উকিল ও ডাক্তারদের কর্মব্যস্ততা বাড়বে। পত্নী/পতির স্বাস্থ্য আকস্মিক ভোগাতে পারে। মানসিক অস্থিরভাব। ... বিশদ
খণ্ড জ্ঞান কোন অবস্থাতেই পূর্ণ নয়, সুতরাং ডাক্তারের জ্ঞানও পারফেক্ট নয়, জ্যোতিষীর জ্ঞানও পারফেক্ট নয়। এককালে সমাজে জ্যোতিষী হিসেবে আমারও খুব নামডাক ছিল। অনেককে অনেক কিছু বলে দিতাম, সব মিলে যেতো, আর লৌকিক বিচারে দু’হাতে টাকা আসতো আর দু’হাতে দানও করতাম। তার পরে ভাবলাম—এতে লোকের উপকার করা হচ্ছে না। এক মুহূর্তে ছেড়ে দিলাম, আর শত অনুরোধ উপরোধেও করবো না কারণ ওসব বাজে জিনিস। সময় দেখে শুভাশুভ নির্ধারণ করা—এটাও বাজে। নিজের গুরুমন্ত্র উচ্চারণ করে, পরমপুরুষের নাম নিয়ে যখনি কাজ কর না কেন সেটাই শুভ সময়। সেটাই শুভ কাজ। এছাড়া আর অতিরিক্ত শুভ সময় কিছু হয় না। এখন যারা বলেন, বাইরে যাব, পশ্চিম দিকে যাব, তো পঞ্জিকায় যদি থাকে পশ্চিমে যাত্রা নাস্তি, তাহলে সেদিন যাব না বা পূর্বে যেতে চাই কিন্তু পূর্বে যাত্রা নাস্তি তো যাব না—তাঁরা সেখানে ভুল করেন, যদি পঞ্জিকায় কোনো দিন লেখা আছে—পশ্চিমে নাস্তি, তাই তিনি সেদিন মুম্বাই গেলেন না। তাহলে তার সেদিন কলকাতা থেকে হাওড়াও যাওয়া উচিত না কারণ হাওড়া পশ্চিমে, অথবা তার শিয়ালদা থেকে বড়বাজারেও যাওয়া উচিত নয়। কারণ বড়বাজার শিয়ালদার পশ্চিমে। এভাবে চলা যায় না। আর নিজের বাড়ীতেই কোনো ঘরটা পূর্ব দিকে রয়েছে, তাহলে পূর্ব দিকের ঘর থেকে পশ্চিম দিকের ঘরেও যাওয়া উচিত নয়। সুতরাং এ সবের কি আর শেষ আছে? এ সমস্ত একবারে বাজে জিনিস। তোমরা এ সমস্তের খপ্পরে একদম পড়বে না। যখন যেখানে যাবার ইচ্ছে, ইষ্টনাম নাও, গুরুমন্ত্র নাও, বেরিয়ে পড়ো। পঞ্জিকার নিষেধাজ্ঞার শক্তি যতটা, পরম পুরুষের নামের শক্তি তার চেয়ে অনেক বেশী। সুতরাং ঘাবড়িও না। ছেলেমেয়ের বিয়ের ব্যাপারে ঠিকুজী, কোষ্টি বিচার করে লোকে।