ধর্মকর্মে সক্রিয় অংশগ্রহণে মানসিক তৃপ্তি ও সামাজিক সুনাম। পেশাদার শিল্পীদের শুভ সময়। ... বিশদ
‘‘হে ভদ্রকালি! আপনাকে নমস্কার, মহাকালি! আপনাকে নমস্কার, চণ্ডি! চণ্ডে! তারিণি! বরাবর্ণিনি! আপনাকে নমস্কার।।’’
‘‘কাত্যায়নি! মহাভাগে! করালি! বিজয়ে! জয়ে! ময়ুরপুচ্ছের ধ্বজধারিণি! নানাভরণভূষিতে! আপনাকে নমস্কার।।’’ ‘‘মহাশূলাস্ত্রে! খড়গ ও মুদগরধারিণি! কৃষ্ণানুজে! জগত্প্রাচীনে! নন্দগোপকুলোদ্ভবে! আপনাকে নমস্কার।।’’
‘‘সর্বদা মহিষরক্তপ্রিয়ে! কৌশিকি! পীতবসনে! অট্টহাসে! কাকবদনে! রণপ্রিয়ে! আপনাকে নমস্কার।।’’ ‘‘উমে! শাকম্ভরি! শ্বেতে! কৃষ্ণে! কৈটভনাশিনি! পীতনয়নে! বিরূপাক্ষি! অতিধূম্রনয়নে। আপনাকে নমস্কার।।’’ ‘‘বেদশ্রুতিমহাপুণ্যে! দেবহিতে! প্রাচীনজ্ঞানে! সর্বদা জম্বুদ্বীপস্থ দুর্গদেবতালয়বাসিনি! আপনাকে নমস্কার।।’’ ‘‘কার্তিকেয়জননি! ভগবতি! দুর্গে! মহারণ্যবাসিনি! আপনি বিদ্যার মধ্যে ব্রহ্মবিদ্যা এবং প্রাণিগণের মহানিদ্রা।।’’
‘‘জ্ঞানীরা আপনাকে স্বাহা স্বধা কলা কাষ্ঠা সরস্বতী বেদমাতা গায়ত্রী এবং উপনিষদ্ বলিয়া থাকেন।।’’ ‘‘মহাদেবি! আমি পবিত্র-চিত্তে আপনার স্তব করিলাম। আপনার অনুগ্রহে সমরাঙ্গনে সর্ব্বদাই যেন আমার জয় হয়।।’’ ‘‘আপনি সর্ব্বদাই মহারণ্যে, ভয়স্থানে, দুর্গমদেশে, ভক্তগণের গৃহে এবং পাতালে বাস করেন, আর যুদ্ধে দানবদিগকে জয় করিয়া থাকেন।।’’ ‘‘আপনি রতি, মোহিনী, মায়া, লজ্জা, লক্ষ্মী, সন্ধ্যা, দীপ্তি, সাবিত্রী ও জগতের জননীস্বরূপা।।’’
‘‘দেবি! আপনি তুষ্টি, পুষ্টি, ধৃতি, চন্দ্র ও সূর্য্যের উজ্জ্বলতাকারিণী দীপ্তি এবং সম্পন্নদিগের সম্পৎ। যোগিগণ ও পরিব্রাজকগণ ধ্যানে আপনাকেই দেখিয়া থাকেন।।’’
অর্জ্জুনের স্তবে সন্তুষ্ট হইয়া দেবী ‘‘অন্তরিক্ষগতোবাচ’’—আকাশমার্গে অবস্থান করিয়া বলিলেন—হে পাণ্ডব! অচিরেই তুমি শত্রুগণকে জয় করিবে। এই কথা বলিয়া বরপ্রদা দেবী সেই স্থানেই অন্তর্হিতা হইলেন।