কর্ম, বিদ্যা ক্ষেত্রে উন্নতির যোগ। আয় ব্যয় ক্ষেত্রে সমতার অভাব। স্বাস্থ্য ভালো থাকলেও আঘাতযোগ থাকায় ... বিশদ
বাহ্যজগৎ হইতে মন উৎপন্ন হইয়াছে এবং বাহ্যজগতে মন থাকিতে বড় ভালবাসে, ইহাই মনের স্বধর্ম। এই মনকে সর্বপ্রকারে বাহ্যবস্তু হইতে উঠাইয়া লইয়া সেই হরিপাদপদ্মে স্থিত করা—ইহা কেবল ভগবানের কৃপা না হইলে কোনমতে হওয়ার সম্ভাবনা নাই। উপস্থিত আমার মনের অবস্থা বড় ভাল নহে। যত দিন যাইতেছে ততই অজ্ঞান এবং অশান্তিতে মনকে জড়ীভূত করিতেছে। সাধনভজন দ্বারা মনের শান্তি পাইব এরূপ আশাও নাই। যেমন পক্ষীর পক্ষ না থাকিলে উড়া অসম্ভব, তদ্রূপ অনুরাগবিহীন সাধনভজনের চেষ্টা আমার পক্ষে বিফল হইতেছে। জানি না কতদিন আমাকে এরূপ অশান্তিতে এবং মনঃকষ্টে কালযাপন করিতে হইবে। শ্রীশ্রীজগদীশ্বরের নিকট প্রার্থনা করিতেছি এবং আপনারা আশীর্বাদ করুন যেন সত্বর দেহাদিভাব হইতে মুক্ত হইতে পারি। এ জনমে আর কোন আশা নাই। এখন বাঁচিয়া থাকা কেবল বিড়ম্বনামাত্র। আশীর্বাদ করুন যেন গুরুপাদপদ্মে মিশিয়া যাই, আর আমার কোন বাসনা না থাকে।
নরেন এখন কোথায় সাধনভজন করিতে গিয়াছে? পূর্ব পত্রে লিখিয়াছিলেন যে, পওহারী বাবার উপর পূর্বে যেরূপ শ্রদ্ধা এবং ভক্তি হইয়াছিল এখন তাহা আর নাই। এবার লিখিয়াছেন যে, তাঁহার আদেশে অন্য কোন স্থানে তপস্যা করিতে গিয়াছে। তাহা হইলে বোধ হইতেছে, তাঁহার উপর এখনো খুব বিশ্বাস আছে। নচেৎ তাঁহার কথায় কেন সাধন করিতে যাইবে? নরেন কি এখন গাজীপুরে নাই? বাবুরাম যদ্যপি পীড়িত অবস্থায় গাজীপুরে থাকে, তাহা হইলে আরোগ্য হইলেই যেন ফিরিয়া কলিকাতায় যায়। তাহাকে ফিরিয়া যাইতে আপনি পত্র লিখিবেন। এক জায়গায় থাকিলে নানাস্থানে যাইতে মন বড় ব্যস্ত হয়, সেটা কেবল ভ্রমমাত্র। শ্রীশ্রীগুরুদেবের কথায়ও আমাদের চৈতন্য হয় না।