কর্ম, বিদ্যা ক্ষেত্রে উন্নতির যোগ। আয় ব্যয় ক্ষেত্রে সমতার অভাব। স্বাস্থ্য ভালো থাকলেও আঘাতযোগ থাকায় ... বিশদ
মৃত্যু
এক সময় বকাসুর একটি বিরাট বক পক্ষীর রূপ ধারণ করে শ্রীকৃষ্ণ ও তাঁর গোপসখাদের হাঁ করে গিলতে আসে। কৃষ্ণকে বকাসুরের মুখে প্রবেশ করতে দেখে বলরাম ও অন্যান্য গোপবালকেরা মৃতবৎ মূর্ছিত হয়ে পড়েছিলেন। কোন বীভৎস দৃশ্য অথবা দুর্ঘটনার ফলে ভক্তরা মোহিত হয়ে পড়লেও তাঁরা কখনও শ্রীকৃষ্ণকে ভুলে যান না। চরম বিপদেও তাঁরা শ্রীকৃষ্ণকে স্মরণ করতে পারেন। এটি হচ্ছে কৃষ্ণভাবনামৃতের অপূর্ব লাভ। মৃত্যুর সময়েও, যখন দেহের সমস্ত কার্যকলাপ বিকল হয়ে যায়, তখন ভক্ত তাঁর অন্তরের অন্তস্তলে শ্রীকৃষ্ণকে স্মরণ করেন এবং তার ফলে তিনি পুনরায় এই ভবসমুদ্রে পতিত হওয়ার চরম বিপদ থেকে রক্ষা পান। এইভাবে কৃষ্ণভাবনামৃতের প্রভাবে ভক্ত প্রাকৃত স্তর থেকে বৈকুণ্ঠলোকে উন্নীত হন। এই সম্পর্কে মথুরায় দেহত্যাগ করেছেন যে সমস্ত মানুষ, তাঁদের সম্বন্ধে বলা হয়েছে, “এই সমস্ত মানুষদের শ্বাস-প্রশ্বাস অত্যন্ত ক্ষীণ হয়ে এসেছিল, তাঁদের চক্ষু সম্পূর্ণভাবে খোলা ছিল, তাঁদের দেহ বিবর্ণ হয়ে গিয়েছিল এবং তাঁরা কৃষ্ণনাম উচ্চারণ করছিলেন। এইভাবে তাঁরা তাঁদের জড় শরীর ত্যাগ করেন।” মৃত্যুর পূর্বে এই লক্ষণগুলি দেখা যায়।
আলস্য
কখনও কখনও আত্মতৃপ্তি অথবা অধিক পরিশ্রমের অরুচি থেকে শক্তি থাকা সত্ত্বেও কেউ যখন তার কর্তব্যকর্ম সম্পাদন করতে চায় না, তাকে বলা হয় আলস্য। এই আলস্য কৃষ্ণপ্রেমেরও একটি অভিব্যক্তি। যেমন, গোবর্ধন পূজা উৎসবে ব্রাহ্মণেরা এত তৃপ্ত হয়েছিলেন যে, তাঁরা নন্দ মহারাজকে বলেন, “হে গোপেন্দ্র! গোবর্ধন-উৎসবে আমরা এত তৃপ্ত হয়েছি যে, আমরা আর আশীর্বাদ করতেও সমর্থ নই।”