Bartaman Patrika
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
 

এসো কালবৈশাখী

বৈশাখ শেষের তামাটে বিকেলেই ধেয়ে আসে সর্বনাশী মেঘ। সব লন্ডভন্ড করে দেওয়া সেই ঝড়ের স্মৃতি ও একটুকরো ইতিহাস লিখলেন কৌশিক মজুমদার

বড্ড গরম পড়েছে আজকাল। একবিন্দু শীতল আদর নেই কোথাও। আগে কি এমন দুঃসহ গরম ছিল? জানি না। কিছুদিন আগেও তো শুনতাম লু নাকি শুধুই দিল্লি আর রাজস্থানে হয়। আর এবার পানাগড় গরমে হারিয়ে দিয়েছে জয়পুরকে। শুধু মনে পড়ে, আমাদের সেই বেড়ে ওঠার ঝিম ধরা দুপুরে লোডশেডিং হয়ে যেত প্রায়ই। আর লোডশেডিং মানেই আজ আর ‘ছুটি ছুটি’ দেখা হল না। গাছের লিচুতে পাক ধরত। দুপুরে ভাতে জল ঢেলে কাঁচা বা শুকনো লঙ্কা, পেঁয়াজ, কাসুন্দি, ভাজা আর চচ্চড়ি দিয়ে খেয়ে মেঝে জুড়ে ভিজে ন্যাকড়া দিয়ে মোছা শীতলপাটি পেতে মা আর ঠাকুমা ঘুমাচ্ছেন। আঁচল এলিয়ে পড়েছে। অন্যঘরে লাল কুচি কুচি কাপড়ের বর্ডার দেওয়া হাতপাখা নাড়তে নাড়তে চোখ বুজে বিশ্রামের চেষ্টায় আমার পিতামহ। মাঝেমাঝেই হাত থেমে যাচ্ছে। হাতের আগল পেরিয়ে পাখা পড়ছে মাটিতে। অমনি জেগে উঠছেন তিনি। যদি পাশে শুয়েও পড়তাম, ঘুম আসত না। যে বিকেল আসতে তখনও বেশ অনেকটা দেরি, তার রুদ্ধশ্বাস প্রতীক্ষায় ছটফট করতাম বিছানাজুড়ে। গায়ে পাখার বাড়ি লাগত। আর লাগলেই তিনবার বিছানায় পাখা ঠুকে দিতেন ঠাকুরদা। গায়ে পাখার বাড়ি নাকি দুর্লক্ষণ। সেটা কাটাতেই এই উপায়। গরমের ছুটিতে বোলতা উড়ত সারা বাড়িময়। পাশের বাড়ি জামরুল গাছটায় লাল সাদা অদ্ভুত মিষ্টি জামরুল ধরত। আমি পাঁচিলে দাঁড়িয়ে পেড়ে পেড়ে খেতাম। মা বকত। পড়ে গেলে পা ভাঙবে। তবুও। সেখানে প্রতি বছর বোলতার বাসা হতো। বাসা ভাঙতে পারত না সবাই। লোক ডাকা হতো। জয়দেবকাকু। একটু খোঁড়া মতন। বেঁটে। এসেই বড্ড যত্ন নিয়ে হাতের কঞ্চিটায় কাপড় জড়াতো। তারপর পরম মমতায় কাপড়ের গায়ে ঢালত কেরোসিন। খানিক তাকিয়ে থাকত। পকেট থেকে দেশলাই বার করে ধরিয়েই ‘সবাই ঘরে যাও’ বলে সেই আগুনকাঠি ছুঁইয়ে দিত বোলতার বাসায়। দৌড়ে ফিরে আসতে আসতে চার-পাঁচটা বোলতা কামড়ে দিত। কাকু ভ্রূক্ষেপ করত না। ফোলা জায়গায় কাঁচা পেঁয়াজের রস বোলাতো। সেদিন পেট ভরে খাওয়া আর কুড়ি টাকা পেত কাকু। অন্যদিন শুনেছি জনমজুরের কাজও করত। একবার আমিও ভাবলাম বোলতা মারব। চাকে ঢিল দিতেই রাশি রাশি বোলতা ঘিরে ধরে সে এক কাণ্ড! শেষে ডাক্তার-বদ্যি করে ঝামেলার একশেষ।
তবু দুপুরটা আমাদের একান্ত নিজের ছিল। সেই ছেলেবেলায় রবি যেমন বলেছিলেন, দিনের বেলার রাত। তেমনি। রঙিন বই, ফেটে যাওয়া বল আর রং পেনসিলের সে জীবনে অন্য কেউ ঢুকতে পারত না। সবুজ মলাটের বাঁধানো রুলটানা পায়োনিয়ার খাতা ছিল একটা। কাউকে না জানিয়ে লেখার জন্য ওই দুপুরের জুড়ি নেই।
তামাটে বিকেল পড়তে না পড়তেই গাছপালারা অদ্ভুতভাবে নীরব হয়ে যেত। সারা গা থেকে ঝরে পরা স্বেদবিন্দুরা বারবার ভিজে গামছা বোলানোতেও শান্তি দিত না। কুঁজোর জল খেতাম ঢকঢকিয়ে। কোনও কোনওদিন আমার পিতামহ আকাশের ঈশান কোণে চেয়ে বলতেন, ‘পূর্বদিকের মেঘ ইস্পাতের মতো কালো। পশ্চিম দিকের মেঘ ঘন নীল। সকালে রৌদ্র ছিল, নিশ্চিন্ত ছিলাম। দেখতে দেখতে বিস্তর মেঘ জমেছে।’ সহজ পাঠের এই লাইনগুলো কণ্ঠস্থ ছিল তাঁর। মা তাড়াতাড়ি উঠে পড়তেন। প্রায় দৌড়ে ছাদের তারে মেলা কাপড় কোনওক্রমে তুলে পাহাড় করে রাখতেন ঘরের ভিতর। এদিকে, আকাশজুড়ে তখন এক সর্বনাশী মেঘ করেছে। আমি নিশ্চিত জানতাম, খানিক বাদেই বুবান, মিঠুনরা এসে ডাক দেবে, ‘আম কুড়াতে যাবি না? এখন না গেলে আর ভাল আম পাওয়া যাবে না। ওপাড়ার সন্তু আর বিকিরা এসে গেলেই হয়ে গেল।’
মা কিছু বোঝার আগেই পালাতে হতো। পিছনের সব ‘কোথায় যাচ্ছিস? মাথায় আমডাল পড়ে গেলে মাথা ফেটে দু’খানা হবে। এক্ষুনি ঘরে আয়’-কে উপেক্ষা করে। আমবাগানে পৌঁছতেই দেখি বাগানের বিভিন্ন কোণে আমাদের মতো জনাদশেক তখনই দাঁড়িয়ে। সবাই আড়চোখে সবাইকে দেখছে। আর দেখছে, কোন গাছের আম কতটা ফলন্ত হয়েছে।
এদিকে বড় একখানা চাদরের মতো ঘন কালো মেঘ ঢেকে ফেলেছে গোটা আকাশ। আমবাগানের অন্ধকারে কেউ কাউকে পরিষ্কার দেখতে পাচ্ছি না। এতক্ষণ যে সামান্য গরম বাতাস বইছিল, সেটাও আচমকা বন্ধ। আমগাছের পাতা তিরতির কাঁপতে শুরু করল। সবাই জানি এর পরেই আসল খেলা শুরু। কেউ যেন রেডি- স্টেডি বলে হুইসেলটা বাজানোর আগে জিরিয়ে নিচ্ছে একটু। তারপরেই হাড়হিম করা এক ঠান্ডা বাতাস বয়ে যায়। গাছগুলো চঞ্চল হয়ে তীব্রবেগে মাথা দোলাতে থাকে। দূরের সুপারি বনের চুলের মুঠি ধরে কে যেন প্রচণ্ড রাগে নাড়াচ্ছে ক্রমাগত। গোটা আমবাগান জুড়ে খড়খড় সরসর এক অদ্ভুত শব্দের মাঝেই দূরে কোথাও ‘ধুপ’ করে একটা শব্দ হল। এ শব্দ সবার চেনা। ‘আম পড়েছে’, ‘আম পড়েছে’ করে অনেকেই দৌড় দিল সেদিকে। কিন্তু তারা কাঁচা খেলোয়াড়। এ খেলার ভেটেরানরা জানে বেশি দৌড়াদৌড়িতে পায়ের ব্যায়াম হয় ঠিকই, কিন্তু লাভের বেলায় ঘণ্টা। তারা পাকা মেছুড়ের মত তিন-চারটে গাছ টার্গেট করে চুপচাপ দাঁড়িয়ে থাকে। হাওয়ার বেগ বাড়ে। তাদের দেহের প্রতিটি মাংসপেশি টানটান হয়ে থাকে। কান খাড়া। আম মাটিতে পড়তে না পড়তে শিকারি বাজের মতো ছোঁ মেরে তুলেই হাতের ব্যাগে চালান। মুশকিল হতো, এক খাপে দুই তলোয়ারের মতো এক বাগানে দুই ওস্তাদ থাকলে। এমনিতে এদের এরিয়া ভাগ করা থাকত। কিন্তু গ্রহের ফেরে কোনওদিন হয়তো ‘আজ দু’জনার দু’টি পথ’ একই দিকে বাঁকত। আর তখন বাকিরা প্রমাদ গুনত। আম পড়ামাত্রেই প্রায় সমান সময়ে দু’জনেই দুর্লঙ্ঘ্য নিয়তির মতো চলে আসত সেই আমের কাছে। কিন্তু যে আগে হাত লাগাবে, আম তার। অন্যে যাতে হাত না লাগাতে পারে সেই জন্যে শ্লীল-অশ্লীল কোনও প্রচেষ্টাই বাদ রাখা হতো না। আমার স্পষ্ট মনে আছে, আমারই চোখের সামনে বুবান একটা ডাইভ মারতে যেতেই সন্তু প্রায় ডব্লুডব্লুই-র আন্ডারটেকারের কায়দায় ঝাঁপিয়ে পড়ে ওর প্যান্ট ধরে মারল এক টান। সরসর করে সেটা চলে এল সন্তুর হাতে। কিন্তু বুকে ভর দিয়ে প্রায় হেঁচড়ে বুবান এর পরেও যেভাবে আমটাকে ব্যাগস্থ করল, দেখলে অগ্নিপথের অমিতাভ বচ্চনও লজ্জা পেতেন। একটু বাদেই সন্তু সাঁইত্রিশ ডিগ্রি অ্যাঙ্গেলে লাফ মেরে উড়ন্ত একটা আম পাকড়াবার আগেই তার নাকের ডগা দিয়ে খপাত করে সেই আম ক্যাচ ধরে নিল মিঠুন। এ আমার নিজের চোখে দেখা। নেহাত ভারতে রাগবি খেলার চল নেই। তা না হলে আমাদের পাড়া থেকেই সেরা রাগবি প্লেয়ারদের জন্ম হতো। আমার মতো কিছু আনাড়ি প্রচুর ছুটে কিছু ছোট ছোট আমের কুশি ছাড়া কিছুই জোগাড় করতে পারত না। সেগুলোই পকেটে পুরে অপেক্ষা করতাম কখন ওস্তাদদের কৃপা হবে।
এখানে ঝড়ে আম কুড়ানোর আর একটা ‘থাম্বরুল’ বলে যাই। বৃষ্টি শুরু হলে আর আমবাগানে থাকতে নেই। তখন বেড়িয়ে এসে সেই সব ওস্তাদের পিছনে পিছনে ঘুরতে হয় অন্তত এক পিস ভালো আমের জন্য। বারণ না শুনে পালিয়ে আসাকে আম দিয়ে জাস্টিফাই না করতে পারলে বাড়ি ফিরে কপালে যা জুটবে, তা কহতব্য নয়। তাই ঝুপ্পুস বৃষ্টির মধ্যে রাস্তার ধারের এক কালভার্টে এক পা তুলে বসে আম ভাগাভাগি হতো। দেখা হতো কে কেমন আম পেল। ‘আরে, তুই সন্তুর দলে ছিলি না? আমাকে কনুই মারলি। এখন আমের ভাগ নিতে এসেছিস! ভাগ এখান থেকে।’ সে বেচারা তখন প্রাণপণে প্রমাণ করতে ব্যস্ত ‘আমি তোমাদেরই লোক।’ চিঁড়ে ভেজে না। আমায় নেহাত দুধভাত বলে একখানা মাঝারি আম দেওয়া হয়। সেটা নিয়েই বীরদর্পে, মানকচুর পাতা মাথায় ঘরে ফিরি।
সামনের বকুল গাছটা, যেটায় একটা বসন্তবৌরী এসে ঘুরে ঘুরে যেত, নেচে বেড়াত টিয়াপাখিরা, সেটা ঝড়ে উল্টে গোটা রাস্তাজুড়ে আছে। এলাকাজুড়ে ঘন অন্ধকার। লোডশেডিং। খান দু’-এক খোলা জানলা দিয়ে হলদে লন্ঠনের আলো উঁকি মারছে। বাড়ি ফিরেই আগে স্নান করে নিতে হতো। তারপর মায়ের বকার মধ্যেই সেই আম আর আমের কুশি থেঁতো করে নুন, মিষ্টি, অল্প সর্ষের তেল আর কাঁচালঙ্কা দিয়ে খেয়ে ঝালে শিষোতাম। মা প্রথম দিকে রেগে বলত খাবে না। পরে ‘দে একটু টেস্ট করি’ বলে ঠিকই খেত। মামাদের মুখে শুনেছি, আম কুড়োনোতে মায়ের নাকি জুড়ি ছিল না গোটা অঞ্চলে। সে কথাই মনে পড়ে যেত হয়তো। পরদিন সকালে দোমড়ানো অ্যান্টেনা, ভেঙে যাওয়া বাংলাদেশি বুস্টার আর উঠোনভরা পাতা নিয়ে ঝকঝকে সকাল যেন সদ্য স্নান করে ওঠা শিশুর মতো হেসে উঠত।  
এসব কেমন গতজন্মের কথা মনে হয়। জয়দেব কাকু এখনও বেঁচে আছে কি না, জানি না। পাঁচিলের ধার ঘেঁষা পাশের বাড়ির জামরুল গাছটা কাটা পড়েছে। ওখানে এখন তীব্র রোদ। বোলতারা বাসা বাঁধতে আসে না আর। দুপুর হতে না হতেই নতুন এক গুনগুন শুরু হয় সব বাড়িতে। বোলতার ডানার না, ঠান্ডা এসি মেশিনের। প্রকৃতির নিয়ম মেনে কালবৈশাখী আসে। সন্তু, বুবান, মিঠুনরা ফেসবুকের এক ক্লিক কিন্তু আদতে অনন্ত মাইল দূরে। কবে তারা দূরতর নক্ষত্রমালা হয়ে গেল, টেরই পেলাম না। আমাকে কেউ আর আম কুড়াতে ডাকে না। 
দু’বছর হল, সেই আমবাগান বিক্রি হয়ে বিরাট মার্কেটিং কমপ্লেক্স হয়েছে। তার ফ্রিজে থরে থরে রাখা বহুজাতিক কোম্পানির সিলপ্যাক করা কাঁচা আমের আমপান্না। ‘খেয়ে দেখুন। একেবারে ফ্রেশ মাল’—দোকানদার বলল সেদিন।
কাটুর্ন : সেন্টু 
19th  May, 2024
ঝড়ের  ঠিকানা

কখনও আইলার মতো সরাসরি, কখনও বা রেমালের ‘লেজের ঝাপ্টা’—প্রায় প্রতি বছরই বর্ষার আগে বাংলায় আঘাত হানছে একের পর এক শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়। একটার ক্ষত শুকোতে না শুকোতে আবার একটার তাণ্ডব। ব্যস, যাবতীয় বিপর্যয় মোকাবিলার ব্যবস্থাপনা, পুনর্বাসন ও উন্নয়ন ধুয়েমুছে সাফ! শুধু জেগে থাকছে আতঙ্ক জাগানো একটা শব্দ, ‘সাইক্লোন’।
বিশদ

02nd  June, 2024
সবহারাদের কথা

সালটা ২০০৯। ২৬ মে আছড়ে পড়ে ঘূর্ণিঝড় আইলা। তছনছ হয়ে গিয়েছিল পাথরপ্রতিমা ব্লকের উত্তর গোপালনগর গ্রাম। গোবোদিয়া নদীবাঁধ ভেঙে সুন্দরবনের মধ্যে প্রথম প্লাবিত হয়েছিল এই গ্রামই। কোমরসমান জলের মধ্যে দাঁড়িয়েই শুরু হয় জীবনের লড়াই। সেই কথা মনে পড়লে আঁতকে ওঠেন স্থানীয়রা।
বিশদ

02nd  June, 2024
বাস্তবের সাইবর্গরা
কল্যাণ কুমার দে

মেরিন কর্পে কাজ করতেন ক্লডিয়া মিশেল। মোটরবাইক দুর্ঘটনায় একটি হাত হারিয়ে ফেলেন। সেখানে স্থাপন করা হয় একটি বায়োনিক হাত। সেটিকে যুক্ত করা হয় শরীরের নার্ভাস সিস্টেম বা স্নায়ুতন্ত্রের সঙ্গে। এখন এই যান্ত্রিক হাতে তিনি এতটাই সাবলীল যে ফলের খোসা ছাড়াতেও কোনও অসুবিধা হয় না। বিশদ

26th  May, 2024
টেলিপ্যাথির ১০০ দিন

টেলিপ্যাথির দাম নাকি ৮ লক্ষ ৭২ হাজার টাকা! ইলন মাস্ক অবশ্য এখনও প্রাইসট্যাগ লাগাননি। কিন্তু তাঁর সংস্থার যুগান্তকারী আবিষ্কার নিউরালিঙ্ক বা এনওয়ান চিপ মস্তিষ্কে বসাতে এতটাই খরচ হতে পারে বলে সংবাদমাধ্যমের দাবি। সঙ্গে রয়েছে আনুষঙ্গিক বিমা, ৩৩ লক্ষ ২৪ হাজার টাকার। বিশদ

26th  May, 2024
সেকালের কলকাতার ঝড়বৃষ্টি

‘মনে হচ্ছে দুনিয়া ভাসিয়ে দেবার জন্য স্বর্গের জানলাগুলো খুলে গেছে। ভয়ানক বাজ আর তীব্র বিদ্যুৎ। ইউরোপে এমন বাজের আওয়াজ কোনওদিন শুনিনি। সেখানে বৃষ্টি মানে নেহাত আনন্দ। ঝড় আর বাজের এমন রূপ কেউ চিন্তাও করতে পারে না!’ লিখেছিলেন ফ্যানি পার্কস। বিশদ

19th  May, 2024
রামকৃষ্ণ মিশন বিবেকানন্দের সংগ্রাম
পূর্বা সেনগুপ্ত

বুদ্ধের সেবা আর খ্রিস্টান মিশনারীদের সেবা—দুই সঙ্ঘবদ্ধ সন্ন্যাসীদের অভিজ্ঞতা মিশিয়ে স্থাপিত হয় রামকৃষ্ণ মিশন। বিশদ

12th  May, 2024
বরানগর মঠ: প্রতিষ্ঠা কাহিনি

শ্রীরামকৃষ্ণের দেহাবসানের ১৫ দিনের মাথায় ছেড়ে আসতে হয়েছিল কাশীপুর উদ্যানবাটী। সারদা দেবী গৃহীভক্ত বলরাম বসুর পরিবারের সঙ্গে তীর্থে চললেন। গুরুভাইদের নিয়ে পথে নেমে এসেছিলেন নরেন্দ্রনাথ দত্ত। সব ছেড়ে নবীন সন্ন্যাসীদের মঠে যাওয়ার ডাক দিতেন। বিশদ

12th  May, 2024
রবীন্দ্রনাথ ও সত্যজিৎ

শান্তিনিকেতনের লাইব্রেরি তাঁকে সিনেমা সম্পর্কে কৌতূহলী করে তুলেছিল। প্রকৃতি ও জগৎকে দেখার চোখ খুলে দিয়েছিলেন বিনোদবিহারী মুখোপাধ্যায় ও নন্দলাল বসু। শান্তিনিকেতন তথা রবীন্দ্র-সাহচর্যেই সত্যজিৎ রায় হয়ে উঠেছিলেন বিশ্বজয়ী চলচ্চিত্র পরিচালক। লিখেছেন সুখেন বিশ্বাস বিশদ

05th  May, 2024
জনমত
সমৃদ্ধ দত্ত

গোরুর গায়ে ‘ভোট দিন’ লিখেছিল কংগ্রেস। বিমান থেকে টারম্যাকে লাফ দেন ইন্দিরা। বাজপেয়ির প্রচারে খরচ ৭০০ কোটি। কিন্তু কী ছিল ভোটের ইস্যু? নেহরু থেকে মোদি... আজ তারই একঝলক। বিশদ

28th  April, 2024
চারুলতার অন্দরমহল

‘আশ্বিনের ‘পরিচয়’ খুলে দেখলুম রুদ্রমশাই আবার আমার পিছনে লেগেছেন।... রুদ্রমশাই সাহিত্য বোঝেন কিনা জানি না; সিনেমা তিনি একেবারেই বোঝেন না। শুধু বোঝেন না নয়; বোঝালেও বোঝেন না।’ পরিচয় পত্রিকায় সত্যজিৎ রায়-অশোক রুদ্রের এই চাপানউতোরের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে ‘চারুলতা’।
বিশদ

21st  April, 2024
বিদেশে এখনও আমি ‘চারুলতা’

কতদিন হয়ে গেল। এখনও বিদেশে গেলে প্রায় কেউই আমাকে মাধবী বলে ডাকেন না। কী বলে ডাকে, জানেন? ‘চারুলতা।’ শুধু বিদেশে নয়, দেশের অনেক জায়গাতেও। আজ থেকে ৬০ বছর আগেকার কথা। তখন সবে ‘মহানগর’ ছবির শ্যুটিং শেষ হচ্ছে।
বিশদ

21st  April, 2024
অমলকে দেওয়া চারুর খাতাটা বাবা বাড়িতে বসেই ডিজাইন করেছিলেন

তখন আমার বয়স খুবই কম। ১৯৬৪ সালে ‘চারুলতা’ হয়েছিল। আমার বয়স তখন ১১ বছর। তাই স্মৃতি যে খুব একটা টাটকা, এমনটাও নয়। বাড়িতে ‘চারুলতা’ নিয়ে বাবাকে খুবই পরিশ্রম করতে দেখেছি।
বিশদ

21st  April, 2024
আমরি বাংলা ভাষা
অনুপ বন্দ্যোপাধ্যায়

রোজকার মতো প্রাতঃভ্রমণ সেরে চায়ের দোকানে এসে বসলেন চণ্ডীবাবু। কাগজের দিকে হাত বাড়াতে যাচ্ছিলেন। আর মধ্যেই আমাকে দেখে বলে উঠলেন—
গুড মর্নিং স্যর, হ্যাপি বেঙ্গলি নিউ ইয়ার। বিশদ

14th  April, 2024
রহস্যময় গম্ভীরা

পুরীর গম্ভীরায় জীবনের শেষ আঠারোটা বছর কাটিয়েছিলেন শ্রীচৈতন্যদেব। অন্তর্ধানের আগে মহাপ্রভু অন্তিমবারের মতো বের হয়েছিলেন সেখান থেকেই। সেই গম্ভীরা ঘুরে ইতিহাস-রহস্যের অনুসন্ধান করলেন অনিরুদ্ধ সরকার। বিশদ

07th  April, 2024
একনজরে
ফরাসি ওপেন থেকে নিজেকে সরিয়ে নিলেন শীর্ষ বাছাই নোভাক জকোভিচ। ডান হাঁটুতে চোটের এমআরআই স্ক্যান হওয়ার পর রিপোর্ট দেখে নাম প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিলেন সার্বিয়ান মহারথী। ...

প্রথমবার মাঠে নেমেই সেঞ্চুরি। হিমাচল প্রদেশের মান্ডি লোকসভা আসনে বিজেপি প্রার্থী কঙ্গনা রানাওয়াতের অভাবনীয় জয়কে এভাবেই ব্যাখ্যা করছে রাজনৈতিক মহল। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কংগ্রেসের বিক্রমাদিত্য সিংকে ...

রায়গঞ্জ লোকসভা কেন্দ্রে না জিতলেও করিম চৌধুরী ও কানাইয়ালাল আগরওয়ালের মুখ বাঁচালেন কৃষ্ণ। রায়গঞ্জে বিজেপি জিতলেও ইসলামপুর বিধানসভায় লিড ধরে রাখল তৃণমূল কংগ্রেস। ...

সল্টলেক সেক্টর ফাইভে রাজ্য বিজেপির কার্যালয়। সেখানে প্রবেশের মুখেই নরেন্দ্র মোদির ছবি। পাশে লেখা, ‘মোদির গ্যারান্টি মানে, গ্যারান্টি পূরণ হওয়ার গ্যারান্টি’। মঙ্গলবার সকাল থেকেই সেই কার্যালয়ের সামনে গাড়ি দাঁড়ানোর জায়গা নেই। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

অর্থকড়ি প্রাপ্তির যোগটি বিশেষ শুভ। কর্ম সাফল্য ও চিন্তার অবসান। দেবারাধনায় মন। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব পরিবেশ দিবস
৪৬৯ খ্রীষ্টপূর্ব: গ্রিক দার্শনিক সক্রেটিসের জন্ম
১৬৬১:  আইজ্যাক নিউটন কেমব্রিজের টিনিটি কলেজে ভর্তি হন
১৭৮৩: ফ্রান্সে জনসমক্ষে প্রথম বাষ্পচালিত বেলুন উড়িয়ে দেখান মন্টগলফারায় ভাইয়েরা
১৮৬৫: ভারতে জাতীয় শিক্ষা ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার পথিকৃৎ সতীশচন্দ্র মুখোপাধ্যায়ের জন্ম
১৮৭০: তুরস্কের কনস্টান্টিনোপল শহরের অধিকাংশই আগুনে পুড়ে যায়
১৮৮৯: ভারতবর্ষে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসার প্রথম প্রচারক রাজেন্দ্রচন্দ্র দত্তের মৃত্যু
১৯১০: মার্কিন লেখক ও হেনরির মৃত্যু
১৯১৫: ডেনমার্কে নারীদের ভোটাধিকার প্রদান
১৯৪০: প্রথম রাবারের টায়ার প্রদর্শিত হয়
১৯৫২: বিশিষ্ট চলচ্চিত্র প্রযোজক মুকেশ ভাটের জন্ম
১৯৬১: ভারতের টেনিস তারকা রমেশ কৃষ্ণানের জন্ম
১৯৭২: স্টকহোম বৈঠকে প্রতিবছর এই দিনে বিশ্ব পরিবেশ দিবস পালনের সিদ্ধান্ত হয়
১৯৭২: উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের জন্ম
১৯৭৫: কমন মার্কেট থাকা না থাকা নিয়ে ব্রিটেনের ইতিহাসে সর্বপ্রথম গণভোট। অধিকাংশ ভোট কমন মার্কেট থাকার পক্ষে পড়ে
১৯৭৬: বলিউডের বিশিষ্ট অভিনেত্রী রম্ভার জন্ম
১৯৮৩: অমৃতস্বর স্বর্ণ মন্দিরে ভারতীয় সামরিক বাহিনীর হামলা, উগ্রপন্থী ৬’শ হিন্দু নিহত
১৯৮৪: অমৃতস্বর স্বর্ণ মন্দিরে ভারতীয় সামরিক বাহিনীর হামলা, উগ্রপন্থী ছয় শত হিন্দু নিহত
১৯৯৬: সারা ভারতে আধুনিক রীতিতে সাক্ষরতা আন্দোলনের অন্যতম পথিকৃৎ সত্যেন্দ্রনাথ মৈত্রের মৃত্যু
২০০৪: মার্কিন প্রেসিডেন্ট রোনাল্ড রেগনের মৃত্যু 



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮২.৬৩ টাকা ৮৪.৩৭ টাকা
পাউন্ড ১০৫.১৬ টাকা ১০৮.৬৬ টাকা
ইউরো ৮৯.৪৯ টাকা ৯২.৬৪ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭২,৬৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৩,০০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৬৯,৪৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৯০,১৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৯০,২৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

২২ ‌জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১, বুধবার, ৫ জুন, ২০২৪। চতুর্দশী ৩৭/৩৩ রাত্রি ৭/৫৬। কৃত্তিকা নক্ষত্র ৪০/৫৩ রাত্রি ৯/১৬। সূর্যোদয় ৪/৫৫/১২, সূর্যাস্ত ৬/১৪/৩২। অমৃতযোগ দিবা ৭/৩৫ গতে ১১/৮ মধ্যে পুনঃ ১/৪৮ গতে ৫/২১ মধ্যে। রাত্রি ৯/৪৮ মধ্যে পুনঃ ১১/৫৬ গতে ১/২২ মধ্যে। বারবেলা ৮/১৬ গতে ৯/৫৬ মধ্যে পুনঃ ১১/৩৫ গতে ১/১৬ মধ্যে। কালরাত্রি ২/১৬ গতে ৩/৩৬ মধ্যে। 
২২ ‌জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১, বুধবার, ৫ জুন, ২০২৪। চতুর্দশী রাত্রি ৭/১৫। কৃত্তিকা নক্ষত্র রাত্রি ৯/৭। সূর্যোদয় ৪/৫৬, সূর্যাস্ত ৬/১৬। অমৃতযোগ দিবা ৭/৩৮ গতে ১১/১৩ মধ্যে ও ১/৫৪ গতে ৫/২৯ মধ্যে এবং রাত্রি ৯/৫৪ মধ্যে ও ১২/১ গতে ১/২৫ মধ্যে। কালবেলা ৮/১৬ গতে ৯/৫৬ মধ্যে ও ১১/৩৬ গতে ১/১৬ মধ্যে। কালরাত্রি ২/১৬ গতে ৩/৩৬ মধ্যে। 
২৭ জেল্কদ।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
টি২০ বিশ্বকাপ: আয়ারল্যান্ডকে ৮ উইকেটে হারিয়ে ম্যাচ জিতল ভারত

10:56:13 PM

টি২০ বিশ্বকাপ: ২ রানে আউট সূর্যকুমার, ভারত ৯১/২ (১১.৪ ওভার) টার্গেট ৯৭

10:50:20 PM

টি২০ বিশ্বকাপ: হাফসেঞ্চুরি রোহিতের, ভারত ৭৪/১ (৯.৫ ওভার) টার্গেট ৯৭

10:37:30 PM

টি২০ বিশ্বকাপ: ভারত ৩৩/১ (৫ ওভার) টার্গেট ৯৭

10:10:05 PM

টি২০ বিশ্বকাপ: ১ রানে আউট কোহলি, ভারত ২২/১ (২.৪ ওভার) টার্গেট ৯৭

10:03:16 PM

টি২০ বিশ্বকাপ: জয়ের জন্য ভারতকে ৯৭ রানের টার্গেট দিল আয়ারল্যান্ড

09:33:39 PM