Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

আমাদের ডানা ছিল, উড়তে শিখেছিলাম
পি চিদম্বরম

দূর অতীতের বিষয় বলে মনে হয়। তবু বেশ স্মরণ করতে পারি। বড়জোর তিরিশ বছর আগের কথা—ছিল একটামাত্র অন্তর্দেশীয় বিমান পরিবহণ সংস্থা (ইন্ডিয়ান এয়ারলাইনস), টেলিফোন পরিষেবা প্রদানের দু’টো সংস্থা (বিএসএনএল এবং এমটিএনএল), তিনটে গাড়ি নির্মাণ কোম্পানি (অ্যাম্বাসাডর, ফিয়াট ও মারুতি)। সে-সময় টেলিফোন ও গ্যাসের কানেকশন গ্রহণ এবং স্কুটার কেনার জন্য আবেদনকারীদের নামের তালিকাটি হতো সুদীর্ঘ। বহু পণ্যের রীতিমতো আকাল চলত। সবচেয়ে দুষ্প্রাপ্য ছিল বৈদেশিক মুদ্রা। মাস্টার ডিগ্রি গ্রহণের জন্য আমাকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে যেতে হয়েছিল। তার জন্য দরকার ছিল দৈনিক ৭ ডলার মাত্র, একবছরে দশমাসের হিসেবে! 
১৯৯১ সালে এটাই ছিল ভারতের অর্থনীতি। রাষ্ট্র-নিয়ন্ত্রিত অর্থনীতি, মনোপলি অথবা রাষ্ট্রায়ত্ত ক্ষেত্রের আধিপত্য, আমদানি নিয়ন্ত্রণ, বৈদেশিক মুদ্রা বিনিময়ের নির্দিষ্ট হার, লাইসেন্সিং, বাজার সম্পর্কে সন্দেহের মনোভাব প্রভৃতি বিষয়ে একটা রাজনৈতিক সহমত কাজ করত। এই ব্যাপারে কোনও রাজনৈতিক দল ব্যতিক্রম ছিল না। অতি বাম মনোভাবাপন্নরাই ভিন্নমত পোষণ করতেন। 

প্রত্যাদিষ্ট বাছাই
১৯৯১ সালে অনুষ্ঠিত লোকসভার ভোটে কোনও দলের কাছে সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভের প্রত্যাশা ছিল না। ২৩২ আসন জিতে কংগ্রেস সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভের কাছাকাছি পৌঁছেছিল। অর্থনৈতিক সঙ্কটের অতল থেকে ভারতকে সফলভাবে টেনে তোলার জন্য কেউ সরকারকে যৎসামান্য সুযোগও দেয়নি। ক্যাবিনেট মন্ত্রিপদে যাঁর একেবারে গতানুগতিক একটা কেরিয়ার ছিল, সেই পি ভি নরসিমা রাও প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিজেকে রাজনীতির জাদুকর প্রতিপন্ন করলেন! তাঁর তরফে অর্থমন্ত্রী পদে মনমোহন সিংকে বেছে নেওয়াটা ছিল প্রত্যাদিষ্টের মতো। বাণিজ্যমন্ত্রী পদে আমাকে নিয়োগের কারণটা, অনুমান করি, আমার এমবিএ ডিগ্রির সৌজন্যে। 
মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠকে, ক্যাবিনেট সচিব নরেশ চন্দ্রের উদ্দেশে নরসিমা রাওয়ের স্মরণীয় মন্তব্য ছিল, ‘নরেশ, মন্ত্রীদের জন্য ঘোড়া এবং গাড়ি খুঁজে পেয়েছেন তো?’ আস্থা ভোটে (সংখ্যালঘু) সরকারের হেরে যাওয়ার ভয় নিয়ে প্রথম দশটা দিন কেটেছিল ভীষণ মন্থর ও ম্যাড়মেড়ে ভাবে। সময় ও নদীর স্রোত কারও জন্য, এমনকী, ভারতের প্রধানমন্ত্রীর জন্যও অপেক্ষা করে না। ভারতের বৈদেশিক মুদ্রা সঞ্চয় ফুরিয়ে আসছিল, খেলাপি হয়ে যাওয়ার ভয় পেয়ে বসেছিল, (বেসরকারিভাবে) মার্কিন ডলারের বিনিময় মূল্য চড়চড় করে বাড়ছিল, আমদানি ও রপ্তানি ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিরা ভয়ে সিঁটিয়ে গিয়েছিলেন, দেশটা যেন সুদীর্ঘ একটা সুড়ঙ্গের ভিতরে ঢুকে গিয়েছিল যার কোত্থাও আলোর সন্ধান নেই। আরও বেশি সমাজতন্ত্রের দাবিতে চিলচিৎকার জুড়েছিলেন বামেরা। মুক্ত অর্থনীতির পক্ষে সওয়ালকারী কোনও রাজনীতিকের দেখা মেলেনি। 
ছ’জন পুরুষ (কারণ সেটা ছিল লিঙ্গবৈষম্যের যুগ) একটা পাথরের মতো এমনভাবে উঠে দাঁড়ালেন যেন তার উপর ভগবান রামচন্দ্রের শ্রীচরণ যুগল এসে পড়ার প্রতীক্ষায় আছে: নরেশ চন্দ্র, এ এন ভার্মা, মন্টেক আলুওয়ালিয়া, রাকেশ মোহন, এস ভেঙ্কিটারামানন এবং ডঃ সি রঙ্গরাজন। দশম লোকসভা নির্বাচনের সময় তাঁরা একটা পরিকল্পনা করেছিলেন। প্রথম পদক্ষেপটা ছিল ভিতরে ভিতরে বিস্ফোরক: অবমূল্যায়ন। ১ জুলাই ডঃ মনমোহন সিং ৯ শতাংশ অবমূল্যায়নের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট মহলের প্রতিক্রিয়া যাচাই করে নিলেন। প্রধানমন্ত্রী ছিলেন ‘ফ্রিজ’ করে দেওয়ার পক্ষে। মনমোহন সুকৌশলে সেই নিদান এড়িয়ে গিয়ে ৩ জুলাই তাঁর দ্বিতীয় পদক্ষেপে ১০ শতাংশ অবমূল্যায়ন করেন। 

শিকল ছিঁড়ে বেরনো
ডঃ সিং চাপসৃষ্টি করলেন আমার এবং আলুওয়ালিয়ার উপর। বাণিজ্য নীতি পরিবর্তনের ব্যাপারে আমরা ১৩ দফার একটা প্যাকেজ আনলাম। ৪ জুলাই, আমি সেটা ঘোষণা করলাম এক সাংবাদিক সম্মেলনে। বাণিজ্য নীতির ঘোষণা বাণিজ্য মন্ত্রকের এক্তিয়ারের বাইরে চলে গিয়েছিল। ফিসকাল (রাজকোষ) এবং শিল্প নীতি, বৈদেশিক পুঁজি, আমদানির ধারা রোধ, বেশিরভাগ আমদানির লাইসেন্স বিলোপ এবং ভারতীয় মুদ্রাকে বাণিজ্য হিসেবে রূপান্তরের (কনভার্টিবিলিটি অফ দ্য রুপি অন দ্য ট্রেড অ্যাকাউন্ট) মধ্যে আমি সমন্বয় পদক্ষেপের উপর জোর দিয়েছিলাম! আমি এও বলেছিলাম যে, প্রধানমন্ত্রী ও অর্থমন্ত্রী এই ‘ব্যবস্থা গ্রহণের পক্ষে পূর্ণ সহায়’ ছিলেন। অর্থমন্ত্রক তার এই অভিযানে নতুন প্রেরণা পেল। নতুন বাণিজ্য নীতি প্রস্তাব গ্রহণে বাধ্য করল বাণিজ্য মন্ত্রক। ২৪ জুলাই পেশ করা হল যুগান্তকারী এক বাজেট।  
আড়াই সদস্যের শক্তিসম্পন্ন সংস্কারবাদী রাজনৈতিক ব্রিগেড সংসদে প্রবল বিরোধীদের মোকাবিলা করল। সমালোচনায় সবাইকে ছাপিয়ে গিয়েছিলেন চন্দ্রশেখর। বিরোধী আক্রমণের ধার ভোঁতা করে দিতে আমি ফাইলপত্র নিয়ে গিয়েছিলাম, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রকের উদার বাণিজ্য নীতি প্রস্তাবগুলিতে যেখানে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তাঁর অনুমোদন ছিল, কিন্তু সেটার রূপায়ণ হয়নি। ‘নোটিংস’ একনজর দেখে নিয়ে, নিছক ‘প্রস্তাব’ জ্ঞানে তিনি খারিজ করে দিলেন, যেগুলো কোনওদিনই রূপায়িত হওয়ার জন্য নয়! 
আমূল পরিবর্তন আনার জন্য আমি ঝাঁপিয়েছিলাম। আমদানি-রপ্তানির প্রধান নিয়ন্ত্রকের দপ্তর আমরা তুলে দিয়েছিলাম। ‘ইন্ডিয়ান ট্রেড সার্ভিস’ গুটিয়ে দিয়েছিলাম আমরা। বিদায় দিলাম ‘রেড বুক’-কে—একটা সফল বণিক জাতিকে, ইয়া বড়া বইটা ৪০ বছর যাবৎ শ্বাসরোধ করে রেখেছিল। ওই বছরের শেষদিকে, ডঃ সিং আমার অগোচরে আলুওয়ালিয়াকে আমার কাছ থেকে সরিয়ে নিয়েছিলেন। তাঁকে দেখে আমার খারাপ লেগেছিল এবং ডঃ ওয়াই ভি রেড্ডি চলে গিয়েছিলেন অর্থমন্ত্রকে। এ ভি গণেশনকে পেয়ে আমি খুশি হয়েছিলাম, কিন্তু অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রী মাধবরাও সিন্ধিয়া আমার উপর বেজায় চটে গিয়েছিলেন তাঁর সচিবকে তুলে নেওয়ার কারণে!

নতুন বৈদেশিক বাণিজ্য নীতি
একটা নতুন বৈদেশিক বাণিজ্য নীতি রচনার জন্য আমি অন্তর থেকে প্রস্তুত হয়ে ছিলাম। আমার নির্দেশাবলি ছিল স্পষ্ট: (১) লিখতে হবে ১০০ পাতার মধ্যে, তার থেকে একপাতাও বেশি নয়। (২) লিখতে হবে সহজ সরল ইংরেজিতে। পরিভাষা-কণ্টকিত বা দুর্বোধ্য গুরুগম্ভীর কিছু হলে চলবে না। কিন্তু এই নীতি এবং কার্যপ্রণালীর হ্যান্ডবুক কে লিখবেন? পুরো মন্ত্রকে এই দায়িত্ব গ্রহণে ইচ্ছুক বা সক্ষম একজনও ছিলেন না। হতাশ হইনি। এক রবিবার, আমি বাণিজ্য নীতির প্রথম অধ্যায়ের জন্য ‘ডিকটেশন’ দেওয়া শুরু করলাম।  প্রতিটা অধ্যায় শেষ হতেই মিস্টার গণেশন তার সঙ্গে সমন্বয় করে কার্যপ্রণালীর হ্যান্ডবুকের অধ্যায় লিখতে লাগলেন। আমরা কাজটা যথাসময়ে শেষ করে ফেললাম এবং ১৯৯২ সালের ৩১ মার্চ নতুন বাণিজ্য নীতি প্রকাশ করলাম। 
ওই নয়টি মাস, বড় সুখের সময় কেটেছিল। বিপুল পরিমাণে প্রবাহিত হয়েছিল অ্যাড্রিনাল গ্রন্থিরস। আমরা আবিষ্কার করলাম যে সবসময়ই আমাদের ডানা আছে, কিন্তু আমরা উড়তে ভুলে গিয়েছি। তিরিশ বছর আগে, এই সপ্তাহে, আমরা আকাশে যাত্রা করেছিলাম।  
 লেখক সাংসদ ও ভারতের প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী। মতামত ব্যক্তিগত 
05th  July, 2021
মোদিজি কবে বুঝবেন
ধামাকায় পেট ভরে না!
হিমাংশু সিংহ

একনায়কের মন্ত্রিসভায় মন্ত্রীরা তো আজ শুধু চিড়েতন, হরতন, ইস্কাবন ছাড়া কিছুই নয়! সনাতন ছন্দে নেচে যাওয়াটাই একমাত্র কাজ। নাহলে বাংলার ভোটপর্বে দীর্ঘ সময় তেলের দাম বৃদ্ধিতে ছেদ পড়েছিল কেমন করে। পর্দার পিছন থেকে খেলাচ্ছে কে? আবার ২ মে বাংলায় বিজেপির ভরাডুবির খবর বেরতেই দাম বাড়ানোর পুরনো খেলা শুরু হল কার নির্দেশে?
বিশদ

‘হাফ মন্ত্রী’ ও বিজেপির অঙ্ক
তন্ময় মল্লিক

সঙ্ঘ থেকে উঠে আসা সাংসদদের চোখের সামনে দিয়ে ‘দু’দিনের যোগী’রা ড্যাং ড্যাং করে মন্ত্রী হয়ে যাচ্ছেন। ইমেজ বা শিক্ষা নয়, ভোটে জেতানোর ‘ক্ষমতা’ই নেতাদের কাছে স্বীকৃতি পাচ্ছে। লোকসভা নির্বাচন যত এগিয়ে আসবে এই প্রবণতা ততই বাড়বে। বিশদ

10th  July, 2021
কী চায় রাষ্ট্র?
কী চাই আমরা?
সমৃদ্ধ দত্ত

একটি সূক্ষ্ম কৌশল নিয়েছে আজকের রাষ্ট্র। তারা মানুষের মনের মধ্যে প্রোথিত করে দিতে চাইছে, এই যে নিত্যদিনের জীবনযাপনের দায়, মূল্যবৃদ্ধি, এসব তোমাদের ব্যক্তিগত সমস্যা। একক দায়িত্ব। এর সঙ্গে লড়াই করতে হবে তোমাকে। পারলে টিকবে। নয়তো একটু সামাজিকভাবে নীচে নেমে যাবে। রাষ্ট্র বলতে চাইছে, সরকারের এসব নিয়ে ভাবনার কোনও দায় নেই।
বিশদ

09th  July, 2021
অশান্ত সময়ে ফিরছে
আফগানিস্তান!
মৃণালকান্তি দাস

 

তালিবানদের একটা বড় অংশই কাবুলে ভারতের উপস্থিতি এবং কাজকে স্বীকৃতি দেয়। তারা প্রাথমিক ভাবে চাইবে না ভারতকে হটাতে। পাশাপাশি এটাও ধর্তব্যের মধ্যে রাখা হচ্ছে যে, আফগানিস্তান থেকে ভারত-বিরোধী জঙ্গিদের উচ্ছেদ করতে তালিবান হয়তো বিশেষ সক্রিয়তা দেখাবে না।
বিশদ

08th  July, 2021
দেশের মানুষের কুকথায় জর্জরিত মোদি
সন্দীপন বিশ্বাস

নিজের নাক কেটে অন্যের যাত্রাভঙ্গ। শুধু কৌশল করে মমতাকে বিপাকে ফেলাই এখন মোদিবাবুদের এক নম্বর অ্যাজেন্ডা। চুলোয় যাক দেশ শাসন, চুলোয় যাক পেট্রলের দাম একশো টাকায় পৌঁছে যাওয়া, বাড়ুক যত ইচ্ছে গ্যাসের দাম, নাক কাটা যাক রাফাল কেলেঙ্কারি নিয়ে, ভ্যাকসিন কেলেঙ্কারি নিয়ে ধিক্কার উঠুক, সেসব বোধহয় এখন আর মোদিবাবু পরোয়া করেন না। বিশদ

07th  July, 2021
মোদির ভারতে নিঃস্ব হওয়ার পথে মধ্যবিত্ত
শান্তনু দত্তগুপ্ত

 

স্বাধীনতার ঠিক পরের ঘটনা। তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরু বলেছিলেন, ‘সঞ্চয় একটা বিপ্লব। আমার কাছে এর গুরুত্ব অসীম। ন্যাশনাল সেভিংস গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, এর মাধ্যমে দেশবাসী তাঁদের আয়ের থেকে কিছু অংশ বাঁচিয়ে রাখবেন ভবিষ্যতের জন্য। বিশদ

06th  July, 2021
 ধনতন্ত্রের চীনে কমিউনিস্ট পার্টির শতবর্ষ
 হিমাংশু সিংহ

অত্যন্ত গরিব পরিবারে জন্ম। ১২ বছর বয়সেই স্কুল ড্রপ আউট। এখন বয়স ৬৬। এই মুহূর্তে বদলে যাওয়া ধনতান্ত্রিক চীনের অন্যতম উজ্জ্বল মুখ শিল্পপতি ঝাং শানশান। বৃহৎ বিলিয়নেয়ার সংস্থার কর্ণধার তিনি।
বিশদ

04th  July, 2021
ঘরছাড়ার রাজনীতির শেষ কোথায়?
তন্ময় মল্লিক

বাম জমানার ‘ঘরছাড়া’র ট্র্যাডিশন তৃণমূলের রাজত্বেও চলবে, এমনটা বলার কোনও জায়গা নেই। বহু ক্ষেত্রেই ঘরছাড়া করার পিছনে ব্যক্তিগত দ্বন্দ্ব কাজ করে। অনেকের কাছে এটা টাকা কামানোর রাস্তা। বিশদ

03rd  July, 2021
বিরোধী রাজনীতির
দিশাহীনতার কারণ কী?
সমৃদ্ধ দত্ত

বিরোধীদের এতটা দৈন্যদশা স্বাধীনতার পর পশ্চিমবঙ্গে দেখেনি। দুটি ঐতিহাসিক দল শূন্য হয়ে গিয়েছে। আর যারা নতুন শক্তিশালী বিরোধী হিসেবে অবতীর্ণ হয়েছে, তারা সকলেই সম্পূর্ণ দিশাহীন। এই মুহূর্তে বিরোধী দলগুলির কাছে সবথেকে বড় সঙ্কট হল ইস্যুহীনতা।
বিশদ

02nd  July, 2021
হারানো রাজবংশের নয়া মহারাজ
মৃণালকান্তি দাস

বুবুগ্রা। ত্রিপুরার উপজাতিদের ককবরক ভাষায় এর অর্থ মহারাজ। ত্রিপুরার রাজপরিবারের বংশধর প্রদ্যোত কিশোর দেববর্মাই এখন ত্রিপুরার উপজাতিদের বুবুগ্রা। তাঁর পাকানো গোঁফ নেই।
বিশদ

01st  July, 2021
শ্রীরামের আজ মোদি রাখি না যোগী রাখি দশা
হারাধন চৌধুরী

‘গোরখপুর মে রহনা হ্যায় তো যোগী যোগী কহনা হ্যায়!’এই ছিল হিন্দুত্বের পোস্টার বয় আদিত্যনাথের অনুগামীদের স্লোগান। ২০১৭। লখনউতে মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে সবচেয়ে যোগ্য ব্যক্তি খুঁজে পেতে দল যখন দিশেহারা, তখন আস্তিনের তলা থেকে তাস বের করলেন নরেন্দ্র মোদি—গোরক্ষপুরের সাংসদ।
বিশদ

30th  June, 2021
উপায় মহাজোট... কংগ্রেসকে নিয়েই
শান্তনু দত্তগুপ্ত

মহাভারতের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রের নাম কী? রাজনীতির নিরিখে দেখলে শ্রীকৃষ্ণ ছাড়া অন্য কোনও নাম মাথায় আসবে না। অথচ, তিনি মহারাজা ছিলেন না, কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধেও সরাসরি অংশগ্রহণ করেননি।
বিশদ

29th  June, 2021
একনজরে
দোকানে হালখাতা সেরে বাড়ি ফেরার পথে দুষ্কৃতীদের গুলিতে মৃত্যু হল এক স্বর্ণ ব্যবসায়ীর। শুক্রবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার হিলি থানার তিওরে। ...

কৃষকদের জন্য রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকারের প্রকল্প রূপায়িত করতে কৃষিদপ্তরের আঞ্চলিক অফিসগুলিতে এখন জোর কর্মতৎপরতা চলছে। শনিবারের ছুটির দিনে তো বটেই, কোথাও কোথাও রবিবারও কর্মীদের ...

দুর্গাপুর ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডের ফরিদপুর এলাকায় ছাইয়ের স্তূপ থেকে শনিবার অজ্ঞাতপরিচয় এক মহিলার পচাগলা মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। পুলিস জানিয়েছে, মৃতার বয়স আনুমানিক ৪৫ বছর। ...

উইম্বলডন চ্যাম্পিয়ন হলেন বিশ্বের এক নম্বর খেলোয়াড় অ্যাশলি বার্টি। অস্ট্রেলিয়ার এই তারকা শনিবার ফাইনালে ৬-৩, ৬-৭ (৪), ৬-৩ সেটে হারালেন চেক প্রজাতন্ত্রের ক্যারোলিনা প্লিসকোভাকে। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

বিদ্যার্থীরা মাঝে মধ্যে মানসিক উদ্বেগের জন্য শিক্ষায় অমনোযোগী হয়ে পড়বে। কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে নানা সুযোগ আসবে। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস
১৮২৩ সালের এই দিনে ভারতের তৈরি প্রথম জাহাজ ডায়না কলকাতা বন্দর থেকে আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু করে।
১৮৮৯ সালের এই দিনে অবিভক্ত ভারতের কলকাতায় প্রথম প্রতিযোগিতামূলক ফুটবল টুর্নামেন্ট শুরু হয়।
১৯২১: মঙ্গোলিয়ায় গণপ্রজাতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করল লাল ফৌজ
১৯৩০ সালের এই দিনে অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটার ডন ব্রাডম্যান এক দিনে ৩০৯ রান করার রেকর্ড করেন, পরে টেস্ট ম্যাচে তা ৩৩৪ রানের সর্বোচ্চ রেকর্ড হয়েছিল।
১৯৫৬: সাহিত্যিক অমিতাভ ঘোষের জন্ম
১৯৬২: প্রথম ট্রান্সআতলান্তিক স্যাটেলাইট টেলিভিশনের সম্প্রচার শুরু হল
১৯৬৭: সাহিত্যিক ঝুম্পা লাহিড়ির জন্ম
১৯৭২: বিশ্ব দাবা চ্যাম্পিয়নশিপে প্রথম খেলা ববি ফিশার ও বরিস স্পাসকির মধ্যে শুরু হল
১৯৭৯: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম মহাকাশ স্টেশন স্কাইল্যাব পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ করে। সেটিকে ভারত মহাসাগরে ফেলে ধ্বংস করা হয়।
২০০৬: মুম্বইয়ে ধারাবাহিক বিস্ফোরণে ২০৯জনের মৃত্যু
২০১২: আবিষ্কার হল প্লুটোর পঞ্চম উপগ্রহ এস/২০১২ পি ১



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭৩.৮৯ টাকা ৭৫.৬১ টাকা
পাউন্ড ১০১.২৩ টাকা ১০৪.৭২ টাকা
ইউরো ৮৬.৯৩ টাকা ৯০.০৯ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
10th  July, 2021
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৪৮,৭০০
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৪৬,২০০
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৪৬,৯০০
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৬৯,৪০০
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৬৯,৫০০
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

২৬ আষাঢ় ১৪২৮, রবিবার, ১১ জুলাই ২০২১। প্রতিপদ ৬/৫১ দিবা ৭/৪৮। পুষ্যা নক্ষত্র ৫৩/১৭ রাত্রি ২/২২। সূর্যোদয় ৫/৩/১, সূর্যাস্ত ৬/২০/৫৭। অমৃতযোগ দিবা ৬/৪৯ গতে ৯/২৯ মধ্যে পুনঃ ১২/৮ গতে ২/৪৮ মধ্যে। রাত্রি ৭/৪৬ মধ্যে পুনঃ ১০/৩৮ গতে ১২/৪৬ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৪/৩৪ গতে ৫/২৭ মধ্যে। বারবেলা ১০/২ গতে ১/২১ মধ্যে। কালরাত্রি ১/২ গতে ২/২২ মধ্যে। 
২৬ আষাঢ় ১৪২৮, রবিবার, ১১ জুলাই ২০২১। প্রতিপদ দিবা ৬/৫৮। পুষ্যা নক্ষত্র রাত্রি ২/১৭। সূর্যোদয় ৫/৩, সূর্যাস্ত ৬/২৩। অমৃতযোগ দিবা ৬/৫১ গতে ৯/২৯ মধ্যে ও ১২/৪৯ গতে ২/৪৯ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৪৭ মধ্যে ও ১০/৩৮ গতে ১২/৪৮ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৪/৩৫ গতে ৫/২৯ মধ্যে। বারবেলা ১০/৩ গতে ১/২৩ মধ্যে। কালরাত্রি ১/৩ গতে ২/২৩ মধ্যে। 
৩০ জেল্কদ।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
রাজ্যে দৈনিক সংক্রমণের গ্রাফ নিম্নমূখী, কমছে মৃত্যুর সংখ্যাও
গতকালের তুলনায় রাজ্যে আরও বেশ কিছুটা কমল করোনায় দৈনিক সংক্রমণ ...বিশদ

07:36:19 PM

মহিষাদলে শুরু লেত উৎসব
শুক্রবার বিকেলে মহিষাদলে শুরু হল রথের নেত্রদান বা লেত উৎসব। ...বিশদ

05:49:11 PM

তামিলনাড়ুতে বিরল প্রজাতির সামুদ্রিক প্রাণী সহ গ্রেপ্তার ১
তামিলনাড়ুতে বিরল প্রজাতির সামুদ্রিক প্রাণী সহ একটি নৌকা বাজেয়াপ্ত। ঘটনায় ...বিশদ

05:44:15 PM

পেট্রোপণ্য ও গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধি, মাথাভাঙায় তৃণমূলের প্রতিবাদ  মিছিল
মাথাভাঙা-২ ব্লকের নিশিগঞ্জে পেট্রোপণ্য ও রান্নার গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে অভিনব ...বিশদ

04:15:00 PM

কোভিড বিধি ভঙ্গ করায় আলিপুরদুয়ারে গ্রেপ্তার ৪ ব্যবসায়ী

04:01:25 PM

শহরে প্যাঙ্গোলিনের আঁশ ও নখ সহ গ্রেপ্তার ২
কলকাতায় একটি বাস থেকে উদ্ধার প্যাঙ্গোলিনের আঁশ ও নখ। ঘটনাস্থল ...বিশদ

03:53:36 PM