Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

শ্রীরামকৃষ্ণের কালী-দর্শন
মৃণালকান্তি দাস

‘আমার কালী-মা কোথায় গেলে গো’— শ্রীরামকৃষ্ণের দেহত্যাগের পর শিশুর মতো কেঁদে উঠেছিলেন মা সারদামণি। কালী আর রামকৃষ্ণ তাঁর কাছে যে অভিন্ন। ইষ্ট আর ভক্ত এক। সন্তানের বশীভূত জননী। মায়ের সঙ্গে কখনও মান-অভিমানের পালা। কখনও বা নিঃশেষ আত্ম-সমর্পণের শান্ত মুহূর্ত। কখনও রাগ। কখনও কান্না। কখনও জবরদস্তি। কখনও দীনতা। কখনও অহঙ্কার। ভক্তির কাছে জননীর বশ্যতা স্বীকার। সন্তানকে চোখে-চোখে রাখা, ঘিরে থাকা। ভক্তের আবদার রাখতে গিয়ে ভবতারিণীর নানা খেলা!
তরুণ পুরোহিত প্রথম যেদিন দক্ষিণেশ্বরের মন্দির বিগ্রহের মুখোমুখি দাঁড়িয়েছিলেন, সেদিনও কিন্তু তিনি সাধক ছিলেন না। তাঁর উপাস্য দেবী দুর্জ্ঞেয়া ভয়ঙ্করী, না কি আলোকময়ী হিতৈষিণী— এসব তাত্ত্বিক ভাবনা সেদিন তাঁর মনে জাগেনি। কালীবিগ্রহ দেখে সেদিন গদাধর অন্তত লালিত নিরবয়ব ঈশ্বরের এক মানবী রূপ খুঁজে পেয়েছিলেন। হৃদয়ের গভীর বিশ্বাস নিয়ে বিগ্রহকে ‘মা’ বলে ডেকেছিলেন গদাধর চট্টোপাধ্যায়। জগজ্জন যাঁকে অনতিকালে চিনবে শ্রীরামকৃষ্ণ হিসেবে। তাঁর তপস্যার মধ্য দিয়েই বাঙালির কালীসাধনার অভিনব বেদ রচিত হয়েছিল।
দেবীপুজোয় গদাধরের কোনও পরিমিতিবোধ ছিল না। বড় বিচিত্র তাঁর পুজো। দেবীকে প্রসন্না করতে কখনও গান গেয়ে উঠেছেন। কখনও হৃদয়ের ব্যাকুলতায় মা-কে বলছেন, ‘মা তুই রামপ্রসাদকে দেখা দিয়েছিস, আমায় কেন তবে দেখা দিবি না? আমি ধন, জন, সুখভোগ কিছুই চাই না, আমায় দেখা দে মা’। প্রার্থনা করতে করতে চোখের জলে বুক ভেসে যেত। মুখ লাল হয়ে উঠত। পুজোয় বসে ভক্তির প্রাবল্যে তিনি যে কী করবেন কেউ জানে না। তিনিও নন। ফুল-বেলপাতার অর্ঘ নিজের পায়ে ঠেকিয়ে দেবীকে নিবেদন করেছেন। পুজোসন ছেড়ে মা-র কাছে গিয়ে তাঁর চিবুক ধরে আদর করেছেন। পরিহাস করেছেন। হাত ধরে নেচেছেন। পুজো না করে ভোগ নিবেদন করে দিয়েছেন কিংবা নিবেদিত ভোগ নিজের হাতে দেবীকে খাওয়াতে ব্যস্ত হয়েছেন অথবা নৈবেদ্যর খানিকটা নিজেই খেয়ে উচ্ছিষ্টটা দেবীকে খেতে অনুনয় করেছেন। আবার মাতৃ আদেশ ভেবে মা-র খাটে খানিকক্ষণ শুয়ে থেকেছেন। দিনের পর দিন মায়ের আহার-বিহারে, শয়ন-উত্থানে মায়ের সঙ্গে থাকতে থাকতে শ্রীরামকৃষ্ণ তাঁর সত্তার রন্ধ্রে রন্ধ্রে জগন্মাতার অস্তিত্ব অনুভব করছিলেন। জননীও নিজের দেহগন্ধে, নিঃশ্বাসবায়ুর উষ্ণতায়, কণ্ঠস্বরের অনুরণনে, স্মিত হাসির মাধুর্যে, নূপুরের রিনঝিন শব্দে শ্রীরামকৃষ্ণকে আবিষ্ট, সন্মোহিত করে ফেলেছিলেন। মায়ের মুখ তখনও তিনি দেখতে পাননি ঠিকই, কিন্তু তাঁর উপস্থিতির সমস্ত লক্ষণ তিনি ইন্দ্রিয় দিয়ে অনুভব করছিলেন। ফলে তাঁর হৃদয়ে মাতৃদর্শনের আকাঙ্ক্ষা আরও তীব্রতর হয়ে উঠেছিল।
তন্ত্র সাধনা, বৈদান্তিক সাধনার সব রকম সাধনার জন্য তিনি ব্যাকুল হয়ে উঠেছিলেন। নানা ভাবে নানা পদ্ধতিতে ঈশ্বরের স্বরূপ দশর্নই হয়ে উঠেছিল তাঁর জীবনের লক্ষ্য। শুধু হিন্দুধর্ম নয়, খ্রিস্টধর্ম, ইসলাম ধর্ম সব পথেই তিনি ঈশ্বর উপলব্ধির জন্য সাধনা করেছিলেন। ব্রাহ্মসমাজের অগ্রণী পুরুষ কেশবচন্দ্র সেন বলেছিলেন, ‘তিনি ধর্মসাধনের জন্য যত ক্লেশ পেয়েছেন আর কোনও সাধক এত ক্লেশ সহ্য করেননি।’ দেবী ভবতারিণীর পাষাণপ্রতিমাকে ‘মা মা’ বলে আপন খেয়ালে তিনি কথা বলতেন। কখনও তাঁর ‘ভাব-সমাধি’ হতো। রামকৃষ্ণের সেই ভাবসমাধি মুহূর্তে মনে করা হতো তিনি স্বয়ং মা-কে প্রত্যক্ষ করছেন। ‘শ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত’ গ্রন্থে শ্রীম জানিয়েছেন, ঠাকুর বলতেন, ‘এমনি মহামায়ার মায়া/ রেখেছ কী কুহক করে/ ব্রহ্মা বিষ্ণু অচৈতন্য/ জীবে কি তা জানতে পারে।’ তাঁর লক্ষ্য: ধর্মসাধনার গভীরে ডুব দিয়ে তুলে আনবেন অনুভবজনিত মণিমাণিক্য। সেদিকে দৃষ্টি দিয়েই রোমা রল্যাঁর অভিব্যক্তি: ‘শ্রীরামকৃষ্ণ ছিলেন ভারতবর্ষের দু’হাজার বছরের সাধনার ঘনীভূত রূপ।’
শ্রীরামকৃষ্ণ যখনই বাহ্যসংজ্ঞা হারাতেন, অনুভব করতেন, মা-র অভয়মূর্তি সামনে এসে তাঁকে আশ্বাস দিচ্ছেন, সান্ত্বনা দিচ্ছেন। শ্রীরামকৃষ্ণের মনে হয়েছিল, মা তাঁর উপর ভর করেছেন। ধ্যানে এখন শুধু মা-র অনিন্দ্যসুন্দর হাত-পা-মুখ নয়, পরিপূর্ণ বরাভয়করা চিন্ময়ীমূর্তির নিত্য আবির্ভাব। শুধু চোখ বন্ধ করে কেন, চোখ খুললেও তিনি আছেন। সকালে ফুল তোলা থেকে রাতে শয়ন দেওয়া পর্যন্ত শ্রীরামকৃষ্ণের সব কাজেই কালী তাঁর সঙ্গে সঙ্গে ফেরেন। মন্দিরের পাষাণমূর্তিতে এখন শুধু তাঁর আবির্ভাব নয়, এখন তিনি চিন্ময়ীরূপে স্বয়ং মন্দিরে বিরাজ করেন। কালীর নিত্য সান্নিধ্যের তীব্র আকাঙ্ক্ষায় দিনে মন্দিরে এবং রাতে পঞ্চবটীতে আরও আকুল হয়ে প্রার্থনা করতেন। কেঁদে কেঁদে মা-কে ডাকতেন, ভালোবাসা প্রকাশ করতেন, কখনও-বা ধৈর্য হারিয়ে মুখ করতেন মাকেই। এমনই একদিন রামকৃষ্ণের দুই চোখ অশ্রুধারায় সিক্ত, পুঞ্জীভূত যন্ত্রণা সহনশক্তির প্রান্তসীমায় পৌঁছলো— শুধু বিস্ফোরণের অপেক্ষা। হঠাৎ তিনি প্রত্যক্ষ করলেন এক অনির্বচনীয় আলোর উদ্ভাস। শ্রীরামকৃষ্ণ দেখলেন, ‘ঘর, দ্বার, মন্দির সব যেন কোথায় লুপ্ত হইল—কোথাও যেন আর কিছুই নাই! আর দেখিতেছি কি, এক অসীম অনন্ত চেতন জ্যোতিঃসমুদ্র! —যেদিকে যতদূর দেখি, চারিদিক হইতে তার উজ্জ্বল ঊর্মিমালা তর্জন-গর্জন করিয়া গ্রাস করিবার জন্য মহাবেগে অগ্রসর হইতেছে! দেখিতে দেখিতে উহারা আমার উপর নিপতিত হইল এবং আমাকে এককালে কোথায় তলাইয়া দিল! হাঁপাইয়া হাবুডুবু খাইয়া সংজ্ঞাশূন্য হইয়া পড়িয়া গেলাম!... অন্তরে কিন্তু একটা অননুভূত জমাট-বাঁধা আনন্দের স্রোত প্রবাহিত ছিল এবং মার সাক্ষাৎ প্রকাশ উপলব্ধি করিয়াছিলাম!’ 
কালীঘরে মা দেখিয়ে দিলেন— সব চিন্ময়। প্রতিমা, বেদি, কোশাকুশি, চৌকাট, মার্বেল পাথর, মানুষ, জীবজন্তু— সব চিন্ময়। শ্রীরামকৃষ্ণ নিজের মধ্যেও কালীর দুর্বার উপস্থিতি অনুভব করলেন। তিনিই হয়ে উঠলেন কালী। উপলব্ধি হল সকল ধর্মের উদ্দেশ্য এক ঈশ্বরপ্রাপ্তি। তাই সকল ধর্মই সমান ভাবে সত্য। শ্রীরামকৃষ্ণের কাছে ধর্ম কখনওই আচারসর্বস্ব ছিল না। প্রচলিত গড়পড়তা ধর্মাচার্যদের সঙ্গে এখানেই তাঁর প্রভেদ। পরম ঔদার্যে তিনি ভেঙে দিয়েছিলেন ধর্মে ধর্মে বিভেদের খড়ির গণ্ডি। সকল সংকীর্ণতার ঊর্ধ্বে উঠে তাই তিনিই বলতে পেরেছিলেন ‘যত মত তত পথ’। বারাঙ্গনার মধ্যে তিনি সীতাকে খুঁজে পেয়েছিলেন। ত্রিভঙ্গ হয়ে দাঁড়ানো এক ইংরেজ যুবকের মধ্যে কৃষ্ণকে প্রত্যক্ষ করেছিলেন। ঠাকুর অনুভব করেছিলেন, অগণিত ভক্ত তাঁর কাছে আসছে। এঁদের একদল গৃহী, অন্যদল ত্যাগব্রতে দীক্ষিত সন্ন্যাসী। এঁদের দেখার জন্য ব্যাকুল ঠাকুর কেঁদে কেঁদে ডাক ছেড়ে বলেছিলেন, ‘তোরা সব কে কোথায় আছিস আয়রে...।’
শ্রীরামকৃষ্ণের ছিল তিনটি মূল অস্ত্র। অকপট সত্যানুরাগ, নিপীড়িত মানুষের প্রতি অকৃপণ প্রেম এবং যুক্তিবাদে আস্থা। আচারের চোরাবালিতে যে ধর্মের সমাধি ঘটতে চলেছিল, সত্য ও প্রেমের প্রাণোচ্ছল স্রোতোধারায় তাকে ফিরিয়ে এনেছিলেন শ্রীরামকৃষ্ণই। ভক্তদের মধ্যে ঠাকুর অকাতরে বিলিয়ে দিলেন প্রেম, ভক্তি আর মনুষ্যত্ববোধ। তিনি অবতার শ্রেষ্ঠ, শ্রেষ্ঠ অবতার। নিজেই ভক্তদের বলেছেন তাঁকে যাচাই করে নিতে। বলেছেন, ‘সাধুকে দিনে দেখবি, রাতে দেখবি, তারপরে বিশ্বাস করবি।’ শ্রীরামকৃষ্ণকে উদ্দেশ্য করেই স্বামীজি শ্লোক লিখলেন— “ওঁ স্থাপকায় চ ধর্মস্য সর্বধর্মস্বরূপিণে/ অবতারবরিষ্ঠায় রামকৃষ্ণায় তে নমঃ।’’ সব ধর্ম, সব মত, সব পথই সত্য— কোনওটিই ছোট বা তুচ্ছ নয়, কোনওটি বড়ও নয়। সব ধর্মের প্রধান কথা প্রেম-মৈত্রী-ভ্রাতৃত্ব-সৌহার্দ্য এবং শান্তি। কূপমণ্ডূকতা বা মৌলবাদের সংকীর্ণতা বহু যোজন দূরে সরিয়ে সর্বধর্মসমন্বয়ের জয়ধ্বজা উড়িয়ে সেদিন শ্রীরামকৃষ্ণ উচ্চারণ করলেন ভারতীয় ঐতিহ্যের চিরায়ত, সহজ অথচ সুন্দর, সরল অথচ সুউচ্চ-উদার বাণী। বহুমুখী প্রাণবন্ত সেই কথাটির সার: গ্রহণ, সহন এবং সম্মিলন।
তাঁর শক্তির আধার বিবেকানন্দ। স্বামী বিবেকানন্দের জীবনী পাঠকরা জানেন কাশীপুরে সেদিন কী হয়েছিল! ঠাকুর তাঁকে সামনে বসিয়ে একদৃষ্টে তাকিয়ে থেকে সমাধিস্থ হয়েছিলেন। স্বামীজির বাহ্যজ্ঞান লোপ হয়েছিল। পরে ঠাকুর তাঁকে বলেছিলেন, ‘আজ তোকে সব দিয়ে আমি ফকির হলুম।’ সেই বিবেকানন্দের সাধনার ভিতর দিয়ে ভবতারিণী বাংলার অসংখ্য বীর বিপ্লবী তরুণের মনে প্রলয়ঙ্করী মহাকালী রূপে আবির্ভূতা হয়েছিলেন। বিবেকানন্দের বাণীতে তাঁরা উদ্দীপ্ত, ‘মাকে বুকের রক্ত দিয়ে পুজো করতে হয়, তবে যদি তিনি প্রসন্না হন। মার ছেলে বীর হবে, মহাবীর হবে। নিরানন্দে দুঃখে মহালয়ে মায়ের ছেলে নির্ভীক হয়ে থাকবে।’ তরুণ হৃদয়ে সাধনার ধারা পাল্টে গেল। বাংলায় কালীশক্তি জাগ্রত হল।
বাংলার রক্তক্ষরা বিপ্লব ও স্বাধীনতা আন্দোলনের অধিষ্ঠাত্রী দেবী হয়ে উঠেছিলেন মহাকালী। তাঁর সমগ্র ভাগবতী প্রকৃতি ঝঞ্ঝারুদ্র কর্মের প্রভায় প্রস্ফুরিত, তিনি রয়েছেন ক্ষিপ্রতার জন্য, সাক্ষাৎ সঘন আঘাতে সব পরাভূত করে সম্মুখ আক্রমণের জন্য। অভয়ের ভগবতী মূর্তি রূপে মহাকালী বাংলার যুবসমাজের হৃদয়ে প্রতিষ্ঠিত হলেন। কালী অনুধ্যান কালানলের মতো জ্বলে উঠল। বাংলার কালীসাধনার নতুন মহিমা প্রকাশ পেল। আদ্যাশক্তি মহামায়া বীর সন্তানের কাছেও ধরা দিলেন। বাংলার এই বীরভাবের সাধনার রূপটি বিবেকানন্দের কথায় ফুটে উঠেছে— ‘যাঁরা প্রকৃত মায়ের ভক্ত, তাঁরা পাথরের মতো শক্ত, সিংহের মত নির্ভীক। মাকে তোমার কথা শুনতে বাধ্য কর। তাঁর কাছে খোসামোদ কি? জবরদস্তি। তিনি সব করতে পারেন।’
বাংলার কালী মমতাময়ী, মুণ্ডমালিনী। স্নেহময়ী, ভয়ঙ্করী। প্রসন্না, ভ্রুকুটিকুটিলা। সন্তানবৎসলা, বীরের আরাধ্যা অসুরদলনী।
31st  October, 2024
আমেরিকার ফলে ভারতের লাভ না ক্ষতি?
হিমাংশু সিংহ

একজনের বয়স ৭৪, অন্যজনের ৭৮। এই পূর্ণ বার্ধক্যেও দু’জনকেই তাঁদের নিজের দেশে আদ্যন্ত ‘ফ্যাসিস্ট’ বলে প্রতিনিয়ত আক্রমণ করেন বিরোধীরা। সেই ছুৎমার্গ থেকেই শিক্ষিত প্রগতিশীল বুদ্ধিজীবীরা দুই রাষ্ট্রপ্রধানের নাম শুনতে বিশেষ পছন্দ করেন না। বিশদ

এই লড়াই অপপ্রচারের সঙ্গে মানুষের বিশ্বাসের
তন্ময় মল্লিক

আর জি কর ইস্যুতে বিজেপির অবস্থা অনেকটা ‘বেল পাকলে কাকের কী!’ জাস্টিসের দাবিতে লাগাতার আন্দোলন হয়েছে, মানুষও হয়েছে আলোড়িত। কিন্তু তার সুবিধে বিরোধীরা ভোটে পাবে কি না, এই উপ নির্বাচনে হবে তার পরীক্ষা। বিশদ

09th  November, 2024
পুরুষতন্ত্র নারী ক্ষমতায়নের বিরোধী
সমৃদ্ধ দত্ত

এই যে কয়েকশ বছর ধরে কোনও নারীকে বিশ্বের সবথেকে সম্পদশালী দেশ আমেরিকায় কিছুতেই রাষ্ট্রপ্রধান করা হল না, শুধু এটাই কি পুরুষতন্ত্রের উদাহরণ? অবশ্যই এর মধ্যে যতটা রাজনীতি আছে, ততটাই পুরুষতন্ত্রের আগ্রাসন আছে। বিশদ

08th  November, 2024
আমেরিকায় ট্রাম্পবাদের প্রত্যাবর্তন
মৃণালকান্তি দাস

ইজরায়েলি দার্শনিক ইউভাল নোয়া হারারি তাঁর ‘নেক্সাস: আ ব্রিফ হিস্ট্রি অব ইনফরমেশন নেটওয়ার্কস ফ্রম দ্য স্টোন এজ টু এআই’ বইটির ভূমিকায় লিখেছেন, ‘আমরা নিশ্চিতভাবে ধরে নিতে পারি না, যেসব সংবাদমাধ্যম বিভ্রান্তি ছড়ায়, তারা সব সময়ই ব্যর্থ হয়।’
বিশদ

07th  November, 2024
ভারতীয় ব্যবসার জন্য একটি নতুন ভাবনা
রাহুল গান্ধী

ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি ভারতকে চুপ করিয়ে দিয়েছিল। কোম্পানির ব্যবসায়িক দক্ষতা-মাহাত্ম্যে কেউ নির্বাক হয়ে যায়নি, বরং তারা ভারতবাসীর টুঁটি চেপে ধরেছিল। আমাদের দেশীয় মহারাজা ও নবাবদের সঙ্গে ব্যবস্থাক্রমে—ঘুষ এবং হুমকির মাধ্যমে এক শ্বাসরোধকারী পরিস্থিতি কায়েম করেছিল কোম্পানি। বিশদ

06th  November, 2024
ছাব্বিশের ইঙ্গিত দেবে এই উপ নির্বাচন
হারাধন চৌধুরী

বিজেপির আস্থা চমকেই। নরেন্দ্র মোদি যে অনবদ্য রাজনীতির আমদানি করেছেন, বঙ্গ বিজেপি আত্মস্থ করেছে সেটাই। জাতীয় রাজনীতিতে মোদির আবির্ভাব, উত্থান থেকে সরকার পরিচালনা এবং বিদেশ নীতি—সব মিলিয়ে এক চমকের সিরিজ উপহার পেয়েছে ভারত। বিশদ

06th  November, 2024
অথরিটি? মহারাষ্ট্র কিন্তু চাই মোদিজি
শান্তনু দত্তগুপ্ত

কপিল শর্মার সঙ্গে নীতীশ কুমারের মিল কোথায়? দু’জনেই ‘শোয়ের’ জন্য যে কোনও দিকে ঢলে পড়তে পারেন। বিশদ

05th  November, 2024
সাবধান, জোর ঝাঁকুনি অপেক্ষা করে আছে সামনে
পি চিদম্বরম

রিজার্ভ ব্যাঙ্কের মুদ্রানীতি বিষয়ক বিবৃতি যার কারণে শিরোনাম দখল করে তা হল—‘পলিসি রেপো রেট’। রেপো রেট হল সেই সুদের হার যার ভিত্তিতে কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক (আরবিআই) দেশের বাণিজ্যিক ব্যাঙ্কগুলিকে টাকা ধার দেয়। বিশদ

04th  November, 2024
মার্কিন নির্বাচনেও কারচুপি, হিন্দুত্ব কার্ড!
হিমাংশু সিংহ

দুই বিপরীত গোলার্ধের গণতন্ত্রের দেশে এ যেন এক অদ্ভুত সমাপতন! বছরের শুরুতে পৃথিবীর বৃহত্তম জনসংখ্যার দেশে টানটান উত্তেজনার নির্বাচন। মোদিজি তৃতীয়বার ক্ষমতায় ফিরলেন বটে, কিন্তু প্রচণ্ড ঝাঁকুনি দিয়ে চারশো আসনের খোয়াব থামল মাত্র ২৪০-এ। বিশদ

03rd  November, 2024
যেখানে ধান্দা নেই সেখানে বিজেপিও নেই
তন্ময় মল্লিক

অপরাধীর সংখ্যা এক না একাধিক, তা নিয়ে বিতর্ক থাকলেও অভয়ার জাস্টিস পাওয়া নিয়ে দ্বিমত আগেও ছিল না, এখনও নেই। জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলন আপাতত কমিটি গঠন ও স্বাস্থ্য ব্যবস্থার নিয়ন্ত্রক হওয়ার লড়াইয়ে সীমাবদ্ধ। বিশদ

02nd  November, 2024
সুপ্রিম কোর্ট এবং একটি আশ্চর্য অধ্যায়
সমৃদ্ধ দত্ত

১১ নভেম্বর বিচারপতি সঞ্জীব খান্না সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি পদে আসীন হবেন। ১০ নভেম্বর বর্তমান প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় অবসর নেবেন। আপাতভাবে অত্যন্ত স্বাভাবিক এবং রুটিন একটি প্রক্রিয়া। বিশদ

01st  November, 2024
অজ্ঞানতার আঁধার পেরিয়ে আলোর উৎসব
সন্দীপন বিশ্বাস

সভ্যতার একেবারে আদিযুগ থেকে মানুষ ক্রমেই উত্তরণের পথে এগিয়ে যেতে চেয়েছে। এই উত্তরণ আসলে অন্ধকার থেকে আলোয় উৎসারণের প্রক্রিয়া। মানুষের কাছে আলো তাই একটা শক্তি, প্রতীক। জীবনে আলোর উদ্ভাস এনে সে অন্ধকারকে বা অশুভ শক্তিকে দূর করতে সচেষ্ট হয়েছে। বিশদ

30th  October, 2024
একনজরে
বিধানসভা নির্বাচনের ঠিক আগে ঝাড়খণ্ডে কেন্দ্রীয় এজেন্সির তত্পরতা! শনিবার মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনের ব্যক্তিগত সচিব সুনীল শ্রীবাস্তবের বাড়িতে তল্লাশি চালাল আয়কর দপ্তর। সুনীলের বিরুদ্ধে কর ফাঁকি ...

শেষ বাঁশি বাজতেই ইস্ট বেঙ্গল কোচ অস্কার ব্রুজোঁর চোখেমুখে স্বস্তি। সঙ্গে সঙ্গে মাঠে দৌড়ে গিয়ে ফুটবলারদের জড়িয়ে ধরলেন তিনি। তারপর নিজেদের মধ্যে বৃত্ত তৈরি করে ...

ফের ভয়াবহ সন্ত্রাসবাদী হামলায় রক্তাক্ত পাকিস্তানের বালুচিস্তান প্রদেশ। শনিবারের সকালে জোরালো আত্মঘাতী বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে প্রাদেশিক রাজধানী কোয়েটার রেল স্টেশন চত্বর। ঘটনায় কমপক্ষে ২৭ জনের ...

জেলা তৃণমূল সভাপতি পদে বদল হতে পারে। তেমন সম্ভাবনার অআঁচ করে শক্তি বাড়াতে চেষ্টা করছে বিপ্লব মিত্রের বিরোধী গোষ্ঠী। জেলার রাজনীতিতে ‘ত্রিশক্তি’ বলে পরিচিত মৃণাল সরকার, গৌতম দাস ও অম্বরীশ সরকারকে দুর্গাপুজোর সময় থেকেই বিভিন্ন মঞ্চে একছাতার তলায় দেখা যাচ্ছে। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

উকিল ও ডাক্তারদের কর্মব্যস্ততা বাড়বে। পত্নী/পতির স্বাস্থ্য আকস্মিক ভোগাতে পারে। মানসিক অস্থিরভাব। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৪৮৩ - জার্মান সন্ন্যাসী ও পুরোহিত প্রোটেস্ট্যান্ট সংস্কার নেতা মার্টিন লুথারের জন্ম
১৪৯৩ - ক্রিস্টোফার কলম্বাস দ্বিতীয় সমুদ্রযাত্রায় অ্যান্টিগুয়া আবিষ্কার করেন
১৬৫৯ - ইষ্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি কলকাতা, সুতানুটি ও গোবিন্দপুরের কর্তৃত্ব গ্রহণ করে
১৮২২ - বাংলা ভাষায় বিজ্ঞান গ্রন্থ রচনার পথিকৃৎ উইলিয়াম কেরির পুত্র ফেলিঙ্ কেরির মৃত্যু
১৮৪৮ - ভারতের জাতীয়তাবাদী রাজনীতিবিদ রাষ্ট্রগুরু স্যার সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্ম
১৮৮৮ - ভারতের প্রথম শিক্ষামন্ত্রী মাওলানা আবুল কালাম আজাদের জন্ম
১৯০৭ -  অভিনেতা হরিধন মুখোপাধ্যায়ের জন্ম
১৯০৮ - বিপ্লবী কানাইলাল দত্তের ফাঁসি কার্যকর হয়
১৯১৮ - প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পরিসমাপ্তি
১৯৫৪ - কবি ও সাহিত্যিক জয় গোস্বামীর জন্ম
১৯৫৫ – চলচ্চিত্র ও টেলিভিশন পরিচালক রাজা সেনের জন্ম
১৯৬৭ – অভিনেতা আশুতোষ রানার জন্ম
১৯৮২ - পৃথিবীতে ১৯১০ সালের পর আবার হ্যালির ধূমকেতু দেখা গেল
১৯৯১ - আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে একুশে বছরের নির্বাসন শেষে দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেট দল আবার আন্তর্জাতিক খেলায় অংশ নেয় কলকাতার ইডেনে ভারতের বিরুদ্ধে
২০০৯ – অভিনেত্রী তথা ফ্যাশন ডিজাইনার সিম্পল কাপাডিয়ার মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.৫৩ টাকা ৮৫.২৭ টাকা
পাউন্ড ১০৭.৬২ টাকা ১১১.৪০ টাকা
ইউরো ৮৯.৩৬ টাকা ৯২.৭৬ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
09th  November, 2024
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৭,৬০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৮,০০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭৪,১৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৯১,৬০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৯১,৭০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

২৩ কার্তিক, ১৪৩১, শনিবার, ৯ নভেম্বর ২০২৪। অষ্টমী ৪২/২৩ রাত্রি ১০/৪৬। শ্রবণা নক্ষত্র ১৪/৫৮ দিবা ১১/৪৮। সূর্যোদয় ৫/৪৯/২৭, সূর্যাস্ত ৪/৫১/৩২। অমৃতযোগ প্রাতঃ ৬/৩৪ মধ্যে পুনঃ ৭/১৮ গতে ৯/৩০ মধ্যে পুনঃ ১১/৪২ গতে ২/৩৮ মধ্যে পুনঃ ৩/২২ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ১২/৩৯ গতে ২/২২ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ২/২২ গতে ৩/১৪ মধ্যে। বারবেলা ৭/১২ মধ্যে পুনঃ ১২/৪৩ গতে ২/৬ মধ্যে পুনঃ ৩/২৯ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ৬/২৯ মধ্যে পুনঃ ৪/১২ গতে উদয়াবধি। 
২৩ কার্তিক, ১৪৩১, শনিবার, ৯ নভেম্বর ২০২৪। অষ্টমী রাত্রি ৬/২২। শ্রবণা নক্ষত্র দিবা ৮/৪৪। সূর্যোদয় ৫/৫০, সূর্যাস্ত ৪/৫২। অমৃতযোগ দিবা ৬/৪৮ মধ্যে ও ৭/৩১ গতে ৯/৩৯ মধ্যে ও ১১/৪৮ গতে ২/৩৯ মধ্যে ও ৩/২১ গতে ৪/৫২ মধ্যে এবং রাত্রি ১২/৪৬ গতে ২/৩৩ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ২/৩৩ গতে ৩/২৬ মধ্যে। কালবেলা ৭/১৩ মধ্যে ও ১২/৪৪ গতে ২/৭ মধ্যে ও ৩/৩০ গতে ৪/৫২ মধ্যে। কালরাত্রি ৬/৩০ মধ্যে ও ৪/১৩ গতে ৫/৫১ মধ্যে। 
৬ জমাদিয়ল আউয়ল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
দ্বিতীয় টি২০: ভারতকে ৩ উইকেটে হারাল দঃ আফ্রিকা

11:12:00 PM

নয়ডায় ইলেকট্রিক টাওয়ারের উপর উঠে নাচ এক ব্যক্তির, চক্ষু চড়কগাছ পুলিসের
রবিবার দুপুরে নয়ডা সেক্টর ৭৬-এ তাজ্জব কাণ্ড। একটি ইলেকট্রিক টাওয়ারের ...বিশদ

10:57:46 PM

ভুয়ো বোমাতঙ্ক ছড়ানোর অভিযোগে কলকাতা বিমান বন্দর থেকে আটক ১

10:57:00 PM

দ্বিতীয় টি২০: ৭ রানে আউট আন্দিলে, দঃ আফ্রিকা ৮৬/৭ (১৫.৪ ওভার), টার্গেট - ১২৫

10:53:00 PM

দ্বিতীয় টি২০: ০ রানে আউট মিলার, দঃ আফ্রিকা ৬৬/৬ (১২.২ ওভার), টার্গেট - ১২৫

10:33:00 PM

দ্বিতীয় টি২০: ২ রানে আউট ক্লাসেন, দঃ আফ্রিকা ৬৬/৫ (১২.১ ওভার), টার্গেট - ১২৫

10:31:00 PM