উকিল ও ডাক্তারদের কর্মব্যস্ততা বাড়বে। পত্নী/পতির স্বাস্থ্য আকস্মিক ভোগাতে পারে। মানসিক অস্থিরভাব। ... বিশদ
শিক্ষাদপ্তর সূত্রে খবর, তরুণের স্বপ্ন প্রকল্পে এখনও পর্যন্ত মালদহের মালদহের হবিবপুর ব্লকের কেন্দপুকুর হাইস্কুল, গাজোল ব্লকের ডিবি কেআর হাইস্কুল ও হরিশ্চন্দ্রপুর-১ ব্লকের কনুয়া ভবানীপুর হাইস্কুলের ১৪৩ জন ছাত্রছাত্রীর টাকা চলে গিয়েছে অন্য ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে।
পুলিস ও শিক্ষা দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, কেন্দপুকুর হাইস্কুলের ৯১ জন ছাত্রছাত্রীকে গত ৩০ সেপ্টেম্বর ট্যাব কেনার জন্য ১০ হাজার করে মোট ৯ লক্ষ ১০ হাজার টাকা দেওয়া হয়। তাদের মধ্যে ৪১ জন একাদশ এবং ৫০ জন দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়া। প্রকল্পের নিয়ম অনুযায়ী সেই টাকা সরাসরি তাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে চলে যাওয়ার কথা। কিন্তু জেলার বিদ্যালয় পরিদর্শক সমস্ত স্কুলের খোঁজখবর নিতে গিয়ে দেখেন ওই ৯১ জনের টাকা অন্য একাধিক ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে চলে গিয়েছে। এরপরেই তিনি স্কুলের প্রধান শিক্ষক দুলাল মণ্ডলের কাছে এই ঘটনার পিছনে কী কারণ, তা জানতে চান। তারপরেই প্রধান শিক্ষক স্কুলের এক করণিকের নামে শুক্রবার হবিবপুর থানায় এফআইআর করেন। প্রধান শিক্ষক বলেন, কিছু পড়ুয়ার ট্যাব কেনার টাকা অন্য ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে চলে গিয়েছে। এনিয়ে থানায় অভিযোগ করা হয়েছে। ঠিক একই ঘটনা ঘটে গাজোলের ডিবি কেআর হাইস্কুলেও। সেখানে ১৮ জন পড়ুয়ার ট্যাব কেনার টাকা চলে যায় অন্য অ্যাকাউন্টে। স্কুলের করণিক সন্তোষ কুমার পাহাড়ি বলেন, আমাদের স্কুলে ১৮ জনের টাকা অন্য অ্যাকাউন্টে চলে গিয়েছে। কী করে এমন হল জানি না।
ট্যাব কেনার টাকা নয়ছয়ের অভিযোগ উঠেছে হরিশ্চন্দ্রপুর -১ নম্বর ব্লকের কনুয়া ভবানীপুর হাইস্কুলেও। এই স্কুলের ৩৪ জন ছাত্রছাত্রীর ট্যাব কেনার টাকা অন্য একাধিক ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে চলে যায়। স্কুলের প্রধান শিক্ষক রাজা চৌধুরীর কথায়, স্কুলের করণিক আমাকে জানান তরুণের স্বপ্ন প্রকল্পের তথ্য পড়ুয়াদের দেওয়া পাসবই এর কপি দেখে আপলোড করা হয়। তারপর দু’তিনবার চেক করে সাবমিট করা হয়েছিল। ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ কী করে অন্য অ্যাকাউন্টে টাকাটা দিল, আমাদের মাথায় ঢুকছে না।
১৪৩ জন পড়ুয়ার ক্ষেত্রেই দেখা গিয়েছে তাদের ট্যাব কেনার টাকার বেশিরভাগ চলে গিয়েছে উত্তর দিনাজপুর জেলার চোপড়ার বিভিন্ন বাসিন্দাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে। বাকিটা মালদহ জেলার কালিয়াচক ২ ব্লকের মোথাবাড়ি অঞ্চলের বাসিন্দাদের ব্যাঙ্ক খাতায়।