Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

বিরোধী রাজনীতির
দিশাহীনতার কারণ কী?
সমৃদ্ধ দত্ত

১৯৫৩ সালের ২৬ জুলাই মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ বিধানচন্দ্র রায়ের ডান চোখের অপারেশন হওয়ার কথা ছিল ভিয়েনায়। সেইমতো তিনি সেখানে যাওয়ার আগে দুজন সিনিয়র মন্ত্রী প্রফুল্ল চন্দ্র সেন এবং কালীপদ মুখোপাধ্যায়কে বুঝিয়ে দিয়ে যাচ্ছিলেন তাঁর অনুপস্থিতিতে কী কী করতে হবে। মাত্র এক বছর হয়েছে প্রথম বিধানসভা নির্বাচন। তাই এখনও নির্বাচিত কংগ্রেস সরকার সবটা গুছিয়ে নিতে পারেনি। প্রধান সমস্যা হল বিগত কয়েক বছরে লক্ষ লক্ষ উদ্বাস্তুর আগমন। এখন তাঁর থাকা দরকার কলকাতায়। কিন্তু চোখের অপারেশনটা না করালে আর চলছে না। ঠিক ওই সময়টাই কলকাতা ট্রামওয়েজ কোম্পানি সেকেন্ড ক্লাসের এক পয়সা ভাড়া বাড়িয়ে দিল। ট্রাম ভাড়া প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি ডা. সুরেশ বন্দ্যোপাধ্যায় জনগণকে আহ্বান করলেন কেউ বর্ধিত ভাড়া দেবেন না। 
শুরু হল রাস্তায় নেমে আন্দোলন। ৩ জুলাই চারজন বিধায়ক গ্রেপ্তার হলেন। তাঁদের অন্যতম জ্যোতি বসু। এদিকে মুখ্যমন্ত্রীর আগে থেকেই ৫ জুলাইয়ের টিকিট কাটা ইওরোপে যাওয়ার। এই সুযোগটি পূর্ণ উদ্যমে নিল কমিউনিস্ট নেতারা। অক্টারলোনী মনুমেন্টের নীচে জমায়েত, ট্রামে আগুন লাগানো, ট্রেন আটকে দেওয়া—সবই শুরু হল। হাল ছেড়ে দিয়ে, ভারপ্রাপ্ত মুখ্যমন্ত্রী প্রফুল্ল চন্দ্র সেন বিধানবাবুকে ফোন করে বললেন, আপনি ফিরে আসুন। আর সামাল দেওয়া যাচ্ছে না। বিধানবাবু তখন সুইজারল্যান্ড। চোখের অপারেশন না করেই ফিরে এলেন। এসেই একটি কমিশন গঠনের সিদ্ধান্ত নিলেন। আগস্ট মাসে আন্দোলন স্তিমিত হয়ে এল। 
১৯৫৮। বিধানসভার প্রশ্নোত্তরকালে বিরোধী দলনেতা জ্যোতি বসু স্পিকারকে প্রশ্ন করলেন, সরকারের আইনমন্ত্রী কোথায়? তাঁকে দেখা যাচ্ছে না কেন? জানা গেল, আইনমন্ত্রী পদত্যাগ করেছেন কিছুদিন আগেই। তাঁর নাম সিদ্ধার্থশংকর রায়। তিনি লম্বা এক চিঠি লিখে মুখ্যমন্ত্রীকে জানিয়ে দিয়েছেন, এই সরকারের সঙ্গে তাঁর নীতি ও আদর্শের নানাবিধ মতান্তর হচ্ছে। তাই তাঁর পক্ষে থাকা সম্ভব নয়। এই পদত্যাগের কথা মুখ্যমন্ত্রী গোপন করে রেখেছিলেন। তাঁর আশা ছিল বুঝিয়ে সুঝিয়ে সিদ্ধার্থবাবুকে আবার ফেরানো সম্ভব হবে। কিন্তু সেটা হয়নি। বরং বিধানসভায় সিদ্ধার্থবাবু সরকারের বিরুদ্ধে অসংখ্য অভিযোগ এনে বিধানবাবুকে বিদ্ধ করলেন। সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনা হয়েছিল। যদিও প্রবল গোলযোগে সেই অনাস্থা প্রস্তাব একপ্রকার ভণ্ডুল হয়ে যায়। হট্টগোলে ধ্বনিভোটে জয়ী হয় সরকার। কিন্তু বিরোধীরা বড়সড় ইস্যু পেয়ে গেল। ওটাই লাভ হল তাদের। 
দার্জিলিং-এ মন্ত্রিসভার বৈঠক হচ্ছে। ১৯৫৯। খবর পাওয়া গেল যে, হাওড়া কংগ্রেস কমিটি থেকে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে একটি নোট এসেছে। বলা হয়েছে, বাজার থেকে কিন্তু চাল উধাও হয়ে যাচ্ছে। সরকার সতর্ক হোক! খাদ্য সঙ্কটের সেই প্রথম পূর্বাভাস। এরপর চরম আন্দোলনে কলকাতা ও জেলা কেঁপে উঠল। ডাঃ রায়কে সবথেকে বেশি তিনটি সঙ্কট আর বিরোধীদের বিক্ষোভ সামলাতে নাজেহাল হতে হয়েছিল। একাধিক অনাস্থা, খাদ্য সমস্যা এবং উদ্বাস্তুদের আন্দোলন। ড. প্রফুল্ল চন্দ্র ঘোষ ও সুরেশ বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রজা সোশ্যালিস্ট পার্টি এবং কমিউনিস্টদের নিয়ন্ত্রণে থাকা ইউসিআরসি, এই দুই সংগঠন প্রায় একে অন্যকে টেক্কা দিয়ে আন্দোলন শুরু করেছিল উদ্বাস্তুদের নিয়ে। ৫০ হাজার উদ্বাস্তু শিবিরের লক্ষ লক্ষ বাসিন্দাকে নিয়ে এই আন্দোলন সংঘটিত করে এই দুই সংগঠন। পাশাপাশি তৈরি হয়েছিল ‘দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি দুর্ভিক্ষ প্রতিরোধ কমিটি’। যার অন্যতম নেতা ছিলেন হেমন্তকুমার বসু। 
সত্তরের দশকে নকশাল আন্দোলনের সময় মহাজাতি সদনের প্রথম তলে একটি ঘরে একপ্রকার গোপনে থাকতেন দুই যুবক। রান্না করতেন প্রিয়রঞ্জন দাশমুন্সি। আর তাঁর সঙ্গী ছিলেন সুব্রত মুখোপাধ্যায়। পরবর্তীকালে এই দু‌ই যুবক কংগ্রেসের তরুণ প্রজন্মের আইকন হয়ে দাঁড়ান। সত্তরের দশকে শব্দবন্ধটি ছিল, প্রিয়-সুব্রত! তখন রাজনৈতিক আন্দোলন, বিক্ষোভের মাধ্যমে তুমুল জনপ্রিয়তা পান এই জুটি। 
১৯৮৪ সালে যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্র থেকে সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়ের মতো এক হেভিওয়েট নেতাকে পরাস্ত করার পর যে ২৯ বছরের অগ্নিকন্যাটির সংসদীয় যাত্রাপথ শুরু হয়েছিল, সেটি আজও এক বিস্ময়। ভোটের পর ভোটে যেখানে বামফ্রন্ট জয়ী হয়ে চলেছে, সেখানে কীভাবে মাত্র একজনের আহ্বানে ধর্মতলা থেকে চমকাইতলায় লক্ষ মানুষের সমাবেশ হয়েছে গোটা নব্বই দশক ধরে, সেটা প্রায় রাজনৈতিক রূপকথা। একটাই লক্ষ্য ছিল। সিপিএম হটাও। সেই লক্ষ্য থেকে তিনি কোনওদিন বিচ্যুত হননি। পাখির চোখটি কখনও ফোকাস থেকে সরে যায়নি। তার পরিণতি ২০১১। ক্ষমতা থেকে সিপিএমকে সরিয়ে দেওয়া। এবং ২০২১। বিধানসভা থেকে সিপিএমকে সরিয়ে দেওয়া। সবথেকে আশ্চর্য ছিল, তাঁর দল যখন ভোটে জিতছে না, তখনও কিন্তু তিনিই ছিলেন বাংলার সবথেকে আলোচিত রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। এভাবেই কেটেছে ১৯৯০ থেকে ২০১০ সাল। এবং আজও আরও বিস্ময়কর হল, তিনি ১০ বছরের পুরনো মুখ্যমন্ত্রী। অথচ তিনিই রাজ্যে সবথেকে আলোচিত নেত্রী। অর্থাৎ বিরোধী হিসেবে তিনি ২৫ বছরের বেশি সময় ধরে প্রচার ও চর্চার ভরকেন্দ্র হয়েছিলেন। ক্ষমতাসীন হওয়ার পরও ১০ বছর ধরে একই চিত্র। আধুনিক সোশ্যাল মিডিয়ার যুগে তাঁকে ঘিরেই হয় মিম, তাঁকে নিয়ে হয় হাসিঠাট্টা, বন্দনা, সমর্থন, সমালোচনা। তাবৎ চর্চার ভরকেন্দ্র তিনিই। 
অতীতের এতসব স্মৃতি রোমন্থনের উদ্দেশ্য এটাই যে, বিরোধীদের এতটা দৈন্যদশা স্বাধীনতার পর পশ্চিমবঙ্গে দেখেনি। দুটি ঐতিহাসিক দল শূন্য হয়ে গিয়েছে। আর যারা নতুন শক্তিশালী বিরোধী হিসেবে অবতীর্ণ হয়েছে, তারা সকলেই সম্পূর্ণ দিশাহীন। এই মুহূর্তে বিরোধী দলগুলির কাছে সবথেকে বড় সঙ্কট হল ইস্যু঩হীনতা। বিরোধী হিসেবে তাদের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে, সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করতে হবে, সমালোচনা করতে হবে, আক্রমণ করতে হবে, এটা স্বাভাবিক। কিন্তু জনমনে প্রতিষ্ঠা পাবে তাদের আন্দোলন অথবা আক্রমণ, আলোচনা হবে সেসব নিয়ে, এরকম একটিও ইস্যু নেই। হয় নেই অথবা তারা খুঁজে পাচ্ছে না কিংবা চিহ্নিতও করতে ব্যর্থ। বিরোধী দলগুলির বিবৃতি, মন্তব্য, সমালোচনার ভাষা ইত্যাদি দেখেই স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে যে, তাদের অবস্থাটির এক কথায় প্রকাশ হল, কিংকর্তব্যবিমূঢ়! বিজেপি কতটা আত্মবিশ্বাসহীন হলে রাজ্যপালকে পথে নামতে হয় সরকার বিরোধিতায়!
সারদা, নারদা, সিন্ডিকেট, ভাইপো ইত্যাদি তাবৎ এক্সপেরিমেন্ট জনগণের দরবারে প্রত্যাখ্যাত হয়েছে। আগের থেকেও বেশি আসনে জয়ী হয়েছে তৃণমূল। এমতাবস্থায় এখন বিরোধীদের ঠিক কী করণীয় সেটাই তাদের কাছে সবথেকে বড় চ্যালেঞ্জ। অর্থাৎ ঠিক কোন ইস্যুতে সরকারের সমালোচনা করা যায় অথবা জনমত সংঘটিত করা সম্ভব, এটা তারা ধরতেই পারছে না। এটা ঠিক যে, বাংলার রাজনীতির অতীতে বিরোধী দলগুলির সক্রিয়তা ও সাফল্যের সঙ্গে কোনওরকম তুলনা করা যায় না আজকের পরিস্থিতির। কারণ, যুগ পাল্টেছে, ইস্যু বদলেছে, মানুষের চাওয়া পাওয়ার দাবি ও চাহিদার পরিবর্তন ঘটেছে। সমাজ বদলে গিয়েছে। বদলেছে রাগের চরিত্রও। এখন এমন একটি সময় এসেছে যে, আন্দোলনের নামে বাস ট্রাম জ্বালালে মানুষ মোটেই সমর্থন করবে না। আরও ক্ষিপ্ত হয়ে উঠবে। আজকাল বন্‌ধ ডাকলেই দেখা যায় যে, সেটা ফ্লপ করেছে। সুতরাং মহাসঙ্কট বিরোধীদের কাছে।  বাংলার তিনটি বিরোধী দল সম্পূর্ণ  দিশাহারা যে, কী করণীয়? কোন পদক্ষেপ বিশ্বাসযোগ্য হবে? মানুষ কোন ইস্যুতে সরকারের বিরোধিতা চায়? বিরোধীরা বুঝতে পারছে না। 
নাকি  সরকারের বিরুদ্ধে এখন বিশেষ কোনও ইস্যুতে তীব্র কোনও ক্ষোভ আদতে নেইই? এর দুটি কারণ হতে পারে। প্রথমত, যে সমস্যাগুলি আছে সেগুলি ধীরে ধীরে এই সরকার মেটানোর আন্তরিক চেষ্টা করছে বলে মানুষের মধ্যে একটা আস্থা তৈরি হয়েছে। আবার দ্বিতীয় কারণ হল, সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ থাকলেও, বিরোধীরা এই সরকার অথবা মুখ্যমন্ত্রীর থেকে বেশি ভালো কিছু করতে পারে, এই বিশ্বাস মানুষের মধ্যে আসেনি। বিরোধীরা লাগাতার প্রয়াস করে চলেছে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কতটা খারাপ সেটা প্রমাণ করতে। সেটা রাজনীতিতে প্রত্যাশিত। কিন্তু সেই কৌশল লাগাতার ব্যর্থ হয়েছে। শুধুই একবগ্গা মমতা বিরোধিতা মানুষ পছন্দই করেনি। তাহলে? এখন পরিবর্তিত স্ট্র্যাটেজি কী হওয়া উচিত?  ওটাই তো সবথেকে কঠিন। এবার বুদ্ধি, রাজনীতি, সমাজবোধ ও মানুষকে বোঝার পরীক্ষা এসেছে বিরোধীদের কাছে। শুধু রাজনীতি নয়। জীবনের ক্ষেত্রেও, অন্যকে সমালোচনা করা সহজ। নিজেকে গ্রহণযোগ্য করে তোলার অনুশীলন কঠিন। বিরোধীরা সহজ পথ নিয়েছে।   
এসব ছাপিয়ে সর্বোচ্চ প্রশ্নটি কী? সোশ্যাল মিডিয়ার এই প্রচার বিস্ফোরণ, অসংখ্য মিডিয়ার উপস্থিতি, মুখ দেখানো, কথা শোনানোর এত সুযোগ সত্ত্বেও একজন জ্যোতিবাবু, একটি প্রিয়-সুব্রত জুটি, একজনও সুভাষ চক্রবর্তী, কোনও নতুন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন উঠে আসছেন না বাংলার বিরোধী রাজনীতির আকাশে? এর থেকে বড় ব্যর্থতা আর আছে নাকি? 
02nd  July, 2021
মোদিজি কবে বুঝবেন
ধামাকায় পেট ভরে না!
হিমাংশু সিংহ

একনায়কের মন্ত্রিসভায় মন্ত্রীরা তো আজ শুধু চিড়েতন, হরতন, ইস্কাবন ছাড়া কিছুই নয়! সনাতন ছন্দে নেচে যাওয়াটাই একমাত্র কাজ। নাহলে বাংলার ভোটপর্বে দীর্ঘ সময় তেলের দাম বৃদ্ধিতে ছেদ পড়েছিল কেমন করে। পর্দার পিছন থেকে খেলাচ্ছে কে? আবার ২ মে বাংলায় বিজেপির ভরাডুবির খবর বেরতেই দাম বাড়ানোর পুরনো খেলা শুরু হল কার নির্দেশে?
বিশদ

‘হাফ মন্ত্রী’ ও বিজেপির অঙ্ক
তন্ময় মল্লিক

সঙ্ঘ থেকে উঠে আসা সাংসদদের চোখের সামনে দিয়ে ‘দু’দিনের যোগী’রা ড্যাং ড্যাং করে মন্ত্রী হয়ে যাচ্ছেন। ইমেজ বা শিক্ষা নয়, ভোটে জেতানোর ‘ক্ষমতা’ই নেতাদের কাছে স্বীকৃতি পাচ্ছে। লোকসভা নির্বাচন যত এগিয়ে আসবে এই প্রবণতা ততই বাড়বে। বিশদ

10th  July, 2021
কী চায় রাষ্ট্র?
কী চাই আমরা?
সমৃদ্ধ দত্ত

একটি সূক্ষ্ম কৌশল নিয়েছে আজকের রাষ্ট্র। তারা মানুষের মনের মধ্যে প্রোথিত করে দিতে চাইছে, এই যে নিত্যদিনের জীবনযাপনের দায়, মূল্যবৃদ্ধি, এসব তোমাদের ব্যক্তিগত সমস্যা। একক দায়িত্ব। এর সঙ্গে লড়াই করতে হবে তোমাকে। পারলে টিকবে। নয়তো একটু সামাজিকভাবে নীচে নেমে যাবে। রাষ্ট্র বলতে চাইছে, সরকারের এসব নিয়ে ভাবনার কোনও দায় নেই।
বিশদ

09th  July, 2021
অশান্ত সময়ে ফিরছে
আফগানিস্তান!
মৃণালকান্তি দাস

 

তালিবানদের একটা বড় অংশই কাবুলে ভারতের উপস্থিতি এবং কাজকে স্বীকৃতি দেয়। তারা প্রাথমিক ভাবে চাইবে না ভারতকে হটাতে। পাশাপাশি এটাও ধর্তব্যের মধ্যে রাখা হচ্ছে যে, আফগানিস্তান থেকে ভারত-বিরোধী জঙ্গিদের উচ্ছেদ করতে তালিবান হয়তো বিশেষ সক্রিয়তা দেখাবে না।
বিশদ

08th  July, 2021
দেশের মানুষের কুকথায় জর্জরিত মোদি
সন্দীপন বিশ্বাস

নিজের নাক কেটে অন্যের যাত্রাভঙ্গ। শুধু কৌশল করে মমতাকে বিপাকে ফেলাই এখন মোদিবাবুদের এক নম্বর অ্যাজেন্ডা। চুলোয় যাক দেশ শাসন, চুলোয় যাক পেট্রলের দাম একশো টাকায় পৌঁছে যাওয়া, বাড়ুক যত ইচ্ছে গ্যাসের দাম, নাক কাটা যাক রাফাল কেলেঙ্কারি নিয়ে, ভ্যাকসিন কেলেঙ্কারি নিয়ে ধিক্কার উঠুক, সেসব বোধহয় এখন আর মোদিবাবু পরোয়া করেন না। বিশদ

07th  July, 2021
মোদির ভারতে নিঃস্ব হওয়ার পথে মধ্যবিত্ত
শান্তনু দত্তগুপ্ত

 

স্বাধীনতার ঠিক পরের ঘটনা। তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরু বলেছিলেন, ‘সঞ্চয় একটা বিপ্লব। আমার কাছে এর গুরুত্ব অসীম। ন্যাশনাল সেভিংস গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, এর মাধ্যমে দেশবাসী তাঁদের আয়ের থেকে কিছু অংশ বাঁচিয়ে রাখবেন ভবিষ্যতের জন্য। বিশদ

06th  July, 2021
আমাদের ডানা ছিল, উড়তে শিখেছিলাম
পি চিদম্বরম

আমূল পরিবর্তন আনার জন্য আমি ঝাঁপিয়েছিলাম। আমদানি-রপ্তানির প্রধান নিয়ন্ত্রকের দপ্তর আমরা তুলে দিয়েছিলাম। ‘ইন্ডিয়ান ট্রেড সার্ভিস’ গুটিয়ে দিয়েছিলাম আমরা। বিদায় দিলাম ‘রেড বুক’-কে—একটা সফল বণিক জাতিকে, ইয়া বড়া বইটা ৪০ বছর যাবৎ শ্বাসরোধ করে রেখেছিল। বিশদ

05th  July, 2021
 ধনতন্ত্রের চীনে কমিউনিস্ট পার্টির শতবর্ষ
 হিমাংশু সিংহ

অত্যন্ত গরিব পরিবারে জন্ম। ১২ বছর বয়সেই স্কুল ড্রপ আউট। এখন বয়স ৬৬। এই মুহূর্তে বদলে যাওয়া ধনতান্ত্রিক চীনের অন্যতম উজ্জ্বল মুখ শিল্পপতি ঝাং শানশান। বৃহৎ বিলিয়নেয়ার সংস্থার কর্ণধার তিনি।
বিশদ

04th  July, 2021
ঘরছাড়ার রাজনীতির শেষ কোথায়?
তন্ময় মল্লিক

বাম জমানার ‘ঘরছাড়া’র ট্র্যাডিশন তৃণমূলের রাজত্বেও চলবে, এমনটা বলার কোনও জায়গা নেই। বহু ক্ষেত্রেই ঘরছাড়া করার পিছনে ব্যক্তিগত দ্বন্দ্ব কাজ করে। অনেকের কাছে এটা টাকা কামানোর রাস্তা। বিশদ

03rd  July, 2021
হারানো রাজবংশের নয়া মহারাজ
মৃণালকান্তি দাস

বুবুগ্রা। ত্রিপুরার উপজাতিদের ককবরক ভাষায় এর অর্থ মহারাজ। ত্রিপুরার রাজপরিবারের বংশধর প্রদ্যোত কিশোর দেববর্মাই এখন ত্রিপুরার উপজাতিদের বুবুগ্রা। তাঁর পাকানো গোঁফ নেই।
বিশদ

01st  July, 2021
শ্রীরামের আজ মোদি রাখি না যোগী রাখি দশা
হারাধন চৌধুরী

‘গোরখপুর মে রহনা হ্যায় তো যোগী যোগী কহনা হ্যায়!’এই ছিল হিন্দুত্বের পোস্টার বয় আদিত্যনাথের অনুগামীদের স্লোগান। ২০১৭। লখনউতে মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে সবচেয়ে যোগ্য ব্যক্তি খুঁজে পেতে দল যখন দিশেহারা, তখন আস্তিনের তলা থেকে তাস বের করলেন নরেন্দ্র মোদি—গোরক্ষপুরের সাংসদ।
বিশদ

30th  June, 2021
উপায় মহাজোট... কংগ্রেসকে নিয়েই
শান্তনু দত্তগুপ্ত

মহাভারতের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রের নাম কী? রাজনীতির নিরিখে দেখলে শ্রীকৃষ্ণ ছাড়া অন্য কোনও নাম মাথায় আসবে না। অথচ, তিনি মহারাজা ছিলেন না, কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধেও সরাসরি অংশগ্রহণ করেননি।
বিশদ

29th  June, 2021
একনজরে
দোকানে হালখাতা সেরে বাড়ি ফেরার পথে দুষ্কৃতীদের গুলিতে মৃত্যু হল এক স্বর্ণ ব্যবসায়ীর। শুক্রবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার হিলি থানার তিওরে। ...

পাঁচ বছর পর উদ্ধার হল ঘরছাড়া কিশোরী। দালালচক্রের হাত থেকে তাঁকে রক্ষা করেছে পুলিস। ঘটনায় আব্দুল দিশান মণ্ডল নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শুক্রবার রাতে চুঁচুড়া থানার ব্যান্ডেলের একটি বাড়ি থেকে ১৭ বছরের ওই কিশোরীকে উদ্ধার করা হয়। ...

দুর্গাপুর ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডের ফরিদপুর এলাকায় ছাইয়ের স্তূপ থেকে শনিবার অজ্ঞাতপরিচয় এক মহিলার পচাগলা মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। পুলিস জানিয়েছে, মৃতার বয়স আনুমানিক ৪৫ বছর। ...

দলীয় কর্মীর গালে চড় মেরে বিতর্কে জড়ালেন কর্ণাটক কংগ্রেসের সভাপতি ডি কে শিবকুমার। ঘটনাটি সকলের সামনেই ঘটে। একাধিক ক্যামেরাতেও তা বন্দি হয়। পরে সাংবাদিকদের ভিডিওটি ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

বিদ্যার্থীরা মাঝে মধ্যে মানসিক উদ্বেগের জন্য শিক্ষায় অমনোযোগী হয়ে পড়বে। কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে নানা সুযোগ আসবে। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস
১৮২৩ সালের এই দিনে ভারতের তৈরি প্রথম জাহাজ ডায়না কলকাতা বন্দর থেকে আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু করে।
১৮৮৯ সালের এই দিনে অবিভক্ত ভারতের কলকাতায় প্রথম প্রতিযোগিতামূলক ফুটবল টুর্নামেন্ট শুরু হয়।
১৯২১: মঙ্গোলিয়ায় গণপ্রজাতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করল লাল ফৌজ
১৯৩০ সালের এই দিনে অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটার ডন ব্রাডম্যান এক দিনে ৩০৯ রান করার রেকর্ড করেন, পরে টেস্ট ম্যাচে তা ৩৩৪ রানের সর্বোচ্চ রেকর্ড হয়েছিল।
১৯৫৬: সাহিত্যিক অমিতাভ ঘোষের জন্ম
১৯৬২: প্রথম ট্রান্সআতলান্তিক স্যাটেলাইট টেলিভিশনের সম্প্রচার শুরু হল
১৯৬৭: সাহিত্যিক ঝুম্পা লাহিড়ির জন্ম
১৯৭২: বিশ্ব দাবা চ্যাম্পিয়নশিপে প্রথম খেলা ববি ফিশার ও বরিস স্পাসকির মধ্যে শুরু হল
১৯৭৯: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম মহাকাশ স্টেশন স্কাইল্যাব পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ করে। সেটিকে ভারত মহাসাগরে ফেলে ধ্বংস করা হয়।
২০০৬: মুম্বইয়ে ধারাবাহিক বিস্ফোরণে ২০৯জনের মৃত্যু
২০১২: আবিষ্কার হল প্লুটোর পঞ্চম উপগ্রহ এস/২০১২ পি ১



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭৩.৮৯ টাকা ৭৫.৬১ টাকা
পাউন্ড ১০১.২৩ টাকা ১০৪.৭২ টাকা
ইউরো ৮৬.৯৩ টাকা ৯০.০৯ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
10th  July, 2021
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৪৮,৭০০
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৪৬,২০০
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৪৬,৯০০
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৬৯,৪০০
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৬৯,৫০০
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

২৬ আষাঢ় ১৪২৮, রবিবার, ১১ জুলাই ২০২১। প্রতিপদ ৬/৫১ দিবা ৭/৪৮। পুষ্যা নক্ষত্র ৫৩/১৭ রাত্রি ২/২২। সূর্যোদয় ৫/৩/১, সূর্যাস্ত ৬/২০/৫৭। অমৃতযোগ দিবা ৬/৪৯ গতে ৯/২৯ মধ্যে পুনঃ ১২/৮ গতে ২/৪৮ মধ্যে। রাত্রি ৭/৪৬ মধ্যে পুনঃ ১০/৩৮ গতে ১২/৪৬ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৪/৩৪ গতে ৫/২৭ মধ্যে। বারবেলা ১০/২ গতে ১/২১ মধ্যে। কালরাত্রি ১/২ গতে ২/২২ মধ্যে। 
২৬ আষাঢ় ১৪২৮, রবিবার, ১১ জুলাই ২০২১। প্রতিপদ দিবা ৬/৫৮। পুষ্যা নক্ষত্র রাত্রি ২/১৭। সূর্যোদয় ৫/৩, সূর্যাস্ত ৬/২৩। অমৃতযোগ দিবা ৬/৫১ গতে ৯/২৯ মধ্যে ও ১২/৪৯ গতে ২/৪৯ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৪৭ মধ্যে ও ১০/৩৮ গতে ১২/৪৮ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৪/৩৫ গতে ৫/২৯ মধ্যে। বারবেলা ১০/৩ গতে ১/২৩ মধ্যে। কালরাত্রি ১/৩ গতে ২/২৩ মধ্যে। 
৩০ জেল্কদ।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
রাজ্যে দৈনিক সংক্রমণের গ্রাফ নিম্নমূখী, কমছে মৃত্যুর সংখ্যাও
গতকালের তুলনায় রাজ্যে আরও বেশ কিছুটা কমল করোনায় দৈনিক সংক্রমণ ...বিশদ

07:36:19 PM

মহিষাদলে শুরু লেত উৎসব
শুক্রবার বিকেলে মহিষাদলে শুরু হল রথের নেত্রদান বা লেত উৎসব। ...বিশদ

05:49:11 PM

তামিলনাড়ুতে বিরল প্রজাতির সামুদ্রিক প্রাণী সহ গ্রেপ্তার ১
তামিলনাড়ুতে বিরল প্রজাতির সামুদ্রিক প্রাণী সহ একটি নৌকা বাজেয়াপ্ত। ঘটনায় ...বিশদ

05:44:15 PM

পেট্রোপণ্য ও গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধি, মাথাভাঙায় তৃণমূলের প্রতিবাদ  মিছিল
মাথাভাঙা-২ ব্লকের নিশিগঞ্জে পেট্রোপণ্য ও রান্নার গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে অভিনব ...বিশদ

04:15:00 PM

কোভিড বিধি ভঙ্গ করায় আলিপুরদুয়ারে গ্রেপ্তার ৪ ব্যবসায়ী

04:01:25 PM

শহরে প্যাঙ্গোলিনের আঁশ ও নখ সহ গ্রেপ্তার ২
কলকাতায় একটি বাস থেকে উদ্ধার প্যাঙ্গোলিনের আঁশ ও নখ। ঘটনাস্থল ...বিশদ

03:53:36 PM