বিদ্যার্থীরা মাঝে মধ্যে মানসিক উদ্বেগের জন্য শিক্ষায় অমনোযোগী হয়ে পড়বে। কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে নানা সুযোগ আসবে। ... বিশদ
জানা গিয়েছে, এদিন ভোরে বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে সূতির ফরিদপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সিঁড়ির তলায় সহিদুল শেখকে মৃত অবস্থায় দেখতে পায় এলাকাবাসী। আকস্মিক এই মৃতদেহ উদ্ধারের পর থেকেই রহস্য দানা বাঁধে। মৃত সহিদুলের স্ত্রী সেলিনা বিবির পরকীয়ার কথা জেনে ফেলায় এই খুন বলে পরিবারের দাবি। স্ত্রীর অবৈধ সম্পর্ক কথা জানাজানির পর থেকেই পরিবারে অশান্তি শুরু হয় বলে জানা গিয়েছে। গত দিন সাতেক আগে ঝগড়া করে প্রেমিকের সঙ্গে বাড়ি থেকে পালিয়ে যায় সেলিনা বিবি। বিস্তর খোঁজাখুঁজির পরও স্ত্রীর কোনও সন্ধান পাওয়া যায়নি। মৃতের পরিবারের দাবি, গত রাতে বউমা ও তার প্রেমিক ফোন করে ছেলেকে ডাকে। তারপর পাটের জমিতে নিয়ে গিয়ে মদ্যপান করিয়ে পরিকল্পনা মাফিক খুন করে। তারপর, প্রমাণ লোপাট করতে তাকে ফরিদপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সিঁড়ির তলায় ফেলে রাখে। মৃতের বাবা মোরতুজ শেখ বলেন, বউমার পরপুরুষের সঙ্গে অবৈধ সম্পর্ক রয়েছে। একাধিক বার তাকে সাবধানও করা হয়েছে। এনিয়ে অশান্তি হলে বউমা বাড়ি ছেড়ে চলে যায়। তারপর, লোক লাগিয়ে ছেলেকে খুন করে। আমরা দোষীদের শাস্তি চাই।
জানা গিয়েছে, সেলিনা বিবির চার ছেলেমেয়ে রয়েছে। বেশ কিছুদিন থেকে প্রতিবেশী বিবাহিত যুবক উমার শেখের সঙ্গে তার অবৈধ সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এই সম্পর্কের কথা জানাজানি হতেই অশান্তির সূত্রপাত। এছাড়া মাঝেমধ্যেই রাতবিরেতও সে বাড়ি থেকে চলে যেত। স্বামী বাধা দিলে তাকে মারধর ও মেরে ফেলারও হুমকি দিত বলে পরিবারের দাবি। গত রাতে প্রেমিক সহ দুষ্কৃতীরা মিলে তাকে খুন করে বলে পরিবারের অভিযোগ।