যে কোনও ব্যবসায় অগ্রগতি আশা করা যায়। মেডিক্যাল রিপ্রেজেন্টেটিভদের কর্মের প্রয়োগ পদ্ধতি নিয়ে সমস্যা হতে ... বিশদ
তৃণমূলেরও দাবি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আমালে বাংলার মানুষ শান্তিতে ও ভালো আছে। শাসকদলের সেই দাবিতে কার্যত সিলমোহর দিলেন দিলীপবাবু। তৃণমূল নেতা দেবু টুডু বলেন, দিদির হাতে বাংলা সুরক্ষিত। মানুষ ভালো আছে। সেটা দিলীপবাবু দেরিতে হলেও বুঝেছেন। এরপর আর তাঁর ভোট চাওয়া উচিত নয়।
এদিন দিলীপবাবু বর্ধমানের কালীবাজারে চা চক্রে অংশ নেন। পথচলতি লোকজনের সঙ্গে পরিচয় করছিলেন। সেইসময় বিষ্টু সরকার নামে এক বৃদ্ধ তাঁর কাছে এসে বলেন, ওষুধের দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন। ইলেক্টোরাল বন্ডে টাকা নেওয়ার জন্য সব ওষুধের দাম বেড়ে গিয়েছে। তাঁর এই কথায় বিজেপি প্রার্থী অস্বস্তিতে পড়ে যান। পরে তিনি বলেন, মোদিজির জনঔষধি দোকানে ওষুধের ৯০ শতাংশ ছাড় দিচ্ছে। বৃদ্ধ জানতে চান, ওই দোকান পাব কোথায়? তারপর ব্যাঙ্কে সুদ কমে যাচ্ছে। গ্যাসের দাম বেড়ে গিয়েছে। তিন বছর ধরে গ্যাসের দাম বেড়ে চলছে। এই কথায় দিলীপবাবুর অস্বস্তি আরও বাড়ে। তিনি বলেন, গ্যাসের দাম আমরাই কমাব। চিন্তা নেই। প্রশ্নকর্তা তাঁকে বলেন, আর কবে কমাবেন?
চা চক্র থেকে বেরিয়ে বিষ্টুবাবু বলেন, ওঁর কাছে কোনও প্রশ্নেরই সদুত্তর পেলাম না। রেলে বয়স্কদের জন্য আগে ছাড় দেওয়া হতো। সেটাও এখন দেওয়া হচ্ছে না। এসব বলতে গেলে তিনি অন্য কথা শোনালেন। দু’বেলা ভাতের কারও অভাব নেই। কিন্তু ওষুধের দাম বেড়ে যাওয়ায় তা কিনতে সমস্যা হচ্ছে। দিলীপবাবু বলছেন, কেন্দ্রের নিয়ন্ত্রণাধীন দোকান থেকে ওষুধ কিনতে। এই দোকান শহরে একটা বা দু’টো রয়েছে। তা খুঁজে বের করব কীভাবে? অনেকে গ্যাস সিলিন্ডার কিনতে পারছেন না। তবে এদিন মূল্যবৃদ্ধির সাফাই দিতে গিয়ে দিলীপবাবু ‘বাংলা আছে ভালো’ জাতীয় উত্তর দেওয়ায় শাসকদল প্রচারে নতুন অস্ত্র পেয়ে গিয়েছে। তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, বাংলায় মানুষের আয় বেড়েছে। কাজের সুযোগ ঘটেছে। সেই কারণেই দিলীপবাবুর কথা অনুযায়ী মানুষ দু’হাজার টাকা কেজি ইলিশ কিনতে লম্বা লাইন দিচ্ছে।