কর্ম, বিদ্যা ক্ষেত্রে উন্নতির যোগ। আয় ব্যয় ক্ষেত্রে সমতার অভাব। স্বাস্থ্য ভালো থাকলেও আঘাতযোগ থাকায় ... বিশদ
মামলার বয়ান সূত্রে জানা গিয়েছে, নরেন্দ্রপুর থানা এলাকার বাসিন্দা পবনকুমার ঝা-র স্ত্রী অর্চনা ঝা হঠাৎই নিখোঁজ হয়ে যান। গত ২৯ জুন সকাল আটটার পর থেকে তাঁর আর কোনও খোঁজ নেই। একদিন অপেক্ষা করার পর ৩০ জুন নরেন্দ্রপুর থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেন পবন। তাঁর অভিযোগ, নিখোঁজ ডায়েরি করার পর দীর্ঘদিন কেটে গেলেও তাঁর স্ত্রীকে উদ্ধারে কোনও পদক্ষেপ করেনি পুলিস। পবনের আরও অভিযোগ, পরবর্তীতে তিনি স্থানীয় সূত্রে জানতে পারেন, সাগর শেখ ও চন্দ্রেশ কুমার নামে দুই ব্যক্তি তাঁর স্ত্রীকে কোনওভাবে ফুসলিয়ে নিয়ে গিয়েছে। সাগর ও চন্দ্রেশ ওই এলাকার স্থায়ী বাসিন্দা নন বলেও তাঁর দাবি। পরবর্তীতে ওই দুই ব্যক্তির বিরুদ্ধে তাঁর স্ত্রীকে অপহরণের অভিযোগও দায়ের করেছেন তিনি। কিন্তু পুলিস কোনও পদক্ষেপ করছে না বলে অভিযোগ। বাধ্য হয়ে তিনি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন।
সোমবার বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের এজলাসে মামলাটি শুনানির জন্য উঠলে রাজ্যের তরফে রিপোর্ট পেশ করে জানানো হয়, ৪২ বছরের ওই মহিলার খোঁজ চলছে। কিন্তু তাঁকে এখনও উদ্ধার করা যায়নি। রাজ্যের তরফে আরও জানানো হয়, অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করা হলেও তাঁরা বর্তমানে জামিনে মুক্ত রয়েছেন। নরেন্দ্রপুর থানার তরফে আরও জানানো হয়, ওই মহিলাকে পাচার করা হয়ে থাকতে পারে। এক্ষেত্রে সিআইডি তদন্ত হলে পুলিসের কোনও আপত্তি নেই। রাজ্যের কাছ থেকে এই বক্তব্য শোনার পরই বিচারপতি ঘোষ নির্দেশে জানিয়ে দেন, এক্ষেত্রে পুলিস যেহেতু পাচার হয়ে যাওয়ার সন্দেহ করছে, তাই এখন এই মামলার তদন্ত করবে সিআইডি।
সিআইডির অ্যান্টি হিউম্যান ট্রাফিকিং ইউনিট এই ঘটনার তদন্ত করবে। এছাড়াও অভিযুক্তরা যাতে মামলাকারীর পরিবারকে কোনওভাবে ভীতি প্রদর্শন না করতে পারে, সেই বিষয়টিও নরেন্দ্রপুর থানাকে নিশ্চিত করার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি ঘোষ।