উকিল ও ডাক্তারদের কর্মব্যস্ততা বাড়বে। পত্নী/পতির স্বাস্থ্য আকস্মিক ভোগাতে পারে। মানসিক অস্থিরভাব। ... বিশদ
অর্জুন যখন শ্রীকৃষ্ণের বিশ্বরূপ দর্শন করেন, যাঁর চোখ ঝলসানো ধারাল দন্ত-সমন্বিত মুখমণ্ডল সমস্ত বিশ্বব্রহ্মাণ্ডকে গ্রাস করছিল, তখন অর্জুনের মুখ শুষ্ক হয়ে গিয়েছিল। সেই সময় অর্জুন আত্মবিস্মৃত হয়েছিলেন এবং ভুলে গিয়েছিলেন যে, তিনি হচ্ছেন শ্রীকৃষ্ণের সখা এবং সর্বদাই তিনি শ্রীকৃষ্ণের কৃপার উপর নির্ভরশীল। এই ঘটনাটি নিকৃষ্ট পরতন্ত্রতার একটি উদাহরণ।
কখনও কখনও বীভৎস কার্যকলাপও কৃষ্ণপ্রেম বর্ধিত করে। প্রেমানুভূতি প্রকাশক এই ভয় মোহ থেকে উৎপন্ন হয়। শ্রীমদ্ভাগবতের দশম স্কন্ধে যাজ্ঞিক ব্রাহ্মণদের উক্তি—“আমরা তিনটি মহান সুযোগ নিয়ে জন্মগ্রহণ করেছি। আমরা উচ্চ ব্রাহ্মণ-বংশে জন্মগ্রহণ করেছি, যথাযথ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আমরা যজ্ঞোপবীত লাভ করেছি, এবং আমরা সদ্গুরুর কাছ থেকে বিধিবৎ দীক্ষা লাভ করেছি। কিন্তু হায়! এই সমস্ত সুযোগ পাওয়া সত্ত্বেও আমরা সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ হয়েছি। আমাদের ব্রহ্মচর্য পালনও ব্যর্থ হয়েছে।” এইভাবে ব্রাহ্মণরা তাঁদের কার্যকলাপের নিন্দা করতে থাকেন। তাঁরা বুঝতে পেরেছিলেন যে, উচ্চ বংশে জন্ম, শিক্ষা ও সংস্কৃতি সত্ত্বেও তাঁরা মায়াশক্তির দ্বারা মোহিত। তাঁরা স্বীকার করেছিলেন যে, ভগবানের প্রতি ভক্তিহীন মহান যোগীরাও মায়ার প্রভাবে আচ্ছন্ন। কৃষ্ণভক্তিবিহীন কর্মকাণ্ডীয় যজ্ঞ অনুষ্ঠান করার ফলে, সেই ব্রাহ্মণেরা এই ব্যর্থতা অনুভব করেছিলেন। শ্রীকৃষ্ণের প্রতি আসক্তিযুক্ত নৈরাশ্যের একটি দৃষ্টান্ত হচ্ছে অরিষ্টাসুর যখন ব্রজবালাদের আক্রমণ করে, তখন তাঁরা চীৎকার করে শ্রীকৃষ্ণকে বলেন, “হে কৃষ্ণ! আমাদের তুমি রক্ষা কর! আমাদের তুমি রক্ষা কর!” এই নৈরাশ্য কৃষ্ণাসক্তিপূর্ণ।কেশী দৈত্য যখন শ্রীকৃষ্ণের হাতে নিহত হয়, তখন কংস অত্যন্ত নিরাশ হয়ে পড়ে। সে বলে, “কেশী দৈত্য আমার প্রাণাধিক প্রিয় ছিল, কিন্তু সে আজ অসভ্য, অশিক্ষিত, রণবিদ্যায় অনভিজ্ঞ একটি গোপবালকের হাতে নিহত হয়েছে। আমি যদিও দেবরাজ ইন্দ্রকে অনায়াসে পরাভূত করেছি, তবুও আমার বেঁচে থাকা নিরর্থক।” এই নৈরাশ্য শ্রীকৃষ্ণের প্রতি আসক্তির ছোঁয়া রয়েছে, এটিকে নৈরাশ্য-জনিত রতির আভাস বলে বর্ণনা করা হয়েছে।