Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

কী চায় রাষ্ট্র?
কী চাই আমরা?
সমৃদ্ধ দত্ত

পেট্রল ডিজেলের দাম কম হলে কাদের উপকার হয়? আমাদের। ব্যাঙ্কে  ফিক্সড ডিপোজিটের উপর সুদের হার যত বেশি হবে ততই কাদের মুখে হাসি ফুটবে? আমাদের। জিনিসপত্রের দাম যদি সরকার প্রবল কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করে তাহলে সংসার চালানোয় স্বস্তি কাদের হয়? আমাদের। যদি দেখা যায় ওষুধের দাম বেশ কমে গিয়েছে, কারা খুব খুশি হবে? আমরা। রেল, ব্যাঙ্ক, রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা, সরকারি দপ্তরে নিয়ম করে প্রচুর কর্মী নিয়োগ করা হচ্ছে এবং আমাদের ঘরের ছেলেমেয়েরা যোগ্যতা অনুযায়ী অ্যাপ্লাই করছে, পরীক্ষা দিচ্ছে, চাকরি পাচ্ছে, তাহলে কাদের মনে শান্তি আসবে? আমাদের। যদি দেখা যায় ট্রেন ও বিমানের ভাড়া আয়ত্তের মধ্যে আছে, কারা সন্তুষ্ট হবে? আমরা। সরকার খুব উদ্যোগী হয়ে নানাবিধ শিল্পস্থাপন করে কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করলে কাদের মনে আশা সঞ্চার হবে যে, উন্নয়ন হচ্ছে? আমাদের। রান্নার গ্যাসের দামে যদি সরকার ভর্তুকি দিয়ে সাধারণের সাধ্যের মধ্যে রাখার একটা সৎ চেষ্টা করে, তাহলে মাসের শেষে সামান্য সাশ্রয়ে কাদের মনে বেশ একটু আনন্দ হয়? আমাদের। প্রচুর ডাক্তার, নার্সিং এবং মেডিকেল কর্মী তৈরি করার লক্ষ্য নিয়ে যদি দেশজুড়ে এরকম অসংখ্য মেডিকেল কলেজ, প্যারা মেডিকেল কোর্স, নার্সিং ট্রেনিং ইনস্টিটিউট সরকারই উদ্যেোগ নিয়ে তৈরি করে, সেটা দেখে প্রবল আশাবাদের সঞ্চার হবে কাদের মনে? আমাদের। যদি সরকার নিয়ম করে জানার চেষ্টা করে সাধারণ মানুষ কী চায়! তাহলে সেই সরকারের উপর কৃতজ্ঞতা তৈরি হবে কাদের? আমাদের। যাদের অনেক টাকা আছে তাদের পরিবারের পুত্রকন্যারা স্কুলের পাশাপাশি অন্য প্রাইভেট নামজাদা ইনস্টিটিউটে পড়াশোনা করে ডাক্তারি, ইঞ্জিনিয়ারিং ও আইআইটি পরীক্ষায় অনায়াসে চান্স পেয়ে যাবে এটা দিনের পর দিন আর যদি দেখতে না হয়, এবং সরকারও এভাবেই দেশজুড়ে বিশেষ প্রশিক্ষণ কেন্দ্র খুলে স্পেশাল কোর্সের ব্যবস্থা করে, তাহলে সবথেকে কাদের মনের কষ্ট দূর হবে বৈষম্য থেকে বাঁচার জন্য? আমাদের। আরও অনেক কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়, অনেক কেন্দ্রীয় স্কুল, কেন্দ্রীয় হাসপাতাল যদি গড়ে ওঠে রাজ্যে রাজ্যে,  তাহলে কাদের ঘরের সন্তানেরা আর কখনও বহু চেষ্টা করেও ভালো কোথাও চান্স না পাওয়ার জন্য মনখারাপ করবে না? আমাদের। প্রচুর লোকাল ট্রেন যদি চলে এবং সেটা চালানোর জন্য‌ পর্যাপ্ত পরিকাঠামো, একাধিক জংশন, টার্মিনাল তৈরি করে ফেলা হয়, তাহলে আর প্রাণান্তকর গরমে ভিড়ে ঠাসা হয়ে যাতায়াত করতে হবে না কাদের? আমাদের। কলকাতা, শহরতলি, জেলায় মেট্রো রেলের নেটওয়ার্ক  দ্রুত যুদ্ধকালীন তৎপরতায় বাড়ানো হলে কাদের জীবনের মানচিত্রটাই বদলে যাবে? আমাদের। যদি প্যাথলজি ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক সেন্টারের বিভিন্ন রোগনির্ণয় টেস্টের দাম কমে যেত তাহলে কারা একটু হাঁফ ছেড়ে বাঁচবে? আমরা। 
উপরের এই যে কথা গুলো বলা হল তার মধ্যে কোন পয়েন্টটা অসম্ভব এক অবাস্তব চিত্র? একটিও নয়। তাহলে আমরা এর একটাও কেন পেলাম না এখনও? কারণ, রাষ্ট্র এসব নিয়ে ভাবেই না। কেন ভাবে না? কারণ, রাষ্ট্র আমাদের গুরুত্ব দেয় না। আমাদের চাওয়া পাওয়ার অঙ্কটা তারা জানে না। জানার চেষ্টাও করে না। কারণ,এই ক্ষুদ্র মাঝারি জীবনগুলো তারা যাপন করে না। একটা কথা বুঝতে বোধহয় এখনও অনেকের অসুবিধা হচ্ছে। সেটা হল, বর্তমান রাষ্ট্র পরিচালকরা মানুষের নিত্যদিনের সমস্যা, দুর্ভোগ, জীবিকার সঙ্কট, একটু স্বস্তিকর জীবন, আর একটু আয় বৃদ্ধির আশা, সাধারণ মানুষের ছেলেমেয়ের চাকরি, পেশা, চিকিৎসার সুরাহা ইত্যাদি নিয়ে সামান্যতম চিন্তিত নয়। কারণ রাষ্ট্র দেখেছে এসব চরম সঙ্কটে একটা গোটা জীবন কাটিয়ে দিলেও সাধারণত আমরা এসব নিয়ে কোনও আপত্তি করি না, আলাপ আলোচনা করি না, ভোটের ইস্যু হয় না এবং সিরিয়াসলিই নিই না। তাই আজকাল দেখা যাবে সরকারের ঘোষিত কোনও বিরাট প্রকল্প আমাদের কোনও উপকারে লাগছে না। আমাদের জীবনযাপনের বিশেষ উন্নতি ঘটছে না। 
আমাদের যে বিষয়গুলিতে উপকার হবে, সেগুলো নিয়ে প্রকৃত অভিজ্ঞতা কী? ঠিক উল্টো। পেট্রপণ্য, রান্নার গ্যাসের দাম বেড়েছে, ব্যাঙ্কে ফিক্সড ডিপোজিট ও স্বল্প সঞ্চয় প্রকল্পে সুদের হার কমেছে, ওষুধের দাম বেড়েছে, খাদ্যপণ্যের দাম বেড়েছে। হাসপাতালের খরচ বেড়েছে, চাকরির সুযোগ কমে গিয়েছে। অথচ আমাদের ট্যাক্স বেড়েছে। জিএসটি বেড়েছে। আমরা এতবড় একটা কোভিড সংক্রমণ চলার পরও আজও আমরা দেখছি না যে, দিকে দিকে হাসপাতাল, ডায়াগনসিস ক্লিনিক গড়ে উঠছে। এসবের বদলে আমাদের চোখের সামনে, রীতিমতো আস্ফালন করে এবং জয়ঢাকের প্রচার বাজিয়ে কী কী বিষয়ের উপর সবথেকে বেশি জোর দেওয়া হয়েছে? কোনও দরকার না থাকা সত্ত্বেও আচমকা বাজারে চালু দুটি নোট বাতিল করে দেওয়া হয়েছে। কাশ্মীর, অযোধ্যা, এনআরসি, সিএএ নিয়ে যুদ্ধ করা হয়েছে জনগণের সঙ্গে। অথচ আমাদের সামান্যতম জীবনে প্রত্যক্ষ উপকার হবে এরকম একটিও কাজ করা হয়নি। রাষ্ট্রকে আমরা ট্যাক্স দেব, বিনিময়ে কিছুই পাব না। 
বর্তমান রাষ্ট্র পরিচালক বুঝে গিয়েছে যে, সোশ্যাল মিডিয়া আসার পর থেকে ভারতবর্ষ থেকে একটি জিনিস আশ্চর্যজনকভাবে উধাও হয়ে গিয়েছে। সেটি হল আন্দোলন। ভারতে এখন আর সাংগঠনিকভাবে কোনও শ্রমিক আন্দোলন হয় না। কারণ কোনও রাজনৈতিক দলেরই শক্তিশালী শ্রমিক সংগঠন বা শাখা নেই। ভারতবর্ষে কোনও কৃষক আন্দোলনকে রাজনৈতিক দল সংগঠিত করতে পারে না। যারা করতে পারে, তারা একবার দু’বার একটি দুটি পদযাত্রা করে, সোশ্যাল মিডিয়ায় ছবি প্রচার করে এবং স্তিমিত হয়ে যায়। এই যে গত বছর থেকে দিল্লির সীমান্তের কৃষকদের আন্দোলন চলছে, সেখানে বৃহত্তর রাজনৈতিক দলগুলির ভূমিকা শূন্য। তারা এই আন্দোলনকে দিশা দেখাতে ব্যর্থ। এমনকী এখন আর রাজনীতির কোনও দল মাথাও ঘামাচ্ছে না যে মাসের পর মাস ধরে কৃষক অবস্থান চলছে। যা কেন্দ্রীয় সরকারকে অনেক সুবিধা করে দিয়েছে। সাধারণ মানুষ ও বিরোধী রাজনীতির এই যে একটি ইস্যুতে বেশিদিন ধরে জড়িয়ে থাকতে না পারার অস্থিরমতি মনোভাব, এটা রাষ্ট্রকে সবথেকে আনন্দ দিয়েছে। রাষ্ট্র বুঝতে পেরেছে, প্রতিটি প্রতিবাদ, ক্ষোভ, বিক্ষোভ সাময়িক। সেটাকে চরম পর্যায়ে নিয়ে যেতে কেউ সক্ষম নয়। এখন আর কোনও আর্থ সামাজিক রাজনৈতিক আন্দোলন করে না কোনও রাজনৈতিক দল। এই বদলে যাওয়া সময়ে সরকার বিরোধী আন্দোলন ঠিক কীভাবে করতে হয়, সেই রূপরেখাটিই স্পষ্ট নয়। কোনও প্রতিবাদ আন্দোলনকেই চরম রাজনৈতিক ইস্যুতে পরিণত করতে ব্যর্থ হচ্ছে বিরোধী দল।  কংগ্রেস এখন একটি দিশাহীন দল। জাতীয় স্তরে এই কাঠামো নিয়ে এই দলের কোনওরকম ঘুরে দাঁড়ানোর আশা প্রায় নেইই। 
সুতরাং প্রধান বিরোধী দলটি যে নিষ্কর্মা, সেটা আজকের রাষ্ট্র ও শাসক দল সম্পূর্ণ বুঝে গিয়েছে। সাংবাদিক সম্মেলন ও ট্যুইটার। এই দুটি ছাড়া তাদের অস্তিত্ব নেই। তাই সাধারণ মানুষের নিত্যদিনের সমস্যাকে দূর করার পরিবর্তে আরও বেশি জনগণের উপর চাপ দিতে কোনও সংকোচ করছে না রাষ্ট্র। আজ পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রীর মুখে আমরা শুনিনি পেট্রল ডিজেল, রান্নার গ্যাস, সর্ষের তেল, ডাল, কর্মসংস্থান, ওষুধ, হাসপাতাল, পরিবহণ, ব্যাঙ্ক ডাকঘরের সুদ নিয়ে সামান্য উদ্বেগ প্রকাশ করতে।  রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে মরি‌য়া কোনও আশ্বাস বা প্রতিশ্রুতি দেওয়া হল না যে, আমরা এসব নিয়ন্ত্রণ করবোই। প্রতিজ্ঞা করছি। কেন বলছে না সরকার? 
কারণ, একটি সূক্ষ্ম কৌশল নিয়েছে আজকের রাষ্ট্র। তারা মানুষের মনের মধ্যে প্রোথিত করে দিতে চাইছে, এই যে নিত্যদিনের জীবনযাপনের দায়, মূল্যবৃদ্ধি, এসব তোমাদের ব্যক্তিগত সমস্যা। একক দায়িত্ব। এর সঙ্গে লড়াই করতে হবে তোমাকে। পারলে টিকবে। নয়তো একটু সামাজিকভাবে নীচে নেমে যাবে। রাষ্ট্র বলতে চাইছে, সরকারের এসব নিয়ে ভাবনার কোনও দায় নেই। আমরা রামমন্দির গড়ে দেব, আমরা অত্যাধুনিক ক্রুজ মিসাইল এনে দেব আর্মিকে, আমরা অভিন্ন দেওয়ানি বিধির প্রতিশ্রুতি দেব, আমরা পাকিস্তান ও চীনকে হুমকি হুঁশিয়ারি দেব তোমাদের মধ্যে ন্যাশনালিস্ট মনোভাবকে উস্কে দেওয়ার জন্য। আমরা বলব, এই দেখো কাশ্মীরে আর ৩৭০ নেই, আমরা তোমাদের প্রত্যেকের জাতিধর্মসম্প্রদায়ের আইডেন্টিটির ইগোকে সর্বদা জাগ্রত রাখব, আমরা ডিজিট্যাল ‌ইন্ডিয়ায় ফাইভ জি আনার ঘোষণা করব। এসবকেই একদিন তোমরা সরকারের চরম সাফল্য, দেশের গর্ব, রাষ্ট্রের উত্থান হিসেবে মনে করবে। আমাদের প্রধান চালিকাশক্তি হবে অদৃশ্য এক বিভাগ। যা নেই, কিন্তু আছে। মিনিস্ট্রি অফ প্রোপাগান্ডা! রান্নার গ্যাস, ব্যাঙ্কের সুদ আর চাকরি না পাওয়ার হাহাকারকে ছাপিয়ে একদিন এই তোমরাই সকলে বলে উঠবে, জয়তু রাষ্ট্র!  
09th  July, 2021
মোদিজি কবে বুঝবেন
ধামাকায় পেট ভরে না!
হিমাংশু সিংহ

একনায়কের মন্ত্রিসভায় মন্ত্রীরা তো আজ শুধু চিড়েতন, হরতন, ইস্কাবন ছাড়া কিছুই নয়! সনাতন ছন্দে নেচে যাওয়াটাই একমাত্র কাজ। নাহলে বাংলার ভোটপর্বে দীর্ঘ সময় তেলের দাম বৃদ্ধিতে ছেদ পড়েছিল কেমন করে। পর্দার পিছন থেকে খেলাচ্ছে কে? আবার ২ মে বাংলায় বিজেপির ভরাডুবির খবর বেরতেই দাম বাড়ানোর পুরনো খেলা শুরু হল কার নির্দেশে?
বিশদ

‘হাফ মন্ত্রী’ ও বিজেপির অঙ্ক
তন্ময় মল্লিক

সঙ্ঘ থেকে উঠে আসা সাংসদদের চোখের সামনে দিয়ে ‘দু’দিনের যোগী’রা ড্যাং ড্যাং করে মন্ত্রী হয়ে যাচ্ছেন। ইমেজ বা শিক্ষা নয়, ভোটে জেতানোর ‘ক্ষমতা’ই নেতাদের কাছে স্বীকৃতি পাচ্ছে। লোকসভা নির্বাচন যত এগিয়ে আসবে এই প্রবণতা ততই বাড়বে। বিশদ

10th  July, 2021
অশান্ত সময়ে ফিরছে
আফগানিস্তান!
মৃণালকান্তি দাস

 

তালিবানদের একটা বড় অংশই কাবুলে ভারতের উপস্থিতি এবং কাজকে স্বীকৃতি দেয়। তারা প্রাথমিক ভাবে চাইবে না ভারতকে হটাতে। পাশাপাশি এটাও ধর্তব্যের মধ্যে রাখা হচ্ছে যে, আফগানিস্তান থেকে ভারত-বিরোধী জঙ্গিদের উচ্ছেদ করতে তালিবান হয়তো বিশেষ সক্রিয়তা দেখাবে না।
বিশদ

08th  July, 2021
দেশের মানুষের কুকথায় জর্জরিত মোদি
সন্দীপন বিশ্বাস

নিজের নাক কেটে অন্যের যাত্রাভঙ্গ। শুধু কৌশল করে মমতাকে বিপাকে ফেলাই এখন মোদিবাবুদের এক নম্বর অ্যাজেন্ডা। চুলোয় যাক দেশ শাসন, চুলোয় যাক পেট্রলের দাম একশো টাকায় পৌঁছে যাওয়া, বাড়ুক যত ইচ্ছে গ্যাসের দাম, নাক কাটা যাক রাফাল কেলেঙ্কারি নিয়ে, ভ্যাকসিন কেলেঙ্কারি নিয়ে ধিক্কার উঠুক, সেসব বোধহয় এখন আর মোদিবাবু পরোয়া করেন না। বিশদ

07th  July, 2021
মোদির ভারতে নিঃস্ব হওয়ার পথে মধ্যবিত্ত
শান্তনু দত্তগুপ্ত

 

স্বাধীনতার ঠিক পরের ঘটনা। তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরু বলেছিলেন, ‘সঞ্চয় একটা বিপ্লব। আমার কাছে এর গুরুত্ব অসীম। ন্যাশনাল সেভিংস গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, এর মাধ্যমে দেশবাসী তাঁদের আয়ের থেকে কিছু অংশ বাঁচিয়ে রাখবেন ভবিষ্যতের জন্য। বিশদ

06th  July, 2021
আমাদের ডানা ছিল, উড়তে শিখেছিলাম
পি চিদম্বরম

আমূল পরিবর্তন আনার জন্য আমি ঝাঁপিয়েছিলাম। আমদানি-রপ্তানির প্রধান নিয়ন্ত্রকের দপ্তর আমরা তুলে দিয়েছিলাম। ‘ইন্ডিয়ান ট্রেড সার্ভিস’ গুটিয়ে দিয়েছিলাম আমরা। বিদায় দিলাম ‘রেড বুক’-কে—একটা সফল বণিক জাতিকে, ইয়া বড়া বইটা ৪০ বছর যাবৎ শ্বাসরোধ করে রেখেছিল। বিশদ

05th  July, 2021
 ধনতন্ত্রের চীনে কমিউনিস্ট পার্টির শতবর্ষ
 হিমাংশু সিংহ

অত্যন্ত গরিব পরিবারে জন্ম। ১২ বছর বয়সেই স্কুল ড্রপ আউট। এখন বয়স ৬৬। এই মুহূর্তে বদলে যাওয়া ধনতান্ত্রিক চীনের অন্যতম উজ্জ্বল মুখ শিল্পপতি ঝাং শানশান। বৃহৎ বিলিয়নেয়ার সংস্থার কর্ণধার তিনি।
বিশদ

04th  July, 2021
ঘরছাড়ার রাজনীতির শেষ কোথায়?
তন্ময় মল্লিক

বাম জমানার ‘ঘরছাড়া’র ট্র্যাডিশন তৃণমূলের রাজত্বেও চলবে, এমনটা বলার কোনও জায়গা নেই। বহু ক্ষেত্রেই ঘরছাড়া করার পিছনে ব্যক্তিগত দ্বন্দ্ব কাজ করে। অনেকের কাছে এটা টাকা কামানোর রাস্তা। বিশদ

03rd  July, 2021
বিরোধী রাজনীতির
দিশাহীনতার কারণ কী?
সমৃদ্ধ দত্ত

বিরোধীদের এতটা দৈন্যদশা স্বাধীনতার পর পশ্চিমবঙ্গে দেখেনি। দুটি ঐতিহাসিক দল শূন্য হয়ে গিয়েছে। আর যারা নতুন শক্তিশালী বিরোধী হিসেবে অবতীর্ণ হয়েছে, তারা সকলেই সম্পূর্ণ দিশাহীন। এই মুহূর্তে বিরোধী দলগুলির কাছে সবথেকে বড় সঙ্কট হল ইস্যুহীনতা।
বিশদ

02nd  July, 2021
হারানো রাজবংশের নয়া মহারাজ
মৃণালকান্তি দাস

বুবুগ্রা। ত্রিপুরার উপজাতিদের ককবরক ভাষায় এর অর্থ মহারাজ। ত্রিপুরার রাজপরিবারের বংশধর প্রদ্যোত কিশোর দেববর্মাই এখন ত্রিপুরার উপজাতিদের বুবুগ্রা। তাঁর পাকানো গোঁফ নেই।
বিশদ

01st  July, 2021
শ্রীরামের আজ মোদি রাখি না যোগী রাখি দশা
হারাধন চৌধুরী

‘গোরখপুর মে রহনা হ্যায় তো যোগী যোগী কহনা হ্যায়!’এই ছিল হিন্দুত্বের পোস্টার বয় আদিত্যনাথের অনুগামীদের স্লোগান। ২০১৭। লখনউতে মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে সবচেয়ে যোগ্য ব্যক্তি খুঁজে পেতে দল যখন দিশেহারা, তখন আস্তিনের তলা থেকে তাস বের করলেন নরেন্দ্র মোদি—গোরক্ষপুরের সাংসদ।
বিশদ

30th  June, 2021
উপায় মহাজোট... কংগ্রেসকে নিয়েই
শান্তনু দত্তগুপ্ত

মহাভারতের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রের নাম কী? রাজনীতির নিরিখে দেখলে শ্রীকৃষ্ণ ছাড়া অন্য কোনও নাম মাথায় আসবে না। অথচ, তিনি মহারাজা ছিলেন না, কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধেও সরাসরি অংশগ্রহণ করেননি।
বিশদ

29th  June, 2021
একনজরে
দলীয় কর্মীর গালে চড় মেরে বিতর্কে জড়ালেন কর্ণাটক কংগ্রেসের সভাপতি ডি কে শিবকুমার। ঘটনাটি সকলের সামনেই ঘটে। একাধিক ক্যামেরাতেও তা বন্দি হয়। পরে সাংবাদিকদের ভিডিওটি ...

উইম্বলডন চ্যাম্পিয়ন হলেন বিশ্বের এক নম্বর খেলোয়াড় অ্যাশলি বার্টি। অস্ট্রেলিয়ার এই তারকা শনিবার ফাইনালে ৬-৩, ৬-৭ (৪), ৬-৩ সেটে হারালেন চেক প্রজাতন্ত্রের ক্যারোলিনা প্লিসকোভাকে। ...

দুর্গাপুর ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডের ফরিদপুর এলাকায় ছাইয়ের স্তূপ থেকে শনিবার অজ্ঞাতপরিচয় এক মহিলার পচাগলা মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। পুলিস জানিয়েছে, মৃতার বয়স আনুমানিক ৪৫ বছর। ...

দোকানে হালখাতা সেরে বাড়ি ফেরার পথে দুষ্কৃতীদের গুলিতে মৃত্যু হল এক স্বর্ণ ব্যবসায়ীর। শুক্রবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার হিলি থানার তিওরে। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

বিদ্যার্থীরা মাঝে মধ্যে মানসিক উদ্বেগের জন্য শিক্ষায় অমনোযোগী হয়ে পড়বে। কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে নানা সুযোগ আসবে। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস
১৮২৩ সালের এই দিনে ভারতের তৈরি প্রথম জাহাজ ডায়না কলকাতা বন্দর থেকে আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু করে।
১৮৮৯ সালের এই দিনে অবিভক্ত ভারতের কলকাতায় প্রথম প্রতিযোগিতামূলক ফুটবল টুর্নামেন্ট শুরু হয়।
১৯২১: মঙ্গোলিয়ায় গণপ্রজাতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করল লাল ফৌজ
১৯৩০ সালের এই দিনে অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটার ডন ব্রাডম্যান এক দিনে ৩০৯ রান করার রেকর্ড করেন, পরে টেস্ট ম্যাচে তা ৩৩৪ রানের সর্বোচ্চ রেকর্ড হয়েছিল।
১৯৫৬: সাহিত্যিক অমিতাভ ঘোষের জন্ম
১৯৬২: প্রথম ট্রান্সআতলান্তিক স্যাটেলাইট টেলিভিশনের সম্প্রচার শুরু হল
১৯৬৭: সাহিত্যিক ঝুম্পা লাহিড়ির জন্ম
১৯৭২: বিশ্ব দাবা চ্যাম্পিয়নশিপে প্রথম খেলা ববি ফিশার ও বরিস স্পাসকির মধ্যে শুরু হল
১৯৭৯: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম মহাকাশ স্টেশন স্কাইল্যাব পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ করে। সেটিকে ভারত মহাসাগরে ফেলে ধ্বংস করা হয়।
২০০৬: মুম্বইয়ে ধারাবাহিক বিস্ফোরণে ২০৯জনের মৃত্যু
২০১২: আবিষ্কার হল প্লুটোর পঞ্চম উপগ্রহ এস/২০১২ পি ১



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭৩.৮৯ টাকা ৭৫.৬১ টাকা
পাউন্ড ১০১.২৩ টাকা ১০৪.৭২ টাকা
ইউরো ৮৬.৯৩ টাকা ৯০.০৯ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
10th  July, 2021
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৪৮,৭০০
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৪৬,২০০
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৪৬,৯০০
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৬৯,৪০০
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৬৯,৫০০
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

২৬ আষাঢ় ১৪২৮, রবিবার, ১১ জুলাই ২০২১। প্রতিপদ ৬/৫১ দিবা ৭/৪৮। পুষ্যা নক্ষত্র ৫৩/১৭ রাত্রি ২/২২। সূর্যোদয় ৫/৩/১, সূর্যাস্ত ৬/২০/৫৭। অমৃতযোগ দিবা ৬/৪৯ গতে ৯/২৯ মধ্যে পুনঃ ১২/৮ গতে ২/৪৮ মধ্যে। রাত্রি ৭/৪৬ মধ্যে পুনঃ ১০/৩৮ গতে ১২/৪৬ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৪/৩৪ গতে ৫/২৭ মধ্যে। বারবেলা ১০/২ গতে ১/২১ মধ্যে। কালরাত্রি ১/২ গতে ২/২২ মধ্যে। 
২৬ আষাঢ় ১৪২৮, রবিবার, ১১ জুলাই ২০২১। প্রতিপদ দিবা ৬/৫৮। পুষ্যা নক্ষত্র রাত্রি ২/১৭। সূর্যোদয় ৫/৩, সূর্যাস্ত ৬/২৩। অমৃতযোগ দিবা ৬/৫১ গতে ৯/২৯ মধ্যে ও ১২/৪৯ গতে ২/৪৯ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৪৭ মধ্যে ও ১০/৩৮ গতে ১২/৪৮ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৪/৩৫ গতে ৫/২৯ মধ্যে। বারবেলা ১০/৩ গতে ১/২৩ মধ্যে। কালরাত্রি ১/৩ গতে ২/২৩ মধ্যে। 
৩০ জেল্কদ।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
রাজ্যে দৈনিক সংক্রমণের গ্রাফ নিম্নমূখী, কমছে মৃত্যুর সংখ্যাও
গতকালের তুলনায় রাজ্যে আরও বেশ কিছুটা কমল করোনায় দৈনিক সংক্রমণ ...বিশদ

07:36:19 PM

মহিষাদলে শুরু লেত উৎসব
শুক্রবার বিকেলে মহিষাদলে শুরু হল রথের নেত্রদান বা লেত উৎসব। ...বিশদ

05:49:11 PM

তামিলনাড়ুতে বিরল প্রজাতির সামুদ্রিক প্রাণী সহ গ্রেপ্তার ১
তামিলনাড়ুতে বিরল প্রজাতির সামুদ্রিক প্রাণী সহ একটি নৌকা বাজেয়াপ্ত। ঘটনায় ...বিশদ

05:44:15 PM

পেট্রোপণ্য ও গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধি, মাথাভাঙায় তৃণমূলের প্রতিবাদ  মিছিল
মাথাভাঙা-২ ব্লকের নিশিগঞ্জে পেট্রোপণ্য ও রান্নার গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে অভিনব ...বিশদ

04:15:00 PM

কোভিড বিধি ভঙ্গ করায় আলিপুরদুয়ারে গ্রেপ্তার ৪ ব্যবসায়ী

04:01:25 PM

শহরে প্যাঙ্গোলিনের আঁশ ও নখ সহ গ্রেপ্তার ২
কলকাতায় একটি বাস থেকে উদ্ধার প্যাঙ্গোলিনের আঁশ ও নখ। ঘটনাস্থল ...বিশদ

03:53:36 PM