Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

ভারত ক্রমেই পিছিয়ে পড়ছে কেন?
সমৃদ্ধ দত্ত

ভারত নামক একটি রাষ্ট্র যার স্বাধীনতার বয়স ৭৭ বছর হয়ে গিয়েছে এবং সভ্যতার বয়স ৫ হাজার বছর। সে এখন কী নিয়ে চর্চা করছে? উত্তরপ্রদেশের সম্ভাল নামক একটি জনপদে জামা মসজিদের নীচে আসলে মন্দির ছিল কি না সেই সমীক্ষা করার উদ্যোগ নিয়েছে, সংঘর্ষ হয়েছে। চারজনের মৃত্যু। ভারতের পার্লামেন্টে এটি এখন অন্যতম ইস্যু। 
অসমের রাজ্য সরকার ঘোষণা করেছে হোটেল, রেস্তরাঁয় তো বটেই, কোনও সামাজিক সমাবেশেও গোমাংস খাওয়া কিংবা পরিবেশন করা চলবে না। 
আজমির শরিফ দরগা আসলে মহাদেবের মন্দিরের উপর নির্মিত। এই মর্মে রাজস্থানের আদালতে জমা পড়েছে আবেদন। সঙ্গে সঙ্গে জাতীয় রাজনীতি এই আবেদনের পক্ষে ও বিপক্ষে তর্ক করছে।
ভারত সরকারের অন্যতম চালিকাশক্তি যে সংগঠন, সেই রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সঙ্ঘের প্রধান আহ্বান করেছেন মহিলাদের অন্তত তিনটি করে সন্তান থাকা উচিত। কারণ হিসেবে তিনি ব্যাখ্যা করেছেন, ভারতের গড় ফার্টিলিটি হার যেভাবে কমছে, সেটা উদ্বেগজনক এবং ভারতের জনসংখ্যা বৃদ্ধি হারও কমতে শুরু করেছে। তাই এখনই ব্যবস্থা নেওয়া দরকার। 
ঠিক এই সময়ই আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে আমরা কী দেখতে পাচ্ছি? আমেরিকার যে কোনও সংবাদমাধ্যমে চোখ রাখলে লক্ষ্য করা যাবে প্রধানতম চর্চা নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইমপোর্ট ট্যারিফ রেট কতটা বাড়াবেন? অন্য দেশ থেকে আমেরিকায় পণ্য রপ্তানি করতে হলে ওই চড়া ট্যাক্স দিতে হবে। চীনকে সবথেকে বেশি টার্গেট করেছেন তিনি। কেন? কারণ আমেরিকার অভ্যন্তরীণ ক্ষুদ্র মাঝারি বা বৃহৎ সব শিল্প সংস্থার উৎপাদন ও বিক্রি যাতে বাড়ে। 
ইতালির অন্যতম বৃহৎ ব্যাঙ্ক ইউনিক্রেডিট স্থির করেছে তারা জার্মানির বৃহত্তম আর্থিক সংস্থা কমার্জব্যাঙ্ককে কিনে নেবে। জার্মান সরকার সেটা ঠেকাতে মরিয়া। জার্মানির নাগরিকরাও ক্ষুব্ধ। কারণ এটা রাষ্ট্রীয় সম্মানের ব্যাপার। 
অস্ট্রেলিয়ার পার্লামেন্ট সর্বসম্মতিক্রমে আইন এনেছে যে, ১৬ বছরের কম বয়সিদের সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করতে দেওয়া হবে না। গুগল, মেটা, এক্স ইত্যাদি সংস্থা প্রবল চিন্তিত। কারণ তাদের ব্যবসা প্রবলভাবে ধাক্কা খাবে। ওই বয়সটাই অ্যাসপিরেশনাল বয়স। স্বপ্ন দেখার বয়স। তাই ওই বয়স হাতছাড়া করা চলবে না। এইসব সোশ্যাল মিডিয়া সংস্থা অস্ট্রেলিয়ান সরকারের কাছে সময় চেয়েছে। বলেছে, আমরা এই বয়সের ব্যাপারটা কীভাবে ম্যানেজ করা যায় সেই টেকনোলজি আনছি, সময় দিন। অস্ট্রেলিয়া রাজি নয়। 
আফ্রিকার সুদানের একটি উদ্বাস্তু ক্যাম্প রয়েছে এল ফাশহর নামক জনপদে। সেই উদ্বাস্তু ক্যাম্পে আশ্রয় নেওয়া গৃহযুদ্ধে গৃহহীন ৫ লক্ষ মানুষের জন্য এই সপ্তাহ কিছুটা খুশির খবর এনেছে। কারণ এই ৫ লক্ষ মানুষ দীর্ঘ দিন ধরে প্রায় অনাহারে কাটাচ্ছে। যুদ্ধের কারণে রাষ্ট্রসঙ্ঘকে খাবার সাপ্লাই পর্যন্ত করতে দেওয়া হয়নি। অবশেষে সেই সাপ্লাই আসছে এই সপ্তাহে। বিগত ছয় মাস ধরে লাগাতার পশ্চিমী দেশগুলি এই নিয়ে রাষ্ট্রসঙ্ঘে আলোচনা করেছে। চাপ দিয়েছে। 
এই যে তথ্যগুলি আলোচিত হল, এখানে কী দেখা যাচ্ছে? দেখা যাচ্ছে, ভারতকে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসেবে এখনও পর্যন্ত কতটা অপরিণতমনস্ক এবং নির্বোধ করে রেখে দেওয়া হচ্ছে। ভারত পঞ্চম বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ বলে গর্ব করছে। অথচ বাকি বৃহত্তম অর্থনীতির দেশগুলির অন্যতম চর্চার ইস্যু কী? আর আমরা প্রতিদিন কী নিয়ে আলোচনা করি। আমাদের রাজনীতিকরা কী নিয়ে বাগবিতণ্ডা করেন?
আজও ভারতের বৃহৎ ব্যর্থতা হল এখনও বিশ্বকে কোনও ভোগ্যপণ্যের এক নম্বর ব্র্যান্ড উপহার দিতে পারেনি ভারত তথা ভারতের কর্পোরেট মহল। ভারতের নাগরিক যুবসমাজ জারার জ্যাকেট কিংবা পোশাক পরলে নিজেকে স্মার্ট ও স্টেটাসসংবলিত মনে করে। জারা স্প্যানিশ ব্র্যান্ড। সেই যুবসমাজ আজও লি, লিভাইস জিন্স পরতে পছন্দ করে। আজও সবথেকে বেশি বিক্রি হয় ব্র্যান্ড হিসেবে রিবক, নাইকি, পুমা, অ্যাডিডাস এবং এয়ার জর্ডন। দেখা যায় যে, আমরা যখন যে বয়সে যে কোনও পণ্য কেনার স্বপ্ন পোষণ করি, সেটি অবধারিতভাবে বিদেশি কোনও ব্র্যান্ড। 
আজও ১৪০ কোটি দেশের স্বপ্ন পকেটে একটি অ্যাপল ফোন থাকা। ভারত আজও একটি মোবাইল ব্র্যান্ড বিশ্বকে দিতে পারল না। কোনও টেলিভিশন, কোনও প্যাড, কোনও লেদার প্রোডাক্ট, কোনও শীতের পোশাক, কোনও গরমের পোশাক কিছুই নেই। অর্থাৎ আমেরিকা, দক্ষিণ কোরিয়া, বেজিং, স্কটল্যান্ড, মেলবোর্ন, প্যারিস, ব্রাজিলের নাগরিকরা ভারতের কোনও একটি ব্র্যান্ড ব্যবহার করার জন্য উদগ্রীব এবং সেই ব্র্যান্ড বিশ্বকে শাসন করছে, এরকম উদাহরণ নেই। 
তাহলে ভারত কীসের জন্য গর্ব করে? ভারত তো ক্রেতার দেশ? ১৪০ কোটির বাজার। ভারতকে সবাই শুধু বিক্রি করে চলেছে নিজেদের প্রোডাক্ট আর ব্র্যান্ড। যে কোনও দেশের তুলনায় বেশি ইংলিশ স্পিকিং। লেবার ফোর্স বেশি। কিন্তু মজুরি কম। অতএব আরও সুবিধা। এদের থেকে কাজ করিয়ে নাও প্রসেস থেকে সফটওয়্যার যে কোনও সংস্থায় অফশোর এমপ্লয়ি হিসেবে। এই দেশের কোম্পানিগুলিকে প্রজেক্ট দিয়ে দাও। এরা নিজেদের সস্তার কর্মীদের দিয়ে উচ্চ মানের কাজ করে দেবে। লাভ করব আমরা অর্থাৎ বহুজাতিক বিখ্যাত সংস্থা। আবার সেইসব কর্মীর কাছেই বিদেশের বিখ্যাত ব্র্যান্ডগুলি নিজেদের প্রোডাক্ট বিক্রি করে সেই কন্ট্রাক্টের জন্য খরচ হওয়া টাকা আবার নিজেদের দেশে নিয়ে যাবে। 
অন্যদিকে এইসব কোম্পানি যে দেশের, সেই দেশের সরকারগুলি এই ভারতকেই বিক্রি করে অস্ত্র, সোলার এনার্জির টেকনোলজি, মহাকাশ গবেষণা প্রক্রিয়া, যুদ্ধ সরঞ্জাম, টেলিকম প্রযুক্তি। সুতরাং, ভারত প্রত্যেকের কাছে সবথেকে বেশি সোনার ডিম দেওয়া হাঁস। লক্ষ করা যায় যে, কেউ ভারতের সঙ্গে কোনও শত্রুতা চায় না। আমেরিকার নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও ভারত রাশিয়া থেকে অস্ত্র কেনে। তেল কেনে। আমেরিকা ক্ষুব্ধ হয়। কিন্তু ভারতকে ধমক দিতে পারে না। সম্পর্ক ছিন্ন করতেও পারবে না। কারণ সরকার ও কর্পোরেট উভয় পক্ষের কাছে ভারত সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ ক্রেতা। 
ভারত কিংবা গোটা দুনিয়া কোনও কোনও কোম্পানি ছাড়া ২৪ ঘণ্টা থাকতে পারবে না। শুধু শখের কারণে নয়, পেশাগতভাবেও এই সংস্থাগুলির উপর ভারত নির্ভরশীল। গুগল, আমাজন, মেটা, এক্স, ইউটিউব, এনভিডিয়া, মাইক্রোসফট। এর একটারও কোনও বিকল্প ভারত তৈরি করতে পারল না কেন? ভারত তো সফটওয়্যার কর্মীদের রাজধানী। 
ভারতের বৃহত্তম কর্পোরেট সংস্থাগুলির দৃষ্টিভঙ্গির প্রসারতা দেখা যায় না  কেন? বিদেশি সংস্থার মতোই দেশি সংস্থা হয়েও তারা ভারতীয় জনতাকে স্রেফ ক্রেতাই ভাবে। তাই যখন তখন টেলিকমের ট্যারিফ বাড়ায়। সুযোগ খোঁজে জনতার ট্যাক্সের টাকায় সরকার তাদের কর্পোরেট ট্যাক্স কখন মকুব করবে। 
জমি আদায় করা রাজ্য সরকারকে শিল্পায়নের টোপ দিয়ে কর্পোরেট কোম্পানির নবতম উদ্যোগ হল সুযোগ পেলেই রিয়াল এস্টেটে ঢুকে পড়া। সস্তায় জমি নিয়ে সেখানে স্যাটেলাইট টাউনশিপ কিংবা হাউজিং কমপ্লেক্স নির্মাণ করা। 
আমেরিকার জিডিপি কত? ২৮ লক্ষ কোটি ডলার। চীনের জিডিপি কত? ১৮ লক্ষ কোটি ডলার। ভারতের জিডিপি কত? সাড়ে ৩ লক্ষ কোটি ডলার। ভারতের প্রধানমন্ত্রীর গালভরা সংলাপ এবং তাঁর শরীরী ভঙ্গি দেখলে বোঝা যায় যে, ভারত এদের থেকে কত পিছিয়ে আছে? তাঁর সরকার ও দলের আচার আচরণ এবং মনোভাব কিংবা চিন্তাভাবনার অগ্রাধিকার লক্ষ করলে একবারও মনে হয় না, আদৌ তাদের  মনে একটা গভীর শপথবাক্য আছে যে, এই  পর্যায়ে একদিন আমরাও পৌঁছবো? তারা ওয়ান নেশন ওয়ান ইলেকশন, মসজিদ, মন্দির, গোমাংস, ইডি, সিবিআই এসব নিয়েই বেশ আছেন! 
আমেরিকা এবং চীন সবথেকে বেশি জোর দিচ্ছে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের উপর। অভ্যন্তরীণ সেই শিল্পকেই এই দুই দেশ রাষ্ট্রীয় সহায়তা দিয়ে রাষ্ট্রীয়ভাবে প্রমোট করে। ভারত কী করে? অথচ ভারতের অভ্যন্তরীণ ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের শক্তি সববৃহৎ। 
রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সঙ্ঘ, হিন্দু মহাসভা, ভারতীয় জনসঙ্ঘ, ভারতীয় জনতা পার্টি। এদের সকলেরই প্রধান একটি স্বপ্ন এবং লক্ষ্য হল ভারত ও হিন্দুত্বের প্রাচীন ও অতীত গৌরবজনক অধ্যায়কে আবার ফিরিয়ে আনা। খুবই ভালো পরিকল্পনা। তবে শুধু‌ই ধর্মীয় কেন? ভারতীয় বাণিজ্যের স্বর্ণযুগ ফেরাতে সচেষ্ট হচ্ছেন না কেন?  নিশ্চয়ই মনে আছে, 
প্রাচীন পৃথিবীতে কোন দুটি রাষ্ট্রের মধ্যে বাণিজ্য সম্পর্ক ছিল সর্বোত্তম ও সর্ববৃহৎ? রোম এবং ভারত। এই দুই রাষ্ট্র ছিল বিশ্বের বৃহত্তম বাণিজ্য অংশীদার। ট্রেডিং পার্টনার। এমনকী সিল্ক, যা নাকি চীনের সর্বশ্রেষ্ঠ রপ্তানিপণ্য ছিল ইওরোপে, সেটাও ভারতে আগে পাঠানো হতো নৌকায়। গোলমরিচ, মশলা, হাতির দাঁত, বস্ত্র রপ্তানি করত ভারত। কতটা মূল্যবান ছিল ভারতের পণ্য? ভিসগোথ রাজা আলারিক যখন রোম দখল করে মুক্তিপণ চেয়েছিলেন ৪০৮ খ্রিস্টাব্দে, সেইসময় সেই মুক্তিপণের প্রধান দাবি ছিল দুটি, ৫ হাজার কেজি সোনা এবং ৩ হাজার কেজি ভারতীয় গোলমরিচ। সিন্ধু সভ্যতার আমল থেকেই ভারত উৎপাদন ও বাণি঩জ্যে উৎকর্ষ লাভ করতে শুরু করে। ২০২০ সালের বাজেটে অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন বলেছিলেন, সিন্ধু-সরস্বতী সভ্যতার উচ্চতা স্পর্শ করা আমাদের লক্ষ্য। 
আর আজ ভারতের রপ্তানি তলানিতে পৌঁছেছে। আমদানি রপ্তানি বাণিজ্য ঘাটতি চরম আকার নিয়েছে। কারণ কী? কারণ দেশীয় উৎপাদনকে সবরকমভাবে সাহায্য করাকে সরকার মিশন হিসেবে নেয়নি। কোথায় কারা সর্বোৎকৃষ্ট কারিগর সেটা দেখা হয় না। দেখা হয়, কোথায় কোন দল ক্ষমতায় এবং কারা আমাদের ভোটার। আর তাই যে ভারত ছিল অতীত গৌরবকালে বিক্রেতা, আজ তারা নিছক ক্রেতা। রপ্তানির দেশ আজ আমদানির দেশ। দাতার দেশ আজ গ্রহীতার দেশ। আধুনিক চিন্তা, শিল্প, বাণিজ্য, গৌরব, সবদিকেই ভারতকে পিছিয়ে দেওয়া হচ্ছে কেন? 
06th  December, 2024
হলিউডে ড্রাগনের থাবা!
মৃণালকান্তি দাস

পরিচালক স্টিভেন স্পিলবার্গ বেজিংয়ের তিয়েনআনমেন স্কোয়ারে পা রেখেছিলেন ২০০৪ সালের ২২ সেপ্টেম্বর। সেদিন তিয়েনআনমেন স্কোয়ারে একটি বিশাল ঘড়ি লাগানো হয়েছিল। ঘড়ির কাঁটা চালু হয়েছিল ১ হাজার ৪১৭ দিন গণনার জন্য। লক্ষ্য ২০০৮-এর গ্রীষ্মকালীন ওলিম্পিক্স। 
বিশদ

আধুনিক ভারতের স্থপতি, দূরদর্শী রাষ্ট্রনায়ক
নরেন্দ্র মোদি

আজ ২৫ ডিসেম্বর, আমাদের সকলের কাছে একটি অত্যন্ত বিশেষ দিন। আমাদের প্রিয় প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়িজির ১০০তম জন্মজয়ন্তী। তিনি শুধু একজন রাষ্ট্রনায়ক নন, অগণিত মানুষকে প্রেরণা জুগিয়ে চলেছেন নিরন্তর।  বিশদ

25th  December, 2024
সাহেবি আমল থেকেই বড়দিন বাঙালির নিজস্ব পার্বণ
সন্দীপন বিশ্বাস

সাহেবি আমলের দেশি বাবুরা কেবল দুর্গাপুজো, বুলবুলির লড়াই আর বিড়ালের বিয়ে নিয়েই মেতে থাকতেন না, তাঁরা বড়দিন বা ইংরেজি নববর্ষের আনন্দের স্রোতেও ভেসে যেতেন। সে ছিল এক দেখার মতো ব্যাপার। বাবুদের কাপ্তেনির মেজাজে লাগত সুরা ও সুরের দোল। বিশদ

25th  December, 2024
বাংলাদেশ প্রমাণ, বিভাজন শুধু বিপর্যয়ই আনে
শান্তনু দত্তগুপ্ত

বাংলাদেশের একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন তসলিমা নাসরিন। নাটকের দৃশ্য। তাতে যশোর জামিয়া ইসলামিয়ার তিন ছাত্র ইসলামিক জঙ্গিদের সাজে দাঁড়িয়ে আছে। হাতে বন্দুক। আপাতদৃষ্টিতে প্লাস্টিকের বলেই মনে হচ্ছে (দেশটা এখনও সিরিয়া হয়ে যায়নি। নাটকের জন্য সেখানে আজও প্লাস্টিকের বন্দুক ব্যবহার হয়)। বিশদ

24th  December, 2024
সংবিধানের উপর বিরাট আঘাত
পি চিদম্বরম

ভারতের সংবিধান গ্রহণের ৭৫তম বার্ষিকী আমরা উদযাপন করেছি ২০২৪ সালের ২৬ নভেম্বর। সংবিধানের ৭৫ বছরের যাত্রাকে স্মরণ করার জন্য সংসদের দুটি কক্ষই তাদের নিয়মিত কার্যাবলির বাইরে দুটি দিন আন্তরিকতার সঙ্গেই উৎসর্গ করেছিল।
বিশদ

23rd  December, 2024
এক দেশ এক নির্বাচন কার স্বার্থে?
হিমাংশু সিংহ

কেন ইস্তফা দেবেন না অমিত শাহ? দেশের দণ্ডমুণ্ডের কর্তাই যদি মুখ ফস্কে দেশের সংবিধান প্রণেতা সম্পর্কে এমন বালখিল্য মন্তব্য করেন তাহলে সরকারের অভিসন্ধি বুঝতে ভুল হওয়ার কথা নয়। সম্মান জানানো দূরস্থান, বি আর আম্বেদকরের ভূমিকাকে লঘু করার চেষ্টা করেন, তাহলে তাঁর ও তাঁর কট্টর মনুবাদী দলের আসল উদ্দেশ্য বুঝতে অসুবিধা হয় না। ‘আলটপকা’ এই মন্তব্যটা স্রেফ অজুহাত।
বিশদ

22nd  December, 2024
এরপরেও বিজেপি গরিবের ভোট চাইবে?
তন্ময় মল্লিক

বাংলার বাড়ি প্রকল্পের টাকা দেওয়ামাত্র বিরোধীরা একযোগে সমালোচনা শুরু করে দিয়েছেন। তাঁদের দাবি, ‘ছাব্বিশের ভোটের জন্য এসব করা হচ্ছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মাছের তেলে মাছ ভাজছেন। কারণ এটা সাধারণ মানুষের করের টাকা।’ বিরোধীরা একেবারে হক কথা বলছেন। বিশদ

21st  December, 2024
জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার কমছে অথচ অপুষ্টি কমছে না
সমৃদ্ধ দত্ত

সরকার জনসংখ্যা নীতি নিয়ে চিন্তাভাবনা করছে। জনসংখ্যা বৃদ্ধি যাতে কমে যায় সেই কঠোর নীতি কি নেওয়া দরকার? নাকি জনসংখ্যা নীতির প্রয়োজন নেই? এই জল্পনা এখন সরকারের অন্দরে অন্যতম প্রধান একটি বিতর্ক। সিদ্ধান্ত নেওয়া যাচ্ছে না। কিন্তু যে রাষ্ট্র আর কিছু বছরের মধ্যে নাকি তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি হবে সেখানে এত শিশুমৃত্যু কেন? এত অপুষ্টি কেন?
বিশদ

20th  December, 2024
আল-কায়েদা জঙ্গি জোলানি এখন হিরো
মৃণালকান্তি দাস

প্রচণ্ড গরমের এক দুপুর। ইরাক আর সিরিয়ার সীমান্তের কাছাকাছি একটি জায়গায় দাঁড়িয়ে দু’টি পিকআপ ভ্যান। স্থানীয়রা জানত, এসব গাড়ি কাদের এবং কী উদ্দেশ্যে এখানে চলাচল করে। সিরিয়ার বাজার থেকে অস্ত্র কিনে এই রুট দিয়ে সেগুলি ইরাকে নিয়ে যায় আল-কায়েদা। বিশদ

19th  December, 2024
পাকিস্তান নয়, ভারতই পাশে থাকবে
হারাধন চৌধুরী

অনেক সংশয় কাটিয়ে সোমবার ঢাকাতেও পালিত হল ‘বিজয় দিবস’। এমনকী, কলকাতায় ফোর্ট উইলিয়ামের বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানেও যোগ দিল বাংলাদেশের প্রতিনিধি দল। ‌গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে হাসিনা সরকারের পতন হয় এবং ৮ আগস্ট বাংলাদেশের দায়িত্ব নেয় মহম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার।
বিশদ

18th  December, 2024
সিবিআইকে নিয়ে গদগদ হওয়ার কিছু আছে কি?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

১) ময়নাতদন্ত নিয়ে প্রশ্ন। কল্যাণী এইমস এবং দিল্লির গঙ্গারামপুর হাসপাতালে পাঠানোর পরও কিন্তু খুঁত মিলল না। বিশদ

17th  December, 2024
প্রত্যাশিত ভারত মোদির ‘বিকশিত’ ভারত নয়
পি চিদম্বরম

বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর এবং ইলেকট্রনিক্স ও তথ্য-প্রযুক্তি মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব—দু’জনেই শহুরে, সুশিক্ষিত ও মৃদুভাষী মানুষ। এস জয়শঙ্কর ফরেন সার্ভিসে একটি উল্লেখযোগ্য কর্মজীবন কাটিয়েছেন। সেখানে তাঁকে একজন উদারপন্থী ব্যক্তি হিসেবেই বিবেচনা করা হতো।
বিশদ

16th  December, 2024
একনজরে
গত ১৩ বছরে রাজ্যের বিদ্যুৎ বণ্টন পরিকাঠামো উন্নয়নে একাধিক পদক্ষেপ করেছে রাজ্য সরকার। তার ফলে রাজ্যে লোডশেডিং এখন অতীত। ...

বর্ডার-গাভাসকর ট্রফিতে প্রথম তিন টেস্টের পর ১-১ অবস্থায় রয়েছে দু’দল। সিরিজে ভারতের টিকে থাকার নেপথ্যে যশপ্রীত বুমরাহর ভূমিকাই দেখছেন রবি শাস্ত্রী। প্রাক্তন কোচের মতে, ‘বুমরাহ ...

শীতের আমেজ গায়ে মেখে বড়দিনে মাতল গৌড়বঙ্গ। চার্চ থেকে বিনোদন পার্ক, রেস্তরাঁ, সিনেমা হল- ভিড় সর্বত্র। দিকে দিকে বসল পিকনিকের আসরও। ছুটির দিনে চলল হই ...

পাকিস্তানের বিমান হামলা। আফগানিস্তানে ৪৬ জন নিহত। তাঁদের মধ্যে মহিলা ও শিশুর সংখ্যাই বেশি। তালিবান সরকারের মুখপাত্র জাবিউল্লা মুজাহিদ জানান, মঙ্গলবার রাতে পাকিতিকা প্রদেশের বারমাল জেলার চারটি এলাকায় হামলা চালায় পাকিস্তান। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

পড়ে গিয়ে বা পথ দুর্ঘটনায় আঘাতপ্রাপ্তির যোগ থাকায় সতর্ক হন। কর্মে  উন্নতি ও সাফল্যের যোগ। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৭৯১- কম্পিউটারের জনক চার্লস ব্যাবেজের জন্ম
১৮০১- বাংলা ও মাদ্রাজের জন্য ব্রিটিশদের প্রথম সুপ্রিম কোর্ট গঠন
১৮৩১- হেনরি লুই ভিভিয়ান ডিরোজিওর মৃত্যু
১৮৫০- ভারতের চিকিৎসাশাস্ত্রে সবচেয়ে সম্মানিত ও প্রথম স্যার উপাধিপ্রাপ্ত চিকিৎসক  স্যার কৈলাসচন্দ্র বসুর জন্ম
১৮৯৩- চীনা কমিউনিস্ট পার্টির নেতা মাও সে তুংয়ের জন্ম
১৮৯৯- বিপ্লবী উধম সিংয়ের জন্ম
১৯০৬- অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্নে বিশ্বের প্রথম পূর্ণদৈর্ঘ্য ছায়াছবি ‘দি স্টোরি অব দ্য কেলি গ্যাং’ প্রথম প্রদর্শিত হয়
১৯১৩- কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে ডি লিট উপাধি দেয়
১৯১৯- লীগ অব নেশনস প্রতিষ্ঠিত হয়
১৯৪৯- মধ্যাকর্ষণের নতুন সাধারণকৃত তত্ত্ব উদ্ভাবন করেন বিজ্ঞানী আলবার্ট আইস্টাইন
২০০৪- ভয়াবহ সুনামির আঘাত ভারত-সহ ছয়টি দেশে, নিহত আড়াই লক্ষেরও বেশি মানুষ



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৪.২৮ টাকা ৮৬.০২ টাকা
পাউন্ড ১০৪.৮৬ টাকা ১০৮.৫৭ টাকা
ইউরো ৮৬.৮৬ টাকা ৯০.২০ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
25th  December, 2024
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৬,২০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৬,৬০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭২,৮০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৮,৪০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৮,৫০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১১ পৌষ, ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪। একাদশী ৪৬/৩ রাত্রি ১২/৪৪। স্বাতী নক্ষত্র ২৯/৩৮ সন্ধ্যা ৬/১০। সূর্যোদয় ৬/১৮/৩৯, সূর্যাস্ত ৪/৫৫/৪৯। অমৃতযোগ দিবা ৭/৪৩ মধ্যে পুনঃ ১/২৩ গতে ২/৪৮ মধ্যে। রাত্রি ৫/৪৯ গতে ৯/২৩ মধ্যে পুনঃ ১২/৪ গতে ৩/৩৮ মধ্যে পুনঃ ৪/৩২ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ২/১৬ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ১১/৩৮ গতে ১/১৮ মধ্যে।                                                               
১০ পৌষ, ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪। একাদশী রাত্রি ১১/৪৯। স্বাতী নক্ষত্র রাত্রি ৬/৪। সূর্যোদয় ৬/২২, সূর্যাস্ত ৪/৫৫। অমৃতযোগ দিবা ৭/৫০ মধ্যে ও ১/৩১ গতে ২/৫৭ মধ্যে এবং রাত্রি ৫/৫৮ গতে ৯/৩১ মধ্যে ও ১২/১১ গতে ৩/৪৪ মধ্যে ও ৪/৩৮ গতে ৬/২২ মধ্যে। কালবেলা ২/১৭ গতে ৪/৫৫ মধ্যে। কালরাত্রি ১১/৩৮ গতে ১/১৯ মধ্যে। 
২৩ জমাদিয়স সানি।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
কোচবিহার পুরসভা এলাকায় প্রকাশ্যে জঞ্জাল ফেলার সময় এক ব্যক্তিকে হাতে নাতে ধরে ফেললেন চেয়ারম্যান রবীন্দ্রনাথ ঘোষ

03:16:00 PM

চতুর্থ টেস্ট: ম্যাচ ফি-এর ২০ শতাংশ জরিমানা কোহলির

03:12:37 PM

কর্ণাটকের বেলাগাভিতে শুরু হল কংগ্রেসের ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক

03:03:00 PM

শেয়ার বাজারে জোয়ার, নভেম্বর মাসে স্টক মার্কেটে যুক্ত হয়েছেন ৩৫ লাখ নতুন বিনিয়োগকারী

02:57:56 PM

কেন্দ্রীয় ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে যোগ দিতে কর্ণাটকের বেলাগাভিতে এলেন রাহুল গান্ধী এবং মল্লিকার্জুন খাড়্গে

02:49:00 PM

রাজধানীর তিন জেলার ডিসিপি এবং চারজন অতিরিক্ত ডিসিপিকে বদলি করলেন দিল্লির লেফটেন্যান্ট গভর্নর ভি কে সাক্সেনা

02:35:00 PM