Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

বিপন্ন সাংবিধানিক নৈতিকতা
পি চিদম্বরম

দুর্নীতির অভিযোগে একজন কর্তব্যরত মুখ্যমন্ত্রীকে গ্রেপ্তার একইসঙ্গে আইনি, রাজনৈতিক এবং সাংবিধানিক সমস্যা। এটা আরও এমন একটা বিষয় যা সংবিধানের লিখিত বয়ানবহির্ভূত এবং এর সঙ্গে জড়িয়ে গিয়েছে সাংবিধানিক নৈতিকতার দিক। 
তথাকথিত ‘তথ্য’-এর দিকটা পরিষ্কার করে বলতে চাই। মামলাগুলোর মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট মুখ্যমন্ত্রীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছ যে, তাঁরা ‘ঘুষ’ নিয়েছেন এবং তা নেওয়া হয়েছে ঘুষ দাতা বা দাতাদের অন্যায় সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার উদ্দেশ্যে। এই মুহূর্তে এটুকুই বলা যেতে পারে যে, ‘দুর্নীতির অভিযোগ’ এবং তা ‘অপরাধ উদ্ঘাটন’-এর সমান নয়। মান্য আইনি নীতি এই যে, ‘দোষী প্রমাণিত না-হওয়া পর্যন্ত প্রত্যেক ব্যক্তিকেই নির্দোষ বলে মনে করা হয়।’
নির্দোষ, এই অনুমানের আইনি দিক ধরেই শুরু করা যাক। একজন ব্যক্তি একটা রাজনৈতিক দলের সদস্য। সেই রাজনৈতিক দল নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে। বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠ আসনে জয়লাভ করেন তার প্রার্থীরা। সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যদের দল একজন ব্যক্তিকে আইনসভায় তাদের নেতা নির্বাচিত করে। রাজ্যপাল সেই ব্যক্তিকে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ বাক্য পাঠ করান। অতঃপর, মুখ্যমন্ত্রী এবং তাঁর মন্ত্রীরা কার্যভার গ্রহণ করেন। কাজ শুরু করে একটি নতুন সরকার। এটা একটা চেনা চিত্রনাট্য। গত ৭৫ বছরে এইমতোই নাটক অভিনীত হয়েছে শত শত বার। এই চিত্রনাট্য ‘ওয়েস্টমিনস্টার প্রিন্সিপল’ (এটা রাজনৈতিক দিক) এবং সাংবিধানিক ব্যবস্থা (এটা সাংবিধানিক দিক) মেনে রচিত।
মুখ্যমন্ত্রীকে অপসারণ
এটাই স্বতঃসিদ্ধ যে, তাঁর দায়িত্ব পালনের জন্য একজন মুখ্যমন্ত্রীকে স্বাধীন ব্যক্তি হতে হবে। তিনি অবশ্যই রাজ্যপালকে পরামর্শ দেবেন। তাঁকে অবশ্যই মন্ত্রিসভার বৈঠক করতে হবে। মানুষের মতামত ও অভিযোগ অবশ্যই শুনতে হবে তাঁকে। তাঁকে অবশ্যই বিধানসভায় কথা বলতে হবে এবং অন্যদের বক্তব্য শুনতে হবে। বিধানসভায় যেসব প্রস্তাব এবং বিল উত্থাপিত হয় তার উপর তাঁকে অবশ্যই ভোট দিতে হবে। সর্বোপরি, যেহেতু আমাদের সরকারি ব্যবস্থাদি রেকর্ড বা ফাইলের উপর ভিত্তি করে চলে, তাই সবকিছুই হতে হবে লিখিত এবং সই-স্বাক্ষর সংবলিত। যে-ব্যক্তি স্বাধীন নন, তাঁর পক্ষে মুখ্যমন্ত্রীর কাজ ও দায়িত্ব পালন করা সম্ভব নয়। 
একজন মুখ্যমন্ত্রীকে পরাজিত করার এবং অপসারণের অনেক উপায় রয়েছে। একজন মুখ্যমন্ত্রী এবং তাঁর দলকে হারাবার উপায় হল নির্বাচন। পাঁচ বছরে একবার কিংবা তারও আগে এমন নির্বাচনগুলি অনুষ্ঠিত হয়। আর সংসদীয় উপায় হল বিধানসভায় অনাস্থা প্রস্তাব (মোশান অব নো কনফিডেন্স) পাস করা অথবা অর্থ বিল কিংবা পলিসি সংক্রান্ত কোনও গুরুত্বপূর্ণ ‘মোশান’ প্রত্যাখ্যাত হওয়া। সংখ্যাগরিষ্ঠরা জয়ী হবে উভয় ক্ষেত্রেই। মুখ্যমন্ত্রীকে ক্ষমতাচ্যুত করার জন্য, রাজনৈতিক দলগুলি এর পাশাপাশি একাধিক অসৎ উপায়ও আবিষ্কার করেছে। ‘অপারেশন লোটাস’ হল এমনই একটি আবিষ্কার। এই কৌশলে একটি নির্দিষ্ট সংখ্যক বিধায়ককে ক্ষমতাসীন পার্টি থেকে পদত্যাগ বা অন্য দলে যোগদানে প্ররোচিত করা হয়। তার ফলে বিধানসভায় বেচারা শাসক দল হয়ে পড়ে সংখ্যালঘু! দলত্যাগ, দশম তফসিলের অধীনে আইনসভার একজন সদস্যের ক্ষেত্রে ‘যোগ্যতা’ খোয়ানোর শামিল। তা সত্ত্বেও, পরিণামের তোয়াক্কা না করে দশম তফসিল লঙ্ঘন করা হয়েছে।
সরকারকে অস্থির করে তোলা
মুখ্যমন্ত্রীকে অপসারণের অন্যকোনও উপায় আছে কি? আমি তো আর অন্য উপায় খুঁজে পাচ্ছি না, কিন্তু এই ক্ষেত্রে চতুর নারী-পুরুষের অবশ্য অভাব নেই। একজন মুখ্যমন্ত্রীর স্বাধীনতাহরণের ‘দৃশ্যত আইনি’ একটা উপায় তাঁরা আবিষ্কার করেছেন। যে মুখ্যমন্ত্রী টার্গেট, তাঁর বিরুদ্ধে একটি এফআইআর (ফার্স্ট ইনফরমেশন রিপোর্ট) কিংবা ইসিআইআর (এনফোর্সমেন্ট কেস ইনফরমেশন রিপোর্ট) রুজু করবেন ওই চতুর ব্যক্তিরা। অতঃপর ওই অভিযুক্ত মুখ্যমন্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব এবং গ্রেপ্তার করা হবে। সিবিআই কিছুটা সতর্ক, কিন্তু ইডির লাজলজ্জার বালাই নেই। একজন মুখ্যমন্ত্রী একবার গ্রেপ্তার হলেই তাঁর পদত্যাগের দাবিতে কিছু লোক সোচ্চার হয় অথবা সংশ্লিষ্ট রাজ্যপালের ক্ষমতা প্রয়োগে তাঁকে বরখাস্তের জন্য হল্লা জুড়ে দেয়। যুক্তি দেওয়া হয় যে মুখ্যমন্ত্রীকে অন্য অভিযুক্তদের মতো অবশ্যই আদালতে হাজিরাসহ জামিনের আবেদন করতে হবে। তাঁর বিরুদ্ধে পুলিসি হেফাজত কিবা বিচার বিভাগীয় হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া দরকার। তেমন আদেশের বিরুদ্ধে অভিযুক্ত মুখ্যমন্ত্রীকেও আদালতে আপিল করতে হবে। অবশেষে সুপ্রিম কোর্টে তাঁর জামিন মঞ্জুর বা খারিজ হতে পারে। তবে একজন অভিযুক্ত মুখ্যমন্ত্রীকেও এই আইনি প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে বিচার চাইতে হবে। এই পরিস্থিতিতে সরকারটি নড়বড়ে হয়ে যায়। খুঁড়িয়ে চলাকালে, এমন একট‍া সরকারের দ্রুত পতন অবশ্যম্ভাবী হয়ে ওঠে। বন্দি মুখ্যমন্ত্রীর স্থলাভিষিক্ত কোনও অন্তর্বর্তী নেতাকেও গ্রেপ্তারের হুমকি তাড়া করে বেড়ায়। মুখ্যমন্ত্রীর মতো সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পদটির জন্য পরের পর বিকল্প নেতার জোগান দেওয়া কোনও রাজনৈতিক দলের পক্ষেই সম্ভব নয়। দুর্নীতির অভিযোগের তাৎক্ষণিক উদ্দেশ্য হল, একজন মুখ্যমন্ত্রীকে গদিচ্যুত করা, সংশ্লিষ্ট পক্ষের জন্য সেটা হাসিল হয়ে যায়।
এসব আপাতদৃষ্টিতে আইনসিদ্ধ। কিন্তু রাজনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে এই জিনিস অসম্মানজক ও আপত্তিকর হতে পারে। সাংবিধানিক দৃষ্টিকোণ থেকে বিষয়টি সম্পর্কে বিতর্কের অবকাশ রয়ে যায়। কিন্তু আমার প্রশ্নটি একটি বৃহত্তর দিক থেকে। যে-দেশ সরকার পরিচালনার জন্য ওয়েস্টমিনস্টার মডেল গ্রহণ করেছে, সেখানে একজন কর্তব্যরত মুখ্যমন্ত্রীর গ্রেপ্তার ও আটক কি সাংবিধানিক নৈতিকতার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ? আজকের দিনের রাজনৈতিক ক্ষমতার দ্বারা কি সংবিধান মুছে ফেলা সম্ভব?
সংসদীয় গণতন্ত্র রক্ষা
কিছু দেশ বিদ্বেষপূর্ণ রাজনৈতিক লড়াই, বশংবদ তদন্তকারী সংস্থা এবং জামিনের প্রশ্নে আদালতগুলোর পরস্পর-বিরোধী রায়ের গুরুতর বিপদ উপলব্ধি করেছে। এজন্য তারা কর্তব্যরত রাষ্ট্রপতি বা সরকারের শীর্ষকর্তার ‘ইমিউনিটি’র জন্য একটা ধারা যোগ 
করে রেখেছে। ভারতে বিচারপতিদের ব্যাপারে 
সুপ্রিম কোর্টের একটা রায় রয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে যে, দেশের প্রধান বিচারপতি বা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির আগাম সম্মতি ছাড়া কোনও বিচারপতির বিরুদ্ধে কোনওরকমের তদন্ত শুরু করা যাবে না। বলার অপেক্ষা থাকে না যে, এটার 
নিহিতার্থ হল বিচারপতিদের জন্য ‘ইমিউনিটি’রই বন্দোবস্ত করা হয়েছে। 
মুখ্যমন্ত্রীদের ধরপাকড়ের এই ব্যাপারটা উল্টে গেলে কী হতো? ধরুন, একটা রাজ্য সরকার তার আঞ্চলিক এক্তিয়ারের মধ্যে একটি অপরাধের ঘটনায় প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগ আনল এবং গ্রেপ্তারও করা হল তাঁকে! এরপর বিচারক নিয়মানুযায়ী প্রধানমন্ত্রীকে পুলিসি কিংবা বিচার বিভাগীয় হেফাজতে পাঠালেন! এর পরিণতি ভয়াবহ এবং বিপর্যয়কর হতে বাধ্য।
কোনও ‘ইমিউনিটি’র ধারা নেই। তাই আদালতগুলোর এই অনুমান করা উচিত নয় কি—একজন প্রধানমন্ত্রী ও একজন মুখ্যমন্ত্রীর উপর যথাক্রমে লোকসভা ও বিধানসভার যতক্ষণ আস্থা (সংখ্যাগরিষ্ঠের সমর্থন) রয়েছে, ততক্ষণ ঊহ্য রয়েছে তাঁকে গ্রেপ্তার না-করারও ইমিউনিটি? এটা একটা বাস্তব সমস্যা। এর উত্তরের উপরেই নির্ভর করবে, সংসদীয় গণতন্ত্রের ওয়েস্টমিনস্টার নীতিগুলো টিকে থাকবে কি না, এবং জয় হবে কি না ভারতে সাংবিধানিক নৈতিকতার।  
• লেখক সাংসদ ও ভারতের প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী। মতামত ব্যক্তিগত
08th  April, 2024
তৃতীয় দফায় তাল ঠুকছে সমীকরণ
শান্তনু দত্তগুপ্ত

আতাউর রহমান (নাম পরিবর্তিত) এখন বছরের বেশি সময়টাই থাকেন গুরুগ্রামে। যেদিকে চোখ যায়, আকাশের পথে পাড়ি দিচ্ছে একটার পর একটা বহুতল। বড় বড় সব প্রজেক্ট। আতাউর সেখানেই রাজমিস্ত্রির জোগাড়ের কাজ করেন। ঠিকাদার সংস্থাই কাজ পাইয়ে দেয়। বিশদ

কংগ্রেসের ইস্তাহার মোদির হাতে মহিমান্বিত!
পি চিদম্বরম

সদিচ্ছা ও সহযোগিতার এক অভূতপূর্ব নিদর্শন রেখেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি দায়িত্ব নিয়ে কংগ্রেসের ইস্তাহারের পুনর্লিখন করেছেন। এবং, সেখানেই না থেমে তিনি তার সঙ্গে যোগ করেছেন তাঁর নিজস্ব ভাবনাচিন্তা এবং ধারণাগুলিকে।
বিশদ

29th  April, 2024
বিদ্বেষভাষণের কেন্দ্রে যখন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী
হিমাংশু সিংহ

বিশ্বকাপ ফুটবলে এমন বহুবার হয়েছে। কাপ যুদ্ধ শুরুর ছ’মাস আগে থেকে সবাই বলেছে, ব্রাজিলই এবার সেরা। চ্যাম্পিয়ন হওয়ার এক নম্বর দাবিদার। একটু তফাতে আর্জেন্তিনা। কিন্তু টুর্নামেন্ট এগতেই দেখা গেল অঘটনের ফেরে আচমকাই সেরা বাজি ছিটকে গেল। বিশদ

28th  April, 2024
লক্ষ্মীর ভাণ্ডারই বদলে দেবে অঙ্ক
তন্ময় মল্লিক

কৃষ্ণনগর পালপাড়া এলাকায় জাতীয় সড়কের ধারে একটি হোটেলে সিকিউরিটি গার্ডের কাজ করেন মধুবাবু। শরীরে ছাপোষার ছাপ স্পষ্ট। একেবারে সাদাসিধে মানুষ। কথায় কোনও মারপ্যাঁচ নেই। ভোটের হাওয়া কোন দিকে জিজ্ঞাসা করায় গড় গড় করে বলে গেলেন নিজের কথা, ‘আগে সিপিএম করতাম, এখন বিজেপি। বিশদ

27th  April, 2024
টেনশন? এতটা মরিয়া কেন মোদি? 
সমৃদ্ধ দত্ত

এতটা নার্ভাস প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে কোনওদিন লাগেনি। তিনি আসবেন দেখবেন জয় করবেন। তাঁর বক্তৃতা শুনতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা ধরে ভক্তরা অপেক্ষা করবে। মানুষ উদ্বাহু হয়ে জয়ধ্বনি দেবে প্রতিটি ঘোষণায়। মন্ত্রমুগ্ধ করে রাখবেন তিনি তাঁর জাদুভাষণে। তিনি বিশ্বগুরু। তিনি হিন্দুহৃদয় সম্রাট।
বিশদ

26th  April, 2024
‘হিন্দু’ রাজেন্দ্রপ্রসাদ বনাম মোদির ‘হিন্দুত্ববাদ’
মৃণালকান্তি দাস

রাজেন্দ্রপ্রসাদ তিওয়ারি বিশ্বনাথ মন্দিরের প্রাক্তন মহন্ত। তাঁদের পরিবার কয়েক শতাব্দী ধরে শিবঠাকুরের এই পবিত্র বাসস্থানের দায়িত্বে। দেশে ‘মন্দির রাজনীতি’ নিয়ে সেই রাজেন্দ্রপ্রসাদও আজ বিরক্ত!
বিশদ

25th  April, 2024
ফৌজদারি অভিযোগ, না প্রার্থীর অলঙ্কার?
হারাধন চৌধুরী

ভারতের বহু মানুষ এখনও নিরক্ষর। সর্বশেষ সরকারি পরিসংখ্যান বলছে, দেশে সাক্ষরতার হার ৭৭.৭০ শতাংশ। হলফ করে বলা যায়, দেশের প্রধানমন্ত্রী যখন স্বাধীনতার অমৃতকালের কথা বলেন তখন নিশ্চয় তিনি এই তথ্য মনে রাখেন না। বিশদ

24th  April, 2024
দ্বিতীয় দফায় কতটা আত্মবিশ্বাসী বিজেপি?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

ভোটের মরশুম শুরুর আগে ‘মডেল রিসোর্স’ সংস্থা কলকাতায় একটি সমীক্ষা চালিয়েছিল। পুরোদস্তুর রাজনৈতিক ইস্যু। প্রশ্নের মুখে রাখা হয়েছিল সব বয়সের এবং সবরকম শিক্ষাগত যোগ্যতার মানুষকে। নানাবিধ জিজ্ঞাস্য। কিন্তু তার মধ্যে মোক্ষম একটি প্রশ্ন ছিল, ‘আপনার মতে রামমন্দিরের জন্য ৬০০ কোটি টাকা খরচ করাটা কি যুক্তিসঙ্গত? বিশদ

23rd  April, 2024
ধর্মের নামে বজ্জাতির পরিণতি
পি চিদম্বরম

কংগ্রেস এবং বিজেপির ইস্তাহারের মধ্যে তুলনা করতে পারিনি বলে আমার গত সপ্তাহের কলামে আক্ষেপ করেছিলাম। আমার লেখার পরপরই অবশ্য ‘মোদি কি গ্যারান্টি’ নামে একটি ইস্তাহার বিজেপি প্রকাশ করে। এটা এখন ভীষণ রকমে স্পষ্ট যে বিজেপি আর একটি রাজনৈতিক দলমাত্র নয়, এটি একটি কাল্ট বা গোঁড়া ধর্মীয় গোষ্ঠীর নাম।
বিশদ

22nd  April, 2024
মোদির ইস্তাহারে মানুষ ব্রাত্য, শুধুই ব্যক্তিপুজো
হিমাংশু সিংহ

ঘটা করে ইস্তাহার বেরিয়েছে গত রবিবার। প্রধানমন্ত্রীও ইতিমধ্যেই দেশের উত্তর থেকে দক্ষিণ জনসভার সংখ্যায় হাফ সেঞ্চুরি পেরিয়ে ছুটছেন। কিন্তু বাংলার গরিব মানুষের বকেয়া একশো দিনের কাজের টাকা ছাড়ার প্রতিশ্রুতি দিতে কেউ শুনেছেন একবারও? বিশদ

21st  April, 2024
লড়াইটা মোদির আমিত্বের বিরুদ্ধে
তন্ময় মল্লিক

অপেক্ষার অবসান। প্রথম দফার ২১টি রাজ্যের ১০২টি আসনের ভোট গ্রহণ শেষ। বাংলায় তিনটি। সবচেয়ে বেশি কেন্দ্রীয় বাহিনী আসছে বাংলায়। তারমধ্যে সর্বাধিক মোতায়েন ছিল অমিত শাহের ডেপুটি নিশীথ প্রামাণিকের নির্বাচনী কেন্দ্র কোচবিহারে। বুথ পাহারায় ‘দাদার পুলিস’।
বিশদ

20th  April, 2024
আজ থেকে পরীক্ষা শুরু তরুণদের
সমৃদ্ধ দত্ত

আপনাদের কাছে এই আজ থেকে যে মহাযুদ্ধ শুরু হচ্ছে, সেটি সবথেকে বড় অগ্নিপরীক্ষা। এটা মাথায় রাখবেন। আপনারা অর্থাৎ রাজ্যে রাজ্যে ছড়িয়ে থাকা ভারতীয় রাজনীতির তরুণ প্রজন্ম কতটা যোগ্য, কতটা আপনারা  নিজেদের প্রস্তুত করতে পারলেন এবং আগামী দিনে রাজ্যবাসী আপনাদের উপর কতটা বিশ্বাস, আস্থা কিংবা ভরসা করতে পারবে, মনে রাখবেন, সেই পরীক্ষাটি আজ থেকেই শুরু হচ্ছে। বিশদ

19th  April, 2024
একনজরে
জমি দুর্নীতি মামলায় ধৃত ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনের জামিনের আবেদনের প্রেক্ষিতে ইডির জবাব চাইল সুপ্রিম কোর্ট। সোমবার এই মামলার শুনানি ছিল বিচারপতি সঞ্জীব খান্না ও বিচারপতি দীপঙ্কর দত্তের বেঞ্চে। আগামী ৬ মের মধ্যে এব্যপারে জবাব দিতে হবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী ...

আগামী দু’বছরের মধ্যে একটা ট্রফি জিততেই হবে বাবর আজমদের। ওডিআই ও টি-২০ ফরম্যাটে পাকিস্তানের প্রধান কোচের দায়িত্ব নেওয়ার পর ক্রিকেটারদের ...

অটো দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল এক বধূর। ঘটনায় জখম হয়েছেন অটোয় থাকা আরও এক যাত্রী। সোমবার সকালে ঘটনাটি ঘটে শীতলকুচি-মাথাভাঙা রাজ্য ...

‘মা-মাটি-মানুষ নিয়ে বাংলা আছে ভালো।’ এই থিম সং তৃণমূলের যে কোনও সভা শুরু হওয়ার আগেই শোনা যাচ্ছে। সেই সুরের যেন প্রতিধ্বনি শোনা গেল বর্ধমান-দুর্গাপুর কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী দিলীপ ঘোষের চা চক্রে। অবাক মনে হলেও এটাই সত্যি। তবে তিনি তৃণমূলের থিম ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

সব কর্মেই অর্থকড়ি উপার্জন বাড়বে। কর্মের পরিবেশে জটিলতা। মানসিক উত্তেজনা কমাতে চেষ্টা করুন। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

আন্তর্জাতিক নৃত্য দিবস
১৬৩৯ - দিল্লির লালকেল্লার ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপিত হয়
১৮৪৮- শিল্পী রাজা রবি বর্মার জন্ম
১৯১৭ – সঙ্গীতবিশারদ দিলীপকুমার রায়ের জন্ম
১৯১৯ - জালিওয়ান ওয়ালাবাগের নৃশংস হত্যাকান্ডের প্রতিবাদে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ব্রিটিশ প্রদত্ত নাইট উপাধি ত্যাগ করেন
১৯১৯- বিশিষ্ট তবলাবাদক ওস্তাদ আল্লারাখার জন্ম
১৯৩৯- কংগ্রেস সভাপতির পদ থেকে ইস্তফা দিলেন সুভাষচন্দ্র বসু
১৯৪৫ -  জার্মান বাহিনীর মিত্রশক্তির কাছে আত্মসমর্পণ
১৯৪৫ – ইতালির একনায়ক মুসোলিনীর মৃত্যু
১৯৪৯ -  বিশিষ্ট লোকসঙ্গীত শিল্পী উৎপলেন্দু চৌধুরীর জন্ম
১৯৫৪ -  ভারত ও চীনের মধ্যে পঞ্চশীল চুক্তি সম্পাদিত
১৯৭০ - টেনিস খেলোয়াড় আন্দ্রে আগাসির  জন্ম
১৯৮০ - চলচ্চিত্র নির্দেশক ও প্রযোজক স্যার আলফ্রেড যোসেফ হিচককের মৃত্যু
১৯৯৭ -   ব্রিটেন চীনের কাছে হংকংকে ফিরিয়ে দেয়
২০২০ - বিশিষ্টঅভিনেতা  ইরফান খানের মৃত্যু 

29th  April, 2024


ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮১.৫৭ টাকা ৮৫.০০ টাকা
পাউন্ড ১০২.১২ টাকা ১০৬.৬৩ টাকা
ইউরো ৮৭.৩৭ টাকা ৯১.৪১ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭২,৯০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৩,২৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৬৯,৬৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৬৯,৬৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮১,৪৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১৭ বৈশাখ, ১৪৩১, মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪। ষষ্ঠী ৪/৫৩ দিবা ৭/৬। উত্তরাষাঢ়া নক্ষত্র ৫৭/৩০ রাত্রি ৪/৯। সূর্যোদয় ৫/৮/৩৯, সূর্যাস্ত ৫/৫৯/৪। অমৃতযোগ দিবা ৭/৪৩ গতে ১০/১৭ মধ্যে পুনঃ ১২/৫১ গতে ২/৩৩ মধ্যে পুনঃ ৩/২৫ গতে ৫/৮ মধ্যে। রাত্রি ৬/৪৩ মধ্যে পুনঃ ৮/৫৭ গতে ১১/১২ মধ্যে পুনঃ ১/২৬ গতে ২/৫৬ মধ্যে। বারবেলা ৬/৪৫ গতে ৮/২১ মধ্যে পুনঃ ১/১০ গতে ২/৪৬ মধ্যে। কালরাত্রি ৭/২৩ গতে ৮/৪৬ মধ্যে। 
১৭ বৈশাখ, ১৪৩১, মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪। সপ্তমী রাত্রি ২/৪৫। উত্তরাষাঢ়া নক্ষত্র রাত্রি ১/৩৩। সূর্যোদয় ৫/৯, সূর্যাস্ত ৬/০। অমৃতযোগ দিবা ৭/৩৭ গতে ১০/১৪ মধ্যে ও ১২/৫১ গতে ২/৩৬ মধ্যে ও ৩/২৯ গতে ৫/১৩ মধ্যে এবং রাত্রি ৬/৪৯ মধ্যে ও ৯/০ গতে ১১/১১ মধ্যে ও ১/২২ গতে ২/৪৯ মধ্যে। বারবেলা ৬/৪৬ গতে ৮/২২ মধ্যে ও ১/১১ গতে ২/৪৭ মধ্যে। কালরাত্রি ৭/২৪ গতে ৮/৪৭ মধ্যে। 
২০ শওয়াল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আইপিএল: লখনউকে ১৪৫ রানের টার্গেট দিল মুম্বই

09:34:27 PM

আইপিএল: ৪৬ রানে আউট ওয়াধেরা, মুম্বই ১১২/৬ (১৭.১ ওভার),বিপক্ষ লখনউ

09:18:21 PM

আইপিএল: ১ রানে আউট নবি, মুম্বই ১২৩/৭ (১৮.১ ওভার),বিপক্ষ লখনউ

09:12:19 PM

আইপিএল: ৩২ রানে আউট ঈশান কিষান, মুম্বই ৮০/৫ (১৪ ওভার),বিপক্ষ লখনউ

08:49:28 PM

আইপিএল: মুম্বই ৬৫/৪ (১১ ওভার),বিপক্ষ লখনউ

08:45:55 PM

আইপিএল: ০ রানে আউট হার্দিক পান্ডিয়া, মুম্বই ২৭/৪ (৫.২ ওভার),বিপক্ষ লখনউ

08:17:17 PM