কর্ম, বিদ্যা ক্ষেত্রে উন্নতির যোগ। আয় ব্যয় ক্ষেত্রে সমতার অভাব। স্বাস্থ্য ভালো থাকলেও আঘাতযোগ থাকায় ... বিশদ
ফুলচন্দনে সাজিয়ে কাশীপুর মহাশ্মশানে চিতায় তুলে দেহে অগ্নি সংযোগ করা মাত্র ঠাকুরমার জিভ মা কালীর জিভের মত ঈষৎ বেরিয়ে এল এবং ডান হাত ঠিক বরাভয় মুদ্রাতে অর্ধেক উঠে গেল এবং প্রায় দশ মিনিট ধরে ঠিক ঐভাবেই রইল। যারা চোখে দেখলো তারা আশ্চর্য্যে হতবাক হয়ে রইলো সারাক্ষণ। দশমিনিট পর হাত ধীরে ধীরে নেমে গেল, মুখও বন্ধ হয়ে গেল। শেষ মুহূর্তে স্বরূপ প্রাপ্তির প্রমাণ এমনটি আর কোথায় মেলে? আসলে ঠাকুমা কঠোর শ্মশান সাধনা করে মা ভবতারিণীর সাক্ষাৎ বরলাভে ধন্য হয়েছিলেন স্বয়ং ভগবানকে গর্ভে ধারণের নিমিত্ত। তাই তাঁকেও হয়ে যেতে হয়েছে সাক্ষাৎ মা ভবতারিণী। আর ঠাকুর, যিনি সর্বজ্ঞ সর্বদর্শী স্বয়ং ভগবান, তিনি সিউড়ীতে বসেই চোখ বুজে দেখেছিলেন গর্ভধারিণী জননীর শেষ যাত্রার দৃশ্য। কলকাতা থেকে যারা ফিরে এল সিউড়ী, তাদের প্রথমেই শ্রীঠাকুর জিজ্ঞাসা করেছিলেন—‘আচ্ছা, মা কি উপুড় হয়ে প্রণামের ছন্দে লুটিয়ে পড়ে দেহত্যাগ করেছেন? কারণ, আমি ঐ মুহূর্তে ধ্যানে মাকে ঐভাবেই দেখলাম।’ কথাটা যে সত্যি, তা বলা বাহুল্য। তাই তো ঠাকুরও স্থূলে গেলেন না মায়ের শেষ শয্যার পাশে, মাও ছেলেকে স্থূলে ডাকলেন না কাছে। উভয়েই যে পূর্ণ সমর্থ অলৌকিক রাজ্যের লীলায়। শ্রীঠাকুরকে মা কালীর বরে পেয়েছিলেন মাতা কাশীশ্বরী। তাই মা কালীও ঠাকুর সত্যানন্দের সাধন জগতে প্রবেশ করলেন পূর্ণ কর্তৃত্ব নিয়েই। শ্রীঠাকুর যখন নির্বিকল্প ধ্যানে সমাধিস্থ থাকতেন বেশীর ভাগ সময় আর ভাবতেন এইভাবেই একদিন নির্বিকল্প ভূমিতে মহাসমাধি অবস্থায় দেহ ছেড়ে দেবো, সেই সময় একদিন হঠাৎ অলৌকিক ভাবে এসে পড়লেন মা ভবতারিণী।
স্বামী মৃগানন্দের ‘অলৌকিক কৃপাময় সত্যানন্দ’ থেকে