বিদ্যায় অস্থির মানসিকতা থাকবে। কর্মপ্রার্থীদের কোনও শুভ যোগাযোগ হতে পারে। রাগ বা জেদের বশে কারও ... বিশদ
পরিসংখ্যান কী বলছে?
অস্ট্রেলিয়াতে প্রতি তিনজন নারীর একজন শারীরিক নির্যাতনের শিকার হন এবং প্রতি পাঁচজনে অন্তত একজন যৌন হিংসার শিকার হন। দেশটির আদিবাসীদের ক্ষেত্রে এ ধরনের সহিংসতার হার আরও অনেক বেশি। পরিসংখ্যান অনুযায়ী প্রতি দশজন নারীর একজন সহিংসতার অভিজ্ঞতা পান অপরিচিত কারও দ্বারা। আর পারিবারিক সহিংসতা দেশটিতে প্রায় নিয়মিত ঘটনা এবং গড়ে প্রতি সপ্তাহে একজন নারী খুন হন তাদের বর্তমান বা সাবেক পুরুষসঙ্গীর হাতে।
সিডনি বিশ্ববিদ্যালয়ের সোশ্যাল ওয়ার্ক বিশেষজ্ঞ রুথ ফিলিপস বলেছেন, ‘নারীর বিরুদ্ধে সহিংসতা যার সর্বোচ্চ রূপ হল খুন, সেটিই এখানে নিয়মিত হয়ে চলেছে। নারী ঘরেই আহত হচ্ছে শারীরিক ও মানসিকভাবে।’ তাঁর মতে, ‘এটা একটা বীভৎস সমস্যা।’
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে কী ঘটেছে?
আলোচিত কিছু খুনের ঘটনা বিষয়টিকে জাতীয় পর্যায়ের আলোচনায় নিয়ে এসেছে। এর আগে মেলবোর্নের একটি এলাকায় কমেডিয়ান ইউরাইডাইস ডিক্সনের হত্যার ঘটনায় বিতর্ক জোরদার হয়েছিল। তার কয়েকমাসের মাথায় শুধু অক্টোবর (২০১৮) মাসেই অস্ট্রেলিয়ার বিভিন্ন জায়গায় এগারো জন নারী প্রাণ হারিয়েছেন।
মেলবোর্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের পারিবারিক সহিংসতা বিষয়ক গবেষক কেলসলি হেগার্টি জানিয়েছেন, ‘অনেক সময় নারীর বিরুদ্ধে সহিংসতা একটির পর একটি ঘটতেই থাকে। সঙ্গে গোপন মহামারির মতো রয়েছে হয়রানি ও সহিংসতার বিষয়গুলো।’
এর আগে ২০১২ সালে আইরিশ নারী জিল মিয়াগের ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনা ব্যাপক আলোড়ন তুলেছিল। এখন আবার সেই একই প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে আয়া মাসারভির মৃত্যুর ঘটনায়। প্রসঙ্গত বলা যায়, জি-২০ জাতিসমূহের মধ্যে নারীর বিরুদ্ধে সহিংসতার ক্ষেত্রে অস্ট্রেলিয়ার স্থান অষ্টম। সমাধান তাহলে কী?
২০১২ সালে সে দেশের সরকার নারী ও শিশুর বিরুদ্ধে সহিংসতা কমিয়ে আনতে একটি নীতি প্রণয়ন করে। কিন্তু তা সত্ত্বেও বিশেষজ্ঞদের মতে, অবস্থার আরও অবনতিই হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা তাই বিষয়টির ওপর আরও জোর দেয়ার পক্ষপাতি।
অস্ট্রেলিয়ার যৌন বৈষম্য বিষয়ক কমিশনার কেট জেনকিনস বলেছেন, আমরা সহিংসতা কমিয়ে আনতে পারব তখনই যখন নারীরা শুধু নিরাপদই বোধ করবে না বরং তারা একইসঙ্গে সম্মানও পাবে।
তথ্যসূত্র: বিবিসি