Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

সুপ্রিম কোর্ট এবং একটি আশ্চর্য অধ্যায়
সমৃদ্ধ দত্ত

১১ নভেম্বর বিচারপতি সঞ্জীব খান্না সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি পদে আসীন হবেন। ১০ নভেম্বর বর্তমান প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় অবসর নেবেন। আপাতভাবে অত্যন্ত স্বাভাবিক এবং রুটিন একটি প্রক্রিয়া। কিন্তু আদতে তা নয়, এই দুই বিচারপতির মধ্যে পদবদলের এই আপাতসাধারণ ঘটনার সঙ্গে জড়িত রয়েছে একটি আশ্চর্য ইতিহাস, যা ভারতের গণতান্ত্রিক ইতিহাসের এক মাইলফলক বলা হলেও অতিশয়োক্তি হবে না। ঠিক যেন সিনেমার চিত্রনাট্য, আর সেই কারণেই বলা হয় লাইফ ইজ স্ট্রেঞ্জার দ্যান ফিকশন!
একে বলা যেতে পারে ইতিহাসের একটি বৃত্ত সম্পূর্ণ হওয়া, যাকে ইংরেজি পরিভাষায় পোয়েটিক জাস্টিসও বলা যায়। ঘটনার শুরু ১৯৭৬ সালে। আর আশ্চর্য পরিসমাপ্তি ২০২৪ সালে। ১৯৭৫ সালের ২৫ জুন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী জরুরি অবস্থা জারি করেছিলেন। তারই জেরে রাজনৈতিক নেতা কর্মীদের গ্রেপ্তারি পর্ব চলছিল দেশজুড়ে। মিসা আইনে হাজার হাজার রাজনৈতিক বন্দি বিনাবিচারে জেলে থাকতে বাধ্য হয়েছেন। জামিন মিলবে না। দেখানো হয় রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার কারণ। বিতর্ক, বিরোধিতা, প্রতিবাদ চলছিল এবং বিষয়টি গড়ায় আদালত পর্যন্ত। ঠিক সেখান থেকেই শুরু হল ভারতের বিচারবিভাগের একটি বিস্ময়কর অধ্যায়। তখন জানা যায়নি  অবশ্য একটি আশ্চর্য ঘটনা পরম্পরা ২০২৪ সাল পর্যন্ত চলবে। কী ঘটেছিল?
সবথেকে বড় যে প্রশ্ন উঠেছিল যে, স্বাধীনতার অধিকার কি সরকার কেড়ে নিতে পারে? মৌলিক অধিকার কি কোনও পরিস্থিতিতেই রাষ্ট্র হরণ করতে পারে? সংবিধানের ২১ নং ধারায় বলা হয়েছে জীবন ও ব্যক্তিগত স্বাধীনতার অধিকার। একই সঙ্গে আবার সংবিধানের জরুরি অবস্থা জারির পরদিনই সংবিধানের ৩৫৯ (১) ধারা জারি করে আরও কিছু অধিকার স্থগিত রাখা হয়েছিল। যেমন ৩২ নং ধারায় বলা হয়েছে নাগরিক ব্যক্তিগত অধিকার রক্ষায় সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করতে পারে। সাম্যের অধিকার বলা রয়েছে সংবিধানের ১৪ নং ধারায়। সেটিও হরণ করা হল। অর্থাৎ ৩৫৯ (১) ধারা জারি করে এই মৌলিক অধিকারগুলি অনির্দিষ্টকালের জন্য ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছিল। 
স্বাভাবিকভাবেই বিভিন্ন বিরোধী নেতাকর্মীরা নিজেদের রাজ্যের হাইকোর্টে আবেদন করেছিলেন। বলেছিলেন, সংবিধানের এই ধারাগুলি কখনওই ছিনিয়ে নেওয়া যায় না। এবং মিসা আইনের গ্রেপ্তারির পক্ষে রাষ্ট্র যথাযথ কারণ প্রমাণ করতে না পারলে, সেটি অবৈধ হয়ে যায়। ভারত সরকারকে যথেষ্ট অস্বস্তিতে ফেলে সেই সময় একের পর এক হাইকোর্টে এই জেলবন্দি নেতাকর্মীদের পক্ষেই রায় দেওয়া হচ্ছিল। কোনও হাইকোর্ট বলেছে মিসার প্রয়োগ সঠিক নয়। কেউ বলেছে, রাষ্ট্রকে স্পষ্ট করতে হবে এই ধারা জারি করা নিয়ে। 
কিছুটা ব্যাকফুটে গিয়ে ভারত সরকার হাইকোর্টগুলির ওই রায় অথবা অভিমতের বিরুদ্ধে আবেদন করে সুপ্রিম কোর্টে। সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চে মামলার শুনানি শুরু হয়েছিল। এটাই হল বিখ্যাত এডিএম জব্বলপুর বনাম শিবকান্ত শুক্লা কেস, ১৯৭৬। সেই মামলায় সরকারের পক্ষ থেকে সুপ্রিম কোর্টকে বলা হয়, জরুরি অবস্থার অর্থই হল রাষ্ট্রের সুরক্ষা ও নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করা। সুতরাং সংবিধানেই রয়েছে রাষ্ট্রের সুরক্ষার জন্য রাষ্ট্র যেকোনও মৌলিক অধিকারকেই স্থগিত রাখতে পারে। সেটাও সার্বিকভাবে নাগরিকদের কল্যাণের লক্ষ্যেই। নচেৎ বৃহৎ এক নৈরাজ্য সৃষ্টি হলে রাষ্ট্রের অস্তিত্বই বিপন্ন হবে। 
সুপ্রিম কোর্টের উপর ছিল প্রবল চাপ, যাতে সরকারের পক্ষেই যায় তাদের রায়। অর্থাৎ তাবৎ হাইকোর্টের আপত্তি অথবা সংশয় উড়িয়ে দিয়ে যথাযথভাবে জরুরি অবস্থা এবং তার প্রয়োগের পক্ষেই যায় সর্বোচ্চ আদালতের অভিমতও। অন্যম প্রধান বিচার্য ছিল—সংবিধানের ২২৬ ধারা অনুযায়ী রিট পিটিশন অথবা হেবিয়াস কর্পাসের আবেদন করতে নাগরিক পারে, না কি পারে না। 
ঠিক তাই হয়েছিল। সুপ্রিম কোর্টের পাঁচজন বিচারপতির বেঞ্চ রায় দিয়েছিল সরকারের পক্ষে। তবে চারজন। একজন ওই রায়ের পক্ষে ছিলেন না। তিনি আপত্তির কথা জানিয়ে ভিন্ন অভিমত প্রকাশ করেছিলেন। যাকে আইনি ভাষায় বলা হয়, ‘ডিসেন্ট নোট’। কারা ছিলেন সেই পাঁচ বিচারপতি। ছিলেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি এ এন রায়, বিচারপতি এম হামিদুল্লাহ, বিচারপতি পি এন ভগবতী, বিচারপতি ওয়াই ভি চন্দ্রচূড় এবং বিচারপতি হংসরাজ খান্না। 
এই পাঁচজন বিচারপতিকে নিয়ে প্রধান বিচারপতির বেঞ্চে হওয়া সেই মামলায় একমাত্র যিনি ভারত সরকারের বিপক্ষে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন এবং সেই কারণে সর্বসম্মতিক্রমে ওই রায় হতে পারেনি, হয়েছিল পক্ষে ৪ এবং বিপক্ষে ১ রায়, তিনি হলেন বিচারপতি হংসরাজ খান্না। 
আর তার পরিণতি কী হয়েছিল? তাঁরই হওয়ার কথা ছিল সবথেকে সিনিয়র হিসেবে সুপ্রিম কোর্টের পরবর্তী প্রধান বিচারপতি। কিন্তু তিনি ভারত সরকারের রোষানলে পড়েন এবং তাঁর পরিবর্তে প্রধান বিচারপতি করা হয় এম এইচ বেগকে। হংসরাজ খান্না নিজের বোনকে আগেই চিঠি লিখেছিলেন যে, আমি এমন একটি রায় তৈরি করছি যে, হয়তো আর আমাকে প্রধান বিচারপতির পদ দেওয়া হবে না। কিন্তু তা সত্ত্বেও তিনি নিজের সিদ্ধান্ত বদলাননি। অর্থাৎ পাঁচজনের মধ্যে তিনিই একমাত্র যিনি ভারত সরকারে পক্ষে সায় দেননি। মিসা এবং ৩৫৯ (১) নং ধারার প্রয়োগ দুটিকেই তিনি ‘অসাংবিধানিক’ আখ্যা দিয়েছিলেন। বাকি চারজন বিচারপতি রায় দিয়ে বলেছিলেন, ১৯৭১ সালের মিসা আইন যথাযথ এবং জরুরি অবস্থার সময় সরকার মনে করলে নাগরিকের অধিকার স্থগিত রাখতেই পারে। অর্থাৎ সুপ্রিম কোর্টের বেঞ্চের সংখ্যাগুরু অংশ ১৯৭৬ সালের ওই মামলায় জরুরি অবস্থার সময় নেওয়া সরকারি সিদ্ধান্তকেই সমর্থন করে রায়  দিয়েছিল। এম এইচ বেগকে প্রধান বিচারপতি করায় হংসরাজ খান্না ইস্তফা দিয়েছিলেন জুডিশিয়ারি থেকে, যা অত্যন্ত স্বাভাবিক। 
১৯৭৭ সালের নির্বাচনে  ইন্দিরা গান্ধীর কংগ্রেস পরাস্ত হয়েছিল। সরকারে আসে তাঁর বিরোধী পক্ষ—অনেক দলের জোট জনতা পার্টি। তারা এসেই জরুরি অবস্থার তদন্ত কমিশন গঠন করেছিল এটা সর্বজনবিদিত। স্বাভাবিক প্রত্যাশায় জনতা পার্টি বেছে বেছে অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি হংসরাজ খান্নাকে দায়িত্ব দিতে চাইল তদন্ত কমিশনের, যা আদতে যাবে ইন্দিরা গান্ধীর বিরুদ্ধেই। কিন্তু স্রেফ প্রতিশোধ এবং প্রতিহিংসাবশত তিনি তদন্ত করে ইন্দিরা গান্ধীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করতে পারেন, এই অভিযোগ উঠবে ভেবে হংসরাজ খান্না ওই দায়িত্ব নিতে অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, আমি তো পক্ষপাতদুষ্ট আচরণ করতে পারি। মানুষও সেটাই ভাববে। হংসরাজ খান্নাকে অনেক বলেকয়ে শুধুমাত্র আইন কমিশনের প্রধান করতে রাজি করানো গিয়েছিল, যেহেতু ওই পদের সঙ্গে পূর্ববর্তী  সরকারের বিরুদ্ধাচারণের কোনও সম্পর্ক নেই। আইন সংস্কার সংক্রান্ত বিষয়েই সীমাবদ্ধ থাকবে কমিশন। তাই তিনি রাজি হন। 
১৯৭৬ সালের পর কেটে গিয়েছে ৪১ বছর। ২০১৭ সাল। সুপ্রিম কোর্টে একটি মামলা এল। ব্যক্তিগত স্বাধীনতার অধিকার তথা গোপনীয়তার অধিকার সংক্রান্ত। এই মামলা পাঁচজন বিচারপতির বেঞ্চে এসেছে। তাঁদেরই একজন বিচারপতির নাম ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়। তিনি এই মামলার রায় লেখেন। আর এই মামলার রায় দিতে গিয়ে তিনি বলেন, ১৯৭৬ সালে স্বাধীনতা, প্রাইভেসি এবং সাম্যের অধিকার সংক্রান্ত যে রায় দেওয়া হয়েছিল সেটা ছিল অনেকাংশেই বিরাট বড় ভুল। কারণ এই প্রতিটি অধিকার সংবিধান দিয়েছে এবং কোনও অবস্থায় এই অধিকারকে খর্ব করা যাবে না, রাষ্ট্র ইচ্ছা করলেও পারবে না। এসব হল জন্মগত অধিকার এবং মানবজীবনের অবিচ্ছিন্ন অংশ। সুতরাং ৪১ বছর পুরনো সেই ভুলের সংশোধন করার সময় এসেছে। 
১৯৭৬ সালে যে রায় দেওয়া হয়েছিল তাদের মধ্যে কে ছিলেন অন্যতম বিচারপতি যিনি স্বাধীনতার অধিকারকে খর্ব করার পক্ষেই রায় দিয়েছিলেন? বিচারপতি ওয়াই ভি চন্দ্রচূড়। আর ৪১ বছর পর ২০১৭ সালে কে সেই রায়কে ‘ভুল’ আখ্যা দিলেন? ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়—ওয়াই ভি চন্দ্রচূড়ের পুত্র! অর্থাৎ চন্দ্রচূড় নিজের পিতার দেওয়া রায় ও অবস্থানকে ভুল আখ্যা দিয়ে সংবিধানকেই সর্বোচ্চ বলে অভিহিত করলেন ২০১৭ সালে। ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় পরবর্তী সময়ে হয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি। এখনও তিনিই ওই পদে। কিন্তু এখানেই সমাপ্ত হচ্ছে না অধ্যায়। 
১৯৭৬ সালের সেই বেঞ্চে একমাত্র কে আপত্তি করেছিলেন জরুরি অবস্থার? বিচারপতি হংসরাজ খান্না। তিনি অধিকারী হলেও তাঁকেও প্রধান বিচারপতি করা হয়নি। বঞ্চনা করা হয়েছিল। ৪৮ বছর পর, আগামী ১১ নভেম্বর কে হতে চলেছেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি? বিচারপতি সঞ্জীব খান্না। কে তিনি? বিচারপতি হংসরাজ খান্নার ভাইপো! কার হাত থেকে তিনি পদাধিকার গ্রহণ করতে চলেছেন? ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়। ইতিহাস কখনও শেষ হয় না। ইতিহাস একটি অবিরত চলন প্রক্রিয়া। হংসরাজ খান্না যা হতে পারেননি, তাঁর প্রিয়তম ভাইপো সেই পদে বসতে চলেছেন। এটাই পোয়েটিক জাস্টিস! ১৯৭৬ সালে যে দু’জনের পিতা ও কাকা ছিলেন একটি যুগান্তকারী মামলার রায় প্রদানে সম্পূর্ণ বিপরীত মেরুতে, সেই তাঁরাই আগামী ১১ নভেম্বর করমর্দন করবেন ভারতীয় গতেন্ত্রের একটি চমকপ্রদ অধ্যায়ের শেষ পরিচ্ছদের সঙ্গে। 
এই ঘটনাগুলি নতুন নয়—সর্বজনবিদিত হয়তো, হয়তো-বা নয়। কিন্তু সর্ববৃহৎ বার্তাটি হল—বাংলাদেশ, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা ও নেপালের অবিরত অস্থিরতা দিয়ে ঘেরা দেশ এই ভারতের সবথেকে বড় শক্তি হল তার গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার ইতিহাস। অর্থাৎ গণতন্ত্রের সবথেকে বড় তিনটি স্তম্ভ—আইনসভা, বিচারবিভাগ এবং সরকারের কাঠামো ভারতের আত্মায় এমন শক্তিশালীভাবে প্রোথিত যে, ৭৭ বছর ধরে বহু রোদ জল ঝড় তাকে ধ্বংস করতে পারেনি। যে বা যারা সেই চেষ্টা করেছে, তারা ব্যর্থ হয়েছে এবং গণতন্ত্র তাদের শিক্ষাও দিয়েছে নির্মমভাবে! 
01st  November, 2024
আমেরিকার ফলে ভারতের লাভ না ক্ষতি?
হিমাংশু সিংহ

একজনের বয়স ৭৪, অন্যজনের ৭৮। এই পূর্ণ বার্ধক্যেও দু’জনকেই তাঁদের নিজের দেশে আদ্যন্ত ‘ফ্যাসিস্ট’ বলে প্রতিনিয়ত আক্রমণ করেন বিরোধীরা। সেই ছুৎমার্গ থেকেই শিক্ষিত প্রগতিশীল বুদ্ধিজীবীরা দুই রাষ্ট্রপ্রধানের নাম শুনতে বিশেষ পছন্দ করেন না। বিশদ

এই লড়াই অপপ্রচারের সঙ্গে মানুষের বিশ্বাসের
তন্ময় মল্লিক

আর জি কর ইস্যুতে বিজেপির অবস্থা অনেকটা ‘বেল পাকলে কাকের কী!’ জাস্টিসের দাবিতে লাগাতার আন্দোলন হয়েছে, মানুষও হয়েছে আলোড়িত। কিন্তু তার সুবিধে বিরোধীরা ভোটে পাবে কি না, এই উপ নির্বাচনে হবে তার পরীক্ষা। বিশদ

09th  November, 2024
পুরুষতন্ত্র নারী ক্ষমতায়নের বিরোধী
সমৃদ্ধ দত্ত

এই যে কয়েকশ বছর ধরে কোনও নারীকে বিশ্বের সবথেকে সম্পদশালী দেশ আমেরিকায় কিছুতেই রাষ্ট্রপ্রধান করা হল না, শুধু এটাই কি পুরুষতন্ত্রের উদাহরণ? অবশ্যই এর মধ্যে যতটা রাজনীতি আছে, ততটাই পুরুষতন্ত্রের আগ্রাসন আছে। বিশদ

08th  November, 2024
আমেরিকায় ট্রাম্পবাদের প্রত্যাবর্তন
মৃণালকান্তি দাস

ইজরায়েলি দার্শনিক ইউভাল নোয়া হারারি তাঁর ‘নেক্সাস: আ ব্রিফ হিস্ট্রি অব ইনফরমেশন নেটওয়ার্কস ফ্রম দ্য স্টোন এজ টু এআই’ বইটির ভূমিকায় লিখেছেন, ‘আমরা নিশ্চিতভাবে ধরে নিতে পারি না, যেসব সংবাদমাধ্যম বিভ্রান্তি ছড়ায়, তারা সব সময়ই ব্যর্থ হয়।’
বিশদ

07th  November, 2024
ভারতীয় ব্যবসার জন্য একটি নতুন ভাবনা
রাহুল গান্ধী

ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি ভারতকে চুপ করিয়ে দিয়েছিল। কোম্পানির ব্যবসায়িক দক্ষতা-মাহাত্ম্যে কেউ নির্বাক হয়ে যায়নি, বরং তারা ভারতবাসীর টুঁটি চেপে ধরেছিল। আমাদের দেশীয় মহারাজা ও নবাবদের সঙ্গে ব্যবস্থাক্রমে—ঘুষ এবং হুমকির মাধ্যমে এক শ্বাসরোধকারী পরিস্থিতি কায়েম করেছিল কোম্পানি। বিশদ

06th  November, 2024
ছাব্বিশের ইঙ্গিত দেবে এই উপ নির্বাচন
হারাধন চৌধুরী

বিজেপির আস্থা চমকেই। নরেন্দ্র মোদি যে অনবদ্য রাজনীতির আমদানি করেছেন, বঙ্গ বিজেপি আত্মস্থ করেছে সেটাই। জাতীয় রাজনীতিতে মোদির আবির্ভাব, উত্থান থেকে সরকার পরিচালনা এবং বিদেশ নীতি—সব মিলিয়ে এক চমকের সিরিজ উপহার পেয়েছে ভারত। বিশদ

06th  November, 2024
অথরিটি? মহারাষ্ট্র কিন্তু চাই মোদিজি
শান্তনু দত্তগুপ্ত

কপিল শর্মার সঙ্গে নীতীশ কুমারের মিল কোথায়? দু’জনেই ‘শোয়ের’ জন্য যে কোনও দিকে ঢলে পড়তে পারেন। বিশদ

05th  November, 2024
সাবধান, জোর ঝাঁকুনি অপেক্ষা করে আছে সামনে
পি চিদম্বরম

রিজার্ভ ব্যাঙ্কের মুদ্রানীতি বিষয়ক বিবৃতি যার কারণে শিরোনাম দখল করে তা হল—‘পলিসি রেপো রেট’। রেপো রেট হল সেই সুদের হার যার ভিত্তিতে কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক (আরবিআই) দেশের বাণিজ্যিক ব্যাঙ্কগুলিকে টাকা ধার দেয়। বিশদ

04th  November, 2024
মার্কিন নির্বাচনেও কারচুপি, হিন্দুত্ব কার্ড!
হিমাংশু সিংহ

দুই বিপরীত গোলার্ধের গণতন্ত্রের দেশে এ যেন এক অদ্ভুত সমাপতন! বছরের শুরুতে পৃথিবীর বৃহত্তম জনসংখ্যার দেশে টানটান উত্তেজনার নির্বাচন। মোদিজি তৃতীয়বার ক্ষমতায় ফিরলেন বটে, কিন্তু প্রচণ্ড ঝাঁকুনি দিয়ে চারশো আসনের খোয়াব থামল মাত্র ২৪০-এ। বিশদ

03rd  November, 2024
যেখানে ধান্দা নেই সেখানে বিজেপিও নেই
তন্ময় মল্লিক

অপরাধীর সংখ্যা এক না একাধিক, তা নিয়ে বিতর্ক থাকলেও অভয়ার জাস্টিস পাওয়া নিয়ে দ্বিমত আগেও ছিল না, এখনও নেই। জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলন আপাতত কমিটি গঠন ও স্বাস্থ্য ব্যবস্থার নিয়ন্ত্রক হওয়ার লড়াইয়ে সীমাবদ্ধ। বিশদ

02nd  November, 2024
শ্রীরামকৃষ্ণের কালী-দর্শন
মৃণালকান্তি দাস

‘আমার কালী-মা কোথায় গেলে গো’— শ্রীরামকৃষ্ণের দেহত্যাগের পর শিশুর মতো কেঁদে উঠেছিলেন মা সারদামণি। কালী আর রামকৃষ্ণ তাঁর কাছে যে অভিন্ন। ইষ্ট আর ভক্ত এক। সন্তানের বশীভূত জননী। মায়ের সঙ্গে কখনও মান-অভিমানের পালা। কখনও বা নিঃশেষ আত্ম-সমর্পণের শান্ত মুহূর্ত।
বিশদ

31st  October, 2024
অজ্ঞানতার আঁধার পেরিয়ে আলোর উৎসব
সন্দীপন বিশ্বাস

সভ্যতার একেবারে আদিযুগ থেকে মানুষ ক্রমেই উত্তরণের পথে এগিয়ে যেতে চেয়েছে। এই উত্তরণ আসলে অন্ধকার থেকে আলোয় উৎসারণের প্রক্রিয়া। মানুষের কাছে আলো তাই একটা শক্তি, প্রতীক। জীবনে আলোর উদ্ভাস এনে সে অন্ধকারকে বা অশুভ শক্তিকে দূর করতে সচেষ্ট হয়েছে। বিশদ

30th  October, 2024
একনজরে
শেষ বাঁশি বাজতেই ইস্ট বেঙ্গল কোচ অস্কার ব্রুজোঁর চোখেমুখে স্বস্তি। সঙ্গে সঙ্গে মাঠে দৌড়ে গিয়ে ফুটবলারদের জড়িয়ে ধরলেন তিনি। তারপর নিজেদের মধ্যে বৃত্ত তৈরি করে ...

ফের ভয়াবহ সন্ত্রাসবাদী হামলায় রক্তাক্ত পাকিস্তানের বালুচিস্তান প্রদেশ। শনিবারের সকালে জোরালো আত্মঘাতী বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে প্রাদেশিক রাজধানী কোয়েটার রেল স্টেশন চত্বর। ঘটনায় কমপক্ষে ২৭ জনের ...

তিন মেয়ে ও দুই ছেলের মা ফের অন্তঃসত্ত্বা হয়েছিলেন। বড় মেয়ের বিয়ে হয়েছে আগেই। কিছুদিন আগে তিনিও অন্তঃসত্ত্বা হয়েছেন। এত বয়সে তিনি মা হলে সমাজ কী বলবে, তা ভেবে অবসাদে ভুগতে শুরু করেছিলেন মন্দিরবাজার থানার চাঁদপুর ধোপাহাটের বাসিন্দা কাজল কয়াল। ...

জেলা তৃণমূল সভাপতি পদে বদল হতে পারে। তেমন সম্ভাবনার অআঁচ করে শক্তি বাড়াতে চেষ্টা করছে বিপ্লব মিত্রের বিরোধী গোষ্ঠী। জেলার রাজনীতিতে ‘ত্রিশক্তি’ বলে পরিচিত মৃণাল সরকার, গৌতম দাস ও অম্বরীশ সরকারকে দুর্গাপুজোর সময় থেকেই বিভিন্ন মঞ্চে একছাতার তলায় দেখা যাচ্ছে। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

উকিল ও ডাক্তারদের কর্মব্যস্ততা বাড়বে। পত্নী/পতির স্বাস্থ্য আকস্মিক ভোগাতে পারে। মানসিক অস্থিরভাব। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৪৮৩ - জার্মান সন্ন্যাসী ও পুরোহিত প্রোটেস্ট্যান্ট সংস্কার নেতা মার্টিন লুথারের জন্ম
১৪৯৩ - ক্রিস্টোফার কলম্বাস দ্বিতীয় সমুদ্রযাত্রায় অ্যান্টিগুয়া আবিষ্কার করেন
১৬৫৯ - ইষ্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি কলকাতা, সুতানুটি ও গোবিন্দপুরের কর্তৃত্ব গ্রহণ করে
১৮২২ - বাংলা ভাষায় বিজ্ঞান গ্রন্থ রচনার পথিকৃৎ উইলিয়াম কেরির পুত্র ফেলিঙ্ কেরির মৃত্যু
১৮৪৮ - ভারতের জাতীয়তাবাদী রাজনীতিবিদ রাষ্ট্রগুরু স্যার সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্ম
১৮৮৮ - ভারতের প্রথম শিক্ষামন্ত্রী মাওলানা আবুল কালাম আজাদের জন্ম
১৯০৭ -  অভিনেতা হরিধন মুখোপাধ্যায়ের জন্ম
১৯০৮ - বিপ্লবী কানাইলাল দত্তের ফাঁসি কার্যকর হয়
১৯১৮ - প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পরিসমাপ্তি
১৯৫৪ - কবি ও সাহিত্যিক জয় গোস্বামীর জন্ম
১৯৫৫ – চলচ্চিত্র ও টেলিভিশন পরিচালক রাজা সেনের জন্ম
১৯৬৭ – অভিনেতা আশুতোষ রানার জন্ম
১৯৮২ - পৃথিবীতে ১৯১০ সালের পর আবার হ্যালির ধূমকেতু দেখা গেল
১৯৯১ - আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে একুশে বছরের নির্বাসন শেষে দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেট দল আবার আন্তর্জাতিক খেলায় অংশ নেয় কলকাতার ইডেনে ভারতের বিরুদ্ধে
২০০৯ – অভিনেত্রী তথা ফ্যাশন ডিজাইনার সিম্পল কাপাডিয়ার মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.৫৩ টাকা ৮৫.২৭ টাকা
পাউন্ড ১০৭.৬২ টাকা ১১১.৪০ টাকা
ইউরো ৮৯.৩৬ টাকা ৯২.৭৬ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
09th  November, 2024
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৭,৬০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৮,০০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭৪,১৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৯১,৬০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৯১,৭০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

২৩ কার্তিক, ১৪৩১, শনিবার, ৯ নভেম্বর ২০২৪। অষ্টমী ৪২/২৩ রাত্রি ১০/৪৬। শ্রবণা নক্ষত্র ১৪/৫৮ দিবা ১১/৪৮। সূর্যোদয় ৫/৪৯/২৭, সূর্যাস্ত ৪/৫১/৩২। অমৃতযোগ প্রাতঃ ৬/৩৪ মধ্যে পুনঃ ৭/১৮ গতে ৯/৩০ মধ্যে পুনঃ ১১/৪২ গতে ২/৩৮ মধ্যে পুনঃ ৩/২২ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ১২/৩৯ গতে ২/২২ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ২/২২ গতে ৩/১৪ মধ্যে। বারবেলা ৭/১২ মধ্যে পুনঃ ১২/৪৩ গতে ২/৬ মধ্যে পুনঃ ৩/২৯ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ৬/২৯ মধ্যে পুনঃ ৪/১২ গতে উদয়াবধি। 
২৩ কার্তিক, ১৪৩১, শনিবার, ৯ নভেম্বর ২০২৪। অষ্টমী রাত্রি ৬/২২। শ্রবণা নক্ষত্র দিবা ৮/৪৪। সূর্যোদয় ৫/৫০, সূর্যাস্ত ৪/৫২। অমৃতযোগ দিবা ৬/৪৮ মধ্যে ও ৭/৩১ গতে ৯/৩৯ মধ্যে ও ১১/৪৮ গতে ২/৩৯ মধ্যে ও ৩/২১ গতে ৪/৫২ মধ্যে এবং রাত্রি ১২/৪৬ গতে ২/৩৩ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ২/৩৩ গতে ৩/২৬ মধ্যে। কালবেলা ৭/১৩ মধ্যে ও ১২/৪৪ গতে ২/৭ মধ্যে ও ৩/৩০ গতে ৪/৫২ মধ্যে। কালরাত্রি ৬/৩০ মধ্যে ও ৪/১৩ গতে ৫/৫১ মধ্যে। 
৬ জমাদিয়ল আউয়ল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
দ্বিতীয় টি২০: ভারতকে ৩ উইকেটে হারাল দঃ আফ্রিকা

11:12:00 PM

নয়ডায় ইলেকট্রিক টাওয়ারের উপর উঠে নাচ এক ব্যক্তির, চক্ষু চড়কগাছ পুলিসের
রবিবার দুপুরে নয়ডা সেক্টর ৭৬-এ তাজ্জব কাণ্ড। একটি ইলেকট্রিক টাওয়ারের ...বিশদ

10:57:46 PM

ভুয়ো বোমাতঙ্ক ছড়ানোর অভিযোগে কলকাতা বিমান বন্দর থেকে আটক ১

10:57:00 PM

দ্বিতীয় টি২০: ৭ রানে আউট আন্দিলে, দঃ আফ্রিকা ৮৬/৭ (১৫.৪ ওভার), টার্গেট - ১২৫

10:53:00 PM

দ্বিতীয় টি২০: ০ রানে আউট মিলার, দঃ আফ্রিকা ৬৬/৬ (১২.২ ওভার), টার্গেট - ১২৫

10:33:00 PM

দ্বিতীয় টি২০: ২ রানে আউট ক্লাসেন, দঃ আফ্রিকা ৬৬/৫ (১২.১ ওভার), টার্গেট - ১২৫

10:31:00 PM