Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

পুরুষতন্ত্র নারী ক্ষমতায়নের বিরোধী
সমৃদ্ধ দত্ত

এই যে কয়েকশ বছর ধরে কোনও নারীকে বিশ্বের সবথেকে সম্পদশালী দেশ আমেরিকায় কিছুতেই রাষ্ট্রপ্রধান করা হল না, শুধু এটাই কি পুরুষতন্ত্রের উদাহরণ? অবশ্যই এর মধ্যে যতটা রাজনীতি আছে, ততটাই পুরুষতন্ত্রের আগ্রাসন আছে। কিন্তু পুরুষতন্ত্র নিছক নারীর ক্ষমতায়নে বাধা দেওয়া নয়। পুরুষতন্ত্র সেটাও যেখানে ক্ষমতাসীন নারীকে অপমান করা হয় প্রতিনিয়ত। নারীকে সর্বদাই হেয় প্রতিপন্ন করতে আনন্দ হয়। কাকে বলে পুরুষতন্ত্র? ডোনাল্ড ট্রাম্প ও তাঁর সমর্থকরা যখন কমলা হ্যারিসের সন্তানহীনতা সম্পর্কে ব্যঙ্গ করেন, সেটাকে বলে পুরুষতন্ত্র। তাঁর বাবা ব্ল্যাক, মা ভারতীয়, অতএব কমলা হ্যারিস কোনওটাই নয়। এই শ্লেষ হল পুরুষতন্ত্র। ঠিক এভাবেই আমেরিকা থেকে বহু দূরে একজন নারীর উপর চরম নির্যাতনের বিচার চাওয়ার নাগরিক আন্দোলনে কোনও এক মহানগরীর মিছিলে যখন পোস্টারে লেখা হয়, ‘কালীঘাটের ময়না/সত্য কথা কয় না’ সেটা হল পুরুষতন্ত্র। রাজনীতির বিরোধিতা না করে যখন শিক্ষিত সমাজের মুখ থেকে উল্লসিত ঘৃণার স্লোগান বেরিয়ে আসে ‘জোট বেঁধেছে বাঙাল ঘটি/ভয় পেয়েছে হাওয়াই চটি’, সেটাই পুরুষতন্ত্র। যখন বলা হয় ‘এক হয়েছে হাজার গলা/ভয় পেয়েছে চোদ্দ তলা’, তখন সেটি পুরুষতন্ত্র। কেন? কারণ পুরুষতন্ত্র ভাবে নারীদের ভয় পাওয়াই তাদের জয়। সেই নারী প্রশাসক মোবাইলের স্পিকার ফোনে ধর্মতলায় অনশনকারীদের সঙ্গে কথা বলছেন। তখন তাঁর কণ্ঠ থামিয়ে অথবা  স্তিমিত করে দিতে সামনে জমায়েত থেকে উচ্চকিতভাবে আচমকা ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’ চিৎকার করে হাসাহাসি করা হয় এবং সেই প্রশাসক যাঁদের সঙ্গে কথা বলছেন, সেই ‘মেধাবী’রা কোনও প্রতিবাদ করেন না, সেটাই পুরুষতন্ত্র। এসবের অর্থ কী? অর্থ হল, এই দেখো তোমাকে কেমন অপমান করলাম? এই দেখো, তোমায় অশিক্ষিত বলছি! ছোটলোক বলছি। এই যে নারী শাসকের প্রতি অবজ্ঞা এবং অপমান করে তৃপ্তি পাওয়া, এর নাম পুরুষতন্ত্র। বিধানবাবু, অজয়বাবু, সিদ্ধার্থবাবু, জ্যোতি বাবু, বুদ্ধবাবু বলা হয়েছে। কিন্তু একজন নারী সেই একই পদে বসলে তাঁকে নাম ধরে ডাকা হয়, ওটাই পুরুষতন্ত্র! 
সাতের দশকে ভারতের এক ও একমাত্র নারী প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক বিরোধিতা করার জন্য যে রাজনৈতিক দলটি দেওয়াল লিখনে সেই নেত্রীকে ডাইনি হিসেবে অঙ্কন করত, ডাইনির হাত থেকে রক্ত পড়ছে দেখাতো, সেই কমিউনিস্ট পার্টির আড়ালে থাকা মনস্তত্ত্ব হল পুরুষতন্ত্র। পুরুষের হাতে যাতে ছোটখাটো শখ পূরণে হাত পাততে না হয়, সেটি নিশ্চিত করার জন্য যে প্রকল্পে নারীদের হাতে কিছু সরকারি অনুদান দেওয়া হয়, সেটিকে ভিক্ষা আখ্যা দেওয়াই হল পুরুষতন্ত্র। 
অরবিন্দ কেজরিওয়াল পদত্যাগ করে বাহবা নেওয়ার পর আতিশী মার্লেনা নামক আম আদমি পার্টির নেত্রীকে মুখ্যমন্ত্রী পদে বসানো হয় এই তো কয়েকমাস আগে। আতিশী যোগ্য, শিক্ষিত। কিন্তু তিনি নেতার প্রতি আনুগত্য দেখাতে কেজরিওয়ালের চেয়ারে বসেননি। কেজরিওয়ালের চেয়ারকে পাশে শূন্য অবস্থায় রেখে অন্য চেয়ারে বসে মুখ্যমন্ত্রিত্ব চালাচ্ছেন। অর্থাৎ তিনি বোঝাতে চাইছেন তিনি অনুগত এক শিষ্যা। আসলে গুরুই মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু কেজরিওয়াল নিজে আতিশীর এই বিবৃতি কিংবা বক্তব্য অথবা অবস্থানের চরম বিরোধিতা করেননি। তিনি যেন এই ব্যবস্থাকে মেনে নিলেন। উপভোগ করলেন। তিনি না থেকেও যে প্রবলভাবে আছেন, এটাই প্রমাণ করার তাড়না। এটাই পুরুষতন্ত্র। আতিশীকে তাই তাঁর দলেরই কেউ মুখ্যমন্ত্রী মনে করে না। যেন তিনি স্টপগ্যাপ। সত্যিই তাই। 
কমলা হ্যারিস ভুল ভেবেছিলেন? নাকি তিনি জানতেন? ২৩ অক্টোবর তিনি একটি সাক্ষাৎকারে জোর গলায় বলেছিলেন, আমার নিশ্চিত বিশ্বাস, আমেরিকা একজন মহিলাকে প্রেসিডেন্ট করতে এখন প্রস্তুত। তিনি বলেছিলেন, আ উওম্যান উইথ কালার। প্রসঙ্গত, আজকাল বর্ণবৈষম্যকে দূর করতে ব্ল্যাক বলা হয় না। বলা হয় কালারড। তারও একমাস আগে কমলা হ্যারিস একটি ডিবেটে অংশ নিয়ে বলেছিলেন, ট্রাম্প আর তাঁর জঙ্গি মনোভাবাপন্ন সঙ্গীরা আমেরিকাকে পিছনের দিকে অন্ধকার যুগে নিয়ে যেতে চান। তাঁরা নিয়ে আসতে চান সেই যুগ যেখানে নারীদের ভোটাধিকার নেই। তাঁরা চান সেই যুগ যেখানে নারীদের যেন সম্পত্তিতে অধিকার না থাকে। তাঁরা চান সেই যুগ, যেখানে নারীর নিজের শরীর মন এবং অস্তিত্বের উপর অধিকার না থাকে। নারীদাসত্বই ট্রাম্পের মতো মানুষদের মনোভাব। কিন্তু আমরা সেটা হতে দেব না। 
কমলা হ্যারিসের ওই শপথকে আমেরিকা হেসে উড়িয়ে দিয়েছে। যে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ১৭ জন নারী যৌন হেনস্তার অভিযোগ করেছেন, তিনিই জয়ী হয়েছেন ভোটে। তবু কমলা হ্যারিস হননি। একে নারী। তার উপর শ্বেতাঙ্গ নয়। একে বলে পুরুষতন্ত্র। 
পুরুষতন্ত্র নিছক পুরুষ সমাজের মধ্যেই রয়েছে এমন মোটেই নয়। এ হল একপ্রকার মনস্তত্ত্ব। স্টেট অফ মাইন্ড। বহু নারীর মধ্যেও গোপনে বাসা বেঁধে রয়েছে চিরন্তন পুরুষতন্ত্র। তাঁরা সেটা হয়তো বুঝতেই পারেন না। ভারতবর্ষ নামক একটি ৩৪টি রাজ্য এবং ১৪২ কোটির দেশের মধ্যে একমাত্র মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়া, আর একটিও রাজনৈতিক দলের সুপ্রিমো নারী নয় কেন? কেন মায়াবতী ধীরে ধীরে সম্পূর্ণ দলিত সম্রাজ্ঞীর আসন থেকে বিচ্যুত হয়ে গেলেন পুরুষতান্ত্রিক প্রতিপক্ষদের সঙ্গে লড়াই করতে না পেরে? শক্তিশালী নারী মুখ্যমন্ত্রী আর কেউ নেই কেন? কারণ প্রবল পুরুষতন্ত্রকে টক্কর দিয়ে উঠে আসার মতো সুযোগই দেওয়া হচ্ছে না কাউকে! 
১৯৮০ সালে তৈরি হওয়া ভারতীয় জনতা পার্টি ২০২৩ সালে মহিলা সংরক্ষণ বিল নিয়ে এসে নারী ক্ষমতায়নের প্রচার করেছে। কিন্তু তাঁদের দলের আজ পর্যন্ত একজনও নারী সভানেত্রী হলেন না কেন? গত শতকের আটের দশকে লালকৃষ্ণ আদবানি একটি দুর্দান্ত তরুণ নেতানেত্রীর টিম পেয়েছিলেন। অরুণ জেটলি, সুষমা স্বরাজ, নরেন্দ্র মোদি, প্রমোদ মহাজন,  বেঙ্কাইয়া নাইডু, গোবিন্দাচার্য। পরবর্তী কালে রাজনাথ সিং, নীতিন গাদকারি। এঁদের মধ্যে সিংহভাগ কোনও না কোনও সময় দলের সর্বভারতীয় সভাপতি হয়েছেন। সুষমা স্বরাজ হলেন না কেন? তিনিই তো ছিলেন যোগ্যতম! সুষমা স্বরাজ চলে গিয়েছেন। বিজেপির একমাত্র জনপ্রিয় শক্তিশালী নেত্রী ছিলেন বসুন্ধরা রাজে সিন্ধিয়া। তাঁকে ২০২৩ সালের বিধানসভা ভোটে সম্পূর্ণ নিষ্ক্রিয় করে দেওয়া হল দিল্লির নির্দেশে। রাজস্থানে আজ বিজেপিরই সরকার। অথচ কোথায় বসুন্ধরা? সম্পূর্ণ হারিয়ে গেলেন? কেন? এতগুলো রাজ্যে সরকার চলছে। একজনও কি নারী মুখ্যমন্ত্রী করতে পারতেন না নরেন্দ্র মোদি? করলেন না কেন? নতুন সংসদ ভবনের উদ্বোধন করার অধিকার রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে দেওয়া হল না। রামমন্দির উদ্বোধনের অধিকার দ্রৌপদী মুর্মু পাননি। এটাই পুরুষতন্ত্র। 
করুণানিধি কন্যা কানিমোঝি কি ডিএমকে দলের নীতি নির্ধারক? না। করুণানিধির পুত্র এম কে স্ট্যালিন কিংবা তাঁর পুত্র উদয়াদিত্য। লালুপ্রসাদকন্যা মিসা ভারতী কি রাষ্ট্রীয় জনতা দলের সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী? না। দলের চালিকাশক্তি লালুপুত্র তেজস্বী যাদব। মুলায়ম সিং যাদবের পুত্রবধূ ডিম্পল যাদব কি স্থির করেন সমাজবাদী পার্টির ভাগ্য? না। তাঁর স্বামী অখিলেশ যাদব সর্বোচ্চ নেতা। কেউ কখনও ভেবেছে যে, বৃন্দা কারাত সিপিএমের সর্বোচ্চ সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন? না। প্রয়াত সীতারাম ইয়েচুরি নিতেন, প্রকাশ কারাতরা নিতেন। এখনও পুরুষপ্রধান কেন্দ্রীয় কমিটি অথবা পলিটব্যুরোই  নির্ণায়ক শক্তি। 
২০২৪ সালের ভারতে নতুন কোনও নারী রাজনৈতিক নেত্রীর উত্থান হচ্ছে না কেন? গান্ধী পরিবারের নতুন নেত্রী  লড়াই করে, ভাবমূর্তি নির্মাণ করে, জননেত্রী হয়ে ক্ষমতা অর্জন করেননি। তিনি তো পদবি ও পরিবারের কারণে এসেছেন এবং ক্ষমতাসীন হচ্ছেন। কিন্তু বাকি ভারতের কী হল? এই যে নারীদের কোনও দলের সর্বোচ্চ স্তরে আসতে দেওয়া হচ্ছে না, এটাই পুরুষতন্ত্র। 
পুরুষতন্ত্র আসলে চায় না যে, নারী তাদের শাসন করুক। পুরুষতন্ত্র ক্ষমতাসীন নারীকেও তাই যেনতেনপ্রকারে সর্বদাই হেনস্তা করতে চায়। তাচ্ছিল্য করতে চায়। অপমান করতে চায়। জয়ললিতা থেকে মায়াবতী। মেহবুবা মুফতি কিংবা সোনিয়া গান্ধী। এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কিংবা কমলা হ্যারিস! সকলকেই তাই চরম অপমানিত হতে হয়েছে এবং এখনও হচ্ছে। তাঁদের প্রত্যেকের ভুল ত্রুটি দোষ ব্যর্থতা অবশ্যই আছে। কিন্তু দেখা যায় প্রত্যেক ক্ষেত্রেই অপমান, অসম্মান এবং আক্রমণ করা হয় ব্যক্তিগত স্তরে। রাজনৈতিক আক্রমণ কম হয়। যেন নিরামিষ রাজনৈতিক আক্রমণ করা হলে পুরোদস্তুর তৃপ্তি পায় না পুরুষতন্ত্র। তাই প্রয়োজন হয় অপমানের। ঠাট্টা, বিদ্রুপ, ব্যঙ্গ, শ্লেষ, হাসাহাসি এবং তীব্র অসৌজন্যের তির। যে কোনও নারী প্রশাসক অথবা নেত্রী কিংবা ক্ষমতার লড়াইয়ে নামা কোনও সাহসিনীর জন্য এটাই হল পুরুষতন্ত্রের কাছে প্রাপ্য। 
চরম মূল্যবৃদ্ধি। বেকারত্ব। প্রায় অথর্ব এবং মানসিকভাবেও ভারসাম্য হারিয়ে ফেলা এক আশি পেরনো নেতাকে নিয়ে ডেমোক্র্যাট পার্টি চরম সঙ্কটে ছিল। সেই আশি পেরনো নেতা জো বাইডেন কিছুতেই আবার প্রার্থী হওয়ার সিদ্ধান্ত থেকে সরবেন না। প্রতিটি দিন শুধু তাঁর কাণ্ডকারধানা দেখেই ডেমোক্র্যাটদের ভোট কমছিল হু হু করে। অবশেষে শেষ লগ্নে জো বাইডেন প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে সরে দাঁড়াতে রাজি হলেন। কিন্তু ততদিনে বিপুল ড্যামেজ হয়ে গিয়েছে। চরম আগ্রাসী ডোনাল্ড ট্রাম্পের পকেটে প্রায় এসে গিয়েছে গরিষ্ঠতা। এমতাবস্থায় কমলা হ্যারিসকে আসরে নামায় ডেমোক্র্যাট পার্টি। গোহারা ম্যাচকে তিনি কিন্তু দাঁতে দাঁত চেপে প্রায় সমান সমান এক প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নিয়ে আসতে সক্ষম হয়েছেন একক প্রয়াসে। সুতরাং কমলা হ্যারিসের লড়াই ইতিহাস মনে না রাখুক, বিশ্বের সব লড়াকুদের যেন মনে থাকে। 
পুরুষতন্ত্রের আগ্রাসনের ভূগোল হয় না। বিশ্বজুড়ে একই চিত্র। পুরুষতন্ত্রের শুধুই নিত্যনতুন ইতিহাস হয়। 
08th  November, 2024
আমেরিকার ফলে ভারতের লাভ না ক্ষতি?
হিমাংশু সিংহ

একজনের বয়স ৭৪, অন্যজনের ৭৮। এই পূর্ণ বার্ধক্যেও দু’জনকেই তাঁদের নিজের দেশে আদ্যন্ত ‘ফ্যাসিস্ট’ বলে প্রতিনিয়ত আক্রমণ করেন বিরোধীরা। সেই ছুৎমার্গ থেকেই শিক্ষিত প্রগতিশীল বুদ্ধিজীবীরা দুই রাষ্ট্রপ্রধানের নাম শুনতে বিশেষ পছন্দ করেন না। বিশদ

এই লড়াই অপপ্রচারের সঙ্গে মানুষের বিশ্বাসের
তন্ময় মল্লিক

আর জি কর ইস্যুতে বিজেপির অবস্থা অনেকটা ‘বেল পাকলে কাকের কী!’ জাস্টিসের দাবিতে লাগাতার আন্দোলন হয়েছে, মানুষও হয়েছে আলোড়িত। কিন্তু তার সুবিধে বিরোধীরা ভোটে পাবে কি না, এই উপ নির্বাচনে হবে তার পরীক্ষা। বিশদ

09th  November, 2024
আমেরিকায় ট্রাম্পবাদের প্রত্যাবর্তন
মৃণালকান্তি দাস

ইজরায়েলি দার্শনিক ইউভাল নোয়া হারারি তাঁর ‘নেক্সাস: আ ব্রিফ হিস্ট্রি অব ইনফরমেশন নেটওয়ার্কস ফ্রম দ্য স্টোন এজ টু এআই’ বইটির ভূমিকায় লিখেছেন, ‘আমরা নিশ্চিতভাবে ধরে নিতে পারি না, যেসব সংবাদমাধ্যম বিভ্রান্তি ছড়ায়, তারা সব সময়ই ব্যর্থ হয়।’
বিশদ

07th  November, 2024
ভারতীয় ব্যবসার জন্য একটি নতুন ভাবনা
রাহুল গান্ধী

ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি ভারতকে চুপ করিয়ে দিয়েছিল। কোম্পানির ব্যবসায়িক দক্ষতা-মাহাত্ম্যে কেউ নির্বাক হয়ে যায়নি, বরং তারা ভারতবাসীর টুঁটি চেপে ধরেছিল। আমাদের দেশীয় মহারাজা ও নবাবদের সঙ্গে ব্যবস্থাক্রমে—ঘুষ এবং হুমকির মাধ্যমে এক শ্বাসরোধকারী পরিস্থিতি কায়েম করেছিল কোম্পানি। বিশদ

06th  November, 2024
ছাব্বিশের ইঙ্গিত দেবে এই উপ নির্বাচন
হারাধন চৌধুরী

বিজেপির আস্থা চমকেই। নরেন্দ্র মোদি যে অনবদ্য রাজনীতির আমদানি করেছেন, বঙ্গ বিজেপি আত্মস্থ করেছে সেটাই। জাতীয় রাজনীতিতে মোদির আবির্ভাব, উত্থান থেকে সরকার পরিচালনা এবং বিদেশ নীতি—সব মিলিয়ে এক চমকের সিরিজ উপহার পেয়েছে ভারত। বিশদ

06th  November, 2024
অথরিটি? মহারাষ্ট্র কিন্তু চাই মোদিজি
শান্তনু দত্তগুপ্ত

কপিল শর্মার সঙ্গে নীতীশ কুমারের মিল কোথায়? দু’জনেই ‘শোয়ের’ জন্য যে কোনও দিকে ঢলে পড়তে পারেন। বিশদ

05th  November, 2024
সাবধান, জোর ঝাঁকুনি অপেক্ষা করে আছে সামনে
পি চিদম্বরম

রিজার্ভ ব্যাঙ্কের মুদ্রানীতি বিষয়ক বিবৃতি যার কারণে শিরোনাম দখল করে তা হল—‘পলিসি রেপো রেট’। রেপো রেট হল সেই সুদের হার যার ভিত্তিতে কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক (আরবিআই) দেশের বাণিজ্যিক ব্যাঙ্কগুলিকে টাকা ধার দেয়। বিশদ

04th  November, 2024
মার্কিন নির্বাচনেও কারচুপি, হিন্দুত্ব কার্ড!
হিমাংশু সিংহ

দুই বিপরীত গোলার্ধের গণতন্ত্রের দেশে এ যেন এক অদ্ভুত সমাপতন! বছরের শুরুতে পৃথিবীর বৃহত্তম জনসংখ্যার দেশে টানটান উত্তেজনার নির্বাচন। মোদিজি তৃতীয়বার ক্ষমতায় ফিরলেন বটে, কিন্তু প্রচণ্ড ঝাঁকুনি দিয়ে চারশো আসনের খোয়াব থামল মাত্র ২৪০-এ। বিশদ

03rd  November, 2024
যেখানে ধান্দা নেই সেখানে বিজেপিও নেই
তন্ময় মল্লিক

অপরাধীর সংখ্যা এক না একাধিক, তা নিয়ে বিতর্ক থাকলেও অভয়ার জাস্টিস পাওয়া নিয়ে দ্বিমত আগেও ছিল না, এখনও নেই। জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলন আপাতত কমিটি গঠন ও স্বাস্থ্য ব্যবস্থার নিয়ন্ত্রক হওয়ার লড়াইয়ে সীমাবদ্ধ। বিশদ

02nd  November, 2024
সুপ্রিম কোর্ট এবং একটি আশ্চর্য অধ্যায়
সমৃদ্ধ দত্ত

১১ নভেম্বর বিচারপতি সঞ্জীব খান্না সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি পদে আসীন হবেন। ১০ নভেম্বর বর্তমান প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় অবসর নেবেন। আপাতভাবে অত্যন্ত স্বাভাবিক এবং রুটিন একটি প্রক্রিয়া। বিশদ

01st  November, 2024
শ্রীরামকৃষ্ণের কালী-দর্শন
মৃণালকান্তি দাস

‘আমার কালী-মা কোথায় গেলে গো’— শ্রীরামকৃষ্ণের দেহত্যাগের পর শিশুর মতো কেঁদে উঠেছিলেন মা সারদামণি। কালী আর রামকৃষ্ণ তাঁর কাছে যে অভিন্ন। ইষ্ট আর ভক্ত এক। সন্তানের বশীভূত জননী। মায়ের সঙ্গে কখনও মান-অভিমানের পালা। কখনও বা নিঃশেষ আত্ম-সমর্পণের শান্ত মুহূর্ত।
বিশদ

31st  October, 2024
অজ্ঞানতার আঁধার পেরিয়ে আলোর উৎসব
সন্দীপন বিশ্বাস

সভ্যতার একেবারে আদিযুগ থেকে মানুষ ক্রমেই উত্তরণের পথে এগিয়ে যেতে চেয়েছে। এই উত্তরণ আসলে অন্ধকার থেকে আলোয় উৎসারণের প্রক্রিয়া। মানুষের কাছে আলো তাই একটা শক্তি, প্রতীক। জীবনে আলোর উদ্ভাস এনে সে অন্ধকারকে বা অশুভ শক্তিকে দূর করতে সচেষ্ট হয়েছে। বিশদ

30th  October, 2024
একনজরে
শেষ বাঁশি বাজতেই ইস্ট বেঙ্গল কোচ অস্কার ব্রুজোঁর চোখেমুখে স্বস্তি। সঙ্গে সঙ্গে মাঠে দৌড়ে গিয়ে ফুটবলারদের জড়িয়ে ধরলেন তিনি। তারপর নিজেদের মধ্যে বৃত্ত তৈরি করে ...

বেলদা থানার নেকুড়সেনী স্টেশনে কয়লাবোঝাই একটি মালগাড়িতে আগুন ধরে যাওয়ায় আতঙ্ক ছড়াল। খড়্গপুর থেকে দমকলের একটি ইঞ্জিন গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। জানা গিয়েছে, শনিবার দুপুরে খড়্গপুর থেকে ওড়িশার দিকে যাওয়ার সময় বেলদা স্টেশনের কাছে রেলকর্মীরা কয়লাবোঝাই মালগাড়ির একটি বগিতে ধোঁয়া ...

জেলা তৃণমূল সভাপতি পদে বদল হতে পারে। তেমন সম্ভাবনার অআঁচ করে শক্তি বাড়াতে চেষ্টা করছে বিপ্লব মিত্রের বিরোধী গোষ্ঠী। জেলার রাজনীতিতে ‘ত্রিশক্তি’ বলে পরিচিত মৃণাল সরকার, গৌতম দাস ও অম্বরীশ সরকারকে দুর্গাপুজোর সময় থেকেই বিভিন্ন মঞ্চে একছাতার তলায় দেখা যাচ্ছে। ...

তিন মেয়ে ও দুই ছেলের মা ফের অন্তঃসত্ত্বা হয়েছিলেন। বড় মেয়ের বিয়ে হয়েছে আগেই। কিছুদিন আগে তিনিও অন্তঃসত্ত্বা হয়েছেন। এত বয়সে তিনি মা হলে সমাজ কী বলবে, তা ভেবে অবসাদে ভুগতে শুরু করেছিলেন মন্দিরবাজার থানার চাঁদপুর ধোপাহাটের বাসিন্দা কাজল কয়াল। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

উকিল ও ডাক্তারদের কর্মব্যস্ততা বাড়বে। পত্নী/পতির স্বাস্থ্য আকস্মিক ভোগাতে পারে। মানসিক অস্থিরভাব। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৪৮৩ - জার্মান সন্ন্যাসী ও পুরোহিত প্রোটেস্ট্যান্ট সংস্কার নেতা মার্টিন লুথারের জন্ম
১৪৯৩ - ক্রিস্টোফার কলম্বাস দ্বিতীয় সমুদ্রযাত্রায় অ্যান্টিগুয়া আবিষ্কার করেন
১৬৫৯ - ইষ্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি কলকাতা, সুতানুটি ও গোবিন্দপুরের কর্তৃত্ব গ্রহণ করে
১৮২২ - বাংলা ভাষায় বিজ্ঞান গ্রন্থ রচনার পথিকৃৎ উইলিয়াম কেরির পুত্র ফেলিঙ্ কেরির মৃত্যু
১৮৪৮ - ভারতের জাতীয়তাবাদী রাজনীতিবিদ রাষ্ট্রগুরু স্যার সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্ম
১৮৮৮ - ভারতের প্রথম শিক্ষামন্ত্রী মাওলানা আবুল কালাম আজাদের জন্ম
১৯০৭ -  অভিনেতা হরিধন মুখোপাধ্যায়ের জন্ম
১৯০৮ - বিপ্লবী কানাইলাল দত্তের ফাঁসি কার্যকর হয়
১৯১৮ - প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পরিসমাপ্তি
১৯৫৪ - কবি ও সাহিত্যিক জয় গোস্বামীর জন্ম
১৯৫৫ – চলচ্চিত্র ও টেলিভিশন পরিচালক রাজা সেনের জন্ম
১৯৬৭ – অভিনেতা আশুতোষ রানার জন্ম
১৯৮২ - পৃথিবীতে ১৯১০ সালের পর আবার হ্যালির ধূমকেতু দেখা গেল
১৯৯১ - আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে একুশে বছরের নির্বাসন শেষে দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেট দল আবার আন্তর্জাতিক খেলায় অংশ নেয় কলকাতার ইডেনে ভারতের বিরুদ্ধে
২০০৯ – অভিনেত্রী তথা ফ্যাশন ডিজাইনার সিম্পল কাপাডিয়ার মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.৫৩ টাকা ৮৫.২৭ টাকা
পাউন্ড ১০৭.৬২ টাকা ১১১.৪০ টাকা
ইউরো ৮৯.৩৬ টাকা ৯২.৭৬ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
09th  November, 2024
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৭,৬০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৮,০০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭৪,১৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৯১,৬০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৯১,৭০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

২৩ কার্তিক, ১৪৩১, শনিবার, ৯ নভেম্বর ২০২৪। অষ্টমী ৪২/২৩ রাত্রি ১০/৪৬। শ্রবণা নক্ষত্র ১৪/৫৮ দিবা ১১/৪৮। সূর্যোদয় ৫/৪৯/২৭, সূর্যাস্ত ৪/৫১/৩২। অমৃতযোগ প্রাতঃ ৬/৩৪ মধ্যে পুনঃ ৭/১৮ গতে ৯/৩০ মধ্যে পুনঃ ১১/৪২ গতে ২/৩৮ মধ্যে পুনঃ ৩/২২ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ১২/৩৯ গতে ২/২২ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ২/২২ গতে ৩/১৪ মধ্যে। বারবেলা ৭/১২ মধ্যে পুনঃ ১২/৪৩ গতে ২/৬ মধ্যে পুনঃ ৩/২৯ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ৬/২৯ মধ্যে পুনঃ ৪/১২ গতে উদয়াবধি। 
২৩ কার্তিক, ১৪৩১, শনিবার, ৯ নভেম্বর ২০২৪। অষ্টমী রাত্রি ৬/২২। শ্রবণা নক্ষত্র দিবা ৮/৪৪। সূর্যোদয় ৫/৫০, সূর্যাস্ত ৪/৫২। অমৃতযোগ দিবা ৬/৪৮ মধ্যে ও ৭/৩১ গতে ৯/৩৯ মধ্যে ও ১১/৪৮ গতে ২/৩৯ মধ্যে ও ৩/২১ গতে ৪/৫২ মধ্যে এবং রাত্রি ১২/৪৬ গতে ২/৩৩ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ২/৩৩ গতে ৩/২৬ মধ্যে। কালবেলা ৭/১৩ মধ্যে ও ১২/৪৪ গতে ২/৭ মধ্যে ও ৩/৩০ গতে ৪/৫২ মধ্যে। কালরাত্রি ৬/৩০ মধ্যে ও ৪/১৩ গতে ৫/৫১ মধ্যে। 
৬ জমাদিয়ল আউয়ল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
দ্বিতীয় টি২০: ভারতকে ৩ উইকেটে হারাল দঃ আফ্রিকা

11:12:00 PM

নয়ডায় ইলেকট্রিক টাওয়ারের উপর উঠে নাচ এক ব্যক্তির, চক্ষু চড়কগাছ পুলিসের
রবিবার দুপুরে নয়ডা সেক্টর ৭৬-এ তাজ্জব কাণ্ড। একটি ইলেকট্রিক টাওয়ারের ...বিশদ

10:57:46 PM

ভুয়ো বোমাতঙ্ক ছড়ানোর অভিযোগে কলকাতা বিমান বন্দর থেকে আটক ১

10:57:00 PM

দ্বিতীয় টি২০: ৭ রানে আউট আন্দিলে, দঃ আফ্রিকা ৮৬/৭ (১৫.৪ ওভার), টার্গেট - ১২৫

10:53:00 PM

দ্বিতীয় টি২০: ০ রানে আউট মিলার, দঃ আফ্রিকা ৬৬/৬ (১২.২ ওভার), টার্গেট - ১২৫

10:33:00 PM

দ্বিতীয় টি২০: ২ রানে আউট ক্লাসেন, দঃ আফ্রিকা ৬৬/৫ (১২.১ ওভার), টার্গেট - ১২৫

10:31:00 PM