Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

আজ গঙ্গাজলে গঙ্গাপুজোর দিন
তন্ময় মল্লিক

আজ ৭ ডিসেম্বর। ‘বর্তমান’-এর  জন্মদিন। আজ গঙ্গাজলে গঙ্গাপুজোর দিন। প্রয়াত সম্পাদক বরুণ সেনগুপ্তর হাত ধরে যে ‘বর্তমান’ পথচলা শুরু করেছিল, তার বয়স চল্লিশ পূর্ণ হল। এখনও আমরা শুধু ঘটনার কথাই বলি না, খবরের ভিতরের খবরকেও মানুষের সামনে নিয়ে আসি। ইভেন্ট ম্যানেজমেন্টের কৃত্রিম ঝড়ে দিগভ্রান্ত না হয়ে সঠিক রাজনৈতিক বিশ্লেষণেও আমরা আগের মতোই নির্ভুল। একের পর এক নির্বাচনে মিলেছে তার প্রমাণ। হাজারো বাধাবিপত্তির মধ্যেও সত্যের প্রতি অবিচল থাকার শিক্ষাটা বরুণবাবুরই। তাঁর শিক্ষা ও আদর্শ মেনে আমরা সাধারণ মানুষের কথা বলি। অত্যাচারীর চোখে চোখ রেখে সত্যিটা বলার সাহস রাখি। তারজন্য অনেকে ব্যঙ্গ, বিদ্রুপের তুবড়ি ছোটায়, কিন্তু তাতে সত্যিটা বদলে যায় না। তাই আজও আমাদের স্লোগান, ‘বর্তমান ভগবান ছাড়া কাউকে ভয় পায় না।’
প্রতিবাদ যাঁর রক্তে তাঁকে ভয় দেখিয়ে চুপ করাতে যাওয়াটা চরম মূর্খামি। অথচ ক্ষমতার দম্ভে সিদ্ধার্থশঙ্কর রায় সেটাই করেছিলেন। জরুরি অবস্থা জারির সুযোগ নিয়ে বরুণবাবুকে জেলে ভরেছিলেন। উদ্দেশ্য, তাঁর প্রতিবাদী কলমকে স্তব্ধ করা। সেটা করতে গিয়ে সিদ্ধার্থবাবু নিজের সরকারেরই পতন ডেকে এনেছিলেন। এই কথাটা তাঁরই সরকারের তৎকালীন তথ্যমন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের। তিনি বলেছিলেন, ‘বরুণদার জ্বালাময়ী লেখা পড়েই বাংলার মানুষ কংগ্রেসকে ঘৃণা করতে শুরু করেছিল। যার পরিণাম ‘৭৭ সালের পালাবদল।’ সিপিএমের মন্ত্রী প্রয়াত সুভাষ চক্রবর্তীর কথায়, ‘সিদ্ধার্থশঙ্কর রায় সম্পর্কে বরুণবাবুর লেখা পড়ে মুখ্যমন্ত্রী সম্পর্কে বাংলার মানুষের তীব্র ঘৃণা তৈরি হয়েছিল। ’৭৭ সালের রাজনৈতিক পালাবদলে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল তাঁর লেখার।’
রাজনৈতিক নেতৃত্ব যাই বলুক না কেন, বরুণবাবু তা বিশ্বাস করতেন না। একটা কথা অনেকেই বলতেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নেত্রী বানিয়েছেন বরুণবাবু। কিন্তু তিনি মনে করতেন, কোনও সংবাদপত্র কাউকে নেতা বা নেত্রী বানাতে পারে না। সংবাদপত্রের কাজ সাধারণ মানুষের কথা বলা। সাধারণ মানুষের হয়ে যাঁরা লড়াই করেন, তাঁদের কথা বলে বর্তমান। ১৯৮৪ সালের ৭ ডিসেম্বরের ‘বর্তমান’-এর প্রথম সংখ্যাতেই তিনি স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন তাঁর উদ্দেশ্য। লিখেছিলেন, ‘এখন আমার একমাত্র ধ্যানজ্ঞান সাধারণ মানুষের স্বার্থে, সাধারণ মানুষের হয়ে কথা বলার মতো একখানা কাগজ বের করা।’ এখনও আমরা তাঁর সেই নীতি ও আদর্শ মেনেই চলি। সেইজন্যই আমরা লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, কন্যাশ্রী, রূপশ্রী প্রকল্পের কথা লিখি।  সোচ্চার হই ১০০দিনের কাজ বন্ধের বিরুদ্ধে। গরিব, খেটেখাওয়া সাধারণ মানুষের স্বার্থে কথা বলতে বরুণবাবুই আমাদের শিখিয়েছেন। 
হাতেগরম উদাহরণ আর জি কর। অধিকাংশ সংবাদমাধ্যম যখন আর জি কর ইস্যুতে খবর তৈরি করেছে ‘বর্তমান’ তখন অবিচল ছিল বিভ্রান্তি নিরসনে। বাংলার চিকিৎসক-কন্যার মর্মান্তিক খুনে দোষীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি যেমন দাবি করেছে, তেমনই সাধারণ গরিব মানুষের দুর্ভোগের কথা প্রতিদিন তুলে ধরেছে। তাতে আন্দোলনকারীরা রুষ্ট হয়েছেন ঠিকই। কিন্তু সাধারণ মানুষ ‘খবর তৈরি’ ও ‘প্রকৃত খবরে’র ফারাকটা বুঝতে পেরেছেন।
বরুণবাবু আমাদের মাটিতে পা রেখে চলতে শিখিয়েছেন। সেই শিক্ষার জোরেই বাংলার মানুষের মন পড়তে পারে ‘বর্তমান’। তাই প্রতিটি নির্বাচনে দিতে পেরেছে প্রায় নিখুঁত পূর্বাভাস। ২০১৬ সালে কংগ্রেসের সঙ্গে জোট করেই সিপিএম মনে করেছিল, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ক্ষমতায় ফেরা আটকে দিয়েছে তারা। জোট সরকারের মন্ত্রিসভার খসড়াও নাকি তৈরি হয়ে গিয়েছিল! কিন্তু আমরা দ্বিধাহীন চিত্তে জানিয়ে দিয়েছিলাম, দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় ফিরছেন মমতা। একুশের নির্বাচনের গতিপ্রকৃতি অনুমান করা ছিল একটু কঠিনই। ইভেন্ট ম্যানেজমেন্টের দৌলতে বাংলার আকাশে তখন মেকি গেরুয়া ঝড়। তাকে ভেদ করে নিশানা নির্দিষ্ট করা ছিল সত্যিই কঠিন। কিন্তু মাটিতে পা রেখে চলে বলেই ‘বর্তমান’ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের হ্যাটট্রিকের নিশ্চিত পূর্বাভাস দিতে পেরেছিল। চব্বিশেও অধিকাংশ মিডিয়া বাংলায় বিজেপিকে ২২ থেকে ৩০টি পর্যন্ত আসন দিয়ে বসেছিল। কিন্তু বর্তমান বলেছিল, বিজেপির আসন অনেকটাই কমবে। আর তা অক্ষরে অক্ষরে মিলেছেও।
বাংলায় সিপিএমের ভরা যৌবনে শুরু হয়েছিল ‘বর্তমান’এর পথচলা। তখন রাজ্যে বিরোধী বলে কিছুই ছিল না। কিন্তু বরুণবাবু বুঝিয়ে দিয়েছিলেন, সরকার ভুল করলে তা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিতে পিছপা হবেন না। সেটা করায় সিপিএমের লোকজন গ্রামে ‘বর্তমান’ ঢোকা বন্ধের জন্য হুলিয়া জারি করেছিল। কিন্তু মানুষকে আটকাতে পারেনি। বাজারের থলির নীচে ‘বর্তমান’ নিয়ে মানুষ বাড়ি ফিরেছে। হার্মাদ বাহিনীর আতঙ্কে দরজা বন্ধ করে বর্তমান পড়েছে। তাতে বর্তমানকে শায়েস্তা করার সব চেষ্টা জলে গিয়েছে। উল্টে বাংলা থেকে সিপিএম দলটাই উঠে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে।
বরুণবাবু ছিলেন আমাদের ক্যাপ্টেন। কিন্তু কাপ্তেনিতে বিশ্বাসী ছিলেন না। সাধারণ মানুষের কাছে হাত পেতে তৈরি করেছিলেন বর্তমান। তাই প্রতিটি টাকার মূল্য বুঝতেন তিনি। অপচয়ে ছিল তাঁর ঘোর আপত্তি। কর্মজীবনের গোড়ায় জোড়াগির্জার বর্তমান অফিসের রেস্টরুমে থাকার সুবাদে বরুণবাবুকে খুব কাছ থেকে দেখার সুযোগ হয়েছিল। কাকভোরে অফিসে চলে আসতেন। ব্রেকফাস্ট করতেন অফিসেই। মেনুতে থাকত হলুদবিহীন আলু গোলমরিচ ভাজা, দু’টো রুটি, আর কয়েক টুকরো পাকা পেঁপে। অত্যন্ত সাদামাটা জীবনে অভ্যস্ত ছিলেন। সকলের আগে অফিসে ঢুকতেন, আর বেরতেন একেবারে শেষে। যাওয়ার সময় করিডোরের আলোগুলো নেভাতে নেভাতে বেরিয়ে যেতেন। তাঁর উত্তরসূরিরাও ঘর থেকে বেরনোর সময় এখনও আলো, পাখা বন্ধ করেই বের হন। 
বর্তমান কাগজের মালিক ছিলেন বরুণবাবু। কিন্তু তাঁর কথাবার্তায়, ব্যবহারে কখনও মালিক সুলভ আচরণ ফুটে ওঠেনি। বর্তমানের সকলেই ছিলেন তাঁর সহকর্মী। সাংবাদিকরা তাঁকে ‘বরুণদা’ বলে ডাকতেন। কিন্তু তিনি আমার কাছে ছিলেন ‘স্যার’। সাংবাদিকতার অআকখ যেটুকু শিখেছি, সবটাই তাঁর কাছে। তিনি প্রায়ই বলতেন, আমরা নীতির সমালোচনা করি, ব্যক্তির নয়। ব্যক্তিগত সম্পর্ক ঠিক রাখার শিক্ষা দিতেন। তিনি সেটা নিজেও মানতেন। বর্তমানের জন্মলগ্ন থেকে তাঁর চলে যাওয়া পর্যন্ত এমন একটাও দিন পাওয়া মুশকিল, যেদিন বর্তমান কাগজে সিপিএমের সমালোচনা হয়নি। তবুও সিপিএমের অনেক দাপুটে নেতার সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক ছিল দাদা-ভাইয়ের। সেই কারণেই সিপিএম নেতা অনিল বিশ্বাসের মৃত্যুতে বরুণবাবু শিশুর মতো হাউহাউ করে কেঁদেছিলেন।
অসম্ভব আকর্ষণী ক্ষমতা ছিল বরুণবাবুর। তার জোরে অনায়াসেই ক্ষমতার অলিন্দে ছিল তাঁর অবাধ বিচরণ। কিন্তু রাজনৈতিক খবরদারিতে ছিল তাঁর প্রবল অনীহা। দিল্লিতে সাংবাদিকতা না করলেও তিনি ছিলেন ইন্দিরা গান্ধী এবং সঞ্জয় গান্ধীর অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ। স্বামীর বন্ধু হিসেবে মানেকা গান্ধীও তাঁকে ভালোই চিনতেন। সঞ্জয় গান্ধীর মৃত্যুর পর বরুণবাবু ইন্দিরা গান্ধীর সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন। ততদিনে রাজীব গান্ধীকে রাজনীতিতে আনবেন বলে ইন্দিরাজি মনস্থ করে ফেলেছেন। এদিকে মানেকা গান্ধী চাইছিলেন, তাঁকেই দেওয়া হোক গান্ধী পরিবারের রাজনৈতিক উত্তরাধিকার। কিন্তু ইন্দিরাজি নারাজ। শাশুড়িকে বোঝানোর জন্য বরুণবাবুকে অনুরোধ করেছিলেন মানেকা গান্ধী। বরুণবাবু তাঁকে হাতজোড় করে বলেছিলেন, মিসেস গান্ধী সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছেন। ওঁকে বলে কোনও লাভ নেই। আর এটা আমার উচিতও হবে না। বরুণবাবু এই ঘটনার কথা শুনিয়ে বলেছিলেন, সাংবাদিক রাজনীতির হাঁড়ির খবর নেবে, লিখবেও। কিন্তু রাজনীতিতে প্রভাব খাটানো সাংবাদিকের কাজ নয়। সেটা করতে গেলেই চিড় ধরবে সম্পর্কে।
একটা কথা আগে প্রায়ই শুনতে হতো, বরুণবাবুর পর বর্তমানের কী হবে? এই প্রশ্নটা হয়তো তাঁকেও ভাবাত। তাই তিনি ঘনিষ্ঠজনদের বলতেন, বর্তমানকে পরিচিত হতে হবে ‘বর্তমান’ নামে। বরুণ সেনগুপ্তের কাগজ বলে পরিচিত হলে চলবে না।
বরুণবাবু আমাদের ছেড়ে চলে যাওয়ার পর ১৬টা বছর কেটে গিয়েছে। তাঁর বসানো ‘বর্তমান’ নামক বটবৃক্ষের চারাটা মহীরুহ হতে পেরেছে কি না, সেটা পাঠকই বিচার করবেন। তবে ‘বর্তমান’ তার শাখাপ্রশাখা বিস্তার করে চলেছে। একদিন যাঁরা বরুণবাবুর পর বর্তমানের কী হবে, প্রশ্ন তুলে কাঁপুনি ধরাতে চেয়েছিলেন এতদিনে তাঁরা জবাবটা নিশ্চয়ই পেয়ে গিয়েছেন। বরুণবাবু চলে গিয়েছেন, কিন্তু তাঁর শিক্ষা ছড়িয়ে রয়েছে বর্তমানের শিরায়-উপশিরায়, প্রতিটি কোণায়। হ্যাঁ, আমরা বরুণ সেনগুপ্তের কাগজে কাজ করি। এটাই আমাদের অহঙ্কার।
07th  December, 2024
হলিউডে ড্রাগনের থাবা!
মৃণালকান্তি দাস

পরিচালক স্টিভেন স্পিলবার্গ বেজিংয়ের তিয়েনআনমেন স্কোয়ারে পা রেখেছিলেন ২০০৪ সালের ২২ সেপ্টেম্বর। সেদিন তিয়েনআনমেন স্কোয়ারে একটি বিশাল ঘড়ি লাগানো হয়েছিল। ঘড়ির কাঁটা চালু হয়েছিল ১ হাজার ৪১৭ দিন গণনার জন্য। লক্ষ্য ২০০৮-এর গ্রীষ্মকালীন ওলিম্পিক্স। 
বিশদ

আধুনিক ভারতের স্থপতি, দূরদর্শী রাষ্ট্রনায়ক
নরেন্দ্র মোদি

আজ ২৫ ডিসেম্বর, আমাদের সকলের কাছে একটি অত্যন্ত বিশেষ দিন। আমাদের প্রিয় প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়িজির ১০০তম জন্মজয়ন্তী। তিনি শুধু একজন রাষ্ট্রনায়ক নন, অগণিত মানুষকে প্রেরণা জুগিয়ে চলেছেন নিরন্তর।  বিশদ

25th  December, 2024
সাহেবি আমল থেকেই বড়দিন বাঙালির নিজস্ব পার্বণ
সন্দীপন বিশ্বাস

সাহেবি আমলের দেশি বাবুরা কেবল দুর্গাপুজো, বুলবুলির লড়াই আর বিড়ালের বিয়ে নিয়েই মেতে থাকতেন না, তাঁরা বড়দিন বা ইংরেজি নববর্ষের আনন্দের স্রোতেও ভেসে যেতেন। সে ছিল এক দেখার মতো ব্যাপার। বাবুদের কাপ্তেনির মেজাজে লাগত সুরা ও সুরের দোল। বিশদ

25th  December, 2024
বাংলাদেশ প্রমাণ, বিভাজন শুধু বিপর্যয়ই আনে
শান্তনু দত্তগুপ্ত

বাংলাদেশের একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন তসলিমা নাসরিন। নাটকের দৃশ্য। তাতে যশোর জামিয়া ইসলামিয়ার তিন ছাত্র ইসলামিক জঙ্গিদের সাজে দাঁড়িয়ে আছে। হাতে বন্দুক। আপাতদৃষ্টিতে প্লাস্টিকের বলেই মনে হচ্ছে (দেশটা এখনও সিরিয়া হয়ে যায়নি। নাটকের জন্য সেখানে আজও প্লাস্টিকের বন্দুক ব্যবহার হয়)। বিশদ

24th  December, 2024
সংবিধানের উপর বিরাট আঘাত
পি চিদম্বরম

ভারতের সংবিধান গ্রহণের ৭৫তম বার্ষিকী আমরা উদযাপন করেছি ২০২৪ সালের ২৬ নভেম্বর। সংবিধানের ৭৫ বছরের যাত্রাকে স্মরণ করার জন্য সংসদের দুটি কক্ষই তাদের নিয়মিত কার্যাবলির বাইরে দুটি দিন আন্তরিকতার সঙ্গেই উৎসর্গ করেছিল।
বিশদ

23rd  December, 2024
এক দেশ এক নির্বাচন কার স্বার্থে?
হিমাংশু সিংহ

কেন ইস্তফা দেবেন না অমিত শাহ? দেশের দণ্ডমুণ্ডের কর্তাই যদি মুখ ফস্কে দেশের সংবিধান প্রণেতা সম্পর্কে এমন বালখিল্য মন্তব্য করেন তাহলে সরকারের অভিসন্ধি বুঝতে ভুল হওয়ার কথা নয়। সম্মান জানানো দূরস্থান, বি আর আম্বেদকরের ভূমিকাকে লঘু করার চেষ্টা করেন, তাহলে তাঁর ও তাঁর কট্টর মনুবাদী দলের আসল উদ্দেশ্য বুঝতে অসুবিধা হয় না। ‘আলটপকা’ এই মন্তব্যটা স্রেফ অজুহাত।
বিশদ

22nd  December, 2024
এরপরেও বিজেপি গরিবের ভোট চাইবে?
তন্ময় মল্লিক

বাংলার বাড়ি প্রকল্পের টাকা দেওয়ামাত্র বিরোধীরা একযোগে সমালোচনা শুরু করে দিয়েছেন। তাঁদের দাবি, ‘ছাব্বিশের ভোটের জন্য এসব করা হচ্ছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মাছের তেলে মাছ ভাজছেন। কারণ এটা সাধারণ মানুষের করের টাকা।’ বিরোধীরা একেবারে হক কথা বলছেন। বিশদ

21st  December, 2024
জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার কমছে অথচ অপুষ্টি কমছে না
সমৃদ্ধ দত্ত

সরকার জনসংখ্যা নীতি নিয়ে চিন্তাভাবনা করছে। জনসংখ্যা বৃদ্ধি যাতে কমে যায় সেই কঠোর নীতি কি নেওয়া দরকার? নাকি জনসংখ্যা নীতির প্রয়োজন নেই? এই জল্পনা এখন সরকারের অন্দরে অন্যতম প্রধান একটি বিতর্ক। সিদ্ধান্ত নেওয়া যাচ্ছে না। কিন্তু যে রাষ্ট্র আর কিছু বছরের মধ্যে নাকি তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি হবে সেখানে এত শিশুমৃত্যু কেন? এত অপুষ্টি কেন?
বিশদ

20th  December, 2024
আল-কায়েদা জঙ্গি জোলানি এখন হিরো
মৃণালকান্তি দাস

প্রচণ্ড গরমের এক দুপুর। ইরাক আর সিরিয়ার সীমান্তের কাছাকাছি একটি জায়গায় দাঁড়িয়ে দু’টি পিকআপ ভ্যান। স্থানীয়রা জানত, এসব গাড়ি কাদের এবং কী উদ্দেশ্যে এখানে চলাচল করে। সিরিয়ার বাজার থেকে অস্ত্র কিনে এই রুট দিয়ে সেগুলি ইরাকে নিয়ে যায় আল-কায়েদা। বিশদ

19th  December, 2024
পাকিস্তান নয়, ভারতই পাশে থাকবে
হারাধন চৌধুরী

অনেক সংশয় কাটিয়ে সোমবার ঢাকাতেও পালিত হল ‘বিজয় দিবস’। এমনকী, কলকাতায় ফোর্ট উইলিয়ামের বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানেও যোগ দিল বাংলাদেশের প্রতিনিধি দল। ‌গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে হাসিনা সরকারের পতন হয় এবং ৮ আগস্ট বাংলাদেশের দায়িত্ব নেয় মহম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার।
বিশদ

18th  December, 2024
সিবিআইকে নিয়ে গদগদ হওয়ার কিছু আছে কি?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

১) ময়নাতদন্ত নিয়ে প্রশ্ন। কল্যাণী এইমস এবং দিল্লির গঙ্গারামপুর হাসপাতালে পাঠানোর পরও কিন্তু খুঁত মিলল না। বিশদ

17th  December, 2024
প্রত্যাশিত ভারত মোদির ‘বিকশিত’ ভারত নয়
পি চিদম্বরম

বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর এবং ইলেকট্রনিক্স ও তথ্য-প্রযুক্তি মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব—দু’জনেই শহুরে, সুশিক্ষিত ও মৃদুভাষী মানুষ। এস জয়শঙ্কর ফরেন সার্ভিসে একটি উল্লেখযোগ্য কর্মজীবন কাটিয়েছেন। সেখানে তাঁকে একজন উদারপন্থী ব্যক্তি হিসেবেই বিবেচনা করা হতো।
বিশদ

16th  December, 2024
একনজরে
শীতের আমেজ গায়ে মেখে বড়দিনে মাতল গৌড়বঙ্গ। চার্চ থেকে বিনোদন পার্ক, রেস্তরাঁ, সিনেমা হল- ভিড় সর্বত্র। দিকে দিকে বসল পিকনিকের আসরও। ছুটির দিনে চলল হই ...

পাকিস্তানের বিমান হামলা। আফগানিস্তানে ৪৬ জন নিহত। তাঁদের মধ্যে মহিলা ও শিশুর সংখ্যাই বেশি। তালিবান সরকারের মুখপাত্র জাবিউল্লা মুজাহিদ জানান, মঙ্গলবার রাতে পাকিতিকা প্রদেশের বারমাল জেলার চারটি এলাকায় হামলা চালায় পাকিস্তান। ...

মাদক বিরোধী অভিযানে সাফল্য অসম পুলিসের। শ্রীভূমি জেলার পুলিস হাতিখিরা এলাকায় অভিযান চালিয়ে একটি ট্রাক থেকে দেড় লক্ষ ইয়াবা ট্যাবলেট বাজেয়াপ্ত করেছে। ...

গত ১৩ বছরে রাজ্যের বিদ্যুৎ বণ্টন পরিকাঠামো উন্নয়নে একাধিক পদক্ষেপ করেছে রাজ্য সরকার। তার ফলে রাজ্যে লোডশেডিং এখন অতীত। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

পড়ে গিয়ে বা পথ দুর্ঘটনায় আঘাতপ্রাপ্তির যোগ থাকায় সতর্ক হন। কর্মে  উন্নতি ও সাফল্যের যোগ। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৭৯১- কম্পিউটারের জনক চার্লস ব্যাবেজের জন্ম
১৮০১- বাংলা ও মাদ্রাজের জন্য ব্রিটিশদের প্রথম সুপ্রিম কোর্ট গঠন
১৮৩১- হেনরি লুই ভিভিয়ান ডিরোজিওর মৃত্যু
১৮৫০- ভারতের চিকিৎসাশাস্ত্রে সবচেয়ে সম্মানিত ও প্রথম স্যার উপাধিপ্রাপ্ত চিকিৎসক  স্যার কৈলাসচন্দ্র বসুর জন্ম
১৮৯৩- চীনা কমিউনিস্ট পার্টির নেতা মাও সে তুংয়ের জন্ম
১৮৯৯- বিপ্লবী উধম সিংয়ের জন্ম
১৯০৬- অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্নে বিশ্বের প্রথম পূর্ণদৈর্ঘ্য ছায়াছবি ‘দি স্টোরি অব দ্য কেলি গ্যাং’ প্রথম প্রদর্শিত হয়
১৯১৩- কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে ডি লিট উপাধি দেয়
১৯১৯- লীগ অব নেশনস প্রতিষ্ঠিত হয়
১৯৪৯- মধ্যাকর্ষণের নতুন সাধারণকৃত তত্ত্ব উদ্ভাবন করেন বিজ্ঞানী আলবার্ট আইস্টাইন
২০০৪- ভয়াবহ সুনামির আঘাত ভারত-সহ ছয়টি দেশে, নিহত আড়াই লক্ষেরও বেশি মানুষ



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৪.২৮ টাকা ৮৬.০২ টাকা
পাউন্ড ১০৪.৮৬ টাকা ১০৮.৫৭ টাকা
ইউরো ৮৬.৮৬ টাকা ৯০.২০ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
25th  December, 2024
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৬,২০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৬,৬০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭২,৮০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৮,৪০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৮,৫০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১১ পৌষ, ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪। একাদশী ৪৬/৩ রাত্রি ১২/৪৪। স্বাতী নক্ষত্র ২৯/৩৮ সন্ধ্যা ৬/১০। সূর্যোদয় ৬/১৮/৩৯, সূর্যাস্ত ৪/৫৫/৪৯। অমৃতযোগ দিবা ৭/৪৩ মধ্যে পুনঃ ১/২৩ গতে ২/৪৮ মধ্যে। রাত্রি ৫/৪৯ গতে ৯/২৩ মধ্যে পুনঃ ১২/৪ গতে ৩/৩৮ মধ্যে পুনঃ ৪/৩২ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ২/১৬ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ১১/৩৮ গতে ১/১৮ মধ্যে।                                                               
১০ পৌষ, ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪। একাদশী রাত্রি ১১/৪৯। স্বাতী নক্ষত্র রাত্রি ৬/৪। সূর্যোদয় ৬/২২, সূর্যাস্ত ৪/৫৫। অমৃতযোগ দিবা ৭/৫০ মধ্যে ও ১/৩১ গতে ২/৫৭ মধ্যে এবং রাত্রি ৫/৫৮ গতে ৯/৩১ মধ্যে ও ১২/১১ গতে ৩/৪৪ মধ্যে ও ৪/৩৮ গতে ৬/২২ মধ্যে। কালবেলা ২/১৭ গতে ৪/৫৫ মধ্যে। কালরাত্রি ১১/৩৮ গতে ১/১৯ মধ্যে। 
২৩ জমাদিয়স সানি।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
কোচবিহার পুরসভা এলাকায় প্রকাশ্যে জঞ্জাল ফেলার সময় এক ব্যক্তিকে হাতে নাতে ধরে ফেললেন চেয়ারম্যান রবীন্দ্রনাথ ঘোষ

03:16:00 PM

চতুর্থ টেস্ট: ম্যাচ ফি-এর ২০ শতাংশ জরিমানা কোহলির

03:12:37 PM

কর্ণাটকের বেলাগাভিতে শুরু হল কংগ্রেসের ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক

03:03:00 PM

শেয়ার বাজারে জোয়ার, নভেম্বর মাসে স্টক মার্কেটে যুক্ত হয়েছেন ৩৫ লাখ নতুন বিনিয়োগকারী

02:57:56 PM

কেন্দ্রীয় ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে যোগ দিতে কর্ণাটকের বেলাগাভিতে এলেন রাহুল গান্ধী এবং মল্লিকার্জুন খাড়্গে

02:49:00 PM

রাজধানীর তিন জেলার ডিসিপি এবং চারজন অতিরিক্ত ডিসিপিকে বদলি করলেন দিল্লির লেফটেন্যান্ট গভর্নর ভি কে সাক্সেনা

02:35:00 PM