Bartaman Patrika
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
 

সভ্যতার ঊষাকাল
হরপ্পা, মহেঞ্জোদারো
কৃষ্ণেন্দু দাস

সালটা ১৯২১। ঠিক একশো বছর আগে অবিভক্ত ভারতের পাঞ্জাব প্রদেশের হরপ্পা অঞ্চলে শুরু হল প্রত্নতাত্ত্বিক খনন কাজ। খোঁজ পাওয়া গেল কয়েক হাজার বছর প্রাচীন এক নগর সভ্যতার। পরের বছর খনন কাজ শুরু হয় সিন্ধুপ্রদেশের মহেঞ্জোদারোতে। দেশভাগের পর এ দু’টি অঞ্চল এখন পাকিস্তানের অন্তর্গত। সিন্ধু নদের অববাহিকায় গড়ে ওঠা এই সভ্যতা ইতিহাসের পাতায় সিন্ধু সভ্যতা নামে পরিচিত। হরপ্পা, মহেঞ্জোদারো আবিষ্কারের মাধ্যমে ভারতীয় সভ্যতার ঊষাকাল এক ধাক্কায় পিছিয়ে গেল তাম্র-ব্রোঞ্জ যুগে। আর এই সভ্যতা আবিষ্কারের কৃতিত্ব তালিকায় জন মার্শাল, দয়ারাম সাহানি, মার্টিমার হুইলারের সঙ্গে সসম্মানে স্থান করে নিলেন এক বাঙালি ঐতিহাসিক রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়।

হরপ্পা, মহেঞ্জোদারো নামগুলো শুনলেই বাঙালির সবার আগে যাঁর নাম মনে আসে তিনি রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ থেকে প্রায় একশো বছর আগে যিনি আবিষ্কার করেন সিন্ধু সভ্যতার দ্বিতীয় বৃহত্তম নগর মহেঞ্জোদারো। যদিও বর্তমান আলোচ্য বিষয় আবিষ্কর্তা নন, আবিষ্কার। প্রত্নতাত্ত্বিক স্থান হিসেবে মহেঞ্জোদারোর গুরুত্ব আগেই বোঝা গেলেও সংস্কৃতির বিচারে সে যে হরপ্পার সঙ্গে এক সুতোয় বাঁধা— এই উপলব্ধি রাখালদাসই প্রথম করতে পেরেছিলেন। ১৯২১-’২২ নাগাদ যখন তিনি মহেঞ্জোদারোতে খোঁড়াখুঁড়ি শুরু করেন তার ঠিক একবছর আগে দয়ারাম সাহানি খনন করেন হরপ্পা। হরপ্পা থেকে কিছু শিলমোহর এর আগেও পাওয়া গিয়েছিল বটে কিন্তু সেগুলো যে প্রাচীন পৃথিবীর বৃহত্তম ও ভারতীয় উপমহাদেশের প্রাচীনতম এক সভ্যতার অঙ্গ সেই উপলব্ধিতে পৌঁছনোর সূচনা হয়েছিল আজ থেকে একশো বছর আগেকার ওই হরপ্পা খনন থেকেই।
দু’টি মাত্র কেন্দ্র দিয়ে যে সভ্যতা বিশ্ব দরবারে আত্মপ্রকাশ করেছিল সেই সংখ্যাটা আজ শতবর্ষ পার করে তিন হাজার ছাড়িয়েছে। বহরে ছাড়িয়েছে ১০ লক্ষ বর্গ কিলোমিটার। বালুচিস্তান, সিন্ধ, পাঞ্জাব, কাশ্মীর, গুজরাত, রাজস্থান, হরিয়ানা ছাড়িয়ে উত্তরপ্রদেশ পর্যন্ত ব্যাপ্ত এই সভ্যতার আবিষ্কারের প্রাথমিক বিস্ময় কাটিয়ে আমরা ধীরে ধীরে প্রবেশ করেছি তার গভীরে। সময় পাল্টানোর সঙ্গে সঙ্গে ক্রমেই পাল্টেছে তার সম্বন্ধে আমাদের বহু প্রাথমিক ধারণাও।
সিন্ধু নদ ও তার বিভিন্ন উপনদীর ধার ঘেঁষে গড়ে ওঠা এই সভ্যতার প্রথম পরিচয় ছিল সিন্ধু সভ্যতা হিসেবেই। কিন্তু গবেষণা ও প্রত্নতাত্ত্বিক অনুসন্ধান যত এগতে লাগল, দেখা গেল যে এই সভ্যতার একটা বিরাট বড় অংশ বাঁধা রয়েছে বর্তমানে বিলুপ্ত প্রাচীন সরস্বতী ও তার সঙ্গী নদীগুলির আশপাশে। সরস্বতীর শুকিয়ে যাওয়া নদীখাত দিয়ে এখন ঘগ্গর নামের একটি বৃষ্টির জলে পুষ্ট ছোট জলধারা শিবালিক পার্বত্য প্রদেশ থেকে রাজস্থান পর্যন্ত প্রবাহিত হয়। এই ধারাটি যখন ভারতের গণ্ডি টপকে পাকিস্তানে ঢুকত তখন পাকিস্তানে সে নাম নিত হাকরা। যার শুকিয়ে যাওয়া নদীখাত আজও দেখা যায় সেখানকার চোলিস্তান মরুভূমি, বাহাওয়ালপুর অঞ্চলে।
স্বাধীনতা-উত্তর পর্বে পাঁচের দশকে অমলানন্দ ঘোষ এই ঘগ্গর নদীপ্রবাহের পাশে বেশ কিছু হরপ্পা সভ্যতা কেন্দ্র আবিষ্কার করেন। পরবর্তীকালে সাতের দশকে পাকিস্তানের হাকরা নদীর শুকনো খাতের পাশে প্রায় ৩০০ মাইল এলাকা জুড়ে মহম্মদ রফিক মুঘল আবিষ্কার করেন এই সভ্যতার প্রচুর কেন্দ্র। তারপর ধীরে ধীরে প্রাচীন সরস্বতীর তীর ফুলেফেঁপে উঠতে থাকে হরপ্পা সভ্যতার নিদর্শনে। আজ তার উপত্যকায় সভ্যতা কেন্দ্রের সংখ্যা দু’হাজারেরও বেশি।
প্রথম দিককার গবেষকদের মধ্যে একটা ধারণা প্রবলভাবে জায়গা করে নিয়েছিল যে, এই নাগরিক সভ্যতার বৈশিষ্ট্যগুলি মূলত মেসোপটেমিয়া থেকে আগত। কিন্তু গবেষণা যত এগতে থাকে, পরিচয় যত গভীর হতে থাকে বোঝা যেতে থাকে যে এই সভ্যতা স্বতন্ত্র। তার নাগরিকতার বৈশিষ্ট্য, উপাদান সমস্ত কিছুতেই তার স্বাবলম্বী চরিত্র ফুটে উঠতে থাকে। ডব্লিউ এ ফেয়ারসর্ভিস (জুনিয়র), জে এম কাসাল, এফ এ খান, অমলানন্দ ঘোষ, বি বি লাল, সূরয ভান প্রমুখ প্রত্নবিদের গবেষণায় উঠে আসতে থাকে এই সভ্যতার এক প্রাক স্তর, হরপ্পা সভ্যতার আদিরূপের বিবরণ। পাকিস্তানের আমরি, নাল, কোট ডিজি, দাম্বসাদাত কিংবা ভারতের কালিবাঙ্গান, সোথি, সিসওয়াল ইত্যাদি প্রত্নতাত্ত্বিক কেন্দ্র থেকে পাওয়া যেতে থাকে সেই আদিরূপের সুনিশ্চিত ও সুস্পষ্ট নিদর্শন।
সাতের দশকেই এই গবেষণায় এক নতুন মোড় আসে বালুচিস্তানের বোলান নদীর উপত্যকায় মেহরগড় আবিষ্কারের পর। জারিজ দম্পতি এখানে ১৯৭৪ থেকে ১৯৮৬ পর্যন্ত দীর্ঘ খনন কাজ চালান। দেখা যায় যে, হরপ্পার নাগরিক কেন্দ্রগুলির সলতে পাকানো পর্বের সূচনা হয়েছিল মেহরগড়ের গ্রাম থেকেই। নব্যপ্রস্তর যুগের এই বসতি যাঁরা গড়ে তুলেছিলেন, তাঁরা রোদে শুকানো ইটে বাড়িঘর তৈরি করলেও মাটির পাত্র তৈরি করতে তখনও শেখেননি। সূচনার সেই সময়টা খ্রিস্টপূর্ব সাত হাজার বছরেরও বেশি প্রাচীন অর্থাৎ সে আজ থেকে নয় হাজার বছর আগেকার কথা।
তবে সে সময়ে যে কেবল বোলান নদীর তীরে মেহরগড় ও তার আশপাশেই গ্রামীণ বসতির সূচনা হয়েছিল এমনটা নয়। প্রাচীন সরস্বতীর স্রোতধারার পাশেও হরিয়ানা রাজ্যের ভিরানা গ্রামে আজ থেকে প্রায় সাড়ে ন’হাজার বছর আগে গড়ে উঠেছিল গ্রাম। তবে তাঁরা তখন ইটের ব্যবহার জানতেন না, মাটিতে গর্ত করে তার ওপর খড়, বাঁশ দিয়ে তৈরি করতেন অস্থায়ী বসতি। কিন্তু মাটির পাত্র তৈরি করে সেগুলোকে পুড়িয়ে পোক্ত করে নিতে তাঁরা জানতেন। রফিক মুঘল যখন পাকিস্তানের হাকরা নদীর শুকনো খাতের পাশে অনুসন্ধান চালাচ্ছিলেন, তখন তিনি সেখানকার প্রাচীনতম পর্যায়ে এক অস্থায়ী ও গ্রামীণ সংস্কৃতির নিদর্শন আবিষ্কার করেছিলেন। সেই সংস্কৃতিকে তিনি
নাম দিয়েছিলেন হাকরা মৃৎপাত্র সংস্কৃতি। ২০০৩ থেকে ২০০৬ সময়কালে ভারতীয় পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণ ভিরানায় খোঁড়াখুঁড়ি করে যে সংস্কৃতির পরিচয় পান, তা ছিল মূলত ওই হাকরা মৃৎপাত্র সংস্কৃতিরই অংশ। যদিও কিছু স্থানীয় বৈচিত্র্য তাদের মধ্যে ছিল। এই সংস্কৃতিকে প্রত্নবিদরা প্রাক হরপ্পা সংস্কৃতি পর্যায় হিসেবে চিহ্নিত করেন। এর পরেই ক্রমবিবর্তনের ধারায় আসে আমরি, নাল বা কালিবাঙ্গান সংস্কৃতি পর্যায়। প্রত্নতাত্ত্বিক মহলে যা আদি হরপ্পা পর্যায়ের তকমা লাভ করেছে। তবে তখনও তা মূলত গ্রামীণ বসতি।
তারপর ধীরে ধীরে গ্রামের পর গ্রাম, শহরতলি পেরিয়ে আজ থেকে প্রায় সাড়ে চার হাজার বছর আগে গড়ে উঠতে থাকে হরপ্পা, মহেঞ্জোদারো, কালিবাঙ্গান, লোথাল, ধোলাভিরা বা রাখিগরহির মতো নগরগুলি। তবে কেবলমাত্র মহেঞ্জোদারো ছাড়া আর সব ক’টি নগর কেন্দ্রের সূচনায় ধীরে ধীরে গ্রাম থেকে নগরে রূপান্তরের ধারাটি স্পষ্ট ভাবে লক্ষ করা গিয়েছে।
মূলত দুটো ভাগে বিভক্ত এই শহরগুলিতে দুর্গপ্রাকার ঘেরা একটু উঁচু স্থানে তুলনামূলক অবস্থাপন্ন বা শাসক শ্রেণীর মানুষ ও তার বাইরে একটু নিচু জায়গায় সাধারণ মানুষেরা বসবাস করতেন বলে প্রত্ন পণ্ডিতেরা অনুমান করেন। অনেকসময় সমগ্র বসতি অঞ্চলটাই পাঁচিল দিয়ে ঘিরে দেওয়া হতো।
প্রাচীন পৃথিবীর অন্যান্য সমসাময়িক সংস্কৃতি যেমন মেসোপটেমিয়া বা মিশরীয় সভ্যতার থেকে অনেকাংশেই আলাদা ছিল হরপ্পা সভ্যতা। চুল্লিতে পোড়ানো ইটের ব্যবহার, সুসজ্জিত নগর পরিকল্পনা, একাধিক ঘর যুক্ত একতলা বা কখনও দোতলা পাকা বাড়ি, কুয়ো, বাঁধানো রাস্তাঘাট, জলাধার ও সর্বোপরি চমকপ্রদ নিকাশি ব্যবস্থা প্রাচীন পৃথিবীতে এই সভ্যতাকে এক পৃথক ও বিশেষ পরিচয় প্রদান করেছিল। সমকালীন অন্যান্য সভ্যতায় যেখানে শাসক শ্রেণির বড় বড় অট্টালিকা তৈরি হয়েছে— পিরামিড, জিগুরাত বা দেবতার মন্দির গড়ে উঠেছে, সেখানে হরপ্পা সভ্যতা তার নাগরিকদের স্বাচ্ছন্দ্যের কথা ভেবেছে। প্রাচীরগাত্রে রাজারাজড়ার ছবি খোদাইয়ের বদলে সাধারণ মানুষের ব্যবহারের জন্য কুয়ো খোড়া হয়েছে। মহেঞ্জোদারো নগরে এমন প্রায় সাতশো কুয়োর সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। এই সভ্যতা তাই আজও বিস্মিত করে চলেছে আমাদের।
সমকালীন অন্যান্য সভ্যতা ও সংস্কৃতি কেন্দ্রগুলোর সঙ্গে তার সুদৃঢ় বাণিজ্য সম্পর্ক ছিল। আফগানিস্তান, তুর্কমেনিস্তান, মেসোপটেমিয়া, উপসাগরীয় (গালফ) অঞ্চলের সঙ্গে হরপ্পা সভ্যতার যোগাযোগ ছিল অত্যন্ত সাবলীল। এর জন্য হরপ্পা সভ্যতার মানুষেরা তৈরি করেছিলেন মূলত চৌকো বা কখনও লম্বাটে ধাঁচের এক ধরনের শিলমোহর, যাতে খোদিত হতো লিপিচিহ্ন ও কিছু বিশেষ পশুমূর্তি। তবে কেবল বাইরের সঙ্গে নয় তার নিজস্ব কেন্দ্রগুলির মধ্যেও চলত নিত্যদিনের ব্যবসা-বাণিজ্য। আফগানিস্তানের বাদাখশান থেকে আসত লাপিস লাজুলি পাথর, আরবসাগর থেকে উঠত ঝিনুক, শঙ্খ। স্থানীয় বা কখনও সুদূর অঞ্চল থেকে আসত স্টিয়েটাইট, আলাবাস্টার, হাতির দাঁত, প্রবাল, জেড, কর্নেলিয়ান, অ্যাগেট, জ্যাসপার পাথর, সোনা, রূপা, তামা, ব্রোঞ্জ বা অল্প দামি পাথর। পৌঁছে যেত ছোট ছোট শিল্পকেন্দ্রগুলিতে। সেখান থেকে তৈরি হয়ে আসত যে প্রসাধনী তা চলে যেত বড় বড় নগর কেন্দ্রগুলোতে। কখনও বা মেসোপটেমিয়ার রাজ পরিবারে। ২৩০০ খ্রিস্টপূর্বে মেসোপটেমিয়াতে যখন আক্কাদিও রাজবংশের প্রথম রাজা সারগনের রাজত্ব তখন সেখানে উল্লেখ পাওয়া যায় দিলমুন, মাগান আর মেলুহার। এদের সঙ্গেই চলত তাঁর ব্যবসা বাণিজ্য। দিলমুন হিসেবে চিহ্নিত করা গিয়েছে আজকের পারস্য উপসাগর সংলগ্ন অঞ্চলকে, মাগান এখনকার ওমান। আর মেলুহা-ই হল হরপ্পা সভ্যতা। প্রত্নবিদেরা আশ্চর্যের সঙ্গে লক্ষ করেছেন যে হরপ্পা সভ্যতা থেকে রপ্তানি করা জিনিসপত্র মেসোপটেমিয়ায় যে পরিমাণে পাওয়া গিয়েছে, সে তুলনায় আমদানি দ্রব্য প্রায় শূন্য। পণ্ডিতরা ধারণা করেছেন যে, হয়তো এমন কোনও বস্তুসামগ্রী হরপ্পায় আসত যা চিরস্থায়ী নয়, সময় যার চিহ্ন মুছে দিয়ে গিয়েছে। তবুও একথা অস্বীকারের কোনও জায়গা নেই যে তার নিজস্ব কেন্দ্রগুলি থেকে যে বস্তুসামগ্রী আদানপ্রদান হতো তাতে সে অনেকটাই স্বয়ংসম্পূর্ণ ও স্বাবলম্বী হয়ে উঠেছিল। গুজরাতের লোথালে গড়ে উঠেছিল সমুদ্র বন্দর। আজ প্রায় পাঁচ হাজার বছর পরেও এখনও যা নিজের গরিমা প্রকাশ করে চলেছে। হরপ্পার অধিবাসীরা এমনকী, মেসোপটেমিয়াতেও সম্পূর্ণ নিজেদের একটা গ্রাম গড়ে তুলেছিল।
হরপ্পাবাসীর ধর্মাচরণেও ছিল স্বাতন্ত্র্য। হরপ্পা, মহেঞ্জোদারো ইত্যাদি স্থানগুলোতে মাতৃদেবতার আরাধনার যে প্রাবল্য লক্ষিত হয়, তেমনটা মোটেও লক্ষ করা যায় না কালিবাঙ্গান, রাখিগরহি বা লোথাল প্রভৃতি কেন্দ্রগুলোতে। এখানে আমরা দেখি অগ্নিকুণ্ড, পশুবলিদান বা কখনও স্বয়ংসম্পূর্ণ শিবলিঙ্গ। হরপ্পাবাসীর ধর্মে অশ্বত্থ পাতার এক বিশেষ স্থান ছিল। বিভিন্ন শিলমোহর থেকে মৃৎপাত্র সবেতেই অশ্বত্থ পাতার ছবি আমরা দেখতে পাই। দুটি শিং যুক্ত ধ্যানাসনে বসা এক দেবমূর্তিও ছিল হরপ্পাবাসীর আরাধ্য। কিন্তু কোথাও কোনও গগনচুম্বী উপাসনাস্থল প্রস্তুত হয়নি তাঁদের আরাধ্যের জন্য। হরপ্পার মানুষজনের মতোই তাঁদের উপাস্যও অতি সাধারণের মধ্যে দিয়েই হয়ে উঠেছিলেন অনন্য সাধারণ।
এই সভ্যতার দশ লক্ষ বর্গ কিলোমিটার এলাকায় কোথাও কোনও চোখধাঁধানো নির্মাণ নেই। সাধারণ কৃষিকাজ, পশুপালন, ছোটখাট শিল্পসামগ্রী নির্মাণ আর ব্যবসা-বাণিজ্য নিয়েই ধীরে ধীরে গড়ে উঠেছিল এই সংস্কৃতিক্ষেত্র।
যদিও ছোট থেকেই বিভিন্ন ইতিহাস বইয়ের পাতায় আমরা দেখে এসেছি, বুঝে এসেছি যে, সিন্ধু সভ্যতা মানেই মহেঞ্জোদারো, হরপ্পা, ধোলাভিরা বা রাখিগরহির মতো নগরই তার আসল পরিচয়, এই সভ্যতা আদপেই একটি নগরকেন্দ্রিক সংস্কৃতি। তবু এটা তার সামগ্রিক পরিচয় নয়। আমাদের প্রায়ই জানানো হয় না যে, এই নগরের সংখ্যা তো মাত্র হাতে গোনা কয়েকটি। এই সভ্যতার নব্বই শতাংশই মূলত গ্রাম। গ্রামীণ সংস্কৃতির মজবুত ভিত্তিতেই সুদৃঢ় হয়েছিল তার নাগরিক সংগঠন। তাই হরপ্পা সভ্যতাকে আরও কাছ থেকে বুঝে নিতে গেলে কেবল নগরকেন্দ্রিক দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন করতে হবে। দেখতে হবে হরপ্পার গ্রামবাসী জনজীবনের একদিন প্রতিদিন।
হরপ্পা সভ্যতার সঙ্গে প্রথম পরিচয়ের একশো বছর পরও তাই বেশ কিছু বিষয় আজও আমাদের কাছে অধরা থেকে গিয়েছে। আমরা আজও তাঁদের লিখে রেখে যাওয়া অক্ষরগুলি পড়ে উঠতে পারিনি। ফিনিশীয় গবেষক আস্কো পারপোলা বা স্বদেশীয় প্রত্নবিদ এস আর রাও প্রমুখরা চেষ্টা করলেও সাফল্য পাননি। সম্প্রতি বহতা অংশুমালি মুখোপাধ্যায় পাঠোদ্ধার প্রক্রিয়ার একটা রাস্তা বাতলে দেওয়ার চেষ্টা করেছেন তাঁর এক গবেষণাপত্রে। কিন্তু এর বেশি অগ্রসর আমরা এখনও হতে পারিনি।
হরপ্পা সভ্যতার মানুষেরা কীভাবে তাঁদের মৃতদেহ সৎকার করতেন তারও সামগ্রিক পরিচয় আমাদের কাছে বেশ খানিকটা ছায়াচ্ছন্ন। হরপ্পা, রাখিগরহি, লোথাল, কালিবাঙ্গান, ফারমানা ইত্যাদি কয়েকটা স্থানে কিছু সমাধি পাওয়া গিয়েছে বটে তবে তা হরপ্পার মোট অনুমেয় অধিবাসীর তুলনায় এক শতাংশও নয়। কিছু কিছু ক্ষেত্রে আবার অগ্নি সৎকারেরও প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে। তাই অনুমান করা যায় মৃতদেহ সৎকারের একাধিক প্রক্রিয়া প্রচলিত ছিল প্রাচীন মেলুহায়।
হরপ্পাবাসীদের প্রকৃত পরিচয়ও এমন এক প্রশ্ন যেখানে প্রথম দিন থেকেই বিতর্ক চলে আসছে। সম্প্রতি হরপ্পা সভ্যতার সবচেয়ে বড় কেন্দ্র হরিয়ানার রাখিগরহির সমাধিক্ষেত্রের একজন নারীর দেহাবশেষের ডিএনএ পরীক্ষা করে জানা গিয়েছে যে এঁরা ছিলেন স্থানীয় মানুষ। যাঁরা বিগত দশ হাজার বছরেরও বেশি সময় ধরে একটু একটু করে গুছিয়ে নিয়েছিলেন নিজেদের চারপাশটাকে। অত্যাধুনিক প্রযুক্তির সাহায্যে একজন অধিবাসীর মুখাবয়ব পুনর্নির্মাণ করেও দেখা গিয়েছে যে আধুনিক সময়ের হরিয়ানার মানুষজনের মতোই ছিল তাঁর অবয়ব।
তবে এই সভ্যতা বিষয়ে সবচেয়ে বড় যে প্রশ্নটা আজও প্রত্নবিদদের মধ্যে বিতর্ক জাগিয়ে রেখেছে তা হল এর অবসানের কারণ। মোটামুটিভাবে ১৮০০ বা ১৭০০ খ্রিস্টপূর্ব নাগাদ এই সভ্যতার বৈশিষ্ট্যগুলি ক্রমে বিলুপ্ত হতে থাকে। শিলমোহর, মাটির বাসনপত্র, হরপ্পা সভ্যতার বৈশিষ্ট্য যুক্ত ইট, শিল্পসামগ্রী আর দেখা যায় না। সাজানো গুছানো নগর বিশৃঙ্খল কাঠামোয় ভরতে থাকে। বাণিজ্যের বিলাসিতা হারিয়ে যায়। নগর সভ্যতার নাগরিক স্বাচ্ছন্দ্য হারিয়ে পুনরায় গ্রামীণ সংস্কৃতি নির্ভর আরও সরল এক জীবনধারায় মিশে যায় মেলুহা সংস্কৃতির উপাদানগুলি।
হরপ্পা সভ্যতার এই আকস্মিক পরিবর্তনের কারণ হিসেবে ভূমিকম্প, বন্যা, খরা, অত্যধিক বৃক্ষচ্ছেদন, বহির্বাণিজ্যের অবনতি, বহিঃশত্রুর আক্রমণ বা নদীর গতিপথ পরিবর্তন ইত্যাদি নানা তত্ত্ব উঠে এসেছে। তবে খ্রিস্টপূর্ব দ্বিতীয় সহস্রাব্দ অর্থাৎ ১৯০০ বা ১৮০০ খ্রিস্টপূর্ব নাগাদ প্রাচীন সরস্বতী নদীর শুকিয়ে যাওয়া এবং পরিবেশ পরিস্থিতির অবনতির তত্ত্বই বর্তমানে সবচেয়ে বেশি আলোচিত।
হরপ্পা সভ্যতা আবিষ্কারের একশো বছর পার করে আমরা ক্রমেই বুঝতে পারছি যে এই খোঁজ তো আসলে আমাদের শিকড়ের সন্ধান। একটু একটু করে আমরা যতই এর কাছে এগিয়েছি, ততই নিজেদের কাছে নিজের অতীতটা একটু একটু করে স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। আর তার সঙ্গে এটাও উপলব্ধি করা যায় যে, এই একশো বছরের হিসেবটা কেবলমাত্র একটা সংখ্যা। পাঁচ হাজার বছরেরও বেশি সময় ধরে একটু একটু করে যে সভ্যতা গড়ে উঠেছিল তাকে আগাগোড়া বুঝে নেওয়ার জন্য একশো বছর শুধুই একটা মুখবন্ধ মাত্র। সমগ্র বই তো এখনও পড়েই রয়েছে আগ্রহী পাঠকের অপেক্ষায়।
(লেখক কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের গবেষক)
 গ্রাফিক্স : সোমনাথ পাল
 সহযোগিতায় : উজ্জ্বল দাস 
07th  March, 2021
তোমারে সেলাম

 

আগামী শুক্রবার তাঁর প্রয়াণ দিবস। আর ২ মে পূর্ণ হচ্ছে তাঁর জন্ম শতবার্ষিকী। তিনি বিশ্ববরেণ্য চলচ্চিত্র পরিচালক সত্যজিৎ রায়। তাঁর বহুমুখী প্রতিভার হীরকোজ্জ্বল দ্যুতি বাঙালি মননে চির ভাস্বর। প্রিয় ‘মানিকদা’র জন্মদিনের আগে স্মৃতিচারণা করলেন তাঁর অধিকাংশ ছবির সিনেমাটোগ্রাফার সৌমেন্দু রায়।  বিশদ

18th  April, 2021
সাহিত্যের  সত্যজিৎ

সত্যজিৎ রায় শুধু সিনেমার নন, তিনি সাহিত্যেরও। সিনেমার জন্যই তিনি ভুবনজয়ী, চিনেছে গোটা পৃথিবীর মানুষ। সিনেমার নতুন ভাষা আবিষ্কার  করেছেন তিনি। বিশদ

18th  April, 2021
বাঙালি ব্যক্তিত্ব
সমৃদ্ধ দত্ত

সাধারণত ডাঃ বিধানচন্দ্র রায় দিল্লি গেলে প্রথমদিকে উঠতেন মৌলানা আবুল কালাম আজাদের বাসভবনে।  পরবর্তীকালে ডাঃ জে পি গাঙ্গুলির বাড়িতে। ১৯৪৮ সালের সেপ্টেম্বর মাসে প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরু হঠাৎ জরুরি তলব করলেন। সেবার দেখা গেল প্রয়োজনটা এতটাই গুরুত্বপূর্ণ যে, বিধানচন্দ্র রায় উঠলেন সরাসরি প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে। একদিন দু’দিন নয়। একটানা তিনদিন। বিশদ

11th  April, 2021
একশোয় ভিক্টোরিয়া
রজত চক্রবর্তী

কলকাতার ভোর হল আজ সমবেত কীর্তন আর খোল-করতালের শব্দে। উঠোন ঝাঁট দিতে দিতে ঘোমটার ফাঁক দিয়ে দেখে নিল বউ-ঝিয়েরা। কে মারা গেল! দু’হাত কপালে ঠেকিয়ে পেন্নাম ঠোকে। ছেলেরা নিমদাঁতন দাঁতে চিবতে চিবতে দোরগোড়ায় এসে দাঁড়িয়েছে। বিশদ

04th  April, 2021
সত্যধর্মের দোলোৎসব
সুখেন বিশ্বাস

ফাগুনের দোলপূর্ণিমা। গাছে গাছে নতুন পাতা। শাখায় শাখায় শিমুল-পলাশের রোশনাই। ফুলে-ফলে ফাগুন যেন এক নতুন পৃথিবী। দোলের আবিরে একদিকে রঙিন বাংলার আকাশ-বাতাস, অন্যদিকে ডালিমতলা, হিমসাগর আর বাউল-ফকিরদের আখড়া। বিশদ

28th  March, 2021
কুম্ভে অমৃতের সন্ধানে
সমৃদ্ধ দত্ত

 

কাটিহারের মণিহারি ব্লকের কমলা পাসোয়ানের প্রিয় শখ হারিয়ে যাওয়া। এই ১৪ বছর বয়সে সে চারবার হারিয়ে গিয়েছে। প্রতিবারই মেলায়। কখনও কুম্ভে। কখনও শোনপুরে। কী আশ্চর্য! চারবারই আবার ফিরে এসেছে বাবা-মায়ের কাছে। ‘এই প্রথম কুম্ভে এলেন?’ নিরঞ্জনী আখড়ার বাইরের রাস্তায় ভাণ্ডারা হবে। বিশদ

21st  March, 2021
তারকার রাজনীতি
রাহুল চক্রবর্তী 

লাইট। সাউন্ড। ক্যামেরা। অ্যাকশন। শব্দগুলো বদলে গিয়ে হয়েছে— জয় বাংলা। জয় শ্রীরাম। ইনক্লাব জিন্দাবাদ। মোদ্দা কথা— সুসজ্জিত চেহারার ছোট কিংবা বড়পর্দার চেনা মুখগুলো আজ অচেনা গণ্ডিতে ধরা দিচ্ছেন। বিশদ

14th  March, 2021
রাস্তায় পাতা হয়েছে
রাখালদাসের ভাঙা বাড়ির ইট 
বিশ্বজিৎ মাইতি

সিন্ধু নদের শুকনো গর্ভের মাটি ও ভাঙা ইট সরিয়ে ইতিহাসের খোঁজ করছিলেন প্রত্নতাত্ত্বিক রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়। একের পর এক ইট সরিয়ে ভারতবর্ষের সুপ্রাচীন সভ্যতার চিহ্ন মহেঞ্জোদারো নগরী তিনি পৃথিবীর বুকে তুলে ধরেছিলেন।  
বিশদ

07th  March, 2021
উপেক্ষিত বিজ্ঞানী 

‘আত্মঘাতী’ বাঙালির ড্রয়িংরুমে তাঁরা কেবলই ছবি। ব্রাত্য। বিস্মৃত। উপেক্ষিত। কেউ নোবেল সিম্পোসিয়ামে বক্তব্য রাখার ডাক পেয়েছেন, আবার কারওর গবেষণার খাতা হাতিয়ে নোবেল পকেটে পুরেছেন অন্য কেউ। গোটা পৃথিবী তাঁদের অবদানে ঋদ্ধ-সমৃদ্ধ, অথচ নিজভূমে তাঁরাই রয়ে গিয়েছেন বিস্মৃতির অন্ধকারে। আজ জাতীয় বিজ্ঞান দিবসের আত্মভরী প্রত্যুষে তেমনই চার বরেণ্য বাঙালি বিজ্ঞানীর বেদনা-বিধুর কাহিনি শোনাচ্ছেন মৃন্ময় চন্দ। 
বিশদ

28th  February, 2021
বাঙালির বিজয় দিবস 
পবিত্র সরকার

যদি কেউ জিজ্ঞেস করেন, বিংশ শতাব্দীতে এই দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলে সবচেয়ে বড় ঘটনা কী ঘটেছিল, তা হলে অনেকেই হয়তো বলবেন, ১৯৪৭ সালে ভারতের স্বাধীনতা বা দেশভাগ। দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের একটা ভালো (!) দিক এই যে, তা সাম্রাজ্যবাদের মৃত্যুঘণ্টা বাজাল, আর তারই ফলে, ভারতীয় উপমহাদেশ তার বহুবাঞ্ছিত ‘স্বাধীনতা’ লাভ করল।  
বিশদ

21st  February, 2021
কচিকাঁচাদের ভ্যালেন্টাইন
শান্তনু দত্তগুপ্ত

প্রেমের প্রকাশ নানা রকম। বাঙালির কৈশোরের প্রথম প্রেম অবশ্যই নন্টে ফন্টে, বাঁটুল দি গ্রেট বা হাঁদা ভোঁদা। এগুলির স্রষ্টা যিনি, তিনিও তো এক অর্থে সেন্ট ভ্যালেন্টাইনই বটে। বঙ্গের কিশোর-কিশোরীদের প্রথম ভালোবাসাকে আজও তিনি বাঁচিয়ে রেখেছেন নিজের সৃষ্টির মধ্যে দিয়ে। আজ ভালোবাসার দিবসে পদ্মশ্রী নারায়ণ দেবনাথের অমর সৃষ্টিকে ফিরে দেখার চেষ্টা। বিশদ

14th  February, 2021
নেতাজির গুপ্তবাহিনী
শহিদের অজানা আখ্যান
অমিত মিত্র

উত্তাল বঙ্গোপসাগর। ঢেউয়ের মাথা চিরে এগিয়ে চলেছে টর্পেডোবাহী একটি জাপানি ডুবোজাহাজ।  আচমকা তা ঝাঁপ দিল সমুদ্রের অতলে। জলের নীচে অদৃশ্য হতে না হতেই বন্ধ করা হল ইঞ্জিনও। প্রমাদ গুনলেন ভিতরের কেবিনে বসা আজাদ-হিন্দ-ফৌজের গুপ্তবাহিনীর চার অফিসার— তবে কি কোনও ব্রিটিশ ডেস্ট্রয়ারের নজরে এসেছে সাবমেরিনটি? বিশদ

07th  February, 2021
শতবর্ষে বিশ্বভারতী
সবুজকলি সেন

‘বিশ্বভারতী’ কোনও পূর্বপরিকল্পিত বিশ্ববিদ্যালয় নয়। ‘বিশ্বভারতী’ ব্রহ্মবিদ্যালয় নামের একটি ক্ষুদ্র বীজের বটবৃক্ষে পরিণত রূপ। ১৯০১ সালে (৮ পৌষ) পাঁচজন ছাত্রকে নিয়ে যে আশ্রম বিদ্যালয় যাত্রা করেছিল ভারতবর্ষের প্রাচীন তপোবনের আদর্শে—১৯২১-এ তারই পরিণত রূপ ‘বিশ্বভারতী’। বিশদ

31st  January, 2021
নেতাজি সুভাষের সেবাশ্রম
জয়ন্ত চৌধুরী

নির্জন দুপুর। বঙ্গভূমি থেকে নির্বাসিত কারারুদ্ধ সুভাষ। বার্মার মান্দালয় জেল তাঁর কাছে তখন জীবন উপলব্ধির একান্ত সাধনপীঠ। বহু ত্যাগ ব্রতী দেশপ্রেমিক কারাজীবন অতিবাহিত করেছেন বার্মার কারাগারে। আর এই জেলে বসেই একদিন পেলেন তাঁর রাজনৈতিক সমর্পণের কাণ্ডারী দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশের প্রয়াণবার্তা। বিশদ

24th  January, 2021
একনজরে
ষষ্ঠ দফার নির্বাচনের প্রচারের শেষ দিনে আজ, সোমবার উত্তর দিনাজপুর জেলায় তিনটি সভা করছেন তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা ...

রবিবার সকাল থেকে ভোট-পরবর্তী হিংসায় উত্তপ্ত হয়ে ওঠে চাকদহ থানার রাউতাড়ী পঞ্চায়েতের উত্তর এনায়েতপুরের মণ্ডলপাড়া। বাড়ির সামনে থেকে দেহ উদ্ধার হয় এক বিজেপি কর্মীর। মৃতের নাম দিলীপ কীর্তনীয়া (৩১)।   ...

বারবার প্রস্তাব ছিল স্বয়ং পিনারাই বিজয়নের বিরুদ্ধে লড়ার। কিন্তু জাতীয় রাজনীতিতে বিজেপির বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ লড়াইয়ের মঞ্চে এক সঙ্গে কাঁধে কাঁধ দিয়ে চলার কারণে সেই প্রস্তাবে ...

সেঞ্চুরি পাননি ঠিকই। তবে শিখর ধাওয়ানের আক্রমণাত্মক ইনিংসই পাঞ্জাব কিংসের বিরুদ্ধে ৬ উইকেটে জেতাল দিল্লি  ক্যাপিটালসকে। রবিবার জয়ের লক্ষ্যে ১৯৬ রান তাড়া করতে নেমে ১০ ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

অত্যধিক পরিশ্রমে শারীরিক দুর্বলতা। বাহন বিষয়ে সতর্কতা প্রয়োজন। সন্তানের বিদ্যা-শিক্ষায় অগ্রগতি বিষয়ে সংশয় বৃদ্ধি। আধ্যাত্মিক ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৮৮২: বিবর্তনবাদের স্রষ্টা চার্লস ডারউইনের মৃত্যু
১৯৫৫: শিকারি ও লেখক জিম করবেটের মৃত্যু
১৯৫৭: শিল্পপতি মুকেশ আম্বানির জন্ম
১৯৫৮: সাহিত্যিক অনুরূপা দেবীর মৃত্যু
১৯৮৭: রুশ টেনিস খেলোয়াড় মারিয়া শারাপোভার জন্ম  



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭৩.৬৯ টাকা ৭৫.৪১ টাকা
পাউন্ড ১০১.৩৬ টাকা ১০৪.৯০ টাকা
ইউরো ৮৭.৭৬ টাকা ৯০.৯৪ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
18th  April, 2021
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৪৮,০৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৪৫,৬০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৪৬,৩০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৬৯,২০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৬৯,৩০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]
18th  April, 2021

দিন পঞ্জিকা

৫ বৈশাখ ১৪২৮, সোমবার, ১৯ এপ্রিল ২০২১। সপ্তমী ৪৬/৫২ রাত্রি ১২/২। পুনর্বসু নক্ষত্র অহোরাত্র। সূর্যোদয় ৫/১৭/৭, সূর্যাস্ত ৫/৫৪/৩৫। অমৃতযোগ দিবা ৬/৫৯ মধ্যে পুনঃ ১০/২০ গতে ১২/৫২ মধ্যে। রাত্রি ৬/৪০ গতে ৮/৫৬ মধ্যে পুনঃ ১১/১২ গতে ২/১৬ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৩/২৩ গতে ৫/৪ মধ্যে। বারবেলা ৬/৫১ গতে ৮/২৬ মধ্যে পুনঃ ২/৪৫ গতে ৪/২০ মধ্যে। কালরাত্রি ১০/১০ গতে ১১/৩৫ মধ্যে।  
৫ বৈশাখ ১৪২৮, সোমবার, ১৯ এপ্রিল ২০২১। সপ্তমী রাত্রি ৬/৫৭। পুনর্বসু নক্ষত্র রাত্রি ২/১৬। সূর্যোদয় ৫/১৭, সূর্যাস্ত ৫/৫৬। অমৃতযোগ দিবা ৬/৫৮ মধ্যে ও ১০/১৫ গতে ১২/৫১ মধ্যে এবং রাত্রি ৬/৪৬ গতে ৯/০ মধ্যে ও ১১/১১ গতে ২/৭ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৩/২৭ গতে ৫/১০ মধ্যে। কালবেলা ৬/৫২ গতে ৮/২৭ মধ্যে ও ২/৪৬ গতে ৪/২১ মধ্যে। কালরাত্রি ১০/১২ গতে ১১/৩৭ মধ্যে।  
৬ রমজান। 

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আইপিএল: রাজস্থান রয়্যালস-এর বিরুদ্ধে ৪৫ রানে জিতল চেন্নাই সুপার কিংস 

11:29:00 PM

আইপিএল: রাজস্থান ৯৭/৭(১৫ ওভার)

11:00:41 PM

আইপিএল: রাজস্থান ৮১/২(১০ ওভার)

10:32:46 PM

আইপিএল: রাজস্থানকে ১৮৯ রানের টার্গেট দিল চেন্নাই

09:37:20 PM

আইপিএল: চেন্নাই ১৩৩/৫ (১৬ ওভার) 

09:02:32 PM

আইপিএল: চেন্নাই ৯৮/৩ (১১ ওভার) 

08:34:07 PM