কর্ম, বিদ্যা ক্ষেত্রে উন্নতির যোগ। আয় ব্যয় ক্ষেত্রে সমতার অভাব। স্বাস্থ্য ভালো থাকলেও আঘাতযোগ থাকায় ... বিশদ
অন্যদিকে, খড়িবাড়ির হিমঘর কার্যত শূন্য। তাই শিলিগুড়ি সহ দার্জিলিং ও কালিম্পং পাহাড়ে আলুর চাহিদা মেটাতে জলপাইগুড়ির দিকে তাকিয়ে দার্জিলিং জেলা প্রশাসন। এদিন তারা এ ব্যাপারে জলপাইগুড়ি জেলায় খোঁজ খবর নেয়। প্রশাসন সূত্রে খবর, জনসংখ্যা নিরিখে আগামী একমাস শিলিগুড়ি সহ পাহাড়ে লাগবে প্রায় ৭৪৭৬ মেট্রিক টন আলু। বর্তমানে জলপাইগুড়ির হিমঘরে মজুত আলুর পরিমাণ ৩৩ হাজার ৪২ মেট্রিক টন। সেখান থেকে কিছুটা আলু শিলিগুড়ি, দার্জিলিং ও কালিম্পংয়ের জন্য আনা হতে পারে।
বাঙালির অন্যতম প্রিয় খাদ্য ডিম। আলু ও পেঁয়াজের মতো এবার সেই ডিমের দামও বেড়েছে। গত ছ’দিন ডিমের দাম ছিল ৬ টাকা পিস। হঠাৎ করেই সোমবার খুচরো বাজারে ডিমের দাম বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮ টাকা পিস। স্থানীয়রা বলেন, সস্তায় অন্যতম পুষ্টিকর খাবার ডিম। সব্জির মতো এই পুষ্টিকর খাবারের দামও চড়ছে। ব্যবসায়ীদের একাংশ বলেন, অন্য রাজ্য থেকে ডিম আমদানি করতে হচ্ছে। তাই দাম সামান্য বেড়েছে। টাস্কফোর্সের সদস্য তথা শিলিগুড়ি কৃষি বিপণন দপ্তরের সচিব অনুপম মৈত্র অবশ্য বলেন, ডিমের বিষয়টি জানা নেই। খোঁজখবর নিয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এদিকে, বেশকিছু দিন ধরেই শিলিগুড়িতে আলু, পেঁয়াজ সহ বিভিন্ন সব্জির দাম ঊর্ধ্বমুখী। বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখতে ইতিমধ্যে কৃষি বিপণন দপ্তর শিলিগুড়ি সহ পাহাড়ে ২৫টি ভ্রাম্যমাণ এবং একটি স্থায়ী স্টল চালু করেছে। সেখানে আলু বিক্রি হচ্ছে ২৫ টাকা কেজি দরে। তার পরেও দাম নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়নি। এমন প্রেক্ষাপটে গত শনিবার টাস্কফোর্স ও ব্যবসায়ীদের নিয়ে বৈঠক করেন শিলিগুড়ির মেয়র গৌতম দেব। বৈঠকের সিদ্ধান্ত মতো এদিন মাল্লাগুড়ির দৈনিক নিয়ন্ত্রত বাজারের পাইকারি ও বিধান মার্কেটের খুচরো সব্জি মার্কেটে অভিযান চালানো হয়।
প্রশাসন সূত্রে খবর, এদিন পাইকারি বাজারে আলু ২৪ থেকে ২৫ টাকা, পেঁয়াজ ৪২ থেকে ৪৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। কিন্তু খুচরো বাজারে আলু ৩৫ এবং পেঁয়াজ ৫৫-৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়। টাস্কফোর্সের সদস্য তথা দৈনিক নিয়ন্ত্রিত বাজার সমিতির সচিব বলেন, আলু ৩২ টাকার ও পেঁয়াজ ৫০ টাকার বেশি বিক্রি করা যাবে না। এ ব্যাপারে খুচরো ব্যবসায়ীদের সতর্ক করা হয়েছে। অভিযান চলবে। শিলিগুড়ি ক্ষুদিরামপল্লি বাজারে টাস্কফোর্সের অভিযান। - নিজস্ব চিত্র।