Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

আমেরিকায় ট্রাম্পবাদের প্রত্যাবর্তন
মৃণালকান্তি দাস

ইজরায়েলি দার্শনিক ইউভাল নোয়া হারারি তাঁর ‘নেক্সাস: আ ব্রিফ হিস্ট্রি অব ইনফরমেশন নেটওয়ার্কস ফ্রম দ্য স্টোন এজ টু এআই’ বইটির ভূমিকায় লিখেছেন, ‘আমরা নিশ্চিতভাবে ধরে নিতে পারি না, যেসব সংবাদমাধ্যম বিভ্রান্তি ছড়ায়, তারা সব সময়ই ব্যর্থ হয়।’
এই যেমন রিপাবলিকান পার্টির রাজনৈতিক শাখায় পরিণত হওয়া ‘মেক আমেরিকা গ্রেট এগেইন’ (মাগা) আন্দোলন। এই বিভ্রান্তিকর আন্দোলনের লাগাতার প্রচার চালিয়ে গিয়েছে আমেরিকার রক্ষণশীল মিডিয়াগুলি। যার প্রবক্তা ডোনাল্ড ট্রাম্প। যাঁর ক্ষমতায় ফিরে আসা মানে আমেরিকার জন্য বিপর্যয়। এটা জেনেও ভোট প্রচারের সময় প্রতিটা সমীক্ষায় ট্রাম্পের জনসমর্থন দেখিয়েছে প্রায় ৫০ শতাংশের কাছাকাছি। ভোটের ফলাফলে তা আরও ছাপিয়ে গিয়েছে। চৌত্রিশটি ফৌজদারি অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও আমেরিকানরা ট্রাম্পকে ছুড়ে ফেলে দেননি। বরং বাইডেনের যুদ্ধনীতির তীব্র বিরোধিতা করে দূরে ঠেলে দিয়েছেন ডেমোক্র্যাটদেরই। আসলে আপনি মানুন বা না মানুন, আমেরিকানদের মোহগ্রস্ত করে নিজের দিকে টানার ক্ষমতা তৈরি করে ফেলেছে ট্রাম্পের ‘মেক আমেরিকা গ্রেট এগেইন’ আন্দোলন। তাতে ‘নিউ ইয়র্ক টাইমস’-এর মতো শক্তিশালী মিডিয়াও চিড় ধরাতে পারেনি।
ভোট প্রচারে ‘নিউ ইয়র্ক টাইমস’ ডোনাল্ড ট্রাম্পের গায়ে ‘ফ্যাসিবাদী’ তকমা লাগিয়ে একের পর এক নিবন্ধ প্রকাশ করেছে। পত্রিকাটি লিখেছে, ‘ট্রাম্পের হোয়াইট হাউসে দীর্ঘতম সময় ধরে দায়িত্বে থাকা চিফ অব স্টাফ জন কেলি তাদের সাংবাদিককে জানিয়েছেন, তাঁর সাবেক বস (ট্রাম্প) মনে করেন, ‘হিটলার কিছু ভালো কাজও করেছেন। তিনি অ্যাডলফ হিটলারের মতো কয়েকজন জেনারেল চান।’ ‘নিউ ইয়র্ক টাইমস’ আরও লিখেছে, খ্যাতনামা ইতিহাসবিদ রবার্ট প্যাক্সটন একসময় ট্রাম্পের গায়ে ফ্যাসিবাদের তকমা লাগানোকে ফ্যাসিজমের অতিরঞ্জিত ব্যবহার বলে মনে করতেন। কিন্তু ‘ট্রাম্পিজম’-এর মুখোমুখি হয়ে তিনি তাঁর মত বদলে ফেলেছেন। ‘নিউ ইয়র্ক টাইমস’ এই রকম একের পর এক নিবন্ধে পাঠকদের স্মরণ করিয়ে দিয়েছে, ট্রাম্প ‘মূলত ফ্যাসিস্ট’। তিনি দৃশ্যতই আত্মসর্বস্ব এবং অন্তঃসারশূন্য একজন মানুষ। গণতন্ত্রের তোয়াক্কা করেন না। কথাবার্তা অসংলগ্ন এবং নানা বিদ্বেষে ভরপুর। তাতেও আমেরিকানদের কিছু যায় আসেনি। উল্টে ট্রাম্পের অভিবাসন নীতিকেই তাঁরা সমর্থন করেছেন। ট্রাম্প বলেই রেখেছেন, ‘প্রেসিডেন্ট ভোটে জিতলে পরের দিন থেকেই অবৈধ অভিবাসীদের বহিষ্কার শুরু করব’! আর নিউ ইয়র্ক টাইমস ও এনবিসি টিভির নাম আলাদা করে চিহ্নিত করে বলেছেন, ‘দাঁড়াও, দেখতে থাকো তোমাদের কী অবস্থা করি।’
‘দ্য লিঙ্কন’ প্রজেক্টের সহপ্রতিষ্ঠাতা রিড গ্যালেন বলছেন, আমেরিকানরা প্রায় ৫০ বছর ধরে প্রয়াত রাশ লিম্বোর (প্রভাবশালী আমেরিকান রেডিও ব্যক্তিত্ব এবং রাজনৈতিক ভাষ্যকার, যিনি আমেরিকায় ডানপন্থী চিন্তাধারা প্রচার করতেন) ঘৃণামূলক কথাবার্তা শুনেছেন। এবং প্রায় ৩০ বছর ধরে ফক্স নিউজের একঘেয়ে মুখগুলিকে মিথ্যা ছড়াতে এবং বিভেদ উস্কে দেওয়ার প্রচেষ্টা দেখতে দেখতে অভ্যস্ত হয়ে উঠেছেন। ফলে ট্রাম্পের উগ্র ও বিষাক্ত বক্তব্যে আজ আর আমেরিকান ভোটারদের মনে দাগ ফেলে না। বরং ট্রাম্পের উত্থানে প্রতিষ্ঠিত রিপাবলিকান নেতারাই ছিটকে গিয়েছেন। ট্রাম্পের নেতৃত্বে ‘কনজারভেটিভ’ আন্দোলন তাদের সর্বনিকৃষ্ট প্রবৃত্তির প্রকাশ ঘটানোর প্ল্যাটফর্ম পেয়ে গিয়েছে। রক্ষণশীল মিডিয়ায় ট্রাম্প স্থায়ী মঞ্চ পেয়ে গিয়েছেন। তিনি শুধু একটি স্লোগানের মাধ্যমে স্বপ্ন বিক্রি করে গিয়েছেন— ‘মেক আমেরিকা গ্রেট এগেইন’! কী ভাবে? বাইরে থেকে জিনিসপত্রের আমদানিতে শুল্ক বসাও, যাতে দেশের শিল্পকে বাঁচানো যায়। অভিবাসন কমাও। মেক্সিকো থেকে বেআইনি অভিবাসন রুখতে প্রাচীর তোলো। কমলা হ্যারিসের সঙ্গে মুখোমুখি বিতর্কে ট্রাম্প বলেছিলেন, ‘সাধারণ আমেরিকান কী স্বপ্ন দেখেন, তা আমি জানি। এবং সেই স্বপ্ন কীভাবে বাস্তবায়িত করতে হবে, আমি তা-ও জানি’।
২০১৫ সালে ট্রাম্প যেদিন ট্রাম্প টাওয়ারের সেই ‘স্বর্ণালি’ এসকেলেটরে নেমে এসে নিজের প্রেসিডেন্ট প্রার্থীপদের কথা ঘোষণা করেছিলেন, সেদিন থেকে কনজারভেটিভ আন্দোলন ও মিডিয়ার গতিপথে একটি মৌলিক পরিবর্তন এসেছে। ২০১৬ সালে মূলত আমেরিকার তথ্যজগৎকে কব্জা করার মাধ্যমে ট্রাম্প ক্ষমতায় এসেছিলেন। রাজনীতির ময়দানে বিতর্ক আর ট্রাম্পকে যেন সমান্তরাল রেখায় এগিয়েছে। ঘৃণাভাষণ থেকে শুরু করে বিপক্ষের রাজনীতিকদের কুরুচিকর ভাষায় আক্রমণ। প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার নাগরিকত্ব নিয়েও প্রশ্ন তুলেছিলেন তিনি। তাঁর বক্তব্য যতই অযৌক্তিক বা অদ্ভুত হোক না কেন, সেই বক্তব্যকে স্বাভাবিক বলে প্রচার করা হয়েছিল। এমনকী এসব বক্তব্যের ‘সত্যতা’র প্রশংসাও করা হয়েছিল। ট্রাম্প কনজারভেটিভ প্রচারমাধ্যমে প্রায় সীমাহীন সম্প্রচারের সময় পেয়েছিলেন। শুধু কনজারভেটিভ মিডিয়াই ট্রাম্পের দিকে জনসাধারণের দৃষ্টি স্থির রেখেছিল, তা নয়। ‘যদি হানাহানি হয়, তাহলে সেটিই প্রধান খবর’— নিউজ রিপোর্টিংয়ের এই মৌলিক নীতি অনুসরণ করে প্রথাগত মিডিয়াও ট্রাম্প ও তাঁর ‘মাগা’ আন্দোলনের জনপ্রিয়তা নিয়ে নিয়মিত খবর প্রকাশ করেছে। তৎকালীন সিবিএস টেলিভিশন চ্যানেলের চেয়ারম্যান লেস মুনভেস ২০১৬ সালে বলেছিলেন, ট্রাম্পের রাজনৈতিক কেরিয়ার ‘আমেরিকার জন্য ভালো নয়’, কিন্তু তাঁকে এয়ারটাইম দেওয়া ‘মিডিয়া কোম্পানির জন্য খুব লাভজনক’। ট্রাম্পের পক্ষে এইসব মিডিয়ার টানা প্রচার গেঁথে গিয়েছে অর্ধেক আমেরিকানদের মগজে। আর ডেমোক্র্যাটিক পার্টিও ভোটারদের থেকে দূরে সরে গিয়েছে। এমনকী বাম-ঘেঁষা শ্রমজীবী, দরিদ্র, অশ্বেতাঙ্গ সম্প্রদায়ের মধ্যেও পরিষ্কার ভাঙন ধরেছে।
প্রবীণ হোয়াইট হাউস পর্যবেক্ষক পিটার বেকার লিখেছেন, ট্রাম্পের ভাষণগুলি দিন দিন আরও অশালীন হয়ে উঠছে। ‘ট্রাম্প শুধু ২০২৪ সালেই চার অক্ষরের অশ্লীল শব্দ জনসমক্ষে উচ্চারণ করেছেন অন্তত ১ হাজার ৭৮৭ বার।’ তাঁর বিশ্লেষণ অনুসারে, ট্রাম্প ২০১৬ সালের চেয়ে ৬৯ শতাংশ বেশি এই ভাষা ব্যবহার করছেন। তিনি কমলা হ্যারিসকে ‘নোংরা ভাইস প্রেসিডেন্ট’ বলতেও ছাড়েননি। এই বিষয়ে সন্দেহ নেই যে, তিনি যা যা বলেছেন, তার অর্থ কী, তা তিনি ভালোভাবেই জানেন। আসলে ট্রাম্প জেনে গিয়েছেন, আমেরিকান সমাজ কোন ভাষায় কথা বোঝে!
দ্বিতীয় যাত্রার ট্রাম্পের প্রশাসনের জন্য একটি দীর্ঘ ও বিস্তারিত ‘প্লে বুক’ বা নীলনকশা তৈরি করেছে রক্ষণশীল হেরিটেজ ফাউন্ডেশন। এর নাম ‘প্রজেক্ট ২০২৫’। যার মূল কথা, ট্রাম্প কড়া শুল্ক চাপিয়ে আমদানি-রফতানির বারোটা বাজাবেন, বিদেশিদের দেশছাড়া করবেন, আমেরিকাকে করে তুলবেন অন্তর্মুখী। ট্রাম্প মনে করেন, পরিবেশের ক্রমবর্ধমান উষ্ণতার তত্ত্ব একটা ভাঁওতা। ট্রাম্প চান, আমেরিকা জ্ঞাননির্ভর অর্থনীতির ভেক ছেড়ে ফিরে যাক উৎপাদন নির্ভর অর্থনীতিতে। সেখানে ডিগ্রিধারীদের সিলিকন ভ্যালি নয়, মধ্য পশ্চিমের ধসে-পড়া শিল্পাঞ্চল আবার রমরম করে উঠুক। একসময় পেনসিলভেনিয়া, নিউ ইয়র্ক প্রদেশের আপস্টেট নিউ ইয়র্ক অঞ্চল, ওহায়ো, ওয়েস্ট ভার্জিনিয়া, ইন্ডিয়ানা, মিশিগান অঞ্চলগুলির চালিকাশক্তি ছিল ইস্পাত আর গাড়ি তৈরির শিল্প। সেই জন্যই এই প্রদেশগুলির নামকরণ হয়েছিল ইস্পাত-বেল্ট। গত শতকের আশির দশকের গোড়ায় অর্থনৈতিক মন্দা শুরু হলে আমেরিকার ইস্পাত শিল্প বড় ধাক্কা খায়। অনেক ইস্পাত সংস্থা নিজেদের দেউলিয়া ঘোষণা করে। ইস্পাতের এই পতন মূলত জাপান থেকে সস্তায় ইস্পাত আমদানির কারণে। জাপানে শ্রমের খরচ আমেরিকা থেকে কম। ইস্পাত-বেল্ট হয়ে ওঠে মরচে-বেল্ট। প্রচুর মানুষ চাকরি হারান। যাঁরা কর্মচ্যুত হন, তাঁরা মূলত শ্রমিক শ্রেণি। নব্বইয়ের দশকে তথ্যপ্রযুক্তি বিপ্লবের হাত ধরে আমেরিকা ফের ঘুরে দাঁড়ালেও অবস্থা বদলায়নি ইস্পাত-বেল্টের মানুষের। অধিকাংশ মানুষ তাঁদের কর্মহীনতার জন্য অভিবাসীদের দোষ দেন। ডোনাল্ড ট্রাম্প এই মানুষদের কাছেই ‘গড’। বিদেশিদের শায়েস্তা করলেই সব ঠিক হয়ে যাবে— এমন আকাশকুসুম ধারণা ট্রাম্প সমর্থকদের মনে বদ্ধমূল। একইসঙ্গে ট্রাম্পের সমর্থনের পিছনে রয়েছে অশিক্ষা, বর্ণবিদ্বেষ, জাত্যভিমান, পুরুষতান্ত্রিক মনোভাবও।
ট্রাম্প জানিয়েছেন, ক্ষমতায় এসে তিনি প্রথম শিক্ষা দপ্তর বাতিল করবেন। আমেরিকার দক্ষিণপন্থী ও খ্রিস্টবাদীরা দীর্ঘদিন ধরেই অভিযোগ করে আসছেন, এ দেশে ক্লাসরুমে যা শিক্ষা দেওয়া হয় বা যা পড়ানো হয়, তা দেশের মূল্যবোধবিরোধী। আসলে তারা মূল্যবোধ বলতে খ্রিস্টধর্মের কথাই বুঝিয়ে থাকে। এদের চাপের মুখে হাজার হাজার বই নিষিদ্ধ করা হয়েছে, পাবলিক লাইব্রেরি থেকে সেসব বই ছুড়ে ফেলে দেওয়া হয়েছে। ট্রাম্প হোয়াইট হাউসে আসা মানে এই খ্রিস্টবাদীদের পোয়াবারো।
ভাবুন একবার, ২০২০ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফলকে ‘ভুয়ো’ বলে দাবি করেছিলেন ট্রাম্প। একের পর এক মামলাও ঠুকেছিলেন। ট্রাম্পের এই অনমনীয় মনোভাবের পরেই ২০২১ সালের ৬ জানুয়ারি ক্যাপিটল হিলে অবস্থিত আমেরিকার আইনসভায় হামলা চালান হাজার হাজার উগ্র ট্রাম্প সমর্থক। তার জন্য কোনও অনুশোচনা নয়, উল্টে ভোটপ্রচারে বলেছেন, ২০২০ সালে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হারলেও তাঁর সেদিন হাউস ছাড়া উচিত হয়নি! এহেন ট্রাম্পই ফের মার্কিন মসনদে। এই দুনিয়ায় সবচেয়ে বেশি গণতন্ত্রের বুলি আওড়ানো দেশের নাগরিকরাই তাঁকে ফিরিয়ে এনেছেন রাজার বেশে!
বিখ্যাত ঐতিহাসিক টিমোথি স্নাইডার মনে করিয়ে দিয়েছেন, একধাক্কায় গণতন্ত্রের মৃত্যু হয় না। এর জন্য প্রয়োজন হাজারো ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র আঘাত ও রক্তক্ষরণ। ভয়ের কথা, ট্রাম্প জমানার আরও চার বছরে এই প্রতিটি আঘাত আরও গভীর হবে।
07th  November, 2024
আমেরিকার ফলে ভারতের লাভ না ক্ষতি?
হিমাংশু সিংহ

একজনের বয়স ৭৪, অন্যজনের ৭৮। এই পূর্ণ বার্ধক্যেও দু’জনকেই তাঁদের নিজের দেশে আদ্যন্ত ‘ফ্যাসিস্ট’ বলে প্রতিনিয়ত আক্রমণ করেন বিরোধীরা। সেই ছুৎমার্গ থেকেই শিক্ষিত প্রগতিশীল বুদ্ধিজীবীরা দুই রাষ্ট্রপ্রধানের নাম শুনতে বিশেষ পছন্দ করেন না। বিশদ

এই লড়াই অপপ্রচারের সঙ্গে মানুষের বিশ্বাসের
তন্ময় মল্লিক

আর জি কর ইস্যুতে বিজেপির অবস্থা অনেকটা ‘বেল পাকলে কাকের কী!’ জাস্টিসের দাবিতে লাগাতার আন্দোলন হয়েছে, মানুষও হয়েছে আলোড়িত। কিন্তু তার সুবিধে বিরোধীরা ভোটে পাবে কি না, এই উপ নির্বাচনে হবে তার পরীক্ষা। বিশদ

09th  November, 2024
পুরুষতন্ত্র নারী ক্ষমতায়নের বিরোধী
সমৃদ্ধ দত্ত

এই যে কয়েকশ বছর ধরে কোনও নারীকে বিশ্বের সবথেকে সম্পদশালী দেশ আমেরিকায় কিছুতেই রাষ্ট্রপ্রধান করা হল না, শুধু এটাই কি পুরুষতন্ত্রের উদাহরণ? অবশ্যই এর মধ্যে যতটা রাজনীতি আছে, ততটাই পুরুষতন্ত্রের আগ্রাসন আছে। বিশদ

08th  November, 2024
ভারতীয় ব্যবসার জন্য একটি নতুন ভাবনা
রাহুল গান্ধী

ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি ভারতকে চুপ করিয়ে দিয়েছিল। কোম্পানির ব্যবসায়িক দক্ষতা-মাহাত্ম্যে কেউ নির্বাক হয়ে যায়নি, বরং তারা ভারতবাসীর টুঁটি চেপে ধরেছিল। আমাদের দেশীয় মহারাজা ও নবাবদের সঙ্গে ব্যবস্থাক্রমে—ঘুষ এবং হুমকির মাধ্যমে এক শ্বাসরোধকারী পরিস্থিতি কায়েম করেছিল কোম্পানি। বিশদ

06th  November, 2024
ছাব্বিশের ইঙ্গিত দেবে এই উপ নির্বাচন
হারাধন চৌধুরী

বিজেপির আস্থা চমকেই। নরেন্দ্র মোদি যে অনবদ্য রাজনীতির আমদানি করেছেন, বঙ্গ বিজেপি আত্মস্থ করেছে সেটাই। জাতীয় রাজনীতিতে মোদির আবির্ভাব, উত্থান থেকে সরকার পরিচালনা এবং বিদেশ নীতি—সব মিলিয়ে এক চমকের সিরিজ উপহার পেয়েছে ভারত। বিশদ

06th  November, 2024
অথরিটি? মহারাষ্ট্র কিন্তু চাই মোদিজি
শান্তনু দত্তগুপ্ত

কপিল শর্মার সঙ্গে নীতীশ কুমারের মিল কোথায়? দু’জনেই ‘শোয়ের’ জন্য যে কোনও দিকে ঢলে পড়তে পারেন। বিশদ

05th  November, 2024
সাবধান, জোর ঝাঁকুনি অপেক্ষা করে আছে সামনে
পি চিদম্বরম

রিজার্ভ ব্যাঙ্কের মুদ্রানীতি বিষয়ক বিবৃতি যার কারণে শিরোনাম দখল করে তা হল—‘পলিসি রেপো রেট’। রেপো রেট হল সেই সুদের হার যার ভিত্তিতে কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক (আরবিআই) দেশের বাণিজ্যিক ব্যাঙ্কগুলিকে টাকা ধার দেয়। বিশদ

04th  November, 2024
মার্কিন নির্বাচনেও কারচুপি, হিন্দুত্ব কার্ড!
হিমাংশু সিংহ

দুই বিপরীত গোলার্ধের গণতন্ত্রের দেশে এ যেন এক অদ্ভুত সমাপতন! বছরের শুরুতে পৃথিবীর বৃহত্তম জনসংখ্যার দেশে টানটান উত্তেজনার নির্বাচন। মোদিজি তৃতীয়বার ক্ষমতায় ফিরলেন বটে, কিন্তু প্রচণ্ড ঝাঁকুনি দিয়ে চারশো আসনের খোয়াব থামল মাত্র ২৪০-এ। বিশদ

03rd  November, 2024
যেখানে ধান্দা নেই সেখানে বিজেপিও নেই
তন্ময় মল্লিক

অপরাধীর সংখ্যা এক না একাধিক, তা নিয়ে বিতর্ক থাকলেও অভয়ার জাস্টিস পাওয়া নিয়ে দ্বিমত আগেও ছিল না, এখনও নেই। জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলন আপাতত কমিটি গঠন ও স্বাস্থ্য ব্যবস্থার নিয়ন্ত্রক হওয়ার লড়াইয়ে সীমাবদ্ধ। বিশদ

02nd  November, 2024
সুপ্রিম কোর্ট এবং একটি আশ্চর্য অধ্যায়
সমৃদ্ধ দত্ত

১১ নভেম্বর বিচারপতি সঞ্জীব খান্না সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি পদে আসীন হবেন। ১০ নভেম্বর বর্তমান প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় অবসর নেবেন। আপাতভাবে অত্যন্ত স্বাভাবিক এবং রুটিন একটি প্রক্রিয়া। বিশদ

01st  November, 2024
শ্রীরামকৃষ্ণের কালী-দর্শন
মৃণালকান্তি দাস

‘আমার কালী-মা কোথায় গেলে গো’— শ্রীরামকৃষ্ণের দেহত্যাগের পর শিশুর মতো কেঁদে উঠেছিলেন মা সারদামণি। কালী আর রামকৃষ্ণ তাঁর কাছে যে অভিন্ন। ইষ্ট আর ভক্ত এক। সন্তানের বশীভূত জননী। মায়ের সঙ্গে কখনও মান-অভিমানের পালা। কখনও বা নিঃশেষ আত্ম-সমর্পণের শান্ত মুহূর্ত।
বিশদ

31st  October, 2024
অজ্ঞানতার আঁধার পেরিয়ে আলোর উৎসব
সন্দীপন বিশ্বাস

সভ্যতার একেবারে আদিযুগ থেকে মানুষ ক্রমেই উত্তরণের পথে এগিয়ে যেতে চেয়েছে। এই উত্তরণ আসলে অন্ধকার থেকে আলোয় উৎসারণের প্রক্রিয়া। মানুষের কাছে আলো তাই একটা শক্তি, প্রতীক। জীবনে আলোর উদ্ভাস এনে সে অন্ধকারকে বা অশুভ শক্তিকে দূর করতে সচেষ্ট হয়েছে। বিশদ

30th  October, 2024
একনজরে
শেষ বাঁশি বাজতেই ইস্ট বেঙ্গল কোচ অস্কার ব্রুজোঁর চোখেমুখে স্বস্তি। সঙ্গে সঙ্গে মাঠে দৌড়ে গিয়ে ফুটবলারদের জড়িয়ে ধরলেন তিনি। তারপর নিজেদের মধ্যে বৃত্ত তৈরি করে ...

তিন মেয়ে ও দুই ছেলের মা ফের অন্তঃসত্ত্বা হয়েছিলেন। বড় মেয়ের বিয়ে হয়েছে আগেই। কিছুদিন আগে তিনিও অন্তঃসত্ত্বা হয়েছেন। এত বয়সে তিনি মা হলে সমাজ কী বলবে, তা ভেবে অবসাদে ভুগতে শুরু করেছিলেন মন্দিরবাজার থানার চাঁদপুর ধোপাহাটের বাসিন্দা কাজল কয়াল। ...

বেলদা থানার নেকুড়সেনী স্টেশনে কয়লাবোঝাই একটি মালগাড়িতে আগুন ধরে যাওয়ায় আতঙ্ক ছড়াল। খড়্গপুর থেকে দমকলের একটি ইঞ্জিন গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। জানা গিয়েছে, শনিবার দুপুরে খড়্গপুর থেকে ওড়িশার দিকে যাওয়ার সময় বেলদা স্টেশনের কাছে রেলকর্মীরা কয়লাবোঝাই মালগাড়ির একটি বগিতে ধোঁয়া ...

ফের ভয়াবহ সন্ত্রাসবাদী হামলায় রক্তাক্ত পাকিস্তানের বালুচিস্তান প্রদেশ। শনিবারের সকালে জোরালো আত্মঘাতী বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে প্রাদেশিক রাজধানী কোয়েটার রেল স্টেশন চত্বর। ঘটনায় কমপক্ষে ২৭ জনের ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

উকিল ও ডাক্তারদের কর্মব্যস্ততা বাড়বে। পত্নী/পতির স্বাস্থ্য আকস্মিক ভোগাতে পারে। মানসিক অস্থিরভাব। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৪৮৩ - জার্মান সন্ন্যাসী ও পুরোহিত প্রোটেস্ট্যান্ট সংস্কার নেতা মার্টিন লুথারের জন্ম
১৪৯৩ - ক্রিস্টোফার কলম্বাস দ্বিতীয় সমুদ্রযাত্রায় অ্যান্টিগুয়া আবিষ্কার করেন
১৬৫৯ - ইষ্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি কলকাতা, সুতানুটি ও গোবিন্দপুরের কর্তৃত্ব গ্রহণ করে
১৮২২ - বাংলা ভাষায় বিজ্ঞান গ্রন্থ রচনার পথিকৃৎ উইলিয়াম কেরির পুত্র ফেলিঙ্ কেরির মৃত্যু
১৮৪৮ - ভারতের জাতীয়তাবাদী রাজনীতিবিদ রাষ্ট্রগুরু স্যার সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্ম
১৮৮৮ - ভারতের প্রথম শিক্ষামন্ত্রী মাওলানা আবুল কালাম আজাদের জন্ম
১৯০৭ -  অভিনেতা হরিধন মুখোপাধ্যায়ের জন্ম
১৯০৮ - বিপ্লবী কানাইলাল দত্তের ফাঁসি কার্যকর হয়
১৯১৮ - প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পরিসমাপ্তি
১৯৫৪ - কবি ও সাহিত্যিক জয় গোস্বামীর জন্ম
১৯৫৫ – চলচ্চিত্র ও টেলিভিশন পরিচালক রাজা সেনের জন্ম
১৯৬৭ – অভিনেতা আশুতোষ রানার জন্ম
১৯৮২ - পৃথিবীতে ১৯১০ সালের পর আবার হ্যালির ধূমকেতু দেখা গেল
১৯৯১ - আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে একুশে বছরের নির্বাসন শেষে দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেট দল আবার আন্তর্জাতিক খেলায় অংশ নেয় কলকাতার ইডেনে ভারতের বিরুদ্ধে
২০০৯ – অভিনেত্রী তথা ফ্যাশন ডিজাইনার সিম্পল কাপাডিয়ার মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.৫৩ টাকা ৮৫.২৭ টাকা
পাউন্ড ১০৭.৬২ টাকা ১১১.৪০ টাকা
ইউরো ৮৯.৩৬ টাকা ৯২.৭৬ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
09th  November, 2024
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৭,৬০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৮,০০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭৪,১৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৯১,৬০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৯১,৭০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

২৩ কার্তিক, ১৪৩১, শনিবার, ৯ নভেম্বর ২০২৪। অষ্টমী ৪২/২৩ রাত্রি ১০/৪৬। শ্রবণা নক্ষত্র ১৪/৫৮ দিবা ১১/৪৮। সূর্যোদয় ৫/৪৯/২৭, সূর্যাস্ত ৪/৫১/৩২। অমৃতযোগ প্রাতঃ ৬/৩৪ মধ্যে পুনঃ ৭/১৮ গতে ৯/৩০ মধ্যে পুনঃ ১১/৪২ গতে ২/৩৮ মধ্যে পুনঃ ৩/২২ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ১২/৩৯ গতে ২/২২ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ২/২২ গতে ৩/১৪ মধ্যে। বারবেলা ৭/১২ মধ্যে পুনঃ ১২/৪৩ গতে ২/৬ মধ্যে পুনঃ ৩/২৯ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ৬/২৯ মধ্যে পুনঃ ৪/১২ গতে উদয়াবধি। 
২৩ কার্তিক, ১৪৩১, শনিবার, ৯ নভেম্বর ২০২৪। অষ্টমী রাত্রি ৬/২২। শ্রবণা নক্ষত্র দিবা ৮/৪৪। সূর্যোদয় ৫/৫০, সূর্যাস্ত ৪/৫২। অমৃতযোগ দিবা ৬/৪৮ মধ্যে ও ৭/৩১ গতে ৯/৩৯ মধ্যে ও ১১/৪৮ গতে ২/৩৯ মধ্যে ও ৩/২১ গতে ৪/৫২ মধ্যে এবং রাত্রি ১২/৪৬ গতে ২/৩৩ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ২/৩৩ গতে ৩/২৬ মধ্যে। কালবেলা ৭/১৩ মধ্যে ও ১২/৪৪ গতে ২/৭ মধ্যে ও ৩/৩০ গতে ৪/৫২ মধ্যে। কালরাত্রি ৬/৩০ মধ্যে ও ৪/১৩ গতে ৫/৫১ মধ্যে। 
৬ জমাদিয়ল আউয়ল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
দ্বিতীয় টি২০: ভারতকে ৩ উইকেটে হারাল দঃ আফ্রিকা

11:12:00 PM

নয়ডায় ইলেকট্রিক টাওয়ারের উপর উঠে নাচ এক ব্যক্তির, চক্ষু চড়কগাছ পুলিসের
রবিবার দুপুরে নয়ডা সেক্টর ৭৬-এ তাজ্জব কাণ্ড। একটি ইলেকট্রিক টাওয়ারের ...বিশদ

10:57:46 PM

ভুয়ো বোমাতঙ্ক ছড়ানোর অভিযোগে কলকাতা বিমান বন্দর থেকে আটক ১

10:57:00 PM

দ্বিতীয় টি২০: ৭ রানে আউট আন্দিলে, দঃ আফ্রিকা ৮৬/৭ (১৫.৪ ওভার), টার্গেট - ১২৫

10:53:00 PM

দ্বিতীয় টি২০: ০ রানে আউট মিলার, দঃ আফ্রিকা ৬৬/৬ (১২.২ ওভার), টার্গেট - ১২৫

10:33:00 PM

দ্বিতীয় টি২০: ২ রানে আউট ক্লাসেন, দঃ আফ্রিকা ৬৬/৫ (১২.১ ওভার), টার্গেট - ১২৫

10:31:00 PM