Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

ত্রুটি সংশোধনই যখন লক্ষ্য
তন্ময় মল্লিক

দু’বছর আগে আবাস যোজনার তালিকা তৈরির সময়েও সামনে এসেছিল বিস্তর অনিয়ম। পাকা বাড়ির, এমনকী চারতলা বিল্ডিংয়ের মালিকের নাম ছিল আবাসের তালিকায়। বাদ পড়েছিলেন দুঃস্থরা। এখন সার্ভে চলছে সেই আবাসেরই। এবারও দুঃস্থের তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে কোটিপতি ও বহুতলের মালিকরা। সার্ভে চলছে সরেজমিনে। তাই তদন্তকারী টিমকে ধোঁকা দিতে দালানবাড়ির আরাম ছেড়ে কেউ শয্যা পেতেছেন গোয়ালঘরে, কেউ ঝুপড়িতে। বলাই বাহুল্য এই ‘কৃচ্ছ্রসাধন’ গরিব মানুষকে বঞ্চিত করে আবাসের এক লক্ষ ২০ হাজার টাকা পকেটস্থ করার অভিপ্রায়ে। এরপর তো প্রশ্ন উঠবেই, ‘আর কবে? আর কবে সিক্ত হবে হৃদয়? আর কবে সমব্যথী হবে?’
বাংলায় একুশের নির্বাচনে বিজেপির শোচনীয় পরাজয়। সেই বছর থেকে বন্ধ ১০০ দিনের কাজের প্রকল্প। পরের বছর আবাস যোজনার টাকাও। প্রাপকের তালিকায় ছিল প্রায় ৩৯ লক্ষ পরিবার। কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশ, তালিকা সংক্ষিপ্ত করে দাঁড় করাতে হবে ১১ লক্ষ ৩৬ হাজারে। হাতে সময় মাত্র তিন মাস। সব কাজ ফেলে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় তৈরি করা হল তালিকা। কিন্তু কেন্দ্র টাকা দিল না। কারণ দিল্লির সরকারের উদ্দেশ্য ছিল, পঞ্চায়েত ভোটের আগে গ্রাম বাংলায় বিশৃঙ্খলার সলতেটা পাকানো, গরিব মানুষকে পাকাবাড়ি দেওয়া নয়। 
বিজেপি নেতৃত্ব জানত, সার্ভে শুরু হলেই শাসক দলের উপর ক্ষোভ আছড়ে পড়বে। কারণ ৬৫ শতাংশের নাম বাদ দিলে বঞ্চিত হবে হাজার হাজার গরিব। পাশাপাশি রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে দুঃস্থ সেজে থাকা বিত্তবানদের নামও সামনে আসবে। সেইসব বাড়ির ছবি দেখিয়ে বঞ্চিত মানুষের ক্ষোভের আগুনে ঘি ঢালা যাবে। তাতে পঞ্চায়েত ভোটে বিপাকে পড়বে রাজ্যের শাসক দল। বিজেপির পরিকল্পনা ছিল নিখুঁত। সার্ভে শুরু হতেই হইচই পড়ে গিয়েছিল। কারণ সামনে এসেছিল তালিকায় থাকা তৃণমূল নেতার চারতলা বাড়ির ছবি। তাতে বিজেপির ঘোঁট পাকানোর উদ্দেশ্য সফল হলেও গরিবের কোনও উপকার হয়নি। কেন্দ্র টাকা না দেওয়ায় এখনও হাজার হাজার গৃহহীনের দিন কাটছে ঝুপড়িতে, খোলা আকাশের নীচে।
কেন্দ্র বাংলার গরিবদের দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নিলেও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নেননি। বাংলা আবাস প্রকল্পে গরিবদের পাকা বাড়ি দেওয়ার ঘোষণা করেছেন। তারই তালিকা তৈরি হচ্ছে। এখনও বহু সম্ভ্রান্ত পরিবারের নাম রয়েছে। যদিও সার্ভের সময় দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে তালিকা তৈরি হয়েছিল। কিন্তু ত্রুটিপূর্ণ তালিকা তৈরির দায় রাজ্যের শাসক দল অস্বীকার করতে পারে না। পঞ্চায়েতের দণ্ডমুণ্ডের কর্তাদেরই স্বচ্ছ তালিকা তৈরির দায়িত্ব নেওয়া উচিত ছিল। কিন্তু, নেননি। তাদের উদাসীনতা, অপদার্থতার দায় বইতে হচ্ছে সরকারকে।
সরকারি প্রকল্প থেকে যাতে কেউ বাদ না পড়েন তারজন্য বারবার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। চালু করেছেন ‘দুয়ারে সরকার’ কর্মসূচি। রাজনৈতিক পক্ষপাতিত্ব এড়াতে সেই কাজে যুক্ত করেছেন সরকারি কর্মীদের। বাংলা আবাসেরও স্বচ্ছ তালিকা চাইছেন। তাই তালিকা যাচাইয়ের দায়িত্ব সরকারি কর্মীদের। পঞ্চায়েত স্তরের সাধারণ কর্মী থেকে জেলাশাসক পর্যন্ত তালিকা তদারকি করছেন। প্রতিটি জেলায় বাদ যাচ্ছে হাজার হাজার নাম। তারপর সেই তালিকা টাঙিয়ে দেওয়া হবে পঞ্চায়েত থেকে জেলা, সর্বত্র। থাকবে অনলাইনেও। এরপরেও কোথাও কোনও অসঙ্গতি থাকলে রয়েছে সংশোধনের সুযোগ।
এত কিছুর পরেও চূড়ান্ত তালিকা সম্পূর্ণ ত্রুটিমুক্ত হবে, এমন গ্যারান্টি নেই। তাকে নির্ভুল করার দায়িত্ব বিরোধীদেরও। স্বচ্ছ তালিকার দাবিতে মিছিল মিটিং হোক। কিন্তু সেটা করলেই দায়িত্ব শেষ হয়ে যায় না। গরিব মানুষগুলোকে সরকারি পরিষেবা পাইয়ে দেওয়ার উদ্যোগও নিতে হবে। বাদ পড়া দুঃস্থদের নামের তালিকা প্রশাসনকে দিতে হবে। সেটা না করলে গরিব মানুষ আক্ষরিক অর্থেই ‘রাজনীতির পণ্যে’ পরিণত হবে। 
বিধানসভা নির্বাচন আর বছর দেড়েকও নেই। আর জি কর কাণ্ডের প্রকৃত সত্য সামনে এসেছে। তাই বিরোধীদের হাতে কোনও ইস্যু নেই। বিরোধীরা আশা করেছিল, বাংলা আবাস নিয়ে মানুষের ক্ষোভ চরমে উঠবে। সেই আশায় মাঠেও নেমেছিল। সার্ভেতে যাওয়া অফিসারদের আটকে, পঞ্চায়েত অফিসে তালা দিয়ে বিক্ষোভ দেখিয়েছে। কিন্তু তাতে খুব একটা সাড়া মেলেনি। অন্যদিকে, রাজ্য সরকার আবাসের তালিকা যথাসম্ভব ত্রুটিমুক্ত করাটা চ্যালেঞ্জ হিসেবেই নিয়েছে। সরকারি কর্মী তালিকা পরীক্ষার পর পুলিস এবং পদস্থ অফিসাররা ‘সুপার চেকিং’ করছেন। বিভিন্ন পর্যায়ে স্ক্রুটিনি চলছে। এরকম গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে বেনিফিসিয়ারির তালিকা তৈরি বাংলায় এর আগে কোনওদিন হয়নি। সম্ভবত এমন নজির দেশেও নেই।
দুর্নীতি, অপরাধ সামাজিক ব্যাধি। সমাজ সৃষ্টির আদিতে ছিল, এখন আছে, আগামী দিনেও থাকবে। তাকে সম্পূর্ণ বন্ধ করা যায় না। তবে চেষ্টা করলে তা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। সম্প্রতি রেশন বিলি সংক্রান্ত আইসিআরআইআর প্রকাশিত একটি রিপোর্টে মিলেছে তারই প্রমাণ।
২০২২-’২৩ অর্থবর্ষে দেশজুড়ে চালানো সমীক্ষায় বলা হয়েছে, রেশনের খাদ্যদ্রব্য গ্রাহকের কাছে পৌঁছনোর আগেই ২৮ শতাংশ উধাও হয়ে যায়। এর পরিমাণ প্রায় ২কোটি টন। যার আনুমানিক মূল্য ৭০ হাজার কোটি টাকা। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, দুর্নীতির ক্ষেত্রে ‘জিরো টলারেন্সে’র হুঙ্কার ছাড়া নরেন্দ্র মোদির আমলে এত দুর্নীতি হচ্ছে কী করে? দুর্নীতি ঠেকানোর কোনও রক্ষাকবচই কি তাহলে সরকারের নেই? সবটাই ফাঁকা আওয়াজ? সেই জন্যই কি নজর ঘোরাতে সমস্ত বিরোধী দলের দুর্নীতিকে জনসমক্ষে আনছে?
তবে সমীক্ষার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্যটি হল, দেশে রেশনের যত খাদ্যপণ্য পাচার হয়, তার প্রায় ৬৫ ভাগই হয়েছে পাঁচটি রাজ্যে। কোন কোন রাজ্যে? উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, বিহার ও গুজরাত। প্রতিটি রাজ্যই বিজেপি শাসিত। প্রধানমন্ত্রীর ভাষায়, সেখানে চলছে ডাবল ইঞ্জিন সরকার। বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলির যখন এই হাল তখন বাংলায় তার পরিমাণ মাত্র ৯ শতাংশ। ২০১১-’১২ অর্থবর্ষে এটাই ছিল প্রায় ৬৯ শতাংশ।
দেশের মধ্যে একমাত্র এ রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী জেলে রয়েছেন। রেশন দুর্নীতির অভিযোগে কেন্দ্রীয় এজেন্সি তাঁকে গ্রেপ্তার করেছে। তিনি দোষী নাকি নির্দোষ সেটা প্রমাণ হবে আদালতে। বাস্তব হল, তিনি জেল খাটছেন। কিন্তু যেসব রাজ্যে বাংলার থেকে অনেক বেশি রেশন দুর্নীতি হয়েছে, সেখানে কেন কোনও পদক্ষেপ করা হবে না? বিজেপির সরকার আছে বলে? এসব দেখে অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন, ডাবল ইঞ্জিন সরকার মানে কি তাহলে দুর্নীতির ডাবল সুরক্ষা?
সাধারণত জনসংখ্যা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে বাড়ে রেশনকার্ডের সংখ্যাও। অথচ বাংলায় ঘটেছে উল্টো। ১৩ বছরে জনসংখ্যা বেড়েছে অনেকটাই। কিন্তু বাম আমলের চেয়ে রেশন কার্ড কমেছে প্রায় এক কোটি। এখন রাজ্যে মোট রেশনকার্ডের সংখ্যা প্রায় ৮কোটি ৮৪ লক্ষ। তারমধ্যে ৮কোটি ৬৩ লক্ষ কার্ডের সঙ্গে আধার লিঙ্ক করা আছে। আঙুলের ছাপ ছাড়া রেশন সামগ্রী পাওয়া যায় না। তাতে ভুয়ো কার্ড বানিয়ে রেশন তোলার রাস্তা বন্ধ। রেশনের ডিলারশিপে এখন ‘মধু’র ছিটেফোঁটাও নেই। তাই অনেকে ডিলারশিপ ছেড়ে দিতে চাইছেন। 
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় খুব ভালো করেই জানেন, পান থেকে চুন খসলে রক্ষে নেই। যে কোনও ছুতোয় কেন্দ্র টাকা আটকে দেবে। তাই ফাঁক-ফোকর দেখলেই বন্ধের নির্দেশ দিচ্ছেন। তবে, সেই নির্দেশ পালনে দলীয় নেতৃত্ব বা অফিসাররা কতটা আন্তরিক, তা নিয়ে বিতর্ক থাকতেই পারে। কিন্তু তাঁর সদিচ্ছা নিয়ে সাধারণ মানুষের সংশয় নেই। তাই তাঁকে কালিমালিপ্ত ও ক্ষমতাচ্যুত করার সর্বগ্রাসী চেষ্টায় বারবার জল ঢেলে দিয়েছে বাংলা। 
দুর্নীতিকে হাতিয়ার করে বিজেপি বাংলার গরিব মানুষের পেটে লাথি মারছে, মাথার ছাদ কেড়ে নিচ্ছে। কিন্তু  দুর্নীতি রোধে বিজেপি শাসিত রাজ্যে তারা কী করছে? এর উত্তর নরেন্দ্র মোদি না দিলেও আম জনতা জানে, বিজেপির বিরুদ্ধে আঙুল তুললে গলা টিপে ধরা হয় অভিযোগকারীরই। উদাহরণ? মহুয়া মৈত্র। বিজেপির প্রিয় ‘কর্পোরেট বন্ধু’র বিরুদ্ধে আঙুল তোলায় কেড়ে নেওয়া হয়েছিল তাঁর সাংসদ পদ। কিন্তু এবার? অভিযোগটা এসেছে খোদ মার্কিন মুলুক থেকে। তাতে চৌকিদারের রক্তচাপ কিছুটা হলেও বাড়বে বইকি!
23rd  November, 2024
মোদিবিহীন জয়! স্ট্র্যাটেজি বদলাচ্ছে সঙ্ঘ
শান্তনু দত্তগুপ্ত

‘রাজীব গান্ধী যখন প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন, রাজনীতির কোন অভিজ্ঞতাটা তাঁর ছিল? আমার ছেলে বা ভাইপো যদি রাজনীতিতে আসে, আমি আটকানোর কে? আর আটকাবই বা কেন? কিন্তু এখানে আমার একটাই শর্ত থাকবে—আমার সেনাপতিদের অসম্মান তারা করতে পারবে না।’ বিশদ

আমেরিকায় ট্রাম্পের উত্থানের প্রভাব ভারতে কেমন হবে?
পি চিদম্বরম

 

ডোনাল্ড ট্রাম্প এখনও পোটাস  (প্রেসিডেন্ট অফ দি ইউনাইটেড স্টেটস) নন। আনুষ্ঠানিকভাবে তাঁর দায়িত্বগ্রহণের প্রতীক্ষিত দিনটি এখনও সাত সপ্তাহ দূরে। তার মধ্যেই বিশ্বজুড়ে ‘টক অফ দ্য টাউন’ হল: ট্রাম্পের নয়া জমানার কোন প্রভাব পড়বে—বিশ্বে, আপনার দেশে, আপনার শহরে, আপনার চাকরিতে বা প্রায় সবকিছুতে।
বিশদ

25th  November, 2024
সমবায় আন্দোলনের বিশ্ব নেতৃত্বে ভারত
অমিত শাহ

শুধুমাত্র আর্থিকভাবে উচ্চাকাঙ্ক্ষীদের নয়, সেইসঙ্গে তাঁদের সুসংহত করে অর্থনীতির মূল স্রোতে ফিরিয়ে আনার ব্যাপারেও সমবায় ক্ষেত্রের ভূমিকা রয়েছে। 
বিশদ

25th  November, 2024
মমতা আবেগ হারিয়ে দিল চক্রান্তকে
হিমাংশু সিংহ

৬-০, এই স্কোরলাইনের সঙ্গে ময়দানের ফুটবল প্রিয় বাঙালির অন্তরঙ্গ যোগ। ছোটবেলায় ইস্ট বেঙ্গল কিংবা মোহন বাগানের সঙ্গে  বালিপ্রতিভার খেলা হলে এই একপেশে ফলাফলই ছিল দস্তুর। বাংলার উপ নির্বাচনে এই পরিণামের তাৎপর্য একটাই, রাজ্যের মানুষ বিরোধীদের আর বিশ্বাসই করে না। বিশদ

24th  November, 2024
বাজেটের টাকাগুলো সব যাচ্ছে কোথায়?
সমৃদ্ধ দত্ত

মাত্রাছাড়া দূষণ হলে কার ক্ষতি? যারা সরকারের সব কথা মান্য করে তাদের। অর্থাৎ ভোটের সময় ভোট দেয়। কেনাকাটা অথবা আয় করার সময় ট্যাক্স দেয়। আইনশৃঙ্খলা মেনে চলে। সোজা কথায় জনগণ। আর কাদের লাভ? এয়ার পিউরিফায়ার, মাস্ক, নিবুলাইজার এবং অ্যান্টি অ্যালার্জিক ওষুধ কোম্পানিদের। বিশদ

22nd  November, 2024
হিটলারের ক্রিকেট দর্শন!
মৃণালকান্তি দাস

টানা পাঁচ দিন খেলার পর একটি টেস্ট ম্যাচ ড্র হতে পারে? পাঁচ দিন ধরে বাইশজন মানুষ মাঠে দৌড়াদৌড়ি করার পরেও একটি ম্যাচের কোনও মীমাংসা হয়নি, এটা দুঃস্বপ্নেও ভাবতে পারেননি অ্যাডলফ হিটলার! বিশদ

21st  November, 2024
অবসরের দোরগোড়ায়?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

‘কোনো সাম্রাজ্যই তো আজ পর্যন্ত টেঁকেনি... যে সাম্রাজ্য যতই বড় হ’ক। কিন্তু একবারের মতো যে সত্যকার রাজা হতে পেরেছে চিরকালের মতো সে বেঁচে রইল।’ —ঋণশোধ, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সাম্রাজ্য সত্যিই এক ভয়ানক বস্তু। এতটুকু আঁচ পেলেই ক্ষমতাকে তাড়া করা শুরু হয়ে যায়। বিশদ

19th  November, 2024
মহারাষ্ট্রের অর্থনীতিকে বাঁচান
পি চিদম্বরম

বর্তমান মহারাষ্ট্র রাজ্যটি কংগ্রেস পার্টির তৈরি। বম্বে প্রদেশ থেকে মহারাষ্ট্র নামক রাজ্যের সৃষ্টি হয় ১৯৬০ সালের ১ মে। সেখানে সেদিন থেকে এপর্যন্ত মোট ২০ জন মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে বসেছেন (ওই পদে কয়েকজন একাধিকবার বসেছেন ধরে নিয়ে)। 
বিশদ

18th  November, 2024
বিরোধীদের এমন ছত্রভঙ্গ চেহারা কবে দেখেছি?
হিমাংশু সিংহ

শতাব্দীর সেরা প্রহসন বোধ হয় একেই বলে! রাজ্যের তাবৎ বিরোধী শক্তির আজন্ম স্বপ্ন মমতাকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেওয়ার। কিন্তু নানা কারণে তা হয়ে ওঠে না। কালীপুজোর রাত এলে ফাটে না একটা বাজিও। দেড় ফুটের চেয়ে উপরে ওঠে না তুবড়ির ঝিলিক দেওয়া ফুল!
বিশদ

17th  November, 2024
আত্মবিশ্বাস নেই বলেই প্রহসনের গাওনা!
তন্ময় মল্লিক

বাংলায় একটা কথা চালু আছে, ‘সস্তার তিন অবস্থা’। সস্তার জিনিস ভালো হয় না, বেশিদিন চলে না, তাই আর্থিক ক্ষতি হয়। দিল্লির বিজেপি নেতারা সম্ভবত এই প্রবাদটি জানেন না। জানলে একটা মিসড কল দিয়ে সদস্য হওয়ার সহজ রাস্তাটা পরিহার করতেন।
বিশদ

16th  November, 2024
ভগবান বিরসা মুন্ডার সার্ধশতবর্ষ উদযাপন
দ্রৌপদী মুর্মু (ভারতের রাষ্ট্রপতি)

তাঁর আকাঙ্ক্ষাগুলি—স্বাধীনতা, ন্যায়বিচার, পরিচয় এবং মর্যাদা—আমাদের দেশের তরুণদের অনুপ্রাণিত করে। ইতিহাসের প্রতিটি প্রেক্ষাপট আমাদের মাতৃভূমির বীর পুত্র এবং কন্যাদের জন্ম দিয়েছে। তাঁদের অনন্য প্রতিভা দিয়েই ভারতের চেতনার প্রকাশ করেছেন তাঁরা। বিশদ

15th  November, 2024
এক দশকের অপমান
সমৃদ্ধ দত্ত

নরেন্দ্র মোদি সর্বদাই নতুন কিছু করে দেখাতে পছন্দ করেন। বিশেষ করে তাঁর পছন্দের সবজেক্ট অথবা প্রিয় হবি হল, নেহরু গান্ধী পরিবারের প্রধানমন্ত্রীদের আমলে ভারতে যা কিছু হয়েছে, সেগুলি বদলে দেওয়া। সম্পূর্ণ নতুন একটি যুগের সূচনা করা। যাকে মহাকাল আখ্যা দেবে মোদিযুগ। বিশদ

15th  November, 2024
একনজরে
বেহাল রাস্তার ধুলো উড়ে এসে জমছে সর্বত্র। জমিতে কয়েক ইঞ্চি পুরু ধুলো। রাস্তায় গোড়ালি সমান। এতটাই ধুলো উড়ছে যে কয়েক হাত দূরের কিছু দেখা যাচ্ছে না। খাবার ও পানীয় জলের পাত্রে জমছে ধুলোর আস্তরণ। বাড়ছে শ্বাসকষ্ট। ক্ষতি হচ্ছে ফসলের ...

রানওয়ের মতো চকচকে রাস্তা। তাও আবার যানজটহীন। তাই সুযোগ পেলেই স্মার্টসিটি নিউটাউনে এতকাল গাড়ি ও বাইককে বেপরোয়া গতিতে নিয়ে যেতেন এক  শ্রেণির চালক। পুলিস হাতেনাতে ধরতে না পারায়, তারা দিব্যি পার পেয়ে যেত। ...

স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড, ভবিষ্যৎ ক্রেডিট কার্ড, ইউভার্স ক্রেডিট কার্ডের মতো বিভিন্ন প্রকল্প চালু করেছে রাজ্য সরকার। কয়েক লক্ষ মানুষ এই প্রকল্পগুলির সুবিধা পেয়েছেন ইতিমধ্যেই। তবে ...

২৯৫ রানের বিশাল জয়ে অস্ট্রেলিয়াকে গুঁড়িয়ে দিয়ে শুধু বর্ডার-গাভাসকর ট্রফিতেই ১-০ এগিয়ে যায়নি ভারত। বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের (ডব্লুটিসি) ফাইনালের ওঠার সম্ভাবনাও উজ্জ্বল করেছে টিম ইন্ডিয়া। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

কর্ম, বিদ্যা ক্ষেত্রে উন্নতির যোগ। আয় ব্যয় ক্ষেত্রে সমতার অভাব। স্বাস্থ্য ভালো থাকলেও আঘাতযোগ থাকায় ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

সংবিধান দিবস
জাতীয় দুগ্ধ দিবস
বিশ্ব কেক দিবস

১৩৭৯: ইংল্যান্ডে অক্সফোর্ড নিউ কলেজ প্রতিষ্ঠিত হয়
১৮৮৫: বিশিষ্ট বিজ্ঞানী ও বিজ্ঞান-প্রশাসক দেবেন্দ্র মোহন বসুর জন্ম
১৮৯০: ভাষাবিদ সুনীতি কুমার চট্টোপাধ্যায়ের জন্ম
১৯১১:  বাংলা ও হিন্দি চলচ্চিত্রের কৌতুক অভিনেতা শ্যাম লাহার জন্ম
১৯২২: দুই রঙ বিশিষ্ট টেকনিকালারে নির্মিত প্রথম ছবি ‘টোল অব দ্য সী’ মুক্তি পায়
১৯২৩: গণিতবিদ (ব্রিটিশ সরকার তাঁকে “গণিত সম্রাট” উপাধি দিয়েছিল) যাদব চন্দ্র চক্রবর্তীর মৃত্যু
১৯৪৯: ভারতীয় গণপরিষদে ভারতের সংবিধান অনুমোদিত হয়
১৯৫৬: অভিনেত্রী অনামিকা সাহার জন্ম
১৯৯২: টেস্ট ক্রিকেটে সবচেয়ে কমবয়েসী ক্রিকেটার হিসেবে [১৯ বছর ২২ দিন] শচীন তেন্ডুলকর ১ হাজার রান করেন
১৯৭২: অভিনেতা অর্জুন রামপালের জন্ম
১৯৭৬: 'মাইক্রোসফট' নামটি যুক্তরাষ্ট্রের নিউ মেক্সিকোতে ট্রেডমার্ক হিসেবে নিবন্ধিত হয়
২০০৮: লস্কর ই তৈবা জঙ্গিদের মুম্বইয়ে হানা, অন্তত ১৬৪ জনের মৃত্যু 



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.৫৩ টাকা ৮৫.২৭ টাকা
পাউন্ড ১০৪.৪৮ টাকা ১০৮.২০ টাকা
ইউরো ৮৬.৮২ টাকা ৯০.১৭ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৬,৯৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৭,৩০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭৩,৫০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৯,৬৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৯,৭৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১০ অগ্রহায়ণ,১৪৩১, মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪। একাদশী ৫৪/২৮ রাত্রি ৩/৪৮। হস্তা নক্ষত্র ৫৬/২৫ রাত্রি ৩/৪৮। সূর্যোদয় ৫/০/৩৫, সূর্যাস্ত ৪/৪৭/১৭। অমৃতযোগ প্রাতঃ ৬/৪২ মধ্যে পুনঃ ৭/২৬ গতে ১১/৩ মধ্যে। রাত্রি ৭/২৬ গতে ৮/১৯ মধ্যে পুনঃ ৯/১২ গতে ১১/৫০ মধ্যে পুনঃ ১/৩৬ গতে ৩/২২ মধ্যে পুনঃ ৫/৭ গতে উদয়াবধি। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ৭/২৬ মধ্যে। বারবেলা ৭/২১ গতে ৮/৪২ মধ্যে পুনঃ ১২/৪৪ গতে ২/৫ মধ্যে। কালরাত্রি ৬/২৭ গতে ৮/৫ মধ্যে। 
১০ অগ্রহায়ণ,১৪৩১, মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪। একাদশী রাত্রি ৩/৫৬। হস্তা নক্ষত্র শেষরাত্রি ৫/৩৬। সূর্যোদয় ৬/২, সূর্যাস্ত ৪/৪৭। অমৃতযোগ দিবা ৭/০ মধ্যে ও ৭/৪২ গতে ১১/১৩ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৩২ গতে ৮/২৬ মধ্যে ও ৯/২০ গতে ১২/১ মধ্যে ও ১/৪৯ গতে ৩/৩৬ মধ্যে ও ৫/২৪ গতে ৬/৩ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ৭/৩২ মধ্যে। বারবেলা ৭/২৩ গতে ৮/৪৪ মধ্যে ও ১২/৪৫ গতে ২/৬ মধ্যে। কালরাত্রি ৬/২৭ গতে ৮/৬ মধ্যে। 
২৩ জমাদিয়ল আউয়ল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
লেবাননের সঙ্গে যুদ্ধবিরতির সিদ্ধান্ত ইজরায়েলের

11:51:00 PM

বক্সিরহাটে গাড়ি থেকে উদ্ধার প্রচুর মাদক

11:37:00 PM

বিদেশি পর্যটকের অস্বাভাবিক মৃত্যু
এক জার্মান পর্যটকের অস্বাভাবিক মৃত্যু। আগামী কাল হাওড়ার বি গার্ডেন ...বিশদ

10:42:00 PM

গোয়া ফিল্ম ফেস্টিভাল (আইএফএফআই): উপস্থিত অভিনেত্রী রাখি গুলজার

10:08:00 PM

গোয়া ফিল্ম ফেস্টিভাল (আইএফএফআই): উপস্থিত অভিনেতা আর মাধবন

10:04:00 PM

ব্রহ্মোস অ্যারোস্পেসের প্রধান হিসেবে নিযুক্ত হলেন বিজ্ঞানী ডাঃ জয়তীর্থ রাঘবেন্দ্র জোশ

09:54:00 PM