Bartaman Patrika
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
 

নেতাজির গুপ্তবাহিনী
শহিদের অজানা আখ্যান
অমিত মিত্র

উত্তাল বঙ্গোপসাগর। ঢেউয়ের মাথা চিরে এগিয়ে চলেছে টর্পেডোবাহী একটি জাপানি ডুবোজাহাজ।  আচমকা তা ঝাঁপ দিল সমুদ্রের অতলে। জলের নীচে অদৃশ্য হতে না হতেই বন্ধ করা হল ইঞ্জিনও। প্রমাদ গুনলেন ভিতরের কেবিনে বসা আজাদ-হিন্দ-ফৌজের গুপ্তবাহিনীর চার অফিসার— তবে কি কোনও ব্রিটিশ ডেস্ট্রয়ারের নজরে এসেছে সাবমেরিনটি? তাদের একটা ‘ডেপথ চার্জ’ ডুবোজাহাজের সলিল সমাধির জন্য যথেষ্ট। শুধু অফিসারদের জীবন নয়, অপমৃত্যু ঘটবে নেতাজি বিকল্পিত গুপ্তচর বাহিনীর এবং রেডিও ট্রান্সমিশনের কলকাতা কেন্দ্র গড়ে তোলার স্বপ্নেরও। যুদ্ধক্ষেত্রে আজাদ-হিন্দ-বাহিনীর (আইএনএ) কমান্ডারদের কাছে ব্রিটিশদের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পৌঁছে দিতেই কেন্দ্রটি স্থাপনের আশু প্রয়োজন ছিল। সহায় ছিলেন ঈশ্বরও। সেবার কোনও ব্রিটিশ নৌবহরই ওই ডুবোজাহাজটির নাগাল পায়নি। থামেনি ‘মিশন কলকাতা’ও।

দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া থেকে আজাদ-হিন্দ-বাহিনীর শয়ে শয়ে অফিসার সেসময় ভারত এবং সেয়লনের (বর্তমানে শ্রীলঙ্কা) বিভিন্ন এলাকায় এসে পৌঁছচ্ছেন। একটা বড় অংশই ডুবোজাহাজে। বাকিদের নামানো হয়েছে প্যারাসুটে। গুপ্তচর বাহিনীর বিশাল নেটওয়ার্কের রণকৌশলের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু নিজে। যদিও এত উন্নত প্রশিক্ষণ সত্ত্বেও শেষপর্যন্ত তাঁদের অনেকেই ব্রিটিশ গোয়েন্দাদের হাতে ধরা পড়ে যান। চলে অমানুষিক অত্যাচার। গোপন সামরিক আদালতে দ্রুত শেষ হয় বিচার। শাস্তি ছিল একটাই— ফাঁসি।
এখানে আমি অবশ্য এরকম একটিমাত্র অভিযানের কথাই লিখব, যা শেষ হয়েছিল চার দেশপ্রেমিকের মৃত্যুদণ্ডে। তাঁদের মধ্যে ওই সাবমেরিনে স্বদেশে ফেরা অফিসাররাও ছিলেন। কিন্তু নেতাজির গুপ্তবাহিনীর আরও হাজার হাজার সদস্য ফিরেছিলেন স্বদেশে। আর কখনও তাঁদের কোনও খোঁজখবর পাওয়া যায়নি। দেশের মাটিতে তাঁদের আরও সঙ্গী ছিলেন। তাঁরা একসঙ্গেই শহিদ হন। সেই সাহসী বন্ধুদের ভাগ্যেই বা কী ঘটেছিল? তাঁদের নাম এখনও অজানা। বিস্মৃতির অসীমে হারিয়ে গিয়েছেন।

নেতাজির ১২৫তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আমি গোটা দেশের কাছে আইএনএ-এর গুপ্তবাহিনীর সদস্যদের এই আত্মত্যাগকে স্বীকৃতি দেওয়ার আর্জি জানাচ্ছি। তাঁদের ‘বলিদান’ স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসের এক অবিচ্ছেদ্য অধ্যায়। যা শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করা  উচিত।
নেতাজির তত্ত্বাবধানে মালয়ের পেনাংয়ে তাঞ্জোঙ্গ বুনগাহ কেন্দ্রে এই বীর অফিসারদের প্রশিক্ষণ পর্ব চলেছিল। জেনারেল মোহন সিং এবং পরে রাসবিহারী বসুর সাহায্যে পেনাংয়ের স্বরাজ ইনস্টিটিউটে গোটাটাই পরিচালনা করেছিলেন স্বয়ং সুভাষচন্দ্র। অমৃক সিং গিলের কাহিনি অনুযায়ী, সূক্ষ্ম ও নির্ভুলভাবে সব কিছু পরিচালনার ট্রেনিং দেওয়া হতো। পাঁচজনের আলাদা আলাদা দল তৈরি করে চলত ট্রেনিং। যাতে একটি দল অন্যদের কথা জানতে না পারেন। যদি কোনও কারণে কেউ ধরাও পড়ে যান, প্রচণ্ড অত্যাচার করেও তাঁর কাছ থেকে বাকিদের তথ্য বের করা যাবে না। এছাড়া ওয়্যারলেস সেট খুলে আলাদা করা এবং ফের জুড়ে দিয়ে বার্তা পাঠানো, যুদ্ধজাহাজ, বোমারু বিমানের ছবি দেখে চিহ্নিতকরণও শেখানো হতো। যাতে তাঁরা নেতাজিকে একদম সঠিক তথ্য পৌঁছে দিতে পারেন। পাশাপাশি মানচিত্র পাঠ, গোপন কোডে বার্তা প্রেরণ, শত্রুপক্ষের সাংকেতিক বার্তার পাঠোদ্ধার, স্পাই ক্যামেরা ব্যবহার এবং অত্যাচার থেকে বাঁচার টেকনিক আয়ত্ত করতে হয়। এমনকী প্রশিক্ষণরতদের কৃত্রিম ফাঁসিতেও ঝোলানো হতো। অর্থাৎ যে কোনও পরিস্থিতির জন্যই তৈরি রাখা হয়েছিল তাঁদের। অমৃক লিখেছিলেন, ‘ট্রেনিংয়ের উত্তুঙ্গ মুহূর্তে ভেঙে পড়তেন কয়েকজন। প্রশিক্ষণ ছেড়ে চলেও যেতে হতো তাঁদের।’

আইএনএ-এর গুপ্তবাহিনীর ব্যাপক সাংগঠনিক নেটওয়ার্কের অনেক কিছুই এখনও সামনে আসা বাকি। একটি নির্দিষ্ট অভিযানই সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিল এবং সেটাও মহাত্মা গান্ধীর হস্তক্ষেপের কারণে। যেটি হল, ব্রিটিশ গোয়েন্দাদের কথায় ‘কলকাতা ষড়যন্ত্র মামলা’। সময়টা গত শতাব্দীর চারের দশকের মধ্যভাগ। কলকাতার লর্ড সিনহা রোডে কড়া নিরাপত্তার মধ্যে আইএনএ-এর গুপ্তবাহিনীর চার দেশপ্রেমিকের সামরিক বিচার পর্ব সমাধা হয়। তাঁদের অপরাধ ছিল, ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা। বিচার শেষ হয় চারজনের ফাঁসির আদেশে। মামলাটি যখন প্রকাশ্যে আসে, তখন ব্রিটিশ ভারতের ভাইসরয় লর্ড ওয়াভেলকে চিঠি লেখেন মহাত্মা গান্ধী। দিনটা ছিল ১৪ সেপ্টেম্বর, ১৯৪৫। গান্ধীজি লিখেছিলেন, ‘যদি এই ফাঁসির আদেশ কার্যকর করা হয়, তাহলে সেটা হবে সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক ভুল।’ গান্ধীজির আবেদনকে মান্যতা দিয়ে চার দেশপ্রেমিকের ফাঁসির আদেশ বদলে যায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে।
কিন্তু ঠিক কী কারণে ধরা পড়েছিলেন এই চারজন? ১৯৪৪ সালের মার্চ মাসে শুরু হয়েছিল সেই গোপন অভিযান। পেনাং ছেড়ে পুরীর উদ্দেশে রওনা দেয় জাপানি ডুবোজাহাজ। তাতে ছিলেন ডাঃ পবিত্রমোহন রায় (নেতা), সর্দার মহিন্দর সিং (বোমা বিশেষজ্ঞ), তুহিন মুখোপাধ্যায় (কোডিং বিশেষজ্ঞ) ও অমৃক সিং গিল (রেডিও এক্সপার্ট)। পেনাং ছাড়ার ঠিক আগে তাঁদের উত্সাহ বাড়াতে বার্তা দেন নেতাজি, ‘সংখ্যায় অত্যন্ত কম হলেও তোমাদের অভিযান গোটা ব্রিটিশ গুপ্তচর বাহিনীর উপর মারাত্মক আঘাত হানবে। কলকাতায় এই কেন্দ্র যে কোনও মূল্যে গড়তে হবে।’ এমনই উল্লেখ রয়েছে অমৃকের স্মৃতিকথনে।
একটি ছোট্ট আশঙ্কা ছাড়া সেবার ডুবোজাহাজটির কোথাও সমস্যা হয়নি। অভীষ্ট গন্তব্যে পৌঁছে একটি যন্ত্রচালিত ডিঙিতে করে পুরীর নিকটবর্তী সমুদ্রতীরে এসে পৌঁছন চারজন। অমৃক এক জায়গায় লিখেছেন, ‘সূর্যের আলো ফোটার ঠিক আগেই আমরা দেখতে পাই কোনারকের বিশাল সূর্যমন্দির।’ তীরে নামার কয়েক মিনিটের মধ্যেই মন্দিরের দক্ষিণ দিকের প্রাচীরের কয়েক ফুট দূরে বোমা, হ্যান্ড গ্রেনেড এবং পাওয়ার প্যাক মাটিতে পুঁতে ফেলেছিলেন মহিন্দর (সেগুলি কি এখনও সেখানে?)। এরপর চারজনেই আলাদা হয়ে যান। রেডিও পার্টসগুলিকে আগেই আলাদা করে সেগুলির চেহারা বদলে দিয়েছিলেন ডাঃ রায়। ছিল একটি গ্রামাফোনও। সেসব নিজেদের ব্যাগপত্রের বিভিন্ন জায়গায় লুকিয়ে দ্রুত সূর্যমন্দির চত্বর ছাড়েন তাঁরা। পরের রবিবার সকাল ১০টায় কলকাতায় তাঁদের দেখা করার কথা ছিল। জায়গাটা ছিল ব্রিটিশদের নাকের ডগায়, মেট্রো সিনেমা।
কিন্তু তখনই হয়ে যায় এক মারাত্মক ভুল। নির্দেশ না মেনে শ্বশুরবাড়িতে দেখা করতে চলে যান তুহিন। লজ্জার বিষয় হল, শ্বশুর দেখা মাত্রই তাঁকে কলকাতা পুলিসের হাতে তুলে দেন। তুহিনের মাথার দাম হিসেবে পাঁচ হাজার টাকাও হস্তগত করেন। ১৯৪৪ সালে সেই টাকার অঙ্কটা মোটেই কম ছিল না। ইংরেজদের চরম অত্যাচারের মুখে তুহিন ভেঙে পড়েন এবং রেঙ্গুনে নেতাজির হেডকোয়ার্টারের রেডিও মারফত বার্তা আদানপ্রদানের গুরুত্বপূর্ণ সংকেতের কথা বলে দেন।
এই বিপর্যয়ের কয়েকদিনের মধ্যে হরিদাস মিত্র ও তাঁর স্ত্রী বেলা বসুর সংস্পর্শে আসেন ডাঃ রায় ও অমৃক। বেলা বসু ছিলেন নেতাজির বড়দা সুরেশচন্দ্র বসুর মেয়ে। তাঁদের সঙ্গে হাত মেলান হরিদাসের ঘনিষ্ঠ বন্ধু জ্যোতিষ বসু এবং আত্মগোপন করে থাকা একাধিক বিশ্বস্ত বিপ্লবী। মহিন্দর চলে গিয়েছিলেন বালিগঞ্জের শিখ গুরুদ্বারে। অমৃক কলকাতায় থাকার কারণ হিসেবে দেখানোর জন্য জর্জ ব্রাউন রেডিও কলেজে গিয়ে ভর্তি হন। হ্যারিসন রোডে একটি হস্টেলে থাকতেও শুরু করেন। পবিত্রবাবু চলে যান হরিদাস ও বেলা দেবীর ভবানীপুরের বাড়িতে। তাঁদের ব্যবসার ম্যানেজারের ছদ্মবেশ ধরেন তিনি।
অমৃকের স্মৃতি অনুযায়ী, নতুন কোড ব্যবহার করে প্রথম পরীক্ষামূলক রেডিও যোগাযোগের শুরুটা হয় ডেন্টাল সার্জেন ডাঃ দত্তের বাড়ি থেকে। তা সফল হওয়ার পর প্রয়োজন পড়ে একটি স্থায়ী আত্মগোপনের আস্তানার। যাতে শক্তিশালী জাপানি ট্রান্সমিটারগুলি বসানো যায়। এই প্রসঙ্গে ১৯৯২ সালে মালয়েশিয়ায় প্রকাশিত একটি নিবন্ধে অমৃক বলেছেন, ‘হরিদাস মিত্র কোনও সময় নষ্ট করেননি। দ্রুত আমরা বেহালায় চলে যাই। আমাদের সঙ্গে সেরা রেডিও রিসিভার ছিল। সঙ্গে ছিলেন হরিদাস মিত্র, জ্যোতিষ বসু, বেলা বসু এবং অবশ্যই আন্ডারগ্রাউন্ডে থাকা বিশ্বস্ত কর্মীদের সহায়তা।’ বেহালার এই বাড়িটির চারদিক ছিল বাঁশবনে ঘেরা। ছিল একটি বিশাল জলাশয়ও। তার পিছনে লুকিয়ে দিব্যি ব্রিটিশ গোয়েন্দাদের উপর নজর রাখা সম্ভব হচ্ছিল।
ব্রিটিশ সেনা কোহিমায় মোতায়েন শুরু হতেই আইএনএ-এর সদর দপ্তরে নতুন সাংকেতিক বার্তা আদানপ্রদানের বন্যা শুরু হয়। দমদম বিমানবন্দরে বোমারু বিমানগুলি রাখা হয়েছিল। অমৃকের কথায়, ‘আমরা শক্তিশালী ট্রান্সমটার ব্যবহার করে নৌবাহিনী এবং সেনার সিগন্যাল জ্যাম করে দিতাম। ওদের চেনা ফ্রিকোয়েন্সিতেই কান পাততাম।’ এই কোডেড বার্তাগুলিই যুদ্ধক্ষেত্রে আইএনএ কমান্ডারদের প্রভূত সুবিধা করে দেয়।
এরই ফাঁকে মহিন্দর রওনা দেন জলন্ধর, সেখানে শক্তিশালী আন্ডারগ্রাউন্ড সেল তৈরি করতে। কিন্তু তাঁর মাথার দামটাই বন্ধুদের বিশ্বাসঘাতকতার কারণ হয়ে ওঠে। ফাগওয়ারায় ধরা পড়েন মহিন্দর। পরে লাহোরে ব্রিটিশ পুলিসের অত্যাচারেই তাঁর মৃত্যু হয়। এই চরম আত্মত্যাগের স্বীকৃতি আজ পর্যন্ত মেলেনি।

ব্রিটিশ ইন্টেলিজেন্স বাকিদেরও দ্রুত ধরে ফেলে। প্রথমে ডাঃ পবিত্র রায়, তারপর একে একে অমৃক, হরিদাস মিত্র ও জ্যোতিষ বসুকে গ্রেপ্তার করা হয়। ১৯৪৫ সালের মে মাসে শুরু হয় সামরিক বিচার। ৩০ দিনের মধ্যেই গোটা প্রক্রিয়া শেষ করা হয়। রাজসাক্ষীদের মধ্যে ছিলেন পেনাংয়ের আইএনএ সেন্টারে প্রশিক্ষণ নেওয়া ১২ জন বিশ্বাসঘাতকও। তাঁদের অধিকাংশই বালুচিস্তানের কাছে ডুবোজাহাজ থেকে নেমেছিলেন। সব গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উগরে দিয়ে রাজসাক্ষী হয়ে যান তুহিন মুখোপাধ্যায়ও। বিনিময়ে তাঁর শাস্তি মকুব হয়। ডাঃ পবিত্রমোহন রায়, অমৃক সিং গিল, হরিদাস মিত্র ও জ্যোতিষ বসু— চারজনের ফাঁসির আদেশ দেন ব্রিটিশ বিচারপতি ওরমেরোড।
ফাঁসির দিনও এগিয়ে আসছিল। কিন্তু মহাত্মা গান্ধীর হস্তক্ষেপে তা হয়নি। ভাইসরয়কে লেখা তাঁর চিঠির জেরেই ফাঁসি খারিজ হয়। চার দেশপ্রেমিককে পাঠানো হয় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ভোগ করতে কারাগারের অন্ধ কুঠুরিতে।
অমৃক স্বীকার করেছেন যে, তিনি আইএনএ-এর এরকম অন্তত ১০টি দলের সদস্যদের চিনতেন। যাঁরা স্বদেশে এসে পৌঁছেছিলেন তাঁদেরও আগে। দেশের বিভিন্ন জায়গায় সেই দলগুলি অবতরণ করেছিল এবং গোপন সামরিক আদালতে তাঁদের মৃত্যুদণ্ড ঘোষণাও করেন বিচারপতিরা। এমনকী, ফাঁসিও হয়ে যায় গোপনেই। এই শহিদরা কারা? কী তাঁদের পরিচয়? অদৃষ্টের কী নির্মম পরিহাস, আমাদের দেশ সেই ইতিহাস জানে না! আজও ঔপনিবেশিক ব্রিটিশ রেকর্ডগুলি ভারত ও লন্ডনের আর্কাইভে চাপা পড়ে আছে। সময় এসেছে সেই ইতিহাস খুঁড়ে তুলে আনার, নেতাজির আইএনএ-এর গুপ্তচর বাহিনীর এই শহিদদের চরম আত্মবলিদানকে দেশের মানুষের উদ্দেশে উত্সর্গ করার।
(লেখক রাজ্যের অর্থমন্ত্রী, আইএনএ ট্রাস্টের প্রতিষ্ঠাতা পেট্রন, হরিদাস মিত্র ও বেলা বসুর পুত্র।)
তথ্যসূত্র:
 ডাঃ পবিত্র রায়, অমৃক সিং গিল, জ্যোতিষ বসুর প্রকাশিত আত্মজীবনী।
 বেলা বসুকে নিয়ে লেখা অধ্যাপিকা সুমিত্রা মিত্রের বই।
 গ্রাফিক্স : সোমনাথ পাল
 সহযোগিতায় : উজ্জ্বল দাস
07th  February, 2021
তোমারে সেলাম

 

আগামী শুক্রবার তাঁর প্রয়াণ দিবস। আর ২ মে পূর্ণ হচ্ছে তাঁর জন্ম শতবার্ষিকী। তিনি বিশ্ববরেণ্য চলচ্চিত্র পরিচালক সত্যজিৎ রায়। তাঁর বহুমুখী প্রতিভার হীরকোজ্জ্বল দ্যুতি বাঙালি মননে চির ভাস্বর। প্রিয় ‘মানিকদা’র জন্মদিনের আগে স্মৃতিচারণা করলেন তাঁর অধিকাংশ ছবির সিনেমাটোগ্রাফার সৌমেন্দু রায়।  বিশদ

18th  April, 2021
সাহিত্যের  সত্যজিৎ

সত্যজিৎ রায় শুধু সিনেমার নন, তিনি সাহিত্যেরও। সিনেমার জন্যই তিনি ভুবনজয়ী, চিনেছে গোটা পৃথিবীর মানুষ। সিনেমার নতুন ভাষা আবিষ্কার  করেছেন তিনি। বিশদ

18th  April, 2021
বাঙালি ব্যক্তিত্ব
সমৃদ্ধ দত্ত

সাধারণত ডাঃ বিধানচন্দ্র রায় দিল্লি গেলে প্রথমদিকে উঠতেন মৌলানা আবুল কালাম আজাদের বাসভবনে।  পরবর্তীকালে ডাঃ জে পি গাঙ্গুলির বাড়িতে। ১৯৪৮ সালের সেপ্টেম্বর মাসে প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরু হঠাৎ জরুরি তলব করলেন। সেবার দেখা গেল প্রয়োজনটা এতটাই গুরুত্বপূর্ণ যে, বিধানচন্দ্র রায় উঠলেন সরাসরি প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে। একদিন দু’দিন নয়। একটানা তিনদিন। বিশদ

11th  April, 2021
একশোয় ভিক্টোরিয়া
রজত চক্রবর্তী

কলকাতার ভোর হল আজ সমবেত কীর্তন আর খোল-করতালের শব্দে। উঠোন ঝাঁট দিতে দিতে ঘোমটার ফাঁক দিয়ে দেখে নিল বউ-ঝিয়েরা। কে মারা গেল! দু’হাত কপালে ঠেকিয়ে পেন্নাম ঠোকে। ছেলেরা নিমদাঁতন দাঁতে চিবতে চিবতে দোরগোড়ায় এসে দাঁড়িয়েছে। বিশদ

04th  April, 2021
সত্যধর্মের দোলোৎসব
সুখেন বিশ্বাস

ফাগুনের দোলপূর্ণিমা। গাছে গাছে নতুন পাতা। শাখায় শাখায় শিমুল-পলাশের রোশনাই। ফুলে-ফলে ফাগুন যেন এক নতুন পৃথিবী। দোলের আবিরে একদিকে রঙিন বাংলার আকাশ-বাতাস, অন্যদিকে ডালিমতলা, হিমসাগর আর বাউল-ফকিরদের আখড়া। বিশদ

28th  March, 2021
কুম্ভে অমৃতের সন্ধানে
সমৃদ্ধ দত্ত

 

কাটিহারের মণিহারি ব্লকের কমলা পাসোয়ানের প্রিয় শখ হারিয়ে যাওয়া। এই ১৪ বছর বয়সে সে চারবার হারিয়ে গিয়েছে। প্রতিবারই মেলায়। কখনও কুম্ভে। কখনও শোনপুরে। কী আশ্চর্য! চারবারই আবার ফিরে এসেছে বাবা-মায়ের কাছে। ‘এই প্রথম কুম্ভে এলেন?’ নিরঞ্জনী আখড়ার বাইরের রাস্তায় ভাণ্ডারা হবে। বিশদ

21st  March, 2021
তারকার রাজনীতি
রাহুল চক্রবর্তী 

লাইট। সাউন্ড। ক্যামেরা। অ্যাকশন। শব্দগুলো বদলে গিয়ে হয়েছে— জয় বাংলা। জয় শ্রীরাম। ইনক্লাব জিন্দাবাদ। মোদ্দা কথা— সুসজ্জিত চেহারার ছোট কিংবা বড়পর্দার চেনা মুখগুলো আজ অচেনা গণ্ডিতে ধরা দিচ্ছেন। বিশদ

14th  March, 2021
রাস্তায় পাতা হয়েছে
রাখালদাসের ভাঙা বাড়ির ইট 
বিশ্বজিৎ মাইতি

সিন্ধু নদের শুকনো গর্ভের মাটি ও ভাঙা ইট সরিয়ে ইতিহাসের খোঁজ করছিলেন প্রত্নতাত্ত্বিক রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়। একের পর এক ইট সরিয়ে ভারতবর্ষের সুপ্রাচীন সভ্যতার চিহ্ন মহেঞ্জোদারো নগরী তিনি পৃথিবীর বুকে তুলে ধরেছিলেন।  
বিশদ

07th  March, 2021
সভ্যতার ঊষাকাল
হরপ্পা, মহেঞ্জোদারো
কৃষ্ণেন্দু দাস

সালটা ১৯২১। ঠিক একশো বছর আগে অবিভক্ত ভারতের পাঞ্জাব প্রদেশের হরপ্পা অঞ্চলে শুরু হল প্রত্নতাত্ত্বিক খনন কাজ। খোঁজ পাওয়া গেল কয়েক হাজার বছর প্রাচীন এক নগর সভ্যতার। পরের বছর খনন কাজ শুরু হয় সিন্ধুপ্রদেশের মহেঞ্জোদারোতে। দেশভাগের পর এ দু’টি অঞ্চল এখন পাকিস্তানের অন্তর্গত।
বিশদ

07th  March, 2021
উপেক্ষিত বিজ্ঞানী 

‘আত্মঘাতী’ বাঙালির ড্রয়িংরুমে তাঁরা কেবলই ছবি। ব্রাত্য। বিস্মৃত। উপেক্ষিত। কেউ নোবেল সিম্পোসিয়ামে বক্তব্য রাখার ডাক পেয়েছেন, আবার কারওর গবেষণার খাতা হাতিয়ে নোবেল পকেটে পুরেছেন অন্য কেউ। গোটা পৃথিবী তাঁদের অবদানে ঋদ্ধ-সমৃদ্ধ, অথচ নিজভূমে তাঁরাই রয়ে গিয়েছেন বিস্মৃতির অন্ধকারে। আজ জাতীয় বিজ্ঞান দিবসের আত্মভরী প্রত্যুষে তেমনই চার বরেণ্য বাঙালি বিজ্ঞানীর বেদনা-বিধুর কাহিনি শোনাচ্ছেন মৃন্ময় চন্দ। 
বিশদ

28th  February, 2021
বাঙালির বিজয় দিবস 
পবিত্র সরকার

যদি কেউ জিজ্ঞেস করেন, বিংশ শতাব্দীতে এই দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলে সবচেয়ে বড় ঘটনা কী ঘটেছিল, তা হলে অনেকেই হয়তো বলবেন, ১৯৪৭ সালে ভারতের স্বাধীনতা বা দেশভাগ। দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের একটা ভালো (!) দিক এই যে, তা সাম্রাজ্যবাদের মৃত্যুঘণ্টা বাজাল, আর তারই ফলে, ভারতীয় উপমহাদেশ তার বহুবাঞ্ছিত ‘স্বাধীনতা’ লাভ করল।  
বিশদ

21st  February, 2021
কচিকাঁচাদের ভ্যালেন্টাইন
শান্তনু দত্তগুপ্ত

প্রেমের প্রকাশ নানা রকম। বাঙালির কৈশোরের প্রথম প্রেম অবশ্যই নন্টে ফন্টে, বাঁটুল দি গ্রেট বা হাঁদা ভোঁদা। এগুলির স্রষ্টা যিনি, তিনিও তো এক অর্থে সেন্ট ভ্যালেন্টাইনই বটে। বঙ্গের কিশোর-কিশোরীদের প্রথম ভালোবাসাকে আজও তিনি বাঁচিয়ে রেখেছেন নিজের সৃষ্টির মধ্যে দিয়ে। আজ ভালোবাসার দিবসে পদ্মশ্রী নারায়ণ দেবনাথের অমর সৃষ্টিকে ফিরে দেখার চেষ্টা। বিশদ

14th  February, 2021
শতবর্ষে বিশ্বভারতী
সবুজকলি সেন

‘বিশ্বভারতী’ কোনও পূর্বপরিকল্পিত বিশ্ববিদ্যালয় নয়। ‘বিশ্বভারতী’ ব্রহ্মবিদ্যালয় নামের একটি ক্ষুদ্র বীজের বটবৃক্ষে পরিণত রূপ। ১৯০১ সালে (৮ পৌষ) পাঁচজন ছাত্রকে নিয়ে যে আশ্রম বিদ্যালয় যাত্রা করেছিল ভারতবর্ষের প্রাচীন তপোবনের আদর্শে—১৯২১-এ তারই পরিণত রূপ ‘বিশ্বভারতী’। বিশদ

31st  January, 2021
নেতাজি সুভাষের সেবাশ্রম
জয়ন্ত চৌধুরী

নির্জন দুপুর। বঙ্গভূমি থেকে নির্বাসিত কারারুদ্ধ সুভাষ। বার্মার মান্দালয় জেল তাঁর কাছে তখন জীবন উপলব্ধির একান্ত সাধনপীঠ। বহু ত্যাগ ব্রতী দেশপ্রেমিক কারাজীবন অতিবাহিত করেছেন বার্মার কারাগারে। আর এই জেলে বসেই একদিন পেলেন তাঁর রাজনৈতিক সমর্পণের কাণ্ডারী দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশের প্রয়াণবার্তা। বিশদ

24th  January, 2021
একনজরে
রবিবার সকাল থেকে ভোট-পরবর্তী হিংসায় উত্তপ্ত হয়ে ওঠে চাকদহ থানার রাউতাড়ী পঞ্চায়েতের উত্তর এনায়েতপুরের মণ্ডলপাড়া। বাড়ির সামনে থেকে দেহ উদ্ধার হয় এক বিজেপি কর্মীর। মৃতের নাম দিলীপ কীর্তনীয়া (৩১)।   ...

সেঞ্চুরি পাননি ঠিকই। তবে শিখর ধাওয়ানের আক্রমণাত্মক ইনিংসই পাঞ্জাব কিংসের বিরুদ্ধে ৬ উইকেটে জেতাল দিল্লি  ক্যাপিটালসকে। রবিবার জয়ের লক্ষ্যে ১৯৬ রান তাড়া করতে নেমে ১০ ...

বারবার প্রস্তাব ছিল স্বয়ং পিনারাই বিজয়নের বিরুদ্ধে লড়ার। কিন্তু জাতীয় রাজনীতিতে বিজেপির বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ লড়াইয়ের মঞ্চে এক সঙ্গে কাঁধে কাঁধ দিয়ে চলার কারণে সেই প্রস্তাবে ...

শনিবার বিকেলে রানিগঞ্জ ব্লকের তিরাট পঞ্চায়েতে প্রচার ছিল সায়নী ঘোষের। পূর্ব কর্মসূচি মতোই তিরাট পঞ্চায়েতের সবচেয়ে বড় বাজার চেলোদে এসে তাঁর গাড়ি থামে। স্বাভাবিকভাবেই তাঁকে ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

অত্যধিক পরিশ্রমে শারীরিক দুর্বলতা। বাহন বিষয়ে সতর্কতা প্রয়োজন। সন্তানের বিদ্যা-শিক্ষায় অগ্রগতি বিষয়ে সংশয় বৃদ্ধি। আধ্যাত্মিক ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৮৮২: বিবর্তনবাদের স্রষ্টা চার্লস ডারউইনের মৃত্যু
১৯৫৫: শিকারি ও লেখক জিম করবেটের মৃত্যু
১৯৫৭: শিল্পপতি মুকেশ আম্বানির জন্ম
১৯৫৮: সাহিত্যিক অনুরূপা দেবীর মৃত্যু
১৯৮৭: রুশ টেনিস খেলোয়াড় মারিয়া শারাপোভার জন্ম  



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭৩.৬৯ টাকা ৭৫.৪১ টাকা
পাউন্ড ১০১.৩৬ টাকা ১০৪.৯০ টাকা
ইউরো ৮৭.৭৬ টাকা ৯০.৯৪ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
18th  April, 2021
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৪৮,০৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৪৫,৬০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৪৬,৩০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৬৯,২০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৬৯,৩০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]
18th  April, 2021

দিন পঞ্জিকা

৫ বৈশাখ ১৪২৮, সোমবার, ১৯ এপ্রিল ২০২১। সপ্তমী ৪৬/৫২ রাত্রি ১২/২। পুনর্বসু নক্ষত্র অহোরাত্র। সূর্যোদয় ৫/১৭/৭, সূর্যাস্ত ৫/৫৪/৩৫। অমৃতযোগ দিবা ৬/৫৯ মধ্যে পুনঃ ১০/২০ গতে ১২/৫২ মধ্যে। রাত্রি ৬/৪০ গতে ৮/৫৬ মধ্যে পুনঃ ১১/১২ গতে ২/১৬ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৩/২৩ গতে ৫/৪ মধ্যে। বারবেলা ৬/৫১ গতে ৮/২৬ মধ্যে পুনঃ ২/৪৫ গতে ৪/২০ মধ্যে। কালরাত্রি ১০/১০ গতে ১১/৩৫ মধ্যে।  
৫ বৈশাখ ১৪২৮, সোমবার, ১৯ এপ্রিল ২০২১। সপ্তমী রাত্রি ৬/৫৭। পুনর্বসু নক্ষত্র রাত্রি ২/১৬। সূর্যোদয় ৫/১৭, সূর্যাস্ত ৫/৫৬। অমৃতযোগ দিবা ৬/৫৮ মধ্যে ও ১০/১৫ গতে ১২/৫১ মধ্যে এবং রাত্রি ৬/৪৬ গতে ৯/০ মধ্যে ও ১১/১১ গতে ২/৭ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৩/২৭ গতে ৫/১০ মধ্যে। কালবেলা ৬/৫২ গতে ৮/২৭ মধ্যে ও ২/৪৬ গতে ৪/২১ মধ্যে। কালরাত্রি ১০/১২ গতে ১১/৩৭ মধ্যে।  
৬ রমজান। 

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আইপিএল: রাজস্থান রয়্যালস-এর বিরুদ্ধে ৪৫ রানে জিতল চেন্নাই সুপার কিংস 

11:29:00 PM

আইপিএল: রাজস্থান ৯৭/৭(১৫ ওভার)

11:00:41 PM

আইপিএল: রাজস্থান ৮১/২(১০ ওভার)

10:32:46 PM

আইপিএল: রাজস্থানকে ১৮৯ রানের টার্গেট দিল চেন্নাই

09:37:20 PM

আইপিএল: চেন্নাই ১৩৩/৫ (১৬ ওভার) 

09:02:32 PM

আইপিএল: চেন্নাই ৯৮/৩ (১১ ওভার) 

08:34:07 PM