ধর্মকর্মে সক্রিয় অংশগ্রহণে মানসিক তৃপ্তি ও সামাজিক সুনাম। পেশাদার শিল্পীদের শুভ সময়। ... বিশদ
বরানগর আশ্রম। রাত্রের আরতির পর গঙ্গার ধারের বারান্দায় বসে সেদিন ঠাকুর কথামৃত পাঠ ও আলোচনার অবসরে ডেস্কের ওপর প্যাডের কাগজে কিছু লিখছেন একটি ছোট্ট ঝর্ণা কলম দিয়ে। ডেস্কের পাশে রাখা আছে একটি কলমের বড় বাক্স। লেখার শেষে বলছেন ঠাকুর, “কলমের ওপর আমার খুব সখ ছিল ছোটবেলায়। তো দেখ, এখন কত রকমের দামী দামী সব কলম এসে গেছে। সবই ভক্তরা present করেছে। শুধু এদেশের নয়, বিদেশেরও কত নামী দামী সব সুন্দর সুন্দর কলম। এই দেখ, বলে আনন্দ ক’রে এক একটা তুলে তুলে দেখাচ্ছেন ভক্তদের। একটা কলমের ডগায় একটা ছোট্ট ঘড়ি ফিট্ করা। ওটা দেখিয়ে বললেন, “দেখছ, কেমন ঘড়ি ফিট্ করা রয়েছে! কলমটাতে ছিল না। আলাদা ভাবে করিয়ে নিয়েছি স্যাকরাকে দিয়ে। একদিন ভাবলাম কলমের সঙ্গে যদি একটা ঘড়ি থাকে তো লেখার সময়, সময় দেখার জন্য ঘড়ির খোঁজ করতে হয় না। তাই এরকম একটা করিয়ে নিলাম। এ ধরণের কলম আবিষ্কার হলে কত সুবিধা বল তো?” এর বহু বছর পরে প্রবাসী এক ভক্ত যাদবপুর দেবায়তনে এসে শ্রীঅর্চনা মাকে ইলেকট্রনিক ঘড়ি ফিট্ করা সুন্দর একটি কলম উপহার দিয়ে গেলেন। কলমটি দেখা মাত্র ঠাকুরের সেদিনের স্মৃতিটি মনে ভেসে উঠল। আর ভেবে অবাক হলাম যে, সত্যানন্দব্রহ্ম-মনে কত বছর আগে ঠিক এমনি একটি কলম রূপ নিয়েছিল যা বাস্তবায়িত হল এতদিনে। যাক্, যে কথা বলছিলাম। এসব নানা ধরণের সুন্দর সুন্দর কলম দেখাবার পর ঠাকুর যে ছোট্ট কলমটি দিয়ে লিখছিলেন সেটী এবার হাতে নিয়ে খুব আনন্দ ক’রে বলছেন, “আর এই ছোট্ট কলমটা দেখছ, এটা খুব সুন্দর। দিশী কলম।