Bartaman Patrika
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
 

তারকার রাজনীতি
রাহুল চক্রবর্তী 

লাইট। সাউন্ড। ক্যামেরা। অ্যাকশন। শব্দগুলো বদলে গিয়ে হয়েছে—
জয় বাংলা। জয় শ্রীরাম। ইনক্লাব জিন্দাবাদ।
মোদ্দা কথা— সুসজ্জিত চেহারার ছোট কিংবা বড়পর্দার চেনা মুখগুলো আজ অচেনা গণ্ডিতে ধরা দিচ্ছেন। দুষ্ট-‌মিষ্টি প্রেমের প্রেমিক-প্রেমিকা কিংবা মারকাটারি সংলাপ বলে হাততালি কুড়ানোর কারিগররা রুপোলি পর্দা ছেড়ে রাজনীতির শুষ্ক ময়দানে খেলতে নেমেছেন। স্ক্রিপ্ট পড়ে ক্যামেরার সামনে যাঁদের দিন কাটত, আজ তাঁদের হাতে মাইক্রোফোন। কাঁধে উঠেছে ঝান্ডা। বিলাসবহুল গাড়িতে করে বাড়ি থেকে শ্যুটিং ফ্লোর পর্যন্ত যাঁদের যাতায়াত ছিল, আজ তাঁরাই কাঠফাটা রোদে চৌরাস্তায় দাঁড়িয়ে গলা চড়াচ্ছেন।‌
এটাই কি সময়ের দলিলে পথের পাঁচালি না অনুরাগের ছোঁয়া! উত্তর মিলবে কয়েক বছর পর। যেদিন হয়তো এ সময়টাই ধরা পড়বে তারকাদের দেশে কোনও এক ছায়াছবিতে।
নেতারাই রাজনীতি করেন। কোথাও হয়তো এই লাইনটা এবার বদলাচ্ছে। রাজনীতি অভি-নেতারাও করেন! অভিনয় যদি পেশা হয়, তাহলে রাজনীতিটা নেশা হয়ে উঠছে তারকাদের কাছে। রাজনীতির অন্দরে দক্ষিণ ভারতের তারকাদের দাপট বহুদিনের। এম জি রামচন্দ্রন, এনটিআর রামারাও, এম করুণানিধি, জয়ললিতা চলচ্চিত্র জগতে যেমন সুনাম কুড়িয়েছেন, তেমনই রাজনীতিতেও তুমুল জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন। রিল লাইফ থেকে রাজনীতির অচেনা গণ্ডিতেও তাঁরা হয়ে উঠেছিলেন ‘আসল হিরো’।
দক্ষিণের পথ ধরেই কি অভিনয় আর রাজনীতি আবর্তিত হয়েছে উত্তরে! সুনীল দত্ত, অমিতাভ বচ্চন, রাজেশ খান্না, রাজ বব্বর, গোবিন্দাদের দিয়ে বাজিমাতের চেষ্টা হয়েছে। আর এখানেই বঙ্গ জীবনের অঙ্গে ঢুকে পড়েছে ‘অভিনয়’। থুড়ি রাজনীতিতে।
রাজনীতির পাঠশালায় অভিনেতা কিংবা অভিনেত্রীদের নাম লেখানো একেবারেই নতুন নয়। হাল আমলে চর্চাটা হচ্ছে ঠিকই। কিন্তু শিকড় অনেক গভীরে। অনুপকুমার, অনিল চট্টোপাধ্যায়, বিপ্লব চট্টোপাধ্যায়রা বামপন্থাকে একমাত্র পথ হিসেবে বেছে নিয়েছিলেন। প্রার্থীও হয়েছিলেন। দিন যত এগিয়েছে, ততই দেখা গিয়েছে গ্ল্যামার ওয়ার্ল্ড ছেড়ে রাজনীতির আঙিনায় হাতপাকা করতে শুরু করে দিয়েছেন অভিনেতারা। সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় ঘোষিত বামপন্থী ছিলেন। কিন্তু কোনওদিনই লাল ঝান্ডা হাতে নিয়ে মিছিল করেছেন এমন ছবি দেখা যায়নি। বরং বাইরে থেকে পার্টিকে সমর্থন জুগিয়েছেন। সেটাই ছিল পার্টির বড় শক্তি। তাই বাঙালির ‘অপু’র নিথর দেহ পদযাত্রা করে বেলাশেষে কেওড়াতলা মহাশ্মশানে পৌঁছে দিয়ে এসেছিলেন বিমান বসু, সূর্যকান্ত মিশ্ররা।
ঘোষিত বামপন্থীদের তালিকায় উল্লেখযোগ্য নাম বিপ্লব চট্টোপাধ্যায়। ২০০৬ সালে আলিপুর বিধানসভা কেন্দ্রে তাঁকে প্রার্থী করেছিল সিপিএম। বিপরীতে ছিলেন তৃণমূলের তাপস পাল। সেবার জিততে পারেননি বিপ্লব। কিন্তু আজ পর্যন্ত তাঁর গায়ে ‘দলবদলু’ তকমা কেউ সেঁটে দিতে পারেনি। বললেন, ‘মৃত্যুর পরে স্বর্গে গিয়েও সিপিএম থাকব।’ দেবদূত ঘোষ, সব্যসাচী চক্রবর্তী, বাদশা মৈত্র, শ্রীলেখা মিত্রদের সদ্য ব্রিগেডের সমাবেশ দেখা গিয়েছে। ১০ বছর আগে রাজ্যের শাসন ব্যবস্থা থেকে ক্ষমতাচ্যুত একটি রাজনৈতিক দলের ‘আগামীর লাল নিশান’কে তুলে ধরার বার্তা দিয়েছেন তাঁরা। তা সিপিএমকে কতটা অক্সিজেন জোগাবে সেটা সময়ই বলবে।
কারণটা খুবই স্পষ্ট। এখন তো স্টার, সুপারস্টার, মেগাস্টারদের জোড়াফুল কিংবা পদ্মফুলের ভিড়ে শামিল হওয়ার পালা। এবারের বিধানসভা নির্বাচন যে ‘তারকাখচিত’ তা বলার অপেক্ষা রাখে না। জুন মালিয়া, সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়, কৌশানী মুখোপাধ্যায়, সায়নী ঘোষ, রাজ চক্রবর্তী, লাভলি মৈত্র, সোহম চক্রবর্তী, কাঞ্চন মল্লিকরা ‘রাজনীতির প্রোডাক্ট’ নন। তাহলে কি শুধুমাত্র তাঁদের মুখকে ব্যবহার? নাকি সিনেমার বাজারে ঘাটতি বলে টিকে থাকার লড়াইয়ে রাজনীতিতে পা রাখা? প্রশ্নটা উঠতে বাধ্য।
একই কথা কিন্তু প্রযোজ্য গেরুয়া শিবিরে নাম লেখানো রুদ্রনীল ঘোষ, পাপিয়া অধিকারী, যশ দাশগুপ্ত, শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়, পায়েল সরকার, তনুশ্রী চক্রবর্তী, হিরণ চট্টোপাধ্যায়দের ক্ষেত্রে।‌ আরও একজন রয়েছেন, তিনি এঁদেরও গুরু— মহাগুরু মিঠুন চক্রবর্তী।
সমাজতত্ত্ববিদরা মনে করেন, সেলিব্রিটি ক্যান্ডিডেট হলে তাঁকে মানুষের কাছে চেনাতে বিশেষ অসুবিধার মধ্যে পড়তে হয় না রাজনৈতিক দলগুলিকে। এ ক্ষেত্রে বাড়তি লাভ পরিচিত মুখ।
সেই কারণেই কি ন’বারের টানা সাংসদ সিপিএমের বাসুদেব আচারিয়াকে ২০১৪ সালে হারিয়ে দিতে সক্ষম হন তৃণমূলের মুনমুন সেন? আবার মাঠে-ঘাটে কাদা মেখে থাকা কান্তি গঙ্গোপাধ্যায়কে হার মানতে হয়েছিল কলকাতার ‘রসগোল্লা কুইন’ দেবশ্রী রায়ের কাছে।
‘দাদার কীর্তি’র নায়ক তাপস পালকে কোনওদিনও ভুলতে পারবে না বাঙালি। অমলিন হাসি, মুগ্ধ করা অভিনয় ড্রয়িংরুমে রাখা বোকা বাক্সতে শুধুমাত্র বন্দি থাকেনি। তিনি যেমন অভিনয়ের ক্ষেত্রে রেখে গিয়েছেন স্পষ্ট ছাপ, তেমনি রাজনীতির আঙিনাতেও বিচরণ করেছেন সহজ সরলভাবে। দু’বারের বিধায়ক, দু’বারের সাংসদ হয়েছেন। তবে মেকআপ ছেড়ে রাজনীতির জামা গায়ে দিয়ে ‘আমি তাপস পাল বলছি...’ বক্তব্যে বিতর্কেও জড়িয়েছেন।
তাপসের সঙ্গে হিট জুটির নায়িকা শতাব্দী রায় বর্তমানে তৃণমূলের সাংসদ। ইদানীং সিনেমার পর্দায় তাঁকে দেখা না গেলেও, রাজনীতিবিদ হিসেবে ধরা দিচ্ছেন টিভির পর্দায়। চলচ্চিত্র জগৎ থেকে শিল্পীদের রাজনীতিতে নাম লেখানোর বিষয়টিকে সহজভাবেই দেখতে চান শতাব্দী। তবে, সন্দেহ একটা থেকেই যায়। সেই উষ্মাই ধরা পড়ল ‘গুরুদক্ষিণা’র নায়িকার গলায়, ‘শিল্পীরা রাজনীতিতে এলে ভালোবাসায় ভাগ বসে। ফ্যান ফলোয়ার্সরা ধাক্কা খান।’
এখানেই উল্লেখ করার মতো বিষয় জনপ্রিয় চিত্রতারকা চিরঞ্জিত চক্রবর্তীর নাম। গত ১০ বছর ধরে বিধায়ক রয়েছেন। জিততে পারলে এবার হ্যাটট্রিক হবে। ‘বউ গেলে বউ পাওয়া যায়, মা গেলে মা পাওয়া যায় না’ ডায়লগে হল কাঁপানোর পর রাজনীতিক চিরঞ্জিত বলছেন, ‘গ্রামে বসে চাষির বাড়িতে কলাপাতায় ভাত খেলেই বাংলা পাওয়া যায় না।’
২০১৪ সালে ‘বিন্দাস’ নামে একটি ছবিতে ধরা দিয়েছিল তৃণমূলের স্লোগান—‘বদলা নয় বদল চাই।’ ছবির গল্পের ক্যানভাসও ছিল গড়বেতা ও কেশপুর। আর এবার ‘পরিবর্তন’ আর ‘প্রত্যাবর্তন’-এর লড়াইতে তারকার ছুটছেন। বলা ভালো একটু দ্রুত গতিতেই।
কিন্তু কেন? বিদ্বজ্জনদের সঙ্গে বামেদের ঘনিষ্ঠতা থাকলেও সক্রিয় রাজনীতিতে নেমেছিলেন খুবই কম সংখ্যক। এরপর এল ২০১১ সালের সন্ধিক্ষণ। ছেয়ে গেল ‘পরিবর্তন চাই’-এর হোর্ডিং। হোর্ডিংয়ে অনেককেই দেখা গিয়েছিল। আর এখন?
টিভি খুললে কিংবা সিনেমা হলে বসে যে মুখগুলোকে দেখা যেত, আজ তাঁদের হাতেই রাজনৈতিক দলের পতাকা। যা নিয়ে ফেসবুক-ট্যুইটারে-হোয়াটসঅ্যাপে চলছে দেদার ট্রোল— ‘আমরা আপনার ফ্যান। কিন্তু একটি রাজনৈতিক দলে যুক্ত হওয়ার পর আপনাকে ভালোবাসতে কিঞ্চিৎ হলেও অসুবিধা হচ্ছে।’
‘মারব এখানে লাশ পড়বে শ্মশানে’— এই ডায়লগ বাঙালি গোগ্রাসে গিলছে। কিন্তু ভোট বাজারে ব্রিগেডে মোদির সভায় যখন ডিস্কো ড্যান্সার বলছেন, ‘আমি জলঢোঁড়াও নই। বেলেবোড়াও নই। আমি একটা কোবরা। গোখরো আমি। জাত গোখরো। এক ছোবলেই ছবি,’ তখন মিঠুন চক্রবর্তীকেও জনতা জনার্দনের তির্যক মন্তব্য শুনতে হয়েছে।
তারকাদের মধ্যে সন্ধ্যা রায় থেকে দেবশ্রী রায়, আবার দেব, মিমি, নুসরত অনেকেই বিধানসভা বা লোকসভায় পা রেখেছেন। একইভাবে বিজেপির সাংসদ হয়েছেন রূপা গঙ্গোপাধ্যায়, জর্জ বেকার, লকেট চট্টোপাধ্যায়ের মতো চিত্র তারকারা। রাজনীতির প্রতি ঝোঁক বাড়াতে অন্যায় দেখেন না তাঁরা। রূপা মনে করেন, ‘ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়াররা যদি রাজনীতিতে আসতে পারেন, তাহলে চিত্রতারকাদের রাজনীতির আঙিনায় নাম লেখাতে অসুবিধা কোথায়?’
সিনেমায় একটা রোল করার সময় প্রাণ ঢেলে কাজ করেন শিল্পীরা। বক্স অফিসে তাঁর ছবিকে হিট করাতে অভিনয়ে, পেশাদারিত্বে কোথাও খামতি রাখতে চান না তাঁরা। তাই রাজনীতিতেও অভিনেতারা প্রাণ ঢেলে কাজ করবেন, এমনটাই আশা জর্জ বেকারের।
দেশসেবা, সমাজসেবার কাজে রাজনীতি একটা বড় প্ল্যাটফর্ম। সাধারণ মানুষের জন্য কিছু করার ইচ্ছে থাকলে সেটা এককভাবে যতটা করা যায়, তার থেকে বেশি সংখ্যক মানুষের কাছে পৌঁছানো যায় রাজনীতির হাত ধরে। এই তত্ত্বে বিশ্বাসী নবাগতরা।
কিন্তু এই প্রশ্নটাও উঠছে, বাংলা সিনেমার বাজার মোটেও ভালো নয়। তার ওপর লকডাউনে টানা বন্ধ ছিল সিনেমা হল। সিনেমার পাশাপাশি ধারাবাহিকের শ্যুটিংও বন্ধ ছিল। লকডাউনের প্রভাব ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে পড়েছে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। বর্ষীয়ান অভিনেতাদের যুক্তি, সবাইকেই টিকে থাকার লড়াই করতে হয়। তা রাজনীতি হোক বা শিল্প জগৎ। আর রাজনীতি যেন এঁদের কাছে টিকে থাকার পরশপাথর।
আবার সেলিব্রিটিদের কাঁধে ভর করে হয়তো কয়েকটা আসন জেতা যায়। কিন্তু গোটা ভোট বৈতরণী পার করা যায় না। অভিনেতাদের সামনে রেখে ক্ষমতার অলিন্দে প্রবেশ করা মুশকিল যে কোনও রাজনৈতিক দলের কাছে। কারণ ওঁরা তো সকলে রাজনীতির অ-আ-ক-খ জানেন না। তাঁরা শুধুমাত্র নিজেকে রাজনীতির ‘জয়-পরাজয়’-এ বাজি রাখতে পারেন। আবার এঁদের কাজের ধরনটাও আলাদা। ভোর চারটের সময় যেমন শ্যুটিং থাকে, তেমনই মধ্যরাতেও শ্যুটিং শিডিউল পড়তে পারে একজন অভিনেতার। অথচ, নেতাদের কিন্তু অ্যাক্টিভ থাকতে হয় ২৪ ঘণ্টা। তাই দু’নৌকায় পা দিয়ে চলা বেশ দুরূহ কাজ।
রাজনীতিবিদরাই রাজনীতিকে নিয়ন্ত্রণ করেন এবং করবেনও। রাজনীতির চাবিকাঠি রাজনীতিবিদদের হাতেই। এমনকী অভিনেতাদের টিকিট পাওয়ার ভাগ্যের তালাও খোলে নেতাদের হাতযশে।
তাহলে রাজনীতির ময়দানে ওরা কি ‘আগন্তুক’!
গ্রাফিক্স : সোমনাথ পাল
 সহযোগিতায় : স্বাগত মুখোপাধ্যায়
14th  March, 2021
তোমারে সেলাম

 

আগামী শুক্রবার তাঁর প্রয়াণ দিবস। আর ২ মে পূর্ণ হচ্ছে তাঁর জন্ম শতবার্ষিকী। তিনি বিশ্ববরেণ্য চলচ্চিত্র পরিচালক সত্যজিৎ রায়। তাঁর বহুমুখী প্রতিভার হীরকোজ্জ্বল দ্যুতি বাঙালি মননে চির ভাস্বর। প্রিয় ‘মানিকদা’র জন্মদিনের আগে স্মৃতিচারণা করলেন তাঁর অধিকাংশ ছবির সিনেমাটোগ্রাফার সৌমেন্দু রায়।  বিশদ

18th  April, 2021
সাহিত্যের  সত্যজিৎ

সত্যজিৎ রায় শুধু সিনেমার নন, তিনি সাহিত্যেরও। সিনেমার জন্যই তিনি ভুবনজয়ী, চিনেছে গোটা পৃথিবীর মানুষ। সিনেমার নতুন ভাষা আবিষ্কার  করেছেন তিনি। বিশদ

18th  April, 2021
বাঙালি ব্যক্তিত্ব
সমৃদ্ধ দত্ত

সাধারণত ডাঃ বিধানচন্দ্র রায় দিল্লি গেলে প্রথমদিকে উঠতেন মৌলানা আবুল কালাম আজাদের বাসভবনে।  পরবর্তীকালে ডাঃ জে পি গাঙ্গুলির বাড়িতে। ১৯৪৮ সালের সেপ্টেম্বর মাসে প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরু হঠাৎ জরুরি তলব করলেন। সেবার দেখা গেল প্রয়োজনটা এতটাই গুরুত্বপূর্ণ যে, বিধানচন্দ্র রায় উঠলেন সরাসরি প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে। একদিন দু’দিন নয়। একটানা তিনদিন। বিশদ

11th  April, 2021
একশোয় ভিক্টোরিয়া
রজত চক্রবর্তী

কলকাতার ভোর হল আজ সমবেত কীর্তন আর খোল-করতালের শব্দে। উঠোন ঝাঁট দিতে দিতে ঘোমটার ফাঁক দিয়ে দেখে নিল বউ-ঝিয়েরা। কে মারা গেল! দু’হাত কপালে ঠেকিয়ে পেন্নাম ঠোকে। ছেলেরা নিমদাঁতন দাঁতে চিবতে চিবতে দোরগোড়ায় এসে দাঁড়িয়েছে। বিশদ

04th  April, 2021
সত্যধর্মের দোলোৎসব
সুখেন বিশ্বাস

ফাগুনের দোলপূর্ণিমা। গাছে গাছে নতুন পাতা। শাখায় শাখায় শিমুল-পলাশের রোশনাই। ফুলে-ফলে ফাগুন যেন এক নতুন পৃথিবী। দোলের আবিরে একদিকে রঙিন বাংলার আকাশ-বাতাস, অন্যদিকে ডালিমতলা, হিমসাগর আর বাউল-ফকিরদের আখড়া। বিশদ

28th  March, 2021
কুম্ভে অমৃতের সন্ধানে
সমৃদ্ধ দত্ত

 

কাটিহারের মণিহারি ব্লকের কমলা পাসোয়ানের প্রিয় শখ হারিয়ে যাওয়া। এই ১৪ বছর বয়সে সে চারবার হারিয়ে গিয়েছে। প্রতিবারই মেলায়। কখনও কুম্ভে। কখনও শোনপুরে। কী আশ্চর্য! চারবারই আবার ফিরে এসেছে বাবা-মায়ের কাছে। ‘এই প্রথম কুম্ভে এলেন?’ নিরঞ্জনী আখড়ার বাইরের রাস্তায় ভাণ্ডারা হবে। বিশদ

21st  March, 2021
রাস্তায় পাতা হয়েছে
রাখালদাসের ভাঙা বাড়ির ইট 
বিশ্বজিৎ মাইতি

সিন্ধু নদের শুকনো গর্ভের মাটি ও ভাঙা ইট সরিয়ে ইতিহাসের খোঁজ করছিলেন প্রত্নতাত্ত্বিক রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়। একের পর এক ইট সরিয়ে ভারতবর্ষের সুপ্রাচীন সভ্যতার চিহ্ন মহেঞ্জোদারো নগরী তিনি পৃথিবীর বুকে তুলে ধরেছিলেন।  
বিশদ

07th  March, 2021
সভ্যতার ঊষাকাল
হরপ্পা, মহেঞ্জোদারো
কৃষ্ণেন্দু দাস

সালটা ১৯২১। ঠিক একশো বছর আগে অবিভক্ত ভারতের পাঞ্জাব প্রদেশের হরপ্পা অঞ্চলে শুরু হল প্রত্নতাত্ত্বিক খনন কাজ। খোঁজ পাওয়া গেল কয়েক হাজার বছর প্রাচীন এক নগর সভ্যতার। পরের বছর খনন কাজ শুরু হয় সিন্ধুপ্রদেশের মহেঞ্জোদারোতে। দেশভাগের পর এ দু’টি অঞ্চল এখন পাকিস্তানের অন্তর্গত।
বিশদ

07th  March, 2021
উপেক্ষিত বিজ্ঞানী 

‘আত্মঘাতী’ বাঙালির ড্রয়িংরুমে তাঁরা কেবলই ছবি। ব্রাত্য। বিস্মৃত। উপেক্ষিত। কেউ নোবেল সিম্পোসিয়ামে বক্তব্য রাখার ডাক পেয়েছেন, আবার কারওর গবেষণার খাতা হাতিয়ে নোবেল পকেটে পুরেছেন অন্য কেউ। গোটা পৃথিবী তাঁদের অবদানে ঋদ্ধ-সমৃদ্ধ, অথচ নিজভূমে তাঁরাই রয়ে গিয়েছেন বিস্মৃতির অন্ধকারে। আজ জাতীয় বিজ্ঞান দিবসের আত্মভরী প্রত্যুষে তেমনই চার বরেণ্য বাঙালি বিজ্ঞানীর বেদনা-বিধুর কাহিনি শোনাচ্ছেন মৃন্ময় চন্দ। 
বিশদ

28th  February, 2021
বাঙালির বিজয় দিবস 
পবিত্র সরকার

যদি কেউ জিজ্ঞেস করেন, বিংশ শতাব্দীতে এই দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলে সবচেয়ে বড় ঘটনা কী ঘটেছিল, তা হলে অনেকেই হয়তো বলবেন, ১৯৪৭ সালে ভারতের স্বাধীনতা বা দেশভাগ। দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের একটা ভালো (!) দিক এই যে, তা সাম্রাজ্যবাদের মৃত্যুঘণ্টা বাজাল, আর তারই ফলে, ভারতীয় উপমহাদেশ তার বহুবাঞ্ছিত ‘স্বাধীনতা’ লাভ করল।  
বিশদ

21st  February, 2021
কচিকাঁচাদের ভ্যালেন্টাইন
শান্তনু দত্তগুপ্ত

প্রেমের প্রকাশ নানা রকম। বাঙালির কৈশোরের প্রথম প্রেম অবশ্যই নন্টে ফন্টে, বাঁটুল দি গ্রেট বা হাঁদা ভোঁদা। এগুলির স্রষ্টা যিনি, তিনিও তো এক অর্থে সেন্ট ভ্যালেন্টাইনই বটে। বঙ্গের কিশোর-কিশোরীদের প্রথম ভালোবাসাকে আজও তিনি বাঁচিয়ে রেখেছেন নিজের সৃষ্টির মধ্যে দিয়ে। আজ ভালোবাসার দিবসে পদ্মশ্রী নারায়ণ দেবনাথের অমর সৃষ্টিকে ফিরে দেখার চেষ্টা। বিশদ

14th  February, 2021
নেতাজির গুপ্তবাহিনী
শহিদের অজানা আখ্যান
অমিত মিত্র

উত্তাল বঙ্গোপসাগর। ঢেউয়ের মাথা চিরে এগিয়ে চলেছে টর্পেডোবাহী একটি জাপানি ডুবোজাহাজ।  আচমকা তা ঝাঁপ দিল সমুদ্রের অতলে। জলের নীচে অদৃশ্য হতে না হতেই বন্ধ করা হল ইঞ্জিনও। প্রমাদ গুনলেন ভিতরের কেবিনে বসা আজাদ-হিন্দ-ফৌজের গুপ্তবাহিনীর চার অফিসার— তবে কি কোনও ব্রিটিশ ডেস্ট্রয়ারের নজরে এসেছে সাবমেরিনটি? বিশদ

07th  February, 2021
শতবর্ষে বিশ্বভারতী
সবুজকলি সেন

‘বিশ্বভারতী’ কোনও পূর্বপরিকল্পিত বিশ্ববিদ্যালয় নয়। ‘বিশ্বভারতী’ ব্রহ্মবিদ্যালয় নামের একটি ক্ষুদ্র বীজের বটবৃক্ষে পরিণত রূপ। ১৯০১ সালে (৮ পৌষ) পাঁচজন ছাত্রকে নিয়ে যে আশ্রম বিদ্যালয় যাত্রা করেছিল ভারতবর্ষের প্রাচীন তপোবনের আদর্শে—১৯২১-এ তারই পরিণত রূপ ‘বিশ্বভারতী’। বিশদ

31st  January, 2021
নেতাজি সুভাষের সেবাশ্রম
জয়ন্ত চৌধুরী

নির্জন দুপুর। বঙ্গভূমি থেকে নির্বাসিত কারারুদ্ধ সুভাষ। বার্মার মান্দালয় জেল তাঁর কাছে তখন জীবন উপলব্ধির একান্ত সাধনপীঠ। বহু ত্যাগ ব্রতী দেশপ্রেমিক কারাজীবন অতিবাহিত করেছেন বার্মার কারাগারে। আর এই জেলে বসেই একদিন পেলেন তাঁর রাজনৈতিক সমর্পণের কাণ্ডারী দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশের প্রয়াণবার্তা। বিশদ

24th  January, 2021
একনজরে
কাজ পাগল কাজল! শ্যামসুন্দর-নিত্যানন্দের পুণ্যভূমিতে কাজল সিনহাকে চিনতে ‘রাজনৈতিক পরিচয়’ লাগে না। কর্মেই তিনি বেশি পরিচিত। তাঁর অতিবড় নিন্দুকেরাও নাকি এমন কথা বলে থাকেন!  ...

ষষ্ঠ দফার নির্বাচনের প্রচারের শেষ দিনে আজ, সোমবার উত্তর দিনাজপুর জেলায় তিনটি সভা করছেন তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা ...

সেঞ্চুরি পাননি ঠিকই। তবে শিখর ধাওয়ানের আক্রমণাত্মক ইনিংসই পাঞ্জাব কিংসের বিরুদ্ধে ৬ উইকেটে জেতাল দিল্লি  ক্যাপিটালসকে। রবিবার জয়ের লক্ষ্যে ১৯৬ রান তাড়া করতে নেমে ১০ ...

বারবার প্রস্তাব ছিল স্বয়ং পিনারাই বিজয়নের বিরুদ্ধে লড়ার। কিন্তু জাতীয় রাজনীতিতে বিজেপির বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ লড়াইয়ের মঞ্চে এক সঙ্গে কাঁধে কাঁধ দিয়ে চলার কারণে সেই প্রস্তাবে ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

অত্যধিক পরিশ্রমে শারীরিক দুর্বলতা। বাহন বিষয়ে সতর্কতা প্রয়োজন। সন্তানের বিদ্যা-শিক্ষায় অগ্রগতি বিষয়ে সংশয় বৃদ্ধি। আধ্যাত্মিক ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৮৮২: বিবর্তনবাদের স্রষ্টা চার্লস ডারউইনের মৃত্যু
১৯৫৫: শিকারি ও লেখক জিম করবেটের মৃত্যু
১৯৫৭: শিল্পপতি মুকেশ আম্বানির জন্ম
১৯৫৮: সাহিত্যিক অনুরূপা দেবীর মৃত্যু
১৯৮৭: রুশ টেনিস খেলোয়াড় মারিয়া শারাপোভার জন্ম  



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭৩.৬৯ টাকা ৭৫.৪১ টাকা
পাউন্ড ১০১.৩৬ টাকা ১০৪.৯০ টাকা
ইউরো ৮৭.৭৬ টাকা ৯০.৯৪ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
18th  April, 2021
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৪৮,০৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৪৫,৬০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৪৬,৩০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৬৯,২০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৬৯,৩০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]
18th  April, 2021

দিন পঞ্জিকা

৫ বৈশাখ ১৪২৮, সোমবার, ১৯ এপ্রিল ২০২১। সপ্তমী ৪৬/৫২ রাত্রি ১২/২। পুনর্বসু নক্ষত্র অহোরাত্র। সূর্যোদয় ৫/১৭/৭, সূর্যাস্ত ৫/৫৪/৩৫। অমৃতযোগ দিবা ৬/৫৯ মধ্যে পুনঃ ১০/২০ গতে ১২/৫২ মধ্যে। রাত্রি ৬/৪০ গতে ৮/৫৬ মধ্যে পুনঃ ১১/১২ গতে ২/১৬ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৩/২৩ গতে ৫/৪ মধ্যে। বারবেলা ৬/৫১ গতে ৮/২৬ মধ্যে পুনঃ ২/৪৫ গতে ৪/২০ মধ্যে। কালরাত্রি ১০/১০ গতে ১১/৩৫ মধ্যে।  
৫ বৈশাখ ১৪২৮, সোমবার, ১৯ এপ্রিল ২০২১। সপ্তমী রাত্রি ৬/৫৭। পুনর্বসু নক্ষত্র রাত্রি ২/১৬। সূর্যোদয় ৫/১৭, সূর্যাস্ত ৫/৫৬। অমৃতযোগ দিবা ৬/৫৮ মধ্যে ও ১০/১৫ গতে ১২/৫১ মধ্যে এবং রাত্রি ৬/৪৬ গতে ৯/০ মধ্যে ও ১১/১১ গতে ২/৭ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৩/২৭ গতে ৫/১০ মধ্যে। কালবেলা ৬/৫২ গতে ৮/২৭ মধ্যে ও ২/৪৬ গতে ৪/২১ মধ্যে। কালরাত্রি ১০/১২ গতে ১১/৩৭ মধ্যে।  
৬ রমজান। 

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আইপিএল: রাজস্থান রয়্যালস-এর বিরুদ্ধে ৪৫ রানে জিতল চেন্নাই সুপার কিংস 

11:29:00 PM

আইপিএল: রাজস্থান ৯৭/৭(১৫ ওভার)

11:00:41 PM

আইপিএল: রাজস্থান ৮১/২(১০ ওভার)

10:32:46 PM

আইপিএল: রাজস্থানকে ১৮৯ রানের টার্গেট দিল চেন্নাই

09:37:20 PM

আইপিএল: চেন্নাই ১৩৩/৫ (১৬ ওভার) 

09:02:32 PM

আইপিএল: চেন্নাই ৯৮/৩ (১১ ওভার) 

08:34:07 PM