কর্ম, বিদ্যা ক্ষেত্রে উন্নতির যোগ। আয় ব্যয় ক্ষেত্রে সমতার অভাব। স্বাস্থ্য ভালো থাকলেও আঘাতযোগ থাকায় ... বিশদ
স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য, সারা বছরই কমবেশি জল জমে থাকে দমদম আন্ডারপাসের নীচের অংশে। বর্ষার সময় জল বাড়ে। বেশি বর্ষা হলে কোমর সমান জল দাঁড়িয়ে যায়। বর্ষা কমার কয়েক ঘণ্টা পর জল নামে। তবে বর্ষাকালের সাধারণ সময়ও আন্ডারপাসের তলায় হাঁটু সমান জল দেখা যায়নি। কিন্তু গত চার-পাঁচ দিন ধরে দমদম চিড়িয়ামোড়ের দিক থেকে নাগেরবাজারগামী লেনে হাঁটু সমান জল দাঁড়িয়ে। ওই জলে ভিজেছে দক্ষিণ দমদম পুরসভার দিকের দমদম রোডের বিস্তীর্ণ এলাকা। বাস বা চার চাকা গাড়ি গেলে নোংরা জলে সমুদ্রের মতো ঢেউ খেলছে। প্রতিদিন সকালে দমদম এলাকার একাধিক স্কুলের পড়ুয়াদের ওই জলের উপর দিয়েই নিয়ে যেতে বাধ্য হচ্ছেন অভিভাবকরা। পাঁচ নম্বর প্ল্যাটফর্ম দিয়ে যাতায়াত করা নিত্যযাত্রীরা নোংরা জলে পা দিয়েই যাতায়াত করছেন। একাধিক বাইকচালক জল দেখে ফিরে চলে যাচ্ছেন। তারপর বিপদের ঝুঁকি নিয়ে আন্ডারপাসের উল্টো দিকের লেন দিয়ে নাগেরবাজারের দিকে যাচ্ছেন। এতে যানজট তৈরি হচ্ছে। একইভাবে দমদম স্টেশন থেকে কয়েকশো মিটার দূরে বেদিয়াপাড়া এলাকার আন্ডারপাসেও জল জমে রয়েছে। দোকানদারদের দাবি, পুরসভার পাম্পের মাধ্যমে ওই জল বের করা হতো। কিন্তু ওই পাম্প কয়েক দিন ধরে বন্ধ থাকায় ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। কোথা থেকে আসছে এত নোংরা জল? রেলের দাবি, আশপাশের বাজারের জল ওই জায়গায় জমছে। কারণ প্ল্যাটফর্মের উপরে থাকা বাথরুমের জল বের করার পৃথক আউটলেট রয়েছে। বর্ষার সময় পাঁচ নম্বর প্ল্যাটফর্মের পাশে আরপিএফ থানা ও স্টেশন মাস্টার ক্যাম্পাসের সামান্য পরিমাণ জল ওই নিচু আন্ডারপাসে আসে। শীতের সময় জল যাওয়ার কোনও প্রশ্ন নেই। সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের কাউন্সিলার ও পুরসভার সিআইসি মুনমুন চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘স্টেশনের নোংরা জলেই এই পরিস্থিতি হচ্ছে। বারবার রেলকে বলেও লাভ হয়নি।’ ‘গত কয়েকদিন ধরে কেন এই ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে?’
এই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘নিশ্চয় ড্রেনের সমস্যা রয়েছে। পুরসভা সমস্যা সমাধানের যথাসম্ভব চেষ্টা চালাচ্ছে।’ নিজস্ব চিত্র