Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

যেখানে ধান্দা নেই সেখানে বিজেপিও নেই
তন্ময় মল্লিক

অপরাধীর সংখ্যা এক না একাধিক, তা নিয়ে বিতর্ক থাকলেও অভয়ার জাস্টিস পাওয়া নিয়ে দ্বিমত আগেও ছিল না, এখনও নেই। জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলন আপাতত কমিটি গঠন ও স্বাস্থ্য ব্যবস্থার নিয়ন্ত্রক হওয়ার লড়াইয়ে সীমাবদ্ধ। কিন্তু অভয়ার বাবা, মায়ের একটাই লক্ষ্য, মেয়ের খুনি ও ধর্ষকের চরম শাস্তি নিশ্চিত করা। তাই সিবিআইয়ের দণ্ডমুণ্ডের কর্তা কলকাতায় আসছেন শুনেই তাঁরা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু অমিত শাহ তাঁদের আর্জি নাকচ করে দিয়েছেন। অথচ এই অমিতজিই পুরসভা নির্বাচনের আগে কর্মসূচি স্থগিত করে ছুটেছিলেন আত্মঘাতী বিজেপি কর্মীর কাশীপুরের বাড়িতে। অভয়ার বাবা, মায়ের ডাকে সাড়া না দেওয়ার কারণ আর জি কর কাণ্ড থেকে গেরুয়া শিবিরের ফায়দা নেই। আর যেখানে ধান্দা নেই, সেখানে বিজেপিও নেই।
অমিত শাহ সরকারি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে বাংলায় এলেও আসল উদ্দেশ্য ছিল, বিজেপির সদস্য সংগ্রহ অভিযানের সূচনা করা। তিনি সাধারণত নির্বাচনের মুখেই বাংলায় আসেন। আর এলেই টার্গেট বেঁধে দিয়ে চলে যান। একুশের বিধানসভা ভোটের আগে দিয়েছিলেন ২০০ আসনের টার্গেট। বঙ্গ বিজেপি অর্ধেকের ধারেকাছে যেতে পারেনি। চব্বিশের লোকসভার আগে দিয়েছিলেন ৩৫ আসনের টার্গেট। জুটেছে তিন ভাগের একভাগ। এবার এসেও সেই টার্গেটই বেঁধে দিলেন। দলের সদস্য সংগ্রহের টার্গেট।
বঙ্গ বিজেপিকে এক কোটি সদস্য সংগ্রহের টার্গেট দিয়েছেন। এক কোটি সদস্য সংগ্রহ করতে পারলেই নাকি ছাব্বিশে রাজ্যের ক্ষমতায় আসবে বিজেপি। সদস্য হওয়ার জন্য একটি নম্বর চালু করা হয়েছে। সেই নম্বরে মিস কল দিলেই হওয়া যাবে সদস্য। অনেকে বলছেন, যদি একটি নম্বর থেকে একজনই সদস্য হতে পারেন তাহলে এরাজ্যে মোবাইলের সিম বিক্রি হু-হু করে বাড়বে। কিছু নেতা পদ বাঁচানোর জন্য পাইকারি হারে সিম কিনে মিস কল দেবেন। তাতেও লোকসভা ভোটে আসন প্রাপ্তির মতোই হাল হবে সদস্য সংগ্রহের। লক্ষ্যমাত্রার ধারেকাছে পৌঁছতে পারবে না। 
প্রতিবার অমিত শাহ ঘুরে যাওয়ার পর তাঁর দেওয়া টার্গেটই চর্চার বিষয় হয়। কিন্তু এবার অমিতজির বেঁধে দেওয়া টার্গেট নয়, আলোচ্য বিষয় আর জি করের ঘটনার প্রতি তাঁর উদাসীনতা। অভয়ার জাস্টিসের দিকে তাকিয়ে আছে গোটা দেশ। তাই অনেকে ভেবেছিলেন, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কলকাতায় এসে আর জি কর কাণ্ডের ব্যাপারে বিশেষ আলোকপাত করবেন। দোষীদের চরম শাস্তির আশ্বাস তাঁর মুখ থেকে সবাই শুনতে চেয়েছিলেন। বিশেষ করে অভয়ার অভাগা বাবা, মা। 
অনেক আশা নিয়ে অভয়ার বাবা, মা মেয়ের খুনের তদন্ত সিবিআইকে দেওয়ার দাবি জানিয়েছিলেন। তাঁরা মনে করেছিলেন, কলকাতা পুলিস অপরাধীদের আড়াল করবে। কিন্তু সিবিআই নিরপেক্ষ তদন্ত করবে। তাই তাঁরা আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। তাঁদের একমাত্র লক্ষ্য অভয়ার জাস্টিস। সেই দাবি জানানোর জন্যই তাঁরা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে চেয়েছিলেন। সন্তানহারা বাবা, মায়ের ক্ষতিপূরণ করার ক্ষমতা কারও নেই। অভয়াকে তাঁরা ফিরে পাবেন না। তবুও কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে যন্ত্রণার কথা বলে কিছুটা হালকা হতেন। কিন্তু, সেই সুযোগটুকুও তাঁরা পেলেন না।
এতদিন বারবার ‘ঘাড়ধাক্কা’ খেয়েও বিজেপি নেতারা জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনকে সমর্থন জানিয়েছেন। বিজেপি সব সময় পাশে আছে বলে জানিয়েছে। এমনকী কেউ কেউ একবার ডাকলেই যাইব, এমন কথাও বলেছেন। কিন্তু অমিত শাহ কলকাতা ছাড়তে না ছাড়তেই বিজেপি নেতারা ডাক্তারদের আন্দোলন নিয়ে ‘বেসুরো’ হতে শুরু করেছেন। কেউ কেউ গণআন্দোলনের ‘ডেথ সার্টিফিকেট’ ইস্যু করে দিয়েছেন।
বাংলায় সরকার বিরোধী কোনও ইস্যু পেলেই বিজেপি ঝাঁপিয়ে পড়ে। তিন বছর ধরে বাংলায় ১০০ দিনের কাজ বন্ধ। আবাস যোজনার টাকাও কেন্দ্র দিচ্ছে না। কেবল রাজ্যের প্রাপ্য আটকানোর ফন্দি আঁটছে। দফায় দফায় কেন্দ্রীয় টিম পাঠিয়ে রাজ্য সরকারকে নাজেহাল করে দিচ্ছে। বাংলার গায়ে কালি লাগানোর কোনও সুযোগ হাতছাড়া করতে চায় না। সন্দেশখালি ফ্লপ হওয়ার জ্বালা আর জি করের ঘটনায় মিটিয়ে নেওয়ার একটা জবরদস্ত সুযোগ ছিল। তাকে পুরোমাত্রায় কাজে লাগানোর জন্য অগ্নিমিত্রা পল ‘গোব্যাক’ স্লোগানের অপমান পর্যন্ত গায়ে মাখেননি। অমিত শাহের সঙ্গে অভয়ার বাবা, মায়ের সাক্ষাতের তদ্বির করেছিলেন অগ্নিমিত্রাই। কিন্তু দক্ষ ব্যাটসম্যানের মতোই বলের উপর চোখ রেখে একেবারে শেষমূহূর্তে ব্যাটটা সরিয়ে নিলেন অমিত শাহ।
অমিতজির এহেন আচরণ দেখে এখন বঙ্গ বিজেপির অনেকে বলছেন, বিষয়টি বিচারাধীন। তার উপর সিবিআই অভয়া খুনের তদন্ত করছে। তাই অমিত শাহ এবার দেখা করেননি। পরে তিনি অভয়ার পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে পারেন। এক্ষেত্রে প্রাসঙ্গিক প্রশ্নটি হল, বিচারাধীন বিষয়ে আলোচনায় আপত্তি থাকলে অগ্নিমিত্রা কেন অভয়ার বাবা, মায়ের সাক্ষাতের আর্জি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে পৌঁছে দিয়েছিলেন? কেন অভয়ার বাবা-মায়ের মনে আশার আলো জ্বালিয়েও নামিয়ে আনলেন অমাবস্যার অন্ধকার?
একথা ঠিক, আর জি কর ইস্যুতেও ফের বাজার গরম করার একটা সুযোগ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সামনে এসেছিল। কিন্তু সেই সুযোগ তিনি কাজে লাগালেন না। উল্টে তিনি আর জি করের ঘটনাকে কার্যত উপেক্ষা করলেন। কলকাতায় এসেও অভয়াদের বাড়ি গেলেন না। এমনকী, রাজভবনে ডেকে পাঠিয়েও তাঁদের কথা শুনলেন না। এখন প্রশ্নটা হচ্ছে, আর জি করের ঘটনার মতো স্পর্শকাতর বিষয়েও কেন তিনি এমন উদাসীনতা দেখালেন? বামেরা অবশ্য এরজন্য ফাটা রেকর্ডের মতো সেই ‘সেটিং তত্ত্ব’ই আওড়াচ্ছে। অবশ্য অনিল বিশ্বাসহীন সিপিএমের কাছ থেকে এর বেশি কিছু আশা করা অন্যায়।
আর জি কর কাণ্ডের পর অমিত শাহ এই প্রথম কলকাতায় এলেও দিল্লি থেকেই পুরো ঘটনার উপর তীক্ষ্ণ নজর ছিল বিজেপির চাণক্যের। প্রথমে দলীয় সাংসদ অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় এবং পরে অগ্নিমিত্রা পলকে গোব্যাক স্লোগান দেওয়ায় তিনি বুঝে গিয়েছিলেন, জুনিয়র ডাক্তারদের এই আন্দোলন থেকে বিজেপির কোনও ফায়দা নেই। কারণ আন্দোলনের রাশ চলে গিয়েছে বাম এবং অতিবামেদের হাতে। এই আন্দোলনে অক্সিজেন জোগালে ক্ষতি হবে বিজেপিরই। তৃণমূল বিরোধী ভোট ভাগ হয়ে যাবে। তাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে অপদস্থ করতে বঙ্গ বিজেপির একাংশ উঠেপড়ে লাগলেও অমিত শাহ ‘কালিদাসী’ পদক্ষেপ থেকে সরে দাঁড়ালেন। 
জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনের পাশে যে দিল্লি বিজেপি নেই, তার ঈঙ্গিত কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আগেই দিয়ে রেখেছিলেন। কী ভাবে? সরকার বিরোধী কোনও ঘটনার গন্ধ পেলেই মহামহিম সঙ্গে সঙ্গে সেখানে পৌঁছে যান। কিন্তু রাজভবনে যাওয়া জুনিয়র ডাক্তারদের তিনি কার্যত পাত্তাই দিলেন না। ডেপুটেশন নিলেন, কথা বললেন না। অনেকে বলছেন, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজ্যপালের মাধ্যমে দিল্লি কী চাইছে সেই ঈঙ্গিতটা দিয়েছিলেন। কিন্তু বঙ্গ বিজেপি তাঁর ইশারা ধরতে পারেনি। বোঝা যাচ্ছে, ইশারা বোঝার মতো ‘সেয়ানা’ এখনও বঙ্গ বিজেপি হতে পারেনি।
আর জি কর ইস্যুতে ‘গণআন্দোলনে’র লাভ ক্ষতির হিসেব হবে সময়ের দাঁড়িপাল্লায়। তার বিচার করবে ভবিষ্যৎ। তবে, আপাতদৃষ্টিতে এই আন্দোলনের জেরে স্বাস্থ্য ব্যবস্থার অন্দরের কিছু দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ সামনে এসেছে। এই সব অভিযোগের সত্যাসত্য বিচার করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করলে শুধু রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার হাল ফিরবে না, পোক্ত হবে সরকারের ভিত। তবে ক্ষতিও হয়েছে বিস্তর। চিকিৎসক পড়ুয়াদের মধ্যে বিভাজনের যে পাঁচিল তৈরি হয়েছে, তা চীনের প্রাচীরকেও ছাপিয়ে গিয়েছে। তাকে ভাঙা প্রায় অসম্ভব। এরপর মেডিক্যাল কলেজগুলিতে চিকিৎসাশাস্ত্র নিয়ে যত চর্চা হবে তার চেয়ে ‘থ্রেট সিন্ডিকেট’ প্রতিষ্ঠা নিয়ে লড়াই চলবে অনেক বেশি। আর কাদা ছোড়াছুড়িতে রোগীদের কাছে সাক্ষাৎ ভগবান, এমন চিকিৎসকের গায়েও লাগিয়ে দেওয়া হল কালি।
তবে, আর জি কর কাণ্ড চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল, পীড়িত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য একজন কারও ডাকের অপেক্ষা করেন না। আর একজন রাজনৈতিক ফায়দা না থাকলে সন্তান হারানোর যন্ত্রণায় কাতর বাবা-মায়ের আর্জিতেও মুখ ফিরিয়ে নিতে কুণ্ঠিত হন না। ‘মানবিক’ আর ‘অমানবিকে’র ফারাকটা এখানেই।
02nd  November, 2024
আমেরিকার ফলে ভারতের লাভ না ক্ষতি?
হিমাংশু সিংহ

একজনের বয়স ৭৪, অন্যজনের ৭৮। এই পূর্ণ বার্ধক্যেও দু’জনকেই তাঁদের নিজের দেশে আদ্যন্ত ‘ফ্যাসিস্ট’ বলে প্রতিনিয়ত আক্রমণ করেন বিরোধীরা। সেই ছুৎমার্গ থেকেই শিক্ষিত প্রগতিশীল বুদ্ধিজীবীরা দুই রাষ্ট্রপ্রধানের নাম শুনতে বিশেষ পছন্দ করেন না। বিশদ

এই লড়াই অপপ্রচারের সঙ্গে মানুষের বিশ্বাসের
তন্ময় মল্লিক

আর জি কর ইস্যুতে বিজেপির অবস্থা অনেকটা ‘বেল পাকলে কাকের কী!’ জাস্টিসের দাবিতে লাগাতার আন্দোলন হয়েছে, মানুষও হয়েছে আলোড়িত। কিন্তু তার সুবিধে বিরোধীরা ভোটে পাবে কি না, এই উপ নির্বাচনে হবে তার পরীক্ষা। বিশদ

09th  November, 2024
পুরুষতন্ত্র নারী ক্ষমতায়নের বিরোধী
সমৃদ্ধ দত্ত

এই যে কয়েকশ বছর ধরে কোনও নারীকে বিশ্বের সবথেকে সম্পদশালী দেশ আমেরিকায় কিছুতেই রাষ্ট্রপ্রধান করা হল না, শুধু এটাই কি পুরুষতন্ত্রের উদাহরণ? অবশ্যই এর মধ্যে যতটা রাজনীতি আছে, ততটাই পুরুষতন্ত্রের আগ্রাসন আছে। বিশদ

08th  November, 2024
আমেরিকায় ট্রাম্পবাদের প্রত্যাবর্তন
মৃণালকান্তি দাস

ইজরায়েলি দার্শনিক ইউভাল নোয়া হারারি তাঁর ‘নেক্সাস: আ ব্রিফ হিস্ট্রি অব ইনফরমেশন নেটওয়ার্কস ফ্রম দ্য স্টোন এজ টু এআই’ বইটির ভূমিকায় লিখেছেন, ‘আমরা নিশ্চিতভাবে ধরে নিতে পারি না, যেসব সংবাদমাধ্যম বিভ্রান্তি ছড়ায়, তারা সব সময়ই ব্যর্থ হয়।’
বিশদ

07th  November, 2024
ভারতীয় ব্যবসার জন্য একটি নতুন ভাবনা
রাহুল গান্ধী

ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি ভারতকে চুপ করিয়ে দিয়েছিল। কোম্পানির ব্যবসায়িক দক্ষতা-মাহাত্ম্যে কেউ নির্বাক হয়ে যায়নি, বরং তারা ভারতবাসীর টুঁটি চেপে ধরেছিল। আমাদের দেশীয় মহারাজা ও নবাবদের সঙ্গে ব্যবস্থাক্রমে—ঘুষ এবং হুমকির মাধ্যমে এক শ্বাসরোধকারী পরিস্থিতি কায়েম করেছিল কোম্পানি। বিশদ

06th  November, 2024
ছাব্বিশের ইঙ্গিত দেবে এই উপ নির্বাচন
হারাধন চৌধুরী

বিজেপির আস্থা চমকেই। নরেন্দ্র মোদি যে অনবদ্য রাজনীতির আমদানি করেছেন, বঙ্গ বিজেপি আত্মস্থ করেছে সেটাই। জাতীয় রাজনীতিতে মোদির আবির্ভাব, উত্থান থেকে সরকার পরিচালনা এবং বিদেশ নীতি—সব মিলিয়ে এক চমকের সিরিজ উপহার পেয়েছে ভারত। বিশদ

06th  November, 2024
অথরিটি? মহারাষ্ট্র কিন্তু চাই মোদিজি
শান্তনু দত্তগুপ্ত

কপিল শর্মার সঙ্গে নীতীশ কুমারের মিল কোথায়? দু’জনেই ‘শোয়ের’ জন্য যে কোনও দিকে ঢলে পড়তে পারেন। বিশদ

05th  November, 2024
সাবধান, জোর ঝাঁকুনি অপেক্ষা করে আছে সামনে
পি চিদম্বরম

রিজার্ভ ব্যাঙ্কের মুদ্রানীতি বিষয়ক বিবৃতি যার কারণে শিরোনাম দখল করে তা হল—‘পলিসি রেপো রেট’। রেপো রেট হল সেই সুদের হার যার ভিত্তিতে কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক (আরবিআই) দেশের বাণিজ্যিক ব্যাঙ্কগুলিকে টাকা ধার দেয়। বিশদ

04th  November, 2024
মার্কিন নির্বাচনেও কারচুপি, হিন্দুত্ব কার্ড!
হিমাংশু সিংহ

দুই বিপরীত গোলার্ধের গণতন্ত্রের দেশে এ যেন এক অদ্ভুত সমাপতন! বছরের শুরুতে পৃথিবীর বৃহত্তম জনসংখ্যার দেশে টানটান উত্তেজনার নির্বাচন। মোদিজি তৃতীয়বার ক্ষমতায় ফিরলেন বটে, কিন্তু প্রচণ্ড ঝাঁকুনি দিয়ে চারশো আসনের খোয়াব থামল মাত্র ২৪০-এ। বিশদ

03rd  November, 2024
সুপ্রিম কোর্ট এবং একটি আশ্চর্য অধ্যায়
সমৃদ্ধ দত্ত

১১ নভেম্বর বিচারপতি সঞ্জীব খান্না সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি পদে আসীন হবেন। ১০ নভেম্বর বর্তমান প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় অবসর নেবেন। আপাতভাবে অত্যন্ত স্বাভাবিক এবং রুটিন একটি প্রক্রিয়া। বিশদ

01st  November, 2024
শ্রীরামকৃষ্ণের কালী-দর্শন
মৃণালকান্তি দাস

‘আমার কালী-মা কোথায় গেলে গো’— শ্রীরামকৃষ্ণের দেহত্যাগের পর শিশুর মতো কেঁদে উঠেছিলেন মা সারদামণি। কালী আর রামকৃষ্ণ তাঁর কাছে যে অভিন্ন। ইষ্ট আর ভক্ত এক। সন্তানের বশীভূত জননী। মায়ের সঙ্গে কখনও মান-অভিমানের পালা। কখনও বা নিঃশেষ আত্ম-সমর্পণের শান্ত মুহূর্ত।
বিশদ

31st  October, 2024
অজ্ঞানতার আঁধার পেরিয়ে আলোর উৎসব
সন্দীপন বিশ্বাস

সভ্যতার একেবারে আদিযুগ থেকে মানুষ ক্রমেই উত্তরণের পথে এগিয়ে যেতে চেয়েছে। এই উত্তরণ আসলে অন্ধকার থেকে আলোয় উৎসারণের প্রক্রিয়া। মানুষের কাছে আলো তাই একটা শক্তি, প্রতীক। জীবনে আলোর উদ্ভাস এনে সে অন্ধকারকে বা অশুভ শক্তিকে দূর করতে সচেষ্ট হয়েছে। বিশদ

30th  October, 2024
একনজরে
বেলদা থানার নেকুড়সেনী স্টেশনে কয়লাবোঝাই একটি মালগাড়িতে আগুন ধরে যাওয়ায় আতঙ্ক ছড়াল। খড়্গপুর থেকে দমকলের একটি ইঞ্জিন গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। জানা গিয়েছে, শনিবার দুপুরে খড়্গপুর থেকে ওড়িশার দিকে যাওয়ার সময় বেলদা স্টেশনের কাছে রেলকর্মীরা কয়লাবোঝাই মালগাড়ির একটি বগিতে ধোঁয়া ...

রাজ্যের শিক্ষাব্যবস্থা এবং কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলির সঙ্গে সার্বিক সহযোগিতার প্রশংসা করলেন এনসিইআরটি-পরখের সিইও এবং প্রধান ইন্দ্রাণী ভাদুড়ি। শনিবার স্বভূমি রাজকুটীরে বণিকসভা সিআইআই আয়োজিত শিক্ষা সম্মেলন ‘এডুকেশন ইস্ট সামিট ২০২৪’-এ  উপস্থিত ছিলেন তিনি। ...

জেলা তৃণমূল সভাপতি পদে বদল হতে পারে। তেমন সম্ভাবনার অআঁচ করে শক্তি বাড়াতে চেষ্টা করছে বিপ্লব মিত্রের বিরোধী গোষ্ঠী। জেলার রাজনীতিতে ‘ত্রিশক্তি’ বলে পরিচিত মৃণাল সরকার, গৌতম দাস ও অম্বরীশ সরকারকে দুর্গাপুজোর সময় থেকেই বিভিন্ন মঞ্চে একছাতার তলায় দেখা যাচ্ছে। ...

তিন মেয়ে ও দুই ছেলের মা ফের অন্তঃসত্ত্বা হয়েছিলেন। বড় মেয়ের বিয়ে হয়েছে আগেই। কিছুদিন আগে তিনিও অন্তঃসত্ত্বা হয়েছেন। এত বয়সে তিনি মা হলে সমাজ কী বলবে, তা ভেবে অবসাদে ভুগতে শুরু করেছিলেন মন্দিরবাজার থানার চাঁদপুর ধোপাহাটের বাসিন্দা কাজল কয়াল। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

উকিল ও ডাক্তারদের কর্মব্যস্ততা বাড়বে। পত্নী/পতির স্বাস্থ্য আকস্মিক ভোগাতে পারে। মানসিক অস্থিরভাব। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৪৮৩ - জার্মান সন্ন্যাসী ও পুরোহিত প্রোটেস্ট্যান্ট সংস্কার নেতা মার্টিন লুথারের জন্ম
১৪৯৩ - ক্রিস্টোফার কলম্বাস দ্বিতীয় সমুদ্রযাত্রায় অ্যান্টিগুয়া আবিষ্কার করেন
১৬৫৯ - ইষ্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি কলকাতা, সুতানুটি ও গোবিন্দপুরের কর্তৃত্ব গ্রহণ করে
১৮২২ - বাংলা ভাষায় বিজ্ঞান গ্রন্থ রচনার পথিকৃৎ উইলিয়াম কেরির পুত্র ফেলিঙ্ কেরির মৃত্যু
১৮৪৮ - ভারতের জাতীয়তাবাদী রাজনীতিবিদ রাষ্ট্রগুরু স্যার সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্ম
১৮৮৮ - ভারতের প্রথম শিক্ষামন্ত্রী মাওলানা আবুল কালাম আজাদের জন্ম
১৯০৭ -  অভিনেতা হরিধন মুখোপাধ্যায়ের জন্ম
১৯০৮ - বিপ্লবী কানাইলাল দত্তের ফাঁসি কার্যকর হয়
১৯১৮ - প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পরিসমাপ্তি
১৯৫৪ - কবি ও সাহিত্যিক জয় গোস্বামীর জন্ম
১৯৫৫ – চলচ্চিত্র ও টেলিভিশন পরিচালক রাজা সেনের জন্ম
১৯৬৭ – অভিনেতা আশুতোষ রানার জন্ম
১৯৮২ - পৃথিবীতে ১৯১০ সালের পর আবার হ্যালির ধূমকেতু দেখা গেল
১৯৯১ - আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে একুশে বছরের নির্বাসন শেষে দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেট দল আবার আন্তর্জাতিক খেলায় অংশ নেয় কলকাতার ইডেনে ভারতের বিরুদ্ধে
২০০৯ – অভিনেত্রী তথা ফ্যাশন ডিজাইনার সিম্পল কাপাডিয়ার মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.৫৩ টাকা ৮৫.২৭ টাকা
পাউন্ড ১০৭.৬২ টাকা ১১১.৪০ টাকা
ইউরো ৮৯.৩৬ টাকা ৯২.৭৬ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
09th  November, 2024
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৭,৬০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৮,০০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭৪,১৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৯১,৬০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৯১,৭০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

২৩ কার্তিক, ১৪৩১, শনিবার, ৯ নভেম্বর ২০২৪। অষ্টমী ৪২/২৩ রাত্রি ১০/৪৬। শ্রবণা নক্ষত্র ১৪/৫৮ দিবা ১১/৪৮। সূর্যোদয় ৫/৪৯/২৭, সূর্যাস্ত ৪/৫১/৩২। অমৃতযোগ প্রাতঃ ৬/৩৪ মধ্যে পুনঃ ৭/১৮ গতে ৯/৩০ মধ্যে পুনঃ ১১/৪২ গতে ২/৩৮ মধ্যে পুনঃ ৩/২২ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ১২/৩৯ গতে ২/২২ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ২/২২ গতে ৩/১৪ মধ্যে। বারবেলা ৭/১২ মধ্যে পুনঃ ১২/৪৩ গতে ২/৬ মধ্যে পুনঃ ৩/২৯ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ৬/২৯ মধ্যে পুনঃ ৪/১২ গতে উদয়াবধি। 
২৩ কার্তিক, ১৪৩১, শনিবার, ৯ নভেম্বর ২০২৪। অষ্টমী রাত্রি ৬/২২। শ্রবণা নক্ষত্র দিবা ৮/৪৪। সূর্যোদয় ৫/৫০, সূর্যাস্ত ৪/৫২। অমৃতযোগ দিবা ৬/৪৮ মধ্যে ও ৭/৩১ গতে ৯/৩৯ মধ্যে ও ১১/৪৮ গতে ২/৩৯ মধ্যে ও ৩/২১ গতে ৪/৫২ মধ্যে এবং রাত্রি ১২/৪৬ গতে ২/৩৩ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ২/৩৩ গতে ৩/২৬ মধ্যে। কালবেলা ৭/১৩ মধ্যে ও ১২/৪৪ গতে ২/৭ মধ্যে ও ৩/৩০ গতে ৪/৫২ মধ্যে। কালরাত্রি ৬/৩০ মধ্যে ও ৪/১৩ গতে ৫/৫১ মধ্যে। 
৬ জমাদিয়ল আউয়ল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
দ্বিতীয় টি২০: ভারতকে ৩ উইকেটে হারাল দঃ আফ্রিকা

11:12:00 PM

নয়ডায় ইলেকট্রিক টাওয়ারের উপর উঠে নাচ এক ব্যক্তির, চক্ষু চড়কগাছ পুলিসের
রবিবার দুপুরে নয়ডা সেক্টর ৭৬-এ তাজ্জব কাণ্ড। একটি ইলেকট্রিক টাওয়ারের ...বিশদ

10:57:46 PM

ভুয়ো বোমাতঙ্ক ছড়ানোর অভিযোগে কলকাতা বিমান বন্দর থেকে আটক ১

10:57:00 PM

দ্বিতীয় টি২০: ৭ রানে আউট আন্দিলে, দঃ আফ্রিকা ৮৬/৭ (১৫.৪ ওভার), টার্গেট - ১২৫

10:53:00 PM

দ্বিতীয় টি২০: ০ রানে আউট মিলার, দঃ আফ্রিকা ৬৬/৬ (১২.২ ওভার), টার্গেট - ১২৫

10:33:00 PM

দ্বিতীয় টি২০: ২ রানে আউট ক্লাসেন, দঃ আফ্রিকা ৬৬/৫ (১২.১ ওভার), টার্গেট - ১২৫

10:31:00 PM