Bartaman Patrika
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
 

একশোয় ভিক্টোরিয়া
রজত চক্রবর্তী

কলকাতার ভোর হল আজ সমবেত কীর্তন আর খোল-করতালের শব্দে। উঠোন ঝাঁট দিতে দিতে ঘোমটার ফাঁক দিয়ে দেখে নিল বউ-ঝিয়েরা। কে মারা গেল! দু’হাত কপালে ঠেকিয়ে পেন্নাম ঠোকে। ছেলেরা নিমদাঁতন দাঁতে চিবতে চিবতে দোরগোড়ায় এসে দাঁড়িয়েছে। কর্নওয়ালিস স্ট্রিট দিয়ে চলেছে সংকীর্তনের দলটি। ভোরের আলিস্যি ভেঙে লোকজন পথের ধারে। শোভাযাত্রাই বটে! সাদা ধুতি ও গায়ে সাদা উত্তরীয় দিয়ে চলেছে সবাই । সমাজের মান্যগণ্য লোকজন তাঁরা। সঙ্গে আছে ছত্রধর, আছে পাইক, বরকন্দাজ। তাঁদের পোশাকও সাদা। তাঁদের পেছনে সাদা নতুন ধুতি ও চাদর পরে অসংখ্য মানুষ চলেছে সংকীর্তন করতে করতে। তাঁরা নিয়েছে কাছা। খোল-করতাল জোর বাজছে! কে মারা গিয়েছে! কার মৃত্যুর জন্য হরি কীর্তন! ১৯০১ সালের ২ ফেব্রুয়ারি কলকাতার মানুষ অবাক হয়ে দেখছিল শবদেহ ছাড়া এক শবযাত্রার প্রতিরূপ। শীতের সকালের গড়ের মাঠ তখনও কুয়াশা ভেজা। চারপাশে অজস্র গাছে গাছে পাখ-পাখালির ডাক আর তাদের পাখনার জড়তা কাটতে না কাটতেই সংকীর্তনের দলটি এসে ভিড় করল গড়ের মাঠে। নামসংকীর্তন অনুষ্ঠান। কৌতূহলী চোখ শ’য়ে শ’য়ে জড়ো হল গড়ের মাঠে।  
১৯০১ সালের ২২ জানুয়ারি ইংল্যান্ডের রানি ভিক্টোরিয়া ৮১ বছর বয়সে মারা গিয়েছেন। হিন্দু নিয়মানুযায়ী, ১২ দিনের মাথায় ২ ফেব্রুয়ারি কলকাতার বাবুরা পাথুরিয়াঘাটার ঠাকুর প্যালেসের মহারাজ যতীন্দ্রমোহন ঠাকুরের উদ্যোগে করলেন নগর সংকীর্তন। ছিল গণভোজের ব্যবস্থা । শ্রাদ্ধশান্তি মিটে যাবার পর আর কী! অনেকটা ‘নিয়মভঙ্গের’ নিয়ম পালন। ৩ ফেব্রুয়ারি  দুপুরে কর্নওয়ালিস রোড বর্তমানে বিধান সরণীর দু’পাশে সার সার বসেছে সাধারণ মানুষ। দরিদ্রনারায়ণ সেবা। খিচুড়ি, কপির তরকারি, বেগুন ভাজা, চাটনি, দই আর সন্দেশ। সন্দেশ দিয়েছিলেন ভীম নাগ। বহু মানুষ এসে রানিমার শ্রাদ্ধানুষ্ঠানের (!) এই ভোজে অংশ নিলেন। 
***
১৮৩৭ সালের ২২ জুন রাজা চতুর্থ উইলিয়াম মারা যাওয়ার পর যখন আলেকজান্দ্রিয়া ভিক্টোরিয়া ব্রিটেনের রানি হলেন, তখন তাঁর মাত্র ১৮ বছর বয়স। তখনও ভারতবর্ষ ব্রিটিশ সরকারের অধীনে ছিল না। ছিল একটি ‘কর্পোরেট কোম্পানি’ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির অধীনে। ১৮৫৭ সালে ভারতে সিপাহী বিদ্রোহ শুরু হল। প্রচুর ইউরোপিয়ান মারা গেল। তারপরেই ব্রিটিশ পার্লামেন্ট ভারতবর্ষের শাসনভার ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির হাত থেকে ব্রিটিশ সরকারের অধীনে নিয়ে এল। তার আগে পর্যন্ত যত ব্রিটিশ শাসক এই ভারতে শাসন করেছেন, তাঁরা সবাই একটি কোম্পানির হয়ে চাকরি করতে এসেছেন। ১৮৭৭ সালে ব্রিটিশ পার্লামেন্টে পাশ হল ‘রয়্যাল টাইটেল অ্যাক্ট’। সেই আইন বলে রানি ভিক্টোরিয়া হলেন ভারতের রানি। কলকাতা তখন ভারতের রাজধানী। সুতরাং রানিমার মৃত্যুতে রাজধানীর প্রজাদের শোক ও শোকের প্রদর্শন স্বাভাবিক। বিশেষত সমাজের উপরতলার বাবুদের যত বাবুয়ানি সবই তো ব্রিটিশ কত্তাদের বদান্যতায়। তো রানিমার মৃত্যুতে শোকাহত বাবুরা যারপরনাই নানা ‘উজ্জুগ’ শুরু করলেন। 
লর্ড কার্জন তখন ভারতের ভাইসরয়। বছর দু’য়েক আগে, মানে ১৮৯৯ সালে ভাইসরয় হওয়ার আগে তিনি কম গুরুত্বপূর্ণ ‘ফরেন আন্ডার সেক্রেটারি’ হিসাবে কাজ করতেন ব্রিটিশ সরকারে। অনেককে টপকে তিনি হয়েছেন ভারতের শাসনকর্তা। আর এই সময়ে রানিমার মৃত্যু। তাঁকে কিছু করতেই হয় উল্লেখ্যযোগ্য। টাউনহলে আয়োজন করলেন রানির স্মরণসভা। বাংলার সমস্ত রাজা, বাহাদুর, জমিদার যাঁরা যা খেতাব পেয়েছেন ব্রিটিশদের কাছ থেকে সবাই হাজির হলেন। লর্ড কার্জন ওই সভায় ঘোষণা করলেন— রানি ভিক্টোরিয়াকে চিরস্মরণীয় করতে একটি এমন স্মৃতিসৌধ করা হবে, যা পৃথিবীর কাছে দর্শনীয় হবে শুধু নয়, যা সংরক্ষণ করবে ভারতের তথা বাংলার সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য। সবাই স্বাগত জানাল এই প্রস্তাবকে। ঘন ঘন মিটিং। চাঁদা দিল সব রাজা, মহারাজা, জমিদাররা। কে কত দিতে পারে তার হিড়িক পড়ে গেল! স্বেচ্ছায়। বহু সাধারণ মানুষও চাঁদা দিল। 
***
গভীর চিন্তায় অভিজ্ঞ ব্রিটিশ স্থপতি এমারসন। রয়্যাল ইনস্টিটিউট অব ব্রিটিশ আর্কিটেক্ট-এর প্রেসিডেন্ট উইলিয়াম এমারসন। বৃদ্ধ হয়েছেন তিনি। দাঁতে ধরে থাকা পাইপে ঘন ঘন টান দিচ্ছেন। চল্লিশ বছর আগে ভারতে এসেছিলেন তিনি। বোম্বাই, এলাহাবাদ, হায়দরাবাদসহ নানা জায়গায় তাঁর স্থাপত্য ছড়িয়ে আছে। কিন্তু এমন সমস্যা হয়নি এর আগে। তাঁর সহযোগী ইঞ্জিনিয়ার ভিনসেন্ট জে ইসচ। ইসচ সাহেব তাঁর কেরিয়ার শুরু করেছিলেন বেঙ্গল-নাগপুর রেলওয়ের অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে। এক বাঙালি ইঞ্জিনিয়ার তাঁদের বোঝাচ্ছেন। কফির পেয়ালা ঠান্ডা হচ্ছে। টেবিলের উপরে সেই বাঙালির তৈরি নকশা। সালটা ১৯১০। 
‘কয়েক মাসের মধ্যে যদি ভিত বসে যায় মাটিতে! তা’হলে মার্বেল পাথরের এই বিশাল স্ট্রাকচার থাকবে কী করে!’
‘গঙ্গার পলিমাটি বুঝলে হে...ময়দানের পাশ দিয়েই তো গঙ্গা...মাটি ভেজা ও নরম...তোমরা সেটা ভাবনি!’ এমারসন বেশ বিরক্ত।
বাঙালি আর্কিটেকচার রাজেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় কফির কাপে আলতো চুমুক দিয়ে বললেন, ‘ভিতের নীচে শাল কাঠের স্ট্রাকচার করতে হবে। তার ডিজাইন আমি করে এনেছি। কড়ি-বরগা, বাংলার নিজস্ব পুরনো ডিজাইন একটু নতুন মোড়কে  করা...’
সবাই উপুড় হয়ে পড়ল টেবিলের উপর। রাজেন্দ্রনাথ বোঝালেন তাঁর নকশা। কফির কাপে চুমুক দিল সবাই। বাঙালির যুক্তি ও বুদ্ধিকে ব্রিটিশ স্থপতি ও ইঞ্জিনিয়াররা স্বাগত জানানোর পাশাপাশি মান্যতা দিল। গৃহীত হল রাজেন্দ্রনাথের কড়ি-বরগা দিয়ে ভিতের নকশা।
বড়লাট লর্ড কার্জন ১৯০১ সালে রানি ভিক্টোরিয়ার স্মৃতিসৌধ নির্মাণের এমন এক পরিকল্পনা করেছিলেন, যা বিস্মিত করবে বিশ্বজনকে। এমনটাই ভেবেছিলেন। জানা যায়নি তাঁর মনের ভেতর তাজমহলের স্থাপত্যের গরিমা ছিল কি না! উইলিয়াম এমারসনকে দিয়েছিলেন দায়িত্ব। উইলিয়াম এমারসন সহযোগী হিসাবে বেছে নিয়েছিলেন ইসচ সাহেবকে। ভিত থেকে প্লিন্থ পর্যন্ত দরপত্র অনুযায়ী দায়িত্ব পেয়েছে রাজেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়ের কোম্পানি, মার্টিন কোম্পানি। বাংলায় মার্টিন রেলের গোড়াপত্তন তাঁরই হাতে। তিন বছর চলে গেল সব কিছু ব্যবস্থা করতে। গড়ের মাঠের দক্ষিণ প্রান্তে ৬৪ একর জমি দরকার। সেখানে রয়েছে প্রেসিডেন্সি জেল। সেই জেল স্থানান্তরিত হল। সেই বিল্ডিং ভেঙে ভিত খোঁড়া শুরু হয় ১৯০৪ সালে। 
***
বঙ্গে তখন শিক্ষিত সম্প্রদায় লর্ড কার্জনের বিরুদ্ধে একটু একটু করে ক্ষোভ সংগঠিত করছে। ১৯০৩ সালে কার্জন প্রস্তাব দিয়েছে বঙ্গভঙ্গের। ‘দ্য বেঙ্গলি’ পত্রিকায় ১০ ডিসেম্বর ১৯০৩-এর সংখ্যায় ছাপানো হল প্রতিবাদ লেখা। ঐতিহাসিক রমেশচন্দ্র দত্তের সভাপতিত্বে কলকাতায় হল প্রতিবাদ সভা। ১৯০৪ রবীন্দ্রনাথ লিখলেন ‘স্বদেশী সমাজ’। ২২ জুলাই, ১৯০৫ রবীন্দ্রনাথ পাঠ করলেন তাঁর স্বদেশ ভাবনা। দু’হাজার কপি বিলি করা হয়েছিল সেই সভায়। উন্মাদনা তৈরি করল বিপুল মানুষের ভিড়। তার আগেই ১৯০৫ সালের ১ জুলাই-এর ‘সঞ্জীবনী’ পত্রিকার সংখ্যায় কৃষ্ণকুমার মিত্র লিখলেন, ‘বিদেশী দ্রব্য বয়কটের ডাক’। বঙ্গের মানুষ সংগঠিত হচ্ছেন। মুখে তাঁদের ‘মায়ের দেওয়া মোটা কাপড় মাথায় তুলে নে রে ভাই’। স্বদেশ চেতনা জাগ্রত ও সংগঠিত হচ্ছে। ১৬ অক্টোবর, ১৯০৫ ঐতিহাসিক রাখীবন্ধন উৎসব হল কলকাতায়। কাতারে কাতারে মানুষ অংশগ্রহণ করলেন। বাঙালির জাতীয়তাবাদী বোধের উন্মেষ এর প্রকাশ ঘটছে এই সময়েই। ১৯০৫-এ অরবিন্দ ঘোষ, প্রমথনাথ মিত্র, সরলাবালা, নিবেদিতা, যতীন্দ্রনাথ বন্দোপাধ্যায়েরা তৈরি করলেন গুপ্ত সমিতি। স্বাধীনতা সংগ্রামের জন্য তৈরি হচ্ছে বাংলা ও বাঙালি। ক্ষুদিরাম বসু-প্রফুল্ল চাকীর আত্মত্যাগ, মুরারিপুকুর বোমার মামলা, কানাইলাল দত্তের ফাঁসি, বারীন ঘোষ সহ বহু বিপ্লবীর নির্বাসন, বিপ্লবী অরবিন্দ থেকে ঋষি অরবিন্দের রূপান্তর, রাসবিহারী বসু— বাংলা ও বাঙালি ফুটছে তখন। কার্যত দিশেহারা কার্জন। রানি ভিক্টোরিয়ার স্মৃতিসৌধ করে বঙ্গের তথা ব্রিটেনের লোকজনকে বিস্মিত করার বিষয়টির অগ্রাধিকার পেল না আর। অগ্নিযুগের আরেক নতুন বাংলা ও বাঙালির উত্থানপর্ব। লর্ড কার্জনের বিদায় ঘটল ভারত থেকে। ব্রিটিশ বিরোধী মানসিকতা বাংলার জনমানসে তখন।
***
১৯০৬ সালের ৪ জানুয়ারি প্রিন্স অব ওয়েলস এলেন কলকাতায়। গড়ের মাঠে পুলিসি ব্যবস্থা জোরদার। ব্রিটিশদের উপাধি পাওয়া রাজা, মহারাজা, রাজা বাহাদুর, জমিদার সবাই জড়ো হলেন। সামিয়ানা টাঙানো হয়েছে বড়। ৬৪ একর জমি ঘিরে ফেলা হয়ে গিয়েছে। বড় বড় গাছ। সবুজ গালিচার মতো ঘাস। আর গঙ্গার হাওয়া। প্রিন্স অব ওয়েলস করলেন ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন। রাজেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় নিজে দাঁড়িয়ে থেকে বোঝাচ্ছেন নকশা। জনগণের থেকে চাঁদা উঠেছে কোটি টাকার উপর। রাজস্থানের মাকরান (বর্তমানে পাকিস্তানে) থেকে আনানো হবে মার্বেল। সম্পূর্ণ মার্বেলের হবে স্মৃতিসৌধ। ভিত ও প্লিন্থের কাজ হতে হতে ১৯১০ সাল। কয়েকমাস বাদেই দেখা গেল ফাটল। নরম পলিমাটি রাখতে পারছে না। দৈর্ঘ্য ৩৩৮ ফুট, প্রস্থ ২২৮ ফুট। রাজেন্দ্রনাথের সেই শাল-বল্লার স্ট্রাকচার করে ভিত তৈরির নকশা মেনে নিলেন স্থপতি এমারসন। দাঁড়িয়ে গেল স্ট্রাকচার। ভিতে সেই কড়ি-বরগার আদি স্ট্রাকচার ধরে থাকল ইমারত। রাজেন্দ্রনাথের মার্টিন কোম্পানিকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল ভিত তৈরির মাত্র। কিন্তু এবারে নতুন চুক্তি করা হল পুরো সৌধ নির্মাণের। ঐতিহাসিক স্মৃতিসৌধ নির্মাণের সঙ্গে জড়িয়ে থাকলেন এক বাঙালি স্থপতি। ইতিমধ্যে ১৯১১ সালে বঙ্গভঙ্গ রদ হল আর সঙ্গে সঙ্গে ভারতের রাজধানী কলকাতা থেকে স্থানান্তরিত হল দিল্লিতে। সৌধ নির্মাণের কাজের গতি কমে যাচ্ছে ক্রমশ। ১৯১২ সালে পঞ্চম জর্জ আবার এলেন অগ্রগতি দেখতে। বিরাট বাগান চারপাশে। সেই বাগানেরও সাজসজ্জা দরকার। লর্ড রেডেসডেল ও জন স্টেইন বলে দু’জন উদ্যান বিশারদ তৈরি করছেন সুদৃশ্য বাগান, জলাশয়, ফোয়ারা, বাগান-পথ, বসার জায়গা। 
রক্তাক্ত ১৯১৯ সাল। রাওলাট আইন, জালিয়ানওয়ালাবাগের হত্যালীলা। ফুঁসে উঠেছে ভারতবর্ষ। ফুঁসে উঠেছে বাংলা। রবীন্দ্রনাথের নাইট উপাধি ত্যাগ। গান্ধীজির নেতৃত্বে আইন অমান্য আন্দোলনের ঘোষণা ১৯২০ সালে। বিপ্লবী রাসবিহারী বসু তখন জাপানে আত্মগোপন করে রয়েছেন। ১০ ডিসেম্বর, ১৯২১, কলকাতায় গ্রেপ্তার হলেন দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশ, সুভাষচন্দ্র বসু সহ অনেক নেতা। কলকাতার পথে পথে রোজ ব্রিটিশ বিরোধী মিটিং মিছিল চলছে। চলছে ধরপাকড়। আর ঠিক এই সময়ে রানি ভিক্টোরিয়ার সুবিশাল স্মৃতিসৌধ উদ্বোধনে এলেন রাজা পঞ্চম জর্জ। ঐতিহাসিক স্মৃতিসৌধ উদ্বোধন করলেন তিনি ২৮ ডিসেম্বর। সাল ১৯২১। 
সবুজ গড়ের মাঠের প্রান্তে সবুজের উপর সাদা স্মৃতিসৌধ তার আভিজাত্যে মোড়া গর্বোদ্ধত সৌন্দর্য নিয়ে নীল আকাশের প্রেক্ষাপটে দাঁড়িয়ে আছে। হতবাক কলকাতার সাধারণ আদুল গায়ে ধুতি জড়ানো মানুষগুলো। কলকাতার অন্যতম সুউচ্চ ইমারত। সেন্ট পলস ক্যাথিড্রাল ২০৫ ফুট, হাইকোর্ট ১৭৬ ফুট, অক্টারলোনি মনুমেন্ট (শহিদ মিনার) ১৫২ ফুট আর ভিক্টোরিয়া স্মৃতিসৌধের গম্বুজ পর্যন্ত উচ্চতা ১৮৪ ফুট। তার উপর ১৬ ফুটের ব্রোঞ্জের পরী। তিন টন ওজনের এই সুন্দরী পরীটি তৈরি হয়ে এসেছে ইতালি থেকে। লোহার গেটগুলিও এসেছে ব্রিটেন থেকে। মূল ভবনের ওজন ৮০ হাজার ৩০০ টন। শুধু মার্বেল লেগেছিল ৪৫০.২৪ ঘনমিটার। মার্বেল কিনতে খরচ লেগেছিল তখনকার যুগে ২৩ লক্ষ টাকা। মার্বেল আনার খরচ ২ লক্ষ টাকা রেল কর্তৃপক্ষ ছেড়ে না দিলে মার্বেলের খরচ ২৫ লক্ষ টাকা হতো। বাগান সমেত স্মৃতিসৌধ নির্মাণে খরচ হয়েছিল ১ কোটি ৫ লক্ষ টাকা। সব টাকাটাই চাঁদা হিসাবে তোলা হয়েছে বঙ্গবাসীর থেকে। স্মৃতিসৌধের গম্বুজটি পৃথিবীর পঞ্চম বৃহত্তম গম্বুজ। চওড়া চওড়া সিঁড়ি দিয়ে চাতালে উঠে মাঝের কুইন্স হলে ঢুকেই উপরে তাকালে দেখা যাবে গম্বুজের ভেতরের অংশ। নজরে পড়বে অর্ধচন্দ্রাকার বেশ কিছু বড় বড় ছবি। হলঘরের পাশ দিয়ে ঘোরানো সিঁড়ি দিয়ে উঠে যাওয়া যায় সেই গম্বুজের ভেতরের দেওয়ালে ছবিগুলির সামনে মার্বেলের রেলিং দেওয়া বারান্দা। মোট বারোটি ছবি আছে। ১৮৩৭ সালে রাজা চতুর্থ উইলিয়ামের মৃত্যু সংবাদ পাচ্ছেন রানি ভিক্টোরিয়া, রানির অভিষেক এবং তাঁর জীবনের বিশিষ্ট বারোটি আখ্যানমালা। শেষ অর্থাৎ বারো নম্বর ছবিটি তাঁর মৃত্যুসজ্জার (১৯০১)। দেওয়ালে দেওয়ালে ছবির পর ছবি। ড্যানিয়েল, টিলি কেটল, জোহান জোফানি, উইলিয়াম হজ, এমিলি ইডেন, অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর, গগনেন্দ্রনাথ ঠাকুর, নন্দলাল বসু প্রমুখ শিল্পীর ছবি। বহু পুরনো পাণ্ডুলিপি, দলিল-দস্তাবেজ, কাগজ-পত্তর। দেখা যায়, পুরনো কলকাতার দুষ্প্রাপ্য ফোটোগ্রাফি এবং পুরনো অস্ত্রশস্ত্রের উল্লেখযোগ্য সংরক্ষণ। বিখ্যাত ব্রিটিশ শাসকদের মূর্তিগুলির মাঝে আছে এক বাঙালির মূর্তি, তিনি স্থপতি রাজেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়।
১৯২১ সালের ২৮ ডিসেম্বর। কলকাতায় বেশ শীত। ব্রিটিশদের কাছে এই শীত বেশ আরামদায়ক হলেও এই মূহূর্তে ব্রিটিশ শাসকদের উদ্বেগের শেষ নেই। গড়ের ময়দান ঘিরে ফেলেছে ব্রিটিশ পুলিস। গোয়েন্দারা সজাগ। রাজা পঞ্চম জর্জ আসছেন রানিমার স্মৃতিসৌধ উদ্বোধন করতে এই ময়দানে। যে কলকাতা দেখেছিল রানি ভিক্টোরিয়ার মৃত্যুতে নগর সংকীর্তন, সেই কলকাতা দেখল তেরঙ্গা পতাকা নিয়ে তরুণরা পথে নেমেছে স্বরাজের দাবিতে, স্বাধীনতার দাবিতে। একটা কোম্পানির হাত ধরে আসা ব্রিটিশ সরকারের বিরুদ্ধে।
একশো বছর ধরে ঐতিহাসিক স্থাপত্য ও সংরক্ষণের নিদর্শন হিসেবে সেই স্মৃতিসৌধ আজও দাঁড়িয়ে আছে। তার সামনে গড়ের মাঠে, কলকাতার প্রাণকেন্দ্রে আজও, আজও মানুষের ওই ওই যে মিছিল এগিয়ে আসছে অধিকারের দাবিতে, গণতন্ত্রের দাবিত...আজও...আজও...!!
 ছবি ও গ্রাফিক্স : সোমনাথ পাল
 সহযোগিতায় : উজ্জ্বল দাস
04th  April, 2021
তোমারে সেলাম

 

আগামী শুক্রবার তাঁর প্রয়াণ দিবস। আর ২ মে পূর্ণ হচ্ছে তাঁর জন্ম শতবার্ষিকী। তিনি বিশ্ববরেণ্য চলচ্চিত্র পরিচালক সত্যজিৎ রায়। তাঁর বহুমুখী প্রতিভার হীরকোজ্জ্বল দ্যুতি বাঙালি মননে চির ভাস্বর। প্রিয় ‘মানিকদা’র জন্মদিনের আগে স্মৃতিচারণা করলেন তাঁর অধিকাংশ ছবির সিনেমাটোগ্রাফার সৌমেন্দু রায়।  বিশদ

18th  April, 2021
সাহিত্যের  সত্যজিৎ

সত্যজিৎ রায় শুধু সিনেমার নন, তিনি সাহিত্যেরও। সিনেমার জন্যই তিনি ভুবনজয়ী, চিনেছে গোটা পৃথিবীর মানুষ। সিনেমার নতুন ভাষা আবিষ্কার  করেছেন তিনি। বিশদ

18th  April, 2021
বাঙালি ব্যক্তিত্ব
সমৃদ্ধ দত্ত

সাধারণত ডাঃ বিধানচন্দ্র রায় দিল্লি গেলে প্রথমদিকে উঠতেন মৌলানা আবুল কালাম আজাদের বাসভবনে।  পরবর্তীকালে ডাঃ জে পি গাঙ্গুলির বাড়িতে। ১৯৪৮ সালের সেপ্টেম্বর মাসে প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরু হঠাৎ জরুরি তলব করলেন। সেবার দেখা গেল প্রয়োজনটা এতটাই গুরুত্বপূর্ণ যে, বিধানচন্দ্র রায় উঠলেন সরাসরি প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে। একদিন দু’দিন নয়। একটানা তিনদিন। বিশদ

11th  April, 2021
সত্যধর্মের দোলোৎসব
সুখেন বিশ্বাস

ফাগুনের দোলপূর্ণিমা। গাছে গাছে নতুন পাতা। শাখায় শাখায় শিমুল-পলাশের রোশনাই। ফুলে-ফলে ফাগুন যেন এক নতুন পৃথিবী। দোলের আবিরে একদিকে রঙিন বাংলার আকাশ-বাতাস, অন্যদিকে ডালিমতলা, হিমসাগর আর বাউল-ফকিরদের আখড়া। বিশদ

28th  March, 2021
কুম্ভে অমৃতের সন্ধানে
সমৃদ্ধ দত্ত

 

কাটিহারের মণিহারি ব্লকের কমলা পাসোয়ানের প্রিয় শখ হারিয়ে যাওয়া। এই ১৪ বছর বয়সে সে চারবার হারিয়ে গিয়েছে। প্রতিবারই মেলায়। কখনও কুম্ভে। কখনও শোনপুরে। কী আশ্চর্য! চারবারই আবার ফিরে এসেছে বাবা-মায়ের কাছে। ‘এই প্রথম কুম্ভে এলেন?’ নিরঞ্জনী আখড়ার বাইরের রাস্তায় ভাণ্ডারা হবে। বিশদ

21st  March, 2021
তারকার রাজনীতি
রাহুল চক্রবর্তী 

লাইট। সাউন্ড। ক্যামেরা। অ্যাকশন। শব্দগুলো বদলে গিয়ে হয়েছে— জয় বাংলা। জয় শ্রীরাম। ইনক্লাব জিন্দাবাদ। মোদ্দা কথা— সুসজ্জিত চেহারার ছোট কিংবা বড়পর্দার চেনা মুখগুলো আজ অচেনা গণ্ডিতে ধরা দিচ্ছেন। বিশদ

14th  March, 2021
রাস্তায় পাতা হয়েছে
রাখালদাসের ভাঙা বাড়ির ইট 
বিশ্বজিৎ মাইতি

সিন্ধু নদের শুকনো গর্ভের মাটি ও ভাঙা ইট সরিয়ে ইতিহাসের খোঁজ করছিলেন প্রত্নতাত্ত্বিক রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়। একের পর এক ইট সরিয়ে ভারতবর্ষের সুপ্রাচীন সভ্যতার চিহ্ন মহেঞ্জোদারো নগরী তিনি পৃথিবীর বুকে তুলে ধরেছিলেন।  
বিশদ

07th  March, 2021
সভ্যতার ঊষাকাল
হরপ্পা, মহেঞ্জোদারো
কৃষ্ণেন্দু দাস

সালটা ১৯২১। ঠিক একশো বছর আগে অবিভক্ত ভারতের পাঞ্জাব প্রদেশের হরপ্পা অঞ্চলে শুরু হল প্রত্নতাত্ত্বিক খনন কাজ। খোঁজ পাওয়া গেল কয়েক হাজার বছর প্রাচীন এক নগর সভ্যতার। পরের বছর খনন কাজ শুরু হয় সিন্ধুপ্রদেশের মহেঞ্জোদারোতে। দেশভাগের পর এ দু’টি অঞ্চল এখন পাকিস্তানের অন্তর্গত।
বিশদ

07th  March, 2021
উপেক্ষিত বিজ্ঞানী 

‘আত্মঘাতী’ বাঙালির ড্রয়িংরুমে তাঁরা কেবলই ছবি। ব্রাত্য। বিস্মৃত। উপেক্ষিত। কেউ নোবেল সিম্পোসিয়ামে বক্তব্য রাখার ডাক পেয়েছেন, আবার কারওর গবেষণার খাতা হাতিয়ে নোবেল পকেটে পুরেছেন অন্য কেউ। গোটা পৃথিবী তাঁদের অবদানে ঋদ্ধ-সমৃদ্ধ, অথচ নিজভূমে তাঁরাই রয়ে গিয়েছেন বিস্মৃতির অন্ধকারে। আজ জাতীয় বিজ্ঞান দিবসের আত্মভরী প্রত্যুষে তেমনই চার বরেণ্য বাঙালি বিজ্ঞানীর বেদনা-বিধুর কাহিনি শোনাচ্ছেন মৃন্ময় চন্দ। 
বিশদ

28th  February, 2021
বাঙালির বিজয় দিবস 
পবিত্র সরকার

যদি কেউ জিজ্ঞেস করেন, বিংশ শতাব্দীতে এই দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলে সবচেয়ে বড় ঘটনা কী ঘটেছিল, তা হলে অনেকেই হয়তো বলবেন, ১৯৪৭ সালে ভারতের স্বাধীনতা বা দেশভাগ। দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের একটা ভালো (!) দিক এই যে, তা সাম্রাজ্যবাদের মৃত্যুঘণ্টা বাজাল, আর তারই ফলে, ভারতীয় উপমহাদেশ তার বহুবাঞ্ছিত ‘স্বাধীনতা’ লাভ করল।  
বিশদ

21st  February, 2021
কচিকাঁচাদের ভ্যালেন্টাইন
শান্তনু দত্তগুপ্ত

প্রেমের প্রকাশ নানা রকম। বাঙালির কৈশোরের প্রথম প্রেম অবশ্যই নন্টে ফন্টে, বাঁটুল দি গ্রেট বা হাঁদা ভোঁদা। এগুলির স্রষ্টা যিনি, তিনিও তো এক অর্থে সেন্ট ভ্যালেন্টাইনই বটে। বঙ্গের কিশোর-কিশোরীদের প্রথম ভালোবাসাকে আজও তিনি বাঁচিয়ে রেখেছেন নিজের সৃষ্টির মধ্যে দিয়ে। আজ ভালোবাসার দিবসে পদ্মশ্রী নারায়ণ দেবনাথের অমর সৃষ্টিকে ফিরে দেখার চেষ্টা। বিশদ

14th  February, 2021
নেতাজির গুপ্তবাহিনী
শহিদের অজানা আখ্যান
অমিত মিত্র

উত্তাল বঙ্গোপসাগর। ঢেউয়ের মাথা চিরে এগিয়ে চলেছে টর্পেডোবাহী একটি জাপানি ডুবোজাহাজ।  আচমকা তা ঝাঁপ দিল সমুদ্রের অতলে। জলের নীচে অদৃশ্য হতে না হতেই বন্ধ করা হল ইঞ্জিনও। প্রমাদ গুনলেন ভিতরের কেবিনে বসা আজাদ-হিন্দ-ফৌজের গুপ্তবাহিনীর চার অফিসার— তবে কি কোনও ব্রিটিশ ডেস্ট্রয়ারের নজরে এসেছে সাবমেরিনটি? বিশদ

07th  February, 2021
শতবর্ষে বিশ্বভারতী
সবুজকলি সেন

‘বিশ্বভারতী’ কোনও পূর্বপরিকল্পিত বিশ্ববিদ্যালয় নয়। ‘বিশ্বভারতী’ ব্রহ্মবিদ্যালয় নামের একটি ক্ষুদ্র বীজের বটবৃক্ষে পরিণত রূপ। ১৯০১ সালে (৮ পৌষ) পাঁচজন ছাত্রকে নিয়ে যে আশ্রম বিদ্যালয় যাত্রা করেছিল ভারতবর্ষের প্রাচীন তপোবনের আদর্শে—১৯২১-এ তারই পরিণত রূপ ‘বিশ্বভারতী’। বিশদ

31st  January, 2021
নেতাজি সুভাষের সেবাশ্রম
জয়ন্ত চৌধুরী

নির্জন দুপুর। বঙ্গভূমি থেকে নির্বাসিত কারারুদ্ধ সুভাষ। বার্মার মান্দালয় জেল তাঁর কাছে তখন জীবন উপলব্ধির একান্ত সাধনপীঠ। বহু ত্যাগ ব্রতী দেশপ্রেমিক কারাজীবন অতিবাহিত করেছেন বার্মার কারাগারে। আর এই জেলে বসেই একদিন পেলেন তাঁর রাজনৈতিক সমর্পণের কাণ্ডারী দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশের প্রয়াণবার্তা। বিশদ

24th  January, 2021
একনজরে
শনিবার বিকেলে রানিগঞ্জ ব্লকের তিরাট পঞ্চায়েতে প্রচার ছিল সায়নী ঘোষের। পূর্ব কর্মসূচি মতোই তিরাট পঞ্চায়েতের সবচেয়ে বড় বাজার চেলোদে এসে তাঁর গাড়ি থামে। স্বাভাবিকভাবেই তাঁকে ...

ষষ্ঠ দফার নির্বাচনের প্রচারের শেষ দিনে আজ, সোমবার উত্তর দিনাজপুর জেলায় তিনটি সভা করছেন তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা ...

রবিবার সকাল থেকে ভোট-পরবর্তী হিংসায় উত্তপ্ত হয়ে ওঠে চাকদহ থানার রাউতাড়ী পঞ্চায়েতের উত্তর এনায়েতপুরের মণ্ডলপাড়া। বাড়ির সামনে থেকে দেহ উদ্ধার হয় এক বিজেপি কর্মীর। মৃতের নাম দিলীপ কীর্তনীয়া (৩১)।   ...

কাজ পাগল কাজল! শ্যামসুন্দর-নিত্যানন্দের পুণ্যভূমিতে কাজল সিনহাকে চিনতে ‘রাজনৈতিক পরিচয়’ লাগে না। কর্মেই তিনি বেশি পরিচিত। তাঁর অতিবড় নিন্দুকেরাও নাকি এমন কথা বলে থাকেন!  ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

অত্যধিক পরিশ্রমে শারীরিক দুর্বলতা। বাহন বিষয়ে সতর্কতা প্রয়োজন। সন্তানের বিদ্যা-শিক্ষায় অগ্রগতি বিষয়ে সংশয় বৃদ্ধি। আধ্যাত্মিক ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৮৮২: বিবর্তনবাদের স্রষ্টা চার্লস ডারউইনের মৃত্যু
১৯৫৫: শিকারি ও লেখক জিম করবেটের মৃত্যু
১৯৫৭: শিল্পপতি মুকেশ আম্বানির জন্ম
১৯৫৮: সাহিত্যিক অনুরূপা দেবীর মৃত্যু
১৯৮৭: রুশ টেনিস খেলোয়াড় মারিয়া শারাপোভার জন্ম  



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭৩.৬৯ টাকা ৭৫.৪১ টাকা
পাউন্ড ১০১.৩৬ টাকা ১০৪.৯০ টাকা
ইউরো ৮৭.৭৬ টাকা ৯০.৯৪ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
18th  April, 2021
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৪৮,০৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৪৫,৬০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৪৬,৩০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৬৯,২০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৬৯,৩০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]
18th  April, 2021

দিন পঞ্জিকা

৫ বৈশাখ ১৪২৮, সোমবার, ১৯ এপ্রিল ২০২১। সপ্তমী ৪৬/৫২ রাত্রি ১২/২। পুনর্বসু নক্ষত্র অহোরাত্র। সূর্যোদয় ৫/১৭/৭, সূর্যাস্ত ৫/৫৪/৩৫। অমৃতযোগ দিবা ৬/৫৯ মধ্যে পুনঃ ১০/২০ গতে ১২/৫২ মধ্যে। রাত্রি ৬/৪০ গতে ৮/৫৬ মধ্যে পুনঃ ১১/১২ গতে ২/১৬ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৩/২৩ গতে ৫/৪ মধ্যে। বারবেলা ৬/৫১ গতে ৮/২৬ মধ্যে পুনঃ ২/৪৫ গতে ৪/২০ মধ্যে। কালরাত্রি ১০/১০ গতে ১১/৩৫ মধ্যে।  
৫ বৈশাখ ১৪২৮, সোমবার, ১৯ এপ্রিল ২০২১। সপ্তমী রাত্রি ৬/৫৭। পুনর্বসু নক্ষত্র রাত্রি ২/১৬। সূর্যোদয় ৫/১৭, সূর্যাস্ত ৫/৫৬। অমৃতযোগ দিবা ৬/৫৮ মধ্যে ও ১০/১৫ গতে ১২/৫১ মধ্যে এবং রাত্রি ৬/৪৬ গতে ৯/০ মধ্যে ও ১১/১১ গতে ২/৭ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৩/২৭ গতে ৫/১০ মধ্যে। কালবেলা ৬/৫২ গতে ৮/২৭ মধ্যে ও ২/৪৬ গতে ৪/২১ মধ্যে। কালরাত্রি ১০/১২ গতে ১১/৩৭ মধ্যে।  
৬ রমজান। 

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আইপিএল: রাজস্থান রয়্যালস-এর বিরুদ্ধে ৪৫ রানে জিতল চেন্নাই সুপার কিংস 

11:29:00 PM

আইপিএল: রাজস্থান ৯৭/৭(১৫ ওভার)

11:00:41 PM

আইপিএল: রাজস্থান ৮১/২(১০ ওভার)

10:32:46 PM

আইপিএল: রাজস্থানকে ১৮৯ রানের টার্গেট দিল চেন্নাই

09:37:20 PM

আইপিএল: চেন্নাই ১৩৩/৫ (১৬ ওভার) 

09:02:32 PM

আইপিএল: চেন্নাই ৯৮/৩ (১১ ওভার) 

08:34:07 PM