কর্ম, বিদ্যা ক্ষেত্রে উন্নতির যোগ। আয় ব্যয় ক্ষেত্রে সমতার অভাব। স্বাস্থ্য ভালো থাকলেও আঘাতযোগ থাকায় ... বিশদ
বিরোধীরা মোদির বিরুদ্ধে দুর্নীতি ইস্যুতে সোচ্চার হবে বলেই জানিয়েছেন কংগ্রেসের কে সি বেণুগোপাল। এদিন রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা মল্লিকার্জুন খাড়্গের ঘরে বিরোধীদের বৈঠকেই সরকারকে চেপে ধরার স্ট্র্যাটেজি ঠিক হয়। সেই মতো প্রথমদিন থেকেই নিজেদের একজোট অবস্থান দেখিয়েছে মোদি বিরোধী ‘ইন্ডিয়া’ জোট। তা সে ওয়াকফ সংশোধনী বিল সংক্রান্ত যৌথ কমিটির সময়সীমা বাড়ানোর দাবিই হোক বা সংসদের আগামী দিনের কার্যপ্রণালী। কলকাতায় তৃণমূলের কার্যসমিতির বৈঠকের জন্য সোমবার সংসদে অনুপস্থিত ছিলেন লোকসভায় দলের নেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়।
তবে একা কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ই দলের হয়ে মোদি বিরোধী অবস্থানে লড়ে যান। এদিন সকালেই কার্যত তাঁর নেতৃত্বে ওয়াকফ কমিটির বিজেপি বিরোধী সদস্যরা লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লার চেম্বারে গিয়ে প্রতিবাদে সরব হন। ছিলেন নাদিমুল হক, কংগ্রেসের নাসির হোসেন, মহঃ জাভেদ, ডিএমকের ডি রাজা, আপের সঞ্জয় সিং। জোট মজবুত করেন আসাদউদ্দিন ওয়াইসি। সম্মিলিত বিরোধীদের দাবি, আগামী শুক্রবার কমিটির রিপোর্ট দেওয়া চলবে না। ওয়াকফ কমিটির সময়সীমা বাড়াতে হবে। বিরোধীদের দাবি সমর্থন করে স্পিকার আশ্বাস দিয়েছেন, সময়সীমা বাড়িয়ে দেওয়া হবে। এবং প্রতি সপ্তাহে কমিটি মিটিংয়ের পরিবর্তে পনের দিন অন্তর বৈঠক হবে। যদিও কমিটির চেয়ারম্যান জগদম্বিকা পাল জানান, ৫০০ পাতার রিপোর্ট রেডি।
বিরোধীরা সরকারকে চাপ দিয়েছে, সংবিধান নিয়ে আলোচনাতেও। লোকসভার বিজনেস অ্যাডভাইসারি (বিএ) কমিটির বৈঠকে কল্যাণ এবং কংগ্রেসের লোকসভার ডেপুটি লিডার গৌরব গগৈ বলেছেন, ঘটা করে ৭৫ তম সংবিধান দিবস পালন হচ্ছে। কিন্তু সংবিধান নিয়ে সংসদেই আলোচনা হবে না, এ কী করে হয়? দু’দিন সংবিধান নিয়ে আলোচনা করতে হবে। বিএ কমিটির বৈঠকে সংসদ বিষয়কমন্ত্রী কিরেণ রিজিজু ছিলেন চুপ। স্পিকারও কোনও কথা দেননি।