Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

 ধনতন্ত্রের চীনে কমিউনিস্ট পার্টির শতবর্ষ
 হিমাংশু সিংহ

অত্যন্ত গরিব পরিবারে জন্ম। ১২ বছর বয়সেই স্কুল ড্রপ আউট। এখন বয়স ৬৬। এই মুহূর্তে বদলে যাওয়া ধনতান্ত্রিক চীনের অন্যতম উজ্জ্বল মুখ শিল্পপতি ঝাং শানশান। বৃহৎ বিলিয়নেয়ার সংস্থার কর্ণধার তিনি। তাঁর কোম্পানির নাম নংফু স্প্রিং। সোজা কথায়, গোটা চীনকে বিশুদ্ধ বোতলে ভরা পানীয় জল উপহার দেন। সঙ্গে ওষুধের ব্যবসাও আছে। মোট সম্পদের পরিমাণ ৭০ বিলিয়ন ডলার। ভারতীয় টাকায় পরিমাণটা প্রায় ৫ লক্ষ ২৩ হাজার কোটি টাকার কাছাকাছি। গত বছরের লকডাউনের সময় এই হিসেবেই পিছনে ফেলে দিয়েছিলেন আমাদের মুকেশ আম্বানিকেও। তবে খুব কম সময়ের জন্য। এশিয়ার সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি কে? সেই লড়াই, শেয়ার বাজারের ওঠানামার সঙ্গে আজও চলছে। সর্বশেষ হিসেব অনুযায়ী, চীনে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন আর এক ধনকুবের মা হুয়াতেং। ইন্টারনেট মিডিয়া সংস্থা টেনসেন্টের মালিক তিনি।  জ্যাক মা, চীনের আর এক পরিচিত উদ্যোগপতি। তাঁর ই-কমার্স সংস্থা আলিবাবা আজ শুধু চীনের চৌহদ্দিতে সীমাবদ্ধ না থেকে গোটা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে। আলোড়ন তুলছে মার্কিন মুলুকেও। সম্পদের মোট পরিমাণ ভারতীয় টাকায় সাড়ে তিন লক্ষ কোটি টাকার মতো। টিকটক খ্যাত আর এক চীনা ধনকুবের ঝাং ইমিং। তালিকাটা দীর্ঘ। এরকম প্রায় ৬৯৮ জন বিলিয়ন ডলারের অধিপতি আজ চীনের সম্পদ। সামনে শুধু আমেরিকা। ট্রাম্প-বাইডেনের দেশে এরকম ধনকুবেরের সংখ্যাটা সামান্য বেশি, ৭২৪। তৃতীয় স্থানে ভারত। ব্যক্তিগত পুঁজির রমরমায় এঁরাই আজ আধুনিক চীনের নিয়ন্ত্রক। সেখানে লাল পার্টির আদর্শের সঙ্গে কোনও বিরোধ পুঁজির এই জয়যাত্রায় বাধা সৃষ্টি করেনি। উল্টে গত তিন দশকে ক্রমাগত ব্যক্তি পুঁজির এই উত্থানই সর্বক্ষেত্রে চীনকে এগিয়ে দিয়েছে। মাথাব্যথা বাড়িয়েছে খোদ আমেরিকা ও পশ্চিমী ভোগবাদী সমাজের।
আসলে গত ১ জুলাই মাও সেতুংয়ের হাতে গড়া চীনা কমিউনিস্ট পার্টির শতবর্ষের আবহে দেশটার বদলে যাওয়া এই ধনতান্ত্রিক চেহারাটাই এখন প্রধান আলোচ্য। ব্যক্তিগত পুঁজির জন্য দরজাটা হাট করে না খুললে আখেরে দেশের অগ্রগতিই আটকে যাবে, হবে না উন্নয়নও। এই উপলব্ধিই চীনা কমিউনিস্ট পার্টিকে একশো বছর পরও অক্লেশে বাঁচিয়ে রেখেছে। গোটা বিষয়টাই ধনতন্ত্রের আবাহনের কথা শুনলেই এখনও উল্টো দিকে হাঁটা দেওয়া আমাদের দেশীয় কমরেডদের কাছে শিক্ষারও বইকি। যদি চীনের উন্নয়ন ও সময়ের সঙ্গে নিজেকে বদলে ফেলার বার্তাটা বাংলার কমরেডদের কানে ঠিক সময়ে পৌঁছত, তাহলে বিধানসভা নির্বাচনে মাত্র সাড়ে তিন শতাংশ ভোটে তাদের থমকে যেতে হতো না। 
চীনা লাল পার্টির জন্ম ১৯২১এ। আর স্বাধীন গণপ্রজাতন্ত্রী চীনের যাত্রা শুরু ১৯৪৯ সালে। আর ২৮ বছর পর দেশটার শতবর্ষ। মাও বেঁচে ছিলেন ১৯৭৬ পর্যন্ত। সত্তরের দশকে এই বাংলাতেও ‘চীনের চেয়ারম্যান আমাদের চেয়ারম্যান’ পোস্টার দেখেছি আমরা। মাওয়ের চলে যাওয়ার পর কেটে গিয়েছে সাড়ে চার দশক। তার চেয়েও বড় কথা, ঠিক ৩০ বছর আগে তাল কেটে গিয়েছে রুশ কমিউনিস্ট পার্টির। সেই থেকে আজ পর্যন্ত রুশ পার্টির সেই ভাঙা বাঁশিতে আর সেভাবে সুর বাঁধা হয়নি। সেই দিক দিয়ে বিশ্ব রাজনীতির মঞ্চে চীনা কমিউনিস্ট পার্টির এই উজ্জ্বল উপস্থিতি যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ ও নিঃসন্দেহে গবেষণার বিষয়। আসলে নিজেকে বারবার বদলে ভেঙেচুরে দিব্যি রয়ে গিয়েছে লাল পার্টির কর্তৃত্ব। মাওয়ের পর পার্টির রাশ যেমন আলগা হয়নি, তেমনি শুধু দলের একগুঁয়ে নীতিতে আটকে থেকে অপ্রাসঙ্গিক হতে চাননি নেতারাও। মাওয়ের দুই উত্তরসূরি প্রথমে দেং জিয়াও পিং এবং তারপর থেকে আজ পর্যন্ত জি জিনপিং দু’জনেই এই কাজটা করে গিয়েছেন অত্যন্ত সফলভাবে। সমাজতন্ত্র, কমিউনিস্ট আদর্শ সবকিছুকে পিছনে ফেলে তাই শাসক দল ও দেশটা আবাহন করেছে উন্নয়নকে। ক্ষমতাকে কুক্ষিগত করে রাখার কোনও প্রভাব পড়েনি সেখানে। একদিন কমিউনিস্টরা সর্বহারাদের একনায়কতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছিল, আর এখন একনায়কতন্ত্র বহাল রয়েছে অন্য মোড়কে। কিন্তু সর্বহারার নেতৃত্ব আর নেই। সবার পাখির চোখ একটাই। উন্নয়ন, প্রসার ও সারা বিশ্বের প্রথম সারির প্রযুক্তিকে আত্মস্থ করে নিজের মতো পাল্টা কিছু নিয়ে আসা। আমেরিকা ও পশ্চিমী দুনিয়াকে মুখের উপর জবাব দেওয়ার এই ঝোঁকই চীনের সবাইকে টপকে যাওয়ার মূল অস্ত্র। সেই সঙ্গে একটা জেদ, দেখিয়ে দাও আমরাও পারি। নিমেষে পশ্চিমের উন্নত প্রযুক্তিকে কপি করে ফেলার আশ্চর্য চীনা ক্ষমতা আজ বারে বারে পৃথিবীকে চমকে দেয়। দ্রুত বদলে যাওয়া বিশ্ব প্রযুক্তির দুনিয়ায় তাই চীনকে ছাড়া কারও আজ গতি নেই। সব বিরোধ দূরে সরিয়ে রেখে দেশটার অসম্ভব উদ্ভাবনী শক্তিকে তাই বারে বারে কুর্নিশ করতেই হয়।
কমিউনিস্ট দেশে ধনতন্ত্রের এই আবাহন থেকেই বেজিংয়ের রাস্তায় এখন মার্সিডিজ বেঞ্জ, বিএমডব্লিউ গাড়ির ছড়াছড়ি। অনেক আগে দেখা যেত সাইকেল আর সাইকেল। সেসবই আজ ব্রাত্য। যে-দিকেই তাকান বিশাল বিশাল চওড়া রাস্তা। ফ্লাইওভার, ব্রিজ। ঝাঁ চকচকে বিমানবন্দর, বুলেট ট্রেন। তাক লাগানো যোগাযোগ ব্যবস্থা। প্রাসাদোপম অট্টালিকা। কী নেই! নিশ্চিতভাবে এর পাশেই গড়ে উঠেছে আকণ্ঠ ভোগী নাইটক্লাবের উদ্দাম সমাজ। সর্বগ্রাসী পুঁজি বৃদ্ধি ও তার উপর নির্ভরতা বৃদ্ধির যা অনিবার্য পরিণতি। সেই সঙ্গে রাস্তাঘাটে ঢালাও বিদেশি পণ্যের ছড়াছড়ি। বড় বড় হোর্ডিংয়ে নতুন আইফোন, বহুমূল্য সুইস ঘড়ি, পশ্চিমী সুগন্ধী। আরও দুশো প্রলোভন। আর্থিক লেনদেন আজ যে সত্যি ঈর্ষণীয় তা বেশ বোঝা যায় দেশি-বিদেশি ব্যাঙ্কের ছড়াছড়ি দেখে। শুধু দেশেই নয়, চীনাদের এই অগ্রগতি আজ অপ্রতিরোধ্য গতিতে চলছে আমেরিকাতেও। বলা হয়, নিউ ইয়র্কের রাস্তায় প্রতি ছ’জনের মধ্যে আড়াই থেকে তিনজনই নাকি চীনা! ওদের একঘরে করবে কে? আর আমরা গলওয়ান হামলার জবাব দিতে একের পর এক চীনা অ্যাপ নিষিদ্ধ করে সত্যি কি ধাক্কা দিতে পেরেছি? আজও এদেশের যে-কোনও শহরে একটা মোবাইল কিনতে গেলে অ্যাপল আর স্যামসাং বাদ দিয়ে দোকানি আর যে-সব মডেল হাজির করে তার সবই চীনের তৈরি! তাই মোদিজির আত্মনির্ভরতা অর্জনের লড়াইটা একটু দেরিতে শুরু হল নাকি? সতর্ক হওয়া উচিত ছিল আরও আগে। এখন দেওয়ালির আলো থেকে ঘুড়ির মাঞ্জা সর্বত্রই চীনা কথাটা জুড়ে গিয়েছে যে!
অথচ এই দেশটাই একটা দীর্ঘসময় নিজেকে গুটিয়ে রেখেছিল। বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থায় যোগ দেয় মাত্র ২০ বছর আগে, ২০০১ সালে। ততদিন আদানপ্রদানের রাস্তা বন্ধই ছিল। আর আজ বিশ্বের সর্বত্র চীনের পণ্য ছড়িয়ে পড়েছে উল্কার গতিতে। অনেক চেষ্টা করে, ফতোয়া দিয়েও চীনাপণ্যের উপর বহির্বিশ্বের নির্ভরতা ঘুচিয়ে দেওয়া সহজে সম্ভব নয়। ৪৫ বছর আগে মাওয়ের মৃত্যুর পরেই দল ঘোষণা করে দেয়, সাংস্কৃতিক বিপ্লবের ছুটি। নতুন মন্ত্র হল, শুধু এগিয়ে যাও। হাল ধরেই দেং জিয়াও পিংও একটুও দেরি করেননি। বেছে নেন সেই উন্নয়নের পথই। আর সেই অভীষ্ট উন্নয়ন অর্জন করতে চাই প্রতিযোগিতা। আমেরিকার কাছ থেকে চীনারা একটা জিনিস শিখেছে, প্রতিযোগিতার সার্বভৌমত্ব। চীনারা অত্যন্ত চতুর। আমেরিকার যেসব শিল্প মজুরির ভারে বন্ধ হয়ে গিয়েছিল, সেই সব কারখানার মালিকরা চীনে কারখানা তুলে নিয়ে এসে ফের তা চালু করেছিলেন। সবার একটা কথা জানা, এশিয়ার দেশগুলি হচ্ছে সস্তা শ্রমের দেশ। ব্যক্তি মালিকানা স্বীকার করে নেওয়ায় চীনেও বহু উদ্যোক্তা আত্মপ্রকাশ করেন। দেং পুঁজিবাদী ব্যবস্থায় এমন একটা রকেট গতি সঞ্চার করে দেন যে লাল চীনে একের পর এক  কোটি-কোটিপতিদের আত্মপ্রকাশ শুরু হয়। ক্রমে শুধু এশিয়া মহাদেশেই নয়, গোটা দুনিয়ার পরাক্রমশালী এক রাষ্ট্র হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করে চীন।
নতুন স্মার্টফোন কেমন হবে, কীভাবে অ্যাপল আর স্যামসাংকে টপকে বাজারে সেরার আসনে বসবে, ক্রমাগত চেষ্টা চলছে সেই লক্ষ্যকে পাখির চোখ করেই। কিন্তু শুধু উন্নয়ন আর আর্থিক প্রগতিই যে শেষ কথা বলে না, তা ধুরন্ধর জি জিনপিংয়ের চীনের অজানা নয়। তাই পৃথিবীর সবচেয়ে শক্তিশালী সেনা বাহিনী গড়ে তোলার কাজেও এখন বেজিং অক্লান্ত চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। পার্টির শতবর্ষের ভাষণেও দেশের মানুষের সঙ্গে গোটা বিশ্বকে সেকথা পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছেন জিনপিং। আর পৃথিবী সমীহ করে বলেই গোটা বিশ্ব কোভিডের আঁতুড়ঘর হিসেবে উহানের ল্যাবরেটরিকে চিহ্নিত করলেও জরিমানা, ভর্ৎসনা তো দূর অস্ত, এখনও মুখের উপর কিছু বলতেই পারেনি কোনও রাষ্ট্র। চুপ করে আছে আমেরিকাও। শুধু চীনের দিকে আঙুল তুলে করোনার একের পর এক ঢেউ পার করা ছাড়া রাশিয়া ও আমেরিকার সামনেও আর কোনও বিকল্প নেই। আধুনিক বিশ্বের সবচেয়ে বড় ‘ম্যান মেড’ বিপর্যয়ের দায়ও এভাবেই ঝেড়ে ফেলেছেন চীনা কর্তারা। কিন্তু চীনের এই অগ্রগতির সঙ্গে একটু অন্ধকারও উঁকি মারছে। আজ থেকে পাঁচবছর আগে জিনপিং রীতিমতো প্রস্তাব পাশ করেই আমৃত্যু নিজেকে চীনের সর্বেসর্বা ঘোষণা করেছেন। সেই জন্যই এখনও ঘোষণা করেননি কোনও উত্তরাধিকারীকেও। তাহলে চীনে কমিউনিস্ট পার্টির এই সাফল্য কি বেজিংয়ে একনায়কতন্ত্র প্রতিষ্ঠার দিকেই এগচ্ছে? ষোলো আনা ব্যক্তি মালিকানার বুর্জোয়া চীনের জঠরে কমিউনিস্ট আদর্শ কতদিন বেঁচে থাকবে তা ভবিষ্যৎই বলবে।
04th  July, 2021
মোদিজি কবে বুঝবেন
ধামাকায় পেট ভরে না!
হিমাংশু সিংহ

একনায়কের মন্ত্রিসভায় মন্ত্রীরা তো আজ শুধু চিড়েতন, হরতন, ইস্কাবন ছাড়া কিছুই নয়! সনাতন ছন্দে নেচে যাওয়াটাই একমাত্র কাজ। নাহলে বাংলার ভোটপর্বে দীর্ঘ সময় তেলের দাম বৃদ্ধিতে ছেদ পড়েছিল কেমন করে। পর্দার পিছন থেকে খেলাচ্ছে কে? আবার ২ মে বাংলায় বিজেপির ভরাডুবির খবর বেরতেই দাম বাড়ানোর পুরনো খেলা শুরু হল কার নির্দেশে?
বিশদ

‘হাফ মন্ত্রী’ ও বিজেপির অঙ্ক
তন্ময় মল্লিক

সঙ্ঘ থেকে উঠে আসা সাংসদদের চোখের সামনে দিয়ে ‘দু’দিনের যোগী’রা ড্যাং ড্যাং করে মন্ত্রী হয়ে যাচ্ছেন। ইমেজ বা শিক্ষা নয়, ভোটে জেতানোর ‘ক্ষমতা’ই নেতাদের কাছে স্বীকৃতি পাচ্ছে। লোকসভা নির্বাচন যত এগিয়ে আসবে এই প্রবণতা ততই বাড়বে। বিশদ

10th  July, 2021
কী চায় রাষ্ট্র?
কী চাই আমরা?
সমৃদ্ধ দত্ত

একটি সূক্ষ্ম কৌশল নিয়েছে আজকের রাষ্ট্র। তারা মানুষের মনের মধ্যে প্রোথিত করে দিতে চাইছে, এই যে নিত্যদিনের জীবনযাপনের দায়, মূল্যবৃদ্ধি, এসব তোমাদের ব্যক্তিগত সমস্যা। একক দায়িত্ব। এর সঙ্গে লড়াই করতে হবে তোমাকে। পারলে টিকবে। নয়তো একটু সামাজিকভাবে নীচে নেমে যাবে। রাষ্ট্র বলতে চাইছে, সরকারের এসব নিয়ে ভাবনার কোনও দায় নেই।
বিশদ

09th  July, 2021
অশান্ত সময়ে ফিরছে
আফগানিস্তান!
মৃণালকান্তি দাস

 

তালিবানদের একটা বড় অংশই কাবুলে ভারতের উপস্থিতি এবং কাজকে স্বীকৃতি দেয়। তারা প্রাথমিক ভাবে চাইবে না ভারতকে হটাতে। পাশাপাশি এটাও ধর্তব্যের মধ্যে রাখা হচ্ছে যে, আফগানিস্তান থেকে ভারত-বিরোধী জঙ্গিদের উচ্ছেদ করতে তালিবান হয়তো বিশেষ সক্রিয়তা দেখাবে না।
বিশদ

08th  July, 2021
দেশের মানুষের কুকথায় জর্জরিত মোদি
সন্দীপন বিশ্বাস

নিজের নাক কেটে অন্যের যাত্রাভঙ্গ। শুধু কৌশল করে মমতাকে বিপাকে ফেলাই এখন মোদিবাবুদের এক নম্বর অ্যাজেন্ডা। চুলোয় যাক দেশ শাসন, চুলোয় যাক পেট্রলের দাম একশো টাকায় পৌঁছে যাওয়া, বাড়ুক যত ইচ্ছে গ্যাসের দাম, নাক কাটা যাক রাফাল কেলেঙ্কারি নিয়ে, ভ্যাকসিন কেলেঙ্কারি নিয়ে ধিক্কার উঠুক, সেসব বোধহয় এখন আর মোদিবাবু পরোয়া করেন না। বিশদ

07th  July, 2021
মোদির ভারতে নিঃস্ব হওয়ার পথে মধ্যবিত্ত
শান্তনু দত্তগুপ্ত

 

স্বাধীনতার ঠিক পরের ঘটনা। তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরু বলেছিলেন, ‘সঞ্চয় একটা বিপ্লব। আমার কাছে এর গুরুত্ব অসীম। ন্যাশনাল সেভিংস গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, এর মাধ্যমে দেশবাসী তাঁদের আয়ের থেকে কিছু অংশ বাঁচিয়ে রাখবেন ভবিষ্যতের জন্য। বিশদ

06th  July, 2021
আমাদের ডানা ছিল, উড়তে শিখেছিলাম
পি চিদম্বরম

আমূল পরিবর্তন আনার জন্য আমি ঝাঁপিয়েছিলাম। আমদানি-রপ্তানির প্রধান নিয়ন্ত্রকের দপ্তর আমরা তুলে দিয়েছিলাম। ‘ইন্ডিয়ান ট্রেড সার্ভিস’ গুটিয়ে দিয়েছিলাম আমরা। বিদায় দিলাম ‘রেড বুক’-কে—একটা সফল বণিক জাতিকে, ইয়া বড়া বইটা ৪০ বছর যাবৎ শ্বাসরোধ করে রেখেছিল। বিশদ

05th  July, 2021
ঘরছাড়ার রাজনীতির শেষ কোথায়?
তন্ময় মল্লিক

বাম জমানার ‘ঘরছাড়া’র ট্র্যাডিশন তৃণমূলের রাজত্বেও চলবে, এমনটা বলার কোনও জায়গা নেই। বহু ক্ষেত্রেই ঘরছাড়া করার পিছনে ব্যক্তিগত দ্বন্দ্ব কাজ করে। অনেকের কাছে এটা টাকা কামানোর রাস্তা। বিশদ

03rd  July, 2021
বিরোধী রাজনীতির
দিশাহীনতার কারণ কী?
সমৃদ্ধ দত্ত

বিরোধীদের এতটা দৈন্যদশা স্বাধীনতার পর পশ্চিমবঙ্গে দেখেনি। দুটি ঐতিহাসিক দল শূন্য হয়ে গিয়েছে। আর যারা নতুন শক্তিশালী বিরোধী হিসেবে অবতীর্ণ হয়েছে, তারা সকলেই সম্পূর্ণ দিশাহীন। এই মুহূর্তে বিরোধী দলগুলির কাছে সবথেকে বড় সঙ্কট হল ইস্যুহীনতা।
বিশদ

02nd  July, 2021
হারানো রাজবংশের নয়া মহারাজ
মৃণালকান্তি দাস

বুবুগ্রা। ত্রিপুরার উপজাতিদের ককবরক ভাষায় এর অর্থ মহারাজ। ত্রিপুরার রাজপরিবারের বংশধর প্রদ্যোত কিশোর দেববর্মাই এখন ত্রিপুরার উপজাতিদের বুবুগ্রা। তাঁর পাকানো গোঁফ নেই।
বিশদ

01st  July, 2021
শ্রীরামের আজ মোদি রাখি না যোগী রাখি দশা
হারাধন চৌধুরী

‘গোরখপুর মে রহনা হ্যায় তো যোগী যোগী কহনা হ্যায়!’এই ছিল হিন্দুত্বের পোস্টার বয় আদিত্যনাথের অনুগামীদের স্লোগান। ২০১৭। লখনউতে মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে সবচেয়ে যোগ্য ব্যক্তি খুঁজে পেতে দল যখন দিশেহারা, তখন আস্তিনের তলা থেকে তাস বের করলেন নরেন্দ্র মোদি—গোরক্ষপুরের সাংসদ।
বিশদ

30th  June, 2021
উপায় মহাজোট... কংগ্রেসকে নিয়েই
শান্তনু দত্তগুপ্ত

মহাভারতের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রের নাম কী? রাজনীতির নিরিখে দেখলে শ্রীকৃষ্ণ ছাড়া অন্য কোনও নাম মাথায় আসবে না। অথচ, তিনি মহারাজা ছিলেন না, কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধেও সরাসরি অংশগ্রহণ করেননি।
বিশদ

29th  June, 2021
একনজরে
দোকানে হালখাতা সেরে বাড়ি ফেরার পথে দুষ্কৃতীদের গুলিতে মৃত্যু হল এক স্বর্ণ ব্যবসায়ীর। শুক্রবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার হিলি থানার তিওরে। ...

উইম্বলডন চ্যাম্পিয়ন হলেন বিশ্বের এক নম্বর খেলোয়াড় অ্যাশলি বার্টি। অস্ট্রেলিয়ার এই তারকা শনিবার ফাইনালে ৬-৩, ৬-৭ (৪), ৬-৩ সেটে হারালেন চেক প্রজাতন্ত্রের ক্যারোলিনা প্লিসকোভাকে। ...

কৃষকদের জন্য রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকারের প্রকল্প রূপায়িত করতে কৃষিদপ্তরের আঞ্চলিক অফিসগুলিতে এখন জোর কর্মতৎপরতা চলছে। শনিবারের ছুটির দিনে তো বটেই, কোথাও কোথাও রবিবারও কর্মীদের ...

দলীয় কর্মীর গালে চড় মেরে বিতর্কে জড়ালেন কর্ণাটক কংগ্রেসের সভাপতি ডি কে শিবকুমার। ঘটনাটি সকলের সামনেই ঘটে। একাধিক ক্যামেরাতেও তা বন্দি হয়। পরে সাংবাদিকদের ভিডিওটি ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

বিদ্যার্থীরা মাঝে মধ্যে মানসিক উদ্বেগের জন্য শিক্ষায় অমনোযোগী হয়ে পড়বে। কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে নানা সুযোগ আসবে। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস
১৮২৩ সালের এই দিনে ভারতের তৈরি প্রথম জাহাজ ডায়না কলকাতা বন্দর থেকে আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু করে।
১৮৮৯ সালের এই দিনে অবিভক্ত ভারতের কলকাতায় প্রথম প্রতিযোগিতামূলক ফুটবল টুর্নামেন্ট শুরু হয়।
১৯২১: মঙ্গোলিয়ায় গণপ্রজাতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করল লাল ফৌজ
১৯৩০ সালের এই দিনে অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটার ডন ব্রাডম্যান এক দিনে ৩০৯ রান করার রেকর্ড করেন, পরে টেস্ট ম্যাচে তা ৩৩৪ রানের সর্বোচ্চ রেকর্ড হয়েছিল।
১৯৫৬: সাহিত্যিক অমিতাভ ঘোষের জন্ম
১৯৬২: প্রথম ট্রান্সআতলান্তিক স্যাটেলাইট টেলিভিশনের সম্প্রচার শুরু হল
১৯৬৭: সাহিত্যিক ঝুম্পা লাহিড়ির জন্ম
১৯৭২: বিশ্ব দাবা চ্যাম্পিয়নশিপে প্রথম খেলা ববি ফিশার ও বরিস স্পাসকির মধ্যে শুরু হল
১৯৭৯: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম মহাকাশ স্টেশন স্কাইল্যাব পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ করে। সেটিকে ভারত মহাসাগরে ফেলে ধ্বংস করা হয়।
২০০৬: মুম্বইয়ে ধারাবাহিক বিস্ফোরণে ২০৯জনের মৃত্যু
২০১২: আবিষ্কার হল প্লুটোর পঞ্চম উপগ্রহ এস/২০১২ পি ১



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭৩.৮৯ টাকা ৭৫.৬১ টাকা
পাউন্ড ১০১.২৩ টাকা ১০৪.৭২ টাকা
ইউরো ৮৬.৯৩ টাকা ৯০.০৯ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
10th  July, 2021
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৪৮,৭০০
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৪৬,২০০
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৪৬,৯০০
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৬৯,৪০০
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৬৯,৫০০
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

২৬ আষাঢ় ১৪২৮, রবিবার, ১১ জুলাই ২০২১। প্রতিপদ ৬/৫১ দিবা ৭/৪৮। পুষ্যা নক্ষত্র ৫৩/১৭ রাত্রি ২/২২। সূর্যোদয় ৫/৩/১, সূর্যাস্ত ৬/২০/৫৭। অমৃতযোগ দিবা ৬/৪৯ গতে ৯/২৯ মধ্যে পুনঃ ১২/৮ গতে ২/৪৮ মধ্যে। রাত্রি ৭/৪৬ মধ্যে পুনঃ ১০/৩৮ গতে ১২/৪৬ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৪/৩৪ গতে ৫/২৭ মধ্যে। বারবেলা ১০/২ গতে ১/২১ মধ্যে। কালরাত্রি ১/২ গতে ২/২২ মধ্যে। 
২৬ আষাঢ় ১৪২৮, রবিবার, ১১ জুলাই ২০২১। প্রতিপদ দিবা ৬/৫৮। পুষ্যা নক্ষত্র রাত্রি ২/১৭। সূর্যোদয় ৫/৩, সূর্যাস্ত ৬/২৩। অমৃতযোগ দিবা ৬/৫১ গতে ৯/২৯ মধ্যে ও ১২/৪৯ গতে ২/৪৯ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৪৭ মধ্যে ও ১০/৩৮ গতে ১২/৪৮ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৪/৩৫ গতে ৫/২৯ মধ্যে। বারবেলা ১০/৩ গতে ১/২৩ মধ্যে। কালরাত্রি ১/৩ গতে ২/২৩ মধ্যে। 
৩০ জেল্কদ।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
রাজ্যে দৈনিক সংক্রমণের গ্রাফ নিম্নমূখী, কমছে মৃত্যুর সংখ্যাও
গতকালের তুলনায় রাজ্যে আরও বেশ কিছুটা কমল করোনায় দৈনিক সংক্রমণ ...বিশদ

07:36:19 PM

মহিষাদলে শুরু লেত উৎসব
শুক্রবার বিকেলে মহিষাদলে শুরু হল রথের নেত্রদান বা লেত উৎসব। ...বিশদ

05:49:11 PM

তামিলনাড়ুতে বিরল প্রজাতির সামুদ্রিক প্রাণী সহ গ্রেপ্তার ১
তামিলনাড়ুতে বিরল প্রজাতির সামুদ্রিক প্রাণী সহ একটি নৌকা বাজেয়াপ্ত। ঘটনায় ...বিশদ

05:44:15 PM

পেট্রোপণ্য ও গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধি, মাথাভাঙায় তৃণমূলের প্রতিবাদ  মিছিল
মাথাভাঙা-২ ব্লকের নিশিগঞ্জে পেট্রোপণ্য ও রান্নার গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে অভিনব ...বিশদ

04:15:00 PM

কোভিড বিধি ভঙ্গ করায় আলিপুরদুয়ারে গ্রেপ্তার ৪ ব্যবসায়ী

04:01:25 PM

শহরে প্যাঙ্গোলিনের আঁশ ও নখ সহ গ্রেপ্তার ২
কলকাতায় একটি বাস থেকে উদ্ধার প্যাঙ্গোলিনের আঁশ ও নখ। ঘটনাস্থল ...বিশদ

03:53:36 PM