ধর্মকর্মে সক্রিয় অংশগ্রহণে মানসিক তৃপ্তি ও সামাজিক সুনাম। পেশাদার শিল্পীদের শুভ সময়। ... বিশদ
শ্রীকৃষ্ণের আর একটি বংশী আছে যা আরও লম্বা, যাকে বলা হয় মহানন্দ বা সম্মোহিনী। তা যখন তার থেকেও লম্বা হয়, তখন তাকে বলা হয় আকর্ষণী। তা যখন তার থেকে আরও লম্বা হয়, তখন তাকে বলা হয় আনন্দিনী। এই আনন্দিনী বংশীধ্বনি গোপবালকদের অত্যন্ত প্রিয়। এর আর একটি নাম বংশুলী। এই বাঁশিগুলি কখনও কখনও মণিরত্ন খচিত থাকে, কখনও তা মর্মর দিয়ে তৈরি হয় এবং কখনও কখনও বাঁশ দিয়ে তৈরি হয়। বাঁশি যখন মণিরত্ন দিয়ে তৈরি হয়, তখন তাকে বলা হয় সম্মোহিনী। আর যখন তা স্বর্ণ দিয়ে তৈরি হয়, তাকে বলা হয় আকর্ষণী।
শ্রীকৃষ্ণেরশৃঙ্গ
শ্রীকৃষ্ণ মহিষের শিঙকে শৃঙ্গরূপে ব্যবহার করেন। এই যন্ত্রটি সর্বদাই খুব সুন্দর করে পালিশ করা থাকে এবং তা সোনার পাত দিয়ে বাঁধান থাকে এবং তার মাঝে একটি ছিদ্র থাকে। এই যন্ত্রটি নিয়ে তারাবলী নামক গোপিকার সম্বন্ধে একটি রূপকাত্মক উক্তি রয়েছে, যাতে বলা হয়েছে যে, শ্রীকৃষ্ণের বংশীরূপ পরম বিষধর সর্প তারাবলীকে দংশন করেছিল। তখন সেই বিষ নিরসন করবার জন্য তিনি শ্রীকৃষ্ণের হাতের শৃঙ্গ থেকে নিঃসৃত দুগ্ধ পান করেন। কিন্তু তার ফলে বিষক্রিয়ার উপশম না হয়ে তা সহস্রগুণে বর্ধিত হয়। এইভাবে গোপিকারা অত্যন্ত যন্ত্রণাদায়ক অবস্থায় পতিত হয়েছিলেন।
শ্রীকৃষ্ণের নূপুরের আর্কষণ
জনৈকা গোপিকা তাঁর সখীকে বলেন, “হে সখী! আমি যখন শ্রীকৃষ্ণের পায়ের নূপুরের ধ্বনি শুনি, তৎক্ষণাৎ আমি তাঁকে দেখবার জন্য বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসি। কিন্তু দুঃখের বিষয় যে, আমার গুরুজনেরা তখন আমার সামনে ছিলেন এবং তাই আমি বাইরে যেতে পারিনি।”