সম্পত্তি সংক্রান্ত আইনি প্রচেষ্টায় সাফল্যের সম্ভাবনা। ন্যায্য অর্থ সঠিক সময়ে নাও পেতে পারেন। অর্থপ্রাপ্তির যোগ ... বিশদ
স্যাঁতসেঁতে আবহাওয়া, একটানা বৃষ্টির জেরে মাটির নীচের পোকামাকড় উপরের দিকে উঠে আসে। ফলে পিঁপড়ে, আরশোলা, কেঁচো ইত্যাদির উপদ্রব বেড়ে যায়। ফলে বিপদের শঙ্কা থাকে। বাড়িতে শিশু থাকলে আরও বেশি করে সতর্ক হতে হয়। এসব পোকামাকড় নিয়ন্ত্রণ করতে বাজারচলতি রাসায়নিক অনেকে ব্যবহার করেন। তবে সেইসব ওষুধে বিষাক্ত উপাদান থাকায় সেগুলি বাড়িতে রাখা যেমন চিন্তার, তেমনই
এই ধরনের রাসায়নিক ত্বকের জন্যও ক্ষতিকর।
বর্ষায় রান্নাঘরকে পোকামাকড় মুক্ত রাখতে চাইলে কিছু টিপস মাথায় রাখলে উপকার পাবেন। তবে তার আগে নিজের রান্নাঘরের দিকেও খেয়াল রাখুন।
• রান্নাঘরের মেঝেয় খাবার ছড়িয়ে থাকলে পোকার উৎপাত বাড়ে। চেষ্টা করুন রান্নাঘরের তাক, মেঝে, সিঙ্ক, বেসিনের চারপাশ পরিষ্কার রাখতে। সপ্তাহে অন্তত একবার ফ্রিজ থেকে শুরু করে রান্নাঘরের ক্যাবিনেটগুলি পরিষ্কার করুন।
• মশলার কৌটো কিছু অতিরিক্ত কিনে রাখুন। প্রতি ১০ দিন অন্তর ব্যবহৃত সেট পরিষ্কার করে নিন। তখন কাজ চালান অন্য সেট দিয়ে।
• রান্নাঘরের আবর্জনা যেখানে ফেলা হয়, সেই প্যাকেট, বালতি বা বাক্স যেন রোজ পরিষ্কার করা হয়। রান্নাঘরে অবশ্যই ঢাকা দেওয়া ডাস্টবিন ব্যবহার করুন।
• খাবার রাখার জন্য এয়ারটাইট বাক্স ব্যবহার করুন। এতে খাবারে রাখা বক্সে পিঁপড়ে, আরশোলা ঢুকতে পারবে না।
এই সচেতনতাগুলি বজায় রাখলে রান্নাঘর এমনিই পরিছন্ন থাকবে ও মাছি-পোকামাকড়ও হবে না।
তবু কোনও কোনও ক্ষেত্রে সবরকম সাবধানতা নেওয়ার পরেও পোকামাকড়কে আটকানো যায় না। বিশেষ করে বর্ষায় আবহাওয়াজনিত কারণে স্যাঁতসেঁতে রান্নাঘরে পিঁপড়ে পোকাদের উপস্থিতি দেখা যায়। সেক্ষেত্রে ভরসা রাখুন কিছু ঘরোয়া সমাধানে। হাতের কাছেই মজুত, এমন কয়েকটি উপাদান দিয়েই করুন মুশকিল আসান।
লেবু-লবঙ্গ: অর্ধেক লেবু ও কয়েকটি লবঙ্গ, এই যুগলবন্দিতে কাবু হয় পোকামাকড়। লেবু ও লবঙ্গের তীব্র গন্ধ মাছি সহ্য করতে পারে না।
তেজপাতা: কয়েকটা তেজপাতা হেঁশেলে থাকলে, সমাধানের অনেকটাই আপনার হাতের মুঠোয় থাকবে। যে কোনও পোকা ব কীট তেজপাতার গন্ধ সইতে পারে না। তাই নুন বা চিনির কৌটো থেকে নানা মশলাপাতির কৌটোয় একটা করে তেজপাতা রাখুন।
নিম তেল: এই ধরনের তেল শক্তিশালী প্রাকৃতিক কীটনাশক। একটি স্প্রে বোতলে জলের সঙ্গে এক চামচ নিম তেল মিশিয়ে নিন। রান্নাঘরের আনাচে কানাচে এই স্প্রে করুন।
পেপার স্প্রে: ২০০ মিলিলিটার জলে ২ চামচ গোলমরিচ গুঁড়ো যোগ করুন। এবার সেই জল ঠান্ডা করে ছেঁকে বোতলে ভরে রাখুন। রান্নাঘরের ক্যাবিনেট, সিঙ্ক ও বেসিনের চারপাশে এই স্প্রে ছড়িয়ে রাখুন। গোলমরিচের ঝাঁজে পোকা ও মাছি দূরে থাকবে।
শসা: গোল গোল করে শসা কেটে নিন। ফ্রিজের ভিতর, ক্যাবিনেটের মধ্যে দু’এক টুকরো শসা রেখে দিন। শসার তিক্ত যৌগকে পোকামাকড়রা পছন্দ করে না। শসার মধ্যে থাকা জল আরশোলাদের খুবই অপছন্দের। তাই শসা কেটে রাখলেও ভালো কাজ হয়।
দারচিনি: গরমমশলা হিসেবে ব্যবহৃত হয় এমন উপাদানের চড়া গন্ধে মাছি ও অন্যান্য পোকা, আরশোলা দূরে থাকে। তাই বর্ষায় সব কৌটোর ভিতর কয়েক টুকরো দারচিনি ভেঙে ফেলে দিন। এতে পোকামাকড় দূরে থাকবে।
ল্যাভেন্ডার অয়েল: এই তেলের সুগন্ধ পোকামাকড় প্রতিরোধে অত্যন্ত কার্যকর। বিশেষত মশা-মাছি রুখতে এই তেল খুব উপযোগী। বোতলে এক কাপ জল নিয়ে তার মধ্যে চার চামচ ল্যাভেন্ডার তেল মিশিয়ে নিন। ভালো করে ঝাঁকিয়ে এই মিশ্রণই ছড়িয়ে দিন ঘরের নানা কোণায়।
পুদিনা ও তুলসী পাতা: ঘরে মাকড়সার উৎপাত থাকলে একমুঠো পুদিনা পাতাই যথেষ্ট। পুদিনা পাতা প্রথমে জলে ফুটিয়ে নিন। তারপর ঠান্ডা করে ঘরের যেসব জায়গায় মাকড়সার জাল আছে সেখানে স্প্রে করুন। এতে মাকড়সার উপদ্রব কমবে। ডাইনিং টেবিলে মাছির উপদ্রব বাড়লে সতর্ক হোন। তুলসীর গন্ধ মাছি সহ্য করতে পারে না। তাই বাটিতে কয়েক মুঠো তুলসীপাতা রেখে দিলে মাছি থাকবে না।