/৪০। উত্তরভাদ্রপদ নক্ষত্র ৬/৩০ দিবা ৮/৪ পরে রেবতী নক্ষত্র ৫৯/২৮ শেষ রাত্রি ৫/১৫। সূর্যোদয় ৫/২৮/২, সূর্যাস্ত ৫/৩২/৫৪। অমৃতযোগ দিবা ৭/৪ মধ্যে পুনঃ ১/৩০ গতে ৩/৬ মধ্যে। রাত্রি ৬/১৯ গতে ৯/৩০ মধ্যে পুনঃ ১১/৫৪ গতে ৩/৫ মধ্যে পুনঃ ৩/৫২ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ২/৩১ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ১১/৩১ গতে ১২/৫৯ মধ্যে। 
২ আশ্বিন, ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪। প্রতিপদ দিবা ৬/২৩ পরে দ্বিতীয়া রাত্রি ৩/৫৬। উত্তরভাদ্রপদ নক্ষত্র দিবা ১১/১৬। সূর্যোদয় ৫/২৭, সূর্যাস্ত ৫/৩৫। অমৃতযোগ দিবা ৭/৮ মধ্যে ও ১/১৯ গতে ২/৫২ মধ্যে এবং রাত্রি ৬/০ গতে ৯/১৯ মধ্যে ও ১১/৪৮ গতে ৩/৭ মধ্যে ও ৩/৫৬ গতে ৫/২৮ মধ্যে। কালবেলা ২/৩৩ গতে ৫/৩৫ মধ্যে। কালরাত্রি ১১/৩১ গতে ১/০ মধ্যে।
১৫ রবিয়ল আউয়ল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
ভোপালে নাবালিকা ছাত্রীকে যৌন হেনস্তার অভিযোগ শিক্ষকের বিরুদ্ধে

11:28:00 PM

শনিবার থেকে জরুরি ভিত্তিতে কাজে যোগদানের আশ্বাস আন্দোলনকারী জুনিয়র চিকিৎসকদের

11:12:14 PM

বিহারে তল্লাশি অভিযানে এনআইএ, উদ্ধার প্রচুর টাকা এবং আগ্নেয়াস্ত্র

11:11:32 PM

তৃণমূল বিধায়ক খুন: বেকসুর খালাস মুকুল-জগন্নাথ
নদীয়া জেলার কৃষ্ণগঞ্জের তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক সত্যজিৎ বিশ্বাস খুনে বেকসুর ...বিশদ

10:47:00 PM

আগামীকাল থেকে বন্যা দুর্গত এলাকায় মেডিক্যাল ক্যাম্প গঠন করা হবে, জানালেন জুনিয়র চিকিৎসকরা

10:33:00 PM

আগামীকাল দুপুর ৩টের সময়ে স্বাস্থ্য ভবন থেকে সিজিও কমপ্লেক্স পর্যন্ত মিছিল করবেন জুনিয়র চিকিৎসকরা

10:16:00 PM