Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

ভগবান বিরসা মুন্ডার সার্ধশতবর্ষ উদযাপন
দ্রৌপদী মুর্মু (ভারতের রাষ্ট্রপতি)

তাঁর আকাঙ্ক্ষাগুলি—স্বাধীনতা, ন্যায়বিচার, পরিচয় এবং মর্যাদা—আমাদের দেশের তরুণদের অনুপ্রাণিত করে। ইতিহাসের প্রতিটি প্রেক্ষাপট আমাদের মাতৃভূমির বীর পুত্র এবং কন্যাদের জন্ম দিয়েছে। তাঁদের অনন্য প্রতিভা দিয়েই ভারতের চেতনার প্রকাশ করেছেন তাঁরা। তাঁদের কেউ কেউ সপ্তর্ষি মণ্ডলের নক্ষত্রের মতো উজ্জ্বল। তাঁরা সেভাবেই আমাদের পথনির্দেশ করে চলেছেন। ভগবান বিরসা মুন্ডা এই উজ্জ্বল নক্ষত্রমণ্ডলেরই অন্যতম, যিনি জাতির পথকে আলোকিত করে রেখেছেন।
আধুনিক ভারতের ইতিহাসের এই আদর্শ ব্যক্তিত্বের ১৫০তম জন্মবার্ষিকী জাতি সারাবছর ধরে উদযাপন করতে চলেছে। এই শুভক্ষণে তাঁর পবিত্র স্মৃতির উদ্দেশে আমার সকৃতজ্ঞ শ্রদ্ধা নিবেদন করছি। শৈশবে ভগবান বিরসা মুন্ডার অনেক কিংবদন্তি কাহিনি শুনেছি। আমাদের এই উত্তরাধিকারের জন্য আমি এবং আমার বন্ধুরা খুবই গর্বিত বোধ করতাম। এখানে আমি সেই কথা স্মরণ করি।
আজকের ঝাড়খণ্ডে উলিহাতু নামে যে জায়গাটি, ভগবান বিরসা সেখানকার ছেলে। মাত্র ২৫ বছরের ছোট্ট জীবনে ঔপনিবেশিক শোষণের বিরুদ্ধে গণপ্রতিরোধের নায়ক হয়ে উঠেছিলেন তিনি। ইংরেজ শাসক এবং স্থানীয় ভূস্বামীরা জনজাতিগুলিকে শোষণ করছিল। দখল করে নিচ্ছিল তাদের জমিজমা। এছাড়াও অত্যাচার চলত নানাভাবে। ভগবান বিরসা এই সামাজিক ও অর্থনৈতিক অবিচারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছিলেন। মানুষের অধিকার ফেরানোর জন্য সংগঠিত লড়াই-সংগ্রামে নেতৃত্ব দিলেন তিনি। ১৮৯০-এর দশকের শেষের দিক তখন। ‘ধরতি আবা’ বা ‘পৃথিবীর পিতা’ নামে পরিচিত ভগবান বিরসা ব্রিটিশের অত্যাচারের বিরুদ্ধে ‘উলগুলান’ বা মুন্ডা বিদ্রোহ সংগঠিত করেন।
উলগুলানের গুরুত্ব একটি সাধারণ বিদ্রোহের চেয়ে অবশ্যই অনেক বেশি। সেটি ছিল ন্যায়বিচার এবং সাংস্কৃতিক পরিচয়—এই দুটিরই জন্য লড়াই। ভগবান বিরসা মুন্ডার বিচক্ষণ চিন্তা—একদিকে, অন্যের হস্তক্ষেপ ছাড়াই আদিবাসীদের জমির মালিকানা ও চাষের অধিকার এবং অন্যদিকে, উপজাতীয় রীতিনীতি ও সামাজিক মূল্যবোধের গুরুত্বকে এক জায়গায় নিয়ে এসেছিল। মহাত্মা গান্ধীর মতোই, তাঁর সংগ্রাম পরিচালিত হয়েছিল ন্যায় ও সত্যের সন্ধানে।
তিনি আবেগতাড়িত হয়েই অসুস্থ মানুষের সেবা শুশ্রূষা করতেন। তিনি একজন নিরাময়কারী হিসেবে প্রশিক্ষিত ছিলেন। একের পর এক ঘটনা থেকে মানুষের মনেও এই বিশ্বাস গড়ে উঠেছিল যে, শুধুমাত্র ছুঁয়েই নিরাময় করার ক্ষমতা ভগবান তাঁকে দিয়েছেন। অসুস্থ যে কাউকেই তাঁর কাছে নিয়ে যাওয়ার জন্য তিনি বলতেন। তিনি আরও বলতেন, ‘আমার কাছে আনা যদি নিতান্তই অসম্ভব হয়, তবে সেই অসুস্থ মানুষকে দেখতে যাব আমি নিজেই।’ তিনি গ্রামে গ্রামে ঘুরে অসুস্থ মানুষজনকে কাছে ডেকে নিতেন। তাঁর দক্ষতা ও নিরাময় স্পর্শ দিয়ে, এইভাবে অসংখ্য মানুষকে তিনি সুস্থ করে তুলেছেন।
ভারতের আদিবাসী সম্প্রদায়ের মহান বিপ্লবীদের ইতিহাসে তাঁর আত্মত্যাগের কাহিনি একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। তাঁদের সংগ্রাম এই ভূখণ্ডের অনন্য ঐতিহ্যকে তুলে ধরে, যেখানে কোনও সম্প্রদায়ই মূলধারা থেকে আলাদা নয়। যে বনবাসীরা আজ তফসিলি জনজাতিভুক্ত, তাঁরা সবসময় সমগ্র জাতির অংশ।
একটা সময় পর্যন্ত ভগবান বিরসা মুন্ডা এবং অন্যরা ছিলেন ইতিহাসের ‘অখ্যাত নায়কদের’ অন্যতম। তবে সাম্প্রতিককালে তাঁদের বীরত্ব ও আত্মত্যাগের সত্য প্রশংসিত হচ্ছে। ‘আজাদি কা অমৃত মহোৎসব’-এর সময়ে ভারতের সংস্কৃতি এবং কৃতিত্বের গৌরবময় ইতিহাস আমরা উদযাপন করেছি। যেসব মহান দেশপ্রেমিক এতদিন স্বল্প পরিচিত ছিলেন, এই মহোৎসব তাঁদের বীরগাথা সম্পর্কে সব মানুষকে, বিশেষ করে তরুণদের আরও জানার সুযোগ করে দিয়েছে।
আদিবাসী স্বাধীনতা সংগ্রামীদের অবদান স্মরণে সরকার ২০২১ সালে ভগবান বিরসা মুন্ডার জন্মবার্ষিকী উদযাপন করার কথা ঘোষণা করে। এই উপলক্ষ্যে ১৫ নভেম্বর দিনটিকে ‘জনজাতীয় গৌরব দিবস’ হিসেবে পালন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ইতিহাসের সঙ্গে এই নয়া সম্পর্কস্থাপন আমাদের প্রাণিত করে। ভগবান বিরসা মুন্ডার উত্তরাধিকারের স্মৃতিচারণ আদিবাসীদের দীর্ঘ উপেক্ষিত ইতিহাসকে ভারতের ইতিহাসের কেন্দ্রে তুলে এনেছে।
এই ইতিহাসগুলি আজ আরও বেশি প্রাসঙ্গিক। কারণ এগুলিই আধুনিক বিশ্বকে শেখায় প্রকৃতির সঙ্গে সংহতি রেখে জীবনযাপন এবং বাস্তুতন্ত্র রক্ষার গুরুত্বপূর্ণ পাঠ। মনে আছে, সামান্য শুকনো জ্বালানি কাঠ সংগ্রহের জন্য ছোটবেলায় আমার বাবাকে ক্ষমা চাইতে দেখেছি। অদ্ভুত ব্যাপার এই যে, ব্যক্তিগত উচ্চাকাঙ্ক্ষার চেয়ে সমষ্টিগত কল্যাণের জন্য অনেক বেশি কাজ করেই আদিবাসী সমাজগুলি খুশি থাকে।
মানবজাতির উন্নত ভবিষ্যতের জন্য আদিবাসী সমাজের এই স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্যটিকে লালন করা দরকার। ভারতের সামাজিক ও সাংস্কৃতিক কাঠামোয় জনজাতিগুলির গুরুত্বকে যথাযথ স্বীকৃতি দিতে গত দশকে সরকার যে বৃহত্তর প্রচেষ্টার সূচনা করেছিল তার পিছনে যথার্থ কারণ ছিল এটাই। স্লোগানের ঊর্ধ্বে, প্রকৃত জনকল্যাণকে তৃণমূল স্তরে পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে সরকার একগুচ্ছ কর্মসূচি ও প্রকল্প ঘোষণা করেছে। আদিবাসী উন্নয়ন এবং কল্যাণে আরও সার্বিক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে গতমাসে চালু হয়েছে ‘ধরতি আবা জনজাতীয় গ্রাম উৎকর্ষ অভিযান’। এতে প্রায় ৬৩ হাজার আদিবাসী গ্রামের সামাজিক পরিকাঠামোগত ফাঁকফোকরগুলি পূরণ হবে। পাশাপাশি, প্রধানমন্ত্রী জনজাতি আদিবাসী ন্যায় মহা অভিযান (পিএম-জনমন)-এর দৃষ্টি নিবদ্ধ রয়েছে ১১টি গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগের উপর। এর উদ্দেশ্য, কল্যাণমূলক উদ্যোগগুলিকে আরও অর্থবহ করে তোলা।
আমি বিশ্বাস করি, তফসিলি জনজাতিগুলির সার্বিক উন্নয়নের জন্য নিরলসভাবে কাজ করাটাই ভগবান বিরসা মুন্ডা এবং আদিবাসী এলাকার অন্যান্য স্বাধীনতা সংগ্রামীদের প্রতি জাতির তরফে প্রকৃত শ্রদ্ধা প্রদর্শন। আমার জন্য অত্যন্ত তৃপ্তির বিষয় এই যে রাষ্ট্রপতি ভবনও এসটি সম্প্রদায়ের কাছে পৌঁছনোর জন্য নতুন উদ্যোগ নিয়েছে। রাষ্ট্রপতি ভবন মিউজিয়ামে ‘জনজাতি দর্পণ’ নামক একটি গ্যালারি উদ্বোধন করার সৌভাগ্য আমার হয়েছে। দেশ গঠনে আদিবাসী সম্প্রদায়ের অসামান্য অবদানের এক ঝলক খুঁজে পাওয়া যায় এই সমৃদ্ধ শিল্প ও সংস্কৃতির নমুনাগুলির মধ্যে। জনজাতির কল্যাণে উন্নততর সম্পদ ব্যবহারের প্রয়োজনীয়তার উপর গুরুত্ব আরোপ করার সুযোগ আমার হয়েছিল গত আগস্টে অনুষ্ঠিত রাজ্যপালদের সম্মেলনে।
বিশেষভাবে দুর্বল জনজাতি গোষ্ঠীগুলি (পিভিটিজি) থেকে ৭৫ জন প্রতিনিধিকে রাষ্ট্রপতি ভবন পরিদর্শনের জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। তাঁদের সঙ্গে বিস্তারিত আলাপ-আলোচনার যে সুযোগ আমার হয়েছিল সেটি একটি দারুণ অভিজ্ঞতা। তাঁদের অনেক সুখ-দুঃখের কথা তাঁরা আমার সঙ্গে ভাগ করে নিয়েছিলেন। আমার গর্বের একটি কৃতিত্ব যদি থাকে, তা হল—সর্বোচ্চ সাংবিধানিক পদে আমার অধিষ্ঠান—এই পদে আমার মধ্যে আদিবাসী ভাই ও বোনেরা আমাদের সকলের জন্য একটি অভূতপূর্ব স্বীকৃতি দেখে থাকেন।
ভগবান বিরসা মুন্ডার ১৫০তম জন্মবার্ষিকী উদযাপনের আনন্দ আমি নিশ্চিত যে আমরা সকলেই ভাগ করে নেব। আমি বিশ্বাস করি, ভগবান বিরসা মুন্ডার আদর্শগুলি শুধুমাত্র আদিবাসীদের নয়, বরং দেশের প্রতিটি অংশের সমস্ত সম্প্রদায়ের যুবদের জন্য গর্বের এবং অনুপ্রেরণার উৎস। তাঁর আকাঙ্ক্ষা ছিল—স্বাধীনতা, ন্যায়বিচার, পরিচয় এবং মর্যাদার। এই আকাঙ্ক্ষাগুলি তো প্রতিটি তরুণেরও।
15th  November, 2024
মোদিবিহীন জয়! স্ট্র্যাটেজি বদলাচ্ছে সঙ্ঘ
শান্তনু দত্তগুপ্ত

‘রাজীব গান্ধী যখন প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন, রাজনীতির কোন অভিজ্ঞতাটা তাঁর ছিল? আমার ছেলে বা ভাইপো যদি রাজনীতিতে আসে, আমি আটকানোর কে? আর আটকাবই বা কেন? কিন্তু এখানে আমার একটাই শর্ত থাকবে—আমার সেনাপতিদের অসম্মান তারা করতে পারবে না।’ বিশদ

আমেরিকায় ট্রাম্পের উত্থানের প্রভাব ভারতে কেমন হবে?
পি চিদম্বরম

 

ডোনাল্ড ট্রাম্প এখনও পোটাস  (প্রেসিডেন্ট অফ দি ইউনাইটেড স্টেটস) নন। আনুষ্ঠানিকভাবে তাঁর দায়িত্বগ্রহণের প্রতীক্ষিত দিনটি এখনও সাত সপ্তাহ দূরে। তার মধ্যেই বিশ্বজুড়ে ‘টক অফ দ্য টাউন’ হল: ট্রাম্পের নয়া জমানার কোন প্রভাব পড়বে—বিশ্বে, আপনার দেশে, আপনার শহরে, আপনার চাকরিতে বা প্রায় সবকিছুতে।
বিশদ

25th  November, 2024
সমবায় আন্দোলনের বিশ্ব নেতৃত্বে ভারত
অমিত শাহ

শুধুমাত্র আর্থিকভাবে উচ্চাকাঙ্ক্ষীদের নয়, সেইসঙ্গে তাঁদের সুসংহত করে অর্থনীতির মূল স্রোতে ফিরিয়ে আনার ব্যাপারেও সমবায় ক্ষেত্রের ভূমিকা রয়েছে। 
বিশদ

25th  November, 2024
মমতা আবেগ হারিয়ে দিল চক্রান্তকে
হিমাংশু সিংহ

৬-০, এই স্কোরলাইনের সঙ্গে ময়দানের ফুটবল প্রিয় বাঙালির অন্তরঙ্গ যোগ। ছোটবেলায় ইস্ট বেঙ্গল কিংবা মোহন বাগানের সঙ্গে  বালিপ্রতিভার খেলা হলে এই একপেশে ফলাফলই ছিল দস্তুর। বাংলার উপ নির্বাচনে এই পরিণামের তাৎপর্য একটাই, রাজ্যের মানুষ বিরোধীদের আর বিশ্বাসই করে না। বিশদ

24th  November, 2024
ত্রুটি সংশোধনই যখন লক্ষ্য
তন্ময় মল্লিক

দু’বছর আগে আবাস যোজনার তালিকা তৈরির সময়েও সামনে এসেছিল বিস্তর অনিয়ম। পাকা বাড়ির, এমনকী চারতলা বিল্ডিংয়ের মালিকের নাম ছিল আবাসের তালিকায়। বাদ পড়েছিলেন দুঃস্থরা। এখন সার্ভে চলছে সেই আবাসেরই। এবারও দুঃস্থের তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে কোটিপতি ও বহুতলের মালিকরা। বিশদ

23rd  November, 2024
বাজেটের টাকাগুলো সব যাচ্ছে কোথায়?
সমৃদ্ধ দত্ত

মাত্রাছাড়া দূষণ হলে কার ক্ষতি? যারা সরকারের সব কথা মান্য করে তাদের। অর্থাৎ ভোটের সময় ভোট দেয়। কেনাকাটা অথবা আয় করার সময় ট্যাক্স দেয়। আইনশৃঙ্খলা মেনে চলে। সোজা কথায় জনগণ। আর কাদের লাভ? এয়ার পিউরিফায়ার, মাস্ক, নিবুলাইজার এবং অ্যান্টি অ্যালার্জিক ওষুধ কোম্পানিদের। বিশদ

22nd  November, 2024
হিটলারের ক্রিকেট দর্শন!
মৃণালকান্তি দাস

টানা পাঁচ দিন খেলার পর একটি টেস্ট ম্যাচ ড্র হতে পারে? পাঁচ দিন ধরে বাইশজন মানুষ মাঠে দৌড়াদৌড়ি করার পরেও একটি ম্যাচের কোনও মীমাংসা হয়নি, এটা দুঃস্বপ্নেও ভাবতে পারেননি অ্যাডলফ হিটলার! বিশদ

21st  November, 2024
অবসরের দোরগোড়ায়?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

‘কোনো সাম্রাজ্যই তো আজ পর্যন্ত টেঁকেনি... যে সাম্রাজ্য যতই বড় হ’ক। কিন্তু একবারের মতো যে সত্যকার রাজা হতে পেরেছে চিরকালের মতো সে বেঁচে রইল।’ —ঋণশোধ, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সাম্রাজ্য সত্যিই এক ভয়ানক বস্তু। এতটুকু আঁচ পেলেই ক্ষমতাকে তাড়া করা শুরু হয়ে যায়। বিশদ

19th  November, 2024
মহারাষ্ট্রের অর্থনীতিকে বাঁচান
পি চিদম্বরম

বর্তমান মহারাষ্ট্র রাজ্যটি কংগ্রেস পার্টির তৈরি। বম্বে প্রদেশ থেকে মহারাষ্ট্র নামক রাজ্যের সৃষ্টি হয় ১৯৬০ সালের ১ মে। সেখানে সেদিন থেকে এপর্যন্ত মোট ২০ জন মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে বসেছেন (ওই পদে কয়েকজন একাধিকবার বসেছেন ধরে নিয়ে)। 
বিশদ

18th  November, 2024
বিরোধীদের এমন ছত্রভঙ্গ চেহারা কবে দেখেছি?
হিমাংশু সিংহ

শতাব্দীর সেরা প্রহসন বোধ হয় একেই বলে! রাজ্যের তাবৎ বিরোধী শক্তির আজন্ম স্বপ্ন মমতাকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেওয়ার। কিন্তু নানা কারণে তা হয়ে ওঠে না। কালীপুজোর রাত এলে ফাটে না একটা বাজিও। দেড় ফুটের চেয়ে উপরে ওঠে না তুবড়ির ঝিলিক দেওয়া ফুল!
বিশদ

17th  November, 2024
আত্মবিশ্বাস নেই বলেই প্রহসনের গাওনা!
তন্ময় মল্লিক

বাংলায় একটা কথা চালু আছে, ‘সস্তার তিন অবস্থা’। সস্তার জিনিস ভালো হয় না, বেশিদিন চলে না, তাই আর্থিক ক্ষতি হয়। দিল্লির বিজেপি নেতারা সম্ভবত এই প্রবাদটি জানেন না। জানলে একটা মিসড কল দিয়ে সদস্য হওয়ার সহজ রাস্তাটা পরিহার করতেন।
বিশদ

16th  November, 2024
এক দশকের অপমান
সমৃদ্ধ দত্ত

নরেন্দ্র মোদি সর্বদাই নতুন কিছু করে দেখাতে পছন্দ করেন। বিশেষ করে তাঁর পছন্দের সবজেক্ট অথবা প্রিয় হবি হল, নেহরু গান্ধী পরিবারের প্রধানমন্ত্রীদের আমলে ভারতে যা কিছু হয়েছে, সেগুলি বদলে দেওয়া। সম্পূর্ণ নতুন একটি যুগের সূচনা করা। যাকে মহাকাল আখ্যা দেবে মোদিযুগ। বিশদ

15th  November, 2024
একনজরে
২৯৫ রানের বিশাল জয়ে অস্ট্রেলিয়াকে গুঁড়িয়ে দিয়ে শুধু বর্ডার-গাভাসকর ট্রফিতেই ১-০ এগিয়ে যায়নি ভারত। বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের (ডব্লুটিসি) ফাইনালের ওঠার সম্ভাবনাও উজ্জ্বল করেছে টিম ইন্ডিয়া। ...

রানওয়ের মতো চকচকে রাস্তা। তাও আবার যানজটহীন। তাই সুযোগ পেলেই স্মার্টসিটি নিউটাউনে এতকাল গাড়ি ও বাইককে বেপরোয়া গতিতে নিয়ে যেতেন এক  শ্রেণির চালক। পুলিস হাতেনাতে ধরতে না পারায়, তারা দিব্যি পার পেয়ে যেত। ...

মহারাষ্ট্রে লোকসভা নির্বাচনে ভরাডুবি। বিধানসভা ভোটের আগে সেই ফলাফলই কপালে ভাঁজ ফেলেছিল বিজেপির। রাজনীতির কারাবারিরা ধরেই নিয়েছিলেন, এবার মহারাষ্ট্রে শাসক মহাযুতি জোটের ফেরা কঠিন। কিন্তু, ...

স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড, ভবিষ্যৎ ক্রেডিট কার্ড, ইউভার্স ক্রেডিট কার্ডের মতো বিভিন্ন প্রকল্প চালু করেছে রাজ্য সরকার। কয়েক লক্ষ মানুষ এই প্রকল্পগুলির সুবিধা পেয়েছেন ইতিমধ্যেই। তবে ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

কর্ম, বিদ্যা ক্ষেত্রে উন্নতির যোগ। আয় ব্যয় ক্ষেত্রে সমতার অভাব। স্বাস্থ্য ভালো থাকলেও আঘাতযোগ থাকায় ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

সংবিধান দিবস
জাতীয় দুগ্ধ দিবস
বিশ্ব কেক দিবস

১৩৭৯: ইংল্যান্ডে অক্সফোর্ড নিউ কলেজ প্রতিষ্ঠিত হয়
১৮৮৫: বিশিষ্ট বিজ্ঞানী ও বিজ্ঞান-প্রশাসক দেবেন্দ্র মোহন বসুর জন্ম
১৮৯০: ভাষাবিদ সুনীতি কুমার চট্টোপাধ্যায়ের জন্ম
১৯১১:  বাংলা ও হিন্দি চলচ্চিত্রের কৌতুক অভিনেতা শ্যাম লাহার জন্ম
১৯২২: দুই রঙ বিশিষ্ট টেকনিকালারে নির্মিত প্রথম ছবি ‘টোল অব দ্য সী’ মুক্তি পায়
১৯২৩: গণিতবিদ (ব্রিটিশ সরকার তাঁকে “গণিত সম্রাট” উপাধি দিয়েছিল) যাদব চন্দ্র চক্রবর্তীর মৃত্যু
১৯৪৯: ভারতীয় গণপরিষদে ভারতের সংবিধান অনুমোদিত হয়
১৯৫৬: অভিনেত্রী অনামিকা সাহার জন্ম
১৯৯২: টেস্ট ক্রিকেটে সবচেয়ে কমবয়েসী ক্রিকেটার হিসেবে [১৯ বছর ২২ দিন] শচীন তেন্ডুলকর ১ হাজার রান করেন
১৯৭২: অভিনেতা অর্জুন রামপালের জন্ম
১৯৭৬: 'মাইক্রোসফট' নামটি যুক্তরাষ্ট্রের নিউ মেক্সিকোতে ট্রেডমার্ক হিসেবে নিবন্ধিত হয়
২০০৮: লস্কর ই তৈবা জঙ্গিদের মুম্বইয়ে হানা, অন্তত ১৬৪ জনের মৃত্যু 



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.৫৩ টাকা ৮৫.২৭ টাকা
পাউন্ড ১০৪.৪৮ টাকা ১০৮.২০ টাকা
ইউরো ৮৬.৮২ টাকা ৯০.১৭ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৬,৯৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৭,৩০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭৩,৫০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৯,৬৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৯,৭৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১০ অগ্রহায়ণ,১৪৩১, মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪। একাদশী ৫৪/২৮ রাত্রি ৩/৪৮। হস্তা নক্ষত্র ৫৬/২৫ রাত্রি ৩/৪৮। সূর্যোদয় ৫/০/৩৫, সূর্যাস্ত ৪/৪৭/১৭। অমৃতযোগ প্রাতঃ ৬/৪২ মধ্যে পুনঃ ৭/২৬ গতে ১১/৩ মধ্যে। রাত্রি ৭/২৬ গতে ৮/১৯ মধ্যে পুনঃ ৯/১২ গতে ১১/৫০ মধ্যে পুনঃ ১/৩৬ গতে ৩/২২ মধ্যে পুনঃ ৫/৭ গতে উদয়াবধি। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ৭/২৬ মধ্যে। বারবেলা ৭/২১ গতে ৮/৪২ মধ্যে পুনঃ ১২/৪৪ গতে ২/৫ মধ্যে। কালরাত্রি ৬/২৭ গতে ৮/৫ মধ্যে। 
১০ অগ্রহায়ণ,১৪৩১, মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪। একাদশী রাত্রি ৩/৫৬। হস্তা নক্ষত্র শেষরাত্রি ৫/৩৬। সূর্যোদয় ৬/২, সূর্যাস্ত ৪/৪৭। অমৃতযোগ দিবা ৭/০ মধ্যে ও ৭/৪২ গতে ১১/১৩ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৩২ গতে ৮/২৬ মধ্যে ও ৯/২০ গতে ১২/১ মধ্যে ও ১/৪৯ গতে ৩/৩৬ মধ্যে ও ৫/২৪ গতে ৬/৩ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ৭/৩২ মধ্যে। বারবেলা ৭/২৩ গতে ৮/৪৪ মধ্যে ও ১২/৪৫ গতে ২/৬ মধ্যে। কালরাত্রি ৬/২৭ গতে ৮/৬ মধ্যে। 
২৩ জমাদিয়ল আউয়ল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
লেবাননের সঙ্গে যুদ্ধবিরতির সিদ্ধান্ত ইজরায়েলের

11:51:00 PM

বক্সিরহাটে গাড়ি থেকে উদ্ধার প্রচুর মাদক

11:37:00 PM

বিদেশি পর্যটকের অস্বাভাবিক মৃত্যু
এক জার্মান পর্যটকের অস্বাভাবিক মৃত্যু। আগামী কাল হাওড়ার বি গার্ডেন ...বিশদ

10:42:00 PM

গোয়া ফিল্ম ফেস্টিভাল (আইএফএফআই): উপস্থিত অভিনেত্রী রাখি গুলজার

10:08:00 PM

গোয়া ফিল্ম ফেস্টিভাল (আইএফএফআই): উপস্থিত অভিনেতা আর মাধবন

10:04:00 PM

ব্রহ্মোস অ্যারোস্পেসের প্রধান হিসেবে নিযুক্ত হলেন বিজ্ঞানী ডাঃ জয়তীর্থ রাঘবেন্দ্র জোশ

09:54:00 PM