উকিল ও ডাক্তারদের কর্মব্যস্ততা বাড়বে। পত্নী/পতির স্বাস্থ্য আকস্মিক ভোগাতে পারে। মানসিক অস্থিরভাব। ... বিশদ
শনিবার কৃষ্ণনগরে তখনও জগদ্ধাত্রীর আরাধনা শুরু হয়নি। প্রথা মেনে রবিবার ভোর থেকেই তা শুরু হয়। কিন্তু কৃষ্ণনগরের একদিনের জগদ্ধাত্রী পুজোর দিন সংখ্যা বাড়ছে বলেই মনে করছেন শহরবাসী। কারণ শুক্রবার রাতেও কৃষ্ণনগরের বিভিন্ন পুজো মণ্ডপে সাধারণ মানুষের ভিড় দেখা যায়। যদিও তখন প্রতিমা সজ্জার শেষ মুহূর্তের কাজ চলছিল জোরকদমে। তবে অধিকাংশ পুজোরই শুক্রবার উদ্বোধন হয়। শনিবার কৃষ্ণনগর শহরের রাজপথে দর্শনার্থীদের ভিড় এক লাফে কয়েকগুণ বেড়ে যায়। ঘুরতে আসা দর্শনার্থীদের অনেকেই বলেন, শনিবারের উৎসবের আমেজ দেখে বলা যায় না যে, কৃষ্ণনগরের একদিনে জগদ্ধাত্রী পুজো হয়। শনিবার আন্দুল থেকে এসেছিলেন প্রিয়াঙ্কা দাস। তিনি বলেন, ‘কর্মসূত্রেই কৃষ্ণনগর এসেছিলাম। কৃষ্ণনগরের বিখ্যাত ‘বুড়িমার কথা অনেকবার শুনেছি। একবার মাকে দর্শনের খুব ইচ্ছে ছিল। তাই সেই সুযোগ হাতছাড়া করতে চাইনি। বুড়িমাকে দেখার সৌভাগ্য হয়েছে।’ কৃষ্ণনগর স্টেশন ছেড়ে বউবাজারে রাস্তা ধরে এগলেই দেখা যায় আলোকসজ্জায় ভরে উঠেছে জনপদ। বউবাজার বারোয়ারির থিম ‘মহাসমারোহে এসো হে পরমতরে’। বিভিন্ন শিল্পের ছোঁয়ায় পুজো কমিটি তাদের থিম ফুটিয়ে তুলেছে। এছাড়াও বাঘাডাঙা বারোয়ারির আলপনা থিম নজর কেড়েছে। সকাল থেকে লোকসমাগম হলেও দুপুরে উপর ভিড় উপচে পড়ে বাঘাডাঙা বারোয়ারিতে। এছাড়াও পাত্রবাজার স্বীকৃতি, রাধানগর অন্নপূর্ণা, গোলাপট্টি বারোয়ারি, চকেরপাড়া বারোয়ারির পুজো দেখতেও বহু মানুষ আসেন। দর্শনার্থীদের ঢল নিয়ন্ত্রণ করতে শনিবার দুপুর থেকেই যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হয়। পাশাপাশি নজর কেড়েছে ঘূর্ণির বিভিন্ন পুজো কমিটির থিমও।