উকিল ও ডাক্তারদের কর্মব্যস্ততা বাড়বে। পত্নী/পতির স্বাস্থ্য আকস্মিক ভোগাতে পারে। মানসিক অস্থিরভাব। ... বিশদ
কিছুদিন আগে বিশ্ববিদ্যালয়ে অচলাবস্থা তৈরি হয়েছিল। ঠিকাদারি সংস্থার নিয়োগ করা কিছু কর্মী বিশৃঙ্খলা তৈরি করেছিলেন বলে অভিযোগ। উপাচার্যর দাবি, এক ঠিকাদারি সংস্থার অধীনে যাঁরা কাজ করছেন, তাঁদের বায়োডাটা সংস্থার কাছে নেই। উপাচার্যের এই মন্তব্য ঘিরে ব্যাপক আলোড়ন পড়েছে কোচবিহারে। এবিষয় ওই সংস্থার কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি। এদিন যে মঞ্চে নিখিলবাবু এই ভাষণ দিয়েছেন সেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্য অধ্যাপকরাও ছিলেন। উপাচার্য নিখিলবাবু বলেন, অনেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ের অচলাবস্থার জন্য আমার দিকেই আঙুল তুলেছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে কী জটিলতা তৈরি করা হয়েছে, সেটা সবার জানা দরকার। মঞ্চেই ছিলেন তৃণমূল নেতা তথা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সাবলু বর্মন। তিনি বলেন, নিখিলবাবু হতাশায় এসব কথা বলেছেন। এই অভিযোগের কোনও ভিত্তি নেই। নিজে দায়িত্বে ছিলেন, কেন এতদিনেও এনিয়ে কোনও পদক্ষেপ নিতে পারলেন না। সাবলুবাবুর অভিযোগ, তিনি নিজের দোষ ঢাকতেই সাফাই দিচ্ছেন। বর্ষীয়ান তৃণমূল নেতা রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বলেন, একজন ভিসির এধরনের মন্তব্য কখনই সমর্থন করা যায় না। সারা বাংলা শিক্ষাবন্ধু সমিতির পক্ষে রুবেল আহমেদ বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে যদি নিয়োগে অনিয়ম হয় তার জবাব দেবেন সংশ্লিষ্ট আধিকারিকরা। এর আগে যাঁরা ভিসি ছিলেন, তাঁদের কারও সময়েই বিশ্ববিদ্যালয়ে অচলাবস্থা তৈরি হয়নি। এই ভিসির সময়েই সমস্যা তৈরি হয়েছে। আসলে তিনি বিশ্ববিদ্যালয় চালাতে পারছেন না। অস্থায়ী কর্মীরাই এতদিন পরিশ্রম করে বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম বাড়িয়েছেন।
কয়েকমাস আগে শিক্ষাকর্মীদের ধারাবাহিক আন্দোলনে বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রশাসনিক জটিলতা তৈরি হয়। অস্থায়ী উপাচার্যের সঙ্গে মতানৈক্য তৈরি হয় আধিকারিকদের। রেজিস্ট্রারকে সাসপেন্ডও করেন উপাচার্য। এই অচলাবস্থার কারণে বিপাকে পড়েছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক ও ছাত্রছাত্রীরা। দীর্ঘদিন ধরে অচলাবস্থার কারণে উপাচার্যের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছিলেন অনেকেই। শিক্ষামহলের দাবি, এদিন তারই সাফাই দিয়েছেন উপাচার্য। এদিন ওই বিজয়া সম্মিলনী মঞ্চেই ভাষণ দিতে গিয়ে উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন অধ্যাপক আনন্দগোপাল ঘোষ বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের আভ্যন্তরীণ সমস্যা মেটানোর দায় উপাচার্যেরই। সেটা করতে না পারলে এর দায় নিতে হবে।